প্রথমঞপর

॥11 ১০ কাটি বান করন ১০ হাদী দন নান পন

প্রথম প্রকাশ £ ভাদ্র-_-১৩৭৬

প্রকাশক £ সুনীল দাশগুপ্ত নবভারতী ৮শ্যামাচরণ দে' কলি কা ত1-১২

মুদ্রক £

অশোক ভট্রীচাখব শোভনা প্রেস

১/১ জাননগর রোড কলিকাতা-১৭

থেকে ২৫৬ ফম্সা সুরেন জানা মরবানী প্রেস

৯৭/এ সুশীপাড়া বাই লেন কলিকাত1-৬

'প্র্ডদ 2 খালেদ চৌধুরী

দামও ১৬৭

ভুমিকা

চি

এই বইয়ের ভূমিকা লিখতে আমি নানাকারণে সংকৌচ বোধ করেছি বইয়ের লেখক নিজেই তাঁর প্রকৃত নাম দিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে ভূমিক! লেখকের নামট। দেওয়ার দায়িত্ব অনেক অথচ যিনি লিখেছেন, তিনি যে লিখতে পারেন, একথা! পাঁঠকমাত্রেই কয়েকটি পাতা পড়লেই স্বীকার করবেন আন উঠার .লেখবার অধিকারও আছে। তিনি একজন ক্ষুরধার লেখক বলেই পরিচিত তাছাড়া, তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দৌলনে একজন প্রত্যক্ষ অংশীদার ছিলেন তাবও ওপরে একথা জানা দরকার যে, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মাবতীয় তথা-_-বিশেষ করে যা সংবাদপত্রে পরিবেশিত হয়ে আছে-_ ত1 সব কিছু সামনে রেখেই তিনি এই ইতিহাস লিখেছেন আবার বলি, লেখকের লেখবার অধিকার আছে, যোগ্যত। আছে, এবং অনবদ্য লেখনীশক্তিও তীর আছে। কাজেই, এই ইতিহাঁস সবাইকে পড়তে আমি অনুরোধ করি

বইখ'ন' বেশ বড়ো হয়েছে, কিন্তু কত বড়ো হয়েছে 2? ১৯২৮ সাল থেকে ৯৯৪৭ সালের মধ্যে যে মহাঁভারতীয় কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল, তাঁর একট! সমীক্ষা করা কি সহজ কাজ? লেখক কোন ইতিহাস লেখেন নি, আধুনিক মহাঁভারতীয় ইতিহাসের পধালোচনা করে গুটি কয়েক সারবন্ত পাঠকদের সামনে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছেন কেবল ঘটনার পরিবেশন নয়, ঘটনার তাঁংপর্ষও। আজ একথা ভাবতে অবাক লাগে, আষর। এই মহাভারতীয় পর্বের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সবটাই দেখেছি, এবং এই নাটকে কিছু না কিছু অংশও নিয়েছিলাম ! কাজ করেছি, জেল খেটেছি, নান! ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, কিন্ত সবটা কী হচ্ছে__কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি, কেন চলেছি, কে চালাচ্ছে এবং কেন শেষ পর্যন্ত মহাভারতেই মত একটা ট্রাজিক উপসংহারে এসে পৌছোলাম-এর একটা সামগ্রিক মৃল্যায়ন সিংহাবলোকন করতেও আজ ভয় লাগে, সত্যিই ভয় লাগে হক্তো। অনেকেরই ভয় লাগে, তাই অতীতের দিকে নজর দিতে মন চায় না

(২)

কেন ভয় লাঁগে £ হয়তো আত্মসন্তষ্ত হবার অথবা গৌরব অনুভব লরার মত প্রত্যয় মেলে না। কেন মেলেনা এত সংগ্রাম, এত শহীদ, এত বক্তা, এত নেতা, এস্ভ ধর্ম, এত অহিংসা, এত যোদ্ধা--এত এত কাগু থাকা সত্ত্বেও, শেষ পর্যন্ত "স্বাধীনতা" অর্জন করা সত্বেও, গৌরবে বুকটা ফুলে ওঠেনা কেন? মনের গভীরে--সমগ্র জাতির অবচেতন মনেই যেন কোথায় একটা হীনমন্তা বা অপরাধবোধ দ্ুকে আছে অপরাধবোধের মন্ত্র-চেতনা কেবল যে গান্বপন্থীদের, কংগ্রেসীদেরই থাকা স্বাভাবিক বা উচিত তা নয়, অপরাধবোধ বিপ্লবীদের, কম্্যুনিষ্টদের, সোশ্যালিহদের-_সকলেরই অল্পবিস্তর থাকা স্বাভীবিক উচিত তা দিনা থাকে, এই স্বীকৃতিট্ুকুও ষদি না থাকে, তবে বুঝবে। আমাদের আর উদ্ধারের কোন আশা নেই সত্যিকার আত্মসমালোচনা না! হলে আমাদের ছৃষ্ট অহংবোধ থেকে, অভিমান থেকে পরিত্রীণ নেই, ভূল সংশোধন করায় উপায় নেই। এই জন্যেই যত তিজ্ঞ; যত বেদনাদায়কই হোক এই ইতিহাঁস_-চোখ-বুঁজে একে অঙ্গীকার করায় লাভ নেই

ঢখক পিটিয়ে, ধবজ। উডিয়ে, মিটিং মিছিলে আমাদের অতীতের যাবতীয় কমিশন ওমিশানের অপরাধ দৃর্বলতাগুলোকে যতই চখপ। দেবাব চেষ্ট! করিন। কেন, ইতিভাস লেখার নামে ইতিভাঁসকে চাঁপা দেবার চেক্টী করিনা কেন, সে সব অপরাধের সু্ষ্স বীজা ণুগুলো আমাদের দর্তমানবে:ও--আজকেব চলার পথকেও দ্ষ্ট দূবল করতে থাকবে আমবা ইতিইসকে ভূলতে চেষ্ট। করলেও ইতিহাস আমাদের ভোলে না, অব আমব। তো! ইতিহাসেরই সন্ভান_সে বক্ত তো! অস্ীকার করার উপায় নেই

আমরা অবশ্যই আবার ১৯২৮ সালে ফিরে যেতে পারি না_ব ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৪৭ সালের কার্ষকলাপ ক্রটহীন ভ্রান্তিহীন ভাবে প্রনরায় পরিচালিত করার সূযোগ পেতে পারিনা_যাঁ অতীত তা৷ অতীত তবু অতীতের অবশেষ রেশ শুন্য হয়ে যায়ন1, সৃঙ্সাতিসৃক্স্ রূপে আমাদের চখল চলন চরিত্র স্বভাব ব্যবহার আচরণ ইত্যাদিতে তাঁৎপর্য-পুর্ণ ুরপনেয় রেখাস্কান সৃষ্টি করে যাঁয়। সেগুলো তখন ভূতের মত আমাদের আশ্রয় করে থাকে কাজেই আত্মসমালোচনা আত্মশোধনের জন্য ইতিহাসকে অমন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্ধালোচনা

(৩)

করার দরকার থাকে অতএব আমি পাঠকদের সবিনয় অনুরোধ করবো যে, বইথাঁনা পড়লে হয়তো মনটা তিক্ত হবে, বিষ্ও হবে--তনু পড়ুন। এবং সবটাই লজ্জা! ব! বেদনা বিষঞ্তার কথা নয়। অমন জটিল, অন্ধকার, পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত গতির মধ্যেও মাঝে মাঝে অমর শহীদদের উল্কাসদৃশ, উজ্দ্বল নক্ষত্রগুলোর মত দীপ্যমান, দৃষ্টান্ত গুলোও জাতির ভবিষ্যৎ বংশধরদের আত্মবিশ্বাসের উপাদান হয়ে বর্তমান আছে, ধাঁদের ওজ্বল্য, ধাদের দীপ্তিকে মন করে দেবার জন্য, মুছে ফেলে দেবার জন্য ইংরেজ, কংগ্রেস পরবর্তী স্বগে সরকারী এঁতিহাসিকেরা অনেক চে করেছেন--এক রকম এঁকতানে এঁক্যবদ্ধভাবে।

মুগে সুগেই ইতিহাসের প্ুনর্লেখন কর্মটি (:55/10775 005 00151০15) চলে। পুনর্লেখন হয় শাঁসকশ্রেণীর স্বার্থেই এবং যেমন যেমন শাঁসকশ্রেণা পাল্টায়, ব্যাখ্যাও পান্টায়। অনেক অবহেলিত দিক মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠে, আবার বনুঢকানিন।দিত ব্যাপারও পিছনে চাপা৷ পড়ে যায় স্বাধীন ভারতে এতকাল যে দল একচেটিয়া রাজত্ব করে এসেছিল, তাদের অস্তগমনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেওয়৷ ইতিহাসেরও লয় ঘটবে, আবার ধারা ক্ষমতায় আসছেন তারা তখন ইতিহাস নতুন করে লিখবেন সন্দেহ নেই ফলে, ইতিহাস কখনো মৃত নয়, জীবন্ত একটি ধারা এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, ভারতের ইতিহাসও আবার নতুন করে গড়া বোঝার চেষ্টা চলবে এবং বর্তমান লেখক যেভাবে তা দেখেছেন সেটাই যে সব তাঁও হয়তো কেউ মনে না করতে পাঁরেন_তবে লেখক যেভাবে যত তথ্যের সঙ্গে গোটাকয়েক প্রশ্ন তত্ব উপস্থিত করেছেন তাঁর বিচার বিবেচনা সকল ইতিহাস-পাঠক--বিশেষ করে যারা বিপ্লববাদী এতিহোর অনুসরণকারী পাঠক-_তাদেরকে করতেই হবে।

লেখক নিজেই বলেছেন “কারে সাধ্য নেই এই মহাভারতের সংগ্রাম পর্বকে যথাসাধ্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন ধার এর ভেতর দিয়ে এসেছেন তাদের পক্ষেও এর গভীরত! ব্যাপকত]। উপল-দ্ধ কর" সম্ভব হয়নি তারপরেও কেউ তা যথাযথ সঙ্কলন করেননি এর মধ্যে থেকে মোটা দাগগুলে! লক্ষ্য করলেই বহু খণ্ডের মহাকাব্য হবে আমি সে চেষ্টা করবোনা একটা ভগ্নাংশ বলে যাই ।” বল! উচিত ছিল, একটা

(৪)

সারাংশ বলে যাই। এটুকু বলতে গিয়েই পীচ'শ পৃষ্ঠা বই হয়ে গেছে, দ্বিতীয় তৃতীয় খণ্ডের প্রয়োজনও উপস্থিত হয়েছে তিনি আরও লিখছেন বলেই শুনছি না লিখলে সত্যিই অসম্পূর্ণ হবে। এই খণ্ডের শেষের দিকট1 এত তাড়াতাড়ি এত সংক্ষেপ করেছেন যে, তাতে পাঠকের পক্ষে এত দ্রুতলয়ের নাটকের শেষ অঙ্কগুলোর তাৎপর্য হৃদয়ঙ্গম কর! সহজ নয়। অবশ্য একথা ঠিক, আপোষকামী রাজনীছির গতির লয় সর্বদাই একপা এগিয়ে দ্ূপা পেছনে চলার জঙ্গ অত্যন্ত মন্দাক্রাস্ত হতে বাধ্য হয়েছিল, কিস্তু শেষ অঙ্কে এই আপোষকামী নেতৃত্বের হাতে নেতৃত্ব কিছুই ছিলনা, ঘটনার মালিক ন] হয়ে শেষ পর্যন্ত উপর্স্ব্যপরি প্রতিকূল ঘটনার আঘাতে আঘাতে জর্জরিত ক্লান্ত ইয়ে পড়েছিল-_একট কলঙ্কজনক পরাজয়কে “জয়-জয়” বলে বিদ্বোধিত করার গৌরব প্রতিষ্ঠা কর! দ্ঃসাধ্য হয়ে পড়ছিল শেষ অঙ্কের এই ঘটনাবলী ত্রতলয় বুঝতে চেষ্টা করলে আজও আমাদের মাথা ঘুরে যায়। যে ভারতে শত শত বছর ধরে তেমন কোন ঘটনাই ছিল নাঁ__ মনে হতো! এই অচলায়তন সমাজে গতিবেগ সৃষ্টি হবে কবে-_-শেষ কালটায় যেন হাজার বছরের বিলম্বিত ঘটন! সমূহ এক একটা রক্তম!খ। দৈত্যের মত আমাদের আছড়ে পিছড়ে দ্বমড়ে দলে যেতে লাগলে! এগুলো বোঝবার জন্য আরও অনেক বইয়ের দরকার, আরও অনেক সত্যসন্ধানী লেখকের দরকার একার পক্ষে, বিশেষ করে, কোন দরিদ্র লেখকের পক্ষে, কান্দ করা সহজ নয়, হয়তো সম্ভবও নয়। আর সকল দিক থেকেই বিষয়টি যেমন দরকারী, তেমনি ইন্টারেফ্টিং

লেখকের একটি প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হলো দেখানো যে, আমাদের দেশের সকল সংগ্রাম বা আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিলো__ গোল টেবিল বৈঠক সংগ্রামটা একটা চাপ সৃষ্টি মাত্র--আসল লক্ষ্য, কবে গোলটেবিলে বসা যাবে ফলে, সংগ্রামট] ' এডাঁনোই যেন সংগ্রামের লক্ষ্য লেখকেরই ভাষায়, “যে-কেন্দ্রীয় আইনসভাকে ওরা বাকৃসর্বস্ব দ্বষ্ট ক্যান্সার মনে করেছিল সেই বৈধ পার্লামেন্টারী পথই তে। সবাংশে সত্য হয়ে উঠলো ভারতীয় জীবনে, সাইমন থেকে কেন, মন্টেগু-চেমসফোর্ড থেকে মাউণ্টব্যাটেন অবধি কোথাও তো এর ছেদ ঘটেনি, সংগ্রাম, আন্দোলন ভারতীয় জীবনে সত্য নয়, সত্য

(৫)

গোলটেবিল বৈঠক 1” ধরণের চার্জ অতীতে আরও অনেকে করেছেন, কিন্তু বর্তমান লেখক যেভাবে এবং যতভাবে এই চার্জ ব। অভিযোগকে অজজ্্র উদাহরণের সাহায্যে উপস্থিত করেছেন তা আজও পর্যস্ত কোন বামপন্থী লেখক এত জোরের সঙ্গে করতে পারেন নি। এর সম্যক উত্তর দিতে অতিবড গান্ধীবাদীকেও হিমসিম খেতে হবে। আর, একথাও তো] সত্য যে, ভারতের স্বাধীনতার আইনট বিলেতের পার্লামেন্টকেই দিতে হয়, আমরা নিজেদের জোরে নিজের! নিজদেশে তা তৈরী করিনি !

আর এই স্বাধীনতা বা পূর্ণ স্বাধীনতা! খণ্ডিত ভারতে কী করে পূপায়িত হতে পারে? পূর্ণ স্বাধীনতা! ব্যাপারটি কেবল একটি ভৌগোলিক ব্যাপার নয়, মানে, দেশ ছোঁট হলেও স্বাধীনতা, বড় হলেও স্বাধীনতা, অখণ্ড ভারতেরও স্বাধীনতা কয়েক খণ্ডে খণ্ডিত ভারতেরও শ্বাধীনতা-__ স্বাধীনতা হলেই হলো।__এই কি পুর্ণ স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য ? খণ্ড কখনো সম্পৃর্ণের সমান হতে পারে-__অথবা সম্পূর্ণের এন্বর্য মহিমা অর্জন করতে পারেঃ স্বাধীনতা তো কেবল কতখানি জমি দখলের লড়াই নয় তার সামাজিক, আত্মিক সাংস্কৃতিক সারবন্ত যদি হারিয়ে যায়, তবে কি অবশিষ্ট মেটিরিয়াল প্রাপ্তিট্ুক আমাদের প্রাণ মন চৈতন্যকে উদ্বৃদ্ধ রাখতে পারে £ তো সীমার মধ্যে অসীমের স্বাদ অনুভব করার মত, খণ্ডের মধ্যে অখণ্ডের স্বাদ পাওয়ার মত ব্যাপার নয় ! ্ট্যা, আমর জনকয়েক এই খণ্ডিত দেশের এপারে ওপারে ক্ষমত1 পেয়েছিলাম বটে, কিন্তু পূর্ণ স্বাধীনতার স্বপ্ন আদর্শ আমাদের চেতনার আকাশে যা কিছু রঙিন চিত্র একদিন উপস্থিত করেছিল--ত1 সব শেষ পর্যস্ত কালোয় কালে! হয়ে গেলো স্বাধীনতা আমাদের মুক্তি না হয়ে নান! সমস্যার জাল হিসেবে আজ আমাদের বেড়ে ধরেছে হ্যা, একথা ঠিক যে, আমাদের হাজারে! বছরের জাতি পাতি, সংস্কার দারিদ্রের বোবা বহন করতে হয়েছিল, একথাও ঠিক, এতবড় একটা দেশের এত সমস্যা-জর্জরিত পরাধীনত] সহসা ফেলে দেওয়ার কাজট! সহজ নয়-_কিস্তু এত বড় বোঝা বইবার শক্তি আমাদের একটাই থাকতে ৩. পারে-সে হলে এক অপরাজেয় আদর্শ বোধ সেই আদর্শ সৃষ্টি করার একমাত্র কাজেই ছিল আমাদের স্থাধীনত! সংগ্রামের কিন্ত যেদিন আমরা এক জাতি নই বলে নিজেদের মেনে নিলাম- সেদিন ভারতীয়,

(৬)

জাতীয়তবাদের মধ্যে সেই আদর্শকে কবর দিয়ে দিলাম। খণ্ডিত ভারত একট! পেলাম বটে-__আমরাও গেলাম, পাকিস্থানীরাঁও পেলো।, কিন্তু একজাতি একপ্রাথ একতার ভারত--ধর্মনিরপেক্ষ মানব-সভ্যতার মিলন ক্ষেত্রের ভারততীথথের আদর্শের বিনিময়ে যা! পেলাম__তাতে আজ মনে হচ্ছে, আমরা কোথায় যেন মূলেই বঞ্চিত হয়েছি। আজ এসব কথাই ভাববার সময় হয়েছে_দ্ুই দেশেই_এখানে পাকিস্থানে।

কলিকাতা পান্নালাল দাশগুপ্ত

৮.৯,৬৯

চি

-08181515 28৮৮1৯ এত ৮151৮) 21156) গভ1৯8215 ঢাল,

78 ৮8218158705 2207 5৪) 81510 2059 58642150৯11 155

| 20185 1৬৫২ 55135) ৬১৪] ৬1116 ৮2148

জর

২৭ আই এ, ত্ আনলক উ্ক- সপ৬৮ ইত উহ পি (রীতি ৮০৬৮৮ ০৪৫০2

দে উত্তেজিত

*

ক্যাসেল ব্যারাকের রেটিংরা 'তলোয়ারে” গুলিবর্ষণের

| | 154211560ৎ 5:115 হত 2৮ 8141052115 ৮52৫৩ ৮1৯১৫ (8৯৪1০

হে অতভীভ স্থা কও !

হিমেল হাওয়ায় থরথর করে কাপছিল পতাকাটা |

থরথর করে কাপছিল আমার দেহটাও-_উত্তেজনায় উদ্দীপনায় স্বাধীনতা সঙ্কল্পের তে-রঙ বাণী; সমুন্নত গৌরবে আকাশের কোলে স্ভজাত স্রেহের পৃত্তলি মুখ ঘষছিল যেন।

না, সত্য, ১৯২৯/৩০-এর সন্ধিক্ষণে শীত উপেক্ষা করে যার! সেই রাতে পতাকাদণ্ডের নিচে দাড়ায়নি, উত্বচক্ষু হয়ে অস্থির চাঞ্চল্য মেই পতাকাকে অভিবাদন করেনি,তার! আমার এই তীব্র অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারবে না। আমার আশেপাশে চারিদিকে আসাম, বিহার) উড়িস্তা। যুক্তপ্রদেশ; পাঞ্জাব, মিন্ধু, বোম্বাই, মধ্য- প্রদেশ, মাদ্রাজ_সমগ্র ভারতের জীবন্ত মানচিত্র প্রসারিত, সব- প্রাণে একাকার ভারতমাতা ; সবার মুখে এক সঙ্কল্লবাক্য-_ স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বাধীনতা, এক্যবদ্ধ বিদ্রোহদীপ্ত এক বাণী__ বন্দেমাতরম্‌

মুখেও বলিরেখা পড়েছে অনেক, এমনিতে চোখের জ্যোতি নিশ্রভ, মাঝে মাঝে ম্নানিমা ভেদ করে দপদপ্‌ করে জলে ওঠে যেন, পাওুর মুখে সহসা! রক্ত-বন্তা !

কত বয়স হবে? ষাটের নিচে নয়, সত্তরও হতে পারে। জীর্ণ এই কুটিরে একখানা! তক্তপোষের ওপর বিশৃঙ্খল অসংখ্য পুরোনো বইয়ের মাঝে একটুকু শোবার জায়গা, বসবার জায়গা, পড়বার লেখবারও জায়গা ঘরের কোণে একটা হ্যারিকেন, আল্গা! উন্নুন আর রান্নার আনুষজিক মরগাম। কে কি করেদিয়ে যায় অথব এখনও স্বপাক স্বাবলম্বী কি না! প্রশ্ন করতে কু জাগে আর এক কোণে কিছু আবর্জনার মধ্যে একটা চরকার আভা পাওয়া যায়,

১৪

নিঃসংশয়ে অব্যবহৃত ; কিন্তু গায়ে এখনও ধদ্দর- ছেঁড়া; পরনেও অমনি মোটা কিছু মালিন্যে ঠাওর করা কঠিন; খালি পা-জোড়া চৈত্রের নীরম আঙিনার মত ফাটা জীবনকে সুন্দর করবেন বলে যিনি সুন্দর জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, জীবনে তার এত বীতস্পৃহা ; যা-কিছু আসক্তি এক রাশি বইয়েই।

একটু থেমে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন £

লাজপৎ রায় নগরের রাতটি আর কখনো! ফিরবে না, রাত বারোটা ; ২৯-এর বারোটার কাটা গড়িয়ে এল ১৯৩০-এ ; কোথাও নুষুপ্তির লেশমাত্র নেই ; গোটা লাজপৎ রায় নগরটাই জেগে! হা, লাজপং রায় নগর ; আজকের ভারতের মানচিত্রে এই নগরকে খুঁজতে যেও না যেন; পৃথিবীর মানচিত্রেও এর কোন অস্তিত্ব নেই পররাষ্ট্র, বিদেশী রাষ্ট্র বৈরী রাষ্ট্রেরে নামী শহর লাহোর, লাহোরেরই কোলে পাঞ্জাব-কেশরী লাল! লাজপৎ রায়ের সদ্য প্রাণ- দানের স্মৃতিতে গড়া হয়েছিল অখণ্ড ভারতের লাজপৎ রায় নগর ; সারা ভারত ছোট্র সংক্ষিপ্ত হয়ে এখানে কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনে সমবেত হবে বলে। প্রাণপাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষের আপোষ নয়, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস নয়, পূর্ণ স্বাধীনতার চূড়ান্ত শপথ নেবেন। একটু আগে নিলেন, তারই পতাক1 উঠল এইমাত্র ঝাণ্ডা- চকে উড্ডীন ত্রিবর্ণরঞ্ধিত স্বাধীনতার পতাক]।

হ্যা, এইজন্যই তো! লাজপং রায় সাইমন কমিশনের সামনে প্রতিরোধের বুক পেতে দিয়েছিলেন, চাই না, ফিরে যাও। সেই বুকে এসে পড়েছিল ইংরেজ রাজপুরুষ সপ্তার্পের লাঠি। নেতা! লাজপং রায় ছিলেন প্রতিরোধী জনতার পুরোভাগেই একটু পিছিয়ে যাবে, সত্য ? শোনে তবে বলি।

১৯২৭-এর নবেম্বরে বৃটিশ সরকার স্থির করলেন ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র কি হবে তা নির্ধারণের জন্য স্তার জন সাইমনের নেতৃত্বে এক কমিশন নিয়োগ করা হবে। ভারতের ভবিষ্যৎ এই ভাগ্য- নির্য়ে কোনে। ভারতীয়কে ভাক। হল না; কমিশনে স্থান থাকল ন!

কোনো ভারতীয়েরই | উপরন্ত ভারত-সচিব লর্ড বার্কেনহেভ চ্যালেঞ্জ করলেন, করুক দেখি ভারতীয়রা সর্বসম্মত একটি সংবিধান ভারতীয়ের! চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মতিলাল নেহরুর নেতৃত্বে স্বায়ত্ত শাসনতন্ত্রের একটি সংবিধান রচনাও করলেন ১৯২৮-এ।

থামলেন ব্বল্পচুলের মাথায় হাতটা! গীড়ন করে নামিয়ে আনলেন কপালে নাকের ডগায়, মুখে হাতটাকে ছড়িয়ে দিয়ে বললেন, ভারতীয় রাজনীতি চিরটাকাল রান্গ্রস্ত হয়ে আছে, তাই একদল মুসলমান যৌথ নির্বাচনে অসম্মতি প্রকাশ করতেই বিলেতের সরকার এই «ভারতীয় সংবিধানে” কর্ণপাতও করলেন না। পাঠালেন সাইমন কমিশন কংগ্রেস সিদ্ধান্ত করল পূর্ণ অসহযোগিতার, বিরূপ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সাইমন কমিশন ১৯২৮-এর ফেব্রুয়ারী মাসে এেলে সারা ভারত হরতাল পালন করল। পাঞ্জাবে বিক্ষোভ প্রকাশের সময় যে লাঠি এসে পড়ল লাজপৎ রায়ের বুকে তাই হল মর্মান্তিক ১৯২৮-এর ১৭ই নবেশ্বর তিনি দেশমাতৃকার বেদীমূলে দেহরক্ষা করলেন।

হঠাৎ প্রদীপ্ত হয়ে উঠলেন, একটু জোর দিয়ে বললেন £ কিন্ত এর জন্য সপ্ডার্সকেও চরম মূল্য দিতে হল। একমাস না৷ যেতেই বিকেল চারটেয় প্রকাশ্য রাজপথে সগ্তার্সকে গুলী করে হত্যা করল হিন্দুস্থান রিপাবলিকান আগ্নির যুবকের1 | হিংসাশ্রম্নী গুপ্তদল ; তাদের সঙ্গে অহিংস গান্ধীপন্থী আমাদের মিল ছিল না। কিন্ত আজ তোমার কাছে অকপটে স্বীকার করব, সত্য, সেদিনও খুশি হয়েছিলাম

কেমন একটু বিব্রত লজ্জায় হাসলেন। আস্তে আস্তে সলঙ্জ মুখ তুলে বললেন, শহীদ লালার নামেই আজকের পাকিস্থানের লহোরে একটা রাজনৈতিক শহর গড়ে উঠেছিল এবং তাকে ছেয়ে ফেলেছিল গোয়েন্দারাও। বৃটিশ সরকার জানতেন, দেশের জাগ্রত যৌবনের যে মেজাজ তাতে তার। এবার আর চরম শপথের কমে সন্ত হবে না! কিছুতেই

৯৩

এই মেজাজের লক্গণগুলে! পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল শুধু ১৯২৯-এ-ই নয়, তারও আগে থেকে, এবং ১৯২৮-এ তো বটেই ; তখন থেকেই তাদের কে কণ্ঠে ভর করেছে পূর্ণ স্বাধীনতার কঠিন সন্কল্প | একেবারে নির্ভেজাল বৃটিশ অধীনতা মুক্ত, বৃটিশ-প্রভাব-বিরহিত নি:শর্ত স্বায়ত্ত পূর্ণ স্বাধীনতা॥ চাই, এবং এখনই চাই।

বুটিশ শক্তির একমাত্র ভরসা ছিল অহিংদ আপোষকামী মোহন- দাস করমাদ গান্ধী তিনি ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রত্যাশায় বসেছিলেন বিদায়ী ১৯২৯-এর ৩১শে ডিসেম্বরের রাত বারোট। অবধি। বিশ্বাস ছিল অপরিসীম ; আমাদের মধ্যেও সে বিশ্বাস সংক্রামিত, অন্ুরণিত। ১৯২৮-এ কলকাতার কংগ্রেসে এক বছরের নোটিশ চেয়েছিলেন তিনি; সুভাষচন্দ্র চেয়েছিলেন পূর্ণ স্বাধীনতা | বিজ্ঞজনদের কাছে হেরে গ্রেছলেন। সেদ্দিনকার অন্য এক যৌবন- মুখপাত্র পণ্ডিত জওহরলাল নেহ-ুও সামিল হয়েছিলেন বিজ্ঞজন- দলে। পিত৷ ছিলেন কংগ্রেস অধিবেশনের, সুতরাং কংগ্রেসেরই প্রেসিডেণ্ট আমরা-_-আমি ছিলাম তাদেরই অনুগামী স্ুভাষের যৌবনাভিযানকে ভ্রান্ত গণ্য করেছি, উৎসাহের আতিশয্য ভেবেছি

স্তরাং সংখ্যাভারে কলকাতা কংগ্রেসে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রস্তাবই গৃহীত হয়েছিল গান্ধীজী কী জয়। বিশ্বাস ছিল এই এক বছরে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস আসবেই, ইংরেজের স্মৃতি বা! মনের পরিবর্তন হবেই।

পুরো ২৯ হীস্টাব্দটা গড়িয়ে গেল, ১৯৩০-ও ছুয়ে এগোলো। এল না তো অপরিমেয় বিশ্বাসের সুধাপাত্র ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস

রাত বারোটার কাটা দাড়িয়ে যেতেই কংগ্রেসের সেই বিরাট চন্দ্রাতপতলে আমাদের ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুর চুর হয়ে গেল। জাগল আর এক স্বপ্ন, নতুন এক স্থ্যঃ ব্ছ আশায় লালিত পূর্ণ স্বাধীনতার | গান্ধীজীই প্রস্তাবটি তুললেন। কিন্তু ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস স্বপ্নভঙ্গের খেদ ছিল তাতে

প্রস্তাব তুলে গান্ধীজী বক্তৃতা দিয়েছিলেন হিন্দীতে; সমর্থন

১৪

করেছিলেন মতিলাল নেহংরু, বক্তৃতা দিয়েছিলেন উরুতে; কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাবের একটি তূলেছিলেন সুভাষচন্দ্র; বক্তৃতা দিয়েছিলেন ইংরেজিতে | মতপার্থক্য শুধু লক্ষ্যাদর্শে নয়, ভাষাতেও প্রকট হয়ে উঠেছিল

এবারেও গান্ধীজী কী জয় এবং স্ুভাষচন্দ্রের পরাজয় | জয়ী বিজ্ঞজনদলে এবারও জওহরলাল নেহরু সামিল ছিলেন, আমরা; আমিও।

আরো ছুটি উল্লেখযোগ্য সংশোধনী ছিল। একটি পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের, আর একটি ভাঃ আলমের

পণ্ডিত মালব্য চেয়েছিলেন ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রত্যাশায় আরও কিছুকাল অতিবাহিত করা যাক- অন্তত এপ্রিল অবধি, তদ্দিন থাক প্রস্তাবটি মুলতবী। কিন্তু কংগ্রেস অধিবেশনে উপস্থিত সারা ভারতের শপথবদ্ধ মানুষের মনে মনে এমনি বিপরীত জোয়ার যে, প্রস্তাব তুচ্ছ তৃণের মত ভেসে গেল

কিন্ত ডাঃ আলমের সংশোধনীর মুখে গ্ান্ধীজীও ভেসে গ্েছলেন আর কি, একটু হলে; ভাঃ আলমের পক্ষে মত এমনি প্রবল ছিল। বিষয় নির্বাচনী সভায় তো ব্যবধান মাত্র এক ভোটের, ১১৩ আর ১১৪। প্রকাশ্য অধিবেশনে অবিশ্ঠি ব্যবধান কিছু বেশি, কিন্ত তাও ধর গিয়ে ৬৩৪-_৭৬৩। সেদিনকার মেজাজের কথা বলছিলাম না? তা হচ্ছে এই সেদিনও যাদের বল! হত জিঞ্জার গ্রপ, আর আজ বল হয় ইয়ং টার্কস, তাদের প্রাধান্য ছিল সেদিন অনুভব করার মত। আজ ধারা বামপন্থী_- কম্যুনিস্ট, সোশ্যালিস্ট, কি ফরোয়া্ড-_তারা একাকার, স্বাতস্ত্র্যে যুথবদ্ধ নয়, কিন্তু উচ্চারণে স্পষ্ট

সসঙ্কোচে জিজ্ঞেন করলাম, ডাঃ আলমের প্রস্তাবট। কি ছিল তা বললেন না।

বলিনি? ও। ডাঃ আলমের সংশোধনী ছিল স্বাধীনতা- প্রস্তাবের যে অংশে বড়লাটের প্রচেষ্টার প্রশস্তি আছে তা বাদ দেওয়। হোক ; অর্থাৎ কথা কটি £

১৫

58100 80090189695 6109 610৮8 01 609 109:05 6081:09 610, 89661070020 01 616 05610128] 10005006108 8100. 10: 9919].9

পুরে! অনুচ্ছেদট! কি ছিল? বলতে পারব ভুলিনি একেবারেই স্মৃতিশক্তি হূর্বল হয়ে আসছে, কিন্তু কথ! কটি ঠিক মনে আছে। ওতে ছিল £

[0018 0010£1993 800.07899 606 89100 01 06 ভ012106, 00101016699 17] 00010806101] 161) 0118 106/01969860 81060. 10 [%1৮ড 189,008 11001001716 0020£:95810060 011 0119 ড10019891 81010010061)6106 01 6128 9186 090601091 7918,61106 60 71002010107. 869608.7

আর আগের অংশটুকু

বলতে চেষ্টা করলাম £ স্ুভাষচন্দ্রের:*"

তিনি আমার কথ! গ্রাহা না! করেই বললেন, স্থভাষচন্দ্র ষে' সংশোধনী প্রস্তাব তুলেছিলেন তার দৈর্ঘ্য কিছু বড়। গান্ধীজী তো সেটিকে একটি আলাদ। পুরো প্রস্তাব বলে অভিহিত করেছিলেন। আমরাও তাই মনে করেছি। ১৯২৮-এ সুভাষচন্দ্র চেয়েছিলেন: পূর্ণ স্বাধীনতা; এবার এক ধাপ এগিয়ে স্বাধীনতার প্রস্তাবমাত্র নয়, একট। পান্টা সরকার প্রতিষ্ঠার কার্ধকর ব্যবস্থাও সমর্থক ছিলেন অনেকেই, কিন্ত আমর! গান্ধীপক্ষ ছিলাম প্রবলতর। ভোটের দাবি ওঠেনি। অর্থাৎ ১৯২৮-এর পুনরাবৃত্তি হল ১৯২৯/৩০-এ। কংগ্রেস অবিশ্যি এক ধাপ এগোলো।

আবার হাতট! মুখের ওপর ছড়িয়ে দিলেন সেই রকম করে; আন্গুল ক'টির ফাকে ফাকে মানুষটির জলজ্বলে ছুট্রি চোখ আমার দিকে কিছুকাল ণিবদ্ধ থাকল,কি দেখলেন কে জানে? তারপর হাত নামালেন এবং চোখ জোড়াও নামিয়ে বললেন;

আজ তোমার কাছে স্বীকার করব, সত্য।_যিও স্বীকারে কারে। পক্ষেই কোনে! লাভ নেই, কেননা, লোকসান ঘা হয়েছে তা অপুরণীয়। তবু অকপটে বলে যাব, একে তুমি (5508 56862106176 বলেও নিতে পার ষে, কংগ্রেস অথবা ভারতীয় রাজনীতিতে আমরা

১৬

স্থবভাষচন্দ্রকে সব সময় যথাবথ বুঝতে পারিনি; ১৯২৮-এ যখন পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব তুললেন তখনও নয়, ১৯২৯/৩০-এ স্বাধীনতা প্রস্তাবেরও অতিরিক্ত পাণ্টা-সরকারের কথা যখন বললেন তখনও নয়। আমর? আমাদের পরিচালকদের ছকে বাধা মন নিয়ে বুঝে- ছিলাম ১৯২৮-এ পূর্ণ স্বাধীনতা চাওয়ার যোগ্যতা আমাদের হয়নি ; ১৯২৯/৩০-এ পাণ্টা সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও মনে হয়েছে হাস্তকর, ছেলেমানুষি কিন্তু তখন বুঝিনি ধারা শেষ পর্যস্ত একটা স্বাধীনতা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হলেন তারা স্বাধীনতার প্রস্তাবটাকে বার্গেন, কাউন্টারে একট! থেটনিং হিসেবেই ঝুলিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন এই বলে যে, শাসক ইংরেজ নিদেন ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের আলোচনায় বসতে রাজি হবে। আগাগোড়া আমি এদের সঙ্গেই থেকেছি এবং এত কাছে থেকেছি বলে কোন কিছুই হয়তো দেখতে পাইনি, কিন্ত আজ আমার কাছে কথাটি স্পষ্ট যে; ১৯২৯/৩০-এ স্বাধীনতা প্রস্তাব গৃহীত হলেও আমাদের নেতার! বার বার ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের খাদেই পদস্থলিত হয়েছেন, অনিচ্ছায় নয়, ন্বেচ্ছায়, অচেতন অজ্ঞানতায় নয়, সজ্ঞান চেতনায় ; স্বাধীনতার প্রস্তাবে অবিচল থাকলে; একথা তোমায় বলতে পরি, সত্য, এত বৈঠকের লেবিরিস্থ স্থ্টি হ'ত না) জট পাকিয়ে পাকিয়ে শেষটায় ছুই হাতে সাম্প্রদায়িকতার করাতে কেটে একটা বৈরী রাষ্ট্রের জন্মও দিতাম না। স্বাধীনতার প্রস্তাব আন্তরিক হলে আমরা আজ যে জায়গায় পৌছেছি, সেখানে পৌছোতাম? ইচ্ছাকৃত শক্ররাষ্ট্র স্গ্রির খেসারত দিতে দিতে আমার দরিদ্র স্বদেশের সামগ্রিক কল্যাণ যে ন্ুদূরপরাহত হয়ে চলেছে, বৌধ হয়েছে খন আমার, তখন আর কিছু করবার নেই

একটু কাৎহয়ে বালিশের ওপর হাত, তার ওপর মাথাটা রাখলেন; বোধ হয় একটু ক্লাস্ত হয়ে পড়েছিলেন | কিন্তু ্ষণকাল মাত্র, আবার ধড়মড়িয়ে উঠে বললেন, একটু দেই সলজ্জ হাসি মুক্ত করে বললেন? ভাবাবেগে চালিত হয়েছিলাম, কিছু মনে কোরে না,সত্য, আজ আমার এই আবেগটুকু ছাড়া কিচ্ছু নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর ইতিহাসে ভাবাবেগের

স্বাধীনতা-_-২ ১৭,

স্থান নেই। আমি সেই নির্দয় ইতিবৃত্ত তোমায় বলে যাব, আমার ব্যক্তিসত্তা তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যদি সেই মুমূরুণ সত্তাটি শিবাঁষ তুজঙ্গের মত মাঝে মাঝে আসক্কালন করে, ক্ষমা কোরে

কিন্তু সত্য এই যে, ন্বাধানতা প্রস্তাবের ঘাথাণ্য প্রমাণিত হতে পারত পাণ্টা-সরকারের রূপায়ণ চেষ্টাযই। এখন অবেলায় বুঝতে পারছি, আমাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপের একটা পা আগে ছিল স্থভাষচন্দ্রের। কিন্তু সেদিন আমাদের শ্রদ্ধের নেতাদের প্রতিপদে সন্দেহ করার জন্য সুভাষচন্দ্রকে ভাল চোখে দেখিনি

একটু হেসে বললেন, তুমি নিশ্চয়ই বলবে, নৈরাশ্যের কথা, হতাশার কথা। হ্যা, নৈরাশ্টের হতাশার কথা, কিন্তু কেন? ভারতের ১৯১৮) ১৯২৯১ ১৯৩*-এর ব্যক্তিনিরপেক্ষ রাজনৈতিক গতি- প্রকৃতির তথ্যগুলো তোমায় বলে যাই, তখন আমার অপরাধ নিয় কোরো |

১৯২৮-এ-ই ভারতবর্ষ বিদ্রোহের মুখে এসে পড়েছিল; তখন স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ করলে নেতার! ব্যক্তিনিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনাকেই বাজ্ময় ক্রিয়াময় করে তুলতে পারতেন; অথচ এক বছর পর ১৯২৯-এর শেষ রাত বারোটায় যখন তা করতে বাধ্য হলেন তখন বাস্তব ঘটনাক্রম অনেকখানি এগিয়ে গেছে ১৯৩০-এ কেবল বিরাট ব্যাপক লবণ-আইন অমান্যের আন্দোলন নয়, এর আগে-পরে জাতীয় আকুতির যে বিক্ষিপ্ত অনিরুদ্ধ হিংস-অহিংস বিদ্রোহের অভিব্যক্তি ঘটেছিল ভারতবর্ষে, কোনো অভ্যু্থানের সঙ্গেই তার তুলনা হয় না। ১৯৩০একক, অনন্য, অসাধারণ ১৯২১-এর অলহ- যোগ্ন আন্দোলনে যে সাম্প্রদায়িকতার পেছনফেরা ধর্মান্বতার কলুষ এসে মিশেছিল, ১৯৩০ তা থেকে বিমুক্ত। আজ পেছনদিকে তাকিয়ে দেখছি, সেদিন স্বাধীনতা! প্রস্তাব গ্রহণে যে অবিস্মরণীয় উদ্দামতা বোধ করেছি তা৷ সেকালের সর্বজনীন মানসিকতারই প্রতিধ্বনিমাত্র, সমগ্র জাতীয় সত্তার জাগ্রত চেতনার কাছে তা কত সামান্ত। স্বাধীনতা প্রস্তাব কাগ্রজে-কলমে গ্রহণ করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না,

৯চে

থাকলে তেজ বাহাছুর সপ্রঃ প্রমুখদের হাতেই দেশের নেতৃত্ব নিরাপদ থকত। কংগ্রেসও তা যখন গ্রহণ করল তখন তা গোটা দেশের প্রাগ্রসর মনে গৃহীত হয়েইছিল। গান্ধীজীর প্রস্তাবের মধ্যেও সেই অপরিহার্যত৷ স্থপরিস্ফুট। তার প্রস্তাবটির বয়ান ছিল ?

প[0018 001061953১ 61161910019, 10. 100909,009 01 6108 193010610 109,5890. ৪6 165 989৪1010 ৪0 08100668, 1956 চ987" 09018,98 01726 0109 ০৭, 19878], 110 01916 1:01 6109 00108199৪ 00709618- 0101) 91081] 168,10 09010701966 11009109100.01009******

নিতান্ত বাধ্য হয়েই অথবা ঘটনার চাপে পড়ে, কংগ্রেসকে প্রাণময় করে রাখতে স্বরাজের সদর্থ সরলার্থ করা হল। একটা ধোয়াটে রহস্তময় হিং টিং ছটের নিগৃঢ়ার্থট আলোকে এল। উপায়াস্তর যে ছিল না, তা অমৃতবাজার পত্রিকার মত নিতান্ত নঅপন্থী সংবাদপত্রও সম্পাদকীয় মন্তব্যে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন পত্রিক! লিখেছিলেন :

“6 500909100.0009 7১৪৪০1০:00,9 ০0]৭ 17959 09610. 10%,8990. 269 0: আ60096 0%00171,%

এর ভূমিকায় যা বলেছিলেন তা তর্জমা করলে মর্ার্থ এই দাড়ায় যে, কখনো কখনে৷ নেতার! চালনা! করেন বটে কিন্তু প্রায়ই চালিত হন। কোন কোন সময় নেতার। খানিকটা চালন। করেন, বেশির ভাগ চালিত হন। স্বাধীনতা প্রস্তাব সম্পর্কে মহাত্মা! গান্ধী বিতর্কের যে জবাব দিয়েছেন ত৷ পড়ে আমর। এই উপসংহারই করতে বাধ্য হচ্ছি যে, অন্তত ব্যাপারে তিনি খানিকট। চালনা করেছেন বটে, কিন্তু বেশির ভাগটাই অধিকাংশ কংগ্রেসসেবী যুবআন্দোলনের অভিমত প্রতিফলিত করেছেন এমন কখনে। কখনো ঘটে যখন শেতাকে হয় নেতৃত্ব ত্যাগ করতে হয়ঃ নতুবা অপরের বিশ্বাসের সঙ্গে নিজের বিশ্বাসকে মানিয়ে নিতে হয় গেল বছর কলকাতা কংগ্রেসে মহাত্ম। গান্ধী ভারতকে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস পাইয়ে !দেবার জন্য হু'বছর সময় চেয়েছিলেন শেষে আপোষ হিসেবে !এক বছর সময়ে রাজি হয়েছিলেন। অবশ্য বলেছিলেন, লক্ষ্যসিদ্ধির জন্য

১৯

সময় বড় কম। লাহোর কংগ্রেসেও এই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন। তবু তিনি অবস্থাগতিকে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস পাবার প্রয়াসে অবসান ঘটিয়ে এবার ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণ! করতে বাধ্য: হলেন-_এইসব কথা লিখেছিলেন পত্রিকা ১৯৩০-এর জানুয়ারী

কেন, কি এমন ঘটেছিল ১৯৩০-এ ? ১৯৩০ তো! সবে শুরু | সবে' ১৯২৯-এর গর্ভ থেকে বেরোলো এবং ১৯২৯-ও ১৯২৮-এর গর্ভেই সঞ্চারিত হয়েছিল..."

বেপরোয়। হয়ে বললাম, মাপ করবেন, স্ুভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাব থেকে কিন্ত আমরা--**"

আমায় বাধা দিও না, সত্য, ইতিহাসকে আমি বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে পারিনেঃ ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ অবধি কেন এই দ্বন্ব চলে এসেছে, কেন একজন ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস চাইছেন আর একজন তার প্রতি- বাদী হচ্ছেন, কেন একজন পূর্ণস্বাধীনতা চাইছেন, আর একজন তার প্রতিবাদী হচ্ছেন, কেন একজন পাণ্টা-সরকার চাইছেন আর এক- জন তার প্রতিবাদী হচ্ছেন; কেন একজন আন্দোলনের ওপর জোর. দিচ্ছেন, আর একজন অহিংসার ওপর জোর দিচ্ছেন, কেনই বা বাংল! পাঞ্জাবে ছুটি বিপরীত ধারার দ্বন্ব চলছে এবং কেনই ব! দ্াক্ষিণাত্যে হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, ঘটনাক্রম ন৷ দেখলে তো৷ বোঝ] যাবে ন। ; বোঝ। যাবে না, কেন দাক্ষিণাত্য থেকেই দেশবিভাগের সমর্থন এসেছে, বাংল! পাঞ্জাবের বেদন। কেন দ্ক্ষিণকে কখনে। স্পর্শ করেনি | আমায় বাধ! দিও না, আমি ১৯৩০-এ. আসতেই, ১৯৩০কে বুঝতেই, কয়েক পা পিছিয়ে যেতে চাই ।' সুভাষচন্দ্র এবং গান্ধীজীর মতবিরোধ কি ব্যক্তিগত ? বাংল। অবশিষ্ট, ভারতের যে পথ-পার্থক্য সে কি নিছক প্রদেশগত ? অথবা বাংলা- বিহার-উত্তরপ্রদেশ-পাঞ্জাব দাক্ষিণাত্যের দৃষ্টি-পার্থক্য কি শুধুই অঞ্চলগত অথবা ভাষাগত ? এই বিরোধগুলে! বুঝতে হলে কি করেই ব। সমন্বয় হয়, বৈচিত্র্যে এঁক্য ঘটে, আবার এঁক্যে কাটল দেখা! দেয়, বাংলা-পাপ্জাবের অথবা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ কিংবা,

'সিন্ধুর বেদনা! কেন অন্যান্ত অঞ্চলকে চঞ্চল করে নাঃ তা বুঝতে হবে। তবেই বোঝা যাবে ১৯৩০-এর অথণ্ড ভারতের স্বাধীনতার সঙ্থল্প কেন ১৯৪৭-এর স্বাধীনতার খণ্ড ভারত বৈরী রাষ্ট্রের পত্তনিতে পর্যবদিত হল। যথেষ্ট মিথ্যাচরণ হয়েছে, বহু ছুক্ছেয্ তত্বের কথা- মাল! গাঁথ! হয়েছে, মাথায় ছাই পড়েছে অনেক মহাপুরুষের, অনেক বেদীমঞ্চে এখনও পুষ্পমাল্যস্তবকের সমারোহ ঘটে, আর নয়, দলিল- দস্তাবেজ থেকে এবার কিছু নিষ্ঠুর নগ্ন ইতিহাসের প্রামাণ্য ঘটনাক্রম উদগীত হোক, বাধা দিও না।

সম্ভবত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কাত হয়ে হাতের ওপর রাখলেন মাথাটা চোখ বুজলেন। আফশোষ হতে লাগল। বাধা দিয়ে কোথাও আঘাত করে ফেলেছি ওর পক্ষে বোধ হয় তা ছুঃসহ হয়ে পড়েছে।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম আরও খানিকটা অপেক্ষা করব কি না ভাবছিলাম এদ্িককার চোখের কোণটায় কি যেন চক্চক্‌ করছে। শুকনো জল?

অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে উঠলাম; তক্তপোষ ভর্তি এগুলে। কি তবে ওঁর সংগৃহীত দলিল-দস্তাবেজ, নগ্ন-নিষ্ঠুর ব্যক্তিমুখ না-চাওয়। ইতিহাস উদঘাটনের ? টিপে টিপে য। সেদিনও মাউণ্টব্যাটেন কৃপণের মত ছাড়লেন ?

সতর্কতার সঙ্গেই কুটির থেকে বেরিয়ে এলাম |

পরদিন যেতেই বললেন,বয়স হলে স্বাস্থ্য যায়, কিন্ত আবেগ ধায় না| যৌবনে সংঘমও বেশি থাকে, আবেগকে সংঘমে নির্বাক নিক্ষির করে রাখা যায়। কিন্তু বয়সে? কাল যখন তুমি চলে যাও তখন আমি যে জানিনে, তা নয়, কিন্তু বাধা -দিইনি। একটু লঙ্জ। করছিল। অথচ দেখ, দেশপ্রেমটা একটা গ্রভীর অব্যক্ত আবেগ ছাড়া কিছু নয়, সামান্যও নয় ১৯২৮-এর যুবশক্তির মধ্যে আমি তাই প্রত্যক্ষ করেছি।

হও

৯৯২৮-এব্লীজন্নৈতিক্ক মন্থন

১৯২৮-এ ভারতের যুবশক্তি অস্থির গান্ধীবাদী, কিন্তু বাংলা- দেশের নাড়ীর সঙ্গে আমার যোগ ; সার! ভারতের কলাণে শান্তিতে অস্বীকার করতে চেয়েছি এর বিদ্রোহী চিত্ত, অমঙ্গল গণা করেছি। কিন্ত লক্ষ্য না করে উপায় নেই চারদিকে যুবশক্তি অস্থির ; তাই স্পর্শ করেছিল বর্ষীয়ান পাঞ্জাব-কেশরীকেও ; স্পর্শ করেছিল অভিজাত মতিলাল নেহ-রুর পুত্র জওহরলালকেও। হ্যারোতেও ভেদ করেছিল ইউরোপের সেকালের সমাজবাদ ; এগারে। বছর আগে বলশেভিক বিপ্লব ঘটে গেছে জারের রাশিয়ায় এবং ইউরোপ নিয়ে- ছিল মার্সবাদের সহজপাঠ, বার্নস্টিন অথবা কাউট্ক্কি__সংশোধিত অথবা খাঁটি। কিন্তু পুরোনো সামন্ত-চিস্তা নয় কিছুতেই ভারতেও সেই ঢেউ-_কেতাবী শিক্ষার পরিমাপে মঞ্চারিত।

এবং সেখানে, আমি তোমায় বলছি, সত্য, হিংসা-অহিংসার একটা অস্পষ্ট অনির্দিষ্ট সীমারেখার বন্ধন ছিল না! ১৯২১-এ গান্ধী এথিক্‌সে বিশ্বাসী অনুগামী আমি; চারদিককার বলিদানের আব- হাওয়ায় বাংলা-পাঞ্জাবের মৃতি দেখে মাঝে মাঝে জীৎকে উঠতাম,, চোখ বুজতাম, অকল্যাণের বলি বলে ওদের নিন্বাও করতাম, কিন্ত অন্তরেরও অভ্যন্তরে ওদের দেশপ্রেমকে অস্বীকার করার কোনে। যুক্তি পেতাম না। নতুন-পাওয়া বিশ্বাে আরও জোরে চরকাট।! আকড়ে ধরতাম ঠিকই, কিন্ত ওদের নির্ভয় আত্মোৎসর্গকৈ ছোট করবার মত ছোট হতে পারিনি কোনদিন আমরা তো! প্রতি পদক্ষেপে হিংসা! অকল্যাণকে বিচার করে করে এগিয়েছি) অহঙ্কার করে বলেছি হ্যায় সত্য অহিংসার রাজতোরণ দিয়ে আনব স্বাধীনতা, কিন্তু মাউণ্টব্যাটেন জিন্নার পায়ের তলায় সবই কি. অন্যায়, অসত)) অকল্যাণ হিংসায় এসে শেষ হয়নি ?

কহ

স্বীকার করি; সেকালে শনিবারের চিঠি যখন ১৯২৮-এর স্ভাষ- চন্দ্রকে ব্যঙ্গ করে গকৃ' (2.0. ০.) কারন ছেপেছিল, কলকাত। অধিবেশনের সমারোহকে সাকণাসের সঙ্গে তুলনা করে কারও এক মন্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তা উপভোগও করেছিলাম ; কিন্তু ১৯২৮-এ মতিলাল নেহ-ুকে মিছিল অভ্যর্থন। জানাবার জন্য অধীর বাংলার চিন্ময় মৃত্তিও তো কোনদিন মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনি | তুমি আমার চোখে বার্ধক্যের ছানিটা দেখো! না, সত্য। সে ছবিটা আজও আমার চোখের সামনে ভাসছে হাওড়। স্টেশন থেকে পার্ক সাকাস পর্যন্ত দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় দেখেছি বাংলার যুবশক্তিকে কুচকাওয়াজ করে যেতে | হ্যা, এই সর্বপ্রথম তরুণীদের সারিবদ্ধ মিছিল, উছলে উপচে পড়ছে শৃঙ্খলপীড়িত দর্শক নরন।রী, খোল! গাড়িতে মতিলাল নেহ-ু, যুববাহিনীর পুরোভাগে সামরিক পোশাক-পরিহিত জেনারেল অফিসার কম্যাণ্ডিং সুভাষচন্দ্র পূর্ণ সামরিক ভঙ্গিতে কংগ্রেদ সভাপতির রাজকীয় সম্বর্ধনা; দেশ সংগ্রামে প্রস্তত | বলিদানে অকুণ্ঠিত বাংলার মায়ের!

ইতিহাসের এক অনস্বীকার্য সত্য হ'ল ১৯২৮-এর কংগ্রেসমগ্ডপে স্বাধীনতার প্রস্তাব প্রতাখ্যান। প্রবীণের জয়লাভ করলেন, কিন্ত ইতিহাসে এ-ও এক অলিপিবদ্ধ সত্য যে, গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ল স্বাধীনতার বাণী এবং আগামী সংগ্রামের মহড়া যার! এখানে নকল মেজর, কর্নেল, ক্যাপ্টেন ভলাট্টিয়ার হয়েছিল তারাই শহরে শহরে এবং শহর থেকে দূরে আসল হয়ে উঠতে লাগল। ইতিহাসে লেখ! নেই, কিন্তু এই নতুন তড়িতপ্রবাহ সঞ্চারে ম্যাজিক ল্যান্টার্ন ম্যাজিকের মতই কাজ করেছিল এ-ও বাংলাদেশের এক বিশেষ ভঙ্গি। ১৯২৮-২৯-এ তড়িতালোকবিহীন মফংম্বলের গাঢ় অন্ধকারে ম্যাজিক ল্যান্টার্ন থেকে সামান্য গ্যাস আলোর ছোট্র ফোকাস পড়েছে পর্দায়। আর তাতেই ফুটে উঠেছে শাসন শোষণের কথা, পরাধীনতার তীব্র দহনের কথা, শপথধে জ্বলছে মৃক মানুষগুলোর চোখ তোমাদের যুগে হয়তো প্লেষের বস্তু; ১৯২৮-এ

৮৬১,

ছিল হৃদয়ের সত্য। ছোট ছোট সভায় খণ্ড খণ্ড অগ্নিদাহ। অখণ্ড বৈশ্বানরের ভ্রুণ স্ষ্টি।

১৯২৮-এর কংগ্রেস-মণ্তপে সুভাষচন্দ্রের স্বাধীনতা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ; জানো, সত্য, পার্ক সার্কাস ময়দানের কংগ্রেস চত্বরেই বাংলার পালোয়ান গ্রোবরও বিশ্রীরকমে হেরে গেছলেন ? কিন্তু বাংলার অন্তর পরাজয় মানেনি; স্বরাজী রথাগমনের ঘরঘরে সন্কেত- ময় চরক1 আমাদের কঠোর কজায় এসে গেছল। গ্ান্ধী-পথামুসারী আমাদের আধিপত্য ছিল কিন্তু শহর বন্দর গ্রামে গোপন ব্যায়ামের আখড়ায় আখড়ায়ও উদ্ধত হয়ে উঠেছিল আর এক বাংলা

স্থভাষচন্দ্র বলেছিলেন, হেরে গেলাম, কিন্তু ঘড়ির কীট। একটা বছর পিছিয়ে গেল। আমরা মানিনি একথা একথাও মানিনি যে,দেশ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত ছিল, প্রস্তুত ছিলেন না নেতারাই ১৯২৮-এর কগ্রেস-মণ্ডপে হুগলী তীরের দশ হাজার শ্রমিকও জানান দিয়ে গেছল যে, তারাও সংগ্রামে সামিল হতে প্রস্তুত তবু নেতাদের একথাই সযুক্তি মেনে নিয়েছিলাম যে, দেশ প্রস্তৃত নয় গান্ধীজীর আপোষের পথও শেষ হয়নি এখানেই

কখনে। কাদামাটির এমন বদ্ধজল। দেখেছ যার ওপরটা থেকে থেকে কেঁপে উঠছে। বুদ্'দের মত ছোট মাটির ব্রণ ফুটে উঠছে, ফেটে যাচ্ছে? নৈসগ্লিক কি একটা উত্তাপ প্রকাশের জন্য উন্মুখ, অসংস্কারের জগদ্দল চাপ ঠেলে উৎসারিত হতে পারছে ন| |

১৯২৮-এ স্পষ্টতই এমনি একটা বিরাট বদ্ধজলার রুদ্ধ বেদনা অদৃশ্য উত্তাপ লক্ষ করেছি। নন্দকুমার, নীলচাষী বিদ্রোহ, ১৯০৫-৮- ১০-এর বাংল! এই উত্তাপ সঞ্চার করেছে, ১৯২১-এ এসে তা দিমুখী হয়েছে, চরকায় আর রিভলভারে, অহিংসায় আর শস্ত্র চালনায় ১৯২৮-এ-ও দেখেছি সেই ছিমুখী অভিব্যক্তি প্রকাশ্য কগ্রেসী আন্দোলনের সমান্তরাল রেখায় চলেছে সশস্ত্র রাজদ্রোহের “ষড়যন্ত্র

”২৪

"আর তার মামলা, গোপন ইন্তহারের বন্যা 'বাষ্ট্রবিরোধী' বইয়ের পর বই বাজেয়াপ্ত হয়ে চলেছে, নান! ছলে যুবকেরা বন্দী হয়ে চলেছে ; চলেছে সরকারী বিধিনিষেধের অব্যাহত পীড়ন

১৯২৮-এ কয়েকটি মজার ব্যাপারও লক্ষ্য করবার তা হচ্ছে এই বে, মাত্রাঙ্গ কংগ্রেস যে স্বাধীনতার প্রস্তাব নিয়েছিল ১৯২৮-এন্র কলকাতা! কংগ্রেন তা 'বাতিল করে দিল; সুভাষচন্দ্র অল পার্টিজ কনফারেন্স (সকল দল সম্মেলন) বিরচিত ভারতীয় শাসনতন্ত্র স্বাক্ষর করেছিলেন, তাতে ছিল ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসেরই দাবী, কিন্ত কলকাতা কংগ্রেসে তা থেকে সরে এসে স্বাধীনতা প্রস্তাব তুললেন ; জওহরলালজী অল পার্টিজ কন্ফারেন্সের ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস মানেননি, স্বধীনতাই চেয়েছিলেন কিন্তু কলকাতা কংগ্রেসে তা থেকে সরে এসে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসকেই ভারতের আপা ত-লক্ষ্য বলে মেনে নিলেন

গ্লোলমালটা হয়েছিল অল পার্টিজ কন্ফারেন্সের মিদ্ধান্ত থেকেই।

এই সকল-দল-সম্মেলনের বিবরণীতে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন পণ্ডিত মতিলাল নেহরু; স্যার আলি ইমাম, স্যার তেজ বাহাছুর সপ্র, এম. এস. আনে, সর্দার মল দিং সোয়েব কুরেশী, স্থভাষচন্ত্র বন্ধু, জি. আর. প্রধান |

তোমায় বলেছি, বার্কেনহেভের চ্যালেঞ্জের জবাবেই এই সর্ব- দলের উদ্ভৃতি; কিন্তু দিল্লীতে নেতৃবৃন্দের প্রথম বৈঠক নিক্ষল হল মুসলমান শিখের প্রতিনিধিত্বের সংখ্যা নিয়ে। বোম্বাইয়ে বসল

বৈঠক। একই ফল। তখন একটি ছোট কমিটি কর! হল,

পণ্ডিত মতিলাল নেহরু হয়েছিলেন সেই কমিটির প্রধানতম নায়ক ; এরই জন্য কমিটির রিপোর্টের নাম নেহরু রিপোর্ট ; অর্থাং ভারতীয় সংবিধানের একটি সর্বদলীয় খসড়া। তাই নিয়ে বসল লক্ষৌতে সর্দল সম্মেলন। ২৯-এ আগস্ট। সুতরাং কমিটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসই স্থির হয়, তবে পূর্ণ স্বাধীনতা

৮৬3

সম্পর্কে কোন দলের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়নি। পণ্ডিত, জওহরলাল নেহরুর আদর্শ ছিল পূর্ণ স্বাধীনতা; তাই তিনি সর্বদল সম্মেলনের প্রস্তাবে সামিল হননি এবং তার পক্ষে তিনি যুক্তিও দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র কিন্ত অনুমোদন করে বলেছিলেন, তিনি ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের অনুরাগী নন কিন্তু প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি এটি অনুমোদন করেছেন |

কমিটির রিপোর্টেও বলা হয়েছে, সন্দেহ নেই। স্বাধীনতার কম কিছুতেই গ্রাহ্য নয়, ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে এমনি এক প্রবল মত আছে, শুধু তাই নয়, খোদ কংগ্রেসও তার সর্বশেষ অধিবেশনে স্বাধীনতাকেই ভারতের লক্ষ্য বলে গ্রহণ করেছে। কিন্তু কমিটি তো৷ কংগ্রেসের কমিটি নয়, কমিটি হচ্ছে সকল-দল-সম্মেলনের ) সুতরাং এর লক্ষ্য হল সর্বাধিক এঁকমত্য | কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠদের কোন প্রদেশেই সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব অনুমোদন করেননি ; কিন্ত বাংলা পাঞ্জাব ছাড়৷ অন্য প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যান্ুপাভ প্রতিনিধিত্ব সুপারিশ করেছেন।

এবং এই হল কমিটির পক্ষে কীটা। একদল মুসলমান সেই পৃথক নির্বাচনের খুটি ধরে বসে থাকলেন | ফলে কমিটির সামগ্রিক সুপারিশও অচল হয়ে গেল।

কিন্তু ধাকা লাগল কংগ্রেসে মাদ্রাজ প্রস্তাবকে ডিজিয়ে ঘখন কলকাতা কংগ্রেসে সকল-দল-সম্মত ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রতিধ্বনি হল তখন অনেক কংগ্রেসকম্ীই বিহ্বল হয়ে গেছলেন। প্রশ্ন করলেন কি হল?

গান্ধীজী অবশ্য ৫ই জান্ুয়ারীতেই মস্তবা করেছিলেন, মান্রাজের প্রস্তাব 1025015 ০00061%60 2120. 0১005116165915 7895590., কংগ্রেম সভাপতি মতিলাল নেহরু বললেন, হ্যা, এই তো ঠিক হল, কেননা, সকল-দল-সম্মেলন কংগ্রেসের চাইতেও বড, সেখানে সকল দলের মত প্রতিফলিত, কংগ্রেসকমা হিসেবে তিনিও তাতে স্বাক্ষর দিয়েছেন, আজ তা অশ্রদ্ধেয় হয়ে উঠবে কিসের জোরে ?

খ্৬

বলা দরকার, নিয়ে পিতা-পুত্র_মতিলাল-জওহরলালের মধ্যে মানসিক ছন্থও গেছে গুরুতর মাদ্রাজ কংগ্রেসের মুখে এসেছিলেন জওহরলাল, বিলাতি শিক্ষাদীক্ষার টাটকা সতেজ গন্ধ, ইউরোপের সোস্তালিজম তার চিন্তাধারায় বিমিশ্রিত; মাদ্রাজ প্রেসের স্বাধীনতার প্রস্তাবে ছিল তারও নিংশ্বীস | কিন্তু পিতা এসে নৌকে। বীধলেন ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসে সুভাষচন্দ্র জওহরলাল একটা আলাদা ইগ্ডিপেগ্ডেন্স লীগ গডবেন স্থির করলেন। লক্ষৌয়ে সর্বদল সম্মেলনে বাধা দিলেন ন1; ভোট দেননি কিন্তু বক্তৃতা দিয়েছিলেন খসডা ভারতীয় সংবিধানে সুভাষচন্দ্রের সই তো ছিলই কলকাতা কংগ্রেসে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস ভিত্তিতেই পিতাপুত্রে মিলন এবং জওহর-স্ভাষে ছাড়াছাড়ি হলেও সবর্থল সম্মেলনের খসড়াও কোন কাজে এল না ; জিন্নাজী লক্ষৌ সম্মেলনে যদি-বা হিন্টু- মুসলিম ফরমুল! মেনে নিয়েছিলেন, পরে ভার খেলাপ করলেন, হাজির করলেন ১৪ দফার দ্াবি। এর মধ্যে ছিল, কেন্দ্রীয় আইন সভায় এক তৃতীয়াংশ আসন দিতে হবে, বাংলা-পাঞ্জাবে আসন হবে সংখ্যান্ুপাতে | শিখরাও অমনি দাবি চড়ালো | স্মৃতরাং সর্বদল সম্মেলন তার খসড়া সংবিধানেরও সাঙ্গ হল এখানেই

জের রইল কংগ্রেসে এবং তাই নিয়েই ২৯ পার হয়ে ত্রিশ অবধি |

কিছুকাল চুপ করে রইলেন। কি যেন ভাবলেন। দেওয়ালে ঝুলানো! ধুলোয় কিছু অস্পষ্ট একট পুরোনে। মানচিত্র লক্ষ্য করে আসছি, সেদিকে তাকিয়ে কি যেন দেখলেন, তার পরে খানিকট। বিব্রতম্থ্রে বললেন £

আমার একটু ভূল হচ্ছে, সত্য, তোমায় মোটে এই কংগ্রেস অধিবেশনের পটভূমিক! বলা হয়নি এই পটভূমিকায় মোটা ছুটি বাগ £ একটি সাইমন কমিশনের আগমন, তার বয়কট তার প্রতি বিরূপ অভ্যর্থনা, আর একটি বরর্দোলি সত্যাগ্রহ |

মাদ্রাজ কংগ্রেসের পর বারাণসীতে সকল দল মিলেই স্থির

২৭

করলেন স্ট্যাটিউটরী কমিশন, সাইমনের নেতৃত্বে ৰবলে ধার আর এক নাম সাইমন কমিশন, বরকট করতে হবে। ভাঃ আন্দারীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সারা ভারতে ওরা ফেব্রুয়ারী (১৯২৮) হরতাল পালন করার সিদ্ধান্তও হল। দ্রিনই কমিশনের বোম্বাইয়ে পদার্পণ করার কথা জনসভ। হবেঃ আর সেসব জনসভায় কমিশন নিয়োগের নিন্দা করে প্রস্তাব নেওয়া হবে_ এই হল নির্দেশ লক্ষ করার বিষয়, নির্দেশ কেবল কংগ্রেসের নয়, সকল দলের

মাদ্রাজ ব্যবস্থা পরিষদে ত্বরাজীদের প্রস্তাবন্রমে অত্যন্ত চড়! পর্দায় বিতর্কের পর সাইমন বয়কট করার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। (২৪শে জানুয়ারী )।

সাহন্মন ক্ষস্সিম্ণনেক্র ফলত

আশ্চর্য সাফল্যের সঙ্গে পালিত হল হরতাল-_এ নির্দিষ্ট তারিখে। ৩র! ফেব্রুয়ারী বোম্বাইয়ে পদার্পণ করে কমিশন সদস্তের। দেখলেন এক পরিত্যক্ত শ্মশান, আর তাদের সামনে অজত্্র কালে! পতাক! বিরূপ অভ্যর্থনার রূপ নিয়ে আন্দোলিত হচ্ছে। অসামান্য এক জনসভা! হল; কিছু বিশৃঙ্খলাও এবং পুলিশের গুলী

বেগতিক বুঝে স্যার, জন সাইমন ৭ই ফেব্রুয়ারী একটি বিবৃতিযোগে এক “সংযুক্ত সম্মেলনের” আভাস দিলেন সকল-দল নেতৃবৃন্দ তাও প্রত্যাখ্যান করলেন সত্যি করে ছিল এক ফাদ, সর্দলের অটুট বন্ধন শিথিল করার ছৃশ্টেষ্ট।

কেন্দ্রীয় আইন সভায় সাইমন কমিশন নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছিল, তাকে বলা হয়েছিল, “এতিহাসিক" ; উল্লেখযোগ্য যে, লালা লাজপৎ রায় সম্পর্কে ১৬ই ফেব্রুয়ারী যে অনাস্থা প্রস্তাৰ উথাপন করেছিলেন তা গৃহীত হয়ে গেল। কে জানে, সেই থেকেই ক্লালার উদ্দেশে শাসক গোষ্ঠীর সপ্তার্স যষ্টি উদ্ধত হয়ে ছিল কি ন|।

কমিশন কলকাতায় এল ১৯-এ ফেব্রুয়ারী তার জবাবে শ্রন্ধা- নন্দ পার্কে হল এক মহতী জনসভ1| শুধু তাই নয়, কলকাতায় একই

৮৬৪

সঙ্গে ৩২টি ওয়ার্ডে ৩২টি জনসভা হল বিলাতি পণ্য বর্জনের সন্থল্প নেবার (লা মার্চ)। মেয়েরাও পিছিয়ে থাকলেন না কলকাতায় দশ হাজার মহিলার এক সমাবেশে বিলাতি কাপড় বয়কট করার শপথ উচ্চারিত হল। বোঝা! গেল, বাংলায় ১৯০৫ থেকে যে সাধন! চলে এসেছে তা বৃথা যায়নি বৃথা যায়নি বাংলার সাহিত্য, কবিতা, গান, মুকুন্দ দাসের যাত্রা! অন্দর 'মহলের বিলাসী কনের দিল ছু'ড়ে ফেলে ম্যাঞ্েস্টারের অঙ্গাবরণ |

যেকোন কমিশনের পক্ষেই এমন অন্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ আকাজিক্ষিত | তাই তার! পেলেন-_৩১-এ মার্চ রওন। দিলেন স্বদেশ অভিমুখে

চমকে উঠে জিগগেস করলাম; হয়ে গেল কমিশনের কাজ?

প্রথম কিন্তি, ইতিমধ্যে মাদ্রাজ ব্যবস্থা পরিষদে এক কৌতুকাবহ ঘটন! হল। ২৪-এ জানুয়ারী এই পরিষদই সাইমন কমিশন বয়কটের প্রস্তাব নিয়েছিল ; ৩র৷ সেপ্টেম্বর নিল এক পাণ্টা প্রস্তাৰ --সাইমন কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতার | স্বরাজীদের পরিষদ কক্ষ ত্যাগ করে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া গত্যন্তর ছিল ন।!

দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে সাইমন কমিশন ফিরে এল ১১ই অক্টোবর ; মাস সাতেকের ব্যবধানে জেদী জাত,যাধরে তার শেষ দেখে ছাড়ে। এবং এবার জেদের কিছু বাড়াবাড়িই হল। অবথা প্ররোচনায় জনসাধারণও গেল ক্ষেপে, কণ্ঠ বিদীর্ণ করে বলল, সাইমন, ফিরে বাও। হরতাল হল পুনায়। কমিশন এল লাহোরে ( ৩০-এ অক্টোবর )| লাল! লাজপৎ রায়ের বুকে যে লাঠির আঘাতের কথা বলেছি তা ঘটল। পাঞ্জাব কেশরীর শেষ নিশ্বাস রুদ্ধ হয়ে গেল, ১৭ই নবেম্বর পাঞ্জাব ব্যবস্থা পরিষদে জাতীয়তাবাদী সদস্তেরা প্রতিবাদে এলেন না৷ পরিষদ কক্ষে তারপর সারা ভারতে লাল! লাজপত রায় দিবস পালিত হল ২৯-এ নবেম্বর |

সদল স্যার জন সাইমনের সরকারী রক্ষীদের উদ্ভত লাঠি পড়তে

লাগল ঘন ঘনই; লক্ষৌ, এলাহাবাদে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, গোবিন্ববল্লভ পন্থ প্রহৃত হলেন; ছাত্ররাও। (২৯/৩* নভেম্বর )।

তোমায় বলছি একতরফা! এই মার অসহা হয়ে উঠেছিল তরুণ ভারতের পক্ষে; তার! কখন কিভাবে তৈরি হয়ে ইউরোপীরান পুলিশ অফিসার আই. পি. সগারপকে লাহোরেই বিপরীত পুরস্কার দিল। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র কংগ্রেসকর্মী মিলিয়ে এই সম্পর্কে প্রথম দফায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হল | (২০-এ ডিসেম্বর )॥ কিন্ত লাহোর সহরে প্রাচীরপত্র ছেয়ে গেল £ “পুরস্কার ! পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার, আততায়ীই দেবে, গভর্ণমেণ্ট যে পুরস্কার দেবে ভার উপরভ্ত_ “আমায় যে ধরবে সে পাবে পুরস্কার, পাচ হাজার টাক1।” হুরস্ত, ছুরধর্ধ যৌবন আমাদের সঙ্গে একেবারে মিল নেই, আবার কোথায় যেন মিলও আছে নইলে অপরিমেয় অশ্রদ্ধায় একথা তো আমার ভুলে যাওয়ার কথা-_ভুলিনি কেন?

প্রশ্ন করে তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে ক্ষণকাল | বিব্রত বোধ করেও বুঝতে পারলাম, আমি উপলক্ষ্য মাত্র; তার দৃষ্টি অন্য কোন দূরান্তে চলে গ্রেছে। কিন্তু খেই হারাননি বললেন £

কলকাতা কংগ্রেসের আগে ১৯২৮-এ আর একটা দাগ পড়েছিল বোন্বাইয়ের বর্দোলিতে | তার নাম বর্দোলি সত্যাগ্রহ | সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ছিলেন সে সত্যাগ্রহের নেতা খাজনা বন্ধের সত্যাগ্রহ। এপ্রিল থেকে আগস্ট অবধি | সারা ভারতের দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ, একটি অঞ্চলের সীমাবদ্ধ সংগ্রাম প্রবলপক্ষ সাত্রাজ্য- বাদের বিরুদ্ধেই তাত্পর একদিন অনেক আশা জাগিয়ে বোশ্বাইয়ের গভর্ণর ডাকলেন এক সম্মেলন ; চাষিদের পক্ষ থেকে সামান্য দাবিই রাখ। হুল, তবু সব আশ! গেল উবে।

এরপর যা হয় ; রাজপুরুষদের নেত্র হল রোষকযান্সিত। রাজস্ব ন। মিটিয়ে দিলে ত্দস্তের কোন কথাই ওঠে না। উল্টে কুফল কলবে | অর্থাৎ সেই দমন নীতি | কিন্তু না, বোম্বাই সরকারকে নতি স্বীকার করতে হুল অনমনীয় চাষিদের কাছে; রাজস্ব বৃদ্ধি সম্পর্কে তদস্ত

১3$

হবে, এই ঘোষণা করতে হল সেই রাজপুরুষদেরই | ১৩ই আগ্রস্ট বর্দোলি বিজয় দিবস পালনের মধ্যে তার পরিসমাপ্তি হল।

হ্যা) আরও একটা দিক--জনসাধারণের দিক- লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছিল। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবন! ন1 হওয়াতে ই. আই. রেলওয়ে অন্তর্গত লিলুয়। কারখানার ১০ হাজার কর্মী হাতিয়ার সম্বরণ করল ; মজুরী বাড়াবার দাবিও জানিয়ে দিল। কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধ নিলেন কারখানার আগল টেনে দিয়ে যাকে তোমরা বল; লক আউট। বামুনগাছি লোকো! ওয়ার্কশপে বাঁধল হাঙ্গামা, পুলিসের অভ্যস্ত হাতে গুলীও চলল। ছু'জন মার! গেল, আহত হল পাঁচ। এস. আই. রেলওয়েতেও হল এক সাধারণ ধর্মঘট | আমাদের কংগ্রেস আন্দোলনের প্রথম দিকে সচরাচর যারা চোখের আড়ালে থাকত তাদের স্বার্থচেতনার দৃষ্টান্তও তোমার চোখের সামনে পটভূমিকায় রাখতে চাই।

আর মুসলমানদের মধ্যে যে অংশটা চিরকাল ভারতবিরোধী ধর্মান্ধ পথানুনরণ করেছে তার! এখানেও পৃথক হয়ে থাকল, আর নষ্টামির জন্য ইংরেজের প্রশ্রয় খু'জতে লাগল। কিন্তু তখন কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেশে দেশপ্রেমের জোয়ারে এতই বেগ যে, ওদের তাচ্ছিল্য করা চলত; তাচ্ছিল্য করতে চায়নি সর্দল-সম্মেলন, কিন্ত সেখানেও ওদের আহুরেপনার অন্ত ছিল না।

দেশের চঞ্চল প্রবাহে এও ভোলবার নয় যে, এপ্রিল মাসে পাঞ্জাবে ষেমন এক সাত্্রাজ্যবাদ-বিরোধী-যুব সম্মেলন হয়েছিল ( এবং এই এপ্রিলেই বর্দোলি সত্যাগ্রহ ) তখন বাংলাদেশে বারাসতে এক রাজনৈতিক মেল! বসেছিল। বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন। সভাপতি ছিলেন যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ; জে. এম. সেনগুপ্ত বললেই লোকে তাকে বেশি চেনে

১৯২১-এর অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পর থেকে বারংবার নিন্দিত বিপ্লবী তরুণদের কথা! উল্লেখ করে সেনগুপ্ত তার ভাষণে বলেছিলেন, “আমরা এইসব দেশপ্রেমিক ভারতীরদের ক্রিয়াকলাপ

৩১

অনুকূল দৃষ্টিতে দেখিনি। আমরা তাদের এই বলে নিন্দা করে' এসেছি যে, তারা এদেশে নিষ্ঠুর গীড়ন নীতি চালাবার ছল তুলে দিচ্ছে. বৃটিশরাজের হাতে! কিন্ত আসলে এই অশাস্তচিত্ততার মূল কি? এজন্য ছুষব কাকে?”

“শাসন-যন্ত্রের ছঃসহ পীড়ন এবং দাসত্বের ছুর্বহ শুন্খলভারই এই সব দেশপ্রেমিক তরুণকে বিদ্রোহী করে তুলেছে ।”

অহিংসপন্থী সেনগুপ্ত অবশ্য বললেন, “তার মানে কিন্তু এই নয়া যে, আমরা এই বিদ্রোহীদের মদদ যুগিয়েছি। আমরা এই ধরণের অস্থিরতার পক্ষপাতী নই। আমরা শুধু এই বলতে চাই, এই অসম্তোষ দূরীকরণের উপায় অথবা প্রতিকার উম্মত্ত দমননীতি নয়; জনসাধারণের রাজনৈতিক দৈহিক ক্ষুধার নিবৃত্তি না হওয়া পর্যস্ত বিক্ষোভ দূর কর! যাবে না।

“স্বাধীনতা আমাদের জন্মগত অধিকার, আমরা তাই দাবি করি; এর বঞ্চনা আমাদের মনুহ্যত্বকে খর্ব করে দিয়েছে এবং নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে ।”

সেনগুপ্ত প্রত্যেক জেল! মহকুমায় স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী গঠনেরও' আহ্বান জানান।

আর, মনে পড়ছে, সুভাষচন্দ্র বস্তু স্বাধীনতা প্রস্তাবটি: তুলেছিলেন।

জিগগেস করলাম, আপনি এই বারাসত সম্মেলনে ছিলেন ?

হাসলেন, কেন জিগগেস করছ বুঝেছি। হ্যা ছিলাম এবং এঁ স্বাধীনতার প্রস্তাবের পক্ষে হাতও তুলেছিলাম। সংক্ষিপ্ত প্রস্তাকে বল! হয়েছিল, এই সম্মেলন পূর্ণ স্বাধীনতাই ভারতের লক্ষ্য বলে. ঘোষণা করছে।

হল গিয়ে তোমার এপ্রিল, আর ডিসেম্বরে হল কংগ্রেস। পার্ক সার্কাসের এক বিরাট চত্বরের নাম হয়েছিল দেশবন্ধুনগর ; ওরই এক' মস্ত এলাকা জুড়ে অধিবেশন-মণ্ডুপ ছাড়াও হয়েছিল তেমনি এক বিরাট প্রদর্শনী-প্রাঙ্গণ। আঃ সে প্রদর্শনী যদি তুমি দেখতে; সত্য 1

আমার তো মনে হয়, প্রদর্শনীর নানারকম নিদর্শন বিশেষ করে। যাকে তোমরা আজকাল বলো! পরিসংখ্যান, তারই সুন্দর হৃদয়গ্রাহী পোস্টার সব, লক্ষ লক্ষ লোকের মনে প্রেরণ! যুগিয়েছে

তোমায় বলেছি বোধ হয় কংগ্রেস সভাপতির অভ্যর্থনা! মিছিলের কথা, বলেছি কি পুষ্পমাল্যশোভ্ডিত রথটির কথ? ৩৪টি সাদ। ঘোড! টেনে নিয়েছিল, আর তাদের পিঠে পিঠে লাল সবুজ কামিজ পর! ঘোড়সওয়ার দেশবন্ধুনগরে এসে রথ থামতেই ১০১টি হাউই উঠল আকাশে

যেদিন সপ্তার আততায়ীর পোস্টার পড়েছিল লাহোরে, সেদিনই কংগ্রেস সভাপতির শুভাগমন হল কলকাতায় | ২১শে ডিসেম্বর

৪৩তম অধিবেশন কংগ্রেসের জ্ভ্যর্থনা সমিতির চেয়ারম্যান জে. এম. সেনগপ্ত দীর্ঘ বক্তৃতা পড়লেন সব মনে নেই, মনে আছে সর্দল সম্মেলনের “নেহরু রিপোর্ট” সম্পর্কে বলেছিলেন, “[ 1901 ২1001 0015 00000161706 25 21702551105 00৬71 01: 10010011- 010. 569/003 7006 25 ৪. ০৪01 2) 001: 05106 001 011 11906-- [17001)09.

অবশ্য আবহাওয়ার গতি তখন থানিকট। ওদিকেই ঝু'কেছিল। মাদ্রাজ কংগ্রেসে স্বাধীনতা-লক্ষ্য স্থির হবার এবং ৩রা নভেম্বর" দিল্লীতে এ. আই. সি. সি.র পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব সত্বেও; ভাঃ আন্সারী তখনও সভাপতি এবং দিল্লীতে প্রস্তাব তুলেছিলেন, আয়াঙ্গার। আমি দিল্লী এ. আই. সি. সি. যাইনি, মাদ্রাজে ছিলাম

কলকাতায় প্রথম দিনকার অভিভাষণ ইত্যাদি পাঠের পর. দ্বিতীয় দিন থেকে বসল সাবজেকৃট্স কমিটি বা বিষয় নির্বাচনী সমিতির বৈঠক ওয়ার্কিং কমিটি যে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস প্রস্তাবটি ৬--€৫ ভোটে গ্রহণ করেছিল তাই তুললেন গান্ধীজী ব্বয়ং | ৬-৫ ভোটে স্পষ্টতই ছটি প্রবল ধারা প্রতিফলিত হয়েছে ; সত্যিই সববার মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা, একটা! দ্বিধা, একট। দ্বন্দ পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছিল। মাদ্রাজ-দিলী স্বাধীনতা প্রস্তাবের পরও আবার কি!

৩৩,

স্বাধীনতা---৩

কিন্তু সামান্য প্রবলতর ধারার পক্ষেই প্রস্তাব নিয়ে ফাড়ালেন গান্ধীজী। একট! কথা তোমায় মনে রাখতে বলি। বিষয় নির্বাচনী সমিতিতেই গান্ধীজী ছু'বার প্রস্তাব তুলেছিলেন, দ্বিতীয়বার প্রথম প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নতুন এক প্রস্তাব তুলেছিলেন | বল! বাহুল্য, প্রথম প্রস্তাবের ৰিপক্ষ এতই উদ্বেগজনক ছিল, যে বিপক্ষকে যতটা সম্ভব প্রশমিত করার জন্য একটা আপোষ-প্রস্তাব রচন। করতে হয়; তাই থেকেই দ্বিতীয় প্রস্তাবের উৎপত্তি।

আর একটা কথাও মনে রেখো সর্ধদল-সম্মেলন-কমিটির রিপোর্টে অন্যতম স্বাক্ষরদাতা৷ স্ুভাষচন্দ্রকে কিন্তু বিষয় নির্বাচনী সমিতির আলোচনাকালে একেবারেই মুখ্য ভূমিকা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। সেখানে মুখ্য ভূমিকা ছিল পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুরই | তিনিই গান্ধী-প্রস্তাব-বিরোধী স্বাধীনতা সম্পকিত সংশোধনী প্রস্তাবটি তুলেছিলেন ; অনুরূপ একটি প্রস্তাব তুলেছিলেন আমাদের কিরণ শঙ্কর রায়।

প্রস্তাবগুলে৷ আমি তোমায় স্মরণশক্তি থেকে বলতে পারব নাঃ কাগজপত্র দেখে বলব, তুমি ভাল করে শুনে যেও, নইলে পার্থক্য বোঝা যাবে না বা কোথায় আপোষ হল তাও ধর। যাবে না

বলে তক্তপোষের ওপরই ছড়ানে। বইপত্র থেকে খু'ঁজেএ কটা পুস্তিকার মতো! বই বের করলেন, হাত দিয়ে ধুলে! ঝাড়লেন, আস্তে আস্তে ওর মলাটটা তুলে কয়েকটি পাতা! উল্টে পড়লেন £

গাক্ষীজীল্ প্রথম্ম প্রস্ভান্ব

[0019 00208:989 17%106 0008$09790. 6129 90086160610) 79900 1709100.90. 10 6109 411-17870198 00000016699 7910: 91901068 16 88 & £99% 00061100610, 09:08 6159 90106101001 [00199 10০01161081 800. 00100000109] 10101016778 800 0010£890018695 0108 00001016698 00 6109 ৮09] 00810170165 06 269 1:9002010)000%- 6100. 800. আ101186 8&01)971706 60 6159 28801061000 191%6808 6০ 90120101969 17)0910910061709 708%8890. &% 608 190789 00:067988 ৪000069 0106 90086160610) ৫80 0) 05 6069 0010010016699 8৪ & £99% 8680 30 001$61091 80587308 9109048115 89 16 160798610

6106 185986 720698,807:9 01 88690076770 9/0%8911090. 8100006 6009 17119076870 10826198 20 6109 ০000100. 40:0109. 1009০] 0086 609 00108:999 ৪119]] 2006 009 0০096, 9৮ 809 00096160100, 11 16 006 89991069ন 00. 0 1096016 6109 8186 7099910097£ 1990 8001 10:051997. 101%1061 0096 10 009 95920 01 000+8,00600681099 105 6119 73016191) 19)111810606 01 6009 00091061010 105 01086 9.9%69 6129 00200993 দা1]] 9519 70010 ₹1019116 10010-00-01081901010 109 8,05181176 01289 90010৮75 6০ £66099 6%5:9610)0 8800. 6591৮ 06106 810. 60 (00591000010, এর পর আরও কিছু কথা, প্রোগ্রাম ইত্যাদি আছে। একটি কথায় আপত্তি হয়েছিল, সে কথার জবাবওগ্ান্ধীজী দিয়েছিলেন পরে | প্রস্তাবে বলা হয়েছিল £ [199 10799109106 19 17990 80610011990 60০ ৪8100. 6109 62 ০01 61018 19901061010 60£961097 1৮0 609 00105 01 6119 8৪10. 90০0: 1718 78509119105 6109 10905 10৮ 90010 &0$1010. 89 109 109 10198989 6০ $81.9. লক্ষ্য করেছ নিশ্চয়ই যে, সর্বদল-সম্মেলনের রিপোর্টটির ওপর জোর দিতে গিয়েও মাত্রাজ প্রস্তাবকে ভোল। সম্ভব হয়নি, এবং তার সঙ্গে সম্বন্ধ ছিন্ন না করার উদ্েগই এতে আছে,তা৷ সত্বেও যেহেতু দেশের মুখ্য দলগুলোর সবাধিক মতৈক্য প্রতিফলিত হয়েছে সেইহেতু রিপোর্টকেই রাজনৈতিক অগ্রগতির বিশেষ এক পদক্ষেপ রূপে গ্রহণ করা হয়। সময় চাওয়! হয় ১৯২৮-এর ডিসেম্বর থেকে ১৯৩০- এর ৩১শে ডিসেম্বর অবধি এর মধ্যে বুটিশ পালামেন্ট সকল দল সম্মেলনের ভারতীয় সংবিধান গ্রহণ না করেন তো দেশকে অহিংস অসহযোগ্িতার কার্য ক্রমরূপে কর বন্ধ প্রভৃতি আন্দোলনে ঝশপিস্কে পড়তে বল। হবে।

গান্ধীজী তার ভাষণে স্বীকার করলেন, আর গোপন নেই

€3 25 20 0০5 9০০৪৮ ) যে, আমাদের মধ্যে নিদারুণ মতদৈধ আছে (0086 ৩1382 10 00] ০8:00] 91910 0196:010025 0

9121015) কংগ্রেস-কর্মীরা কিভাবে রিপোর্টটি গ্রহণ করবেন, এই

নিয়ে। গান্ধীজী এই রিপোর্টটিকে বললেন, ১01১7761006, 521] 10 21 20008-00910176 1201:65.

প্রস্তাব সম্পর্কে বললেন, “রিপোর্ট নিয়ে এই যে ছটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে কংগ্রেস কমীঁদের মধ্যে তাদের ছু'পক্ষকেই সন্তুষ্ট করা অথবা সন্ত না করা গেলে, প্রশমিত" করার চেষ্টা হয়েছে এই প্রস্তাবে | এই দলিলটি শেষ লক্ষ্য নয়, শেষ লক্ষ্যের আরম্ত।

বললেন, এই সর্বদল সম্মেলন হয়েছে কার উদ্যোগে ? অর্থাৎ তিনি বলতে চাইলেন, সেদিক থেকেও কংগ্রেসসেবীদের একটা কর্তব্য আছে। “তাছাড়া, মাদ্রাজ কংগ্রেস তো কংগ্রেস-লক্ষ্যের' কথাই বলেছে, বলেছে এই হল আমাদের লক্ষ্য, বলেনি এই স্বাধীনতা ঘোষণ! করলাম (1 65115 500. 608৮ 0015 918911 0০ 002 £021. 00165 1706 ৪. 9012109002 06 1060050190০ ) 1)

মাত্রীজের প্রস্তাবটাকে আমি গান্ধীজীর ব্যাখ্যা মতো গ্রহণ, করিনি, তাই বড্ড গোলমাল লাগতে লাগল মনে; যদি তা না হয়েথাকে তবে তো মাদ্রাজ প্রস্তাবটাই অর্থহীন হয়ে পড়ে বড্ড ভাবিয়ে দিয়েছিল ; এমন সময় উঠতে লাগল সংশোধনী প্রস্তাবগুলো |, হরি সবোত্বম রাও, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, কিরণ শঙ্কর রায়

জণগুহবলালেলব প্রস্তীন

জওহরলালের সংশোধনীর মর্মার্থ হচ্ছে-_-0)616 0810. 09100; £:5200100 011 211 00101600101 7101) 13010151) [1000061019119ছ) 15. 5০৬০1:69.

কথাটা খুব মনে গেঁথে গ্লেছেল। সত্যি তো, সকল রকমে বুটিশ' সম্পর্ক ছিন্ন না৷ হওয়! পর্যস্ত স্বাধীনতা কি? কিরণশঙ্কর যে সংশোধনী তুললেন, তাতেও কথা! এবং সোজা! কথা £ 11651) ০01/60001%: 81)00310 02 32৮1:6৭.

কিন্ত জওহরলাল যেখানে মাদ্রাজ প্রস্তাব ক্ষুপ্ন না করে রিপোর্ট গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, সেখানে কিরণ শঙ্কর ছিলেন স্পষ্ট ; তিনি;

'ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধান গ্রহণ করতে গররাজি।

তবে এটুকু বাদ দিলে, লক্ষ্য কোরো, জওহরলাল মাদ্রাজের ্বাধীনতা-প্রস্তাবকেই আকড়ে ধরতে চাইলেন পড়ছি, 715 10001817955 90102:25 60 010০ 0901510190৫ 0০ 71801795 0০00- 555 02019107755 00120101266 1006021)021)02 00102 1092 £02] 0 ]1701215 09001০ 2100. 15 0 00110101. 0026 0066 0810. 02 [0 0:0০ ০2001) 01] 12109 00101900010 15 52৮ 21:20.7

তিনি দেশকে আইন অমান্য কর বন্ধের আন্দোলনে নামার 'জন্য প্রস্তত হতেও বললেন

আমার মাথাট! ঝিমঝিম করতে লাগল; গান্ধীজীর ব্যাখ্যাই যদি -সত্যি হয় তবে তে মাদ্রাজ প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তির অর্থ শুধু লক্ষ্য স্থির করে রাখা, সময়মত তা৷ হাসিল! করলেই হবে, স্বাধীনত। ঘোষণ! তে৷ 'নয়।

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ছিলেন কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির সেক্রেটারী তাই তিনি ওয়াকিং কমিটি-বিরোধী সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপনের কৈফিয়ৎ হিসেবে বললেন £

ওয়াকিং কমিটির সেক্রেটারী হয়ে ওয়াকিং কমিটির স্ুপারিশ- -কর৷ প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ কর। বিসদৃশ |

তবু তিনি 'কর্তব্যবোধেই? তা করছেন

তিনি বললেন, “আমার এমন কোন দেশের কথ। জান। নেই, যে- দেশ অনুরূপ অবস্থায় ইচ্ছে করে সচেতনায় ডোমিনিয়ান গভর্নমেন্ট বেছে নেয়। আমি ভেবে পাচ্ছি নে, আমরা কেন ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস-জাতীয় সরকার চাইব ? মনে রাখবেন, কিন্তু আমাদের কেউ দিতে চায়নি।”

বেশ জোর দিয়ে বললেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যেদিক থেকেই দেখা যাক, তা! জীতীয় মর্ধাদার দিক থেকেই হোক বক বাঞ্ছনীয়তার দিক থেকেই হোক, আপনারা! যদি ভোমিনিয়ান

৩৭

স্ট্যাটাস গ্রহণ করেন, তবে তা৷ অতিমাত্রায় অসঙ্গত এবং নির্বুদ্ধিতার' কাজ হবে। দেশে কি সব ঘটন! হয়েছে তা আপনারা জানেন। আপনারা লাল! লাজপৎ রায়ের মৃত্যুর খবর শুনেছেন, লাহোরে কি হয়েছে তা জেনেছেন এবং বড়লাট:কি রকম অপমানকর হুমকি দিয়েছেন তাও আপনার] শুনেছেন। এর পরও কি বলতে চান আপনারা মতের পরিবর্তন করবেন না, বড়লাট ব! জাতীয় কেউ যাই কেন বলুন না?

“আমি সরলভাবেই আপনাদের কাছে আবেদন করছি) জওহরলাল বললেন, “দেশ-সেবার শক্তি-সামর্ধ্য আমার আছে কিন্তু ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের কথা মনে করতেও তা নিঃশেষ হয়ে যায়।”'

চারিদিকে বৈপ্লবিক 'ক্রিয়াকলাপের দিকে অঙ্গুলি সম্কেতে করে তিনি প্রশ্ন করলেন £ “আপনার! এদেশে কি বৈপ্লবিক চেতনার পরি- পোষণ করতে চান অথবা তা নিরস্ত এবং নিবীর্ধ করতে চান আপোষ নিষ্পত্তির জন্য ?”

সকলের দৃষ্টি কিছু প্রসারিত করার জন্য বললেন, “ভারতবর্ষ ইংলগ্ডের মধ্যে সংগ্রামের প্রশ্ন তো আছেই, তার চাইতেও বড় কথা সংগ্রাম হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ এবং যা-কিছু সাআজ্যবাদ নয় এই ছুইয়ের মধ্যে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস গ্রহণ করলে এই প্রমাণিত হবে যে, আপনার সাআ্াজ্যবাদী মানসিকতা গ্রহণে রাজি আছেন অত্যন্ত বিপজ্জনক কথা |

গাহ্দীজীল্র নতুন্ন প্রস্তাব জওহরলালের বক্তৃতা এত হৃদয়গ্রাহী এবং উপস্থিত কংগ্রেস কমাদের মধ্যে এমন প্রভাব বিস্তার করেছিল যে,কিরণশঙ্কর রায় তার সংশোধনী প্রস্তাবটি জওহরলালের সংশোধনী প্রস্তাবের অন্থুকৃলে প্রত্যাহার তে। করলেন, কিন্ত পরদিন এক নাটকীয় পটপরিবর্তনের মধ্যে গান্ধীজী নতুন এক প্রস্তাব তোলবার জন্য যখন তার প্রথম

প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন দেখা গেল; পণ্ডিত জওহরলাল সভায় অনুপস্থিত

সচকিত হয়ে আমি বলে উঠলাম, সে কি!

বললেন, গান্ধীজীই তার কৈফিয়ং দিলেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে যেটুকু মনে আছে তার মর্মার্থ হচ্ছে

«আমি আপনাদের খোলাখুলি বঙগতে চাই যে, আমি যে নতুন প্রস্তাবটি তুলতে যাচ্ছি তাতেও তার ( জওহরলালের ) সায় নেই। সে অযথা কথার তিক্ততা বাড়াতে চায় না নিজেকে সর্বাংশে মক করে দিয়ে সে থেকে অব্যাহতি চায়। তাই আপনার! দেখছেন যে, সে কংগ্রেসের একজন বিশ্বস্ত শ্রমসহিষু সেক্রেটারী হয়েও মনে করছে, যে-কার্যক্রমের সঙ্গে তার ঘেল নেই তার অসহায় দরষটা হওয়ার চাইতে আজকের সকালের অধিবেশনে তার পক্ষে অনুপস্থিত থাকাই শ্রেয়তর |”

একটু বিব্রতের হাসি হাসলেন বললেন, আগের দিন প্রস্তাব তুলে জওহরলাল তার সুন্দর অভিভাষণে যে-দৃঢ়চিত্ততার পরিচয় দিয়েছিলেন তার সঙ্গে এই অনুপস্থিতি মানিয়ে নিতে বেগ পেতে লাগলাম মনে হয়েছিল আদর্শের জন্ত জওহরলাল পিতৃদেবকেও অমান্য করতে রাজি গান্ধীজী তো! দূরের কথা কিন্তু কার্ষকালে তিনি শুধু অন্ুপস্থিতই থাকলেন না, গান্ধীজীকে তার প্রস্তাব অবাধে তুলতে দিলেন এবং তার অনুপস্থিতির কৈফিয়ং দিলেন গান্ধীজী এসে। যিনি পিতৃদেব গান্ধীজীর মতো! নেতার বিরুদ্ধে ঈাড়িয়ে স্বাধীনতার প্রস্তাব তুলতে পারলেন তার হৃদয়ে বিশ্বাসও নিশ্চয়ই ছিল অপরিমেয় এবং তাই আমাদেরও হৃদয় স্পর্শ করেছিল। কিন্ত অন্তরালে কি ঘরোয়৷ ব্যাপার হল কে জানে__সেই দৃঢ়তা শোচনীয়ভাবে শিথিল হয়ে গেল, তিনি নিরস্ত হয়ে গেলেন এবং লোকের চোখে পড়বার মত করে অনুপস্থিত থাকলেন অর্থাৎ, স্বাধীনতা-প্রস্তাব তোলবার আর কেউ রইলেন না; কেননা কিরণ শঙ্কর রায়ও তার সংশোধনী প্রস্তাব জওহরলালের অনুকূলে

৩৯

প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ব্যাপারটা অনেকের কাছে এমনই অশোভন ঠেকল যে, অন্তরালে কোন একটা! অভিসন্ধি সক্রিয় হয়েছে এমন অপযশ কেউ দিলে কিছু বলরার রইল না। জওহরলালের .ষে-চরিত্র অনেকখানি সমুন্নত হয়ে প্রতীয়মান হয়েছিল তা কেমন 'খাটো হয়ে গেল। সাহদে ভর করে বললাম; তা'হলে গান্ধীজীর প্রস্তাব প্রত্যাহার নতুন প্রস্তাব উ্থাপনে কোন বাধাই রইল না? না। অন্তত বিষয় নির্বাচনী সমিতিতে নয় নতুন প্রস্তাবটা কি ছিল? এটাও তোমায় পড়ে শোনাব; কেনন1, এগুলো এতিহাসিক দলিল, শ্রুতিও নয়, স্মতিও নয়) একেবারে; ইংরেজিতে যাকে বলে, 108 ০010 0105 নিরুত্বপ্ত ছাপার অক্ষরে রক্ষিত | আবার পাতা উল্টে উদ্টে একট জায়গায় থেমে, পড়তে 'জাগলেন £ “518 007027933 1095106 00128106790. 0176 00086165010. 190010109819090 107 6106 4£11-12870169 (0012010016699 7891007% 91- 0902099 888 ৪, £:986 901061110061010 6০908 6106 ৪01061010 01 1700$8,9 190116109] 800. 00101701008] 10701019209 837. 00108506018 663 809 00100016696 010 6109 07810110016 01168 299000910861009 8710 10119 ৪,010911106 60 6108 7:880106101) 7919,6110£ 60 90100- [01969 170061)6000099 1089990. ৪ট 6109 1180795 00:027988 81)])- ০598 01 6109 90096160610 ৫90 01) 05 ঠ06 00200016699 98 8986 ৪691) 010 10011610891 8)0591208, ৪0901911882 19101999108

6109 1876996 70)98907:9 0 8£:992006706 ৪6817060. 90301086109 10010010606 08%:6199 110 6118 000060........

হঠাৎ দেখি চুপ করে গেলেন, মুখটা বইটার আড়ালেই ছিল; সুতরাং তার মুখে মনের ক্রিয়া কি দাগ কাটছিল দেখতে পাইনি একসময়ে নিজেই বইটা নামালেন এবং আমার চোখের ওপর সোজা- স্থজি চোখ রেখে বললেন; একটা কথা বলব? যত জোড়াতালি তত ফাঁক। সব দলকে রাখতে হবে আবার মাদ্রাজ প্রস্তাবও রাখতে হবে, তাও কি হয় নাকি? আর তাছাড়া, বিভিন্নমুখীন দলগুলোকে

এক জায়গায় ছুমূড়ে মুচড়ে এক করতেই হবে এবং তা করে গোটা দেহটা বিকৃত হয় হোক, তবু সকল-দল-এঁক্যের গৌরব হাস্যকর শুধু “নয়, বিপজ্জনকও হয়ে পড়ে। যা হোক, একটা বাধ। এসেছিল তাও অপসারিত হল, এখন এই জোড়াতালিকেই বলতে হবে মস্ত একট! কাজ হল? জিগগেস করলাম, প্রস্তাব কি এটুকুই ? বললেন, না, আরও আছে, তবে, তার উল্লেখযোগ্য অংশটা হচ্ছে £

488001906 60 609 65186900195 01190116199] ৪108,6101) 619 000- 8999 আঅ1]] ৪,001)9 6109 002086160610105 11 16 18 890910690. 110 113 81061965195 0109 713716151) 08118009106 010 0৮ 1091078 6108 9196 [1099910198৮ 1999 006 10 0109 95906 01108 100107-8,9091068,099 15 1796 0866 0৮ 163 9871191 ৮0190610109 6106 00206:998 ্1]] 01:88,01279 9 08,00108,180 01 ০০- ৬101906 [ঘ01-00010618,61070 0 90%18106 6139 900106:% 60 291099 6%8/6100 900 170 900)) 06109) 10810109199 019 19 090109ণ 01901,”

স্বীকার করব, তখন সবট। বুঝিনি, মন সায় দেয়নি, কিন্তু যে কতখানি হাস্তকর আজ তো'ত। উপলব্ধি করি। কে-বা সংবিধান করতে বলল, আর কাকেই ব৷ চরম পত্র দিচ্ছি? জওহরলালের সেই 400100 5০৪9১ 1615 1006 0650 €০ 0$7--সত্যি, ঘেন বাড়ির সেই অভিমানী ছেলের দেয়ালের লিখন £ আমাকে ঘর্দি আর একবার না সাধ হয় তবে আমিখাব না। চরম পত্র কেউ ঘরে থাকার জন্য; ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের জন্য দেয় না, জওহরলালও এমন কথাই বলেছেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দিলেন এইটেই ট্রাজেডি।

খোল। জানালাট! দিয়ে বাইরে দৃষ্টি ছড়িয়ে দিলেন; সেদিকে তাকিয়ে বললেন, প্রস্তাব ছুটোর মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা লক্ষ্য করেছো ?

সংক্ষেপে বললাম, হ্যা) ছ্াবছরের বদলে এক বছরের প্রতীক্ষা ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের জন্য

বললেন, আরও একটা বড় পার্থক্য আছে। প্রথম প্রস্তাবে

৪১

বল! হয়েছিল, প্রস্তাবটিকে প্রেসিডেন্ট বড়লাটের কাছে পাঠাবেন! নতুন প্রস্তাবে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। হচ্ছে অন্তরালে আপোষ-মীমাংার ফল। কিন্তু ওতে যে মনোভাবটি লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছিল, অর্থাৎ কেবল সবর্দলীয় আপোষ-মীমাংস1 নয়, সান্প্রদায়িক সংস্থার তোষণ-চেষ্টা নয়। বৃটিশ শাসকদের সঙ্গেও আপোষ-মীমাংসার আগ্রহ তা কিন্তু অন্যথা অমৃতই রইল | আমাদের শেষ ৪৭-এর যে. ট্রাজেডি তার বীজটিও এখানে দৃশ্টমান হল

বড়লাটকে প্রস্তাবের নকল পাঠানো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি বজিত হওয়ায় অনেকেই আংশিক তুষ্টিলাভ করেছিলেন, কিন্তু গান্ধীজী ঝ'লে- ছিলেন, এতে তিনি মহাভারত অশুদ্ধ হত মনে করেন না

«(6116 19910 60985 8,809 1079 60 €0 60 10110 ৪9. 0180098 00105 0 10103680090 010. 9 19061116 01 9008,1165 ] দ০০1এ ৫০ 60919 10979-1006 850. [009৮-178569 800. ৪6111 0919100. 10 7700- 00010988100

গান্ধীজীকে আমি বরাবর মেনে চলেছি। অনুসরণ করেছি; কিন্তু তার অসহযোগ নীতির মধ্যে এই যে সহযোগ-রীতি এটি সর্বদা বুঝে উঠতে পারতাম না। বোঝা গেল, তিনি সকল দলের এক্যবদ্ধ প্রস্তাব রক্ষায় বডলাটের কাছে প্রস্তাব পাঠানে। সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি তুলে নিলেন বটে কিন্তু যে-মনোভাব-বশে ওটি মূল প্রস্তাবে গ্রথিত করেছিলেন তা রয়ে গেল। যদি কখনো তার একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে ভিন্নমত উপেক্ষায় নিজের মত পথে চলবেন পরে চলেও ছিলেন। আপাততঃ ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসে সব দলকে বেঁধে নিয়ে

'গ্রেসের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হলেন |

এবং সেই সর্বদল-এক্য রক্ষার জন্যই চেয়েছিলেন ছু'বছরের সময়। আশা ছিল? তদ্দিনে তার চরকার খদ্দর, অস্পৃশ্যতা-মাদক-বর্জন ইত্যাদি সহ অলহযোগিতা-সহযোগিতার স্থত্র-বন্ধনে তিনি স্বরাজে অবতীর্ণ হতে পারবেন। ত্বরাজ মানে ছিল সেখানে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস।

সব বর্ণনা করে তাই বললেন, এই কারণেই আমি মনে করি,

৪২

সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার মতো! শক্তি-সঞ্চয় সংগঠনে ছৃ'বছর সময়ও যথেষ্ট নয় |

আরও লক্ষণীয়, পরবতাঁকালে, কারও কারও মতে গান্ধীজী যা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামিয়েছিলেন তার কথাও বললেন £ সাম্প্রদায়িক এঁক্য তো৷ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না ; তা নেহরু রিপোর্টে নিহিত রয়েছে

এইভাবে গান্ধীজী যখন তার ব্যক্তিত্ব, যুক্তি চিত্তাকর্ষক ভাষার জোরে সর্বরোগহর নিদানরূপে প্রস্তাবটি উত্থাপন করলেন তখন আর কোন প্রতিবন্ধক নেই, জওহরলাল নেই ; কিরণশঙ্কর নেই, দ্বিতীয় কোন বিরোধী প্রস্তাবের অবলম্বনও নেই ; সুতরাং গান্ধীজীর প্রস্তাবটি গ্রহণ ছাড় কংগ্রেসকমীদের সামনে গত্যান্তরও রইল ন|। এই অস্তিমকালে সুভাষচন্দ্র মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন

আশ্চর্য মানুষটি অগ্নোছালে। ভপীকৃত বই কাগজপত্র থেকে অনায়াসে এবং নিভূর্লে দরকারী সংশিষ্ট বিষয়টি বের করে ফেলেন। এমনি একটা কাগজ নেড়েচেড়ে বললেন, গান্ধীজীর প্রস্ত/বটি সমর্থন করলেন আয়েঙ্গার ছোটখাটো! সংশোধনী প্রস্তাব সুত্রে আলোচনাও চলল অনেকক্ষণ। শেষপর্যস্ত ক্লোজার ভোটও পড়ল বলেছি, এই অস্তিমমুহূর্তে সুভাষচন্দ্র দৃষ্টিগোচর হলেন। অর্থাৎ প্রস্তাব সম্পর্কে ভোট নেবার মুখে মুখে

তিনি সভাপতির অনুমতি নিয়ে একটা ছোট্ট বিবৃতি দিলেন। ছোট্ট এই কারণে যে, শ্রোতাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্লোজার মোসানের পর বক্তৃতায় আপত্তি করাতে প্রেসিডেন্ট মতিলাল নেহরু স্ুভাষ- চন্দ্রকে নিরস্ত করলেন। মঞ্চে স্ভাষচন্দ্র নিরস্ত হলেন বটে, সংবাদপত্রে বেরোলে। তার দীর্ঘ বিবৃতি তাতে তিনি প্রেসিডেণ্টের বিরুদ্ধে এই বলে অভিযোগও করলেন যে, প্রেসিডেন্ট তাকে বলতে দেননি পরদিন বিষয়নির্বাচনী সমিতির বৈঠকে বাংলার প্রতি- নিধিরা অন্তুপস্থিত ছিলেন | তখন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ক্লোজার মোশানের পর ব্যক্তিগত কৈফিয়ং থাকে বলতে দেওয়া যায়, বক্তৃতা

6৬

দিতে দেওয়া! যায়? তাও দিতাম, কিন্ত শ্রোতৃমহল থেকে আপত্তি করলে হ্যায়ত তা দিই কি করে?

স্বভাষচন্দ্রের ছোট বিবৃতিতে কি ছিল ?

বললেন, ছিল বিব্রত হতভম্ব, ঠিক যাকে বল! যায়,আউটউইটেড, তরুণদের একটি মৃছ নিক্ষল প্রতিবাদ |

সুভাষচন্দ্র বললেন, তার তরুণ বন্ধুরা তাকে অবস্থাটা পরিষ্কার করবার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা বুঝে উঠতে পারছেন না, এমন কি হল যে, দিল্লীর সবশেষ প্রস্তাব থেকে প্রবীণ নেতারা সরে এলেন? তাতে তে! সব্দলের সম্মতিই ছিল। তার অবশ্ঠ প্রবীণ নেতাদের প্রতিবন্ধক হবার কোন অভিপ্রায় নেই এবং সেজন্য তিনি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন না। ইত্যাদি

জিগগেস করলাম, তবে আর কি হল?

বললেন, আপাততঃ কিছুই হল ন1। প্রস্তাবটি ১১৮৪৫ ভোটে গৃহীত হয়ে গেল। বিষয় নির্বাচনী সমিতির বৈঠক ভালোয় ভালোন্ সমাপ্তির দিকে এগোলো কিন্ত যবনিকার অন্তরালে বিক্ষোভ ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে উঠছিল। তার একটা লক্ষণ প্রকাশ পেল যখন বাংলার প্রতিনিধির! প্রস্তাবটির বিরোধিতা করলেন ছু'ভাবে £ বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে নতুবা নিরপেক্ষ থেকে."

হঠাৎ মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল আপনি ? বলেই মনে হল, ঠিক হল না। কিন্তৃতিনিবিরক্ত হন নি; হেসে বললেন, নিরপেক্ষ, কেননা, আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গ্েছলাম। মারাঠী বরকে এবিষয়ে দিধা ছিল না; ওর! ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের পক্ষপাতী বলে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু নাটকের দৃশ্যান্তর হতে লাগল, সংবাদপত্রে সুভাষচন্দ্র বিবৃতি থেকে | বিষয় নির্বাচনী সমিতিতে আর কিছু করবার ছিলন1। সংবাদপত্রের বিবৃতিতে তিনি অনেক কথাই বলেছিলেন, কিন্তষে কথা কটি বড় হয়ে উঠল তাই উল্লেখ করছি। বলে রাখি, এতে জওহরলালের সেদিনকার ভাষপেরই

8৪

প্রতিধ্বনি রয়েছে, জওহরলাল নেই; কিন্তু তার কথা “রিলে? করলেন সুভাষচন্দ্র, অসন্তষ্ট বিদ্ষুন্ধ তরুণদের মুখপাত্ররূপে £

“055 91961 80069] 15 62৪6 ৪6 & 10036 016199] 10706019 10 001 101960:5 ০00 01091 198.0918 18959181197. 60 7189 6০0 (12৪ 00088100, 40661 609 09961) 01 1191%1191080 781 ৪00 6119 [10/0091 17 ভ12101) 1 ৮798 00081968006) 840 6119 11910709101068 9 11/00000জ7 800. 09551010079 809. ৪6 06179. 1018093) 91691 609 809901) 0৫ 1719 18991191005 609 19010, 9 ভা0]0 1198 6%:060%60. 001 19890618 60 169]0709 60 0109 86616009 01 6109 00591010906 110 9) 11661100 008/01)0 05 8001061706 & 1001100) 86009 010 8120. 09118176.৮

তরুণদের পক্ষে জওহরলাল পিছিয়ে যাওয়াতে স্ুভাষচন্দ্রকেই নেতৃত্ব নিতে হল; কিন্তু আমাদের মত কোন-না-কোন প্রবীণ নেতার অনুগামীদের হঠাৎ কোন তরুণ নেতৃত্বে নির্ভর কর! সম্ভব হয়- নি; তরুণদের পক্ষে জোরালে! অনেক যুক্তি সত্বেও পাকা খুঁটিগুলো ছাড়তে পারিনি সত্যি বলতে কি, স্বতন্থভাবে বিচ্ছিন্নভাবে নতুন : করে ভাবনার যথেষ্ট শক্তিও আমার মত মানুষের ছিল না।

তবে বিষয়নিবাচনী সমিতিতে হেরে যাওয়ার পর তরুণপক্ষে যখন একটা শূশ্যতার স্থষ্টি হয়েছিল তখন স্ুভাষচন্দ্রের আবির্ভাব সত্যি লক্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। কেননা, সুভাষচন্দ্র এক বিরাট রাজনৈতিক ঝুঁকি নিলেন; তিনি এই যে প্রবীণ রাজনীতিকদের অপ্রিয়ভাজন হলেন, আর কখনও তাদের স্নেহা শ্রয়ে তার পুনবণসন হয়নি, ক্রমশই দূর থেকে দূরে গিয়ে পড়তে লাগলেন। পক্ষান্তরে জওহরলালের প্রথম নতিম্বীকৃতি তাকে গান্ধীজীপ্রমুখ প্রবীণ নেতাদের নিকট থেকে নিকটতর করেছে ১৯২৮-এর কলকাতায় গান্ধীজীর মর্যাদার বিজয়ের পর পরবর্তাকালে জওহরলালের নেতৃত্বকে বারংবার সমুন্নত করে তুলেছেন গান্ধীজী। লাহোর কংগ্রেসের সভাপতিপদে জওহরলালকে বরণের পথ এই সময় থেকেই নিষ্ণ্টক করে চললেন গান্ধীজী এবং উপলক্ষ দেখ! দিক না-দিক। জওহর- লালের গুণকীর্তনে তিনি কিছুমাত্র কার্পণ্য করেননি একবার

৪৫.

এক ঘুবসম্প্রদায়ের সামনে ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে চীনাদের বীরত্ব গাথা গান্ধীজী বললেন, কিন্তু তোমাদের সামনেই তো রয়েছে ৃষ্টাত্তঃ বলেছিলেন, 21 16 60 21115 21016 2%721221 বাতাস, |

আর সুভাষচন্দ্র ? সেই যে ছক-বাধা-পথ স্থলিত হয়ে মূল্য গুণে দিতে লাগলেন, দেশাস্তরে ঘটনা-তাড়িত হয়ে, ছর্নামে-সুনামে তার পরিসমাপ্তি হল; অবিচ্ছিনন স্বদেশ-পুত্তলী হবার ভাগ্য তিনি হারালেন কলকাতা কংগ্রেসেই।

কিন্ত আর পিছোবার পথ নেই এবং সকলের পথ কুন্ুমাস্তীর্ণ থাকেও না।

সংবাদপত্রে বিবৃতির পর স্ুভাষচন্দ্রকে তাই প্রকাশ্য অধিবেশনে তরুণের বিদ্রেহ ঘোষণার বর্শাগ্র হতে হল। তিনি গান্ধীজীর ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রস্তাবে বিরোধিতা করে তুললেন এক সংশোধিত প্রস্তাব এবং এরই নাম স্বাধীনতা প্রস্তাব

আবার পাতা উপ্টে উল্টে ঠিক জায়গাটিতে স্থির হলেন এবং পড়তে লাগলেন ;

[076 002057958 881)6:98 6০ 6179 09019101॥ 04 0159 01901%8 00102798 06018911716 0012))19%8 171097081901709 609 109 6109 £0%] 01 01091000187 0090019 8100 18 01 0101101017 0096 01099 08 108 100 60০ [7990.0100. 621] 73161810 00077690610]. 1৪ ৪95990.

[176 001087959 8,0099]05 6109 29002010)910099610053 ০01 6199 [9100 01201716696 8৪ 8869. 60 15৮ 0118 1001000দ 411-12978185 90019:6009 10: 59081920910$ 01 09020000108] 01001910089. 11189 (00108985 9010578,0018699 6159 917 000010)166968 012. 612917 1080710610 1810009 8100. স্ব10119 16 0093 1006 8,0091)6 10010010107) 9690৪ ৪৪ 6109 109515 0: 6118 790902000017090. 02036160610 1৪ 01 00101010 6178 06108 790010100170961009 90106817090 170 229 76100: 00209615068 £690 ৪69] 6008 02001161081 8%059809 81005 দা161)006 00201001661106 16591 60 95910 09651]) £910915115 801070595 01 61910.”

লক্ষ করেছো বোধ হয়, সেই জওহ রলাল-প্রস্তাবেরই

৪৬

'পুনরাবৃত্তি। এই জন্যই বলেছি, যেন রিলে রেস, শুধু পার্থকা রিলে রেসে টিমটি থাকে অটুট এবং একজন আর একজনের হাতে তুলে দেয় এখানে একজনকার একটি পরিত্যক্ত বস্তু সাদরে তুলে নিয়ে আর একজন ছুটলেন, প্রথম ব্যক্তি মুছে গেলেন

আর সুভাষচন্দ্রও যে একটা ভাবের প্রতিভূ হিসাবেই প্রকাশ্য অধিবেশনের মঞ্চে এসে দাড়ালেন, ত। তার বক্তৃতাতেও প্রতিফলিত হল। 'তিনি ইংরেজীতে যা বলেছিলেন, তার বাংলার মর্মার্থ এই দাড়ায় £

“আমি যে সংশোধনী প্রস্তাবটি উত্থাপন করতে দাড়ালাম) এতেই পরিষফার বোঝা যায় যে, একটা মতদ্বৈধ__মৌলিক মতদ্বৈধ ঘটেছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে প্রবীন পন্থী নবীনশন্থীদের মধ্যে

আমি পরিক্ষার বলে দিয়েছি যে, আমি আপোষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করছি নে।

আপনারা হয়তো! ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, বাংলার ডেলিগেটরা, অন্তত তাদের অধিকাংশ, একত্র মিলিত হয়ে তাদের পক্ষ থেকে এই সংশোধনী প্রস্তাব তোলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সভায় যেরকম ভোটই পড়ক এবং তার পরিণতি ঘাই হোক তা! তারা মেনে নিতে প্রস্তুত হয়েছেন। আজ এখানে আমি যদিন। দাড়াতাম এই সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করতে, তবু আপনারা নিশ্চিত জানবেন; আর কেউ দাড়াতেনই এই কর্তব্য পালন করতে

ইপ্ডিপেণ্ডেন্স কর ইগ্ডিয়া লীগ এই সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমর। ধার! এই সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন সমর্থন কর্তব্য বলে মনে করছি তার! আন্তরিকতার সঙ্গে এইটিই অনুভব করছি, এক এমনই সন্ধিক্ষণ যে, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস বনাম স্বাধীনতা সম্পর্কে ভারতবর্ষে সত্যিকারের কি মানসিকত। বিরাজ করছে তা স্পষ্ট দ্যর্থহীন ভাষায় প্রকাশ করা দরকার | পক্ষান্তরে, আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? দেখতে পাচ্ছি, মাদ্রাজ-প্রস্তাবকে খর্ব করা

৪৭

হচ্ছে। আমাদের অনুভূতিকে ভাষা! দিয়ে আমর! বলতে চাইছি; না, আমরা স্বাধীনতার পতাকাকে এক দিনের জন্যও আনত হতে দিতে রাজি নই। |

আমি আপনাদের জিজ্ঞাপা করি, সত্যি করে বলুন তো? ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস পাবার সঙ্গত সম্ভাবনা আছে আপনার! বিশ্বাস করেন ? পণ্ডিত মতিলাল তার ভাষণে স্পষ্ট করেই বলেছেন যে, তিনি তা বিশ্বাস করেন না। তবে কেন আমরা আমাদের, পতাকাকে বারো! মাসের জন্য অবনমিত করতে যাচ্ছি?

হ্যা, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, এই স্বাধীনত। প্রস্তাব থেকেই বা আমরা কি পাচ্ছি? আমি বলব, পাচ্ছি, পাচ্ছি এক নতুন মানদিকত। |

সব লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে একটি বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন হয়েছে, আপনারও লক্ষ করেছেন।

“দেখুন, বাংলার কথা বলতে পারি, আপনারাও জ্ঞানেন যে এদেশে জাতীয় আন্দোলনের শৃচনাকাল থেকে আমর! বরাবর মুক্তি বলতে অথণ্ড পরিপূর্ণ স্বাধীনতাই বুঝে এসেছি? আমরা! কখনো তাকে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস বলে বুঝিনি স্বাধীনতার জন্য আমাদের দেশে অত জীবনোতসর্গের পর, আমাদের কবির! অধিনতাপাশ-মুক্তিকে বারংবার অথণ্ড পূর্ণ স্বাধীনতা বলে . শোনাবার পর আমাদের দেশের তরুণসমাজের কাছে ডোমিনিয়ান্‌ স্ট্যাটাসের লেশমাত্র আবেদন নেই |”

স্ভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাব বক্তব্যকে মাপ্রাজের সত্য- মুত্তি সমর্থন করলেন

শিবপ্রসাদ গুপ্ত গান্ধী-প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বললেন, রক্ত তর্পণই ঘদি করতে হয় তবে তা অখণ্ড পূর্ণ স্বাধীনতার জন্যই কর! হোক-_ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের জন্য নয়।

গোটা প্যা্ডেলটার ভেতরে কেমন একটা অনিশ্চয়তার স্তব্ধতা বিরাজ করতে লাগল ; হৃদয়ে হৃদয়ে দারুণ উৎকণ্ঠা তরুণের বিদ্রোহ»

9৮

প্রবীণদের মর্যাদার লড়াই, স্বাধীনতা তো! সংগ্রাম লড়াইয়ের ট্রফি, হাতের কাছে গান্ধীজীর অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব, নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব

রাত দশটা বেজে ২০ মিনিটে এল ঘড়ির কাটা। গান্ধীজী তুমুল হর্ধধ্বনির মধ্যে উঠলেন জবাব দিতে | মনে হল, তিনি তার নিজের দিধা কাটিয়ে উঠেছেন প্রবল বিশ্বাসের স্পর্শ এসে লাগল কংগ্রেস কমীদের মধ্যে তিনি বললেন, তিনি বিশেষ করে তরুণ- বাংলাকে উদ্দেশ করেই বলেছেন তিনি তার যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, “ডো মিনিয়ান স্ট্যাটাস স্বাধীনতার মধ্যে কোন বিরোধ নেই। তা'ছাড়া। এই দলিল (নেহরু রিপোর্ট ) কোথেকে উদগত হল? মাত্রাক্ত কংগ্রেস থেকেই তে! ? মাদ্রাজ কগ্রেসেই তো! একে গড়ল ? তবে? |

“এবিষয়ে সংশয়ের কোন অবকাশই নেই ষে,আমি এই যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছি তা আপোষ-মীমাংসারই ফসল। কেবল আমারই মস্তিকষপ্রন্থত নয় ; এর উদ্ভাবনায় অনেকে মাথ। ঘামিয়েছেন ; যতটা কর! সম্ভব ততটাই তুষ্ট করার চেষ্টা কর! হয়েছে অনেক পার্টিকে ।”

এতক্ষণ যে-গণ-মনসার ফন! বিচিত্র বাশির তানে একবার এদিক আর একবার ওদিক ছুলছিল তা যেন একদিকে স্থির হয়ে গেল। প্রেসিডেণ্ট মতিলাল নেহরু ছুই পক্ষের তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে স্ুভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাবটি ভোটে দিলেন। রাত সাড়ে এগারোটায় ভোট গণনা সুরু হল, তিনি চারজনকে গণনার কাজে নিয়োগ করা হল। বারোটা! বাজল, সাড়ে বারোটা বাজল, তারপর একটা গণনা শেষ। স্ুভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাবের অনুকূলে পড়েছে ৯৭৩ ভোট আর প্রতিকূলে ১৩৫০; ৩৭৭ ভোটের ফারাক বাংলার ভোটেরও এক তৃতীয়াংশ গেছে তার প্রতিকূলে, ছুই-তৃতীয়াংশের অথবা অধিকাংশের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এক-তৃতীয়াংশই অবশিষ্ট গান্ধী-ভারতের স্ুত্রবন্ধন বা! সেতুত্বরপ হয়ে রইল। অন্ত্র প্রদেশের ভোট ৫০টি পক্ষে তো ১০০টি বিপক্ষে, মাদ্রাজেও ৫০টি পক্ষে ১০৫টি বিপক্ষে, সেপ্টাল

৪৯.

| স্বাধীনতা---৪

প্রভিন্সে ৪৫1৫৬, কর্ণাটক ৩৯1৪৭, বোম্বে ৯/৪, যুক্তপ্রদেশ ১১২/২৬৭ সিন্ধু ৯/২০, ব্রহ্ম ১৪/২৮। মহারাষ্ট্র ১১/২৮, বিহার ৫৫/৩৬৫, পাগ্তাৰ ৮২/৭৯। বলতে গেলে 'বিহারই স্ভাষচন্দ্রকে হারিয়ে এবং

গান্ধীজীকে জিতিয়ে দিয়েছে। তিনি নিজেই প্রশ্ন করলেন? কলকাতা কংগ্রেসে এই যে

তরুণের বিদ্রোহ কি নিছক আকনম্মিক? অথবা সত্যি করেই প্রবীণের৷ স্বলিত হয়ে পড়ছেন ? তা কিন্তু আদে নয়; বরং এরকম মনে কর] ভুল হবে। কেননা, ভোটাভূটি বিশ্লেষণ করলে দেখা 'যাবেঃ এক বোস্বাই, পাঞ্জাব আর বাংল! বাদ দিলে, সর্বত্রই প্রতিকূল ভোটের সংখ্য। হয়েছে বেশি অন্ধ্র মাদ্রাজে তো দেড়গুণ বিহারে বছগুণ। বাংলা-বিহার ছু'টি প্রতিবেশী একেবারে বিপরীতমুখী

সার! ভারতের দৃষ্টিতে বলতে গেলে, পাঞ্জাবও নয়, বাংলারই এক বিশেষ মানসিকতা, যার জন্য তাকে অনেক দাম দিতে হয়েছে, অথচ এই মানসিকতার পোষকতাও সে করতে পারেনি, বিরাট এক সাম্প্রদায়িক লিভায়েখান তাকে পেছনে টেনে রেখেছে, মুষ্টিমেয় ভদ্র হিন্দু বিপ্লবীর কালচার কখনো সঞ্চারিত গ্রাহা হয়নি সমগ্র বাংলায়? ১৯০৫ শুধু নয়; দীর্ঘকালের সান্প্রদায়িক বিরোধ বাংলাদেশকে আছড়ে মেরেছে তবু ইতিহাসে দাগ আছে, সত্য দেশবন্ধুনগরেই সার! ভারত যুবকংগ্রেসের তৃতীয় বাৎসরিক মেলা বসেছিল ২৫-এ ডিসেম্বর--এঁ ১৯২৮-এই, প্রেসিডেন্ট ছিলেন কে. এফ. নরীম্যান পরবর্তীকালে প্রবীণদের হাতে এঁদের দু'জনেরই যে হেনস্তা হয়েছিল সেই কাটাগাছের বীজ পড়েছিল এসব যুবসম্মেলনেই |

অভ্যর্থন। সমিতির সভাপতিরূপে সুভাষচন্দ্র উপস্থিত যুবসন্প্র- দায়কে 17210021506 00০ 1২০00115 বলে সম্বোধন করেছিলেন তোমর! কথনে। শুনেছ কিন! জানিনে, সুভাষচন্দ্র এই যুবসম্মেলনেই সবরমতী আশ্রম পণ্তিচেরী আশ্রম সম্পর্কে কটাক্ষ করেছিলেন ছুঃসাহসের কাজ সন্দেহ নেই, তোমর1 একালে ভাবতেও পারবে না কি অপাধারণ চাঞ্চল্যের স্ষ্টি হয়েছিল সেকালে

তরুণেরা আর প্রবীণদের ওপর সবট। নির্ভর করতে পারছে না; তেমন রাগ ্প্টির কারণ না-ও হতে পারে কিন্তু একেবারে মূল ধরে টান?

সুভাষচন্দ্র এই দিয়ে কথাটা শুরু করেছিলেন যে, “ভারতের তরুণেরা আর প্রবীণ নেতাদের হাতে সকল দায়-দায়িত্ব অর্পণ করে নিশ্টেষ্ট, তাদের পাদমূলে জোড়হস্ত হয়ে বনে থাকতে অথবা মূক নিরীহ পশুর মত চালিত হতে চায় ন|।

তারপর পৃথিবীর অন্তান্য দেশে যুব-জাগরণের একটি চিত্র তুলে দিয়ে ভারতের মানচিত্রের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কি সেই মানচিত্রে ? বললেন

“আজ যখন আমি আমার চারদিকে তাকাই তখন ছৃ'টি আন্দোলন বা ছুটি চিন্তাধারা দেখে চমতকৃত হই আমি যতই ক্ষুত্র সামান্য হই, এদের সম্পর্কে আমার অভিমত খোলাখুলি নির্ভয়ে ব্যক্ত করা কর্তব্য মনে করি। আমি যে ছুই চিন্তাধারার কথা বলছি তাদের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে সবরমতী পণ্ডিচেরী। আমি এই ছুইচিস্তাধারার মৌলিক দর্শন সমীক্ষা করছি নে।”

বললেন, দর্শন তো! আমাদের দেশে বরাবর আছে। চলে আমছে। কিন্তু এখানে তিনি এই ছুই চিন্তাধারার ব্যবহারিক দিকটা! দেখতে চান__1 90911 910. 60 50৮. 23 ৪. 019009150

সবরমতাী আশ্রমের যে চিন্তাধার! তার প্রচারের প্রকৃত কল হচ্ছে এই এক ধারণা মনোভাবের স্থষ্টি যে, আধুনিকতা খারাপ, বৃহদায়তন উৎপাদনও অনিষ্টকর, অভাব বাড়ানো! উচিত নয় জীবন যাত্রার মান উন্নত করা উচিত নয়, আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে সেই গরুর গাড়ির কালে ফিরে যেতে এবং মন বাআত্মা এতই বড় যে ব্যায়াম ব৷ সামরিক শিক্ষণ অনায়াসেই:উপেক্ষা করা যেতে পারে

পণ্ডিচেরী আশ্রমের যে চিন্তাধার! প্রচারিত, এই ধারণ৷ মনোভাব সৃষ্টি করে যে প্রশান্ত ধ্যান-নিমগ্ন হওয়ার চাইতে উচ্চতর মহত্বর কিছু হতে পারে ন1।

৫১

এইসব প্রচারের ফলে অনেকেই ভুলে গেছেন বর্তমানকালে বিরামহীন নিঃস্বার্থ কর্ম দ্বারাই আত্মোন্নতি সম্ভব এবং প্রকৃতিকে জয় করার জন্য তার সঙ্গে সংগ্রাম করাই শ্রেষ্ঠ পথ।

নিছক দার্শনিক নয়, বাস্তব এই, যে-নিশ্চেষ্টতা এই ছুই আশ্রম জনসাধারণ্যে সঞ্চারিত করে চলেছে আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। আমর! যদি মুক্ত, সুখী মহত এক নবীন ভারতের স্থষ্টি করতে চাই, তবে আমাদের এসব অনুসরণ করলে চলবে না

“গরুর গাড়ির কাল চলে গেছে এবং গেছে চিরকালের জন্যই 1 সার! পৃথিবী যতক্ষণ সমগ্র অন্তর দিয়ে অস্ত্রবর্জন নীতি মেনে না নিচ্ছে, ততক্ষণ ভারতবর্ষকে যে-কোন অবস্থার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে ।”

অবশ্য একথাও বললেন, “আধুনিকতার আতিশয্যে অতীতের গৌরব ধার! ভুলে যান আমি তাদের দলে নই। অর্থাৎ, আমরা প্রাচীন সংস্কৃতি আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে চাই | একদিকে আমাদের যেমন--চল ফিরে বেদের কালে" শ্লোগানের প্রতিরোধ করতে হবে, তেমনি প্রতিরোধ করতে হবে আধুনিক ফ্যাসানের ; আধুনিক ইউরোগীয় অনুকরণের মন্ততাকে |

তুমি জানো নাঃ সত্য, সেকালে এই “তরুণের বিদ্রোহ" নিয়ে কি তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু শুধু বিদ্রোহই, ছুটি আশ্রমের কোনটিরই ক্ষতি হয়নিঃ বরং, আশ্চর্য, তাদের প্রভাব-প্রতিপনত্তি বেড়েছে, তরুণেরাও গ্রহণ করেনি এই বিদ্রোহকে | সবরমতী আশ্রমের প্রবীণ মহাত্মাই নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব করে গেছেন ভারতবর্ষে। গরুর গাড়ি আজও চলে, ওপর তলায় মাফিণী সভ্যতার হাওয়াই জাহাজ চলছে কিন্তু বৃহত্তম ভারতবর্ষ পড়ে আছে গরুর গাড়ির চাকার নিচে, অপরিমেয় দারিদ্রের কাদায়, কোটি, কোটি নিরন্ন মানুষ আজও শৃকরের পালের মতো জন্মায়, শীতে কুঁকড়ে মরে, নয়তে। বন্যায় প্লাবনে ভোবে। অথবা খরার ধুলোয় মুখ থুবড়ে পড়ে জুতো নেই, জাম নেই, দেহাব্রণ নেই, গরুর মতই নিরীহ আর সহিষু্। সে দেশেই তো৷ গরুর গাড়ির পাশে লাইমুসিন।

€২

চলতে পারে, মাটির বস্তি আর চৌদ্দতলা অট্টালিকা থাকতে পারে। স্মভাষচন্দ্রের বিদ্রোহ আজ শান্ত, নবরমতীয় আশ্রম আজও সত্য

কিন্তু সুভাষচন্দ্র সবরমতী আশ্রমকে এবং পরোক্ষে প্রবীণ '“মহাত্মার” নেতৃত্বের ওপর কটাক্ষ করলেন, এও স্ুভাষচন্দ্রের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনে তথা বাংলাদেশের পক্ষে কল্যাণবহ হল না। তোমায় বলেছি, ডোমিনিয়ান প্রস্তাব বনাম স্বাধীনতা প্রস্তাবের ব্যাপারে জওহরলাল যেখানে পিছিয়ে গেলেন, সুভাষচন্দ্র সেখানে এগিয়ে এলেন অধিকাংশ বাংলাকে নিয়ে--একেবারে মুখোমুখি কনফ্রণ্টেশন এবং তার আগে যুবকংগ্রেসে ইনভাইটমেন্ট। যেন ইচ্ছে করে ছুঃখের পথ বরণ করা

আমি মহাম্ব। হতে পারি কিন্তু ব্যক্তি তো৷ বটে, মানুষ তো বটে, হিংসা-দ্বেষ-স্সেহ-ভালবাসা-নিস্পৃহ কাল্পনিক ভগবান নই, ভাষায় যতই সংযম রক্ষার চেষ্টা করি, ভেতরের রক্ত টগবগ করেই ফলটা হল এই, মহাত্ম। অনুগত জওহরলালের জন্য সিংহদ্বারের শত কণ্টক উন্মুলন করে চললেন এবং সেগুলো এসে পড়তে লাগল স্থৃভাষচন্দর তথা তরুণ বাংলার চলার পথে আমর। নিঃসহায় অবস্থায় তা দেখে গেছি, পায়ের তলায় কাটা মাড়িয়ে যাবার মত রক্তাক্ত সাহস আমাদের ছিল না, স্ুভাষচন্দ্রের আশ্বাস সত্তেও মনে হত ওর পথ আমাদের অতীতকে ভূলে যাবার, হোক তা গরুর গাড়ির কালের চারদিকে তাই এক চরকা-তাত-মোটাখদ্দরের জাল বুনে চলেছি খালি পায়ে।

বললাম, আজও তো তাই আছেন

বললেন, আছি। সংস্কার। কিন্তু তাও নেই। সে বিশ্বাস গেছে, বিশ্বাসহীন কতকগুলে। উপকরণ আর আচার আছে, এবং আজ মোহমুক্ত দৃষ্টিতে সব ব্যাপার যেন বুঝতে পারছি তাইতো যে- ইতিহাসের মধ্য দিয়ে নিজে এসেছি, নিজেও তার অবিচ্ছ্ন্ অংশ ছিলাম কিন্তু দৃষ্টি ছিল না, আজ সেই ইতিহাসই নতুন করে পড়ছি 'এবং আশ্চর্য, নতুন মানে উঠে আসছে

বল৷ হয়নি, সুভাষচন্দ্র আর একটি অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন, দেশান্তরে ভবিষ্যৎ নেতাজী" স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের হিন্দৃহ্থান সেবাদল সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং কলকাতা ন্বেচ্ছাবাহিনী জেনারেল অফিসার কম্যাপ্ডি তখনই এই সংস্থাকে আরও মিলিটাণ্ট দেখার অভিলাষ ব্যক্ত করেছিলেন

ইঞ্ডিপেগুন্ন স্বর ইগিয্া লীগ

এই ১৯২৮-এর বছর। তার আরও পরিচয় ইণ্ডিপেগুন্স কর ইণ্ডিয়া লীগের প্রথম অধিবেশন দিলীতে ওরা নভেম্বর | এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন শ্রীনিবান আয়েঙ্গার, জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন সুভাষচন্দ্র পণ্তত জওহরলাল | যে কুডিজন সদন্ত নিয়ে সেপ্টাল কাউন্সিল বা কেন্দ্রীয় পরিষদ হয়েছিল তাতেও ছিলেন সুভাষ, নেহরু গণেশশক্কর বিদ্যার্থী, মৌলানা আবছুল বারি প্রমুখ স্বাধীনতা- সুচক সংশোধনী প্রস্তাব তুলে সুভাষচন্দ্র যে ইগ্ডিপেণ্ডেন্স ফর ইত্ডিয়], লীগের কথা উল্লেখ করেছিলেন তা এই। কিন্তু তার একজন জেনারেল সেক্রেটারী ভোমিনিয়ান দলে নাম লিখিয়ে ভারতের গোটা ভবিষ্ুং ইতিহাসেরই মোড় দিলেন ঘুরিয়ে

১৯২৮-এর এই নবজাতক ঝাঁপিয়ে পড়ল ১৯২৯-এ |

এনামেলের একট। ছোট্র থালায় খানিকটা মুড়ি আর তার ওপর চারটে নাড়ু এগিয়ে দিয়ে বললেন, খাও

আমি যেন চমকে উঠে বললাম, একি !

ছু'কড়ির মা দিয়ে গেছেন; ১৯৩০-এ জেলে গেছলেন, বোধ হয় সেই সুবাদে এই হতভাগার ওপর মায় মাঝে মাঝে এমনি দেন নানা ছুতোয়। সুতরাং ভয় নেই, আমার দারিব্রে খাবল! মারছ না তুমি। বলে হাসলেন। এত জোরে ওকে হাসতে দেখিনি আগে।

থালাট1] কোলে নিয়ে বসলাম।

বললেন, তুমি চিবোও। আমি বলি। হ্যাঃ সত্য, কালের কোলে"

৫৪

২৮ ২৯ বলে কোন দাগ, সীম। বা রেখা আছে? জানিনে। কিন্ত আমাদের সংস্কারে ওটি এমন সহজ হয়ে গেছে, অনুষ্ঠানের তারিখে তারিখে মহাকাল বা সময়কে এমন খণ্ড খণ্ড করেছি যে ভুলেই গেছি ওটা! প্রকৃত নয় | তবু আমরা এলাম অকিচ্ছিন্ন ইতিহাসের ?২৯-এ |

এই সীমাবদ্ধ কালের ঘটনাগুলো কিন্তু কালাতীত। পাকিস্তানের বীজ যেমন ১৯৪০--ই নয়ভার অনেক আগে নেহরু কমিটির হাল তোমায় বলেছি। ওর রিপোর্ট নিয়ে কংগ্রেসে দ্বন্দ হল। ভারতবর্ষের বিরাট এক নিস্পৃহ সম্প্রদায়ের মুখর ব্যক্তিরা পথাস্তরে সহধমীদের হাতছানি দ্িল। ভারতবধে রক্তাক্ত পরিণতির লক্ষণগুলো শতাব্দীব্যাগী তো বটেই; তারও বেশি

১৯২৯-এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দিল্লীতে মুসলমানদের এক সর্বদল সম্মেলন হয়; তাতে মৌলানা মহম্মদ আলি মুসলমানদের পৃ্ধক নির্বাচন-প্রথা সমর্থন করে হিন্দ-সংখ্যাধিক্যে এই বলে ভয় না পেতে পরামর্শ দেন ষে, অতীতে যত ধর্মযুদ্ধ হয়েছে তাতে দেখা গেছে, এক মুসলমান তিন কাফেরের সমবল ধারণ করেন এই বীরত্র্গাথায় অনুপ্রাণিত হয়েই কিনা বলতে পারব না? ৯ই এপ্রিল লাহোরে এক বইয়ের দোকানে, জনৈক মুসলিম বীর 'রঙ্গিলা রস্থলের' লেখক মহাশয় রাজপালকে হত্যা করল

স্বতরাং এই রাজনৈতিক অবস্থার ধাকফোোকর দিয়ে সাইমন কমিশন আনাগোনা করতে লাগল কমিশন এল কলকাতায় ১২ই জানুয়ারি মান্রাজে গেল ১৮ই ফেব্রুয়ারি, পেল বিরূপ অভ্যর্থনা ১৪ই মার্চ নাগপুরেতে সেই “দাইমন ফিরে যাও» আর কালো পতাক1।। ২৬-এ এপ্রিল খন লগুনে ফিরে গেল তখনও দেড়শ" ভারতীয় বিক্ষোভ জানালে হলে কিহবে? ভারতের ভালো করার স্বক্ষপে ২৩-এ ডিসেম্বর বেরোলে। সাইমন কমিশনের রিপোর্ট |

এসব কিন্তু ১৯২৯-এর পরিচয় নয় |

১৯২৯-এর পরিচয় সপ্তার্স হত্যাসম্পর্কে মীরাট ষড়যন্ত্র মামল। সম্পর্কে সারাভারত জুড়ে ব্যাপক গ্রেপ্তার | সপ্ার্স হত্য৷ সম্পর্কে

৫৫

শুধু তো নিধিচার ধরপাকড় নয়, নিগীড়ন নির্যাতন চলল ছাত্র 'জাতীয়তাবাদী কমীদের ওপর। গ্রেপ্তার, গৃহতল্লামি সংবাদপত্রের নিত্যনৈমিত্তিক খবর হয়ে দাড়ালো কলকাতা, বোম্বাই, মাদ্রাজ, লক্ষৌ। পুণা, এলাহাবাদ, টাদপুর, ঢাকায় শ্রমিক আন্বোলন-সংশ্লিষট কমীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে মীরাটে হাজির কর] হতে লাগল ধরবার পরও নিস্তার নেই, ট্রেনে, জেলে সর্বত্র হাত-কড়। এবং পাছে কেউ চেনে এজন্য মোটা বোরখায় জড়িয়েও চালান হল সন্দেহভাজনের, শ্বাসরোধ হয়ে মরণ আর কি! ডাঃ আন্সারী অন্যান্য নেতা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করলেন ৭ই জানুয়ারি

কলকাতায় বিলাতী কাপড়ের বহ,ৎসব উপলক্ষে গান্ধীজীও সদলে গ্রেপ্তার হলেন ৪ঠ। মার্চ। রামানন্দ চট্রোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হল সাগারল্যাণ্ডের ইপ্ডিয়ন ইন বগ্ডেজ' প্রকাশনার জন্য ১১ই আগস্ট নিখিল বঙ্গ নির্যাতিত রাজনৈতিক কর্মী দিবস পালন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করার জন্য সুভাষচন্দ্র অন্যান্য প্রাদেশিক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেপ্তার কর। হল ৩র! সেপ্টেম্বর ; এর নামেও হয়েছিল এক যড়যন্ত্র মামল। | সুভাষচন্দ্র প্রমুখ বাংলার কংগ্রেস নেতারা বখন ১৯২৯/৩০-এ লাহোর কংগ্রেসে তখনও এই ষড়যন্ত্র মামলার খড়ী ঝুলছিল।

এরই মধ্যে পেণ্টাল এসেম্বলির সভাকক্ষে পড়ল বোমা আর হিন্দুস্থান সোস্তালিস্ট রিপারিকান আগ্ির ইস্তাহার

বহচ্যুংসবের অপরাধে সদল গান্ধীজীর এক টাকা করে জরিমান| হল (২৭শে মার্চ)। কেন্দ্রীয় আইনসভায়, মানে সেন্টাল এসেম্বলিতে বোমা নিক্ষেপের দায়ে ভগৎ সিং বটুকেশ্বর দত্তের যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর হল ১২ই জুন; এদিনই মীরাট ষড়যন্ত্র মামলার শুনানী আরস্ত হল; সগ্ডার্গ হত্যা লাহোর ষড়যন্ত্র মামলারও আর্ত হল ১০ই জুলাই আর লাহোর জেলের ভেতরে চলল বন্দীদের মর্যাদার লড়াই--অনশন | রামানন্দ চ্যাটাজির হাজার টাকার জরিমান! অনাদায়ে চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হল।

তর্ক

মস্ত এক দাগ কেটে দিয়ে গেল যতীন্দ্রনাথ দাস; ৬৪ দিন 'অনশনের ফলে ১৩ই পেপ্টেম্বর তার অসামান্য জীবনাবসান হল। হাওড়া টাউন হল থেকে কেওড়াতল! শ্মশান পর্যন্ত যে ছু'মাইল ব্যাপী জন-মিছিল পথ-পরিক্রম! গেল ( ১৬ই সেপ্টেম্বর ) তার কথা তোমায় বোধ হয় বলেছি, হয়ত আবারও বলব, কেননা এই অসাধারণ জীবন- দানের কথা মনে পড়লে আমি আমার আবেগ সংযত করতে পারিনে।

এমনি এক মৃত্যু ঘটেছিল রেন্গুন জেলেও। গীতবর্ণ পরিচ্ছদ ধারণের দাবিতে ফুক্গি ইউ উইজায়া চার মাসের অনশনে প্রীণ বিদর্জন দিয়েছিলেন |

১৯২৯-এর আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটন। হচ্ছে, যেদিন সাইমন কমিশনের রিপোর্ট বেরোলো সেদিন বড়লাটের স্পেশ্যাল ট্রেনটি বোমায় উড়িয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছিল। ট্রেনটি দাক্ষিণাত্য থেকে আসছিল এবং নয়াদিল্লীর ছ'মাইল দূরে নিজামুদ্দিন স্টেশনের কাছাকাছি হয়েছিল ঘটনাটি কেউ আহত হয়নি। বোমাটাকে ছুট! রেলের মাঝখানে পুতে রাখা হয়েছিল আর স্টেশন থেকে তিনশ গজ দূরে একট! ব্যাটারীর সংলগ্ন ছিল লুকোনো! কেব্ল। বোমাটা ফাটে চার নম্বর কোচের নিচে, বড়লাটের স্তালুন আর ছুট! কোচ ছিল পেছনে |

ঘটনাটি এই কারণে উল্লেখযোগ্য যে, ১৯২৯/৩০-এর কংগ্রেসে এই সম্পর্কে গান্ধীজী উ্থাপিত একটি নিন্দাত্মক প্রস্তাব নিয়ে তুমুল বিতর্ক বিরোধের হ্যষ্টি হয়েছিল

জিগগেস করলাম £ ১৯২৮-এর ভোমিনিয়ান প্রন্তাবটির কি হল ?

বললেন, বলছি। কিন্তু ১৯২৯-এর আরও কিছু পরিচয় আছে। তার ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে এই কারণে যে, বিচিত্র মানসিকতার মধ্যে যে রাজনৈতিক ছন্দ একটা বিশেষ পরিণতির দিকে এগোচ্ছিল তার বাহন ছিল এগুলোই |

একটু থেমে কাগজপত্রের দিকে তাকিয়ে কিষেন ভাবলেন, তারপর বললেন £

€৭্‌

ফেব্রুয়ারি মাসের ন'তারিখে পাবনায় এক যুব-সন্মেলন হয়েছিল ; সেখানেও সুভাষচন্দ্র এক নতুন সমাজ নতুন জাতি গঠনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি আর এক উপলক্ষে বিল্লাতী কাপড় বর্জনের আর পাট চাষ হাসের আবেদন জানিয়েছিলেন সত্য, মনে রেখো, এই পাট বাংলা-বাঙ্গালীর জীবনে এক অভিশাপরূপে এসেছিল? চলে এসেছে এবং আজ স্বাধীনতার পরও চলছে, তোমায় বলব

যশে।র জেলা সম্মেলনেও সুভাষচন্দ্র সংশ্লিষ্ট সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, মাইমন কমিশন নিয়োগের পর থেকে এই যে নিষ্ঠুর সরকারের গীড়ন-নীতি চলছে তা শান্তিপূর্ণ বৈধ আন্দোলন লক্ষ্য করেই প্রয়োগ করা হচ্ছে।

মেপ্টাল প্রভিন্সের যুব-সম্মেলনেও সভাপতি হয়ে ছিলেন স্ভাযচন্ত্র (২৯ নভেম্বর ); ডিসেম্বরের ছুই তারিখে সেখানে যে ছাত্র-সম্মেলন হয় তারও সভাপতিত্ব করেন স্থভাষচন্দ্র |

সুতরাং আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে তরুণ ভারত বিদ্রোহী তারুণ্য- কেই অনুসরণ করে চলেছে। কিন্তু তরুণেরা যে কত শক্তিশালী তা কেবল কার্ষকালেই প্রতিপন্ন হয়েছে। না? শুধু ১৯২৯/৩-এর কংগ্রেসেই নয়, ১৯২৯-এর নূচন। থেকেও “ধীরে বয়ে গেছে ভন?

২৯-এ জানুয়ারি লেজিসলেটিভ কাউন্সিল উদ্বোধন করতে গিয়ে বড়লাট যথারীতি এক দীর্ঘ নীতিগত ব্তৃত৷ দেন। তার ক্ষুদ্র চুম্বক হচ্ছে এই যে, [)9018:8001 06 1917 52105 85 501610]) [31506০ 06 7311051) 090019 00 [10019.

নেহরু রিপোর্ট তাদের দৃষ্টিগোচর অথবা কর্ণগোচর হয়েছে কিনা

তার আভাসমাত্র নেই। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি পণ্ডিত মতিলাল নেহরু বললেন।_

আপোষ আলোচনার পথ রুদ্ধ হয়নি

[119 000: 01 109£0618610109 19 106 010990.. 0179:9 19 8101019'

61106 10 196 8%:0118/769 ০0: 01011)100 01) (66109 10000071016 60 ৪11) [01051090519 'ম11] 10: ৪001) &। (299 95:0108,089 13 (11619,

স্বতরাং এখনও সময় হয়নি “নিকট বখন“বাধন ছি'ড়িতে হবে|”

৫৮

উর

প্রেসিডেন্টেন্স চা-পা্টি

১৯-এ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট প্যাটেল বড়লাটকে এক চা-পার্টি দিলেন এবং তাতে গ্রান্ধীজী অন্যান্ত দলনেতাকেও আমন্ত্রণ করলেন আলোচনা কঠিন গোপনতার বেষ্টনীতে আড়াল করা! হল, কিন্তু আলোচনার প্রকৃতি বিষয় যে চা ব৷ স্ন্যাক্সের ভালমন্ন বিচার নয়, রাজনৈতিক--এবং তাও কলকাতা কংগ্রেসের ইতিকথা এবং বোস্বাইয়ের সাম্প্রদায়িক দালা। তা' মোটামুটি জান! গেল। শেষেরটা বরাবরের মত কংগ্রেসকে ঘায়েল করার হাতিয়ার |

এরপর ১১ই আগস্ট তেমনি এক গোপন বৈঠক হল। গান্ধীজী, জিন্নাজী এবং আলিভাইদের | প্রযোজনা করেছিলেন শ্রীমতী মরোজিনী নাইড়ু। বোম্বাইয়ে। উদ্দেশ্-_নেহরু রিপোর্টকে এমন- ভাবে সংশোধন করা যাতে তা সব মুসলমানের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। অর্থাৎ স্পষ্টই বোঝ! যায়। বড়লাটের ছুইচোখে যে বোস্বাই- য়ের রক্চক্ষু ফুটে উঠেছিল তার ফল ফলতে শুরু করল। এত ভারতীয় রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি অথবা বিভ্রান্তির এক মস্ত কলকাঠি। আমর! বরাবর এজন্য ইংরেজকে ছুষেছি, আবার ইংরেজের সাহচর্ষেই ফয়সালার ময়দানে নেমেছি।

লোকে বলে বটে ইতিহাসের শিক্ষা, কিন্তু কোনকালেই কেউই ব্যক্তিগতভাবেও নয়। জাতিগতভাবেও নয়, ইতিহাসের শিক্ষ। নেয়নি, নেয় না। সুতরাং আপন গ্রতিতেই ১লা! নবেম্বর বড়লাটের ঘোষণাকে উপলক্ষ করে দিল্লীতে হল এক নেতৃসম্মেলন। গান্ধীজী চারটি শর্তে সাক্ষাতে রাজি হলেন | অর্থাৎ যদি চারটি শর্ত পূরণ করা হয়। পরদিন ২র| নবেম্বর ভারতীয় নেতৃবৃন্দ বড়লাট-প্রস্তাবিত গ্লোলটেবিল বৈঠক সম্পর্কে এক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এলেন এবং তাই হল প্রস্তাবের জবাব।

বড়লাটের ঘোষণ| নিয়ে ইংলগ্ডের লর্ডদ সভা কমন্স সভায়

€উ

৭ই ডিসেম্বরে যে চুলচের! বিতর্ক হয়েছিল তাতে এই স্থুল কথাটিই পুনরুচ্চারিত হল যে, বড়লাটের বিবৃতিটি ১৯১৭ ্রীষ্টাবের ঘোষণারই পুনরাবৃত্তি মাত্র ; কমন্স সভায় ওটাকে ফাকা আওয়াজ বলেই বর্ণন! কর! হল।

ড়ভ্লাভেল্স ডাক্ষে নেতৃন্ত্রন্ছগ

ভারতীয় রাজনীতিকের! হাল ছাড়লেন না; তার। এলাহাবাদে এক সম্মেলন ডাকলেন পার্লামেন্টে সরকারী মুখপাত্রের বিবৃতি এবং মিঃ বলডুইনের প্রশ্রের মিঃ র্যামজে ম্যাকভোনাল্ড যে জবাব দেন তার পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থাটা পর্যালোচন! এবং দরকার হলে দিল্লী ম্যানিফেস্টোটির পরিবর্তন সাধনের জন্য | র্যামজে ম্যাকডোনাল্ড স্পষ্ট করেই বলেছেন, ভারত সম্পর্কে বুটিশ নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি তো! সম্মেলনে তারা একটি প্রস্তাবক্রমে স্থির করলেন যে, তার! দিল্লী ম্যানিফেস্টোটিই আকড়ে থাকবেন এবং আশা করবেন ষে, বৃটিশ সরকার শিগগিরই এতে সাড়। দেবেন

সুভাষচন্দ্র বড়লাটের ডাকে যাননি এবং দিল্লী ম্যানিফেস্টোর কেউ নন বলে লগুন কংগ্রেস কমিটি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এক প্রস্তাবে বললেন, সুভাষচন্দ্র বড়লাটের ঘোষণা! দিল্লী ম্যানিফেস্টোয় পূর্ব- পরিকল্পিত ফাদটি দেখতে পেয়ে দূরৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন প্রস্তাবে তাকে অনুরোধ করা হল তিনি যেন লাহোর কংগ্রেসে পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে পেছপা ন! হন।

ভারতীয় রাজনীতির আর একটা দিকও তোমায় খেয়াল রাখতে বলি। ১৯২৮-এর কলকাতা! কংগ্রেসে তোমায় বলেছি ? -__লিলুয়া কারখানার, বিহার কিষাণ সভার ২০০০* চাষী-মজুর চত্বরে বন্যার মতে। ঢুকে গ্রেছল? প্যাণ্ডেলের বাইরেই তাদের সম্বোধন করে নেতার! বক্তৃতা দেন ; কিন্তু তাতেও হয়নি, প্যাণ্ডেলে বসেই আর এক সভা করে তার! শান্ত হয়। বৃহৎ শিল্প কারখান! উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আর একটা শক্তিও জাগছে, সেদিন তারই

৬৩

জানান দিয়ে গেছেল ওরা! মীরাট ষড়যন্ত্র উপলক্ষে শ্রমিক নেতাদের গ্লেণ্তার করে ভারত সরকার যে মতলবই হাসিল করে থাক তাতে শক্তি যে আর উপেক্ষার নয় তারই পরিচয় পাওয়া ঘায়। এবং পরিচয় ওর! ভালভাবেই দিল ১৯২৯-এর ২৬-এ এপ্রিল। বোম্বাইয়ের ৬৭টি কাপড়কলের দেড়লক্ষ শ্রমিক ধর্মঘট করে বসল। গিরনি কামদার ইউনিয়ানের অধিকাংশ নেতাকেই মীরাট ষড়যন্ত্র মামল! সম্পর্কে গ্রেপ্তার কর! হয়েছিল

পর্স্ত ভাল-__-ওদের সংহতির দিক থেকে কিন্ত নাগপুরে অল ইতিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস বসলে দেখা গেল মস্ত বড় ফাটল দেখা দিয়েছে ওদের মধ্যে নাগপুরে এই অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন জওহরলাল ২৪টি ইউনিয়ন এই কেন্দ্রীয় সংস্থার সংশ্রাব এই বলে বর্জন করল যে, এতে যার] সংখ্যাগরিষ্ঠ অথব। প্রাধান্য লাভ করেছেন তাদের নীতি শ্রমিক শ্রেণীর প্রকৃত স্বার্থের বিরোধী যারা সব ইউনিয়ন ছেড়ে গেল তাদের নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হচ্ছে এন. এম. যোশী, দেওয়ান চমনলাল, ভি. ভি. গিরি, বি. শিব. রাও।

বাংলাদেশে ছাত্র-আন্দোলনও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেল। ণই ডিসেম্বর এক প্রতিদন্দী ছাত্র সংগঠন দেখা! দিল।

খুব লক্ষ্য করলে দেখা যায় ভারত সরকার কংগ্রেসকে নিয়ে খুব বেশি বিব্রত বোধ করছিলেন না, তার কথ ধীরে স্স্থে কর্ণপাত করলেও চলবে এই মনোভাব নিয়ে কখনও কখনও ওদের ডেকে পুরোনে। কথাট! শুনিয়ে দিয়েছেন ; কিন্তু যে আন্দোলন, বিক্ষোভ বিদ্রোহ কংগ্রেস মঞ্চেও স্বীকৃতি পায়নি তাই নিয়ে বিব্রত তৎপর হয়ে পড়ছিলেন। সপ্তার্গ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা) মীরা যড়যন্ত মামলা? এসেম্বলিতে বোম। বিস্ফৌরণ মামল' কলকাতায় স্ুভাষচন্দ্র- প্রমুখকে জড়িয়ে রাজদ্রোহ মামলা, যতীন্দ্রনাথ দাশের মৃত্যু, শ্রমিক আন্দোলন ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, যুব-আন্দোলন। ছাক্রঞ্মান্দোলন স্বাধীনতা সম্মেলন প্রভৃতি সরকার পক্ষকে অতিমাত্রায় তৎপর করে

৬১

তুলেছিল আইনের ভাগ্ারে যে মজুত আয়ুধ আছে তাতে বেন কুলোচ্ছিল না, তাই আইনসভায় এনেছিলেন পার্ক সেফটি বিল। প্রেসিভেণ্ট ভি. জে. প্যাটেল প্রস্তাব করলেন মীরাট ষড়যন্ত্র মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়। পর্যন্ত ওটি মুলতুবী থাক। ভারত সরকার প্রস্তাব মানতে চাইলেন না। (এপ্রিল ৪) তখন প্রেসিডেন্ট প্যাটেল সুস্পষ্ট রুলিং দিলেন যে, সরকারী বিবৃতি প্রেসিডেন্টের অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে এবং তার মর্ধাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে, অতএব তিনি পারিক সেফটি বিলকে বিধি-বহিভূ্ত বলে ঘোষণা করছেন। বড়লাটও সঙ্গে সঙ্গে অন্ডিনান্স জারি করে পার্রিক সেফটি বিলটি কার্যত বলবৎ করলেন ভারত সরকার সেখানেই ক্ষান্ত হলেন না, আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হাসেও হাত দিলেন

কেবল অবিচ্ছিন্ন গুরুগম্ভীর ঘটনাই নয়, মাঝে মাঝে প্রহসনও ঘটে এবং তাই ঘটেছিল ১৯২৯-এর ৯ই মে মীরাট যড়ঘন্ত্র মামলার মঞ্চ যখন তৈরি তখন এদিন মীরাটে হঠাৎ সাজ সাজ রব পড়ে গেল, মীরাট শৃহরের এক অভূতপূর্ব চেহারা সর্বত্র সৈম্ত পুলিশের পদচারণা | কড়া দৃষ্টিপাত না করে কাউকে শহরে আসতেও দেওয়! হচ্ছে না। কোন শহর অবরোধ করলে যা হয় তাই। শহরের বাসিন্দা নবাগতদের পক্ষে অবস্থাটা মোটেই স্বস্তিকর ছিল না থমথমে গমগমে ভাব।

পরে জান গেল, বৃটিশ রাজপুরুষের। গুজবে কান দিয়েছিলেন, ন্নায়ূভঙ্গে তার এই আশঙ্কা করেছিলেন যে, ১৮৫৭ ্রীষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দে ১০ই মে মীরাটে অভ্যুত্থান হয়েছিল

গ্রেপ্তার আনল গ্রেণ্ডান্স

' বোম্বাই বা কলকাতা ছেড়ে মীরাটেই যে সর্বভারতীয় মামলাটি হল তা! কিন্ট্রুরহস্তময়। একটা মাত্র যুক্তি পাওয়া যায় ; ধৃত ব্যক্তিদের জুরী বিচার থেকে বঞ্চিত করা; বোম্বাই বা কলকাতায় তা' দিতে

৬২

হয়। তবুসে যুক্তি সবট! টেকে না; আসামীদের মধ্যে বৃটিশ নাগরিকও ছিলেন

১৯২৯-এর ২০এ মার্চ বিরাট এক জাল ফেলেছিলেন ভারত সরকার ; কোন্‌ এক গোয়েন্দা নাকি খবর দিয়েছিল যে, মস্ত এক আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র চলেছে, সোভিয়েট রুশিয়ার তাবেদার এক সরকার গঠনের জন্ত চেষ্টা চলেছে তলে তলে। স্বৃতরাং ব্যাপক গ্রেপ্তার তল্লাশী চলল, বাড়িঘর সংবাদপত্র-অফিস কিছু বাদ পড়ল না। লক্ষ্যটা কম্যুনিস্টদের ধরা, কিন্তু ধরা পড়লেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসকর্মী, শ্রমিক-নেতা যুবলীগ সদস্তদেরও কেউ কেউ।

ওঁদের মধ্যে আটজন ছিলেন এ. আই. সি. সি. সদস্ত £ ভাঃ বিশ্বনাথ মুখাজি, ডি. জে. থেউদি, কেদারনাথ সায়গল, সোহন সিংঘি যোশী, কে. এল. যোগলেকর, আর. এস. নিম্বকর, এস. এ. ভাঙ্গে, মুজফফর (আহমেদ ।আর ছিলেন বেঙ্গল ফেডারেশন অব লেবারের কিশো রীলাল ঘোষ।

একট বই দেখে পড়ছিলেন। বললেন, বাংল আর বোম্বাইয়েরই বেশি। বাংলার ছিলেন__কিশোরীলাল ঘোষ, গোপাল বসাক, গোপেন্দ্র চক্রবতাঁ, ধরণী গোস্বামী, শিবনাথ ব্যানাজজি, ফিলিপ প্রাট, অযোধ্যা প্রমাদ মুজফফর আহমেদ, সামসুল হুদা, রাধারমণ মিত্র। বোম্বাইয়ের ছিলেন__এস. ভি. ঘাটে, এস. এইচ.ঝাবওয়!লা, এস.এস. মিরাজকর, জি. এম. অধিকারী, ডি. জে. থেউদি, কে. এন. যোগলেকর আর. এস. নিম্বকর, এস. এ. ভাঙ্গে? সৌকৎ উসমানী,বি. এফ. ব্রাডলে, এম. জি. দেশাই। এ. আলভে, জি. আর. কাললে ; যুক্ত প্রদেশের _ ডাঃ বিশ্বনাথ মুখাজি, পূরণ টাদ যোশী, গৌরীশঙ্কর, ধরমবীর সিংখী, এল. আর. কদম ; পাপ্তাবের__কেদার নাথ সাইগল; আবছুল মজিদ, 'সোহন সিং যোশ।

বিপজ্জনক জ্ঞানে এঁদের অনেককেই ট্রেনে নিয়ে যাওয়ার সময় জেলের সেলে রেখেও হাতকড়া দেওয়া হয়েছিল খাছ্ঞ্বরাদ্দ পাচ 'আনা | এদের গ্রেপ্তার উপলক্ষে এই যে, এত তল্লাশি হল তাতে গাড়ি

৬ও

গাড়ি বই আর কাগজপত্র উদ্ধার কর! হল। ইংরেজি কবিতার বই; সাউদের কবিতার বই পেলে আর রক্ষা নেই। কথা উঠেছিল, 1,28602 4১5911756 [101)21:1811517) নাকি কম্যুনিস্ট। ইণ্টারন্তাশনাল নিয়ন্ত্রিত তারই অধীন

কেন্দ্রীয় আইনসভায় এই নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এসেছিল? প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করেছিলেন, কিন্তু বড়লাটের হস্তক্ষেপে তা নাকচ হয়ে যায়। প্রাদেশিক আইনসভাগুলোতেও তোলবার চেষ্টা হয়েছিল, গবর্নরদের হস্তক্ষেপে সেগুলোও নাকচ হয়ে যায়|

২রা ওর] মে আরও কিছু গ্রেপ্তার হল। তার! হলেন মুনীশ্বর প্রসাদ অবস্তি, শৈলেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী, এ. কে. ঘোষ, বীরেন্দ্র পাণ্ডে, মহাবীর প্রসাদ পাণ্ডে রামগোপাল শুরু, জে. এন. দাশগপ্ত, অনিল চন্দ্র মুখাজি, নর সিংহ দত্ত শর্মা) হংসরাজ ভোর দেশরাজ | তারপর ডাঃ সত্য পাল এইচ. এল. হাচিনসন |

১২ই মে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হতেই দশদিনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায়; তারপর ২৫তারিখ অবধি শুনানী চলে চারদিন নিলেন সরকার পক্ষের কৌন্ুুলী তার উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করতে মনে হল এটি উপলক্ষ, লক্ষ্য হচ্ছে সোভিয়েট রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ | সব চাইতে চোখে পড়ার মতে। হল ডিরেক্টুর অব গবর্ণমেন্ট পার্রিসিটির উপস্থিতি; তিনি স্বয়ং প্রচারকার্ধের। তদারক ব্যবস্থাপনার ভার নিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রশ্নটি উত্থাপিত হওয়ায় জান। গেল; ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের অন্তর্গত ইণ্টেলিজেন্ন ব্যুরোর ডিরেক্টর এইচ. হর্টন এই মর্মে এক রিপোর্ট পেশ করেন £

(১) রুশিয়াতে একটা সংস্থা আছে তার নাম কম্যুনিস্ট ইণ্টার- ম্যাশনাল | এই সংস্থার লক্ষ্য পৃথিবীতে যত গবর্মমেন্ট আছে সশক্তর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তাদের উচ্ছেদ সাধন এবং তাদের জায়গায় মস্কোতে সৌভিয়েট নিয়ন্ত্রণ শাসনাধীন সোভিয়েট রিপার্রিক প্রতিষ্ঠা

(২) কমুনিস্ট ইণ্টারন্তাশনাল নানা কমিটিঃ শাখা ও. সংগঠনের মাধ্যমে এর কাজ প্রচার চালায় ; সব কমিটি, শাখা সংগঠনগুলো! ওর সাক্ষাৎ তত্বাবধানে অথবা প্রাচ্য ওপনিবেশিক ব্যাপার সংক্রান্ত সাব-কমিটি, গ্রেট বৃটেনের কম্যুনিস্ট পার্টি, রেড ইন্টার ন্যাশনাল অব লেবার ইউনিয়নন, প্যান প্যা্িফিক ট্রেড ইউনিয়ন, লীগ এগেন্স্ট ইমপিরিয়ালিজম, ইয়ং কম্মুনিস্ট লীগ অন্যান্ঠ সংস্থা মারফৎ কাজ করে থাকে

(৩) এই কম্যুনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের চরম লক্ষ্য হচ্ছে (ভারত- বর্ষ সহ) সশস্ত্র অভ্যু্থান ঘটিয়ে প্রত্যেক দেশের বর্তমান সরকার গুলোকে সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া তাদের উচ্ছেদসাধন করা। এই উদ্দেশ্টে একটি কার্ধস্থচী রচনা কর! হয়েছে, লক্ষ্যে উপনীত হবার জন্য তাই অনুসরণ কর] হবে। যে পব পদ্ধতি বলা হয়েছে তার মধ্যে আছে (ক) পুশ্জিপতি শ্রমিকশ্রেণীর মধ্যে বিরোধের প্ররোচন। ; খে) কৃষক মজছুর পার্টি? ইয়ুথ লীগ ইউনিয়ন প্রভৃতি সংগঠন__ আপাত দৃষ্টিতে এদের উদ্দেশ্য হবে সংস্থা সদস্তদের কল্যাণ; কিন্ত আসলে সেগুলে! হবে প্রচারের বাহন, কমুানিস্ট ইন্টারন্যাশনা- লের লক্ষ্য পূরণে সব পার্টিতে কমুমনিস্ট আধিপত্য বিস্তার, একই কম্যুনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের অধীন ওগুলোকে একীভূত কর1? (গ) ট্রেভ ইউনিয়নে, জাতীয়তাবাদী সংস্থায় অন্তান্য প্রতিষ্ঠানে কম্যুনিস্ট নিউক্লিয়াস স্থাপন করা- উদ্দেশ্য হবে ওগুলো! অধিকার কর! অথবা কম্যুনিস্ট ইণ্টারন্তাশনালের ন্যার্থে ওদের সমর্থন লাভ; (খ) ধর্মঘট, হরতাল বিক্ষোভের মাত্র! বাড়িয়ে যাওয়া ; (ড) বক্তৃতা, সাহিত্য, সংবাদপত্র, রুশ বিপ্লব সংশ্লিষ্ট উপলক্ষ উত্থাপন প্রভৃতি এবং (5) সরকার-বিরোধী ঘে কোন আন্দোলনের সদ্যবহার তাতে উৎসাহদান।

0) ১৯২১ খৃষ্টাব্দে এই কম্যুনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্থির করে যে, বৃটিশ ভারতে একটি শাখা সংগঠন স্থাপন করতে হবে এবং আসামী শ্রীপদ অমৃত ভাঙে, সৌকৎ উসমানি মুজফ্ফর আহমেদ আরও,

৬৫

স্বাধীনতা-

কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে মিলে বৃটিশ ভারতে সঘরাটকে তার সার্বভৌমাধিকার থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেস্টে এমন একটি শাখা সংগঠনে প্রবৃত্ত হয়।

(৫) এবং এই উদ্দেশ্টেই স্প্রাট ব্রাডলিকে ভারতবর্ষে পাঠানো! হয়েছে। ইতাদি ইত্যাদি

সীক্পাউ অড়ুমব্র্র মামলা

স্পেশ্ঠটাল ম্যাজিস্ট্রেট মিলনার হোয়াইটের সামনে মামলা শুরু হল; সরকার পক্ষে ল্যাংফোড? জেমস, আসামী পক্ষে কে. এফ. নরী- ম্যান প্রমুখ কয়েকজন

সরকার পক্ষের কৌস্বুলী দীর্ঘ এক বক্তৃতার আরস্তে এই বলতে চাইলেন যে, আসামীদের লক্ষ্য যে বিপ্লব তাদের “বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক? এই শ্লোগানেই পরিষ্কার প্রতিপন্ন হচ্ছে

শুনে অধিকাংশ বন্দী বলে উঠলেন, ঠিক ঠিক।

ল্যাংফোর্ড জেমস বললেন, জাতীয়তাবাদীরা ভারতের স্বরাজ লাভের জন্য আকাজিক্ষিত, আঃ এ'দের উদ্দেশে আসামীদের কি ঘুণ। ! ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে বিপথ-চালিত বৃর্জোয়৷ সংস্থা! বলে কলহ্কিত কর] হয়েছে; আসামীদের লক্ষ্য ছিল এটিকে দখল কর। এর মতান্তর ঘটানো নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে এদের অভিমত হচ্ছে £ মতিলাল নেহরু-_ভয়ঙ্কর দেশপ্রেমিক (021601005 70820:106) ; জওহরলাল স্বল্লোঞ্চ সংস্কারপন্থী (65010 1660100150 ; সুভাষচন্দ্র বন বুর্জোয়া স্বার্থন্ধানী (009:£60156 2100 10010:003 ০81621150, মিঃ গান্ধী__কিস্তৃংকিমাকার প্রতিক্রিয়া শীল (:055086 12206101791) |

আসামীরা! কখনো হেসে গড়িয়ে পড়ে, কখনে! চুপ করে থেকে জ্যাংকোর্ড জেমসের অভিযোগ-তালিকা উপভোগ করতে লাগলেন |

ল্যাংফোর্ড জেমস বললেন, কম্যনিস্টদের মতে জাতীয়তাবাদীদের 'আদর্শ__0900616595 আ£008. আর কম্যুনিস্টরা॥ নিরপরাধ হতে

পারে, অপরাধী হতে পারে, কিন্তু জাতীয়তাবাদী কিছুতেই নয় এই আসামীদের প্রত্যেকে, আমি বলছি, জাতীয়তা-বিরোধী। ধরঁদের উদ্দেশ্য ছিল মিঃ স্ট্যালিনের গবর্মমেণ্টকে হিজ ম্যাজেস্টিস গবর্নমেন্টের স্থলাভিষিক্ত করা বস্তুত, আমাদের অভিযোগই এই পুরা বলশেভিক, এদের আদর্শ বলশেভিক এবং এরা ভারতবর্ষে রুশিয়ার অনুরূপ শাসন প্রবর্তনে সচেষ্ট

বলশেভিক বলতে কি বোঝায়, ল্যাংফোর্ড জেমস তাও বললেন নিফলঙ্ক বলশেভিক চরিত্র হচ্ছে তৃমি তোমার দেশকে ভালোবালবে না, তুমি হবে স্বদেশপ্রোহী, ভগবানে অবিশ্বাসী, পরিবার-নিষ্পৃহ। এক কথায় তুমি হবে সবকিছুর বিরোধী তোমার মতের সঙ্গে যার মিল নেই তাকে তুমি নিক্ষরুণভাবে ঘ্বণ! করবে।

ল্যাংফোর্ড জেমসের মতে যে-কোন মানুষ যে-কোন অভিমত পোষণ করতে পারে, কিন্তু বলশেভিজম তে শুধু জীবন-দর্শন নয়, জীবন-প্রণালীও বটে।

ইত্যাদি ভূমিকার পর [ল্যাংফোর্ড রুশ বিপ্লবের ইতিবৃত্ত বর্ণন! করে গেলেন, “এ বি সি অব কম্যুনিজম' বইটির কথ! উল্লেখ করলেন, বৃটিশ কমুনিস্ট পার্টির সঙ্গে এদের সংশ্রবের কথ! বললেন, আর বললেন স্প্রাটের ওয়ার্কার্স এণ্ড পেজেণ্টস পার্টির কথা, স্প্রাটের বিদেশের কম্যুনিস্টদের পত্রালাপের কথা; তারপর ব্রাডলি হাচিনসনের আগমনের কথা | বললেন, উসমানি __নাসিম, সফিক আলিসানের সঙ্গে মিলে মস্কোর প্রিসিভিয়ামে ঘোগ দিয়েছিলেন

১৯২৮-এর ডিসেম্বরে প্রথম নিখিল ভারত কৃষক-মজুর সম্মেলনে সোহন সিং যোশ সভাপতিত্ব করেন। সভাপতি হিসেবে তিনি যে বক্তৃতা দেন ল্যাংফোর্ড জেমস তাই থেকে কিছু কিছু পড়েন। তাতে তিনি দেখান, যোশ বলেছিলেন, কৌশল হিসেবে এখন তার! অহিংসানীতির প্রয়োজনীয়ত। অস্বীকার করেন 'নাঃ কিন্তু সকল সময় এবং সর্ব অবস্থায়ই নীতি "অনুসরণের 'প্রয়োজন নেই। তার মতে অহিংসার জন্যই অসহযোগ আন্দোলন

৬৭

ব্যর্থ হয়েছে তিনি বিক্ষোভ, ধর্মঘট, সভাসমিতি বলশেভিক সাহিত্যের মাধ্যমে শ্রমিকদের পার্টির আওতার জানতে বলেছেন এবং গণ-আন্দোলন ধর্মঘটের পথে দেশে সাধারণ শ্রমিক ধর্মঘট সম্ভব করে তুলতে বলেছেন। তাদের শ্লোগান হচ্ছে; পূর্ণ স্বাধীনতা কিন্তু এই বলে সাবধান করে দিয়েছেন যে, পুজিবাদী ছুনিয়ার দিক থেকে আক্রমণ আসতে পারে

এরপর ল্যাংফোর্ড মুজফ্ফর আহমদের উদ্দেশে লেখ! সে চিি- থানি পড়লেন যে চিঠিখানি উদ্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে পৌছোবার আগেই পুলিশের হাতে পড়েছিল তাতে ভারতবর্ষের কম্যুনিস্টদের সাম্রাজ্য- বাদ উচ্ছেদসাধনের জন্য খোলাখুলি কঠিন লড়াইয়ে নামতে বলা হয়েছে।

যে-চিঠি উদ্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে পৌছোলো না, সে-চিঠির নির্দেশ অনুসারে কি করে কাজ হল অনুমান করতে পারিনে, কিন্তু ল্যাংফোর্ড জেমস বললেন; চিঠি অনুসারে ১৯২৮-এর ডিসেম্বরে তারা (মানে আসামীরা) কলকাতায় এক সভা করলেন এবং সে সভায় কম্যুনিস্ট পার্টি অব ইগ্ডিয়া সংগঠিত করলেন। তার সদস্ততুক্তিও হল। কম্যুনিস্ট পার্টি অব ইপ্ডিয়ার সংবিধানে আনুগত্য জানিয়ে কেউ কি বলতে পারে যে, সে থার্ড ইন্টারন্যাশনালের মন্ত্র অভীষ্টে শপথ- বদ্ধ নয়?

থামলেন।

বললাম, তারপর ?

হেসে বললেন। তারপর নেই, আজ এই পর্যন্ত

ক্েত্রীন্স আইন সভাস্ত্র বোছা ১৯২৮]২৯-এর অন্তরালায়িত মেজাজের কথ! তোমায় বলছি ১৯২৯[৩০-এ কংগ্রেসের অধিবেশনে স্বাধীনতা -প্রস্তাব কেন কিভাবে অনিবার্য হয়ে পড়েছিল এই মেজাজে তার জবাৰ আছে এবং প্রই মেজাজেরই বিক্ষোরণ ঘটেছিল রাজধানী দিল্লীর কেন্দ্রীয় আইনসভায় |

১২ইজুন দিল্লীতে কেন্দ্রীয় আইন সভায় বোমা বিস্ফোরণের দায়ে ভগৎ সিং বটুকেশ্বর দত্তর যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর হয়েছিল, একথা! তোমায় বলেছি।

এমন ছ'টি উজ্জল-প্রাণ শিক্ষিত যুবক কেন এই কাণ্ড করলেন ? আদালতে এক বিবৃতিযোগে তার। বলেছেন, কারও প্রাণনাশ করার উদ্দেশ্তে নয়, ভারতবর্ষের অবস্থার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকধণের জন্যই তারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তা? এসেখ্চলি বা আইন- সভায় কেন? কারণ জাতির সকল দাবি বারংবার অগ্রাহ্া করার জন্য গবর্নমেপ্ট এটি ব্যবহার করেছেন এবং ভারতের অবমাননা 'অসহায়তার প্রতীক হয়ে আছে এটি

আদালত ভগ হিনহন্ছেল্প লিক্রর্তি ভগৎ সিং পড়লেন আদালতে £

00 10180019891 0706986 78,8 828,11096 90. 1709616061010 10101 981)09 165 10176101088 200810910615 1061706ন 60 94901957106 01015 168 ভ0161)195877885 1006 168 097-:98,0111710 10091 107 701801119

ষতই আমরা ভেবেছি ততই এই গভীর উপলব্ধি হয়েছে যে, শুধু ভারতের অবমাননা নিঃসহায়তা জাহির করার জন্য ধাড়িয়ে আছে এরং হচ্ছে দায়িত্বহীন স্বেচ্ছাচারী শাসনের দস্ত আধিপত্যের প্রতীক | জন-প্রতিনিধিগণ বার বার এখানে জাতীয় দাবি উত্থাপন করেছেন--সে যেন শুধু আবর্জনাস্ৃপে সমাধিলাভের জন্যই | তথাকধিত ভারতীয় পার্লামেন্টে সশ্রদ্ধ- গৃহীত প্রস্তাবগুলে! সভাকক্ষের মেঝেয় ফেলে দ্বণাভরে দলন করা হয়েছে। একদিকে দমনমূলক 'আইন স্বেচ্ছাচারী কানুন বাতিল করবার প্রস্তাবগুলোর উদ্দেশে নিস্পৃহ উপেক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে, আর একদিকে নিরাচিত সদস্যরা গ্রহণের অযোগ্য সরকারী বিধিব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করলে তাদের কলমের খোঁচায় সঞ্জীবিত “করা হয়েছে।

এক কথায়, আস্তরিক চেষ্টা সত্বেও এই প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্বের

৬৯

যুক্তি খুঁজে পেতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি; ভায়তের কোটি কোটি মানুষের স্বেদাজিত অর্থে সংগ্রঠিত এই সৌকর্ষ আড়ম্বরের কোন আবেদন নেই আমাদের কাছে; আমাদের কাছে এক শূ্যগ্ড মৃত্তিও ছলনাময় মায়া-হরিণ। তেমনি আমাদের বোধগম্যহয়নি জননেতাদের মনোবৃত্তি__কেন না, এরাই তো ভারতবর্ষের অসহায় পরাধীনতার সাজানে! নিদর্শনের ওপর সাধারণের অনুল্য সময় অর্থ অপচয়ে সহযোগিতা করেন। আমরা দিনের পর দিন 'এই নিয়ে এবং শ্রমিক আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের ব্যাপক গ্রেপ্তার নিয়ে অনেক ভেবেছি। ট্রেডস ডিসপিউটস বিলটি যখন উত্থাপিত হয় তখন আমরাও এসেম্বলিতে উপস্থিত ছিলাম, নিরীক্ষণ করেছি এর বিতর্ক, এর কার্যক্রম; তাতে আমাদের এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়েছে যে, ভারতের কোটি কোটি খেটে-খাওয়া মানুষের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই_-এ শুধু শোষক শ্রেণীর কণ্ঠরোধী শক্তি নিরুপায় শ্রমিকশ্রেণীর দাসত্বের আপদস্তততম্বরূপ দাড়িয়ে আছে

তারপর এই অপমান, যাকে আমরা অমানুষিক ববরোচিত বিধান মনে করি, তাই সারা দেশের প্রতিনিধিবৃন্দের অনুগত মাথার ওপর বর্ষণ করা হল এবং কোটি কোটি নিরন্ন সংগ্রামী জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হল তাদের প্রাথমিক অধিকার বৈষয়িক উন্নয়নের একমাত্র উপায় থেকে। সম্ভবত আমাদের মতো ধারা শ্রমিকশ্রেণীর মৃক শ্রমকাতা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেছেন তারা কিছুতেই নিরুছেগে এই দৃশ্য দেখতে পারবেন না। শোষকের অর্থনৈতিক সৌধ গড়ে তুলতে ধার! নীরবে রক্তপাত করেছেন তাদের জন্য ধাদের হৃদয় আকুল হয় তার! কি পারেন অন্তরাত্মার চীৎকারকে অসহা যন্ত্রণার মধ্যে দমন করে রাখতে ? এদেশে সেই শোষকদের মধ্যে বৃহত্বম হচ্ছে গবর্মমেণ্ট। আমাদের অন্তরে তারই প্রবল আঘাত লেগেছে ।*এস. আর. দাশ একদ| ছিলেন বড়লাট-পরিষদের (3050001-06001:21,5 চ8609052 0000501) আইন সদস্য ; তিনি তার ছেলেকে একটি পত্র লিখেছিলেন এবং সেই পত্রে তিনি

বলেছিলেন; ইংলগুকে তার স্বপ্ন থেকে জাগাবার জন্য বোমার দরকার একথাটি মনে রেখেই আমরা-__যাদের হৃদয়-বিদারক বেদনা প্রকাশের আর কোন পথই নেই তাদেরই পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জ্ঞাপনের জন্য আইন সভাকক্ষের মেঝেতে বোম নিক্ষেপ করেছি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য বধিরকে অবহিত করা, নিখিকারকে যথাকালে সতর্ক করে দেওয়]

“আরও অনেকের আমাদের মতোই তীব্রানভতি হয়েছে এবং এই মানব সমুদ্রের বাহক প্রশান্তির অস্তস্তল থেকে এক অপ্রতিরোধ্য ঝড় আসন্ন হয়ে উঠেছে আমরা শুধু তাদের উদ্দেশে বিপদ- সঙ্কেতটি তুলে ধরছি যার! এই সমূহ বিপদকে মোটে আমলে না এনে ছুটে চলেছে আমরা অবাস্তব অহিংসার কালাবসান চিহ্নিত করেছি মাত্র; এই অবাস্তব অহিংসার ব্যর্থতা সম্পর্কে উদীয়মান তরুণ সমাজের লেশমাত্র সংশয় নেই। মনুষ্যসমাজের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ভালবাসা থেকে আমরা অকথ্য ছূর্গতি নিবারণের জন্য সকলকে সতর্ক করার এই পন্থা অবলম্বলন করেছি

আমরা যে অবাস্তব অহিংস কথাটি বলেছি, সম্ভবত তার কিছু ব্যাখয। দরকার। কোনো আগ্রাসনের উদ্বেশ্তে বলপ্রয়োগ করলে তা নিস:ন্দেহে হিংসাত্বক, সুতরাং নৈতিক বিচারেও অসঙ্গত | কিন্তু কোন সঙ্গত লক্ষ্যে এর প্রয়োগ নৈতিক বিচারেও সমর্থনযোগ্য | যে-কোন মুল্যে বলপ্রয়োগ পরিহার. করাই হচ্ছে অবাস্তব এবং দেশে যে নতুন আন্দোলন দেখা দিয়েছে এবং ধার দিকে আমর! দৃর্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি তা” গুরু গোবিন্দ সিং শিবাজী, কামাল পাশ রেজা খা) ওয়াশিংটন গ্যারিবল্ডী, লাফায়েৎ লেনিনের আদর্শে অনুপ্রাণিত। কি বিদেশী ভারত সরকার; কি জননেতৃবৃন্দ, এই দ্িকটায় চোখ কান বন্ধ করে আছেন। এর অন্তিত্, এর স্বীকারই করছেন না; তাই, আমর! এমন জায়গায় তা উচ্চারণ করা কর্তব্যবেধ করেছি যেখানে তাদের কর্ণপাত ন! করে গত্যন্তর নেই।

দীর্ঘ বিবৃতির উপসংহারে ভগৎং সিং আবেগের সঙ্গে পড়লেন £

৮৪

বিপ্লব-সাধন মানুষের অবিচ্ছেগ্চ অধিকার স্বাধীনতা পকলের 'অনন্যনির্ভর জন্মগত অধিকার শ্রমিকই সমাজের প্রকৃত ধারক জনসাধারণের সার্ভভৌমাধিকার শ্রমিকদের চরম লক্ষ্য। এই আদর্শ এবং এই বিশ্বাসের জন্য আমরা যে কোন ছুঃখ বরণ করতে প্রস্তুত এই বিপ্লবের বেদীমূলে আমাদের যৌবনকে এনেছি আমরা প্রলিত ধৃপের মতো, কেননা, মহৎ লক্ষ্যে কোন আত্মানুতিই বড় নয় আমর! সেই বিপ্লবের অপেক্ষা করছি। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক

এমনভাবে বলছিলেন পড়ছিলেন, মনে হচ্ছিল এসব কথা ওর বুঝিবা। শেষ করলেনও এমনভাবে যেন তিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না কিন্তু ্ষণকালের বিরতি নীরবত। ভেঙ্গে দিয়ে বললেন, ভগৎ-বট্রকের অনেক কথাই সতী, কিন্তু অনেক কথাই মিথ্যে হয়ে গেছে। ওরা ধৃপের মতো নিশ্চয়ই নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছিলেন কে অস্বীকার করবে এই সতাকে ? বিপ্লব মানুষের অবিচ্ছেগ্ভ অধিকার আর এক অনম্বীকাধ সতা ;কিন্তু ভগৎ-বট্রকের পথ কখনে। সত হত্য় উঠতে পারেনি এদেশে, সুতরাং অবাস্তব অহিংস বিরহিত সশস্ত্র বিপ্লবও নয়। মানবসমুদ্রের অস্থুঃস্থল থেকে ঝড়ও উঠেছিল সতা। সে ঝড় আমরা প্রতাক্ষ করেছি ১৯৩০-এ + কিন্তু সে ঝড়ের বেগ ওদের পথে প্রবাহিত হয়নি : এই ভারতের এক সাগরকুলে ওদের ধৃপ জলে উঠে চিরকালের জন্য নিভে গেছে, কিন্তু আর এক সাগরকুলের আহ্বান ওদেরকে অতিক্রম করে গেছে। একদিকে আর্মারি রেডের গোলা, আর একদিকে লবণের গোল! বঙ্গোপসাগর নয় আরবসাগরই সত্য হয়েছে। অহিংসা অবাস্তব হয়তো! হয়েছে, কিন্তু ওদের হিংসার পথও সত হয়ে ওঠেনি

হ্যা, ধূপকাঠির মতো ওদের আস্মোৎসর্গও তো বিলীন হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গেই | যে কেন্দ্রীয় আইনসভাকে ওরা বাক্‌সরবন্থ ছৃষ্ট ক্যান্সার মনে করেছিল সেই বৈধ পার্লামেন্টারী পথই তো সর্বাংশে মত্য হয়ে উঠল ভারতীয় জীবনে, সাইমন থেকে কেন, মন্টে্ চেমসফোড থেকে

মা.

মাউন্টব্যাটেন অবধি কোথাও তে! এর ছেদ ঘটেনি, সংগ্রাম, আন্দোলন ভারতীয় জীবনে সত্য নয়, সত্য গোল-টেবিল-বৈঠক।

গুর কথার সামান্য একটু ছেদ পড়তেই ছুঃদাহসভরে বললাম, একটা সামান্য কৌতৃহল-_

চোখ তুলে আমার দিকে তাকালেন।

বলল[ম, কখন কি অবস্থায় ওর! বোম! ফেললেন ?

কিছুমাত্র বিরক্ত না হয়ে বললেন,

ট্রেডস্‌ ডিনপিউট্‌ন বিলটি সবে গৃহীত হয়েছে; প্রেসিডেন্ট পারিক সেফটি বিন সম্পর্কে রুলিং দিতে উগ্ভত, এমন সময় গ্যালারী থেকে পড়ল বোমা-ন্যার জর্জ ন্ুস্টার যেখানে বসেছিলেন তার কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সভাকক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। স্যার জন সাইমনও ছিলেন প্রেসিডেন্টের গ্যালারীতে বসে আহত হলেন স্যার জর্জ মুস্টার,

স্যার বোমানজী দ[লাল, রাঘবেন্দ্র রাও| 'বোমানজীর আঘাত কিছু গুরুতর |

সরকার পক্ষের আসনগুলে। ভেঙ্গে থান খান। একজন ডেপুটি সেক্রেটারির হাত থেকেও রক্তপাত হচ্ছিল।

শুধু বোমা নয়, বোমার সঙ্গে কম্যাগ্ডার-ইন-চীফ বলরাজ স্বাক্ষরিত হিন্দৃস্থান রিপাবলিকান আমির ইস্তাহারও ছড়িয়ে পড়েছে।

না, পলায়নের চেষ্টা নয়। অপরাধ অস্বীকারও নয়, কোন অপরাধ জ্ঞানে তে৷ ওরা করেননি

দশ মিনিট পর আবার সভা বসানোর উদ্যোগ হয়েছিল; কিন্তু ধোয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায় সুতরাং মুলতুবী |

পুলিশও সঙ্গে সঙ্গে সভাকক্ষ-দ্বারে লাগালো! তালা

বল! বাহুল্য, বন্দী ভগং সিং বটুকেশ্বরও চালান হয়ে গেলঃ বট্কেশ্বর নয়াদিল্লী থানার দিকে ; ভগৎ পুরোনে! দিল্লীর টাদনী চক থানার দিকে।

ণও

এর একটু পরিশিষ্ট আছে, জানালার বাইরে দৃষ্িপাল করে বললেন”

১১ই এপ্রিল, অর্থাৎ পরদিন প্রহরী-প্রহরায় এসেম্বলি ভবন জম জমাট স্বাভাবিক। বোম! পড়েছে বলে আইন-পুলিশের তো! কিছু হয়নি

কিন্ত আরও একট! কারণ ছিল। সরকার পক্ষ পার্ক সেফটি বিলটি পাশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এমন প্রতিজ্ঞা যে, এসেম্বলি-প্রেদি- ডেন্টের অধিকার পর্যস্ত গ্রাস করতে উদ্ভত হল। প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব ছিল, পাশ করতে হয় মীরাট ষড়যন্ত্র মামলার নিষ্পত্তির পর, নইলে বিল নিয়ে আলোচন। প্রহসনের মত ঠেকবে। সরকার পক্ষ মনলেন না। তখন প্রেসিডেন্ট তার রুলিং দিলেন।

তিনি বললেন, সরকার পক্ষের বিবৃতি প্রেসিডেন্টের প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরূপ এবং তার অধিকার ক্ষুপ্নকর। ল-মেম্বার তার সমর্থনে যে উদ্ধৃতি দিয়ে নিজেকে সমর্থন করতে চেয়েছেন, সেই উদ্ধত অংশে পরব্তঁ বাক্যটি বাদ পড়েছে তা? হচ্ছে এই যে, সভাকক্ষে ওদ্রি ভোটে দেওয়া না-দেওয়! প্রেসিডেণ্টের এক্তিয়ার ক্ষেত্রে তার সদ অভিমত এই যে, মামল! চলাকালে বিল নিয়ে বিতর্ক সম্ভব নয়। এই অবস্থায় কোন বিতর্ক প্রতারণ। প্রহদনেরই সামিল

] 609:9109:9 20191 00৮ 01 01081.

তুমি মনে কোরে। না, এখানেই পর্ব চুকে গেল। সরকার পক্ষ মুখিয়েই ছিলেন সবকিছু অনুমান করেই বড়লাট তার সদস্তদের উদ্দেশে এক ভাষণ দেবার জন্য প্রেসিডেণ্টের ওপর এক পত্রাঘাত করেছিলেন

স্থতরাং যথারীতি তিনি সে ভাষণ দিলেন পরদিনই বলা বাছল্য, তিনি বোম! বিক্ফোরণের কথা বললেন ; সেইটেরই জের টেনে পার্ক সেফটি বিল এভাবে বাতিল হওয়ায় এক অভ্ডিন্যান্স বলে তা ৰলবৎ করার কথা ঘোষণা করলেন এবং প্রেসিডেণ্টের অধিকার হরণ করলেন নিয়মাবলী বদলে দিয়ে |

এনেন্বচিন প্রেসিডেণ্টেক্প অপ

ভগৎ মিং বিবৃতি দিয়েছিলেন আদালতে--পরে | কিন্তু এসেম্ব- ধলতে দাড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের মামনে প্রেসিডেণ্টকে উপেক্ষা করে যে কাজ বড়লাট করলেন তা ভগৎ সিংয়ের বিবৃতিকেই অকাট্য করে দিয়েছে এই অপমান, এই অবহেলা_সে তো সবই বিধি- বিধানের পাহারাদার- ছুর্গ_-এসেম্বলিতে দাড়িয়ে দিবালোকেই করে গেলেন

আবার এও লক্ষ্য করবার, ভগৎ সিং যে-এসেম্বলিকে কটাক্ষ করেছেন তারও জবাব দিলেন বড়লাট আগেই | অর্থাৎ ছুটো বিপরীত চিন্তাধারার কনফ্রণ্টেশন ঘটল এই এসেম্বলিতেই ; ভগং- বটুক বোম! বিস্ফোরণে তাদের কথ! জানালেন; পুলিশ মিলিটারী পরিবেষ্টিত বড়লাট কথার বিস্ফোরণে তার পাণ্টা দস্ত প্রকাশ করলেন নাটকের চমকপ্রদ দৃশ্যাস্তর |

বড়লাটই তার ভাষণে এই মর্সীর্থ প্রতিধ্বনি করে বললেন :

47619 6 907)9 1809 60 19,909 জা10)) & 1290090 001211108 01 90108019007 11011050010193, 71018 %9980)1015 91865 858 005 006/8,:0 5১7001001 01 0109 90001900805 01 198500১5 ৪,£0100906 800 109150891010 11101 1008) 61010061) 6109 8£698 10798 10990,

89 18 95611]) 90100010090. 60 656801191) ০5০] 009 91910901068) 08881008 0 01318 1100.”

কিন্তু বড়লাট নিজে কি করে গেলেন? সত্যিই ছু'টি বিপরীত দর্শনের মুখোমুখি সংঘর্ষ যে-এসেম্বলি তার মতে যুক্তি, তর্ক মীমাংসার বাহক প্রতীক স্বরূপ, ম্মরণাতীত কাল থেকে যুক্তি-তর্ক- মীমাংসার পদ্ধতিকে শ্রদ্ধা করে এসেছে, এখনও করছে, শাসকশক্তির শীর্ধ প্রতীকরূপে তিনি কি করে গেলেন? এখানে দীড়িয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত মনোনীত প্রতিনিধিদের সামনে 50000805 ০: 162501)9) 215010701)6 2100 1901:5095101 নগ্নভাবেই এসেম্বলির

মেঝেতে পায়ে দলন করে গেলেন তার মুখে একথ। মানায় না শা)6 7১000) 8681005 89 & 0106] 809. 1)109009 820:998100 01 97০ 8০876] ০৫ 107810%] স1010009 10105 19080196178 1:988005

০০৪

ছা00]৭ 79001] 700 00 8001$5 17) 609 901016%91209126 01 168

811018627: 093108- ]6 13 10096) 709৮1 0908088, 613:0081

6109 001)07869 1091901 01 6019 48892101015) 01906 6108) 1089

61009 19010 16591187 ৪0 6116 9019 ০000796160610229] 1109

10019, 8100 6৪156131796 17101) 61096 1109 110010098, 0119 1

15959 610006116 ঠি9 60 900000010 6116 6৮০ 1100989 60896106: 1)919

60-0%9.*

আমরাও মানি বোম! নিষ্ঠুর, বলপ্রয়োগ অসঙ্গত, কিন্ত খোদ

বড়লাট এসেম্বলি বলতে যা! বোঝায় সে 40010018706 110০৮) 4০018-

80100000291 116০7 এর কতটুকু মর্যাদা রাখলেন ? তার গোটা

ব্যাপারটার মধ্যে 'আমি উত্তমকুমার? “আমি বিচারক", 'আমি ভগবং-

শক্তি' এই অহঙ্কার ফুটে উঠেছে এবং 41508019606 162307,”-এর

এক নোংরা দৃষ্টান্ত কথা শুনে মনে হবে, বড়লাটের কথাগুলোর

পেছনে বলপ্রয়োগের কোন কথাই নেই, মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা চলা-

কালেই পারিক সেফটি বিলের আলোচনায় যে অসঙ্গতি আছে তাকে

তার বৈধ করার সিদ্ধান্তে কোন গা-জুরি, বলপ্রয়োগ নেই | বললেন,

10998 ০৫ 51019000, ৪০০0 ৪৪ 60৪6 ০01 101) 6:15 0158009৮

1085 £90906]5 70900. 609 808709১ 680. 09৮91 09 00100119681 089-

920808190. 1010 0109 89$6106 17 10101) 606 1098৪ 199)0100

010670) 17979 109810. 2007৮07:60. ]0) 5001) 70866908 80008 1061.

1795 611008106 800. 57001910 70810:6 06067121610 1880766 ৮০

83:6:610185 01 86100, 7 800 090291:009 চম0108 166 ০0

810015910 105 0129 20810 &1:8 0019 6০০ 16009970615 818 19088010008

8990 19111716 0000 6158 901] 01 &061967 10181708 [9:59 11779617801 00.55

অর্থা এই বিস্ফোরণের মূলে আছে কোন কোন লোকের চিন্তা- ধারা, কথাবাতী, লেখালেখি ইত্যাদি! এক কথায় রাজনৈতিক আন্দোলন, বক্তৃতা সাহিত্য সবকিছুই দায়ী এজন্য, এবং তাই থেকেই এই সব মাথাগরমেরা! চরম পথ অবলম্বন করে থাকে একটার সঙ্গে আর একটার যোগ রয়েছে। অনস্বীকার্য নয়। কিন্তু সরকার পক্ষের, বিশেষ করে এই দ্ান্তিক বিদেশী রাজপুরুষদের ক্রিয়াকলাপ রাজনীতি কিসে দায়িত্ব থেকে বিমুক্ত1? বরং এই তো ইতিহাস

খৃি

বলে যে, হা০: বা সন্ত্রাস তো সরকারপক্ষই স্থষ্টি করে রাখে, শাসকের অবলম্বন, প্রতিসন্ত্রাস তার জাতক মাত্র, ভগৎ-বটুক তো মূলে €50101157-এর আশ্রয় নেয় নি, ওরাযা করেছে তা বড়জোর 00101121:061:011510) অবাস্তব অহিংসায় বিশ্বান করে না বলে। সুতরাং যে কথা বড়লাট বক্তা ব। লেখকের ওপর প্রয়োগ করতে চেয়েছেন ত।” সরকারী সম্ভ্সবাদের ওপরও প্রযোজ্য এবং তার

কথাগুলো £

“00 800107906৪১ 10) 008 9007:89) 810717769 8109 1107)0189 ছম1)101) 011585 10010190 196811069 130101998 200. 91780091959 01106 8/00. 1779869 101) & 18159 108,10 01 3911-98,011609, 100 ৪০১ 60 60 100 (078109৮1080 6092 609 19, 1৪ 10001060009, 10018 19 019679,090 10% 6106 1070109: 11) 11910019 01 61086 5০000 %0ন 12096 [00200181116 1011989০719 1, 9801700755 800 109 €৪,11806 1798,0 00709680019) 00178090 910810 ; 8৪68]] 00079 0091061০018, 101610]5 29819990699. 1000197) 101108 06109] 1] 7382158] ) 800. 18,96]5 0৮ 609 06288917616 10101) 10097 1300051)19 276170819 1929. 900201091190 60 আা160839.”

বড়লাটের মূল সুরের সঙ্গে আমাদের গান্ধীপন্থীদের স্থরের মিল ছিল; আমরাও বলেছি, ধরণের আক্রমণ ভারতের লজ্জা, পরম লজ্জা কিন্তু লজ্জ! কি শুধু আমাদেরই, ওর। সকল লঙ্জী-বিরহিত ? সগ্ার্সের হত্যায় আমর। চমকে উঠেছি, কিন্তু লাল লাজপৎ রায়ের বুকের আঘাত মৃত্যুতেও কি চমকে উঠিনি ? নিক্তির পাল্লার কোন্টা ভারি তার বিচার করবে কে? এসেম্বলিতে ষে দৃশ্যের অবতারণ। হয়েছিল, বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তার অকুণ্ঠ নিন্দা প্রেসিডেণ্ট ভি. জি. প্যাটেল সমবেত সকল জনপ্রতিনিধিদের হয়েই করেছেন কিন্তু সেই প্রেসিডেন্টেরই মর্যাদার অধিকার ধুলোয় লুটিয়ে দিয়ে, প্রেসিডেন্টের রলিং বাতিল করে দিয়ে, প্রতারণা প্রহসনের মধ্যে বাতিল পার্িক সেফটি বিলকে অিন্তান্সে সঞ্জীবিভ করে প্রেসিডেন্ট জনপ্রতিনিধিদের যে হেনেস্তা করেছেন তা কি এসেম্বলিতে ভগৎ-বটুকের বোমা বিস্ফোরণের চাইতে কিছু কম অপরাধ ?

সচরাচর এমন হয় না। বলতে বলতে উঠে পড়লেন, কাগজপত্র

গণ

রেখে দিয়ে, খাট থেকে নামলেন, এটুকু ঘরে পায়চারি করতে করতে বললেনঃ নাঃ সত্য, এমন একপেশে বিচার জাতির উত্তরপুরুষ কখনো ক্ষমী করবে না; তথাকধিত ইতিহান বাংকাম, ইতিহাস শাসক- শ্রেণীর হাতে কাদা, ইতিহাসের শ্রিক্ষা কেউ নেয়ও না, তবুও সংস্কার বলতে পার, আমার হৃদয়ে এই বিশ্বাস অমর হয়ে আছে, ইতিহাসের এই জটিল লেবিরিংঘের মধ্যেও মহাকালের সত্য দাগ কেটে চলেছে কোন-না-কোন পুরুষ তার পুনরাবিষ্কার করে এবং মানুষ চমকে উঠে আবার একটা পথ কাটে, আমার বিশ্বাস প্রথতির পথই এই বিশ্বাসটুকু না থাকলে এই প্রগাঢ় দারিদ্র্য বঞ্চনার মধ্যে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কি উপায় ছিল বল?

এমন কথাও কোনদিন বলেননি ধারার বেড়াটার দিকে তাকিয়ে থেকে আমাকে আড়াল করে-_অশ্রুপাত করছেন? অশ্রু আছে মানুষটার ল্যান্রিমাল গ্রাণ্ডে?

আমি বেরিয়ে এলাম |

কোনদিন প্রশ্ন করেন না; সেদিন করলেন। জিগ গেল করলেন, বলতে পারো,ভরতের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত ব। সথভ্রান্ত করেছে কে?

অনভ্যন্ত আমি চমকে উঠে অভ্যস্ত জবাব দিলাম, ইংরেজ

বললেন, এমন একটা! কথ। আমরাও মুখস্থ বলে এসেছি। বলেছি, আমাদের ঝগড়াঝাটির মূলে রয়েছে তৃতীয় পক্ষ; সে-ই ঝগডাটা বাধায়। তৃতীয় পক্ষ না থাকলে আমরা ভাই-ভাই হয়ে থাকতাম, থাকবও। গভীর বিশ্বাসে মনে একথাটিই পোষণ করতাম- সে তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে ইংগেজ | অর্থাং আমরা ঠিক করে ফেলেছিলাম, আমার যত ছৃংখ-ছ্র্দশার কারণ ইংরেজ জাতি, তার কূটনীতি, তার শাসন, তারই রোমান ডিভাইড এণ্ড রুল

কিন্তু এই গোড়ায় গলদের জন্য যূল্যও বড় কম দিলাম না আমরা কখনো আমাদের অবিচ্ছেষ্য মানসিকতাকে যাচাই করে আমাদের ক্রিয়াকলাপ স্থির করিনি

দলে

৯৯২৯-এন্স মুললিমম লীগ

আমি সরট। না বুঝে বললাম-_মাঁন-সি-ক-ত৷ !

বললেন, হ্যা মানসিকতা হিন্দু দেশপ্রেমিকের পক্ষে দেশকে ভালবাসার মধ্যে কোন প্রতিবন্ধক দেখ! দেয়নি; এই দেশ, দেশের ধর্ম। তীর্থস্থান, তার মানসিকতায় কোনো বিরোধ স্যষ্টি করে না, এদের হরিদ্বার থেকে কন্যাকুমারিকা, কামাখ্যা থেকে সোমনাথ এদেশেই | স্বৃতরা তাদের দেশ, দেশাআ্মবোধণ ধর্ম, ধর্ম বোধের মধ্যে কিছুমাত্র বিরোধ নেই ; ভারত, ভারতীয়ত!, ভারতীয় ধর্মের সঙ্গে তাদের কোন বিরোধ নেই ; বুদ্ধ, মহাবীর এদের কাছে একাকার হয়ে গেছে। কেনন। মেসব ধর্মপ্রবর্তক তীর্থস্থানও ভারতকে মহিমা দ্বিত

হঠাৎ বললেন, এসব কথ! বলার'দায় আছে। ১৯২১-এর পর থেকে আমাদের একটা নতুন সংস্কার হয়েছে। মে সংস্কার হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞ। | হিন্দুধর্ম শুধু নয় (সে কি, আমিও জানিনে; হয়তে। একটা অস্পষ্ট ধারণাই), হিন্দু কল্পিত দেব-দেবত। নিয়ে ব্ঙ্গ- কৌতুকও সহজ; কিন্তু মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে নৈব্যক্তিক আলোচনা তো! বটেই,কোন মুগলিম ব্যক্তি, এমন কি রাজনৈতিক ব্যক্তির সমালোচনাও তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক নেতারা সাম্প্রদায়িক বলে নিন্দা করেছেন। কালক্রমে এমন হল যে, জিন্নাজীর সমালোচনা, মুমলিম লীগের সমালোচন!, এমন।ক, পাকিস্তান স্থষ্টির পর পাকিস্তানী রাষ্ট্রীয় নীতির সমালোচনাও নান্প্রদায়িকত। বলে নিন্দিত হয়েছে- আজও হয়।

হিন্দুদের যে হীনমন্থতা এটাকে ওদার্য আখ্য। দেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু আসলে হচ্ছে সেই ১৯২১-এর খেলাফতি জোড়াতালির জের মাত্র

আমি অবাক হয়ে বললাম, থেলাফতী জোড়াতালি?

বেশ জোর দিয়েই বললেন; হ্যা, ভারতের স্বরাজী আন্দোলনের সঙ্গে তুরস্কের খলিফার পুনর্বাসনের কি সম্পর্কআছে? আর খলিফার

৪,

পুনর্বাসন যে গুঁদেরই কাছে অনভিপ্রেত ছিল, কামাল আতাতুর্ক তাই দেখিয়ে দিলেন। খিলাফৎ আন্দোলনের ভিত্তিভূমিটাই গেল সরে। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে য৷ ক্ষতি হবার তা হয়ে গেল। রাজনৈতিক স্বাধীনতাসংগ্রামে অনিচ্ছুকদের সাথী করার জন্য এই যে তোষণ বা তোষামোদ, তার বিষম্য় ফল যখন ফলতে লাগল, তখনও আমরা সাবধান হইনি |

কিছু মনে করবেন না, আমি বাধা দিয়ে বললাম, সাবধান হলেই বাকি করতেন?

বললেন, একটাই করবার ছিল, ত৷ হচ্ছে সংগ্রাম, কখনে। বিরতি না দিয়ে, কখনো টেবিলের বিতর্কে না গিয়ে শেষ উপসংহারে পৌঁছোবার আপোষহীন সংগ্রাম

সর্বনাশ, যে স্থভাষচন্দ্রের কথা !

কারও মতের সঙ্গে আমার উপসংহার মিলে গেলেই তা আমার কথ নয় তাই বা কেন বলা হবে? নিন্দা? দেখা যাক্‌। ইতিহাসে কার বা কাদের জন্ নিন্দাবাদ জমে আছে। কারও অভিযোগ দূর করা নিশ্চয়ই কর্তব্য, কিন্ত অভিযোগ দূর করা৷ আর অকারণ তোষণ; সমগ্র দেশের পক্ষে হানিকর তোষণ, সর্বনাশের অন্ধকুপেই নিয়ে যায়। তুমি বলবে আপনার রুষ্ট অভিমত। আমি তাই ইতিহাস বলে যাব। এজন্য আমাকে ১৯২১-এ পিছিয়ে যেতে হবে না, ১৯২৯ থেকে এগোলেই চলবে ১৯২১-এর কথাটা! আমি ছু'টি পৃথক মানসিকতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্থই বলেছি। খেলাফতি আন্দোজনে বাইরের পানে তাকানো দৃষ্টিটাই প্রকট হয়েছে, গুদের কাছে ভারতের মাটি, দেশ? বড় নয়- বড় ধর্মন্ত্রে বাইরে যে দৃষ্টি নিবদ্ধ, তাই মহত্বর, বৃহত্তর সে মানসিকতায় ভারত তীর্থস্থান নয়, তার বাইরে কোথাও এবং এই মানসিকতারই পূর্ণ পরিণতি ওদের পক্ষে ভারত-বিচ্ছিন্ন পবিত্রস্থান _পাকিস্তান। যার! পেয়েছেন তাদের চাওয়ার মধ্যে কিন্ত কোন তুল ছিল নাঃ তুল করেছেন তারা, ধারা এই চাওয়ার সিংহদ্বার খুলে খুলে গেছেন আধুনিক ভারতবর্ষের এই ট্র্যাজেডি

|.

সাহস করে বললাম, এও আপনার অভিমত ?

না, আমি ইতিহাসের প্রতিধ্বনি মাত্র। ১৯২৯-এর ২৮-এ মার্চ দিল্লীতে জিন্নাজীর সভাপতিত্বে হল লীগ' কাউন্সিলের সভা | জিন্নাজী একটি খসড়া বিবৃতি বিতরণ করেছিলেন। তাতে ১৯২৪, ১৯২৫, ১৯২৬ খ্রীষ্টাব্দে লীগ যেসব প্রস্তাব নিয়েছিলেন তার উল্লেখ ছিল। প্রস্তাবগুলো৷ হিন্দু নেতারা সমালোচন! করেছিলেন এবং যৌথ নির্বা- চনের ওপর জোর দিয়েছিলেন | বিবেচন৷ করার জন্য জিন্নাজী ১৯২৭- অন্তান্য মুসলিম নেতার সঙ্গে দিল্লীতে মিলিত হয়েছিলেন ; সেখানে কয়েকটি প্রস্তাবও স্থির হল এবং বল! হল, কি শর্ত পুরণ করলে মুসলমানেরা যৌথ নির্বাচনে সম্মত হতে পারেন জিন্নাজী ১৯২৯-এ যে বিবৃতি দিলেন তাতে বলা হল, ১৯২৭-এর মে মাসে বোশ্বাইয়ে আই. সি. সি.র যে অধিবেশন হয়, তাতে কিন্তু এসব প্রস্তাব ফলত গৃহীতই হয়েছিল; পরে মাব্রাজ কংগ্রেসে যে প্রস্তাব গৃহীত হয় তার অঙ্গীভূত ছিল এসব প্রস্তাব। কংগ্রেসের কাছ থেকে এই সাড়া পেয়েই মুসলীম লীগ তার কলকাতা অধিবেশনে একটি প্রস্তাবন্রমে এক সাব-কমিটি নিয়োগ করে ; উদ্দেশ্য, এই সাব-কমিটি এমন একটি সংবিধানের খসড়। নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসবে যাতে মুসলিম লীগের নির্ধারিত নীতির ভিত্তিতে মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। তারা একট। উভয়-সম্মত সংবিধানের খসড়াও দাড় করান এই থেকেই ১৯২৯-এর ১১ই ফেব্রুয়ারি দিল্লীতে সর্বদল আহ্বান কর। হয়। সম্মেলন একদিন ছু'দিন নয়, ১১ই মার্চ অবধি চলেছিল; কিন্তু কোন মীমাংসায় পৌছোনো যায়নি সবর্দল সম্মেলনের খসড়া-প্রস্তাবগুলে। বিচার করে লীগ কাউন্সিল দেখতে পায় লীগের কলকাতা! প্রস্তাবের সঙ্গে তাদের সঙ্গতি নেই জিন্নাজী তার এই বিবৃতিতে তাই অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস প্রথমকার অবস্থা থেকে সরে আসায় মৌলিক ব্যবধানের হ্থুষ্টি হয় এবং এই কারণেই তারপর থেকে সর্বদল সম্মেলনে লীগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব কাউকে দেওয়] হয়নিঃ কেউ থাকেওনি |

৮৯

কি একটি বই তুলে নিলেন বললেন, জিল্নাজীর দৃষ্টিভঙ্গি বরাবর

পরিষ্কার, কথ! পরিষ্কার, দাবি পরিষ্কার, পথ সোজা, মিসটিসিজম-এর ধোঁয়ায় কখনো! তিনি তার বক্তব্যকে আচ্ছন্ন হতে দেননি | এজন্য অনেক সময় তার বিবৃতি রুঢ, চমকপ্রদ ঠেকেছে, কিন্তু তিনি কখনো! রেখে ঢেকে চিবিয়ে কথ! বলেছেন দুর্নাম কেউ দিতে পারবেন] তিনি ১৯২৯-এর মুসলিম লীগ সম্মেলনের জন্য ষে খসড়া প্রস্তাবটি রচনা! করেছিলেন, তা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে, কারণ এটিকে দশ বছর পর পাকিস্তানের আরব সাগরে ঝাপ দেবার মঞ্চ বললে বেশি বল! হবে না। প্রস্তাবটা শুনলেই বুঝতে পারৰে £

41) 11০98 609 08910 1099 ৮16) 13101) 6150 11-7876199 00019191709 ৮:৪৪ 081190 11) 17091106 8110 00059061010 ৪010- [00080 ৪6 08100668 0011706 01771560985 96৮ 17) 198, ৮93 61086 8 ৪01)9008 0৫ 79101208 5100]ন7 1১6 10100019697 81107 £,0990690 &00 7:901260 1)% 0109 10:97003ট [9011610%] 07৫8%018%- 61015 11) 6106 000116:% 98 9। 138610208,] 0০06 ; 00 ₹51091983 6109 7867১01৮ ৪.9 80010669. 7১ 6179 [01819 [9610108] (00057"988 901) 0020816061008115 10 60৪ ১৪৪: 60010£ 3186 10999201901 1999 &2 10 609 9590৮ 01 01091371619) 78115009116 1১0৮ 86067081106 1৮ ৮101)10 0109 61039 110310) 01)9 50171693 389,008 00071059060 0100 19010) 800 1)0/001179 01 900010)198 1176019- 09000200810 1830 %0 01৮1] 0150)00919009 8170 1001)-10% 5062 01 6899 7 8130 ত1)9:699 00৩ 8601৮009 ৪1761) 81010 17100 11817858)108 1073) 0306 000010917997076776 617:0081) 61161 26079- ৪9126261565 ৪0 6109 900%906100 %/%৪ 00061)1106 ৪0০: 01 92 0167086010১ 6086 11 & 810816 00 10 619 19190 7017076 10 1537060% 01 6119 00001001108] 88661907906 103 018,0890৯ 619 ০010 1100790196919 ৮510110% 6617 ৪8100: 60 5৮) 800 171181828 6118 13861908111091%] ঢা 906:8,6100 7091908663 ৪6 6209 ০0009106101) 600 01) ৪0 ৪6616096 01 0829দ0182 0900%1155, 508 80195800606] 10 [11917 0092. 86931017 ৪6 £11800980) &907966৫ & 000-602010)61%] 00110 ৬41৮) 16880. 6০ 01061711303 14091909 0109720088 7 870. চ1167:888 (:9 90007 14988091180 91798) 090117390. (0 98799 60 6১9 19150 1970৮ ; 800 7109:988 11০2" 13:8101010, &00 106079389৫ 6158889 &:6 80611617 0000860 60

16) 800. ছম1)91989 19950087016 8100. 000061869 0:070080,]3 1006 10:81 0৮ 606 091968698০0 6109 411-110018 71031)10 1468.609 && 6179 00059061010 17 00001909,6100 ০৪ 7000 8,09910690) 6139 1108110) [,98209 1৪ 00819 60 % 99806 6009 1610 73000.

অতএব বলা হল £ 0 80706006 10: 686 10609 90178610100 01 009 00561000606 01 [0019 1]] 109 8,0991069ণ0 00০ ]৫09110095 [7019 0061] ৪0৭ 2171993 6109 10110 110 109,810 10110010198 89 81500 919০৮ 6০ &00 1):051810179 8/:9 89001300190. 61167911) 6০ ৪91960080. 61091 11210658100. 11006198968.

অর্থাৎ মুসলিম লীগ-প্রতিনিধিরা নেহরু রিপোর্টকে যেসব যুক্তি- বলে সংশোধিত বা পরিব্তিত করতে চেয়েছিলেন ত৷ গ্রাহা ন৷ হওয়ায় রিপোর্টটি লীগের পক্ষে গ্রহণীয় হল না। শুধু তাই নয়; ভবিষ্যতে ভারত সরকার যে সংবিধানই করুন তাতে যতক্ষণ ন! মুদলমানদের অধিকার স্বার্থরক্ষার্থে নিম্নোক্ত মূলনীতি গুলে! কার্ধকর এবং সেই সংবিধানের অঙ্গীভূত না করা হচ্ছে ততক্ষণ তা ভারতের মুসলমানদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে না।

কি সেই রক্ষাকবচ মাল। ?

জিন্লাজীন্র চৌদ্দ দফা

(১) সংবিধানের ধাচ হবে ফেডারাল ; অন্থান্ত ক্ষমত। প্রদেশে প্রদেশে ন্স্ত থাকবে;

(১) সকল প্রদেশে একই ধরণে স্বায়ত্ব শাসনাধিকার থাকবে;

(৩) সকল আইন সভা এবং নির্বাচনমূলক সংস্থা এমন একটি সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে গঠিত হবে যেন প্রত্যেক প্রদেশে সংখ্যা- শঘুদের যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি থাকেন এবং যদি কোন প্রদেশে এদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে থাকে তবে তা হ্রাস করে সংখ্যালঘিষ্ঠ করা, এমন কিঃ সমসংখ্যক করা চলবে না

(8) কেন্দ্রীয় আইন সভার, মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব এক- তৃতীয়াংশ রাখতে হবে ;

€৫) বর্তমানে যেমন আছে ভবিষ্যতেও তেমনি পৃথক নির্বাচনের ভত্বিতে সাম্প্রদাক্লিক প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখতে হবে; তবে যদি

কোন সম্প্রদায় ফৌথ নির্বাচনের অনুকূলে যেতে চায় তারা পৃথক নির্বাচন পরিহার করতে পারৰে ;

(৬) যদি কোন অঞ্চলের ভৌগোলিক পুনধিম্যাস প্রয়োজন হয়ে পড়ে তা'হলেও কোনক্রমে পাঞ্জাব, বাংল! উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মুসলিম-সখখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষুন করা চলবে না;

(৭) প্রত্যেক সম্প্রদায়কে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে হবেঃ অর্থাৎ, ধর্মবিশ্বাস, পূজা-উপাননা, অনুষ্ঠান উদ্যাপন, প্রচার, সংগঠন। শিক্ষার ব্বাধীনতা সুনিশ্চিত রাখতে হবে ;

(৮) কোন বিল কি প্রস্তাব কি কোন বিল প্রস্তাবের অংশ- বিশেষ কোন আইনসভ]| কি অনুরূপ প্রতিনিধিমূলক প্রতিষ্ঠানে যে- কোন সম্প্রদায়ের তিন চতুর্থাংশ সদস্ত আপত্তি করলে গৃহীত হতে পারবে না; সেই সম্প্রদায়গোষ্ঠীকে অবশ্ঠয এই যুক্তি দেখাতে হবে যে ওটি গৃহীত হলে তাদের স্বার্থহানি হবে; অবশ্য, এমন অবস্থায় কার্যকর অন্য কোন বিকল্প উপায়েও এর মীমাংসা করা৷ যেতে পারে;

(৯) বোস্বাই প্রদেশ থেকে সিন্ধুকে পৃধক করতে হবে;

(১০) অন্যান্য প্রদেশের মত উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং বেলুচিস্থানেও শাসন-সংস্কার প্রবর্তন করতে হবে ;

(১১) যোগাতার দিকে লক্ষ রেখে যাতে মুসলমানেরা রাজ্যের অথবা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় অন্যান্য ভারতীয়দের সঙ্গে উপযুক্ত সংখ্যক চাকরি পায় সংবিধানে তেমন বিধান রাখতে হবে;

(১২) মুলিম সংস্কৃতি রক্ষা, মুসলিম শিক্ষা, ভাষা) ধর্ম, ব্যক্তিগত বিধি দাতব্য সংস্থা রক্ষার জন্য উপযুক্ত রক্ষাকবচ সংবিধানের অঙ্গীভূত করতে হবে;

(১৩) অন্তত এক-তৃতীয়াংশ তো বটেই, আনুপাতিক সংখ্যক মন্ত্রি ছাড়া কি কেন্দ্রে কি প্রদেশে মন্ত্রিসভা গঠন করা চলবে ন] ;

(১৪) যে সব রাজ্য নিয়ে ফেডারেশন গঠিত হবে তাদের সম্মতি ছাড়া কেন্দ্রীয় আইনসভা৷ সংবিধানে কোন পরিবর্তন সাধন করতে পারবে না।

৮৪

হাতের বইখানা নামিয়ে রেখে তিনি আমাকে উদ্দেশ করে বললেন, লক্ষ করেছে! বোধ হয় যে, জিন্নাজীর মনের বিবর্তটি তখনও পূর্ণায়ত হয়নি, কিন্তু একটি বিশেষ লক্ষ্যে যে বৃত্বাঙ্কন করেছে তার লক্ষণগুলো এই চৌদ্দ দফায়ই সুস্পষ্ট এখনও “ভারতীয় মুসলমান, কিন্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলোর ওপর জোর | ফেডারাল কিন্ত প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন 1 সেখানেও স্বস্তি নেই, কেন্দ্রীয় অ.ইন সভায় চাই এক-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব; কোন মন্ত্রিভাই মুমলমানদের একতৃতীয়াংশ মন্ত্রিত্ব ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের কোনরকম অঙ্গহানি তো! চলবেই না, বোম্বাই থেকে স্িন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তাহলে এটিও একটি মুসলিম প্রধান প্রদেশ হবে। আর চাই বেলুচিস্থান।

তোমায় বলেছি, ভারতীর রাজনীতিকদের মধ্যে জিন্নাজজীর দৃষ্টিই স্বচ্ছতম সব চাইতে খজু। যতদিন মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলে৷ একস্ুত্রে বাধা না যাচ্ছে, অথবা যদি না-ই যায়, তাহলেও একটা সর্বজনীন মানসিকতা! স্যষ্টির জন্য রুক্ষাকবচগুলে। চাই। এখনে। মুসলমানেরা ভারতের একটি বা অন্যতম সম্প্রদায় বটে কিন্ত সবাংশে পৃথক, এর ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা; শিক্ষা সব কিছু পৃথক অন্ান্থ সম্প্রদায় থেকে পৃূথক। অর্থাৎ ছুই জাতিত্বের একট! পা পেছনে মাত্র।

কিন্তু জিন্নাজীর এই পার্থক্য বা বিচ্ছিন্ন তাবোধের মানসিকতা তখনও ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে পরিপূর্ণ সঞ্চারিত হয়নি বলেঃ লীগ মহলেই নিয়ে দারুণ মতানৈক্য ছিল, বাইরে তো ছিলই সাধারণ মুসলিম জন-মানসে কোনরকম রাজনৈতিক চৈতন্তই ছিল না, কিন্তু ধর্মপথে চেতন! আনবার প্রস্তাবন। জিন্নাজীমহলে হয়ে রইল এবং কালক্রমে প্রচারণার ফলে ধর্মসুত্রেই এই বিশ্বাস সঞ্চারিত হতে লাগল যে, মুসলিম জাহান একটি অনন্য পৃথক সত্বা। এমন কি, তাদের মধ্যেও ধারা মূলতঃ ধর্মান্তরিত ভারতীয় অথবা বাঙালী

৮৫

তারাও কেউ কেউ প্যান-ইসলামের প্রচারক হলেন। কিন্তু জিন্নাজী তার লক্ষা থেকে ভ্রষ্ট হননি; এই ভৌগোলিক ভারতবর্ষেই একটা পৃথকত্বের দাবি জোরদার করে তুলতে চাইলেন। সেদিন পারেননি বলেছি, তখনও ধর্মস্ৃত্রটি থাকলেও এই বিচ্ছিন্নতার মানসিকতা যথেষ্ট সর্বজনীন হয়ে ওঠেনি ফলে মুসলিম লীগের প্রকাশ্য সম্মেলনে রীতিমত বিরোধ দেখা গেল, একটি ছু'টি নয়, চারটি মত পথের প্রতিধ্বনি শোন। গেল।

৩০-এ মার্চ ষে প্রকাশ্য অধিবেশন হয়েছিল তাতে জিন্নাজী ছাড়া! আর ধারা ছিলেন তাদের মধ্যে এদের নাম উল্লেখযোগ্য £ মৌলবী মহন্মদ ইয়াকুব, মৌলানা জাফর আলি খাঁ, ডাঃ মহম্মদ আলম, মৌলানা সফি দাউদি, মৌলানা সৌকত আলি, মৌলান৷ মহম্মদ আলি, শেখ হাজি আবছুল্প। হারুন, নবাব ইসমাইল খাঁ, টি. এ. কে. শেরওয়ানী, ডাঃ কিচলুঃ মালিক বরকত আলি, ডাঃ সফৎ আহমেদ্‌ খা, আনওয়ারুল আজিম, মৌলবী সৈয়দ মুর্তাজা, নবাব আবুল হাসান, মুফতি কিফায়েৎ উল্লা, রাজা গজনফর আলি খা, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ সিদ্দিক, আসফ আলি।

নামগুলে। পড়তে গিয়ে একট! কথা মনে পড়ল। তোমাকে যে মানসিকতার কথা বলেছি তার এক বিপরীত দৃষ্টান্ত হচ্ছেন মৌলানা, আবুল কালাম আজাদ

স্মৌলানা আন্ুুল ক্কালান্ম আজাদ

তুমি কি শুনে অবাক হবে যে, মৌলানা আজাদের জন্মভূমি ভারতবর্ষ নয়? তার বাবা ২৫ বছর বয়সে মক্কায় যান এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি মদিনার পণ্ডিত শেখ মহম্মদ জহিবের মেয়েকে বিয়ে করেন ১৮৮৮ শ্ীষ্টাবে মক্কায় মৌলান। আজাদের জন্ম হয় ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে তার বাবা সপরিবারে কলকাতায় আসেন। জেড্ডায় পড়ে গিয়ে আহত হন এৰং চিকিৎসার জন্য কলকাতা আসেন। বেশিদিন থাকবেন না বলে

৮৬

এলেও তার অন্ুরাগীরা তাকে ছাড়লেন না। তারপর মৌলান! আজাদ স্ুদ্ধ সবাই কলকাতা চলে আসেন

বাবা ছিলেন প্রাচীনপন্থী স্থৃতরাং ছেলেকে আধুনিক শিক্ষা! দেবার কথাই ওঠে না। প্রাচীন পন্থা মতে! ছেলেকে শিখতে হল ফারসী আর আরবী; তারপর কিছু দর্শন, কিছু ভূগোল, অস্ক। বীজগণিত |

মৌলানা আজাদের লেখাপড়৷ অনেকট। রবীন্দ্রনাথের মতই হয়েছে কলকাতায়, মান্রাসা ছিল বটে কিন্তু তার পিতার এই মাদ্রাসা সম্বন্ধে উচ্চ ধারণ! ছিল না। সুতরাং পুত্রের শিক্ষাব্যবস্থা বাড়িতে হল; প্রথমে কিছুকাল স্বয়ং পরে নান! বিষয়ে নান পণ্ডিতের অধীন ধারা দস্তরমত পণ্ডিত। ষোল বছর বয়সেই তিনি এভাবে ২২২৫ বছর বয়সের পড়া শেষ করলেন

খুব শিগগিরই স্যার সৈয়দ আহমদ খানের লেখার সঙ্গে পরিচয় হল এবং লেখকের আধুনিকতায় চমতকৃত হলেন। ওঁর [77019 ৬/105 চা০০000 থেকে পড়ছি শোন £

“] 12911290. 008 21002 00010. 0106 70০ 0:01 500920 1]) 0132 10006] 70110 01716555176 5600120 11000211) 50121)06) [01011950015 2120 11621906015. 1 0501050. 0091 [050 1০2] [06119]. 1 90016 00 11001951 11 010910017020. ৩050 08:01 ₹/])0 ৪9 0301 (01016 17590011061 0: 00০ 01121009] 00036 90010165706 [21061761076 00০ 7/051151) 210179 2120 58756 006 17০25 001001217 ১9102175 5150 73001. £85 50012 29 [:£91060 90100 11016505০০0: 19175009766) ] 5621506০129 0) 31016. ইত্যাদি

অনেকের ধারণা তিনি চোস্ত উর্ই প্রভৃতি জানতেন, ইংরেজী জানতেন না। তোমারও যদি সেই ভ্রান্ত ধারণা থেকে থাকে ভাই এটুকু পড়লাম।

বললেন, মৌলান। আজাদ ক্রমশঃ পারিবারিক গৌড়ামির ব৷ ধর্মান্ধতার শেকল ছি'ড়লেন এবং মুক্ত মনে সব কিছু বিচার করে চলতে যখন শুরু করেছেন তখনই ঘটল বঙ্গভঙ্গ তিনি লক্ষ

নখ.

করলেন বাংলার হিন্দুরাই রাজনৈতিক জাগরণের নেতৃত্ব করছেন। বঙ্গভঙ্গ বাংলা মাথা নত করে মেনে নেয়নি

মৌলান' ক্রমশঃ তৎকালীন বাঙালী বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসতে লাগলেন, প্রথমে শ্যামস্ুন্দর চক্রবতী, ক্রমান্বয়ে অরবিন্দ ঘোষ

অবধি | “705 155016 ৪3 0186 ] ৮৪5 20090০660 00 22৮০|]0- 001081৮ 00116105 2190 0010560 01 ০0: 006 £10005.7

[1019 ড/105 ঢ990000-এ তিনি আরও লিখেছেন £

সেকালে বিপ্লবীদলে হিন্দু মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় থেকেই লোক নেওয়! হত। বস্তুত তখন সব বিপ্লবী দলই ছিল মুসলিম-বিরোধী | তারা দেখেছিলেন, বৃটিশ সরকার মুসলমানদের ভারতের রাজনৈতিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে নিয়োগ করছিলেন এবং মুললমানেরাও সরকারের হাতে খেলছিলেন | পূর্ব বাংল! একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ হবার পর তার লেঃ গভর্নর ব্যামফিল্ড ফুলার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যে, সরকার মুসলিম সম্প্রদায়কে স্ুয়োরানীরপে গণ্য করেন বিপ্রবীরা তাই মনে করতেন, মুনলমানেরা ভারতের স্বাধীনতা লাভের পথে কণ্টক- স্বরূপ, স্থৃতরাং অন্যান্য প্রতিবন্ধকের মতো! এদেরও উৎপাটন করা দরকার

“মুমলমানদের অপছন্দ করার জন্য বিপ্লবীদের আরও একটি কারণ ছিল। সরকার মনে করতেন, বাংলার হিন্দুদের মধো রাজনৈতিক চেতন। এতই ব্যাপক যে, বিপ্লবীদের ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে লাগা- নোর ব্যাপারে কোন হিন্দু অফিসার যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য নয়। তাই গভর্নমেণ্ট যুক্তপ্রদেশ থেকে বেশ কিছুসংখ্যক মুনলিম অফিসার আমদানি করলেন পুলিশের ইণ্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চে। ফল হল,বাংলার হিন্দুরা ভাবতে লাগলেন, মুদলমানমাত্রেই রাজনৈতিক স্বাধীনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধাচারী।

“শ্যামস্ুন্দর চক্রবত্তা যখন আমাকে অন্যান্ত বিপ্লবীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং আমার বন্ধুরা দেখলেন আমি তাদের দলে যোগ দিতে ইচ্ছুক, তারা অত্যন্ত বিস্মিত হলেন প্রথম প্রথম

১০

তারা: আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতেন না এবং তাদের অস্তরতম পরিষদদের বাইরে রাখার চেষ্টা করতেন আমাকে কালক্রমে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারলেন এবং আমি তাদের আস্থা অর্জন করলাম | আমি তাদের সঙ্গে এই বলে তর্ক শুরু করলাম যে, মুসলিম সম্প্রদায় তাদের শক্র এমন মনে করাট! তাদের ভূল। আমি তাদের বললাম বাংলার কয়েকজন যুসলিম অফিসারকে দিয়ে তার! যেন সকল মুললমানের বিচার না করেন মিশরে, ইরাণে তুরস্কে তো মুলমানের! গণতন্ত্র স্বাধীনতা! লাভের জন্য বৈপ্রবিক ক্রিয়াকলাপে আত্মনিয়োগ করেছে। ভারতের মুললমানের! রাজনৈতিক সংগ্রামে যোগ দেবেন যদি আমরা তাদের মধ্যে কাজ করি এবং বন্ধুভাবে যদ তাদের হৃদয় জয় করতে পারি আমি আরও বললাম, মুসলমানদের সক্রিয় শক্রতা' নিদেন ওদাসীম্যও রাজনৈতিক স্বাধীনতার সংগ্রাম কঠিনতর করে তুলবে কাজেই আমাদের কর্তব্য হবে, সম্প্রদায়ের সমর্থন বন্ধুত্ব লাভ করার চেষ্টা

“আমি অবশ্য বিপ্লবীদের আমার নিদান সম্পর্কে নিঃসংশয় করতে পারিনি তবে কালক্রমে কেউ কেউ আমার কথ! মেনে নিয়েছিলেন এই সময় আমি নিজে মুসলমানদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, একদল তরুণ মুদলমান নতুন রাজনৈতিক কর্তবা সাধনে প্রস্তৃত ।”

মন্তব্য করলেন, মৌলান। আজাদের কথাগুলো মর্মস্পর্শী, কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলার শহীদ আসফাক উল্লার কথা ভুলে না গেলে স্বীকার করতেই হয়,তরুণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধোও ক্ষুদিরামের প্রাণ ছিল আছে; কিন্তু আমার (মনে.একট! জিজ্ঞাসার জবাব আজও পাইনি | হিন্দু বিপ্লবীরা যদি মুদলমানদের অবিশ্বীসে দলে না-ই নিয়ে থাকে, আর যদি তাদের তরুণ সমাজে দেশের জন্য প্রাণোৎসর্গের আকুতি থেকেই থাকে তবে, হিন্দু বিপ্লবীদের মতো তাদেরও ছোট ছোট দল গড়ে উঠল. না কেন? হিন্দু বিপ্লবীদের অসংখ্য দল এবং কুৎসিত দলাদলি ছিল; এক দলের লোক আর এক দলের লোককে

উঠ

শত্রু, পুলিশের চর; বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি বিশেষণে নিন্দিত করত; কিন্তু হিন্দু তরুণ সম্প্রদায়ের হাজারো দল গড়ে ওঠার পথে কৌন বাধা দেখ! দেয়নি! রেষারেষির মধোও তাদের লক্ষ্য ছিল শত্রপক্ষ ইংরেজ, এবং রেষারেফিটা ছিল রিভলভার যোগাড় করার ইংরেজ মারার ভাবট! এই যে, রিভলভার চালিয়ে স্বাধীনতা আনতে হয় তে। আনবে অন্বশীলন পাটি? নয় তো যুগান্তর গোষ্ঠী, নয়তে। এই দুই থেকে আলাদ! ছোট ছোট শ্রীসজ্বের দল; চট্টল বিপ্লবীর। যেমন অন্ত্রাগার লুষ্ঠন করেছিল। এমনটা হল না কেন মুসলিম তরুণদের মধ্যে? প্রশ্নের জবাব আমি আজও পাই নি।

্মািক্র নে ভীন্নে

অথচ তুমি বোধ হয় শোনোনি? বাংল! দেশে একটা মন্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল ১৮৫৯-৬০-এ ; তার নাম নীল বিদ্রোহ। নীল চাষিদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান, বলতে গেলে সবই কিন্তু কোন সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি তাদের বিষধর করে তোলেনি বলে হিন্দু- মুসলিম চাষি হয়েছিল একাকার এবং বহু ক্ষেত্রে নেতৃত্ব করেছে, প্রচারণ। করেছে, উদ্দীপন। জুগিয়েছে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের হিন্ু। সেই বিদ্রোহ অসাধারণ সাফল্যের দীপ্তি নিয়ে বাংলার বৈপ্লবিক ইতিহাসের একাংশ অধিকার করে আছে। আছে সেই শক্তি ধদের মধ্যে তবু কেন ইংরেজ আমলে তাদের উদ্ভব ঘটল না, এই প্রশ্নের জবাব আমি আজও খুঁজে পাইনি

শুধু নীল চাষির বিদ্রোহ কেন? খিলাফতি আন্দোলনের সূত্রে আর একবার এই বিরাট শক্তিলম্পন্ন সম্প্রদায় আলোড়িত হয়ে উঠেছিল, কালক্রমে তা ছিধা বিভক্ত হল বটে এবং তার পরিণতিও মর্গান্তিক হল বটে, কিন্ত মৌলানা আজাদ প্রমুখের জাগরণ তো মিথ্যে নয়। তোমাকে আমি যে মূল মানসিকতার কথা বলেছি, তার বিপরীত দৃষ্টান্ত হিসেবে শুধু মৌলানা আজাদ নন, বিপুল সংখ্যক

পু

জাতীয়তাবাদী মুসলমানও তো ভারতের রাজনীতিতে স্থান জুড়ে ছিলেন তাদেরও মর্মান্তিক পরিণতি ঘটছে, কেন, কি করে?

সম্মুখের ইতিহাসে তার জবাব পাওয়া যাবে এবং পাওয়1 যাবে সীমান্ত-গান্ধী খান আবছুল গফুর খানের দিগন্ত-বিস্তারী ধিকৃকার__ 71101800716 ড/০1০5-এর হৃদয় বিদারক জবাবে।

খিলাফতির টান কাটিয়ে এদেশের মাটির টান ধার! অনুভব

করেছিলেন তাদের কথাই বলছি। বৈপ্লবিক আন্দোলনের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল না বটে কিন্তু অন্তরের সঙ্গে কংগ্রেসকেই অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন ১৯২৯-এর জুলাইয়ে তারাই গড়েছিলেন কংগ্রেস- মুসলিম পার্টি, মুনলিম লীগের কথায় ধারা সায় দিতে পারেননি এস. এ. ব্রেলভি, যুস্ফ মেহেরালী আর কয়েকজন যে দাকুলার জারি করেন তারই ভিত্তিতে বোস্বাইয়ে ৮ই জুলাই এক সভায় সর্বপম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়।

১৯২৯-এরই ২৭ ২৮-এ জুলাইয়ে যে সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী মুসলিম সম্মেলন হয় তার সভাপতি ছিলেন মৌলানা! আবুল কালাম আজাদ; উপস্থিত থেকে এতে অংশ গ্রহণ করেন বাংলা, বিহার, দিল্লী, পাঞ্জাব, যুক্তপ্রদেশের ডাঃ আন্সারী, খালিকুজ্জমান, শেরওয়ানী মহম্মদ আলম, সামন্ুদ্দিন, আফতাউদ্দিন চৌধুরী, গুলাম জিলানী, জালালুদ্দিন হাসেমী, সরাফুদ্দিন আহমেদ, মহম্মদ কাসেম, মৌলান। আবুল বারি, এফ. এইচ. আন্সারী, সিরাজুদ্দিন পারিচা, আবছুল কাদির, সঈছুর রহিমান কিদোয়াই আবছুল মজিদ জাইদি। এই সম্মেলনে যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয় তার মধ্যেই বিভিন্ন পন্থী- দের মত-সংঘর্ষ প্রতিফলিত হয়েছে তাতে তারা বললেন £ “1116 00116108] ৪7888168674 10 1919 18 76108 £%0০৪115 ড/981087)90. 195 1069-00020100008] 000111068 800. 191968%60 26663)108 819 06106 00809 217 01067076 308:699 60 জা980 18109816009 ৪5 1000. 100116198] 890৮1516195, 10709 07:699176

(81870006800, 80008 001101095115-0287060 14091909800 606 90039990906 808605 ০01 609100885 ০1 6109 70081670 00027000165

৯৯

08108 60৪ 01:001802 113018)0 17690020 &19 009 6০ &&

0021098] 800760196100. 616 001161081 010118868008

17010110610. 61091580601 6179 00001000165 19108 & 087 06081001810 086200, 10031600 1001161081 9,06:5165 19 100 001001760 81799) 07)6 2091)1098 01 6178 91961106 100819100 110968- ঠ0610108) 60 আ11010106 100116109] 199])020811911165 8৪ 0119 10017 0018906159) 8100. 19900110101 6100 20000615 28 12097915 1001090- 9] 6)916990, 17690096176 10660. 10] 6179 109 1965. 1709 10108] 001903 01 16 819 60 1)010069 800106 8105192008 & 910106 01108/061017911910) 60 0169%9101) & 10920681165 ৪,00%8 00220700118 11970) 820 60 11910101060 02900 6198,691000009005 1 110018) 0096101)8] 10093) 60 1110009 100319075 60 698০ 6061 [0101067 91910. 10 6116 118610051 96706819, 207 60 0:9869 9501) 1918610133 109055991) 6118 108107165 800. 6106 10170017165 001120010161685 88 010 10890 $109 10117067 60 00009106৮ 09716106501 6109 19067 17 90106 01 0১:080-7010098

79610613200,”

তোমায় আমি অকপটে বলব, সতা, যে, এমন ্বচ্ছদষ্টি-সম্পন্ন বাস্তব বুদ্ধিদীপ্ত প্রস্তাব এদেশে খুব বেশি গৃহীত হয়নি এতে সমস্ত হূর্বলতার স্বীকৃতি আছে, আবার ভবিষ্যৎ বলিষ্ঠ পদক্ষেপের আশ্বাস আছে-_-এ রাজনীতি আদৌ সাম্প্রদায়িক কুয়াশায় আচ্ছন্ন নয় 'মুসলমানেরা ১৯১৯-এর পর থেকে চারদিকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন এবং রাজনীতি সম্পর্কে অনাগ্রহ সঞ্চারিত হয়েছে তাদের মধ্যে, যেন দেশের ভাগানিয়ন্ত্রণে তাদের কোন কর্তব্য নেই, চারদিক থেকে তাদের টানছে বিপরীত স্বার্থের জাল তার! :ঘ ভারতীয় জাতির এক অবিচ্ছেন্চ অংশ চেতনা বিস্তারিত হচ্ছে না এই সৰ কারণেই নতুন পার্টির দরকার এবং পার্টির কাজই হবে মূনলমানদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা। সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত এক মানপিকতার পরিপোষকতা করা, তাদের মধো ভারতীয় জাতীয় ধ্যান-ধারণার প্রতি বেশি করে বিশ্বাস সুচিত করা, জাতীয় সংগ্রামে যোগদানে অনুপ্রাণিত করা এবং সংখ্যাপ্জর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন একটি সন্ন্ধ স্থ্টি করা যাতে সংখ্যা্চরদের চেতনায় সংখ্যালঘৃদের

৯২

অধিকার ব্বীকৃতির উপযোগী উদার দেশাত্মবোধ সহজ হয়েষায়।

বললেন, হচ্ছে নিঃসংশয়ে দেশের কথা, ঘরের কথা) অন্তরের কথ! একান্তভাবে সেন্টিফিউগাল, কেন্দ্রমুখীন কিন্তু তোমায় যে ৰিকেন্দ্রমুখীন সেন্ট্রিপেটাল (ফোর্সের কথা বলেছি, তার কথাও শোনো

লরাইল্ডেল্প উীন্নে টান্নে

স্যার মহম্মদ সফির উদ্যোগে দিমলায় হল অল ইগ্ডিয়! মুস্লিম কনফারেন্স, ৮ই সেপ্টেম্বর তাতে যে প্রস্তাব পাশ হল তার মধ্যে ঠিক এই বিকেন্দ্রীকরণের বহিমু্খীন মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে ;

এখানে দেশ-আত্ম-বোধ নয়) সাম্প্রদায়িক বোধই নিরাবরণে প্রকাশ পেয়েছে £

“ভ106168৪ 0009 [09180 [ব5610108] 0:0080699 139,108 9000000- 090. 60 8106 11011091099 ০01 6119 711700 71817889018, 1193 1010 81)80001090 169 000১$)60610)08] 1098] 01 6106 999810119101079106 ০01 & 1906191 98690 01 80590100906 চঘ1৮) 011 0:05100191 80010010075) 10010) 16 1090. 0010888091061% 99.50০990 817)09 1904) 900. 06198, 0100 60 6106 ৪8/06 1701159009১ 6109 0010- 85995 1098 00 8007)৮60১ 10890690701 8109 00105861606100%] 10681 8,101998%10) ৪, 0010881606102 81001900560. 50 6০ ]910:0 91১০: 10101) 9৪ 1099 1096] 11611815 56%690 1) 15115% 010 1015 19990 8,007988 ৪৮ 609 109009 [7017109181 171000 70181088810108 15 078,0610911% 10906108] 11) 8086 %05008660. 0 60৪ 1871000. 119,109880108 ৪6 ০0000981079 800. 818875108:9 &00. 1৩ 91161191% 070700890 6109 01080170008 00$01010 01 11091170 10079 7 870 ত106:985 608 0002989 98981006079 10910 [08190160108 609 1010100000108 00718620085 আ1]]) 00 0108 01700210786877088) 139 88590688]15 ৪, £109008 ০06 6009 71008 11505891005) 6109 136006159 730810. 01 60৪ 511-17018 14091177 00019789298 066009 16 10 6709 11181)986 06896 660081065] 60 6109 0956 17069798869 01 (6006 0051361 110 £9067%] &00. 0106 1/08- 1100 90001000771 10 080100182) 107 80 10089810180 60 86690 6156 10:60 09000108 9588100 ০01 6156 1%6100%1 0008988

উঙ

8120. 98/099615 100068 8186 10019 110911008 সা?]] 9৮ 61015 0716108%] 10::06009 8170 0101901700৮ 0 00869101106 (010 108101010861012 1] 0109 00108933 99881010 28 105 90012 195101- 10868010 0109 সা1]] 01015 709 19100108 901)100: 60 609 0070561- 061017.

সংশয় সন্দেহের লেশমাত্র কারণ কখনে৷ ঘটেনি এমন কথা কেউ বলবে না, বল। উচিতও নয়, কিন্তু ১৯৪৬-৪৭-এ এীতিহাসিক পরিণতি লক্ষ্য করলে দেখবে, ভারতীয় রাজনীতিতে হিন্দু হহাসভার আধিপত্য ক্রমশঃ শৃন্ে বিলীন হরেছে, শেষ দ্বন্দ হয়েছে কংগ্রেস মুসলিম লীগের মধ্যে পেখানে হিন্দু মহাসভা জাতীয়তাবাদী মুসলিম সংস্থা অনুপস্থিত শুধু নয়, বামপন্থীদের মতো! তার। কোনো সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেনি কিন্ত ষোলো সতের বছর আগে এবং যোলো মতের বছর ধরে কংগ্রেসের হি'ছুয়নি নিয়ে টানাটানি হয়েছে এবং কংগ্রেস “হিন্দু নই? হিন্দু নই' বলতে-বলতেও চূড়ান্ত পর্যায়ে (১৯৪৬-৪৭-এ) লীগ কংগ্রেপকে দিয়ে বলিয়েছে সে হিন্দুই, হিন্দু-মুদলমান ছুই জাতি, এই ছুই জাতির ছুই সংস্থা-_ কংগ্রেস মুসলিম লীগ ; ছুই জাতির ছুই রাষ্ট্র চাই, অত এব কাটে। ভারতবর্ধকে।

১৯২৯-এ জিন্নাজী সফিজী এক পথাবলম্বী নন বটে, কিন্তু ছুইয়ের মৌলিক এঁক্য ছিল বহিমুখীন মানপিকতায় এবং এই কারণে, বেশি দূরে নয়, ১৯৩০ নাগাদই দৌহে মিলন হয়েছিল আপাতত: ছৃ'ট প্ল্যাটফর্ম থেকে জিন্নাজী সফিজী কংগ্রেসের সঙ্গে অসহযোগিতার আহ্বান জানালেন এই সংশয়ে যে, কংগ্রেসে আসলে হিন্দু মহাসভার আধিপত্য; কগ্রেসকেই পুরোপুরি হিন্দু প্রতিষ্ঠান বলে ঘোষণার দিন জিনাজীর তখনও আসোঁন |

দেখ, সত্য, বৈপ্লবিক আন্দোলনে যেমন, এই বৈধ সাংবিধানিক আন্দোলনেও তেমনি, হিন্দু মহাসভা৷ বা কংগ্রেস থেকে একেবারে পৃথক একটা জোরদার জাতীয়তাবাদী মুনলিম আন্দোলন গড়ে উঠল নাকেন? অবস্তা বামপন্থীদের ব্যর্থতাও লক্ষণীয় ঘটনাক্রমে

৯৪

দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রাম, বৃটিশ কূটনৈতিক যোগসাজগে সর্বতোভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠল কংগ্রেস মুললিম লীগের ওপর এবং তার চাইতেও বেশি-_মুসলিম লীগের ওপর ; কি ধরণের স্বাধীনত। ভারতে আসবে তা ডিকটেট করে দিয়েছে মুসলিম লীগই

স্তার মহম্মদ সফির সম্মেলন সেদিক থেকে সামান্যও নয়, নগণ্যও নয়। সেকালের রাজনীতিকের। অথব৷ বর্তমান শাসকশ্রেণী প্রভাবিত ইতিহাসবিদের1 যতই তাকে ক্ষুত্র প্রতিপন্ন করতে চান স্তার সফি মুসলিম সম্প্রদায়কে এক্যবদ্ধভাবে ১৯৩০-এর কংগ্রেস থেকে সরে দাড়াতে বলতে পারলেন, একদল জাতীয়তাবাদী মুসলমানের অন্ুপেক্ষনীয় সহযোগিতা উপস্থিতি সত্বেও কেননা, জিন্ন। সফির অন্ুগামীর। ধর্মের নামে সম্প্রদায়ের নামে যে জনসংযোগ চালিয়ে গেলেন, সেখানে জাতীয়তাবাদী মুসলমানেরা দক্ষিণপন্থী কংগ্রেসদের চাপে বামপন্থী কংগ্রেসীদের পশ্চাদপসরণের মতোই সম[নে পিছিয়ে গেছেন; যেটুকু-বা দৃঢ়তা বা সঙ্কল্প ছিল তাও ১৯৪৬-৪৭-এর কালনেমির লঙ্কাভাগকালে অনস্বীকৃত হয়েছে ১৯৪৭-এ শুধু স্বাধীনতাই আসেনি; উন্মেষোনুখ জাতীয়তাবোধেরও ভ্রপ-মৃত্যু ঘটেছে।

সত্য, কেন এমন হল, অনেকের কথাতেই এমনি একটা আফশোষ শোন] যায়, কিন্তু তারা তো ইতিহাসের সব পাতাগুলো পড়ার অবকাশ পান না।

নাজা মহাব্াজাব কথা

১৯২৯-এর উথাল-পাথাল ভারতবর্ষের অঙ্গীভূত অথচ কৃত্রিম সীমারেখায় বিভাজিত দেশীয় রাজ্যগুলোর ইতিহাসও তেমনি আমাদের সমগ্র ইতিহাসের অপঠিত পাতা। রাজন্যবর্গের অবিচল বিশ্বাস ছিল বুটিশরাজের ওপর-_যদিও রাজন্যবর্গের ইতিহাস বৃটিশ কূটনীতি আধিপত্যে অবিরাম নিগৃহীত হবারই ইতিহাস কোটি কোটি ভারতবাদীর মধ্যে সাত আটশো রাজন্যের ছুখ ছিল

৯৫

না, কিন্তু অবস্থাকে নিদারুণ করে তুলেছিল এই নিগৃহীতদেরই প্রজাগীড়ন-রীতি | রাজন্তবর্গ একদিকে যেমন নিগ্রহকর্তা প্যারামাউণ্টসির য়্যাপ্রন ধরে থাকার আকুতি প্রকাশ করেছে, অন্য দিকে দের চণ্-দগ্ডনীতির লগুড়' পড়েছে প্রজাদের ওপর | ন্নতরাং তারা যখন শুনলেন। কংগ্রেস তথা বৃটিশ-ভারতের জনগণ ক্রমশঃ স্বাধীনতার সন্কল্পে ঝুঁকে পড়ছে তখন অত্যান্ত উদ্বিগ্ন হলেন এবং ইংরেজের উদ্দেশে তাদের অনুরক্তি জানালেন

নয়াদিল্লীতে তিনদিন ব্যাপী রাজন্য সম্মেলনে ১৩ই ফেব্রুয়ারী প্রস্তাব হল £

“দ/17110 ৪01)67100 60 61091]: 10110 01 000-11)69756106800 2 (176 ৪09179 01 1311615]) [10015 800. 76109%0100 00061) 8,59102009 01 ৪5101901)5 ৮110) 109 0010111)060 1১011610981 [0:001698) 6109 70170095 8400 01)1915 0012)1)091100 609. 0100001)017) 110 10 01 (106 19081) 72:000011061261313 01 &, 980%1010 01 13161510 17001811 [00116101805 17191080159 ০019, 07116 08109 0010])18/9 8001- 10917081009) 095119 (0 1)1808 01] 1:60070 (1386 110 6108 1161) 01 10018] 0101108610119 81191100 171'0170 61917 0986195 800. 91068.26- [0061005 101) 6109 13116191) 0:00 01169 0801009 8,88810 60 ৪0 [:01009915 10951106 [0 61561: 0101608 0109 &0110560069206 01 6000- 81019 7:6186501)3 10665921) 1100180 5$8.899 81)0 73116191) [10088 0101958 5001) 70010038195 1)700880 01) 1016181 108515 01 6196 [3116151) 90159961022.

“পাতিওয়ালার মহারাজ। চ্যান্সেলার হিসেবে প্রস্থাবটিকে পরিষ্কার করে বললেন, “রাজন্যবর্গ সর্দাই বুটিশ-ভারতীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ কর! থেকে বিরত আছে এবং এই রীতির ব্যতিক্রম ঘটাবার অভিপ্রারও তাদের নেই; কিন্তু সম্পূর্ণ বৃটিশ-সম্পর্কছেদের বে-কথ। বৃটিশ-ভারতের একদল ভারতীয় র!জনৈতিক চিন্তানায়কদের মধ্যে উঠেছে তা? তো শুধু বৃটিশ-ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বৃটিশ- ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং রাজনৈতিক, এঁতি- হাসিক অর্থনৈতিক বন্ধনেও আবদ্ধ, এই কারণে তার] সময় থাকতে এই উদ্বেগ প্রকাশ কর্তব্য বলে মনে করছেন যে, ভারতীয়

৯ড

রাজনীতির গতি-পরিণতি এমন হওয়1 উচিত নয় যাতে বৃটিশ-ভারত ভারতীয় ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ অন্ষু* রাখার ক্ষেত্রে কোন প্রতি- বন্ধকের স্থষ্টি হতে পারে অথবা বুটিশরাজের সঙ্গে তাদের পারস্পরিক সন্বিশর্ত পালনের পক্ষে সামগ্রস্তুহীন হয়। ভৌগে।লিক আয়তনের দিক থেকে, ব্রহ্মদেশকে বাদ দিলে দেশীয় রাজ্যগুলে। এই উপ-মহাদেশের অর্ধেক, জনসংখা| সাত কোটি | আমরা তাই মনে করি যে, সমগ্র দেশের চূড়ান্ত নীতি নির্ধারণে আমরা উপযুক্ত মতাধিকার দাবি করতে পারি। আমরা এই দৃঢ় অভিমত পোষণ করি যে; বৃটিশ- ভারতের কল্যাণবহ স্বােই বুটিশ সম্পর্ক বজায় রাখ! কর্তবা। আমরা! বিশ্বাস করি, সাম্রাজোর বহিভূর্তি হয়ে নয়, তার অন্তভূক্তি রাজ্য প্রদেশের ফেডারেশনরূপেই ভারতের মহত্তর অধিকতর সমৃদ্ধি . ঘটবে! এই যখন আমাদের দৃঢ় ধারণা তখন বৃটিশ-ভারতে পূর্ণ- স্বাধীনতাকলে আন্দোলনকে আমরা দেশের কল্যাণবহ স্বার্থের পক্ষে হানিকর গণা করব এবং সমগ্র ভারতবর্ষের মঙ্গলের জন্য দেশীয় রাজ্য বৃটিশ-ভারতের স্থার্থের সৌহার্দপূর্ণ সামঞ্জস্ত বিধান বিদ্বিত হচ্ছে বলে মনে করব ।?

কিন্ত, সতা, দেশীয় রাজা তো শুধু রাজা-মহারাজার নয়, তাদের “সাতকোটি” প্রজাও ভারবাহী পশুমাত্র নয়; বৃটিশ-ভারতের চেতনার ছোয়াচ সেখানেও তো! লেগেছে এবং সেখানকার প্রজারাও সকল কল্যাণের অভিভাবকতা৷ রাজা-মহারাজার ওপর চিরকাল ন্যাস্থ রাখতে রাজি নয়! ইংরেজ শাসকদের অনুকরণে অবশ্য তারাও দাৰি করতেন যে, প্রজারা নিজেদের কল্যাণ বোঝে না, সে বোঝবার দায়িত্ রাজা-মহারাজারই | কিন্ত এমন একদিন আসে যেদিন নীচের মানুষ বলেঃ অনেক ভালো করেছ গো, আর ভালোতে কাজ নেই, এবার আমাদের ভালে৷ আমাদের দেখতে দাও দেশীয় রাজের প্রজারাও তাই বলতে শুরু করেছিল। মাঝে মাঝেই এখানে ওখানে দেশীয় রাজ্য প্রজাসম্মেলন হচ্ছিল) আঞ্চলিক সবভারতীয়

এ-বছরেই বোম্বাইয়ে এমনি এক সম্মেলনে প্রজাদের কথ!

উদ

প্রতিধ্বনিত করে সি. ওয়াই. চিন্তামণি বললেন, হ্যা, বলে রাখি তখনও প্রজা-আন্দোলন তেমন মিলিট্যাণ্ট বা মারমুখো হয়ে ওঠেনি ; স্বৃতরাং তার ভাষাও ছিল চিস্তামণির মতই সংঘত নমর, কিন্ত মনোভাব স্পষ্ট থাকেনি, তিনি বললেন £

«কোন কোন রাজ! অবশ্য বৃটিশ-ভারতে রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য বৈধ-আন্দোলনের প্রতি বরাবর সহান্ুভূতিসম্পন্ন। উদাহরণ স্বরূপ গাই-কোয়াড়ের মহারাজা, সিন্ধয়ার পরলোকগত মহারাজা বিকানীরের মহারাজার কথা বল! যায়, তাদের কথা আমি কুতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণও করে থাকি; কিন্ত সাধারণভাবে ১৯১৭-১৮ ্রীষ্টাব্দে যে মনোভাব বাক্ত করেছি আজও তাই করে বলছি, ঠিক যখন বৃটিশ-ভারতে শাসন-সংস্কার বা সম্প্রসারণের সুচনা হতে চলেছে তখন রাজামহারাজাদের স্বাধিকার সম্পর্কে উৎকগ্ঠার আতিশয্যে এই ব্দেনাকর ধারণারই স্থ্টি করেছে যে, বুটিশ সরকারের ওপর তাদের যতখানি আস্থা। স্বদেশবাসীর লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ওপর ততখানি আস্থা স্থাপন করতে রাজি নন-__অথচ এই বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধেই তারা সঙ্গত অভিযোগ করে থাকেন যে, তাদের সঙ্গে সম্পাদিত সন্ধিশর্তগুলো৷ পালনে ন্যায়বিচার করছেন না

নতরাং. শুধু বৃটিশ-ভারতে নর, দেশীয় রাজোও রাজায়-প্রজায় দবন্থ চলছিল ২৯-এই এবং ৩০-এর স্বাধীনতা পস্থাবের মুখে এসে হতে পারে, তুলনায় ক্ষীণ প্রবাহ কিন্তু তার অস্তিত্ব অন্বীকার করবে কে? এবং এর অস্তিত্ই প্রচণ্ড সত্য হয়ে দেখ। দিয়েছিল ৪৭-এঃ ৪৭-এর পর; কেন না, দেশীয় রাজ্য হলেও ওরাও দেশের মানুষ। আর রাজ-শাসনের প্যাটার্নটাও তো একই ? সেখানেও মেই একই মুক্তির আকুতি ; একই সংঘর্ষ

কিন্তু আজ নয়, কাল তোমায় বলব, যে ছুট প্রবল ধারা আর সব ক্ষীণ ধারাকে টেনে নিয়ে চলেছিল, যার একটির দাবদাহ চার- পাচ বছরেই নিঃশেষ, হয়ে গ্লেছল, আর একটি চলেছে অবিচ্ছিন্ন ; আজ নয়, কাল।

কীদে

হলাহোল্প অডুআভ্ত মাল!

পরদিন বললেন, ঠিক করে উঠতে পারছিনে. কোন্টি তোমায় আগে বলব, যেটি চার-পাঁচ বছরে নিঃশেষ হয়ে গেল সেটি, না

যেটি অবিচ্ছিন্ন [চলেছে সেটি? থামলেন |

বললেন, একটির ওপর আর একটির অন্তংক্রিয়া হয়েছে, কিন্ত যেটি স্বল্পায়ু নিয়ে হতপ্রাণ হল তার এপিটাফ বলব। তাই করিঃ

১৯২৯-এর ১০ই জুলাই লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা “সগ্ডাপ-হত্য। মামল।” শুরু হল। বিচারক-_স্পেশ্টাল ম্যাজিস্ট্রেট রার সাহেব পণ্ডিত গ্রীকিষণ। বিচার স্থান-_লাহোর সেন্টটাল জেল। জেল হল আদালত | লরেন্স গাডেন পর্যন্ত জেলখানার সব আনাগোন। পথে কড়। পুলিশ প্রহরা? রাস্তায় রাস্তার ইউরোপীয়ান সার্জেন্টদের টহলঃ ওদের ভটভটি মানে মোটর সাইকেলের আওয়াজ এক অব্যক্ত ত্রাসের সৃষ্টি করে চলেছে। তবু জেল রোড ধরে একদল ছুঃসাহসী তরুণ দাড়িয়ে ছিল; বন্দীদের যখন আন] হল তখন ওরা তেমনি অকুতোভয়ে চীৎকার করে উঠল £ বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক !

হয়নি বিপ্লবকে দীর্ঘজীবন দিতে পারেনি নির্ভয় পথচারীরাও কিন্ত অন্ততঃ সেদিন তো! ছিল স্তর্যের মতো জলন্ত বিশ্বাস তরুণদের হৃদয়ে হুৃদয়ে। অভিযুক্তের সংখা ৩২; এর মধ্যে সাতজন মুক্তি- প্রতিশ্রুত, অর্থাৎ রাজসাক্ষীর কলঙ্ক কালিম! নিয়েছে মেখে ; ন'জন আপাতত; পুলিশের বেড়াজাল-মুক্ত। পুলিশের ভাষায় পলাতক চলতিভাষায় “আত্মগোপন করে আছে। আসলে ফোলোজন বন্দী বিচারকের সম্মুখীন ধরবার পর থেকে আড়াই মাস পুলিশ তাদেরই হেফাজতে রেখেছে; আজ বিচারকের মুখ বিচারের বাণী শোন! যাবে।

(১) লায়ালপুরের অধিবাসী শুকদেব ; ১৫ই এপ্রিল লাহোর

৯৪

বোম! কারখানায় ধরা পড়েন। (২) কিশোরীলাল রতন » হোসিয়ারপুর “বোমার কারখানায়” বন্দী হন। (৩) শিব বর্মা, শহারানপুরে ধৃত। (৪) গয়াপ্রসাদ? কানপুরেরঃ ধরা পড়েছেন শাহারানপুরে | (৫) জয়দেব, শাহারানপুরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। (৬) যতীন্দ্রনাথ দাস, দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেস কমিটির এসিস্ট্যাপ্ট সেক্রেটারী, বন্দী হয়েছেন কলকাতায়ই (৭) ভগৎ সিং দিলীতে বন্দী, এসেম্বলি বোম। মামলায় দণ্ডিত | (৮) কমল নাথ ত্রিবেদী, কলকাত। বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র, বেতীয়ায় গ্রেপ্তার হন। (৯) বটুকেশ্বর দত্ত, বাংলা দেশে, বর্ধমানেক জি. ভি. দত্তের ছেলে, দিল্লীতে বন্দী এসেম্বলি বোম! মামলায় দণ্ডিত। (১০) যতীন্দ্র- নাথ সান্যাল; ঠিকানা! এলাহাবাদ, ধরাও পড়েন সেখানে | (১১) আগিয়ারাম, শিয়ালকোট জেলা | (১২) দেশরাজ, লাহোর ডি. এ. ভি. কলেজের ছাত্র (১৩) প্রেম দত্ত, গুজরাট, লাহোর ভি. এ. ভি. কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। (8) স্ুরেন্নাথ পাণ্ডে, কানপুরে গ্রেপ্তার হন। (১৫) মহাবীর সিং ইটাওয়া -জেলা। (১৬) অজয় কুমার ঘোষ, কানপুরে ধৃত হন।

পুলিশ ধাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে তখন ঘোষণ! করেছিল তার। হলেন : লাহোরের ভগবতীচরণ, (৫২) ধর্মশালার যশপাল, (৩) কানপুরের বিনয়কুমার সিংহ, €8) বারাণদী ভিলাপুরের চন্দ্রশেখর আজাদ; (৬) বারাণসীর রঘুনাথ, (৬) ঝান্পীর কৈল।স, (৭) কানপুরের ংগুর দয়াল অবস্তি, মে মাসে একবার ধরা পড়েছিলেন, জামীনে খালাস হন। তারপর থেকে নিখোজ!

আর রাজসাক্ষীদের মধ্যে জয়গোপাল লাহোর বোমার কারখানায় ১৫ই এপ্রিল ধর! পড়ে ; হংসরাজ ভোর] ছিল লাহোরের ফোরম্যান, ক্রিশ্চান কলেজের ছাত্র; কর্ূ্রতলার রামশরণ দাস? ১৯২৪ খ্রাষ্টাবে বড়লাট লড” হার্ডিঞ্ের ওপর বোমা নিক্ষেপের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত; এলাহাবাদ হাইকোর্টে এক এডভোকেটের ছেলে ললিত মুখার্জি ; কানপুরে ধৃত ত্রদ্ষদত্ত

৩০৩

কলকাতায় ধৃত ফণীব্দ্রনাথ ঘোষ, আর চম্পারণের মনমোহন মুখাঞ্জি |

লাহোরের সিনিয়ার পুলিশ সুপারিণ্টেণ্ডেপ্ট জর্জ ট্রেভর হ্যামিল- টন হান্ডিং ছিলেন প্রধান অভিযোক্তী। অভিযোগ ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ১২১-ক, ১২২ ১২৩ ধারানুসারী | “আসামীরা? আরও অনেকের সঙ্গে মিলে সেই ১৯২৪ খ্রীষ্টাব্দ থেকে বুটিশ-ভারতের লাহোর অন্যান্ত স্থানে নান! সময় উপলক্ষে আজ অবধি অথবা গ্রেপ্তার না হওয়1 পর্যস্ত সমাটকে বুটিশ ভারতের সার্ভৌমাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল; চেয়েছিল বৃটিশ-ভারতে আইনবলে ্তুপ্রতিষ্ঠিত সরকারকে 'বলপ্রয়োগে উচ্ছদ করতে এবং এই উদ্দেশ্তে লোকবল, অস্ত্রশস্ত্র তদ্ুপকরণ সংগ্রহ কিম্বা অন্যথ। প্রস্তুত হতে ইত্যাদি ইত্যাদ্দি। সব ষড়যন্ত্র মামলারই বয়ান থাকে এক, কেননা, হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোরই ভাষা, সুতরাং ওগুলোর ছ'ণচে ফেললে এই বয়ান থেকে নিষ্কৃতি নেই, যতবড় নয় তার চতুগ্ডণ প্রতিপন্ন হয় ধার] কণ্টির গুণে

অভিযোক্তা অভিযোগের সঙ্গতি রক্ষার জন্য বললেন, ধৃত ব্যক্তিরা এই উদ্দেশ্যে একটি দলও গড়েছিল এবং সে দলের নাম “হিন্দুস্থান রিপারিকান এসোসিয়েশান” “ইপ্ডিয়ান রিপার্িকান আমি।”

কিন্তু অভিযোগগুলো যেমন মিথ্যে নয়, এই এসোসিয়েশন আমির কথাও তেমনি অসত্য নয়। হ্যা) বলপ্রয়োগে, শন্ত্রপ্রয়োগে বৃটিশ সাম্রাজ্যকে উচ্ছেদ তো ওঁরা করতেই চেয়েছিলেন দল গড়ে। দুর্ভাগ্য এই, দল গড়ে কাজ করার আগেই তারা ধর! পড়ে গেছেন। ইংরেজ সাত্রাজ্যবাদীর1 যেখানে 'শানক সেখানে আইন তাদেরই, সুতরাং সেই আইনবলেই তাদের সরকার শ্তুপ্রতিষ্ঠিত, তার নাম ষড়যন্ত্র ততক্ষণই যতক্ষণ তা" সফল হয় না! নইলে পরাধীন দেশে শীসকজাতিকে উচ্ছেদ কর। যে দেশবাসীর নৈতিক কর্তবা, শাসকের তাকে ঘে বিশেষণেই অভিহিত করুক ন। কেন।

সুতরাং অভিযোগের হু*টি একটি ক্ষেত্রে হয়তো বাড়াবাড়ি থাকে

১০১

কিন্তু মূল কথাটা থাকে ঠিকই | পরাধীন জাতির যা নৈতিক কর্তব্য তাই বিদেশী শাসকের কাছে ষড়যন্ত্রের অপরাধ, অতএব, দণ্ডনীয় এবং চরম দণ্ড

পথ তো নিতেই হয়, রক্তপথ, কেন না, এরা তো অহিংস মন্ত্রে দীক্ষিত নন |

অভিযোক্ত৷ বললেন, বৃটিশ-ভারতে যড়ঘন্ত্র অনুসারে ১৩. ১, ১৯২৮ তারিখে ওরা চেষ্টা করেছিলেন বারাণসীর গোয়েন্দা ইন্সপেক্টুর ব্যানাজিকে__

হঠাৎ নিজের কথায়ই বাধা দিয়ে বললেন, তোমায় একটা কথ বলি, সত্য, বাংলাদেশে জীবনদানী বিপ্লবীর জন্ম হয়েছিল অনেক, নান] বিরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে অকুতোভয়ে তারা যে দেশপ্রেমের জঙগস্ত দৃষ্টান্ত রেখেছেন তার তুলন! পৃথিবীর অন্থত্রও খুব বেশি নেই কিন্ত হতভাগ্য এই দেশে মীরজাফরের একট লাইনও কম প্রবল ছিল না। ভারতবর্ষে বোমারু বিপ্লবী বলতেও যেমন ছিল বাঙালী, তাদের ধরবার জন্য, তাদের ফাসিকাঠ অবধি পৌছে দেবার ঘৃণ্য কৃতিত্বও বাঙালী গোয়েন্দাদের » বাংলাদেশে এই বিপরীত মিশ্রণই বাংলাদেশকে বড় হতে দেয়নি $ বাংল। কখনও কোন ক্ষেত্রে এক হয়ে দাড়াতে পারেনি; না৷ হিংসায়। না অহিংসায়। বাংলাদেশের শাক্তমনকে শুধু বাঙালী গোয়েন্দারা নয়, অহিংসবাদীরা নিবার্ষ করে দিয়ে গেছে। সারাজীবন অহিংস পথ মাড়িয়ে) বিপ্লবীদের নিন্দাবাদে কোরাম গেয়ে আজ স্বীকারোক্তি করছি বলে চমকে যেও ন।| তুমি বোধ হয় শুনে থাকবে, সত্য, ১৯৪৬-এ নোয়খালির শ্বশানে গান্ধীজীও প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবীরা কোথায় উবে গেল?

উবে সত্যিই গেছল। তার ন্ুচন। হয়েছিল ১৯২১-এই। অহিংস অসহযোগে ওদের আত্মসমর্পণ তবু ছিল আগুন, গোপীনাথের ধারা গোপনে গোপনে ১৯৩০-৩৪ অবধি চলে এসেছিল, কিন্ত সারা ভারতে সর্বজনীন .মুখর নিন্দা বৈষয়িক অপ্রতিষ্ঠার

১৪৭

মধ্যে বিদ্বোহের আগুন জাগিয়ে রাখা অসম্ভবৰই হয়ে পড়েছিল। সবতরাং নোয়াখালি থেকে ঘখন হিন্দুরা! পালাতে শুরু করেছিল তখন কিছু হয়তো বেদনা-বিস্ময়ের কারণ ছিল। কেন না, তখনও দেশ ভাগ হয়নি, কিন্ত দেশভাগের পর ওর! লক্ষ লক্ষ যখন একতরফ। মার খেয়ে পালাতে শুরু করল তখন বিম্মিত হইনি। বীর্যহীন বাঙালীর কাছে আর কিছু আশা করিনি কিন্ত এর মৃত্যু-বীজ এর অন্তরেই ছিল। কোথায় বারাণসী আর কোথায় বাংলা, কিন্তু সেখানকারও গোয়েন্দা ইন্সপেক্র বাঙালী তাকে হত্যার চেষ্টা করতে হয়েছে বাঙালী বিপ্লবীদেরই অথবা তাদের সাধীদেরই ! এবং দেখ) রাজসাক্ষীও হল বাঙালী কেমন একটা বিমিশ্র এবং একেবারে বিপরীত মানসিকতা নয় ?

এই মামলায়ও, দেখ, পয়ল| নম্বর অভিযোগ-_ব্যানাজিকে হত্যার চেষ্টা, অন্যান্ত অভিষোগগুলো কত ছোট! কৈলানপটি ওরফে কালীচরণ গ্োোরখপুর জেলার এক সাবপোস্টাফিসের কর্মী, ২৬. ৬. ২৮ তারিখে হাজার তিনেক টাকা (৩১৯০) তছরূপ করে গা-ঢাকা দিয়েছে, টাকাট। নিঃসন্দেহে দলের ব্যবহারের জন্যই লাহোরে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কেও ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল ৪. ২. ২৮ তাবিখে। চুড়ান্ত হল বছরেরই ১৭ই ডিসেম্বর আর পরের বছর; ২৯ শ্রীষ্টাবের ৮ই মার্চ সপ্ার্স আর তার সহচর হেডকন্স্টেবল চমন সিং ১৭ই ডিসেম্বর নিহত হলেন; ৮ই মার্চ এসেম্বলি কক্ষে পড়ল বোমা এবং চলল গুলিও, আহত হলেন স্তাক্ বোমানজী দালাল আর কেউ কেউ। সব ছাড়াও ১৯২৯-এর ৭ই জুন মৌলগ্লিয়ায় যে ডাকাতি হয় ভাতে বাড়ির মালিক বাঁকে মাতন কোয়েরী নিহত হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাহোর, শাহারানপুর, কলকাতা আগ্রার আরও কারও কারও সঙ্গে মিলে বোমা তৈরি করছিল। ইতিমধ্যে লাহোর- শাহারানপুরের বোমার কারখান! পুলিশের হস্তগত হয়।

এই দলের লোকের! সাইমন কমিশনবাহী ট্রেনটি ডিনামাইট

১৩৩

যোগে উডভিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল, সফল হননি; ও'দেরই দলের কারাদণ্তিত সদস্ত জগদীশচন্দ্র চ্যাটাজিকে উদ্ধারের চেষ্টাও

সফল হয়নি হাস্তাকরই বটে, মামলার এই বিরাট অস্বাভাবিক আয়োজন

করেও গবর্নমেন্ট এডভোকেট কর্ডেন নোয়াভ আদালতকে বোঝাতে চাইলেন ঘে এই মামলাটি কিন্তু নিতান্তই সাধারণ, নিতান্তই ম[মুলী, সাধারণ আইন বিধানমতই এর নিষ্পত্তি হবে, এর সঙ্গে লেশমাত্র রাজনীতির সম্পর্ক নেই।

অথচ সপ্ডার্গ চমন কিভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় নিহত হয়েছে তার উল্লেখ করে বললেন ধৃত ব্যক্তিরা একটি বিপ্লবীদলভুক্ত এবং সার! উত্তর ভারত জুড়ে তাদের ক্রিয়াকলাপ

১৯২৮ শ্রীষ্টাব্দের আগস্ট মাসে দিল্লীতে পার্টির সেন্টাল কমিটির এক সভা হয়; তাতে বিভিন্ন প্রদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় যেসব কর্মপন্থা প্রস্তাব গৃহীত হয় তদনুসারে ফণীন্দ্রনাথ্থের ওপর ভার পড়েছিল বিহার উড়িষ্যার, শুকদেব ভগৎ সিংয়ের ওপর পাঞ্জাবের , বিজয় কুমার সিংহ চন্দরশেখর আজাদের ওপর যুক্তপ্রদেশের ; কুন্বনলাল ওরফে প্রতাপের ওপর রাজপুতন! মধ্যপ্রদেশের। আর চন্দ্রশেখর আজাদ ভার পেলেন সামরিক বিভাগের

উদ্দেশ্য £ হিন্দৃস্থান রিপাব্রিকান এসোমিয়েশন ইগডয়ান রিপাবলিকান আমির সাহায্যে রিপার্িকান গবর্মমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা; (২) কাকোরী ষড়যন্ত্র মামল1 পরিচালনায় যেসব পদস্থ ব্যক্তি মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে তাদের প্রাণহানি ঘটিয়ে ত্রাসের সঞ্চার করা ; (৩) কারাদপ্ডিতদের মুক্ত করার বন্দোবস্ত ; (৪) যে কোন উপায়ে অর্থ- সংগ্রহ ; (৫) ইত্ডয়ান ব্রিপাব্রিকান আগতে যোগদানের জন্য শিক্ষিত তরুণদের আকৃষ্ট করা

কিন্তু উদ্দেশ্য সিদ্ধি দূরস্থান, আয়োজন বন্দোবস্তকালেই সব ফাস হয়ে গেল। দশহর! উৎসবকালে রোশেনি গেটের কাছে এক

3৪

'বিক্ষোরণ ঘটে। লোক-পরম্পরায় শোন! গেল, ওরিয়েন্টাল কলেজের ছুটি প্রাক্তন ছাত্র রোশানি গেটের কাছে যে বোডিং আছে তার দোতল। আর িনতলায় আনাগোনা করে থাকে ধরে নিয়ে তাদের কাছ থেকে বিবৃতি আদায় করা হয়। তাদেরই একজন যা বলে, তাতে এই সর্বপ্রথম জান। যায় যে, সপ্তার্স হত্যার সঙ্গে ভগৎ সিংয়ের যোগ আছে, আর পাঞ্জাবের চীফ লেফটেনাণ্ট হচ্ছেন ভগবতীচরণ |

এরই কিছু আগে কার! সব এসে লাহোরের লোহা ঢালাই মিস্ত্রি দের কয়েকটি লম্বাটে বস্তু তৈরীর অর্ডার দেয়; আসলে ওগুলো ছিল একটা গ্যাস মেসিনেরই পার্ট। মিস্ত্িদের কৌতুহল হয় এবং ওদের মধ্যে এক গল্প হয়ে দাড়ায়, এক কনষ্টেবলও কথায় কথায় জানতে পারে। অর্থাৎ, এরি ক্রমশঃ পুলিশের গোচরে আসে। যারা অার দিয়েছিল তাদের ওপর নজর রেখে তাদের পিছু নেবার ব্যবস্থ। হল। সুখদেবের পেছনে যেতে যেতে দেখা গেল, তিনি ৬৯ নং কাশ্মীর বিল্ডিয়ে ঢুকলেন। পুলিশ খোজ নিয়ে জানল বাড়ির ভাড়াটে হচ্ছেন ভগবতীচরণ

এর পর দেখা গেল, এসেশ্বলিতে ষে বোমা ফাটল তার সঙ্গে পরিকল্পিত গ্যাস প্যাণ্টের মিল আছে। খুব সযত্ব নজর রাখা হল বাড়িটার ওপর। যখন আরও সব গোপন খবর এসে গেল তখন একদিন _-১৫ই এপ্রিঙ্--ও বাড়িতে দল বেঁধে হান! দিল পুলিশ এবং স্খদেব, জয়গোপাল কিশোরীলালকে বন্দী করল। তারপর জান। গেল সব ইতিবুক্তই |

তুমি শুনে অবাক হবে, সত্যঃ আমাদের সঙ্গে; কংগ্রেসের সে এমব হিংসাত্মক ব্যাপারের কোন সংশ্রব ছিল না। কড়া গান্ধীপন্থী- দের সহানুভূতি দূরস্থান কড়া বিরোধিতাই ছিল, তবু অন্ততঃ সেদিনও ছু তমার্গারা! আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি পরবর্তীকালের মতো | তাই এ.আই. দি. সি. বুলেটিনে লাহোর ষড়বন্ত্র মামলা সংক্রান্ত সংবাদ থাকত। তোমায় ছুটি একটি উদাহরণ শোনাই।

১১-ই জুলাই তারিখের বুলেটিনে বল! হল যতীন্দ্রনাথ সান্যাল: এলাহাবাদে লাহোর ষড়যন্ত্র মামল! সম্পর্কে গ্রেপ্তার হলেন; তার ছুই ভাই, শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ভূপেন্দ্রনাথ সান্ঠাল ককোরী যড়থন্তর মামলায় কারাদণ্ড ভোগ করছেন। লাহোর অম্বতসরের বহু বাড়িতে খানাতল্লাসী হয়েছে ৭ই জুলাই

৩-রা আগষ্টের এ. আই.সি. সি. বুলেটিনে বলা হল : ১৯-এ জুলাই ৭টি যুবক লাহোরের রাস্তা ধরে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার বিচারাধীন বন্দীদের মামল। খরচ বাবদ টাদা সংগ্রহ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে; সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক" ইত্যাদি ধ্বনি দিচ্ছিল। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার হুকুম দেন, ভারা অস্বীকার করলে ৩৬ জন পুলিশ ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, হাতে লম্বা লাঠি, অবিরাম লাঠি চালিয়ে. যায়, দু'জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে, আর সবাইও জখম হয়। তারপরও ওদের টেনে হি'চড়ে লরীতে তোল! হয় এবং সেখান থেকে হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্দার মঙ্গল সিং মৌলানা! জাফর আলি খান দাড়িয়ে দেখছিলেন__-এই অপরাধে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ছিলেন এ. আই. সি. সি.-র সদস্য |

অন্ম্পন হতীজ্দ্রন্নাথেক্স আজ্ঞদানন

কিন্তু নিয়ে সারা ভারত তোলপাড় হয়েছিল এবং যার ওপর: অহিংস কংগ্রেসের অধিবেশনেও প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, তা হচ্ছে» লাহোর বন্দীদের অনশন এবং অনমনীয় সঙ্কল্পের বেদীমূলে যতীন্দ্র- নাথ দাসের দধীচির মতই আত্মদান।

আমরা ১৯২৯৩ এবং কংগ্রেসের মুখে এসে পড়েছি, যতীন দাসের শব ভিঙ্গিয়ে আমাদের সেখানে যেতে হবে, সুতরাং, এস,সত্য সেই শব-সাধনাট। আগে সেরে নি। এ. আই. সি. সি.র আগষ্ট বুলেটিনেও ভগৎ-বটুকের অনশনের কথা ছিল, তখন ভগ্ৎ-বটুকের অনশনের সপ্তম সপ্তাহ। আনম সকলের দিন সতের ১৩-ই

৯১৩৬

সেপ্টেম্বরের বুলেটিনে ছিলঃ অনশনের ফলে ও'রা এত দুর্বল যে, আদালতে নিয়ে যাওয়। সম্ভব হয় না, শুনানী বার বার মুলতুবী করতে হয়। নির্লজ্জ গবর্মেণ্ট অভিনান্স জারী করলেন, ও'দের অন্ুপস্থিতিতভেই মামলার শুনানী চলবে।

কিন্তু যে খবর সেদিনকার সব খবরকে ছাপিয়ে গ্রেছল ত৷ হল যতীনদাসের আত্মদান |

কিন্ত বাংলাদেশে যতীন দাসের আবির্ভাব যেমন আকম্মিক নয়, যতীন দাসের নিজ জীবনেও এই চরম পরিণতি আকন্মিক নয়। ওর জন্মকালটাও জক্ষণীয়--১৯০৪-এর ২৭-এ অক্টোবর বঙ্গভঙের মুখে সেকালের দামাল ছেলেদের তাপ লেগেছে ওর শৈশবে কিশোর যতীনকে দেখা গেছে কলেরা-বসস্ত মহামারীতে কাতর বন্তিবাসীদের পাশে পাশে প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানেও সাড়া জেগেছিল তার মনে বঙ্গবানী কলেজের ছাত্র, পড়া ছেড়ে দিয়ে যতীন দাস আত্মনিয়োগ করলেন দক্ষিণ কলকাত। কংগ্রেস কমিটির কাজে বন্যার্তদের খবর আসে, যতীন ছুটে যান পুলিশে ছু'লে আঠারো ঘা। প্রথমবার মাত্র চারদিন আটক দ্বিতীয়বার এক মাস জেল; তারপর আবার তিন মাস।

তদ্দিনে অহিংস অসহযোগের ব্যর্থতা যতীনের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়েছে শচীন্দ্রনাথ সান্যালের বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপে। কলকাতায় তারই এক শাখা উঠল গড়ে, গুপ্তদল “অনুশীলন সমিতির”ই একাংশ নাম ধরেছে হিন্দুস্থান রিপাব্রিকান এসোসিয়েশন ভারতের বাইরে বিপ্লবী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার এক কেন্দ্র হল দক্ষিণ কলকাত। এবং তারই অনেক ভার যতীন দাসের ওপর এই কাজেই রহমত মিঞ। ওরফে যতীন দাস খিদিরপুর ডকের কাছে পান-বিডির দোকান সাজিয়ে বসল। আসল কাজ বিদেশ থেকে অস্ত্রশক্্ আমদানির ব্যবস্থা কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে বোমার কারথান।

আবিষ্কারের পর রহমত মিঞাকে দোকানপাট তুলে গা-ঢাক। দিতে হয়।

১৬৭

কাকোরী ডাকাতির পর মীরাটে দলের এক বৈঠক বসে? বতীন দাম সে বৈঠকে যোগ দিয়ে এসেই কলকাতায় বেঙ্গল অডিনান্দের জালে পড়ে গেলেন। তিন বছর নানা জেলে কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলায়ও জড়ানোর চেষ্টা হয়, কিন্তু ব্যর্থ সনাক্তকরণের ফাক দিয়ে যতীন দাস অব্যাহতি পান। রী

জেলেও শান্তি নেই বিপ্রবীর। পদে পদে বিবাদ লাঞ্ন। ঢাকা সেন্টাল জেক্রে সুপারিন্টেণ্ডেন্টের সঙ্গে ঝগড়ার ফলে ওরা যতীনকে বর্বরের মত মারে যতীন দাস অনশন করেন একাদিক্রমে ২৩ দ্িন। সংবাদ ফাস হয় খবরের কাগজে | আর অমনি আন্দোলন | ঢাকার সুপারিন্টেণ্্টে নতি স্বীকার করেন যতীনের কাছে। তারপরই চালান হয়ে যান সুদূর মিক্নশাবালী জেলে ১৯২৮ ্রীষ্টাবে মুক্তি

কিন্তু বিপ্লবীর ললাটে মুক্তিরেখা থাকে না। তবু কারামুক্তির অবসরটুকু যতীন নিয়োগ করলেন স্ুভাষচন্দ্রের বেঙ্গল ভলাটিয়ার্স সংগঠনে | মেজর তিনি দাস, এই তখন তার পরিচিতি

আর এরই মধ্যে কখন গোপন শেকড় ছড়িয়ে পড়েছে পাঞ্জাব অবধি; ভগৎ সিং, সুখদেব, বটুকেশ্বর, কুন্দনলাল, বিজয়কুমার সিংহ, জয়দেব প্রমুখের সঙ্গে একই রস আহরণ করে চলেছেন ধতীন দাস ! লাজপৎং রায়ের বদল! সপ্তার্সের বুক লক্ষ্য করে ছুলতে লাগল এক অলক্ষ্য কণা, ওদের সেণ্টাল কমিটিতেই সিদ্ধান্তের জহর উঠেছিল !

কিন্তু বৃটিশ-শাসনের অক্টোপান ছিল প্রবলগতর সহস্রচক্ষু। যতীন দাসও ধর! পড়লেন এবং খুনী ব্দমায়েসদের জেল বলে কুখ্যাত লাহোরের বোরস্টাল জেলে যতীন দাস শেষবারের জন্য বন্দী হলেন কুখাছ্য। অসদ্যবহার, অন্যায় আচরণ। অসহা অমর্যাদাকর প্রাণ তুচ্ছ হয়ে গেল সন্কল্পের কাছে। যতীন দাস সহ সবাই আমরণ অণশন করলেন।

বৃটিশ মরকারেরও জেদ; পাশবিক জবরদস্তি। হোক কুখাস্, কিন্তু না-খাওয়া চলবে না আট ন'জন চেপে ধরত অসহায় নিরন্তর

৬৮

বন্দীকে_ মাথায় বুকে হাতে পায়ে। নাকের ভেতর দিয়ে লম্বা নল, পেট অবধি) ছুধের করুণা ধারা | কিন্তু যতীন দাসের জেদ অনযোগিতার দৃঢ়তা সমবেত শক্তিকেও পরাস্ত করতে লাগল; নাসারন্ত্র, শ্বামনালী, খাগ্ভনালী ছিন্ন ভিন্ন ক্ষদুষ্ট হয়ে গেল। নী) চিকিৎসার অশ্রদ্ধেয় প্রলেপও নয়, মৃত্যুকে সে চিনেছে, সে আসতে লাগল প্রতি মুহূর্তের কীটায়। বিধে বিধে; যন্ত্রণা-উদাসীন যতীন দাস অধৃশ্ট ছুই বাহু বাড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে লাগলেন।

যতীন দাস মৃত্যুর একটি হাত ধরে ফেলেছেন দৃঢ়মুষ্টিতে প্রবল প্রতাপাধ্বিত বৃটিশ সরকারও বুঝলেন কোন আশাই নেই ও'র বাচবার একটি দয়! করলেন | ছোট ভাইকে শুশ্রাধার জন্য থাকতে দিলেন পাশে কিন্ত যতীনের কাছে এক শপথের পর ; ছোট ভাইকে সে শপথ নিতে হল, এক ভয়ঙ্কর শপথ, সে মুহূর্তের কাতরতায়ও ঘতীনকে অনশনভঙ্গের অনুরোধ জানাবে না, কোন খাবার বা ওষুধ দেবে না- সংজ্ঞাহীন অবস্থায় অবচেতনার প্রার্থনায়ও নয়।

সরকারের প্রেস্টিজও জথম হয়েছিল অনেকখানিই। কার আইন সংস্কারের একট। সিদ্ধান্ত নিলেন এবং এক কমিটিও নিয়োগ করলেন ক্ষুদ্রচিত্ত কমিটির সদস্তেরা আশ্বাস দিতে এলেন এই মুমূষু বিগ্লবীকে | যতনের চিত্ত স্থির, প্রত্যাখ্যান করলেন আগে অনশনের শতর্পূরণ, পরে কথা সে এক সঙ্কটকালঃ সবাই অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যতীন অনিরাণ শিখ!

ডাক্তারের মৃত্দূতকে দেখতে পেয়েছেন যতীনের শিয়রে ; শরীরে রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ, হৃদযন্ত্রের কাছাকাছি একটুকু ধুক্পুক্‌। সবাঙ্গ অসাড় হয়ে আসছে। এমন সময় জামিনের আবেদনের অনুরোধ ঘ্বণাভরে সেই প্রত্যাখ্যান নির্লজ্জ বৃটিশ সরকার অন্তরালে ছুই ছায়ানটকে দাড় করলে জামিন্দার করে। ষতীনের সই নিতে এসেই কারসাজি দৃশ্যমান হল।

তারপর পড়ল শেষ যবনিক! ; শিখা নির্বাপিত, কিন্তু রান

১৩

জ্যোতির্ময় | তারিখটা ১৩-ই সেপ্টেম্বর; চৌষষ্রি দিনের প্রান্তরেখা, শপথ-সমুজ্জল। কিন্তু মরদেহ 1? বোম্বাই বলেছিল, এঁ দেহ আমাদের চাই, যত টাকা লাগে দেব; পাঞ্জাব বলেছিল দাবি আমাদের ; আমরাই দেব সব। বল, সত্য, তোমরা যে জাতীয় সংহতির কথাট। আজ কাল হামেশ! শুনতে পাও) কোথায় পাবে তার এর চাইতে মহত্তর ষ্টাস্ত ? সুভাষচন্দ্র তখন বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতির সভাপতি; টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যতীনের অমরপ্রাণ-পৃত দেহাবশেষ আনতে, ১৪-ই তারিখে শ্মশানযাত্রা বিজ্ঞাপিতও করেছিলেন তুমি নে দৃশ্য দেখনি, সত্য, দেখলে মুগ্ধ হতে; অহিংস গান্ধীপন্থী আমি; আমিও হয়েছিলাম; তখন বুঝিনি। আজ বুঝছি, যতীন দাস ১৯২৯কে একাই চিহ্নিত করে দিয়ে গেছেন সে দাগ শুধু হাওড় স্টেশন থেকে কেওড়াতলা শ্বাশান অবধি নয়, এ. আই. সি. সি.-র ৫-ই অক্টোবরের বুলেটিনের ভাষায় 00 9০062107102 13) আ1)012 ০0 [15019 06215 90150 | তবু চোখে দেখেছি হাওড়া থেকে কেওড়াতল৷ অবধি সে শোকমিছিলের মোটা দাগ, বিবেকানন্দের সেই__যাৰি তো, দাগ রেখে যা। কত বড় হয়েছিল সে মিছিল ? একটা তুলনা মনে এসেছিল, দেশবন্ধুর মরদেহ নিয়ে কলকাতা এক অভূতপূর্ব মিছিল দেখেছিল বটে, কিন্তু এ? সকাল আটটায় হাওড়া, বেলা ছুটোয় শ্বশানে এমনিতেই আমাদের কাছে আগুন পবিত্র, আর এই চিতাগ্রি? সঙ্কল্পশিখায় অতুলনীয় ১৯২৯-এর সেই চিতার দাহ বাংলাকে দগ্ধেছে। কি মৃত্যু? এর উত্তাপ লেগেছিল দেশে এবং লাহোর কংগ্রেম অধিবেশনের মুধে। এই লাহোরেই-_যে-লাহোরে বতীন দাস শেষ নিঃশ্বাস ছাড়লেন। এই লাহোরেই কংগ্রেস দেবীরা বুক ভরে স্বাধীনতার নিঃশ্বাস নিলেন।

১১৯০

কিন্তু উত্তাপ ধাদের স্পর্শ করে না, ছুঃখে প্ররোচনায় নিরু দ্বিগ্ন থাকতে পারেন) প্রতিশোধের কথ! ধাদের মনে জাগে না) অপরের মনে জাগলে নিন্দা করেন, শ্বশান-শান্তির ছায়ায় ছায়ায় ধার! চলার শপথ নেন, অপমানের ধুলো! ধার। গায়ে মাখেন না, তারাও সংখ্যালঘু ছিলেন না৷ এদেশে, তাদের অস্থিরতা ছিল না। তারা কর্ণপাতের জন্ত উন্মুখ থাকতেন

শোনাও গেল একট। ঘোষণা__যার তার নয়, খোদ বড়লাটের ঘোষণা ১৯২৮ গ্রীষ্টাব্দের কলকাতা-কংগ্রেস-প্রস্তাবের পর থেকে তারা শোনবার জন্যই কান পেতে রেখেছিলেন বড়লাট ঘোষণ! করলেন ১৯২৯-এর ৩১-এ অক্টোবর ডিসেম্বরে হবে কংগ্রেসের অধিবেশন- যে অধিবেশন সম্পর্কে স্থভাষচন্দ্র বলে ছিলেন : 7026 15 00 00006 6086 10 006 [421015 (5095:955 03০ 12590101017 01 001001905 [1021921)021702 25 0০ 65021 01 [10019 ড/1]1 02 84010020.

১৯২৯এর-৩০|৩১ মার্চে রংপুরে যে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন হয়েছিল তার সভাপতিরূপে বলেছিলেন “চলতি বছরটা হচ্ছে প্রস্তুতির বছর ; যদি আমরা আস্তরিক হই, তবে আমরা আসছে বছর আইন অমান্য আন্দোলন, খাজন। বন্ধ করতে পারব। বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, লাহোর কংগ্রেসে ভারতের লক্ষ্য হিসেবে স্বাধীনত! প্রস্তাব গৃহীত হবে। আসছে জানুয়ারী থেকে দেশে তীব্র আন্দোলনের স্যষ্টি করতে হবে এবং দরকার হলে আইন সভাগুলে। ছেড়ে আমতে হবে। কাউন্সিলে শুধু সে সব মানুষকেই পাঠাতে হবে যার! বেরিয়ে আসতে দ্বিধা! করবেন না। দরকার হলে আমর! সিন ফিনারদের মতো! শপথ না নিয়েই বেরিয়ে আসব এবং এনৰ কাউন্দিলের বাইরে নিজস্ব সব ন্যাশনাল এসেম্বলি গড়ব।”

কিন্তু ধার! এই চিন্তাধারার পোষক ছিলেন না তারা বড়লাটের ঘোষণ! শুনে সাড়াও দিলেন-_-যেন লাহোর কংগ্রেদকে ফোরস্টল করার জন্যই

৯১১৯

থামলেন।

এই সুযোগে আমি জিগ্‌গেস করলাম £ কি ঘোষণা করেছিলেন বড়লাট?

বললেন, ধা বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যাটাই শেষ পর্যন্ত মুখ্যু হয়ে উঠল এবং তা হাস্তকর কালক্রমে সোনার হরিণ শিকারে রামচন্্ও মোহমুক্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ উৎসাহী নেতারা! হ্যা, বড়লাট: বললেন ;

“আমি এই ফিরলাম ইংলগ্ড থেকে, সেখানে আমার “হিজ ম্যাজে- স্টিজ গবর্নমেণ্টের” সঙ্গে সুদীর্ঘ আলোচনা হয়েছে

“বৃটিশ নীতির লক্ষ্য ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে আগস্ট ঘোষণাতেই বলা' হয়েছে। তা হচ্ছে এই যে, ইংরেজী বয়ানটাই আগে পড়ি, 10101 101 00০ 2:99091 09610110016 06 521£-505010101716 11)50160- 0205 110 2 12 60 [71:0£1955150 19211590101) 0: 030৬০10- 11001) 10 10019. 25 210. 110695191]0281:6 02? 13116151 720010116. স্বায়ত্রশাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাতে বৃটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যেই ক্রমান্বয়ে ভারত সরকারের উদ্ভব হতে পারে তার ব্যবস্থা কর1। হিজ ম্যাজেস্টির অভিপ্রায় এই যে, ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দে পার্লামেন্ট যে পরিকল্পন! ছকে দিয়েছেন তাই হবে তার অন্যান্য ভোমিনিয়ানদের মধ্যে ভারতের স্থান করে দেবার পন্থা হিজ ম্যাজে্টিস গবর্মমেন্টের পক্ষ থেকে আমাকে একথা স্পষ্ট করে বলার অধিকার দেওয়া! হয়েছে ষেঃ

“ঘা 60081 100800906 1618 30101101610 609 29019156100 ০1 1917 61056 6106 10960] 19939 ০01 10028 001096160361008)

07:0£7998, ৪৪ 61)0:917, 001066101)19690. 19 6109 866%1701096106 [00011108100 96803.

তাদের মতে ১৯১৭-র ঘোষণায়ই এটি নিহিত আছে যে, ভারতীয় সাংবিধানিক অগ্রগতি তদর্থে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসকেই বোঝাবে।

স্তরাং কমিশন (সাইমন কমিশন ) এবং ভারতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করার তা প্রকাশিত হবার পর এবং

৯১৭

বৃটিশ সরকার (হিজ ম্যাজেস্টিজ গবর্নমে্ট) ভারত সরকারের পরামর্শ ক্রমে সকল আহত তথ্যের আলোকে বিষয়গুলে। বিচার করার পর তারা বৃটিশ ভারতের সকল দল স্বার্থের প্রতিনিধিদের দেশীয় রাজন্-প্রতিনিধিবর্গের সঙ্গে-__-অবস্থা বুঝে; পৃথক অথবা একত্রে _- মিলিত হবার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন উদ্দেশ্য, এইভাবে এক সম্মেলনে বসে বৃটিশ ভারত সমগ্র ভারতের সমস্তাগ্চলো নিয়ে আলোচনার অবকাশ করে দেওয়!। তারপর তারই সারাংশ পার্লামেণ্টে পেশ করা আমি তোমায় বাংল! মর্মার্থ বললাম, কিন্তু বিতর্কের অবকাশ যেখানে রয়েছে, কেননা, সেকালেই তা অত্যন্ত প্রকট হয়েছিল নেতৃবৃন্দের মধ্যে, সেখানে তোমায় ইংরেজী বয়ানটাও পড়ে শোনাই £ সুড1090) 01097910:99 6009 00100101891010 8700. 60191170187 0670615] (0010017016609 13859 ৪0100016690. 61091 19001689800. 010859 108,59. 10600. 1010139116ন0 200. চ51910 719 1১1819365+8 00591010006 10859 70990 91016 1] 001787016861010 1610 61089 0059101209106 01 10018 60001091001 1711996 10806679 11 6179 1101) 01 ৪1) 6109 10091011918 61090 2589118019১ 6106৮ দ্দ]]] 101010089 6০ 00169 7210-996178,61593 01 010910176 108:6195 800. 11066799%9 | 131161910 [10018, 8100 76101998106861589 ০01 606 1001810 968698 6০ 20886 61600 88109,81915 01 60961067898 011000)98,10098 109, 09209.770 107 6109 1001)096 018১ 201069761109 800. 01900981070 110 20£90 9০610 6০ 0106 7311618) [0019 ৪09 609 411-10018। 10700161778, 16 জ1]1] 109 61061 9970986 10006 6086 05 61015 10068105 16 10095 8010960091)619% 10:06 010 61018 £9%9 1589099 60 9001701 10101)0-

৪919 0০0 281:119200906 101010 7078,5 00001709100 &% 109 12099 9019 01 £81097:8,] 8989106,

আজকের পটভূমিকায় তুমি নিশ্চয়ই চট্‌ করে বলবে কিসের প্রতিশ্রুতি, কোথায় প্রতিশ্রুতি নিছেন, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসেরই ঝা আশু আশ্বাম কোথায়? আজ কুয়াশামুক্ত দৃষ্টিতে তাই বলবে তুমি বটে, কিন্তু সেকালটা ছিল মোহাচ্ছন্ন_-কাল ন। হোক নেতারা-_সব নেতা না হোক, অনেক নেতাই |

১১৩৭

ত্বাধীনতা-_৮

১ল! নবেম্বর দিল্লীতে নেতাদের এক সম্মেলন হল। সেন্টাল এসেম্বলির প্রেসিডেণ্ট প্যাটেলের বাড়িতে বেলা আড়াইটায়। সাংবাদিকদের থাকতে দেওয়া হল না। থাকলেন গান্ধী, মতিলাল, আন্সারী, মামুদ্াবাদের মহারাজা, সপ্র, সি. পি. রামন্বামী আয়ার, জওহরলাল, শেরওয়ানী, কুরেশী, বল্লভভাই, লাল ছুনিষাদ্, পষ্টভি সীতারামায়া, মহম্মদ আলি, জে. এম. সেনগপ্ত। একদিক থেকে ভালই হয়েছে, বেস্ত্র বেমিল কিছু হয়নি, র্ব- সম্মত সিদ্ধান্তেই তারা পৌছোলেন। গান্ধীজী সপ্রজী যে ডোমি- নিয়ান স্ট্যাটাসের কথ বললেন, তাই হল আলোচনা সিদ্ধান্তের ভিত্তি। তিন ঘণন্টাকাল আলোচনা হল, আমাদের এঁতিহ্ে দীর্ঘ বক্তৃতা, পুনরাবৃত্তির আবারও পুনরাবৃত্তির দিক থেকে খুবই স্বল্লায়ু বলতে হবে। গ্রান্ধীজীর মূল প্রস্তাৰ কিছুটা সংশোধিত হল সপ্রজীর প্রস্তাবে জওহরলাল প্রথমে আপত্তি করলেন? বুঝিয়ে বলাতে রাজি হয়ে গেলেন ইন্তাহারে সই করতে নাম তার “দিল্লী ম্যানিফেস্টো” শোনো, পড়ি £ “দ০ 907):901969 609 ৪10920165 01009115105 6109 09918501028, ৪৪ 8,190 6109 99989 0 %10৪ 137161510 (05910006106 60 10190869 006 10019) 07)11)1010. 1০ 09019196726 ছ16%] 10: 609 90009959০01 6108 10701)0890 0010- 19761009 0109 £ (8) & 001595 ০1 69206%] 90001118610). ৪100010 06 00991916915 ৪,0010690 60 100008 8 09,17061 8,020091)1)679, 409) 708৮ 00110108) 0105020879 8190010 109 £:80690 & £010018] 81007798065 (0) নু)9৮ 606 2900:9890689,6100, 01 01021953159 19011610981 ০:৪5- 10198510178 8100010 08 9:0901%91% ৪0060 ৪00 1396 6109 117019%10) 8561008] 0010275958৪ 6106 18:99 8/00010% 0199100 81000101197 [07900101180 1910938,68610208, “1০ 01099785800 000দ9%91) 0086 609 00201675009 15 60 20996 1006 60 0190093 "19910 10001171010 368683 13 60 09 8868%01181590

006 60 1290069 8 80109108 01 10020010101 00096162610], 10৮ 1001,

5১৪

[0011] 009 097 00086160610 001098 17060 8য018661009 অও 01010105618 109099985 61096 9 00019 1110819] ৪1016 81000107199 1710960. %108 (05010177106 01 6009 00006 61189 29186101093 01 0109 79359000159 800. 0109 1861818,0076 ৪0010. 19911009106 00019 10. 108000105% চ161) 6106 00189 01 61069 10101009590. 00019167099 ৪00 6109 61989: 76080 91200101099 10810. 0 007796100010108] [09010008 800. [)78,061099-

কথাগুলো লক্ষ্য করেছো নিশ্চয়ই ; “আমর! বেশ উপলব্ধি করতে পারছি» নেতার। বললেন, “এ ঘোষণার আত্তরিকতা আর ভারতীয় জনমতকে পরিতুষ্ট করার জন্য ভারত সরকারের আগ্রহ তবু আমরা মনে করি প্রস্তাবিত সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত হবার জন্য দরকার-__কে) প্রশান্ত আবহাওয়! স্থির জন্য সাধারণভাবে একটা আপোষমূলক নীতি অবলম্বন করে চল; খে) রাজনৈতিক বন্দীদের কারামুক্তি; (৩) উন্নততর রাজনৈতিক সংস্থাদিতে যথাযথ জনপ্রতিনিধিত্ব এবং তার মধ্যে সব চাইতে বেশি প্রাপ্য ভারতীয়- জাতীয় কংগ্রেসের

“আমর জানি,” নেতার! ইস্তাহারে বললেন, “কবে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠিত হবে সম্মেলন তার তারিখ স্থির করার জন্য নয়, ভারতবষে ডোমিনিয়ান সংবিধানটা কি রকম হবে তাই হবে

আলোচ্য বিষয় |” “তা যাই হোক্‌ঃ” নেতারা আরও নিবেদন করলেন, “যদ্দিন-ন।

নতুন সংবিধান প্রবতিত হচ্ছে তদ্দন আমর! মনে করি, দেশের শাসন-ব্যবস্থা আরও উদারতর মনোভাব প্রতিফলিত হওয়। উচিত, প্রস্তাবিত সম্মেগনেয় দিকে লক্ষ্য রেখে প্রশামন আইনসভার মধ্যে মধুরতর সম্বন্ধ স্থাপন প্রয়োজন এবং সাংবিধানিক প্রথাপদ্ধতির ওপরই অধিকতর জোর দেওয়া কর্তব্য ।”

আজ তোমায় বলি সত্য, এমন একটি ইস্তাহার, বিশের কংগ্রেস যে মভারেট বা উদ্ারনৈতিকদের বর্জন করেছিল তার পক্ষেও মোটে মানানসই নয়। কিন্তু তোমায় যে সর্বদল সম্মেলনের কথ! বলেছি বা -১৯২৮-এ যে তরুণ-প্রবীণ দ্বন্দের কথ! বলেছি, তাতেই প্রতিপন্ন

১১৫

হয়েছিল, সংগ্রামের হুমকি সত্বেও ১৯২৯-এর কংগ্রেস মভারেউই- ছিল এবং বড়পাটের ঘোষণার পর যে চাঞ্চল্য প্রকাশ পেল তা পেছনে-ফেলে-আসা সর্বদলেরই প্রতিধ্বনি যেন ক্ষেত্রাস্তরে সবারে করি আহ্বানের মিলন সুর ; এমন একটি প্রস্তাব বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশনের মঞ্চেও অনায়াসে গৃহীত হতে পারভ। কিন্ত তাতে সই করেছিলেন £

এম. কে. গান্ধী, পণ্ডিত মতিলাল নেহরু, পণ্ডিত মদনমোহন' মালব্য, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, স্তার তেজবাহাছুর সপ্রঃ মিসেস আযানি বেশাস্ত, এম. এ. আন্সারী, সরোজিনী নাইড়ু, ভাঃ মুজে, এ. রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার। পোরওয়ানী, জে. এম. সেনগুপ্ত, এম. এস.. আনে ডাঃ বি. সি. রায়। ভি. জে. প্যাটেল সৈয়দ মামুদ, জগৎ, নারায়ণ লাল, মালি কুঙ্ুমান, সর্দার শার্দূল সিং।

২৭-এ নবেশ্বরের এ. আই. সি. সি. বুলেটিনেও এর উল্লেখ ছিল ।' তাতে বলা হয়েছিল, “বৃটিশ সরকারের পক্ষে বড়লাটের সাম্প্রতিক ঘোষণায় যে ভারতীয় জনপ্রতিনিধিদের এক সম্মেলনের প্রস্তাব ছিল বিশেষ আকর্ষণের বিষয় হয়ে ওঠে ১লা ২র! নবেম্বর দিল্লীতে প্রখ্যাত কংগ্রেসসেবী অন্যান্য দল-নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক হয়; তাই থেকে এক ইস্তাহারের উদ্ভব হয়, ইন্তাহারে নেতৃবৃন্দ জানান যে, তারা সহযোগিতা করতে রাজি আছেন কিন্ত আগে নিম্নোক্ত কয়েকটি শর্ত পুরণ হওয়। দরকার £

(১) প্রস্তাবিত সম্মেলনে সব আলোচনারই ভিত্তি হবে ভারতে পূর্ণ ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠা। (২) সম্মেলনে কংগ্রেসকে যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব দিতে হবে। (৩) সাধারণভাবে সকল রাজনৈতিক বন্দীর কারামুক্তি দিতে হবে।

0৪) ডোমিনিয়ান গবর্মেন্টের উপযোগী করে এখন থেকেই যথাসম্ভব ভারত সরকারের কাজ পরিচালিত করতে হবে।

ংগ্রেন ওয়াকিং কমিটি ১৮ই নবেম্বরের বৈঠকে দিল্লী ইস্তাহার, সমর্থন করেছিলেন

১১৩

তুমি হয়তো ভাবছ, সত্য, যে, এই আ্রোতমুখে সবাই ভেসে “গেছে না তা যায়নি। বন্তাতেও এমন হয়ঃ অনেক কিছুই ভেসে যায়, মনে হয়, প্রলয়ই বুঝি হুল, কিন্তু বিস্ময়ের চিহ্ন হিসেবে কিছু দাড়িয়েও থাকে বিধ্বংসী প্লাবনকে মিথ্যে করে দিয়ে

দিল্লী ইস্তাহারের পাল্টা এক বিবৃতিও প্রকাশ পেল, ভাতে শ্বাক্ষরকারীর! সংখ্যায় নগণ্য, কিন্তু যেন একট। য্যার্টি-খিসিসের মতো পরস্পরকে ক্ফুটতর করে তুলল। স্বাধীনতাকামী এই স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন স্ৃভাষচন্দ্র বনু, ভাঃ কিচুল মৌলান। আব্দুল বারি। ওর! দিল্লী ইস্তাহারে সই করেননি ২র1 নবেম্বর তারা তাদের বিবৃতিতে বললেন £ “আমর! মতিলাল নেহরু আহত মন্মেলনে উপস্থিত ছিলাম | বড়লাটের ঘোষণাট্রি সত্বে বিচার করে দেখার পর বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিবৃতিটি যা, তার মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে উৎসাহ বোধ করার কোন কারণ আছে। বড়লাটের ঘোষণার অন্তভূতি বিশেষ করে ছু"টি বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে আমাদের কথার সমর্থন পাওয়া যাবে। সে ছু'টি হচ্ছে £ (১) দায়িত্বশীল গবর্মমেণ্ট হিসেবে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের সংজ্ঞা ; (২) একদিকে বৃটিশ সরকারের প্রতিনিধিবর্গ, আর একদিকে বৃটিশ ভারত দেশীয় রাজন্ত প্রতিনিধিবর্গের সম্মেলন ব্যবস্থা।

“প্রথমট। সম্পর্কে কথা এই যে, বিবৃতিতে কৰে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস মঞ্জুর হবে তার উল্লেখ নেই। আমর! অবশ্য দ্যর্থহীন পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষপাতী এবং তা সুদূর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হিসেবে নয়, অদূর বর্তমানের লক্ষ্য হিসেবেই এবং যদি ১৯২৯-এর ৩১-এ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস মঞ্জুরও হয়, তবু আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে পূর্ণ স্বাধীনতারই পক্ষপাতী থাকব কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যে শেষ অধিবেশন হয়ে গেছে, তাতে আমরা এই মতই প্রকাশ করেছি। আমাদের কর্তব্য, আগামী ডিসেম্বরে লাহোরে কংগ্রেসের পরব্তাঁ অধিবেশনে এইকথারই পুনরাবৃত্তি করা।

“দ্বিতীয়টি সম্পর্কে কথ! হচ্ছে, আমরা প্রস্তাবিত সম্মেলনটিকে

১১৭

যথাযথ গোলটেবিল মনে করিনে এবং আমরা স্বদেশবাসীদের অনুরোধ করব তারাও যেন এটিকে মর্ধাদার বিশেষণে বিভূষিত করেন। কিভাবে ভারতীয় সংবিধানের সংস্কার হবে তা নির্ণয় করার জন্য সাইমন কমিশনের ক্ষেত্রে যে বিধিব্যবস্থা কর] হয়েছিল ত৷ অক্ষুপ্ন থাকবে। সম্মেলন ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের প্রতিনিধিত্ব সীমাবদ্ধ থাকবে কিন। সে সম্পর্কে বিবৃতিটি স্পষ্ট নয়। এও জানা যাচ্ছে না, সম্মেলন যে সিদ্ধান্তে পৌছোবে তা চূড়ান্ত এবং উভয়পক্ষের অবশ্য মান্য বলে গণ্য হবে কিনা এই অবস্থায়, প্রস্তাবিত সম্মেলনকে অনেকখানি কল্পনার রঙে রাডিয়েও রাউণ্ড টেবিল কন্ফারেন্স বা গোলটেবিল বৈঠক বল। যাচ্ছে না।

“উপসংহারে আমর। স্বদেশবাসীদের অনুরোধ করব তার! যেন বড়লাটের ভারত সচিবের বিবৃতিতে বিভ্রান্ত না হন; পক্ষান্তরে; লাহোর কংগ্রেসের সময় তাদের যে অবস্থার সন্মুখীন হতে হবে তার জন্য দেশকে প্রস্তুত করেন। কলকাতা কংগ্রেসে চরম কথা ( আলটি- মেটাম ) উচ্চারণ করা হয়েছে। তার মেয়াদ ১৯২৯-এর ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি এঁ তারিখের মধ্যে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস মঞ্জুর ন। হয় তবে কংগ্রেসকে সমগ্রভাবে এই চরম কথ! পালনের জন্য এগোতে হবে এবং তাই হবে ম্যায়শান্ত্রম্মত। সেই কারণে এটি আমাদের অবশ্ট পালনীয় হয়ে দাড়াচ্ছে যে, আমরা যে কর্তব্য মনে স্থির গেঁথে নিয়েছি, অর্থাং, আগামী সঙ্কটের জন্য দেশকে প্রস্তত করার যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ত। থেকে সামান্মা ত্রও বিচ্যুত ন। হওয়া

এলাহাবাদের নেতৃ-সম্মেলনে জান! গেল+পণ্ডিত জওহরলাল তার, পিতা! গান্ধী্গীর সঙ্গে দীর্ঘকালীন উৎকষ্ঠিত চুলচেরা আলোচনার পন্নই ইস্তাহার স্বাক্ষর করেছিলেন ; নেতৃ-সম্মেলনে সেই ভাস্তুই তিনি রখলেন। স্বাধীনতার প্রতিই তার মৌলিক আনুগত্য, তবে তিনি স্বাধীনতাকামী-গোষ্টিটি বাদে সকল দলের প্রতিবন্ধক হতে চান ন। বলেই এই স্বাক্ষর রাখলেন কংগ্রেসের মনোনীত প্রেসিডেন্ট ও:

১১৮

জেনারেল সেক্রেটারী হিসেবে তার পক্ষেকি করে সম্ভব হল তাও তিনি ব্যাখ্যা করবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেন ; আসলে, কংগ্রেসের বর্তমান নীতি তো! তাই যে, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস যদি দেওয়! হয় তো নেওয়। হবে।

কিন্তু প্রবীণ নেতারাও শিগগিরই মোহমুক্ত হলেন ;$ অথবা যে ফাঁকিটা প্রত্যাশী মনের উৎকণ্ঠায় চোখে পড়েনি তা পড়ল তীরা বুঝতে পারলেন, বড়লাটের বিবৃতিটি ১৯১৭-র ঘোষণারই একটি ছদ্মবেশ মাত্র, এটি ভারতীয় রাজনীতিকদের মধ্যে মভারেটদের সমবেত করার চাল ছাড়া কিছু নয়।

স্বাক্ষরকারীরা এলাহাবাদে ১৮-ই নবেম্বর মিলিত হবার পর এই দিব্যদৃষ্টি লাভ করলেন এবং উপস্থিত নেতার! অবস্থাটার নতুন করে পর্ধালোচন। করলেন অংশ গ্রহণ করলেন গান্ধী, আন্দাৰী, জওহরলাল, মালব্য, বাজাজ, পট্টভি, সেনগুপ্ত, আজাদ, সপ্র, মামুদী- বাদের মহারাজা, সচ্চিদানন্দ সিংহ, রাজ রাজেশ্বর বলী, কালাকঙ্করের রাজা, ভি. রামদাস পার্টুলু। এ. রঙ্গন্বামী আয়েঙ্গার, মৌলানা ইয়াকুব হাসান, কিদোয়া ই, শের ওয়া নী,খালিকুজ্জমান, পণ্ডিত পন্থ, বিহারীলাল; শ! জুবাইর, সর্দার প্যাটেল, মণিলাল কোঠারী, এন. সি. কেলকার অভয়ঙ্কর, দ্বারকা প্রসাদ মিশ্র, যমুনাদাশ মেহতা, ডাঃ বিধানচন্্র রায়। গিরধারীলাল, আলম এবং সুভাষচন্দ্র

সুতরাং পণ্ডিত জওহরলাল যে ভাষ্য দিলেন তার ভিত্তিভূমিটাই গেল নড়ে ; ধাদের মুখ চেয়ে তিনি একটা ফাকিবাজিকে মেনে নিয়ে ছিলেন তারাই এলেন সেখান থেকে সরে এবং প্রস্তাব নিলেন £

[10019 00019197009 1088 19190. 61) 10019615108 80 01998618- 18,061010, 006 2909106 0.9109685 171) 729:118,08106 10 98810 60 6008 99:08 09018726101. 10109 001016670085 10068, 090108৪8 6০ ৪6৪09 05 10911) 10191011990 800 10095 618৮ & 101] 8100. 981] 29910017989 11] 109 700909 6০ 16.

হচ্ছে হতাশার মধ্যেও নিরাশ ন। হওয়ার দৃষ্টাস্ত। বুঝি, তুমি ফীকি দিচ্ছ, তবু আশ! রাখি, তুমি সবটাই ফাঁকি দেবে না। এই

১১৯

'আশা বা ছ্রাশায় প্রেসিডেন্ট প্যাটেল তেজবাহাছর সপ্রু ব্যাপারট। সহজ সরল করার জন্য (710 & 1০৬7 00 01217105 ০0:0910 255969) বড়লাটের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলেন। ২৩-এ ডিসেম্বর 'গান্ধীজী, মতিলালজী, প্রেসিডেন্ট প্যাটেল, সপ্রুজী এবং জিন্না জীও দেখা করলেন বড়লাটের সঙ্গে। কিন্তু এই বড়লাট-সম্মেলন ভেঙে গেল ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রশ্রে।

মভারেটদের কথ থাক্‌, তারা তো কখনে। স্বাধীনতার কথাও বলেননি, সংগ্রামের কথাও বলেননি, তাদের এতে মান-অভিমানের কথা নেই ; কিন্তু কংগ্রেসের মুখে যেখানে ছিল স্বাধীনতার কথা সংগ্রামের আগুন তার এই হতমান অবস্থা! দেখে বৃটিশ সরকার তিল- মাত্র দেরি না করে এক ইন্তাহার বের করে দিলেন। সেই সরকারী ইস্তাহারে বল! হল :

বড়লাট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ঘষে, সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল “০ 81106 00521590596 7099110 10695016 2266]061)0% যতট। সম্ভব মতৈক্যের স্থপ্টি, যার মর্মার্থ পেলে বৃটিশ সরকারের কর্তব্য হবে তা-ই প্রস্তাবাকারে পার্লামেন্টে পেশ করা সুতরাং, দম্মেলনের ক্রিয়াকলাপ কোনক্রমেই আগে থাকতে ধরে নেওয়। অধব! পার্লামেন্টের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা, তার বা বৃটিশ সরকারের (হিজ ম্যাজেস্টিজ গবর্মমেন্টের ) পক্ষে সম্ভব নয়।

স্থতরা সত্য, আবার ফিরে চলো, ফিরে চলো৷ আপন ঘরে এ. আই. সি. সি-র সভায় গান্ধীজী তুললেন প্রস্তাব :

স্্লম্মে গলে আপোহ্

“0 1৪ 01009. 89088] 81608610010. 006 0000৮ 6118 1006810£ 01 006 4. 1০0. 0,119 01 0701101010 0086 61009 10898 00209 1360. 81] 109610108] 6008 £1)00]10 1১9 90290068690. 00. 6109 07610979610 0 6109 9০000% 0: 09/0999180, 0£10010-$01606 0010-00009786100 8697 8186 7089910992১ 1999১ 800 %2:968 101) 6109 00175 00000016699 61086 81] 00067988103812079008 ০1 609 81008 1:68191860799, 09009] 800. 10051700181) 6০

১২৬

98160 60917 89869 6০ £159 9960৮ 019 000709180 ; 00 1)95106 79£%70. 6০ 60৪ 519৪ 95:01:98590. 05 & 007081087%1)19 0০৫5 01 00100£:989 70909009175 01 08 [5921518,0999 &00. 80029 10091019919 0068109 00920, 61018 00000016698 19901%89 61786 6109 00956100 0 16001911200 615০ [681819,02199 00 96800. ০৮৪৮ 6111 6106 10161)9010176 00700:998 ৪6 1181)079,

সতা, তবু মায়! তার ত্যাগ কর ভার। অথচ দেশ অপেক্ষায় অপেক্ষায় অধীর হয়ে পড়েছে। কংগ্রেসে যদি তা প্রতিফলিত না হয় তে! আর কোথায় হবে? অন্য পথ, হিংসা-অহিংসা-নিবিকল্প বৈপ্লবিক পথ নিন্দিত, মডারেট বা কংগ্রেসের পথ তা নয়; অথচ ১৯২৯-এর কংগ্রেসের দাবি, এই সংস্থা মভারেট বিপ্লবীদের মধ্যবর্তী। সুতরাং স্পষ্টতঃই এ. আই. পি. সি.-র এই প্রস্তাব ছুই প্রান্তবর্তী মতের একটা আপোষ এবং এর সমর্থক হিসেবে দাড়ালেন সুভাষচন্দ্র বন্তু।

লক্ষ করেছো বোধ হয়, প্রস্তাবের প্রথমাংশ সংগ্রামী, শেষাংশ আপোবধমাঁ। প্রথমে যেখানে বল! হচ্ছে, দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় এ. আই. সি. সি. মনে করছেন, সময় এসেছে যখন জাতির সকল প্রয়াস ১৯২৯-এর ৩১-এ ডিসেম্বরের পর অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তুতির দিকে প্রধাবিত করতে হবে, দ্বিতীয় অংশে সেখানে বল৷ হচ্ছে, ওয়াকিং কমিটি ষদিও মনে করেন, এই আন্দোলনকে ফলপ্রস্থ করতে কি প্রাদদেশিক।কি কেন্দ্রীয় সকল আইনসভারই কংগ্রেস-সদস্ত- দের পদত্যাগ করে আন। কর্তব্য, তথাপি সব আইনপভাব্রই ৰেশ-কিছু সংখ্যক সদস্তের এবং তার বাইরেরও কিছু সদস্তের অভিপ্রায় মতে। এই পদত্যাগের প্রশ্নটি লাহোর কংগ্রেস অবধি মুলতুবী থাক।

আপোষ মীমাংসা হিসেবে একথাও রাখা হল যে, তবে যদি কোন সমবস্ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চান, তাতে বাধ। দেওয়া হবে না

এই এ. আই. দি. সি.-র আর ছু*টি-একটি আপাতঃদৃষ্টিতে সামান্ত কিন্ত তাৎপর্ষে অসামান্য ঘটনার কথা তোমায় বলে রাখতে চাই; নইলে ১৯৩০ তার পরবর্তা ঘটনাগুলে! বিচ্ছিম আকম্মিক মনে হতে পারে।

১২১

দেশপ্র্রেম্সে্ ল্রক-ল্রেখা।

সেকালে, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আমলে, মিঃ ডে'র আতভায়ী গোপীনাথ সাহার দেশপ্রেম নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল কংগ্রেসে ; অহিংস- বাদীরা। তার মধ্যে আমিও ছিলাম, রক্তপাত দেখে এমনি আতঙ্কিত হয়েছিলেন যে, তারা মানতেই রাজি হলেন না, গোগীনাথ দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত এবং দেশমাতৃকার বেদীমূলেই উৎসর্গাকৃত। হিংসাশ্রয়ী বলে তাদের কাছে অকুতোভয় স্বার্থলেশহীন তরুণের দেশপ্রেমও মিথ্যা হয়ে গেল। কিন্তু চিত্তরগ্রনের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তখনও ছুরতিক্রম্য এবং সেকালের বাংল! উনিশশো৷ আটত্রিশোত্বর বাংলার মতো নিবার্ধ নয়, উপেক্ষনীয়ও নয়। সুতরাং তখনও গোপীনাথের হিংসাপথটুকুকে বিচ্ছিন্ন করে অনস্বীকার্য দেশপ্রেমকে স্বীকার করতে হয়েছেঃ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দ্বিকচক্রবালে অস্তমান প্রতীয়মান হলেও সম্পূর্ণ স্তিমিত নয়। দেশবদ্ধুর মৃত্যুর পরই বঙ্গবিরহিত ভারতীয় নেতৃত্বের উদ্ভব হতে পেরেছে।

১৯২৯-এর ২৭-এ সেপ্েম্বরের এ. আই. সি. সি.-তে ভগৎ মিং বটুকেশ্বর দত্তের দেশপ্রেম স্বীকারের প্রস্তাব তুলতে গিয়ে কংগ্রেন সদস্য চাটওয়াই মারাঠা ধাকা খেলেন। দেশবন্ধুরই এককালে স্বরাজ্যদলের ঘনিষ্ঠ সহচর মতিলাল প্রেসিডেন্টরপে প্রস্তাব তুলতেই দিলেন না। কারণ? কারণ প্রস্তাব কগ্রেসের ক্রীভ নন-ভায়োলেন্সের বিরোধী

প্রথম অহিংসা-মন্ত্র দীক্ষায় দিশেহার। আমি “গোপীনাথ-প্রস্ত(বে? সায় দিতে না পারলেও ভগৎ সিং বটুকেশ্বরের দেশপ্রেমকে অস্বীকার করতে পারিনি; কোন জিনিসকে এমন একান্তভাবে দেখার দৃষ্টিকেও কানা বলে মনে হল। প্রস্তাবের মর্ম ছিল 42001501906 006 02610600 501016 06 10655581888 31760 210 132001:091)তা2া 10066 2170 35100020715106 0100

১২২

10060) 1) 03211 109109101 ড3101) 0065 ৬61০ 10০5৫ 09 17021:80 5 002 21121) (30611010021)

তোমার কাছে স্বীকার করব, সত্য, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আমার কাছে নিষ্ঠুরতাই মনে হয়েছিল। দেশের যার! শক্র তাদের আমর] শক্র বলতে রাজি নই, তাদের বিপদের স্থযোগ আমরা নিতে চাইনে, তাদের অন্যায়কে অন্যায় দিয়ে জবাব দিতে চাইনে, প্রতিশোধ-প্রবৃত্তি পরিহার করে চলি শক্রর বেলায়ও) কেননা, অহিংসার মূল কথ৷ নাকি আত্মগীড়নে অপরের চিত্তজয়। শাসক ইংরেজের বেলায়, দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িকের বেলায়, দেশস্বার্থবৈরীর বেলায় আমাদের এই বীর্ষের নীতিই পালন করতে বলা হয়েছে; কিন্ত এই বিপ্লবীদের পথ আমাদের পথ নয় বলে আমাদের চিত্ত বিমুখ কেন হয়? অথবা কেন করতে বল! হয়? বিপ্লবীদের পথ হিংসার পথ-কিন্তু তারা কি দেশের শক্র? দেশের যার] শত্র, ঘা বিশ্বানঘাতক, দেশদ্রেহী, পথান্তরে চলছেন বলেই বিপ্লবীদের ওদের সগোত্র করাতে হবে? কিন্তু শক্রর প্রতি যে আচরণ তা থেকেও এর! বঞ্চিত। এঁরা দেশদ্রোহী, দেশশক্র তো নয়ই, এর! একনিষ্ঠ দেশসেবক এবং মৃত্ুভয়হীন দেশপ্রেমিক | সেটুকু স্বীকারেও যেখানে কার্পণ্য সেখানে আর যাই থাক মাহাত্ম্য নেই। অসহা বেদন। পেয়েছিলাম মেদিন এবং নিজের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, ওর! যদি দেশশক্রই হবেন তবে দেশের প্রকৃত শত্ররা, বিদেশী শাসকের ওদের ফাসিমঞ্চে ক্রোধ করে কেন? সে হিংসার নিন্দাও তো আমরা করিনে। আমাদের প্রতিশোধপ্রবৃত্তি নেই বলে শুনি, কিন্তু আমাদের ভাবট। দ্রাড়ায়, বেশ হয়েছেঃ যেমন কর্ম তেমন ফল্গ। তোমার কৃতকর্মের জন্য আমার চোখে জল নেই, আমার কাছে তোমার স্বীকৃতি নেই। কি নিদারুণ নিফরুণ অহিংস !

অথচ, তোমায় বলব কি সত্য, এ. আই. সি. দিং-তেই ভগৎ- বটুকের ছুশ্চর তপস্তার সহচর যতীন্দ্রনাথ দানের অসামান্য সাহণ। দৃঢ়তা ত্যাগের প্রশংসা করে প্রস্তাব গৃহীত হল। এই দেখ--

১২৩

পাগ9 8. 1, 0.0. 918098 02. 79000. 18৪ 066) €0101796100 10৮ 609 £7986 000/889 800 96889,019,860883 01009715106 609 ৪2015039801 609 1869 58600 [2৮৮ 109৪ 800. "109" 12555, 10 1085106 61590. 010 11593 101: 106919 01191181080 9৩ 60925.”

এখানে অহিংসনীতি প্রতিবন্ধক হয়নি। সম্ভবত এই কারণে যে ' ষতীন্দ্রনাথ দাসের আত্মপ্ণান,। অভাবনীয় নিঃস্বার্থ আত্মবিসর্জনে নিম্তরঙ্গ দাক্ষিণাত্য অবধি সর্বত্র এমনই এক আবেগের সৃষ্টি করেছিল যে, কংগ্রেন নেতৃবৃন্দের পক্ষে তা অগ্রাহথা কর। ছিল ছুঃসাধ্য। এই অনিচ্ছক স্বীকৃতির লক্ষণ প্রকট হয়ে উঠল সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষৌর এ. আই. নি. সি.-তে এবং ২৮-এ সেপ্টেম্বরেই একটি প্রস্তাব হল, জেলে অনশন নিবৃত্তির জন্য কেননা, ধতীনদাস বা বৌদ্ধ ভিক্ষুর আমরণ অনশন নিছক একট। রাজনৈতিক কৌশল ছিল না,অপরিমে় বিশ্বাসে; সুগভীর ক্ষোভে, প্রতিকারের ছূর্জয় সন্কংল্লে মৃত্যু তুচ্ছ হয়ে গেছল। অননুকরণীয়, কিন্তু তরুণমাত্রেরই কঠিন প্রতিজ্ঞার দিকে ঝোঁক; ফলে, ধারা কেবল একট! জানান্‌ দিতে অথবা একটা কৌশল হিসেবে অনশনব্রত গ্রহণ করেন তারাই উদ্দিগ্ন হলেন বেশি করে। আজ এই ১৯৬৯ খ্রীস্টাব্দের জানুয়ারী মাসের চেকোশ্রোভাকিয়ায় তরুণদের আত্মদানের অভিযানে যেমন উদ্দিগ্র হয়ে উঠেছেন চেকৃ নেতৃবৃন্দ কেননা) ওট। সংক্রামক, এবং তারুণ্য বেহিসেবী।

প্রস্তাব হল, বিভিন্ন প্রদেশে অনশনরত বন্দীদের উদ্দেশ্য সম্যক উপলব্ধি করেও নিখিল ভারত রাষ্ত্রীয় সমিতির অভিমত এই যে, জরুরী অবস্থার ন্যপ্টি না হলে অনশন অবলম্বন কর1 উচিত নয়। কমিটির পরামর্শ এই, ধার। এই আত্মত্যাগের পথ নিয়েছেন, তারা যেন, বিশেষ করে যতীন্দ্রনাথ দাস রেভাঃ উইজায়ার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে সে-পথ পরিহার করেন। আরও এই কারণে ষে, সরকার একেবারে শেষ মুহূর্তে অনশনব্রতীদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করেছেন এবং পূর্ণ প্রতিকারের চেষ্টাও অবিরাম চলছে। ইংরেজী প্রস্তাবটা! পড়ছি_

১২৪

“0116 76915 80069888108 685 2005159 61 8895 120089: ৪৮1]0100 001900975 210 6106 5821008 020517006৪8 61065 4. 1, 0.0. 1৪ 06 010810800 61086 1000£67-961798 89100010706 065 00061" 81909 90906 8100 6106 87959৪৮ 8109728710168, 17179 0028" 10016692 9,0%1899 610098 জ্ব100 19856 1001)0560. 6106 98071009 02. 19107561568 (60 9770 61)8917 3611]06১ 8109019,11) 11) 5197 ০0 6106 3811-10010019,0100 0 ৮29 1969 ০86110019,079/618 109,3 00. 179 ৬12958 ৪0ন 605 190 608% 606 08059700206 11956 ৪6 028 818-91861) 1)00৮ 5191090 ৮০ 10096 ০01 6106 00009,005 ০01 608 10010097-961 8915 %00. 9001% 13 109100 000061750815% 20806 6০ 380101:9 101] 907983.৮

ভাহেোন কংগ্োলেন্র জত্হব্সে

সত্য, মাথ। নীচু কর, সামনের তোরণট। পার হতে হব; এবার আমরা ১৯২৯/৩০-এর লাহোর কংগ্রেসের চত্বরে প্রবেশ করব, লাহোর নয়, লাজপৎ নগর, কলকাতা থেকে লাহোর) কলকাতার যতীন্দ্রনাথ আর লাহোরের ভগৎ দিং;ঃ কেমন একট! নিবিড় নাড়ীর যোগ ছিল, একাত্ম বাংলা-পাঞ্জাব।

১৯২৯-এর ২৭-এ ডিসেম্বর যবনিক। উঠল, জেনারেল সেক্রেটারী তার সুদীর্ঘ বাধিক বিবরণী পড়লেন বহু কথার মধ্যে বললেন £

“বিশে মার্চ বাংলা, বোম্বাই, পাঞ্জাৰ ইউ-পি-তে ব্যাপক ধরু- পাকড় হল রাজন্রোহের অভিযোগে, শত শত গৃহ তল্লাশি হল। ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন এ. আই. সি. সি.-র সদস্য | ভাদের আন। হল মীরাট যডন্ত্র মামল] সম্পর্কে ; শুধু ভারতের নয়, বিদেশেরও দর্টি আকর্ষণ করল। প্রধানত প্রখ্যাত কংগ্রেস কমীদের নিয়ে তৈরি হল সেপ্টটাল ডিফেন্স কমিটি ওয়াফিং কমিটি বলতে গেলে প্রচলিত রীতিবিরুদ্ধ কাজ করলেন ঘখন ডিফেন্স কমিটির তহবিলে দিলেন দেড় হাজার টাক!

“আন্নও যে একটি মামল। ভারতের যথেষ্ট দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা হচ্ছে লাহোর ষড়যন্ত্র মামল1) বনু তরুণের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগে মামলা! চলতে লাগল। বন্দীদের প্রতি অন্ায় আচরণ অসদ্ধার-

১২৫

হারের জন্ত বিচারাধীন এই বন্দীরা প্রতিবাদে অনশন শুরু করলেন পাঞ্জাবের অন্তান্ত জেল এবং ইউ-পি-র অন্তান্ত জেলেও রাজনৈতিক বন্দীরা অনশন অবলম্বন করলেন। অনেকদিন, অসাধারণ রকমে দীর্ঘকাল চলল এই অনশন, চলল জবরদস্তি খাওয়াবার চেষ্টাও ভগৎ সিং বটুকেশ্বর দত্ত লাহোরে ১৩ সপ্তাহ ধরে এই অনশন চালালেন; তাদেরই একজন সহচর বন্দী, যতীন্দ্রনাথ দাস, ৬৪ দিন অনশনে ১৩-ই সেপ্টেম্বর প্রাণত্যাগ করলেন তার মৃত্যু অপ্রত্যাশিত ছিল না, তথাপি এক আঘাতের মত লাগল সার! দেশের গায়ে বহু বছরের ভেতর আর কোন ঘটন। সাধারণের হৃদয়কে এতখানি ক্পর্শ করেনি সার। দেশে প্রচণ্ড বিক্ষোভ সঞ্চিত হয়ে ওঠে প্রায় সে সঙ্গেই, ১৯-এ সেপ্টেম্বর আর একজন রাজনৈতিক বন্দী রেভাঃ উইজায়া, বার্মার জেলে বিশ্ময়কর ১৬৪ দিন অনশনে শেষনি:শ্বাস ত্যাগ করলেন।

ছাড়াও নান! জায়গা থেকে দলবদ্ধ! মামলা হতে থাকে কলকাতায় সুভাষচন্দ্র প্রমুখের বিরুদ্ধে তেমন একটি মামলা চলছে।

“এই মামল। কারাদণ্ড ছাড়াও, আমাদের স্মরণ রাখা দরকার; ভারতবর্ষের নানা! জেলে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে দীর্ঘ মেয়াদী বহু রাজনৈতিক বন্দী আছেন ; প্র মধ্যে আছেন তারাও ধাদের ১৮১৮ শীস্টাব্দের রেগুলেশান ৩-এর এবং সামরিক আইনে বন্দী; দশ- বছর আগে ১৯১৯-এ সামরিক আইনে পাঞ্তাবে চলেছিল সামরিক শাসন, আছেন তারই স্পেশ্যাল ট্রাইবিউনালের দণ্ডিত ব্যক্তিরা আর আছেন ১৯১৪-১৫ তে, অর্থাৎ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডিত ২৭ জন রাজনৈতিক বন্দী; তাদের বিচার দণ্ড হয়েছে স্পেশাল কমিশনারদের হাতে-_ দাধারণ আইন-আদালতে নয়। আজ পনের বছর তার! কারাযন্ত্রণ৷ ভোগ করছেন

“দেশে শ্রমিক বিক্ষোভও লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে এক বোম্বাই ধন্্রকলগুলোতেই দেড় লক্ষ শ্রমিক ধর্মঘটে জড়িত; বাংলার পাটকল- গুলোতে আড়াই লক্ষ; জামশেদপুরের কাছে গোলমুড়িতে ধর্মঘটা

5২৬

টিনপ্লেট শ্রমিকের সংখ্যাও হবে ৩০০০ | ১৯২৮-এ এস. আই. রেলওয়েতে ধর্মঘটের জের স্বরূপ অনেককে গ্রেপ্তার কর! হয়েছিল ; তার্দের পনের জনকে গত এপ্রিল মাসে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ত্রিচিনপল্লীর জজ ।”

দেখ, সত্য, ১৯২৯/৩০-এর কংগ্রেস অধিবেশনের প্রাক্কালে অবিস্মরণীয় অপরিহার্য এই উত্তাল উত্তপ্ত পরিস্থিতি লিপিবদ্ধ করতে হয়েছে বাধিক রিপোর্টে এবং এতেই বোঁঝ! যাবে, ১৯৩০-এর রাত বারোট। এক মিনিটে স্বাধীনতা -প্রস্তাবটি শুধু এই পরিস্থিতির ওপর একট! স্বীকৃতির স্বাক্ষর মাত্র

১৯২৯-এর ২৯-এ ডিসেম্বর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৪৪তম অধিবেশন ; রবিবার, অপরাহু ঘটিকা আজও যেন চোখের সামনে ভাসছে, পনেরে। হাজার লোক ; তিল ধারণের স্থান নেই।

অভ্যর্থন। সমিতির চেয়ায়ম্যান ডাঃ কিচলু। বহু হৃদয়কে মন্থিত প্রতিধ্বনিত করে উখিত হল বন্দেমাতরম্‌ সঙ্গীত। ঘযতীন্দ্রনাথের প্রশস্তি করে আরও একটি গান ; উঃ চারদিকে কি হর্ষধ্বনি !

তোমায় বোধ হয় বল! হয়নি। সত্য, যে, এই অধিবেশনেও কংগ্রেসের মভাপতি হবার জন্য গান্ধীজীকে অনুরোধ করা হয়েছিল গান্ধীজী পণ্ডিত জওহরলালের দিকে আঙ্গুল দেখিয়েছিলেন তবু অনেকে অনুরোধ করেছিলেন ; লক্ষৌ এ. আই. দি. সি.-তেও একই অন্থরোধের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল ; কিন্তু গান্ধীজীর এক কথা; এবার অনেকটাই বললেন এবং এই আশ্বাস দিলেন লাহোরে যে-কর্মপন্থাই গৃহীত হোক তিনি তার সামিল থাকবেন £ [ ৪55016 5০0. 0326 1) ঠা 10512101065 20010690 05 5০0. 00০ [21001 000:555 [95911 122 আআ) 500.

জগুহল্রলালজ্ীব্প সানননিক্ত।

সুতরাং পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুই হয়েছিলেন ১৯৩০-এর সভাপতি তার অভিভাষণে মাযুলি কথাগুলে। আমি শুধু স্মরণ করি। বলেছিলেন :

১৭৭

“আদার হিন্দুর ঘরে জন্ম? কিন্তু আমি জানিনে নিজেকে হিন্দু ৰলে অভিহিত করা অথবা হিন্দুদের হয়ে কথ! বলা আমার পক্ষে কতটা সঙ্গত। ...*..*""তবে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি যে, আমার মুনলমান শিখ বন্ধুরা আমার কাছে বা-খুশি চেয়ে নিতে পারেন; আমি কোন প্রতিবাদ করব না, কোন তর্ক করব না।” ইংরেজী বয়ানটাও শোনো, পাছে ভুল অনুবাদের অভিযোগ ওঠে_

“[ ৪৪ 13020 ৪, [71005 006 ] 0 006 10007 190 128] 802 10961960117 08111706 10589]6 006 01 10 80098101708 00 10928] 0 [710005....90 1%৮ 8৪ [ 200) 0077981090১ ] আ০০]০ 215015 851 ০0010091900 800 9110) 1710008 6০ 68,009 51186 6095 11] ঘ160006 0:06986 ০৮ 9:8010910 1:00 109.)

মনে রেখো, সত্য, জওহরলালজী ১৯২৮-এ ছিলেন মাদ্রাজ প্রস্তাবের সমর্থক স্বাধীনতাপন্থী, ১৯১৮-এ বিষয় নিবাচনী সমিতিতে ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের বিরোধী প্রস্তাবও তুলেছিলেন, কিন্ত তারপর রইলেন অনুপস্থিত এই অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা করলেন গান্ধীজী, জওহরলালজীর পিতা কংগ্রেমের সভাপতি ; প্রকাশ্য অধিবেশনে স্থভাষচন্দ্রের স্বাধীনত। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সর্বদলীয় কংগ্রেসীদের সাথী হলেন ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের লক্ষ্যে, আপত্তি করেও দিল্লী ম্যানিফেস্টোতে স্বাক্ষর দিলেন। ১৯২৮-২৯-এ এই যেতার দ্বিধাচিত্ততা,গান্ধীজীর সুপারিশে পিতৃদেবের স্থলাভিষিক্ত হয়েও কিন্তু তার ছুটে। মন এক হয়নি এবং তাই প্রতিফলিত হয়েছে সার ভাষণে বিশেষত যেখানে ভবিষ্যৎ ভারতের সংবিধানের কথ! উঠেছে

"06 61006 1088 100990 81960 00079 00 609 481]1-975168 18810: 1088 6০ 1708 00৮ 88109 900 জা9 10097011078] 000989:907 6০ ০৫ £0819.৯

“সত্যিই সময় এসে গেছে ধখন আমাদের সর্ধদলের রিপোর্টটি পাশে সরিয়ে রেখে মোহমুক্তাবস্থায় আমাদের লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে হবে।”

কথাগুলো মোহমুক্ত ব্যক্তিরই, ধার ওপর ১৯৩০-এর সংগ্রাম

১ই০

নেতৃত্ব দেওয়! হচ্ছে; ধারা ইতিমধ্যেই মোহমুক্ত ছিলেন তাদের শুনে ভাল লাগল। ১৯২৯-এ যে সর্বদল-প্রাধিত সংবিধান এল না তান উল্লেখ করে জওহরলালজী বললেন

“61058 10008176 11096980. ৪0:16:176 &০৭ 2:88691 [610858105 91০0৮ 08610108] 800. 1800] 10059009063 200 100. 100917% 000 00001789098 9৪ 6০-০৪%৮ 10101001% 1906 89১ 1003. 0৪197 609 81197) [10079]! 1707 10805 01 610810 90097 9118 10 10:91610 00006198800. 879 £61059ন. 19,01116198 6০ 1960170 60 01091 000610911800 ! 17106 200 01 09001986100 10199 ০00 ০০001065117) 565 200 100 090. 609 1010) 01 61068 008,9৮9 155 9597 28899 %0 00108 0০0) 00 6119 1088 01 08 10০ 09:89 690 19159 61591 176808.?

রাজনৈতিক পরিস্থিতি চিত্রায়ণে সাহিত্যের স্পর্শ, অনুবাদ কর! শক্ত | “ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস আসেনি, এসেছে আরও দুঃখ, আরও গীড়ন। জাতীয় আন্দোলনে শ্রমিক বিক্ষোভে ; আমাদের কত সাথীকে বিদেশী শক্তি আমাদের সামিধ্য থেকে জবরদস্তি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে! কতজন বিদেশে নিবাসনের যন্ত্রণা ভোগ করছেন, মাতৃ- ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের স্থযোগ থেকে তারা বঞ্চিত দখলদার বাহিনীর লৌহ-নিগড় দেশের সর্বাঙ্গে আর প্রভুর হাতের বেত উদ্ত তাদের জন্ম আমাদের ধার! শিরোমণি, সাহস করে ধারা মাথা তুলতে চেয়েছেন |?

একটু থেমে বললেন, বিশ্বাস করো সত্য, মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু মাঝে মাঝে পাল্টা চমকও লেগেছে যখন শুনেছি বলছেন £

17860972615 06159161099 15900 8 899103078 0091 01 1999০09.+*

তিনি যেন পারিপাশ্বিক ভুলতে পারছিলেন না, অবিচলিত পিতৃদেব, প্রশান্ত গান্ধীজী। তবু সেদিন তিনি যুব-ভারতকে প্রতি- শিধিত্ব করেছিলেন তার এই ভাষণের মধ্য দিয়ে, বিশেষ যখন বললেনঃ “বৃটিশ কূটনীতি সম্পর্কে সাবধান হবার মতো। অনেক অভিজ্তাই তো আমাদের হয়েছে ! বৃটিশ সরকার য। আমাদের সামনে প্রসারিত করলেন তার বপটা অস্পষ্ট-.."."অনেকখানি কল্পনার রঙে রাঙিক়ে

তাকে বল! ধায় কলকাতা -প্রস্তাবের সাড়া বুঝি পেলাম ২২৪

স্বাধীনত1---১

50915 05 600৩ 89963886 ৪6960) 01 10981090100, 90016 16 706 10661079690 88 & 099891016 198190%:89 09100687650. 6100,

“তারপর এল ব্যাখ্যা আর ভাষ্য--পার্লামেন্টে এবং অন্ধত্র সন্দেহ ঘর্দি কোথাও ছিল তারও নিরসন হল, এবার প্রস্তাবের তাৎপর্য নিঃসংশয় |”

জওহরলালজী বললেন, “ওয়েজউড বেন ষে, ভোমিনিত্বান স্ট্যাটাসের কথা বলেছেন তা আমাদের পক্ষে একটা ফাদ আত ভারতের শোষণ কিছু মাত্র হাস পায়নি।

“যদি কলকাতা-প্রস্তাব প্রকৃত হয়ে থাকে, তবে আমাদের লক্ষ্য একটাই-_সেটি স্বাধীনতা আমাদের স্বাধীনতার অর্থ বৃটিশ আধিপত্য, বৃটিশ সাআ্রাজ্যবাদ থেকে পূর্ণ মুক্তি। সাম্রাজ্যবাদের ভিত্তিতে অথবা অপর জাতির শোষণ বিস্তৃত থাকতে কোন সতাকার কমনওয়েল্থ হতে পারে না। কোন ধরণের ডোমিনিয়ান স্ট্যাটামই ভারতকে প্রকৃত ক্ষমতা দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনে ; প্রকৃত ক্ষমতার মাপকাঠি হচ্ছে দখলদার সেনাবাহিনীর অপমারণ অর্থ নৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার | সুতরাং আজ আমরা ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতারই পক্ষপাতী 1?

সংগ্রাম্মেল্প বিপজ্জনক পথ

“00 সা18) আও 00 683 611৪ 198211009 1086) 01006100891 9119 00 90 19908086 (10079 4৪ 100 0139৮ 95 01 800 17010000- 1019 1)99,09.5

“জাতীয় সংগ্রামের এই বিপজ্জনক পথ বেছে নেবার কারণ সম্মানজনক শান্তিপ্রতিষ্ঠার অন্য কোন পথ নেই বলে।” কিন্তু কি সেই বিপজ্জনক পথ?

তোমায় বলে রাখি, সত্য, গান্ধী-জওহরলালজী যে পথ নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন এবং যে পথের নিশান। ঠিক রাখার জন্ত '্াবিশ্রাস্ত বৈপ্লবিক পন্থা! বামপন্থীর কঠোর নিন্দা করেছেন ভাঁ-ই বারে বারে ধাক1 থেয়েছে শেষ প্রতিদ্বন্দীর সঙ্গে তারা সাফল্যের

৬৩৪

সঙ্গে বিপ্লবী বামপন্থীদের নিক্ষিয় নিবীর্য করেছেন শুধু হিংসার নিন্দাতেই, কিন্তু, ভারতীয় রাজনীতির প্যারাডক্স এই যে,ত্ারাই অহিংসায় সম্পূর্ণ অবিশ্বাসী সহিংস লোক-হস্তারক মুদলিম লীগের রক্তপাতমুখে ব্যর্থকাম হয়ে গ্েছেন। লীগের সদা-উদ্যত রক্তাক্ত ছুরিকা কখনে! নিরস্ত তো করতে পারেনই নি, পরিণামে ছুরিকায় হাত দিয়েই দেশখগ্ডনে হাত বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন কিন্তু ১৯২৯-এই পন্থার ব্যাপারে জওহরলালজীর স্পষ্টত ছিল। এই স্পষ্টতার জন্যই তিনি স্তুভাষচন্দ্রের চাইতে বেশি আস্থাভাজন হয়েছিলেন গান্ধীজীর। সে স্পষ্ঠতা হচ্ছে অহিংসপন্থা সম্পর্কে তিনি বললেন £ 1107 €7886 20059209106 101 11709186101 6০-09 [0086 0৪- 09839381115 1)9 2) 1258,89 1000591006106 8110. 10999 0005 97201% 70)0096 93801061911] 108 1098,091001) 92:09]0% 11 6110095 01 195০1, 406. 11 6109 10110011081 00059200176 15 1098,0610] 0100১) 00106810108

108003 8/6691071)88 96 91001:8,010 10190099 ০210 0015 01968,06 86697261017 &00. 98,017 86.

“যে কোন বড়রকমের মুক্তি-আন্দোলনই গণ-আন্দোলন হতে বাধ্য এবং গণ-আন্দোলন, বিদ্রোহ-কাল ছাড়া, মূলত: শান্তিপূর্ণ হওয়া দরকার | যদি মূল আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হয়, তবে সমসাময়িক কলপ্রয়োগের বিক্ষিপ্ত চেষ্টা কেবল বিভ্রান্তিই ঘটাতে এবং ওকে ছুবল করে ফেলতে পারে ।”

গান্ধীজীও এই অধিবেশনে দিল্লী বোমাবিস্ফোরণের নিন্দাত্মক প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছিলেন :

118,010 70229 0869 1785 0036 [70019 069:.১

স্পহীদেল মুক্ষুউ কল্প থাম ? আধুনিক ইতিহাস-গবেষক বা ইতিহাসবিদেরা একথা স্বীকার করেন না; তার বলেন, ব্যাপারটা ঠিক উপ্টো-_শাসকশ্জেণী প্রতি- সন্ত্রাসে বা ধাকে হিংসাত্মক আন্দোলন বল হয় তাতে,যত বেশি করে ঘাবড়ে যায় এবং শাসন-সংস্কারে এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়। ততই

১৩১

তথাকথিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নিকটতর হয়; ভানটা৷ থাকে যার! শান্তিপূর্ণ বৈধ আন্দোলনকারী তাদেরই কনসেসান দিলাম, আসলে কনসেসানট! তার৷ দেয় ভীরতিপ্রদ সন্ত্রাসবাদীদেরই | অনেকট। হিংসাত্বক আন্দোলন অস্বীকারের এক ধরণের সমঝোতা উভয়ের মিলটা তথাকথিত হিংসাত্বক অথবা ভায়োলেণ্ট- আন্দোলনের নিন্দাবাদে।

তুমি কি উমা মুখাজির “টু গ্রেট ইণ্ডিয়ান রিভলিউসানারিজ” বইখানা পড়েছ? )

না। সময় পেলে পড়ো ওতে তিনি বহু তথ্য ঘে'টে, আমার বুদ্ধিতে

অকাট্য প্রতিপন্ন করেছেন £ “ভ্ব1)55 16911595059. 09010869179,6100 310 6109 27100 01 609 ৪1191] 100680780% 10 611089 083 1009 30 00001) 8009 00179610610109] 20186100197 100 6109 1001810 [9610251 (010£1993 &8 6109 [01105 01 %10191009 %100. 061:02 2,01000101569৫ 1১5 6106 19809:8 ০0£ 1)1)9109] 10:99 20059109120 ?

“বিদেশী আমলাতন্ত্রের মনে সেকালে জাতীয় কংগ্রেসের সাংবিধানিক আন্দোলন যত-ন। উদ্বেগের স্যষ্টি করেছিল তার চাইতে বেশি করেছিল বলপ্রয়োগে বিশ্বাসী নেতৃবৃন্দের সন্ত্রাস স্যপ্টির নীতি 1”

আগেকার কথা ছাড়াও তিনি বলেছেন-_

রত 0116 1316191) 20192৪ 01610096915 109/৮60 161) 10091" 11020 10018 1006 90 10001) 19909803901 6108 109730888৮9 10810 01 8109 001060993 86169610709 83 10908058 01 609 701:959019 0 6159 ৪07:£1105 7950156008৮ 10098 56910000105 ০০৮ ০01 6109 স্(07 ভড০: [0.৮

“বুটিশ শাসকের শেষপর্বস্ত যে ভারতের শাসনপাট গুটোলেন ত| যত ন1 কংগ্রেসের সমঝোতার আন্দোলনের ফলে তার চাইতে বেশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উদ্ভৃত উত্তাল বৈপ্লবিক শক্তির চাপে

ভূমিকার তৃতীয়াংশে এই উপদংহার থাকলেও লেখিকার ঘেটি প্রতিপাদ্য বিষয় এবং যা, আমি মনে করি, তিনি সাফল্যের সঙ্গে প্রতিপর করেছেন, ত৷ হচ্ছে;

১৩৭

“১৯৩৭-এ ভারতের স্বারধানতালাভের পর দেশের সামনে গুটি- কয়েক ভাবমূতি উংস্থষ্ট হয়েছে এবং একদল রাজনীতিকের অবিরাম প্রচারের ফলে তাদের ব্যাপক প্রচারও হয়েছে এদের অন্যতম ভাবমূতি হচ্ছে যেঃ ১৯৪৭-এ যে ভারতের রাজনৈতিক চূড়াস্ত সিদ্ধি- লাভ ঘটল তা হচ্ছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরই কর্মকীতি এবং বৃটিশ শীসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে তারই কঠোর নৈতিক সাংবিধানিক সংগ্রামের অনিবার্য পরিণতি এরই সঙ্গে অবিচ্ছ্গ্ভাবে সংলগ্ন রয়েছে আরও এই অসতা যে, ভারতের বৈপ্লবিক আন্দোলন কিছু ফেনিল উচ্ছাস অন্ধক্রোধঃ কিছু মুল্যবান সম্পদ বিনাশ অমৃল্য-প্রাণ-হননের অতিরিক্ত কিছুই নয়। বে ভাবেই হোক, ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে বিপ্লবীদের ভূমিকা আজও অতান্ত নগণ্য মনে করা হয়। লরকারী প্রবক্তার1 তে। এই দাবীই করে থাকেন যে, স্বাধীনতার জন্য শহীদের শিরোপা কংগ্রেসেরই ন্যাধ্যতঃ প্রাপ্য***..

“অতীত বাংল! সরকারের গোয়েন্দা বিভাগীয় কাগজপত্র ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রবিভাগীয় নখি-দলিল ইত্যাদি, বিশেষ করে আমাদের সংগ্রামের মন্ধিক্ষণ সম্পিত বিবরণ-আদি দেখার সুযোগ ধার আছে, তার পক্ষে ভারতের স্বাধীনত1 আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা মেনে নেওয়া! কঠিন ।”

লেখিকা নান! তথখ্যবলে দেখিয়েছেন) ভারতে ধাকায় ধাকায় থে শাসন-সংস্কার প্রতিশ্রত হয়েছে তার পেছনে রয়েছে গুপ্ত ভায়োলেন্ট আন্দোলনের পাঞ্চ অথব। ব্যাপক গণ-আন্দোলন বখন অহিংসার গণ্তী অতিক্রম করে বৈপ্লবিক হয়ে উঠতে চেয়েছে | ১৯৩০- এর আন্দোলনেই আমর। তার প্রমাণ পাব।

তবু যে কংগ্রেসের মাথায়ই শহীদের মুকুট এবং কণ্ঠে সাফল্যের বরমাল্য পড়েছে তার কারণ কংগ্রেন ছাড়া অতবড় ব্যাপক গণ- আন্দোলন আর কেউই করতে পারেনি ; পরে কংগ্রেসের নীতিন্নীতির রেখায় রেখায় না চললেও) বড় আন্দোলনের প্রাথমিক উদ্বোধন করতে হয়েছে কংগ্রেলকেই ; বিপ্লীরা বা বামপন্থীরা কোন সময়ই

৯6৩

ব্যাপক আন্দোলন করতে সমর্থ হননি সুভাষচন্দ্র পারেননি | তারা কংগ্রেসের গণ বা ব্যাপক আন্দোলনের স্থযোগ নিতে চেষ্টা করেছেন সন্দেহ নেই।

দিছুললী বোসা-হিস্ফোল্রণ প্রস্তাব ১৯৩০-এ চারদিকে এমন বৈপ্লবিক অবস্থা সত্বেও কংগ্রেষকেই তা সম্বরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হল। দিল্লী বোমা-বিক্ষোরণের :ওপর

গান্ধীজীর প্রস্তাবটি ছিল £

“1015 000£:989 091010798 6109 190201) 00629 [99710969690 028. 10০ ড109105+5 6:%110 200. 17916979695 569 0দ্ঘাওে 00105196108 67086 90010, 89,06100 18 7006 01015 00065 60 609 01890. ০01 &6 000£7999 100৮ 7953168 110 1)%1ণাঞজ 1091106 0008 6০0 0106 70861010081] 08199. 1৮ 00686018599 $109 ড809:05 800. 14809 2

8।70. 61091] 1081৮ 11001001106 6106 190০7 ৪8158106৪ 010. 61081 (0৮ 600669 8100 10807 9308,009,5

“এই কংগ্রেস বড়লাটের ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা*বিক্ফোরণ পরিতাপজনক মনে করছে এবং আরও একবার এই প্রত্যয়ের পুনরাবৃত্তি করছে যে, এ-জাতীয় কাজ কেবল যে কংগ্রেসের আদর্শ বিরোধী তাই নয়, একাজ জাতীয় স্বার্থেরও হানি ঘটিয়ে থাকে বড়লাট শ্রীমতী আরুইন এবং তাদের ভৃত্য অনুচর-আদি ভাগ্য- ক্রমে অল্পের জন্য অব্যাহতি পাওয়ায় তাদের সকলের উদ্দেশে কংগ্রেস অভিনন্দন ত্ঞাপন করছে।”

গান্ধীজীর নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামপ্রস্তপূর্ণ ; কিন্তু বিরোধ ছিল। ডাঃ আন্লারী সমর্থক করলেন বটে কিন্তু বিরোধিতা করলেন স্বামী গোবিন্বানন্দ। আর ডাঃ আলম প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বললেন, তার! যেন কোন ব্যক্তিবিশেষের প্রতি অনুরাগ বা শ্রদ্ধাবশতঃ অনুকূল ভোট না দেন। প্রস্তাবটি গুরুত্বহীন, অসঙ্গত এবং হানিকর। এটি অগ্রাহা করাই কর্তব্য এসব প্রস্তাব দ্বারা প্রশাসকদেরই হাত শক্ত করা হয় এবং নিরীহ লোকের হয়রানি হয় এই প্রশাসকের! কি লালাজীর মৃত্যুতে এতটুকু অনুতাপ বা শোক

১৩৪

প্রকাশ করেছে ? অথচ মেডিক্যাল ঘোষণায়ই দেখ যাচ্ছে, পুলিশের লাঠির ঘায়েই তার মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাউন্সিলে তিনি চেষ্টা করেও গবর্নমেণ্টকে একট! তদস্তে পর্স্ত রাজি করাতে পারেননি

কিন্তু ডাঃ আলম প্রকাশ্য কংগ্রেসেও হেরে গেলেন হেরে গেলেন বটে কিন্তু গর অনুকূলে ভোটের সংখ্যাও চোখ কপালে তোলবার মতে গান্ধীজীর ব্যক্তিত্বের প্রতি অন্ুরাগবশতঃ ভোট না দিতে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন তা৷ বহুলাংশে সার্থক হয়েছিল, গান্ধীজীর ব্যক্তিত্বের প্রাধান্তের পক্ষে ৮৯৭--৮১৬-ভোটে জয়লাভ এমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটন। নয়

আমর! পরবতারঁ ইতিহাসের দিকে যত এগোবো ততই দেখছে পাব, গান্ধীজীর জয় শুধু এখানে নয়) ১৯৪৭-এর চরম ছুংখের দিনেও গান্ধীজীর নীতি একইভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ; ১৯২৯-এ আলম যে বিপুল ভোটের অধিকারী হয়েছিলেন ভবিষ্যতে তা শৃন্যে বিলীন হয়েছে। কিন্তু মে ভবিষ্যতের কথা আজ তোমায় ফেলে-আসা কথাটা বলব।

তুমি জিগগেস করেছিলে গান্ধীজীর স্বাধীনত৷ প্রস্তাবের সংশোধনী নামে কি পাল্টা প্রস্তাব তুলেছিলেন সুভাষচন্দ্র ? বলি। কংগ্রেসের সরকারী ইতিহাসে সুভাষচন্দ্রকে কতটুকু স্থান দেওয়! হবে তা নিয়ে বিতর্ক তোল বৃথা, কিন্তু সেদিন সুভাষচন্দ্র ঘথন তার সংশোধনী উত্থাপনের জন্য উঠলেন তখন চারদিক থেকে “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি উত্থিত হয়| তার সংশোধনীকে গান্ধীজী যে একটা আলাদ। গোটা ্রস্তাৰ বলেছেন তা মূলতঃ মিথ্যে নয় শুনলে তোমারও তাই মনে হবে। শোনো £

9ভ্তাম্ত্ড্রেক্প পাল্টা সব্পক্ান্র

“কলকাতায় কংগ্রেসের বিগত অধিবেশনে ঘে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল তদনুসারে এই কংগ্রেম ঘোষণ। করছে যে, কংগ্রেসের

১৩৫

জক্ষ্যাদর্শ (০:52 ) হিসেবে যে স্বরাজ কথাটি আছে তার অর্থ পূর্ণ স্বাধীনতা এবং তারও ত।ৎপর্ধ হল সম্পূর্ণ বৃটিশ-সম্পর্ক-ছেদ

“ভারতবর্ষ থেকে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ তার ভারতীয় সহচর- শক্তিকে উংধাতের জন্য এবং পূর্ণ স্বাধীনতা৷ অর্জনের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস এই শপথ নিচ্ছে যে, ভারতে একটি পাল্টা সরকার প্রতিষ্ঠাকল্পে অবিরাম স্বাধীনত। আন্দোলন চালানো! হবে। অন্যদিকে যেখানে যখনই সম্ভব কর-বন্ধ সাধারণ ধর্মবটসহ আইন অমান্য আন্দোলনে অবতীর্ণ হতে হবে।

“এই দ্বিবিধ কর্মমচীকে রূপায়ণের জন্য কংগ্রেস জনসাধারণের উদ্দেশে এই আহ্বান জানাচ্ছে যে, তারা যেন অচিরে যুব-শমিক- কৃষক এবং অন্যান্য নিপীড়িত ভারতীয়দের সংগঠনের কাজে আত্ম নিয়োগ করে। এই কর্মস্চীর প্রতি একান্তভাবে মনোনিবেশ করার জন্য এবং নতুন লক্ষ্যাদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্ত রেখে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক আইন সভা।গুলো।, সরকার নিযুক্ত কমিটিগুলো। স্বায়ত্ত-শামিত সংস্থাগুলো সম্পূর্ণ বর্জনের জন্য এবং যার। এখন সমস্থ আছেন তাদের পদত্যাগের জন্য) কমিটি কাউন্সিল আদালতের সংশ্রুব ত্যাগের জন্য ভবিষ্যতে নির্বাচনে যোগদানে বিরত থাকবার অন্য আহ্বান জানাচ্ছে।

“যখন যেমন অবস্থা তখন তেমন ব্যবস্থা অবলম্বনের অধিকার এ. আই. সি. সি-কে দেওয়া হচ্ছে ।”

সংশোধনী প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সুভাষচন্দ্র বললেন, «পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণ। করে প্রস্তাব উ্থাপনের জন্ত আমি মহাত্ম। গান্ধীর উদ্দেশে সাধুবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই কিন্তু আমার দাড়াবার উদ্দেশ্য কেবল তাই নয়। আমি মনে করি। আমাদের সামনে যে কর্মসুচী রাখা হয়েছে তা আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে না। এই জন্য আমি আমার সংশোধনীটি উথাপন করেছি। আমার সংশোধনীটি পূর্ণাঙ্গ, সামগ্রিক কার্যোপযো গী (0020166) ড/17016 ৪00 া0:19016) এক কর্মনূচী। এর ছুটো! অংশ) একটি

১৩৬

ধ্ংসাত্বক,। আর একটি গঠনাআক। জনসাধারণের শুভেচ্ছার ভিত্তিতে একটি পাণ্টা সরকার প্রতিষ্ঠ। ছাড়া কি করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছোব আমি বুঝতে পারছিনে | আয়র্গ্যাণ্ডের সিন-ফিনারদের দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে তার মানে আমি বলছি নে যে, ভারতীয় জনসাধারণ আইরিশ আন্দোলনকেই সমর্থন করুক; আমার প্রতিপাগ্ হচ্ছে, লক্ষ্যে পৌছোতে হলে পাল্টা সরকার গঠনই একমাত্র পথ ।”

স্থভাষচন্দ্র বললেন, “আমার বিশ্বাস, কংগ্রেদকে যদি আমর! জীবন্ত সংগ্রামশীল (৮1116 2100 961)076)) করতে চাই তবে ধার! এখনও কংগ্রেসের বাইরে আছেন তাদের কংগ্রেসের ভেতরে আনতে হবে আমি কিষাণ, মজুর যুবকদের কথা বলছি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধদের অর্থনৈতিক সামাজিক অভিযোগ রয়েছে এবং এই কারণেই তারা কংগ্রেসের বাইরে থেকে যাচ্ছেন কংগ্রেসের কর্তব্য হবে, এই অর্থনৈতিক সামাজিক অভিযোগগুলো দূর কর1। শুদ্ধ মাত্র রাজনৈতিক অভিযোগ দূরীকরণের চেষ্টাতেই সন্তষ্ট থাকলে চলবে না। এদের আমাদের মধ্যে আনতেই হবে, এ"দের সামর্থ্য সঙ্গতিকে স্ুশৃহ্খল করতে হবে। কংগ্রেস যদি নিপীড়িত শ্রেণীর সঙ্গে একাত্মভাব না হতে পারে) তবে সে কি করে তার রাজনৈতিক কর্মস্চী এগিয়ে নিয়ে বাবে আমি তো। বুঝতে পারিনে | বর্জননীতি বা বয়কট যদি সার্থক, বুদ্ধিগম্য ফলপ্রস্থ করতে হয়ঃ তবে লক্ষ্যে উপনীত হবার জন্য সর্াতআবক বর্জনের পন্থাই নিতে হবে। আংশিক বর্জম নীতির আমি কোন অর্থ খুঁজে পাইনে। স্বাধীনতার মতবিশ্বাসের সঙ্গে আদালত যাতায়াতের কোন সামপ্রস্ত দেখতে পাইনে। তেমনি, কলকাতা করপোরেশনে গিয়ে আনুগত্যের শপথ নেওয়াও অসামগ্তস্তপূর্ণ | আমাদের সমগ্র শক্তিকে আমাদের কাজেই নিয়োগ করতে হবে এবং তাই করেই স্বাধীনতা অর্জন কর] যাবে। হয় সব, নয়তো কিছুই নয়-_-এই-ই আমার নীতি। সুতরাং বদি বয়কট করতেই হয় তে। তা পূর্ণাঙ্গ হওয়া চাই। আদালত আর

১৩৭"

লোকাল বডিতে গেলাম কিন্তু কাউন্সিল বর্জন করলাম--এর মধ্যে কোন কল্যাণ দেখতে পাইনে একথা স্বীকার করি, রাজনীতিতে কখনো কখনো ব্যতিক্রম ঘটাতে হয়-যেমন সিন-ফিনাররা করেছিলেন এবং আন্বগত্যের শপথ নিয়ে পার্লামেন্টে গেছলেন। কম্যুনিস্টরাও তাই করেছিলেন। কিন্তু এখানে কার্ষকারিতার দিক থেকে স্বাধীনতার মত-বিশ্বাস গ্রহণ করার পর লোকাল বডিতে যাওয়! সামপ্রস্তহীন বলে আমি মনে করি ।”

আমি তোমায় বলেছি, সত্য যে, সুভাষচন্দ্র দিল্লী ইস্তাহাতর সই করেননি, তার কথা উল্লেখ করেতিনি বললেন, “আমার বক্তব্যের উপসংহার করার আগে আমি মহাত্মা গান্ধী যে-প্রস্তাৰ উত্থাপন করেছেন তার সম্পর্কে ছু'টি-একটি কথ! বলতে চাই। আমি একথা বলে নিতে চাই যে, দিল্লী ইস্তাহারে ধার] সই করেছিলেন আমি তাদের দলে নই। ন্ুতরাং আমি চাইনে যে, আজকে এই ৩১-এ ডিসেম্বর তারিখে দাড়িয়ে কেউ এটি সমর্থন করেন। আপনার কি দিল্লী ইন্তাহার সমর্থন করতে রাজি? আপনারা কি ভারতের বড়লাটের কাজের প্রশস্তি করতে চান? গোলটেবিল বৈঠক একটি মেকি জিনিস। আপনার! কি সচেতন চিত্তে ওর ভূমিক! অনুমোদন করতে পারেন? বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে মহাত্মা গান্ধী দয়! করে পরেই আশ্বাস দিয়েছেন যে, অন্তত তার সম্মেলনে যাবার ইচ্ছে নেই। সুতরাং এই সভাই স্থির করুন, প্রস্তাবে বেড়লাট-প্রশস্তি- সুচক ) এই অংশটুকু থাকার প্রয়োজন আছে কি না”

“ও

গোল? না? চাল্প-ক্োপ। তেল ?

“এবার আমি 'গোলটেবিল বৈঠক' কথাটির উল্লেখ করব আমি জানিনে আমাদের স্বদেশবাসীরা কেন একে গোল টেবিন আখ্যা দিতে উৎসুক এট। তে! গোল টেবিল নয়ই হচ্ছে শ্রেফ চার কোণ টেবিল। গোল টেবিল (বৈঠক) হয় ছুই যুদ্ধলিপ্ত রাষ্ট্রের মধ্যে এবং সেখানে রাষ্ট্রদূতের! উপস্থিত থাকেন। এই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয় তা উভয়পক্ষে অবশ্ট পালনীয় বলুন তো, আপনারা কি একথা বিশ্বাস করতে প্রস্তুত যে, ভারতীয় জন-নাধারণকে তাদের প্রতিতূ পাঠাতে দেওয়া হবে এবং তার! সম-অধিকারে বুটিশ-প্রতিভূদের সঙ্গে আলোচন। চালাতে পারবেন ?

£4:9 500. 8019 61096 659 90101091008 87190. ৪৮ 629 002- 16181106 11] 09 18901990105 12£11)8,0091)6 ?

“আপনারা সবাই জানেন যে, যখন ছুটি দেশের মধ্যে সন্ধি সম্পাদিত হয় তখন তাকে পবিত্র জ্ঞান কর! হয়। দক্ষিণ আফিকা বুটেনের মধ্যে এমনি এক সন্ধি সম্পাদিত হয়েছিল ব্যাকরণগত অশুদ্ধ সত্বেও, বিনা সংশোধনেই তা যথারীতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন- লাভ করেছিল। পার্লামেন্টে বুটিশ রাজনীতিকের1 সে ব্যাকরণগত ভূল সংশোধন করতে পারেননি এর নাম গোল টেবিল বৈঠক। আর এখানে কি ? শুনছি দেশীয় রাজন্যবর্গ ইউরোপীয় বণিকমভাও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। রাজন্যবর্গ ইউরোপীয় বণিকদের সঙ্গেও কি লড়াই চলছে নাকি? তবে এ্ররাও কেন গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন ?”

চারদিকে বার বার হর্ধধ্বনির মধ্যে সুভাষচন্দ্র একথাও বললেন, “এদেশের লোকেরা! তো! এটিকে গোল টেবিল বৈঠক বলেন, ওদেশের লোকেরা? বৃটিশ রাজনীতিকের! কিন্তু তাদের বক্তৃতায়. 'সঙ্গত কারণেই «গোল টেবিল বৈঠক)? কথাটি পরিহার করে থাকেন 1

দীর্ঘ বন্তৃত। দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র ; দলের শৃঙ্খলে বাঁধা দেহ,

১৩৪

দলীয় আবরণে রুদ্ধ কান, দৃষ্টি একচক্ষু হরিণের মতো মানস-নেতার দিকে নিবদ্ধ, মনের ওপর সঞ্চারিত সংস্কারের পর্দা, সাগ্রহে শুনতে চাইনি, তবু শুনেছি, কোন কোন পত্র-পত্রিকায় লিপিবদ্ধ সে বক্তৃতা পরে পড়েওছি।

উপসংহারে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুভাষচন্দ্র £ “কয়েক বছর ধরে কংগ্রেসের যে গঠনাত্মক কর্মসচী চলছে তাই কি স্বাধীনতা! লাভের পক্ষে যথেষ্ট ? আমি মনে করি, তা মোটেও নয় আইন অমান্যের কথ। অবশ্য আছে; কিন্তু এও আমি বলতে চাই যে, এই কর্মসথচী নিয়ে আইন অমান্ত সংগঠিত করা যাবে না আমি সর্ধতোভাবে বিশ্বাম করি, যুবক কৃষক শ্রমিক অন্যান্য নিপীড়িত গণমানবকে যদি সঙ্ঘবদ্ধ না করা যায় তবে আইন অমান্ত মরীচিকাই থেকে যাবে। স্থতর!ং যদি আপনাদের কর্মস্চীকে ফলপ্রস্থ করতে চান তবে আমি অনুরোধ করব, সেই ভাবেই কর্মস্থচী রচনা করুন ঘা কালোপযোগী, যা! ছাত্র যুবক কৃষক শ্রমিককে আকৃষ্ট করে গত বছর কলকাতার আমরা চেয়েছিলাম আমাদের যাবৎ অনুস্থত লক্ষ্যাদর্শের পরিবর্তন ঘটিয়ে স্বাধীনতাকে লক্ষ দর্শরূপে গ্রহণ করতে কিন্ত তা স্থগিত রাখ হয়। একটা বছর অপেক্ষা কর। গেল। আমার প্রশ্ন- পূর্ব লক্ষ্যাদূর্শকে অপরিবত্তিত রেখে আপনার। কি কিছু লাভ করেছেন ? একটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। আমার সংশোধনী যদি গ্রাহা ন! হয়, ভগবানের আশীর্বাদে অদূর ভবিষ্যতে, হয়তো বা আগামী বছরেই, এটি গ্রাস হবে।

“মহাত্ব। গান্ধীর প্রস্তাবে দেশের যুবলমাজের সায় থাকবে না। আমি তাই মহাত্মা! গান্ধী অন্যান্ত নেতার কাছে করজোড়ে নিবেদন করি, দেশের অবস্থাট। বুঝুন, লোকের ভাবগতি উপলব্ধি করুন ; যুবজনচিত্তে এই ভাবগতি উদ্বেলিত ।”

. আমি বসলাম, আমায় ক্ষম! করতে হবে, পট্টি সীতারামায়ার গহিষ্থি, অব দি ইগ্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেন'-এ কিন্তু এর উল্লেখমাত্র নেই। .. হগ্পাং তার যুখমগুল কেমন বিবর্ণ হয়ে গেল। আমি কিঞ্চিং

১৪,

সমস্ত হলাম। তারপরই মুখমণ্ডলে এক ঝলক রক্ত 1" যেন ফি একটা বেদনা সামলে বললেন, খুব বড় বড় ছৃ'খণ্ড বই, যদি শুধু সীতারামায়ার বাক্তিগত অভিমত হত, কোনে অভিযোগ থাকত না; আললে ওট] ওঁর ভায়েরী, ইতিহাস হতে যাবে কার জোরে? ১৯৩০-এর এত বড় ব্যাপারটাই যে শুধু বাদ পড়েছে তা নয়, ১৯২৮-এ জওহরলাল যে বিষয় নির্বাচন কমিটিতে অনুপস্থিত থেকে স্বাধীনতা প্রস্তাব কার্ধত বাতিল গান্ধীজীকে তার আপোস প্রস্তাব উত্থাপনে নিরস্কৃশ স্থবোগ দিয়েছিলেন তারও উল্লেখ নেই। ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের ওপর সব দোষ চাপিয়ে বল হয়েছে, ওটি ওঁদের প্রতি শ্রুতিভঙ্গ। আর, প্রকাশ্ট অধিবেশনে স্ুভাষচন্দ্রের প্রস্তাব নাকি সমর্থন করে- ছিলেন জওহরলাল | 71015 0000101010156 ড793) 1)0৮/০$০]) 1০৫ 12509009010. 00০ 09212. 00107:255 1301০ 2) 21070100901) 725 070৮0 05 ১010195 00178107012 8092 2180 920012060 105 185/21179191]--900 0000 06 00210 0210169 00 টানি ১ম খণ্ডের ৩৩১ পৃষ্ঠায় এটি পাবে।

এক্ষেত্রেও পট্ভি সীতারামায়। স্ুভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাবটির উল্লেখ নিস্রয়োজন মনে ক'রে পাইকারীহারে সব সংশোধনী সম্পর্কেই মন্তব্য করেছেন £ '

1[0)9 81690096159 76301161009 086 1015810 88%17096 99001 1818 6161281 89806]010 0: 09967006156. 7161) 170 ঘ81009৫ 6০ 36100 60. (00089796099 800. 100 0822190 2001088389১ 019. [09820 00 006 1:99180108 [0000 000:00119. 11391 8/6600106 ৪৪ 60 10910980. 6109 70910 79801061002 01 8,00006969 ৪০ ]10009 800 61008 6000969 16 81606961097, -

কিন্ত এই ঢালাও মন্তব্যের সমর্থনে একট। দৃষ্টাস্তও উপস্থিতি

করলেন ন। কংগ্রেসের সরকারী ইতিহাসবিদ তোমায় বলি, সত্য, আমি অবশ্য স্ুভাষচন্দ্রের নিন অনুকূলে ভোট দিতে পারতাম না এবং, ভাগ্য ভালো, বিরোধিতার প্রাবল্যে ভোট গণনার দাবিও হয়নি; এমনিতেই অগ্রাহু হয়ে গেল।

১৪৪

কিন্ত সুভাষচন্দ্র ধখন বলজেন, মহাত্মা গান্ধীর প্রস্তাবে দেশের যুবসমাজের নায় থাকবে নাঃ তখন চারদিকে অনেকক্ষণ ধরে যেহ্্য করতালিধ্বনি হল তা যেন এখনও আমার কানে বাজে ১৯২৯-এ ছাত্র বা যুবসমাজের অন্ততঃ তেরটি সম্মেলন হয়েছিল; তার চারটিতেই সুভাষচন্দ্র ছিলেন সভাপতি, ছু'টিতে ডাঃ আলম; কোনটিতেই জওহরলাল নন, সরোজিনী নাইডু ছাড়া অন্য কোন প্রবীণ নেতাও নন। মনে হত ১৯২৯-এর যুব আন্দোলনে শ্ুভাষান্্ ছিলেন সর্বাগ্রগণয আদর্শ পুত্তলি। কিন্তু কংগ্রেস-মঞ্চে সে প্রভাব বিস্তারিত হতে পারেনি। প্রবীণেরা বা কংগ্রেসের মুখ্য নেতৃর্ন্দ অনেকটা! যেন যুব-আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। হয়তে। ওদের পছন্দও করতেন না। পি. পি. ইয়ুধ কনফারেন্সে, ২৯-এ নবেম্বর সুভাষচন্দ্র নভাপতিরূপে বলেছিলেন £ এদেশে এমন অনেক লোক আছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকে জনজীবনে বিশেষ খ্যাতিমানও বটেন, ধার! আজকের যুব- আন্দোলনকে বিষদৃষ্টিতে দেখেন অথবা স্বীকার করেন যে, এর উদ্দেশ তাৎপর্য তার! বুঝতে পারেন না এমন মানুষও অনেক আছেন ধারা যুবসম্মেলনকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পেছন সারিতে ফেলতে চান তার! যুব-আন্দোলনের মর্মার্থ কিছুই বোঝেন না। যুব-আন্দোলন হচ্ছে আমাদের বর্তমান অবস্থার প্রতি অসস্ভোষের দর্পণন্বরূপ ; বহ্ুকালব্যাগী বন্ধন, নিগীড়ন অত্যাচারের বিরুদ্ধে হচ্ছে যৌবনের বিদ্রোহ। যুব-আন্দোলন আমাদের জীবনের সমান্তরাল ভাবানুলঙ্গ |” অভিযোগ কতখানি সত্য, অথবা যৌবনোচিত অধীরতা এর জন্য কতখানি দায়ী হিসেব কর মুস্কিল, কিন্তু ভারতবর্ষে যুব- আন্দোলন ট্রপিকাল দেশের যৌবনের মতই ক্ষীণায়ু প্রতিপন্ন হয়েছে; কখনে! স্বাতস্ত্র্যে বলিষ্ঠ হয়ে ওঠেনি বা দীর্ঘায়ু পায়নি; ছাত্র- 'আন্দোলনও কোন-না-কোন দলের ব্যাক-বেঞ্চ থেকে স্বতগ্র মর্যাদা! 'জাত করেনি! বিক্ষোভকে তৃূমি আন্দোলন বলে ভুল কোরো না

৯৪২

যেন, সত্য ১৯২৯-এ যুব ছাত্র-আন্দেলনে সত্যিকারের একটা উদ্দেশ্যনিষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে, নিঃসন্দেহে রগ্রদেহে জ্বরের মতো একটা লক্ষণরূপে প্রকটিত হয়েছে হ্যা, 603101609 ০06 0155805- 1800101০036 7016521)0 0:02: 1]21065. কিন্তু প্রবীণ নেতৃত্বের হালকে শ্থলিত-হস্ত করতে পারেনি, নেতৃত্ব করায়ত্তও করতে পারেনি ভারতীয় রাজনীতির নেতৃবৃন্দ পরবর্তীকালে প্রশাসক গোষ্টী চির-প্রবীণ এখানে তাই যৌবনের রক্তদান রক্তমোক্ষণ নয়, অহিংসাই মুখ্য হয়ে উঠেছে, আধুনিক বৃহদায়তন শিল্পের সমস্তা- গীড়িত শ্রমশক্তির সমাবেশ নয়, বিকেন্দ্রীকৃত কুটিরশিল্পের প্রাচীন প্রশাস্তিই কর্মস্চী হয়েছে। স্থভাষচন্দ্র যুব-আন্দোলনের পক্ষে থেকেও তার ভাষ৷ পুরোপুরি উচ্চারণ করতে পারেননি একটা অত্যন্ত মৌলিক পার্থক্য উভয়পক্ষের মধ্যে তাই ব্যবধান বাড়িয়ে গেছে বৈ কখনো তা সঙ্কুচিত করেনি। সে মৌলিক পার্থক্য অহিংসা। স্ভাষচন্দ্রের কেত্রে এটি উহ্য অথব! অনুচ্চারিতঃ কিন্তু গান্ধীজী সে ক্ষেত্রে স্পষ্ট এবং তার উচ্চারণে কোন জড়তা নেই। গান্ধীজী আত্মনির্ভর, তাই খজুতা; স্বভাষচন্দ্র সেখানে অন্তনির্ভর, তাই দ্বিধা। গান্ধীজীর কাছে অহিংস কৌশল নয়, বিশ্বীস, সুভাষ- চন্দ্রের ক্ষেত্রে তা নয়, কিন্তু যা ছিল তা প্রন্ফুট হয়নি; অনিবার্ষ পরিণতিতে তিনি সেই বিপজ্জনক পথেই ক্ষতবিক্ষত পদেই বিচরণ করলেন কিন্তু স্বতন্ত্র আহ্বানে স্পষ্ট হতে পারলেন না, বলতে পারুলেন না) 65 215 17062105 ৮1091210 0৫ 1801-1012191. বরং দেখা বায়, ১৯৩১-এ বাংলাদেশে যখন বিপ্লবী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠেছে তখন সুভাষচন্দ্র আতঙ্কিত নেতৃবৃন্দের স্থরে স্থর মিলিয়ে এর নিন্দ। করছেন বৎসর ওর নভেম্বর কলকাতার এক সভায় সভাপতিরপে তিন প্রদেশের 45৬০1000102 ৫1903618-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন “60 51]5 00100 (0005933 10211212100 60011 105 0:920 2190 0:02:900106,” গান্ধীজী যেমন ইংরেজ শাসনের মৌলিক আইন-কানুন, পিনাল-

ডিও

কোড ক্রিমিনাল প্রসিভিওরের প্রতি আনুগত্য জানিয়েই অহিংসা, অসহযোগিতা আইন অমান্য আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রিত করেছেন, স্ুভাষচন্দ্রও তেমনি গ্রান্ধীজীর নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই তার লক্ষ্যাদর্শে পৌছেতে চেয়েছেন বিমিশ্র এই মানসিকত। যেমন স্থভাষচন্দ্রকে জওহরলালজীর মতো সর্বতোভাবে আত্মনমর্পণে বাধ! দিয়েছে, স্বনির্ভর স্বতন্ত্র স্পষ্ট নেতৃত্বের দায়িত্বও তেমনি, নিতে দেয়নি ; সুভাষচন্দ্রকে একট! চোখ সবদাই রাখতে হয়েছে আঅনতি- ক্রম্য গান্ধী-নেতৃত্বের ওপর নিবদ্ধ |

লাহোর কংগ্রেমেও স্বাধীনতার লক্ষ্য নিয়ে গান্ধী-স্থুভাষে মৌলিক বিরোধ ছিল না; ১৯২৮-এ যে ব্যবধান ছিল তাও এখানে দ্বুচে গ্েছে। স্ুভাষচন্দ্র স্বাধীনতা বা আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে দিয়েছিলেন, তার মাথার ওপর তখন এক রাজদ্রোহ মামলার খড়া ঝুলছিল এবং ১৯৩০-এর স্বাধীনতা দিবন পালনের আগেই তাকে কারারুদ্ধ হতে হয়। ১৯৩০-এর গ্ান্ধীজী-চালিত স্বাধীনতা আন্দেলনে অবতীর্ণ হবার অবকাশ তার হয়নি

৯৯৩০-এনব্স মহাসাগন্সে

কি পটভূমিকায়, কি অপ্রতিরোধ্য শক্তির চাপে কংশ্রেসকে স্বাধীনতার প্রস্তাবটি নিতে হল শুধু এইটুকু পরিস্ফুট করার জন্য তোমাকে এত কথা বলা। গ্ান্ধীজীর যে স্বাধীনত। প্রস্তাবটি গৃহীত হল ১৯৩০-এ (১৯২৯-এর শেষ রাত বারোটার পর ) সেই প্রস্তাবটি পড়ে নিয়ে, এস, আমরা ১৯৩০-এ ঝাপিয়ে পড়ি। তোমায় আমি আগে থাকতেই বলে রাখি, সত্য, যে, ভারতবর্ষে এতবড় গণ- আন্দোলন আর কখনে। হয়নি--১৯৪২-এও নয়। বিরাট এই দেশে উপমহাদেশে, বোম্বে, ঢাকা, স্ুুক্ধুর এমনি ছু'টি একটি জারগায় সাম্প্রদায়িক গুণ্ডামি উপেক্ষা করলে বলতে হয়, আন্দোলন সকল 'ল। মত স্বার্থের সমন্বিত অভিব্যক্তি, এমনকি, তথাকধিত হিংস! এবং অহিংসারও এক সমান্তরাল অভিসার | স্বাধীনতা প্রক্তাব

১৪৪

গ্রহণের আগে ঘা ছিল রুদ্ধধারা) প্রস্তাব গ্রহণ কংগ্রেস-নেতৃত্বে তাই হল ছুকুলপ্লাবী, আরবনাগরতীরে লবণ-সত্যা গ্রহ-লক্ষ্যে মার্চের ডাপ্ডি অভিযান, আর, বঙ্গোপসাগরতীরে অস্ত্রাগার দখল লক্ষ্যে এপ্রিলের বিপ্লবী অভিযান একই লক্ষ্যে প্রধাবিত। দশ বছর পর এই লাহোরেই মুসলিম লীগ পাকিস্থান ঘোষণ! করেছিল, কিন্তু ১৯৩০-এ ভারতের জনমানসে তা ছিল অভাবিত। সেদিন কংগ্রেসের এই স্বাধীনতা প্রস্তাৰই একমাত্র সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছিল £

এ) 002067533 900. 07599 6109 20610 01 6109 ভু ০07%106 00০- [)166699 21) 00101090680 160 609 10817119560 916090 005 08,৮%- 1980918 1001003106 00700959009 01) 6109 ড1091689%]1 1070- 1001009100910 01 ৮108 19৮. 0960109] 918,61108 60 10010170102 98689 800. 20019012698 0109 98079 ০01 09 108105 6০%8108 9109 99661900810 01110101781] 10059170910 10: 98],

“তবে কংগ্রেস দেশে অতঃপর যা ঘটেছে এবং তা মহাত্মা গান্ধী, পণ্তত মতিলাল নেহরু অন্যান্য নেত। ভাইসরয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ফল বিবেচনা করে এই অভিমতে উপনীত হয়েছে যে, বর্তমান অবস্থায় প্রস্তাবিত গোলটেবিল বৈঠকে কংগ্রেস-প্রতিনিধি পাঠিয়ে কিছুই লাভ হবে না। স্ৃতরাত এই কংগ্রেনপ গত বছর কলকাত! অধিবেশনে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তদমুলারে ঘোষণ! করছে ষে, কংগ্রেন সংবিধানের ১নং অনুচ্ছেদে যে “ম্বরাজ' শব্দটি আছে তার অর্থ হবে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং এও ঘোষণা করছে যে, নেহরু কমিটির রিপোর্টটি অকেজো হয়ে গেল। আশা করা যাচ্ছে যে, সকল কংগ্রেসসেবী অত:পর ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের জন্যই একাস্ত- ভাবে আত্মনিয়োগ করবেন। স্বাধীনতা অভিযান সংগঠনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এবং কংগ্রেমের পরিবতিত লক্ষ্যাদর্শের সঙ্গে সামপ্তস্য রক্ষাকল্পে, এই কংগ্রেন কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক আইন- সভাগুলো, সরকারী কমিটিগুলেো সর্বতোভাবে বর্জন করার জন্য সকল কংগ্রেসকর্মী এবং জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণেচ্ছু ব্যক্তিগণের ভবিষ্যত নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বাঁ পরোক্ষভাবে যোগ ন1 দেবার জন্য

১৪৫ জা ধী তো1-_.* »

আবেদন জানাচ্ছে এবং বর্তমানে যে সৰ কংগ্রেস সদস্য আইনসভা! ব! কমিটিতে আছেন তাদের পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দিচ্ছে

আমেমজিক্ান্র স্বাপ্রীনতা মোহ্বলা

১৭৭৬ শ্রীস্টাব্দের ৪ঠ। জুলাই আমেরিক1 12012290010, 0: 11901 76170012০6 প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেটি স্বাধীনতা ঘে।ষণাই, স্বাধীনতা আমাদের লক্ষ্য এইমাত্র ঘোষণা নয়। পাছে কংগ্রেসের ১৯৩০-এর প্রস্তাবকেও লোকে 10901219601) [00616006170 মনে করে এজন্য গান্ধীজী বারবার এর বিশদ ব্যাখ্যায় প্রবৃত্ত হলেন। আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণাও সহসা ব1! বিন বিরোধিতায় হয়নি একটা মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, সেখানে হিংসা-অহিংসা, ভায়োলেন্স, নন-ভায়োলেন্স জাতীর কোন অপাধিব নৈতিক প্রশ্ন ছিল না, মাফিন স্বাধীনতাকামীর]1 সশস্ত্র পথই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন, অথচ স্বাধীনতা ঘোষণার কথায় তখনও সর্বজনীন সায় পাওয়। যাচ্ছিল না! 4১) 09611076 0: ১007211০219 17150015 থেকে একটু পড়ি শোনো

“60১ 098]069 609 2031165:% 10501500206 809. 619 8000106- [0606 012 002001079,0091-17)-010191) 6109 1099 0৫1 9000]1969 ৪8908961010 1000 19102186100 9৩ ৪61]]) 79100610906 6০ 20805 10910097501 000£7939 9100 60 ৪, 19709 109: ০0 01)6 :0001108,0, [09019. 00110 010110101) 9৪ 1006 586 2880 102 ৪001) 088610 9.০6100০.......১..., 21009385699 [09508.080 6118900591569 6095 9:০9 1006 18116108 60910108006 609 0010836:5 800) ৪৪ 1863 83 91)08:% 1716, 6119 1017)8,5 1098161) 6088690 01616] 10, &0 0019918+ 10939 [0:931090 ০৮9 195 ৫9001] ড/18910108600.” (পৃঃ ৪০)

দেখছ, সভা, অবস্থাটার কেমন মিল আমাদের সঙ্গে ১৯২৮- এর অবস্থা এবং ১৯২৯-এর ৩০ কেন ৩১-এ ডিসেম্বরেও আমাদের বন্ধন ছিন্ন করতে লাগছে, প্রশস্তি চলছে রাজপুরুষদের, কিন্তু £

20 00001)000159 08009 1000 17081800820) ০0 80096 23,

৪৬

175, 10008 0990:£০ 155090. & 707:0019019/6100 09018117)6 6109 901078193 60199 11) & 96806 01 7:9196]111010.5

আমরাও ১৯২৯-এর ৩১-এ ডিসেম্বর রাত বারোটা অবধি অপেক্ষ। করেছি, তারপর ১৯৩০ | অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।

1]0)65 1919 11) 101] 09191110209 180 810 পাশা 900. 1779% 01 091) ০0 200 60510001763 608 16001690. 79111800606 800 16108. ২০৮ 60 6889 6709 0109] 96910) 83 (09 19818176 11000000165, আমাদের অবস্থার সঙ্গে অবশ্য অবস্থার তুলন! হয় না, আমাদের নিরস্ত্র (হিন্দুস্থান) সেবাদল ছিল, সশস্ত্র স্থল বা নৌ সেনা- বাহিনী ছিল না, ইংলগ্ডের রাজ। পার্লামেন্টকেও অস্বীকার কর! হয়নি-__অন্বীকার করার একট! প্রবণত। ছিল মাত্র। তবু কংগ্রেস সংগঠনের মধ্যে চরম শপথ নেওয়। অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল।

“557৩ 8৪ 00000000 8,£992090% 81388 609 00061097691 001087939 91000৫10. 689 100 9001) 09010169 6691) 85 17008)0910091)09 16180069756 29909151176 92011016 10860061008 1000 6129 001010199......... ... 6 609 98006 61009১ 6109 10160.020011090009 01 18010%15 11) 6109 (0008:998 1701:98,960. 9৪ 0109 9:6917999. 61061 0017:851)070087)09, 10091969160 90,] 0020109109995 800 0700. 10967106 7011008 আ161) 96101000 193010610109, [10910 01791] 01 1185 10১ 1576, & 19901061070 60 ০06 606 0010150) 1000? 2৪ 9,0017690. 1০ 0215 8, 10019] 090181:86101 1586090.+

আব আহ্মাদেল্স আ্াম্রীনতাল্ নক্ষল্

তারপর স্বাধীনতা ঘোষণা কর হল ১৭৭৬-এর 851 জুলাই-_ হ'মাস পর | স্বভাবতই সে ঘোষণার সঙ্গে আমাদের ঘোষণার প্রকৃতিগত পার্থক্য আছে এবং গান্ধীজী বার বার বলতে লাগলেন, সাবধান, যেন কেউ স্বাধীনতারই ঘোষণা মনে না করে। স্থির হয়েছিল ১৯৩০-এর ২৬-এ জানুয়ারী “্বাধীনতা' দিবস পালন কর! হবে। স্বাধীনতা দিবস পালন আর স্বাধীনতা ঘোষণা পাছে কেউ একাকার করে দেখে এবং সেরকম "আচরণ করে-_এই ভার উৎকণ্ঠা |

১৪৭

এজন্য তিনি দেশবাসীকে স্মরণ রাখতে বলেছিলেন যে; ২৬-এ স্বাধীনতা ঘোষণার দিন, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের অতিরিক্ত পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া আমরা পরিতুষ্ট হব না এই কথাটি ঘোষণার দিন স্মরণ রাখ! দরকার, সেদিন আইন অনান্য শুরু হচ্ছে নী, শুধু সভা- সমিতি হবে পূর্ণ স্বরাজের জন্য সঙ্কল্প নিতে কংগ্রেদের নির্দেশ মেনে চলতে ম্মরণ রাখতে হবে। যেহেতু আমরা অহিংস সত্যপথে ত। লাভ করতে চাই, এজন্য ত। কেবল আত্মশুদ্ধির পথেই আমাদের করতে হবে; তদনুরূপ গঠনাত্মক কাজে নিযুক্ত হওয়াই আমাদের কর্তব্য হবে। স্মরণ রাখতে হবে, এই সব সভা-সমিতিতে কোন বক্ৃত1 হবে ন1 ; সঙ্কল্পবাক্য প্রার্দেশিক ভাষায় আবৃদ্ধি করা হবে আর হাত তুলে অনুমোদন করতে হবে।

এসব নির্দেশ ছিল গান্ধীজীর স্বাক্ষরিত

গান্ধীজী সুভাষচন্দ্রের সংশোধনী প্রস্তাব পধালোচনর দময় থেকেই এই বিষয়টির ওপর ভোর দিয়ে আসছিলেন | মূল প্রস্তাবে তিনি জিতেছেন, কিন্তু ব্যবধান উপেক্ষণীপ্ন নয়; ডাঃ আলমের সংশোধনী বোম! বিক্ষোরণ প্রস্তাবে যেরকম কান ঘেষে উত্তীর্ন হয়েছেন এবং এ. আই. পি. সি.-র প্রতিনিধিসংখ্যা হাসের প্রস্তাবে পরাজয় বরণ করেছিলেন (১১১-১০১) তাতে আশঙ্কার কারণ ছিল। সম্পর্কে পট্রভি মীতারামায়। লিখেছেন £

“6 দাও 1006 ছা16000৮ 30039 71600165 6179৮ 6106 093010610 ০00. 6159 10020) 00678,89 9৪ [95580 11109 795010100. ৪৪ 96006] 00790890 0 096810 ৪906101 01 6109 29198668800. 16 ৪৪ 07 1780৭ 028101185 629৮ 18 90010. 109 083990. 027 &119 08701081 19901061013 818০১ 60910 99 90051098119 01016906101 60 619 1090£00186100 01 109 1098 01 81)019018611£ 6109 90:58 01 606 ড1099:05 60%18108 39661920906 01 609 17801008] 1005910090% 10: 998]. 4 29811501089 01518100 60০00. 101809 00 6109 00986100. 01 80090180108 6135 109:058 60:৮3. 19590. 00. 61118 18809 609 010919009 119 08108 বয8৪ 180) 12119 00. 006 00536100 01 00088070806 6৮৩ 00

১৯8০

006:569 688 1009101165 ৪৪ 0015 48 10 0900: ০0 90700010079, 0107.”

পট্টভি সীতারামায়৷ লেখেননি, কিন্তু অমৃত বাজার পত্রিকার রিপোর্ট মতে। বড়লাট-প্রশক্তিসংক্রান্ত সংশোধনী বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে মাত্র এক (১১৩-১১৪) ভোটে এবং প্রকাশ্ট অধিবেশনে ৬৬৪-৭৬৩, অর্থাৎ ৯৯ ভোটের ব্যবধানে অগ্রাহ্া হয়েছিল। গান্ধীজী তাই স্থুভাষচন্দ্রের সংশোধনীটির সযত্ু জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন £

“সুভাষচন্দ্র সংশোধনীটি বস্তত: কোন সংশোধনী নয়, ওটি একটি পৃথক প্রস্তাব

“আজ চারদিকে যে আবহওয়! বিরাজমান তা আদালত, বি্যালয় বয়কট করার অনুকূল নয়।”

“] 1156 8100. 07059 101: 01৮11 015009016099. ] ৪1৪9: 0৮ 01511 01901)901691009, 08721006 00109619 01 11900:0100) 10৮ 07$21)87501 0/5006089506 610:0021) 10020009১ 9৮010 1019008 800. 1:70109. 10018) 10096 108 0980 001 610100361) 800. 8:01091581% 1)0-5101906 17396700938.”

এই মৌলিক নৈতিক পার্থক্য স্বাধীনতা ুদূরপরাহত হয় হোক, স্বাধীনতা আদে। না আসে ন। আস্মুক, কিন্তু স্বাধীনত। ক্রিমিনাল অমান্যের পথে নয়, বোম, তরোয়াল, বলপ্রয়োগ ছুরির সাহায্যে নয়, এও ক্রিমিনাল, হোক স্বাধীনতার মতো! পবিত্র লক্ষ্য ভারতবর্ষকে অহিংস-পথেই স্বাধীনতা পেতে হবে। অন্য পথে নয় | এখানে লক্ষ্যটা গৌণ) পথটাই, উপায়টাই মুখ্য ; সুতরাং, স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে স্বাধীনতা কামনার কোন মিল নেই। তবু এখানে যখন একট৷ পাণ্ট। সরকারের প্রস্তাৰ উঠে গেছে তখন তারও জবাব তাকে দিতে হল। তিনি বললেন, পু.০ 00০ 80101 60 5০০৮ 01390 00100600101 0 021:21121 05021000176 210109215 10 109.7

«পাণ্টা-সরকারেব ভাবটি আমারও চিত্বস্পর্শ করে। ভারি সুন্দর ভাবটি। আমার বয়ন যদিও ষাট, আমার হৃদয় কিন্ত নবীন | দেহ ছুর্বল হলেও যুবকদের মনকে আমি বেশ বুঝতে পারি। খুব

১৪৯

চেষ্টা করব তাদের সঙ্গে চলবার ; কিন্তু বয়সের জন্য আমাকে কিছু প্রশ্রয়ও দিতে হবে। আমি যদিও বললাম, আমি তোমাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে চাই, অথবা ঘোড়ায় চড়তে চাই, কিন্তু তা আমি পারিনে। তার যোগ্যও আমি নই। এই কারণেই আমি কংগ্রেসের লাগাম নিজে না নিয়ে পণ্ডিত জওহরলালের হাতে দিয়েছি; মে তোমাদেরই একজন, সে তোমাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে পারে। পণ্ডিত জওহরলাল তোমাদের সেনাপতি, সে তোমাদের চালে চলতে পারবে আর কি চাও? আমি ঘোড়ার পিঠে চড়ে তার কদমে চলতে প্রস্তত আছি কিন্তু ঘোড়ায় চড়তে পারব না বাপু। বাম্পের মতো তোমাদের তেজবীর্ধকে সংহত করতেই আমি উপস্থিত হয়েছি; বাম্পকে সংহত করতে পারলে তা ট্রেন টেনে নেয়; সংহত ন। করলে তা গরুর গাড়ির সঙ্গেও চলতে পারে না।”

সত্য, এটি বিশেষ লক্ষ্যণীয়, গান্ধীজী মতিলালজী অপরিমেয় স্নেহাশ্রয়ে রেখে কিভাবে যুবক নেহরুকে তাদের এবং সমগ্র জাতির নেতৃত্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন মতিলালজী এমনিতেই সভাপতি হলেন না, গান্ধীজীর হওয়ার কথা, হলেন না, পিতৃপদে পুত্রকেই তার! যুগ্ম অভিভাবকত্বে অভিষিক্ত করলেন এবং যুব-ভারতকে আর কোন দিকে নয় জওহরলালজীর দিকেই তাকাতে বললেন | গ্রান্ধীজী আর কোন যুবককে নিরাপদ মনে করেননি, স্ভাষকে তো নয়ই

পট্টভি শীতারামায়াও তার ইতিহাস নামধেয় ভায়েরীতে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন সম্পর্কে বলেছেন £ “লাহোর কংগ্রেসের অধিবেশন এঁতিহাসিক হয়ে আছে। অন্যান্য অধিবেশনের মত এরও একজন প্রেসিডেণ্ট প্রয়োজন ছিল। প্রাদেশিক ভোটে গান্ধীজী ১৭ ভোট, বল্লভভাই জে. প্যাটেল ভোট, জওহরলাল ভোট পেয়েছিলেন গ্রান্ধীজী যথারীতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্ত তিনি পদত্যাগ করেন, অতএব সংবিধান অনুসারে ভার পরিবর্তস্থল একজনকে করতেই হয়। তদন্ুসারে ২৮-এ সেপ্টেম্বর লক্ষষৌয়ে

১৫৩

এ. আই. সি. সির এক সভা হয়। গান্ধীজীকে তার অস্বীকৃতি প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়

“56 009 678 18001. ০৫ 10906811176 010. 6109 0801 ০01 6709 0:010£7985 50008971011 01 606 000)

ড৪,118,101))01391 010. 7006 0100089 0 81069159109 109$্০910 (80011 0170 0৪919188009 86690091009 26 1/00000 ভ8৪ 1008 1889 800. 60910081016 01 1019095 10795906 $০$9৭ 10৮ [9781181]9].5

তাই ও'রা ছু'জনে জওহরলালকে হাত ধরে নিয়ে চললেন এবং পাণ্টা-সরকার প্রস্তাবক স্ুুভাষচন্দ্রের উদ্দেশে বললেন :

«আমার কাছে পাণ্টা-সরকারের আইডিয়াটি অপরিণত মনে হয়| যদি তোমরামনে কর, তোমরা যথেষ্ট শক্তিমান, তবে আলাদা কথ! প্রত্যেক গ্রামে একজন করে রাজস্ব অফিপার এবং যে- নামেই ভাক! হোক একজন করে পুলিশ অফিসার আছেন গ্রামের সংখ্যা ৭০০১০০০ | কিন্তু এবিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ আছে অত গ্রামে কংগ্রেস পরিচিত কিনা যার! পাণ্টা-সরকারের জন্য আগ্রহী তাদের সব্প্রথম কর্তব্য হবে গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ প্রতিষ্ঠ ; এর দ্বারাই তাদের যোগ্যত। প্রমাণের চেষ্টা করতে হবে ।”

গাক্ধীজ্ী গু স্ুভ্ভা্ন মূল ইংরেজী প্রস্তাবটির অনুবাদ করতে করতে একটু হাসলেন, কেন বুঝতে পারিনি, তারপর বললেন,যুবকদের ঘোড়ায় চড়ার কথাটি মনে রেখে শোনো- গান্বীজী বললেন £

4১৪ 96805 91690101283 0108091% 73039, [00 109 1৪৪ £986 0:00" 11) 13610001179 ৪৪ ০00 09091910009 00000080018 12 609 1880 %989 00201985.

“সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে বলি। তাকে আমি বাংলাদেশের একজন বড় কর্মী বলে জানি। তিনি আমাদের গত বছরের কংগ্রেসে জেনারেল আফসার কম্যাণ্ডিং ছিলেন তার প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে পাণ্টা-নরকারের ভাবটি চিত্তাকর্ষক হলেও আমি বদি তাকে সম্্থন

১৫১

না করি তবে তার কারণ আমর! এজন্য প্রস্তুত আছি বলে আমি মনে করিনে ।”

গান্ধীজী স্পষ্টতর করে বললেন : “মান্বাজে আমরা স্বাধীনত। আমাদের আদর্শ বলে ঘোষণ। করেছি আজকে আমর] আর এক পা অগ্রমর হচ্ছি; আজ আমর! ঘোষণ। করছি, স্বাধীনত৷ কেবল্গ আমাদের আদর্শ নয়, এটি আমাদের আশু লক্ষ্যও বটে। সুভাষবাবু তোমাদের আরও এক কদম আগে যেতে বলছেন এবং পাশ্টা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। পাল্ট। সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাওর। সামান্য চাওয়! নয়, প্রস্তাব পাশ করাটাও নিতান্ত নধিতূক্তির ব্যাপার নয়। যদি আস্থা থাকে যে, তোমর! স্ুভাষবাবুর কার্ধসূচী রূপায়িত করতে পারবে তাহলে তার প্রস্তাব গ্রহণে দ্বিধা কোরো না এবং আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করো তোমর। যদি মনে করো তোমরা পাণ্ট। সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, যদি তোমরা মনে করো; আজ থেকেই আমরা আমাদের স্বরাজ (০4 ০1) 7২91) প্রতিষ্ঠা করতে পারি, জাতীয় আদালত মারফত বিরোধের নিষ্পত্তি করতে পারি এবং সর্ধত্র জাতীয় বিদ্যালয় পরিচালিত করতে পারি, তবে ন্ুভাষবাবুর প্রস্তাব গ্রহণ করো |”

উপসংহারে বললেন, “তবে আমার বক্তব্য, ওয়াকিং কমিটি যে প্রস্তাব তোমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন তা তাদের পক্ষে দীর্ঘতম পদক্ষেপ (620095 01) 1010656 562 101:%210 12101) 1 15 7035101৩ 0০ 08159)” এবং এই বলে সবশেষে বাইকে সাবধান করে দিলেন, আর এক পা নিয়েছ কি, পতন !

40006 ৪0০]. 6739 60015 ৪1608,6100) 0106 8691) 09076 800 ] 800 00205810080 5০0. 11] 181] 1060 7016181].

একটু থেমে বললেন, গান্ধীজী দেশকে আপাতত গর্তে পড় থেকে বাচালেন। ওর প্রস্তাবটিই সর্বোপরি মহিমান্বিত হয়ে উঠল, পেলেন জওহরলালজীকে এবং তার সঙ্গে সম্ভবত বিরাট এক যুব- সমাজকেও। অস্বাভাবিক হয়নি, অসঙ্গতও হয়নি, যখন দেখলাম,

শর্থী

নতুন ওয়াকিং কমিটিতে সুভাষচন্দ্র নেই, স্থভাষের সহচরও কেউ নেই। নিয়ে খুবই তুলকালাম হল, বাক্‌-বিতণ্ডা হল, কিন্ত গান্ধীজীর সিদ্ধান্ত জওহরলালজীর হাতে অবিচল রইল।

স্থভাষচন্দ্র গান্ধীজীর স্বাধীনত। প্রস্তাব বনাম তার সংশোধনী সম্পর্কে ফ্রী প্রেসের কাছে ১লা জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন £ “কলকাতা কংগ্রেসে আমার সংশোধনী অগ্রাহা হওয়াতে যেমন আমি দুঃখিত হইনি, এবারেও আমার সংশোধনী গৃহীত ন। হওয়ায় আমি দুঃখিত হইনি আমার সংশোধনীর তাৎপর্য বোঝবার জন্য দেশ আরও এক বছর সময় পেল এবং আমার মনে লেশমাত্র সংশয় নেই যে, আমার প্রস্তাব অথবা অনুরূপ কোনে প্রস্তাব আগামী কংগ্রেসে গৃহীত হবে। আমার একমাত্র ছুঃখ, ইতিমধ্যে অনেক মূল্যবান সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। কিন্তু উপায় নেই। রাজনৈতিক শিক্ষা কথনো কখনে। মন্দগতি হয়, বিশেষ যেখানে কার্যত সকল মুখ্য নেতারই টানট। বিপরীত দিকে ।”

স্থতরাং তিনি উপসংহার টেনে বললেন, স্ভাষ-পথের বিপরীত- গামীর! ঘনিষ্ঠতর হবার অত্যন্ত স্বাভাবিক উৎকণ্ঠায় ষে ওয়ার্কিং কমিটি গড়লেন তার মধ্যে থাকলেন গান্ধীজী, মতিলালজী, জওহরলালজী, শ্রীপ্রকাশ, ভাঃ মামুদ; বযুনালাল বাজাজ, শিবপ্রসাদ খণ্ত, শারূল পিং আবুল কালাম আজাদ, বল্লভভাই প্যাটেল, রাজাগোপালাচারী, ডাঃ সত্যপাল, পট্টভি সীতারামায়া, জয়রাম দাস দৌলতরাম এবং আমাদের জে. এম. সেনগুণ্ু।

বাংলাদেশের জে. এম. সেনগুপ্ত নিঃসন্দেহে গান্ধীজীর আস্থা- ভাজন ছিলেন, আমিও ছিলাম সেনগুপ্তের পক্ষে, স্থৃতরাং, এই মনোনয়ন সঙ্গত মনে করেছি। কিন্তু অতি সম্প্রতি প্রকাশিত (ভাদ্র ১৩৭৫) «মহানায়ক মেতাজী সুভাষচন্দ্র” বইয়ের লেখক শিশির দাশ ভার দ্বিতীর পর্বের ৪৩ পৃষ্ঠায় যা লিখেছেন তা তোমায় হুবহু উদ্ধৃত করে শোনাই। তিনি লিখেছেন £

*“১৯২৯-এর লাহোর কংগ্রেসের পূর্বে কাহারো সঙ্গে পরামর্শ

না করেই গান্ধীজী জুলাই মাসে কংগ্রেস ওয়াঞ্কিং কমিটির মিটিংয়ে, সমস্ত আইন সভার কংগ্রেসী সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে ৰলে প্রস্তাব পাশ করালেন। মতিলাল নেহরু গান্ধীর সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও, সুভাষচন্দ্র উহার প্রবল বিরোধিতা করলেন। কিছুদিন পরে এলাহাবাদে এ. আই. পি. সি'র বৈঠক হল। সুভাষচন্দ্র এবং দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন দু'জনই তখন ওয়াফ্কিং কমিটির সদস্ত এবং দু'জনেই তারা আইন সভা! থেকে কংগ্রেসী সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীত্র প্রতিবাদ করলেন ।.."**"***এলাহাবাদ এ. আই. সি. সি.'র অধিবেশনের পরেই দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন গান্ধীজীর সমর্থন করতে শুরু করেন এবং তখনই মুভাষচন্দ্রের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে- বাংলায় রাজনীতিক্ষেত্রে সুভাষ-সেনগু বিরোধের ইতিহাসের স্ুত্রপাত এখানেই, এই মতভেদই হল বিরোধের মূল কারণ।”

কিন্তু, সত্য, এভাবে ইতিহাস লেখা আমি সঙ্গত মনে করিনে। স্ভাষ-সেনগুপ্তের বিরোধ বাংলার রাজনীতিক্ষেত্রে যদি মালিন্ভের স্বত্রপাত করে থাকে তবে তা নিশ্চয়ই আকন্মিক বা বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশে কি কি বিপরীত শক্তি এই ছু'জনকে আশ্রয় করে মন্থিত হয়েছে এবং কিভাবে ক্রমশঃ বাংলার গৌণ নগণ্য নেতৃত্ব ভারতীয় নেতৃত্ব থেকে মুছে গেছে তথ্যের পর তথ্য সমাবেশ করে তা দেখানো ইতিহাস-লেখকের কর্তব্যঃ নইলে একজনের প্রতি স্ববিচার করতে গিয়ে আর একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অবিচার হয়ে পড়ে। লেখক একই সঙ্গে বলছেন, স্ুভাষ-সেনগুপ্ত দু'জনই এলাহাবাদ এ. আই. সি. সি.তে পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রস্তাবে এক ছিলেন, আবার এলাহাবাদ এ. আই. পি. সি.র পরেই সেনগুগ্ত “গান্ধীজীর সমর্থন শুরু করেন”, এইভাবে উভয়ের বিচ্ছেদ ঘটে | এটা! কারও মত হতে পারে) তথ্য কোথায়? জে. এম. সেনগুপ্ত গান্ধীজীর আস্থাভাজন হয়েছিলেন সত্য এবং স্থভাষচন্দ্র ভার আস্থা হারিয়েছিলেন এও সতা। কিন্ত ইতিহাস লেখকের কাজ হবে,তথ্য দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা, কর!

টি?

গান্ধীজী স্বয়ং এই মনোনক্নন, গ্রহ্থণ-বর্জলের . একটা দিয়েছিলেন। সেষযুক্তি নিঃসন্দেহে সকল পক্ষের যমঃগৃত হয়নি, বিরোধ যেখানে মৌলিক সেখানে ভা প্রত্যাশিতও ময় তিনি বলেছিলেন £

“71065 1990 00150. 07610 0650 00 21100150610 216106156 2130 62006 2510021% ৮০001)0061) 25 10551016) 00 025 1799 1706 2066]5 910066060. তারা চেষ্টা করেছেন প্রবীণদের বাদ দিয়ে যথাসম্ভব তরুণদের নেওয়। | কিন্তু এতে তার! নর্বতোভাবে সফল হননি ।৮ একটা ব্যাপার লক্ষ্য করবার | ১৯২৮-এ বিষয় নির্বাচনী সমিতিতে যখন জওহরলালজী অনুপস্থিত থাকলেন ওর স্বাধীনতা-সংক্রান্ত সংশোধনীটি তুললেন না; পক্ষান্তরে গান্ধীজী তার প্রস্তাবটি তোল।র নিরঙ্কুশ অবকাশ পেলেন; তখন গান্ধীজীই জওহরলালের অনুপস্থিতির কৈফিয়ৎ উপস্থিত করলেন; এক্ষেত্রেও প্রেসিডেপ্ট জওহরলাল নেহরুর যে-কৈফিং দেবার কথা (আদৌ যদি কৈকিয়ং দিতেই হয়)ত| দিলেন গান্ধীজী স্বয়ং। কেউ তখন প্রশ্ন করলেন না, জওহরের বক্তব্য বারে বারে তাকেই বলতে হয় কেন? স্তুতরাং আজ প্রশ্ন অবাস্তর | তাই, সেদিন তিনি জওহরের হয়েই বললেন; তার৷ চেস্টা করেছেন প্রবীণদের বাদ দিয়ে ঘতট] সম্ভব নবীনদের নিতে, কিন্তু বিষয়ে তার! সর্বতোভাবে সফলকাম হননি এই নির্বাচন ৫) একটা টেকনিকাল ব্যাপার হলেও) 00)ড60010 1790 65031195160 & 02131126 55560125002 036৮ ০0010 10 10000996 21)501 0 63০. 10:251061) প্রথাটা ধ্াড়িয়েছে মন্ত্রিসভার মতো। প্রেলিডেণ্টের মনংপুত নয় এমন কাউকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। শ্ীযুক্ত। সরোজিনী নাইডু ডাঃ আন্দারী নিজেরাই অব্যাহতি চেয়েছেন মিঃ সুভাষ বোস এবং মিঃ শ্রীনিবাস আয়েঙগার পদত্যাগ- পত্র পাঠিয়েছেন এবং মানসিকতার ব! মেজাজের ) এই অমিল (বা অসামঞ্রন্থ)-হেতু তাদের পদত্যাগ প্রভ্যাহারে অনুরোধ জানাতে

১৫৫

দ্বিধা বোধ করেছেন। বস্ততঃ স্বাধীনতালাভের জন্য এক্যবন্ধ ক্রিয়া দরকার |”.

তবু সত্যমৃত্ি প্রস্তাব করলেন, প্রীনিবাস আয়েঙ্গার। সুভাষচন্দ্র বন্ধ ডাঃ আলমের নাম কমিটির অন্তরূক্ত কর। হোক। “তারা মহাত্মা গান্ধীর উল্লেখ্য সহচরই শুধু ছিলেন না, সংখ্যালঘুপক্ষের মতামতও কমিটিতে প্রতিফলিত হওয়া উচিত |”

গান্ধীজী উত্তরে বললেন, “তারা চান ওয়াকিং কমিটি একমনা হোক, কেবল তবেই তাদের পক্ষে এই চরম পথান্ুদরণ করা সম্ভব হবে।?

একজন প্রশ্ন তুললেন £ ওয়াকিং কমিটিতে মংখ্যালঘুদের মতামত প্রতিফলিত হবে না কি ব্যতিক্রম নয় !

গান্ধীজীঃ আমি অত্যন্ত বেদনা বোধ করব যদি সংখ্যালঘুপক্ষ মনে করেন ঘে, যেহেতু ওয়কিং কমিটিতে তাদের কেউ রইলেন না এজন্য তাদের সহায়তা দরকার নেই। এই ধারণ! নিয়ে যদি আমরা নতুন কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হই তবে আমাদের আশ] নেই।

আবছুর রহিম? ওয়াকিং কমিটি কি একটা সংক্ষিপ্তাকার এ. আই. দি. দি. নয়? আমি কোন ওয়াকিং কমিটির কথা ভাবতেই পারিনে যাতে স্ুভাষবাবু নেই।

কথায়, আমার মনে আছে সত্য, কেউ কেউ “হিয়ার) “হিয়ার? করে উঠেছিলেন

তখন ভাঃ আলম বললেন, এই প্রোগ্রাম ব্যর্থ হতে বাধ্য; সুতরাং, আমরা সে বদনামের ভাগী হতে যাই কেন? সত্যমৃতি মশ।ই, নামের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিন।

অবশ্য নাম প্রত্যাহার করা না-করার কোন অর্থ ছিল না, কেননা ওরা ওদের না নেওয়া স্থিরই করে ফেলেছিলেন। একধর্মী বা সমমতাবলম্বী, হোমোজিনিয়াল ক্যাবিনেটের বা ওয়াফিং কমিটির ধারণা এই থেকেই দৃঢমূল হয়ে গেল। এতক্ষণে জওহরলালজা সাফ বলে দিলেন। “তিনি এবং মহাত্মা গান্ধী সঘত্বে এমনভাবে

38৩

নামগুলো চয়ন করেছেন যেন ক্যাবিনেটের মধ্যে কোনো! দৃষ্টিভঙ্গির অমিল না থাকে ।” সুতরাং কেবল গান্ধীজীর পছন্দ অপছন্দের কথ! নয়, গান্ধীজীর দ্বার] প্রভাবিত হয়েও বল! যায়; না-বললেও ক্ষতি নেই। এই পছন্দ অপছন্দ জওহরলালের নিজেরও তিনিই অথবা তিনিও সুভাষচন্দ্র প্রমুখকে তার “ক্যা বিনেটে” রাখা পছন্দ করছিলেন না। তাই ও'রা বঞ্জিত হলেন। হচ্ছে ও'র ১লা জানুয়ারির কথা; ২রা তারিখেও বিতর্কের উত্তরে বলেছিলেন £ “৮ 19 1106 001789৮ 07086 6009 1790798 10:01)0590. 195 18810960089 0813012110৮ 6009 09001992910) 01 129 ০0:7170 00000016698 191)58391769] 6123 90991510101 6109 1936 ড/০71006 00190516669, [6 1136 23 0:6108790. 17 109 10 90090169100 আঃ 8181186009 09/30101 200 99597%] 001397 20600091501 009 ০10.

ভ্ড01106 00001016698 100 ০৮6 0০৭. 90008, 60 00009 69 11357 8,331368)009.+8

কুহগ্রেলেব্প পাটিিলিভ্র

তোমায় বলি, সত, ১৯৩০ নিশ্চয়ই উদ্বেলিত জনবিক্ষোভের জন্য অনন্যসাধারণ, কিন্তু তার চাইতেও বড় যে-কথাটি ভায়লেক্টিকের দাবিদার অত্যুগ্র বামপন্থীদেরও দৃষ্টি উপলব্ধি এড়িয়ে গেছে সেটি এই ষে, এই ১৯৩০-এই সর্বপ্রথম কংগ্রেসের পার্টিচরিত্র পরিস্ফুট নিঃদংশয় হয়ে ওঠে ; ১৯২৮-২৯-এ যার আভাষ মাত্র, অক্ফুট উম্মেষ, ১৯৩০-এ ত! স্বাতস্ত্রো পরিস্ফুট | এই কথাটি ধরতে না পারাতেই ভারতীয় রাজনীতিতে যত জটিলতার স্ষ্টি হয়েছে এবং তথাকথিত বামপন্থীরা! একের পর আর এই ভূলই করে এসেছেন যে, এও বুঝি একই মঞ্চে সুরা দক্ষযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি। আসলে যে বিশেষ একটি স্থার্থের মুখপাত্ররূপে সংহত হতে চলেছে, দীর্ঘ ভুল পরিক্রমার আগে তা অনেকের কাছেই ধরা পড়েনি আমার কাছে তে নয়ই, ধারা পরে কোন-না-কোন ছলে বেরিয়ে গেছেন বা বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদের কাছেও নয় আমি বরাবর এটিকে একটি সাধারণ সংগ্রাম"

১৫৭

মঞ্চ ধলে জীকড়ে থেকেছি এবং শৃঙ্খলার নামে প্রত্যাদেশ মেনে চলেছি।

১৯৩০-এও ধার! কংগ্রেসের মধ্যে অপোজিসানের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেন ভিমক্রাটিক পার্টি গড়লেন তাদেরও এই বিশ্বাস ছিল যে, তারা এন্টিধিনিস হিসেবে প্রতীয়মান ধিসিসকেই গিলে খাবেন। আসলে জিনিসটা ছিল একেবারেই উল্টো প্রতীয়মান থিদিসটিই ছিল এট্টিথিনিন, বিশেষ একটি স্থার্থের ভ্রমাধিপত্য, মেই বিশেষ ত্বার্থই ১৯২১-এর অহিংস অসহযোগের ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা, চৌরি- চৌরার হিমালয়ান ব্রাগ্ডারের খোসা ভেঙ্গে উদগত হয়েছিল। ১৯২১-এর অনহযোগ আন্দোলন স্টক-এক্সচেঞ্জে ফাট্কাবাজির অবকাশ দেয়নি। পরবর্তীকালে বেনিয়া দৃষ্টি পড়েছে স্বদেশী আন্দোলনে ১৯২৮ থেকেই ৪081 18106191712 ভ্রণাবস্থা পেয়েছিল। জওহরলালও সম্ভবত ধরতে পারেননি, তাই তিনি কোন দেশ ব্বাধীনত। ন1 চেয়ে সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস চায় কি করে প্রথমটা ভেবে পাননি এবং বলেছিলেন। বৃহত্তর সংগ্রামটা হচ্ছে সাস্রাজ্যভোগী আর সাআজ্য-পীড়িতদের সংগ্রাম ; সেখানে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস সাআজ্যবাদী শোষণেরই শরিক হয়ে পড়ে। কিন্তু একথা তার কতখানি হুরগগত ছিল এবং কতখানি মস্তিক্ষের শ্রভলিপি মাত্র, মহসা বোঝা যায়নি কিন্ত ১৯২৮-২৯-এ ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস এবং ১৯২৯-৩০-এ ক্যাবিনেট মিস্টেম মেনে নিয়ে যখন বললেন, ওটি তারই মনোনয়ন, তখন ওর প্রবণতাট। পরিষ্কার হয়ে গেছল |

বরং ভ্রান্ত দৃষ্টির পরিচয় দিলেন তারা ধার! ক্যাবিনেট সিস্টেমের চিত্রটি দেখেও কোন একদিন বদল! নেবার আশায় ওয়াক আউট করলেন, নতুন এক সংস্থা কংগ্রেস ডিমক্রাটিক পার্টি গড়লেন ; অথচ ওর! যে কংগ্রেমেরই অবিচ্ছ্্য অঙ্গ একথাটি প্রকাশ প্রচারের ন্যও উৎক্ঠ ব্যক্ত করতে লাগলেন এবং শুর হল পলেমিকৃস . ওয়াক আউট 1 আমি প্রশ্ন না করে পারলাম না। ৮৫

বললেন, ১ল! জাছুয়ারি এ. আই. সি. সি.-র অধিবেশনে হল এই ওয়াক্‌ আউট, ক্যাবিনেট প্রায় নতুন ওয়াক্কিং কমিটি গঠিত হওয়ায়। তাদের সংখ্যা পঞ্চাশের মতো! হবে। যাঁরা বেরোলেন তাদের মধ্যে ছিলেন শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার, বাবু গুরদিৎ সিং সত্যমৃতি, মুখুরঙ্গ মুদালিয়ার, গোবিন্ানন্দ, সুত্রন্ষন্তা আয়ারঃ পেশোয়ারের ভাঃ ঘোষ, হিজামুদ্দিন, এস. সি. মিত্র, জে. বি. সেন? আবছুন বারি, শ্রীনিবাসাচারি, সুভাষচন্দ্র বন্থু। ডাঃ আলম, কে. ভাস্তাম। আনামালি পিল্লাই, বেহ্ছটরঙ্গম নাইড়ু, পেরুমল স্বামী রেড্ডিয়ার, কুন্দুম্বামী চেটি, এস. বেহ্কটর|ম, কে. এস. গোপাল কৃষ্ণ, পউভি রমণ, ভক্তবৎসলু মুদালিয়ার, আফতাবুদ্দিন চৌধুরী, বি. কে. দত্ত প্রমুশ আরও কয়েকজন এ. আই. সি. সি. সদস্। প্রদেশগত হিসেবে, বাংলাদেশের ২৪, বিহারের ২, পাগ্তাবের ৪, উঃ পঃ সীঃ প্রঃ আজমীর ১, কেরাল। ১১ অন্ধ্র ১১ তামিল নাড়ু ১২ মাদ্রাজ ২।

এঁর। বেরিয়ে এসে এক সভ। করলেন এবং শ্রীনিবাস আয়েকঙ্গারকে চেয়ারম্যান; সুভাষচন্দ্র ডাঃ আলমকে যুগ্ম সম্পাদক

করে কংগ্রেস ডিমক্রাটিক পার্টি নামে এক নতুন দল গড়লেন

“[5990190. 61796 608 4, 1. 0.0, 1167010678 8,89617010197. 11819 (0-016% (10810018১ 08. 1) 90 1000 607010991%98 $1060 [9৮৮5 11011 659 0008:998 &০ 109 08%1190 6119 0010£1985 10010700180 08:65 800 8691)3 109 68%1:01) 60 £০6 6109 ৪1605960799 01 0৮09: 14910091901 6109 4. 1. 0.0. 100 1916 081190. 01001 (0 07019089 618 10781017165 108৮5 20 6106 0010£9958 1007 10. 0091,”

কয়েকজনকে নিয়ে একটি গঠনতন্ত্র কমিটিও নিয়োগ করা হল এবং পাছে কেউ একে একেবারে বিচ্ছেদ মনে করেন এজন্য শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার এর সঙ্গে ইপ্ডিপেণ্েন্ট লেবার পার্টির তুলন। করে বলেন-_-0601710215 & 0305 (৮517 002 001051555. সভাষবাবু বললেন, মূলনীতির দিক থেকে তারা কংশ্রেঘকে মেনে চলবেন কিন্তু কর্মস্চীর বেলায় তারা কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠদের তাদের স্বমতে আনবার স্বাধীনত। বজায় রেখে যাবেন।

১৫ ৯৮

পট্টতি তার ডায়েরীর ১ম খণ্ডের ৩৬০ পৃষ্ঠায় কি লিখেছেন, শুনবে?

“নু 805 0888, 6109 80009999 01 39001)8 8007 08181781181 6109 11810015 98951010; চ1%3 01009019019১ 110 91019 01 8108 18০06 6086 %100036 1001709019691% 8168 609 90100108801) ০01 609 [01909৮5 8993100) 17 911015889 1591009% 800 81 9010)084 00081307:9, 73099 80100010060. 6106 10210861010 01 ৮109 075903- ৪9%1010, 810) 8৪ 0020£993 10900001810 729:৮5১ আআ) আ৪3 87210100990 105 (80511010700 ৪6 6108 61109 60175010869 &7%6 609 86200]06 60 101908,68 ঠ109 161৮ 10611901006 29811 900996990 800 61196 8 90116 94, 81697 9119 10010781000, 010959 716004 0991790. 61096 6139 ভ%010:206 00100086699 8100010 09 1070060 10% [0109988 ০01 919061010) 800 9৪ 16 8.3 091989690. 61095 ৪1890 006 81006 161) 09910 90610 10017) [7191008. 110 1/9,0109) 6176 ড০11006 00101016669 10৮ 6119 10826 5951 স৪৪ (010080 1১0 [07908108 €জ্০ 10091091708106 11863) 009 10৮ ০৮, 8০96118] 10 001181116861010 10610 (08001018700 009 05 9960 01000108919] 18819], 71099 আ৪৪ 001 0109 08709 10101) 010 100$ 901150106 110 6106 60 11969. 771086 0109181009 5৪৪ 80108690১ 8100 81)9 উড 01001106 00201016699 ছা9৪ 1010080. 730৮ 610639 116003 ঘ7%10600. 91906100. [01086 7৪5৪ 60100, 00৮১ 161) 6109 19016 108৮ 610919 %৪ 9 0:9208,010 9১0৮. [0 1855 609 690 00810016999 609 10919 দয8৪ 1)708,00886 61186 & 106 108৮5 ৪৪ 10079৭.৮

কিন্ত আমার মতে, সত্য, এটি একটি মৌলিক ভ্রান্তি। পার্থক্য

তো! প্রোগ্রামেই। পথাস্তরেই তো! মতান্তর একই ভগবানের নামে শপথ করেই তো পধ-পন্থ। নিয়ে এত হানাহানি এত মারামারি | এই পধাস্তরেই তো৷ মেনশেভিক বলশেভিক এবং রক্তারক্তি

৩৩৬০

্যন্তি* বনাম ব্যত্তি

তবে কিসের পার্থক্য ? স্থভাষচন্দ্র আরও এক বিবৃতিতে বললেন £

“[ু5088 ০01 08 জন0০১ 6% 6 20180% ০7 691%5$01) অ৪0০ 0০ 816৪0. &00 01806 17 6১৪ 00108 00000016662, দও79 0০৮ ৪৫

]] 8038008 60109 10 6109 ড107:0108 00030056665 200 11 আও 7090. 19910. 908931690]. দয 900199 105% 000659] ££:69009106 10959 8,£7990. 6০ 9691) &9899১ 0০০ 108৮ 20100560 29 93 ০11 88 & ৮৪ 18189 ৪9০06100০01 609 100098 69:9০ 608 0911022969 €/669702706 00. 609 0৮৮৮ ০1 6159 91093 6০ ৪1906 09 00৮...

“এড়িয়ে বাবার নীতি অনুসরণ করে ওর আমাদের নিলেন না; আমর] কিন্তু ওয়াকিং কমিটিতে ঢোকবার জন্য অস্থির হয়ে পড়িনি ; বরং আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে আমরাই সরে দাড়াতাম। আমরা বিরক্ত হয়েছি এবং আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেকে এই জন্য বিরক্ত হয়েছেন যে, শ্রেফ অভিসন্ধি করে আমাদের অন্তরালে নিক্ষেপ করার চেষ্ট। হয়েছে ।”

বলতে গেলে, বুঝলে সত্, সুভাষচন্দ্রের অভিযোগ অবান্তর ; কেননা, গুরা কেউ তো। একথা অস্বীকার করেননি যে, ওদের ইচ্ছে করেই বাদ দেওয়া হল। ক্যাবিনেট মনোনয়নটা ৫6111১2:26-ই | অথচ এই উপ্টো৷ বোঝাবুঝির জন্াই সুভাষচন্দ্র ভবিষ্যতে আরও একবার মারাত্মক ভূল করেছিলেন ১৯৩৮-এ ; সুভাষচন্দ্র নিজে গান্কীজীর অমনোনীত হয়েও যখন সারা ভারতের ইচ্ছা ক্রমে, মনোনীত মাত্র নয়, নির্বাচিত হলেন, তখনও তিনি অবিমিশ্র ক্যাবিনেট ব্রীতি মানলেন না, বারংবার কম্পোজিট ব1 বিমিশ্র ক্যাবিনেটের ওপর জোর দিতে দিতে প্রেপিডেণ্টের পদ ছাড়লেন, বা ছাড়তে বাধ্য হলেন এবং তাতে ওর সাহসের অভাবই স্চিত হল; কেননা অবিমিশ্র ক্যাবিনেউপন্থীদের পক্ষে যিনি প্রেসিডেণ্ট হলেন-_ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ-ব্যক্তি-তুলনায় তিনি তার চাইতে কিছু কম ছিলেন না সারা ভারতবর্ষ ধাকে নির্বাচন করল তিনি সার! ভারতবর্ষকে নির্ভর করতে পারলেন না। মৌলিক এক ভুলের জন্য ।. সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের পার্টি-চরিত্রকে একেবারেই ধরতে পারেননি এবং এই কারণেই তিনি বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করেছেন £

“পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু আমি নেতৃবৃন্দের দিল্লী ইস্তাহারের প্রশ্থে ওয়াফিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম; দেশের বৃহত্বর

১৬১

স্বাধীনতা---১১

স্বার্থে নেতৃবৃন্দ আমাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ

জানিয়েছিলেন ।” 16৮ ৪৪ ৪0110715106 60 19810) 0386 ৪0 ৪0০00. 8168 009 18697 1176978968 01 61709 ০00067% 092080060. 6179 6201081010 ০17. [15010687820 10599111010) 6109 01108 00200016698 8100 61786 00 1১798109106 1793 100 0008 1] 001000000 1৮1) 6109 ৪1211076975 ০0 10010117100 96860 60810 অঃ) 1018 91৪৮" জ1)1109 09011065098 10 609 [17061)91001906 [68,006.7

কিন্তু তো বাঙ্গ বা কটাক্ষের ব্যাপার নয়, সতা, হচ্ছে বাস্তব অবস্থা__ফ্যাক্ট। ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ অবধি খুব স্প্ট করেই কি প্রতিপন্ন হয়নি যে, গান্ধীজীর অবিসন্বাদী মাহাত্ম্য নেতৃত্ব থেকে সুভাষচন্দ্র ঘতথানি দূর দূরাত্তরে নিক্ষিপ্ত হয়ে চলেছেন, জওহরলাল ঠিক ততখানি নিকট থেকে নিকটতর হচ্ছেন ? সুতরাং এ্রেতে বিস্ময়ের কি আছে যে, এত শিগগির দেশের বৃহত্তর স্বাথেই স্থভাষচন্দ্র আয়েঙ্গার প্রমুখের৷ বাদ পড়লেন এবং একদিনকার সহচর বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসপন্থীদের দলে নৃনের পুতুলের সমুদ্র মাপার মতে লীন হয়ে গেলেন? বিস্ময় এইখানে যে, সভা ষচন্দ্র গান্ধীজীর কাছে কেন পরিহার্য হয়ে উঠলেন তিনি তা৷ স্ববুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে পরিমাপ করতে পারলেন না। বস্তুতঃ সুভাষচন্দ্র ঘদি এখানেই মোহমুক্ত হতে পারতেন তবে অনেক ভবিষ্তং জটিলত! থেকে ভারতীয় রাজনীতি অব্যাহতি পেত

সুভাষচন্দ্র আরও এই যে অভিযোগ করেছিলেন তারও মূল্য একটু প্রচারের চমকপ্রদ বৃদ্ধদের অতিরিক্ত কিছু নয়। তিনি বলেছিলেন £

[059 8691) 08060 09 19178 0009। 01800001) 80 000৮106৪119 01 600 12391021093 11) 10199 800. 70198168108 8061010 ॥0 81706611076 006 8209001791068 60 6009 08177693 10:01)0890 929 86817256 ৪751019 24 01 6009 00136160610,”

আইন, কানুন, নিয়ম-রীতি এসব ছর্বলপক্ষের যুক্তি মাত্র, দলবদ্ধ হতে পারলে কোন কিছুরই কোন মূল্য নেই? সঃগঠনই বল, রাষ্ট্রই

৯৬২

বল, সঙ্ঘবন্ধতারই আর এক নাম যুক্তি, স্াক়, নীতি, নিয়ম, আইন আর, তা ছাড়া, যে-কারণে সুভাষচন্দ্র প্রমুখের “বিদ্রোহ? কংগ্রেস ডিমক্রাটিক পার্টি' গঠন ব্যর্থ হয়েছে) তার পয়ল! নম্বর কারণ, সভাষ- চন্দ্রের মাথার ওপর এক রাজদ্রোহের মামলা ঝুলছিল ; তাতেই তিনি সক্ক্রিয় রাজনীতির কুরুক্ষেত্র থেকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের আগেই দ্বিতীয় কারণ) এই স্বাধীনত। দিবস পালন সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র প্রমুখের দ্বিমত বা বিরোধিতা ছিল না। তৃতীয় কারণ, স্থভাষচন্দ্র কারাস্তরিত থাকতে গান্ধীজীর নেতৃতে যে লবণ আইন অমান্ঠ সত্যাগ্রহ শুরু হল, তাতেও স্ুভাষ-আয়েঙ্গার অন্ুগামীদের পূর্ণ সমর্থন ছিল স্ুতর1ং এখানে অধিবেশনের আনু- ঠানিক বিদ্রোহ অত্যন্ত স্বল্লায়ু নিয়ে নিঃশেষ হয়ে গেল। আপাত- বিরোধ সর্বতোভাবে আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে গেল।

পক্ষান্তরে" কংগ্রেস-নেতৃত্ব স্বাধীনতা দিবস পালন, আইনসভা বর্জন পরিশেষে আইন অমান্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিঃসংশয়ে জনচিন্তে দৃঢ়মূল হল। কেননা, এই করেই সুভাষ-আয়েঙ্গার-বিরহিত নেতৃত্ব বিদ্রোহী বা বিরোধীদের পালে যতটুকু হাওয়া ছিল তা নিঃশেষে নিয়ে নিলেন। আর ব্যক্তিগতভাবে, সুভাষচন্দ্র থেকে সর্বতোভাবে পৃথক জওহরলালকে গান্ধীজী যে প্রমাণপত্র দিলেন তা পৃথিবীর যে কোন দেশের রাজনীতিতে অতুলনীয়

গাহ্ীজ্গী জগুহক্্ ১৯৩০-এর ৯ই জানুয়ারির “ইয়ং ইগ্ডয়।” সংখ্যায় ১৯২৯।৩০-এর কংগ্রেপ অধিবেশনের পর্যালোচনা করতে গিয়ে গান্ধীজী ঘা! লিখলেন ত1 অবিস্মরণীয় ; তার সুন্দর ইংরেজি বয়ানেই পড়ি :

“80016 0৪৮19118216] [100 00019 675812 10561860 002 0170109 01 6109 090019, 17018 80019881091 800. 60 6109 1)01726) ৪৪ 00107 93:655006 11) 90190977610 700৮ 1000067%69 17) 63101893101. 16 0076 9510910009 01 5 70080 081991)16 01 ৮191776 610108ও আ161) 90001019859 09680171060, 4 000910060 95001811806) 109 দা9106৪ 10: 10108 0001065 186 9015 60৩ ০0006 0810 1080888. [79

১৬৩

19 101906109] 86999100870) 68201)61:170£ 1019 10983 6০ ৪016 015 ৪0৮৮001000105,. 80৮ 10: 10110099]1 108 19 810 10981886 দ1)0 অ০8]0 9597 86159 60 1159 01) 60 1019 106919,5 জনসাধারণ জওহরলালজীকে মনোনীত করেছে একথ। সবাণংশে সত্য নয়। জওহরলালকে প্রেসিডেন্ট করার স্থপারিশ ছিল স্বয়ং গান্ধীজীর ; এজন্য তিনি নিজে সরে ধ্াড়ালেন। গ্রান্গীজী অবিসম্বাদী মুখ্যতম নেতা ; সাধারণের কাছে মহাত্বারূপে পুজ্য হয়েছেন তিনি যদিজনসাধারণের প্রতীক হয়ে থাকেন তৰে নিশ্চয়ই জনসাধারণের পছন্দ। অভিভাষণ লেখার দিকে জওহরলাল নিঃসন্দেহে ধোগ্য ব্যক্তি ; কিন্ত একথা যদি সত্য হয় (অন্ততঃ তখন এই কথাই প্রচারিত হয়েছিল) যে, মতিলাল গ্ান্ধীজী অভিভাষণটির খসড়। দেখেছিলেন, তবে অনুমান করা অসঙ্গত হবে না, ইউরোপ প্রত্যাগত যুবক জওহরলালের 2৮:50 00155200101) বা চরমপন্থী ধ্যান-ধারণার 170061962 6201:255101) বা! সংযত অভিব্যক্তির মধ্যে তাদের কল্যাণ হস্তের স্পর্শ আছে। বিশেষ করে যখন একথাটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যে, জওহরলাল ঝুনো৷ সোশ্যালিস্ট হয়েও মোহমুক্ত দৃষ্টিতে সব কিছু দেখতে পেরেছেন এবং দেশের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সে দৃষ্টির সামপ্রন্ত বিধান করেছেন। বাস্তববৃদ্ধি-প্রণোদিত তিনি। তার ভাবধারাকে পারিপাশ্থিকতার রসে জারিয়ে নিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কিন্ত ভাববাদী এবং আদর্শোচিত জীবনযাপনে উদগ্রীব গান্ধীজী আরও বলেছেন £ 188 ]0 1015 £001:589) ৪0 10 609 01091. 79 ৪৪ 86:008, 5০6 8,0002010008,61106. 1719 আট 09079 60 1015 98009 11 100912 91) 810৮%10 000881010, 1706 70651 19098369660 1181) 8061010 83 19001160. 1719 6191988 610691:£5 200 9106176 9811 107:£9ঠ10110689, 1018 09607%] ৪1001119165 800 81108011165 0806159590. 65৩:৮- 009, 00%6201006736 09৮ 19 96 &]] 8055008 6০ 00 আ)9)

1৪ 0606 080 109৩ & 1988010) 60 167 09দা81091%] 90০0, 4 10850 00562000678 আ০০]0. 9000. 189] 6159 ৪6:9086 ০£ &

১৬৪

868178:6 ডা0০ 9001068 100 1:106 600 098 60 7085 10: 00017 6109 9007067 ০01 10790 2019.+

“যেমন অভিভাষণে তেমন সভ। পরিচালনায় বেশ কড়া অথচ অপরকে অবকাশ দিতে সদাই প্রস্তত। অনেক উদ্ভট পরিস্থিতিতে তার প্রত্যুৎপন্নমতি কাজে লেগেছে যেখানে সন্ক্িয় হতে হয়েছে সেখানে দ্বিধাচিত্ততা প্রকাশ পায়নি তার অক্রীস্ত সামর্থ্য সবণঙ্গীণ আত্মবিস্মৃতি, তার মহজ সারল্য এবং তার বিনয়নভ্্রতা প্রত্যেকের চিত্তাকর্ষণ করেছে ।”

শুধু দেশের উদ্দেশে নয়, গবর্মমেন্টের দিকেও একটা চোখ রেখে গ্াদ্ধীজ্জী বললেন, “যথার্থ কার্য সম্পাদনে উৎসুক কোন গবর্নমেন্টের পক্ষেই জওহরলাল নেহরুকে ভয় পাবার কোন হেতু নেই; পক্ষান্তরে শয়তান গবর্নমেন্ট মাত্রই বুঝতে পারবে যে, শয়তানি শানন থেকে দেশকে মুক্ত করতে এই বলিষ্ঠ ব্যক্তিটি কোন মূল্য দিতেই কার্পণ্য করবেন ন1।”

যুবকদের একমাত্র আদর্শ-পুত্তলিরূপে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন £

“১9 $0261) ০01 608 00206751398 95915 29890) 60 08 0:00 01 6091 79109890691 6109 10961010 10085 911 1:930109 6০ 9110 11) 9981)9718,) 91010 90010 & 1001019 800. 0:81 9003, 115৮ 000১8 10198811769 06909000. 09010 1017) 2100 7109 0108

20861017 1980. 109 09801796100 0011706 0 9818:181:8 588 01 ৪0109,”

গান্ধীজী অনায়াসেই 5621: নয় 5০215 ০0: 521:5102ও বলতে পারতেন; কেননা) ভগবানের আশীববাদ গান্ধীজী মারফং এমন অফুরস্ত উৎসারিত হয়েছিল যে, ১৯৩০ শ্রীস্টাব্দ থেকে জওহরলাল ছিলেন আমরণ অপ্রতিদ্বন্ী ; গান্ধীজীর জীবদশ।য় মরণোত্তর কালেও তারই সার্থক উত্তরাধিকারী -

গান্ধীজী ঘে কেবল ব্যক্তি-নেতৃত্বের নিরাপদ অনুম্থতির জন্যই সযত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন তাই নয়ঃ যেগুলে। তিনি ছুর্লক্ষণ মনে ররেছিলেন তার বিরুদ্ধেও অবিশ্রীস্ত অভিযান চালালেন। অহিংস!

১%৫

যেমন ছিল তার ধর্মবিশ্বাস, দেশের স্বাধীনত। ব৷ দেশপ্রেমও যার কাছে গৌণ নগণ্য, তেমনি আস্থা ছিল চরকা-খদ্দরের সমাজ- ব্যবস্থায়

২র! জানুয়ারি আমেদাবাদ থেকে ফ্রি প্রেস অব ইগ্ডয়াকে বললেন £

£1]10)979 1580 0001] ৮10181009 11) 6139 80008010979 11007)6018,691% 90100100178 0৪ 61086 & 100101) 61010701089 800. 61197900995 )16৮]19 70616001086100,. 70100890159 010619 1৪ 10 11) 0106 1)99:63

0% 80009... .. 2)

“আমাদের পারিপা্িক আবহাওয়ায় ভায়োলেন্স বাঁ হিংসা এমনভাবে স্পর্শ করে আছে যে, এখানে ওখানে বোম] পড়লে আমর! মোটেও ঘাবড়াইনে সম্ভবত, কারও কারও চিত্ত উৎফুল্লও হয়ে ওঠে.”

ভাল্মোলেন্ল শু হিহসা!

ভায়োলেন্সের বাংল! হিংস। চলে আপলছে ; আমিও তাই ব্যবহার করছি; কিন্তু হিংসা ঠিক ঠিক ভায়োলেন্সের অর্থছ্যোতক নয়; ভায়োলেন্ন অর্থ বলপ্রয়োগ, জবরদস্তি | বিপ্লবীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন কোমলপ্রাণ, বৌদ্ধ-জৈনদের মতো ধর্মাচরণে মাত্র অহিংস নয়, অকারণ একটা পিঁপড়েরও প্রাণনাশ তারা করতেন না, করতে দেখলেও তাদের প্রাণ কাদত। তারা! কখনই হিংস্র ছিলেন না। হিংস1 অর্থে 6910435ও বটে, সে অর্থে বিপ্লবীরা কোনক্রমেই হিংস্ক নন; এদের অধিকাংশই ছিলেন অতি মহৎ ভাবে দীপ্ত, সচ্চরিত্র। কোমল-প্রাণ মানুষ সাধারণের অসহ্য ছুঃখকষ্টকে নিজের ছুঃখক্ট করে নিয়ে তা অপসারণের জন্যই বিষয়-নিলিপ্ত এইসব মানুষ ঘর- ছড়া | কৃচ্ছসাধন। তাদের কোনে! লোক-ভিড়-করানো কৌশল মাত্র ছিল না, সকলের অলক্ষ্যেই সাধন চলত কিন্তু গ্রামাঞ্চলে বাঘের বা বন্তশৃকরের কি মত্ত হস্তীর উপদ্রব শুরু হলে যেমন সকলের হিতের জন্ত-_বাকে বিবেকানন্দ বলেছেন জগদ্ধিতায়--ছুঃসাহসী শিকারী

০১৫

নিজের প্রাণ তুচ্ছ করে এঁ অন্তর পেছনে ঘোরে, এরাও ভেমনি উৎসগ্গাকৃত প্রাণ। কিন্তু এদের অকারণে হিংসাপন্থী হিং ক্রিমিনালদের সঙ্গে তুলন। করে করে লোকের কাছে হেয় অশ্রদ্ধেয় করে তুলেছিলেন গান্ধীজী এবং বাংলা ভাষায় আমর! তার অন্গু- গামীরা এর সঙ্গে সুর মিলেছিল এসে গবর্নমেন্টের স্বপ্প-শিক্ষিত আস্তর্জাতিকতাবাদীদের নিন্দাবাদ। যেভাবেই হোক্‌, চারদিক থেকে ছুয়ে! ছয়ে। সমস্বর ধ্বনিতে, ভারতের বিপ্লবীরা বিভাড়িত, ক্রমে নিশ্চিহ্ন নিব্ংশ হয়েছেন আজ তারা বিদ্রপের দরিদ্র ভিখারী মাত্র

গান্ধীজীর অভিযান ছিল এমনই নিষফকরুণ। কংগ্রেসে বোমা বিস্ফোরণের নিন্দাত্মক প্রস্তাব গৃহীত হবার পর ২র! জানুয়ারি এই যে তিনি বিবৃতি দিলেন, তাতে তিনি আরও বললেন £

“একবার ভেবে দেখুন দেখি, বড়লাট যদি মারাত্মক আঘাত পেতেন অথবা নিহত হতেন ! তাহলে নিশ্চয়ই ২৩ তারিখে কোনো বৈঠক হত না এবং কংগ্রেস কি পথ নেবে তাও স্থির কর! যেত না। (অর্থাৎ বৈঠকই বৃহত্তর মহত্তর কথ। !) পরিণতি অবাঞ্থনীয়ই হত। তাছাড়া

“05 61708 ড10161709 0000:60 9 1096 1)695815) 61১86 13, 6009 1011165%75 95100016019 199 21800.

“যতবার হিংসা প্রকাশ পেয়েছে ততবারই আমাদের নিদারুণ ক্ষতি হয়েছে; অর্থাৎ সামরিক ব্যয় বেড়েছে”

গান্ধীজীর যুক্তিও অবশ্য বিরোধীপক্ষকে নিরন্তর করার জন্যই কেননা, একথাটিও তার সর্বাংশে সত্য নয়। সাম্রাজ্যবাদের প্রকৃতির মধ্যেই সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রশ্নোত্তরটি নিহিত ; তার বিরুদ্ধে সশস্ত বা নিরস্ত্র অভ্যুত্থানের কপালে একই দণ্ড। সাস্রাজ্যবাদীর! সচেতন বলেই সদ প্রস্তুত থাকে এবং নতুন আগ্রাসনের জন্য আরও প্রস্তত হয়। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ তার ব্যতিক্রম নয়। আর সমরশক্তি অথবা সামরিক ক্রমোন্নতির ভাবন। ছাড়া সাম্রাজ্যবাদ হয় না। বাংলায় বা পাঞ্জাবে বোমা কাটলে তারপর তারা৷ প্রস্তৃত হয়, একথা ঠিক নয়

৬৭

তবে স্বাধীনত। কি করে পাওয়া যাবে? এই অনিচ্ছুক সশস্ত্র সাআজ্যবাদীদের হাতের মুঠো থেকে? গান্ধীজী বললেন, বিপক্ষের হদয়ের পরিবর্তন ঘটিয়ে তাদের মেরে নয়।

“ডা ০80. 9968/১1180 100979009002 02] 05 80091106 ০00 0106:91988 60:00 2]01)98] 0 11900. &10 7098৮ 900. 1006 69107181706 800. 1011117)6 01086 "100১ তত্য9 1891005১008 10010606,

007: 0081:010.9 বৃটিশ সাঘ্রাজ্যবাদীদের হৃদয়ের পরিবর্তনের ফলেই আমরা! স্বাধীনত৷ পেয়েছি কিনা এবং সে হৃদয়ের পরিবর্তন অহিংস অসহযোগ বা আইন অমান্য আন্দোলনের জন্তই ঘটেছে কি না, নিতান্তই কুতর্ক-সাপেক্ষ ; কেননা, স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালেও কোন কোন ংগ্রেস নেতাই বলেছেন, আন্তর্জতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, ১৯৪২-এ সারা ভারতব্যাগী গণ-অভ্যুর্থান (যা অনেকাংশে অহিংস থাকতে পারে নি বা যার নেতৃত বা দায়িত্ব গ্রহণে গান্ধীজী দ্যর্থহীন ভাষায় অস্বীকার করেছেন) এবং ভারতীয় জলস্থল অন্তরীক্ষের সেনা- বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র কিন্ত পরাজিত আজাদ হিন্দ ফৌজের যে ধাক৷ লেগেছিল তাতেই ভারতের স্বাধীনত। ত্বরান্বিত হয়েছে কিন্তু তর্কের মধ্যে না গিয়েও বলা যায়, আমাদেরই ভাই ব্রাদার, একই দেশের জলবায়ু মাটীর সহচর, লীগপন্থী মুদলমানদের হৃদয় মস্তিকের কিন্ত পরিবর্তন ঘটানে। যায়নি অনেক অনশন তোষণেও তবু সেদিন গরান্ধীজীর এই তত্ব আমাদের অনেকের চিত্তকেই আলোড়িত করেছিল এবং স্থির বিশ্বামে কিছুকাল নিল্প্র শিখার মতই ছিল। আমর! তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলাম যে, যার৷ এখনও যুক্তি-বিরহিত হয়নি তার! খোলাখুলি অন্তর দিয়ে এই বোম৷ দুর্ঘটনার নিন্দা করবে তখন মনে একবারও প্রশ্ন জাগেনি। তবে কি বিপ্লবীর1 যুক্তি-বিরহিত এবং “মোহাচ্ছন্ন দেশপ্রেমিক”? তিনি বলেছিলেন :

“[)86 60038 আ)0 ৪19 006 0856 2988019+-" * * 07990] 800 1068708]7 007309707) 61098 0015888, ৪0 6178 0617090 2961086.

৯৬৮

1071£106 1981186 011০ 10611185 01 10191506 800. ০01 ৮16 £98৮ 17970 510106 80615105 1789,8 6০: 01109 00109.

কিন্তু একথা কি কিছুতেই স্বীকার কর! যায়, অহিংদ আন্দোলনে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্রত্যেকটি স্েচ্ছাসেবকই মচেতন বিশ্বাসে ঝাপিয়ে পড়েছেন এবং বিপ্লবী আন্দোলনে ধারাই আকৃষ্ট হয়েছেন তার] প্রত্যেকেই “৫619990৮, মাথ।-মোটা যুক্তি-বিরহিত বলির পশ্ড মাত্র? মডারেট লিবারেলরাও তো! কংগ্রেষের আইন অমান্ আন্দোলনের প্রস্তাবে আতকে উঠেছেন, রাজন্যবর্গের রেড র্যাগ দেখে তার নিন্দা করেছেন, কিন্তু কেউ তো! বলেননি, সব যুক্তির আধার হয়েছিলেন গুরাই ? ্‌

কিন্ত তোমায় বলেছি, সত্য, ঘটনাক্রম সর্বতোভাবে অনুকূল ছিল গান্গীচালিত ওয়ার্কিং কমিটির স্বাধীনত। দিবস পালন কাউন্সিল বর্জনের কর্মস্চী উপচীয়মান বিক্ষোভকে ধারণ করতে সমর্থ হয়েছিল এবং তা-ই পরিকল্িত খাতে ছু'কুলে প্লাবন ডেকে প্রবাহিত হয়ে গ্েল। ওয়াকিং কমিটি আগামী ২৬-এ জানুয়ারি, রবিবার, প্রথম স্বাধীনতা দিবন অথব! স্বাধীনতার সঙ্কল্প-বাকা পাঠের দিন নিদিষ্ট করে প্রস্তাব নিলেন £

স্লীশ্বীননতা দিন? কাউন্সিল

“0 0:09: 60 09৮ 6109 [09988.89 ০01 7079, 957818] (00107)1969 [799109099006 ) 60 6119 762506996 ₹111986 17 10018, 61718 ঘা0110736 00027516696 8)008065 9009%5) 6159 266) ০10 810081য9 1990১ %5 6106 085৮ ০01 09190561010 10910 8 06018786107) 1] 109 ৮980. 60 6106 099961106 ৪00 6109 17092010928 1079391068৮ 6109 1179961106 111 108 81)51690. 60 91610115105 2, 9110% 01 1)91033 (15917 258906 60 6109 10901896100,

নিয়ে কংগ্রেনীদের মধ্যে কিছুমাত্র বিরোধ ছিল না| কেননা, স্বাধীনতা দ্ববস উদ্যাপন বা স্বাধীনত| সন্কল্প-বাক্য গ্রহণ অনুষ্ঠানে কারে! কোন আপত্তি থাকতে পারে নাঃ ছিলও না? ঘা বিরোধ তা কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ঘুরপাক খেয়েছে সুভাষচন্দ্র প্রমুখের উদ্দেশ্য

১৬৯৮৮

ছিল কংগ্রেসকে সংগ্রামশীল করে তোল! এবং সংগ্রামে অবতরণ করানো স্থতরাও যেখানে সংগ্রামের আহ্বান এসেছে সেখানে তাদেরও কোন বিরোধ ছিল না। পট্টভি সীতারামায়৷ ডায়েরী লিখতে বণে যদি ইতিহাস বিকৃত না করতেন তবে অন্ততঃ এটুকু স্বীকারের ওদার্ধ তার হতই।

স্বাধীনতা দিবস পালনের ঘোষণামাত্র সুভাষচন্দ্র যেখানেই গেছেন সেখানেই এই দিনটিকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তোমায় বলেছি, সত্য, যে তার মাথার ওপর রাজদ্রোহ মামলার খড়া ঝুলছিল। স্ুুভাষচন্দ্রের জন্মদিনেঃ ২৩-এ জানুয়ারী। তার এবং তার সহকমাঁদের রাজদ্রোহ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড হল। স্ত্ুতরাং সুভাষচন্দ্র তার সহকর্মীদের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা দিবল পালনের অবকাশ রইল না1। কিন্তু কারাগারে পা বাড়িয়ে দিয়েও শ্রমিকশ্রেণীর, বাংল! দেশের উদ্দেশে এবং সারা দেশের উদ্দেশে তিনি তিনটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। দে তিনটি বিবৃতিই তোমায় অমৃতবাজার পত্রিকার কাটিং থেকে পড়ে শোনাই £

“সাধীগণ। আমরা আমাদের ইতিহাসের এক কঠিন সঙ্কটের মুখোমুখি এসে পড়েছি। সরকারী গীড়নের রথচক্র আমাদের নিষ্পেষিত অভিভূত করতে চাইছে সুতরাং আমাদের মধ্যে ধার। শ্রমিক আন্দোলনে বিশ্বাসী বা তৎসংশ্রিষ্ট তাদের প্রধান কর্তব্য হবে শ্রমিকদের সংগঠন সংহতির জন্য বিশেষভাবে ঘত্ববান হওয়! | আমাকে অল ইগ্ডয়। ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করে তার। আমাকে যে মার্ধদা দিয়েছেন তা আমার হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। আমান আফশোধষ এই যে) ভারতের সেবায় আমি আমার ভূমিকা পালনের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত থাকব। ট্রেড ইউনিয়ানিস্টদের মধ্যে মনোমালিন্তের সঞ্চার হেতু এ. আই, টি. ইউ. সি. অতিরিক্ত এক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে আমি আমার সকল অন্তর দিয়ে সকল ট্রেড ইউনিয়ানিস্ট

৯৭৩

এবং সাধারণভাবে শ্রমকদের কাছে এই আবেদনই জানাব) আম্মুন। ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসকে সাহাষ্য করুন এবং এর সঙ্কটে এর পাশে এসে ঠাড়ান। শ্রমিকদের উদ্দেশ্ট নিয়ে দাড়ানোর অর্থ স্ববিচার মানবিকতার পক্ষেই দাড়ানো আমার কোন সন্দেহ নেই ষে, পরিণামে এই উদ্দেশ্ট সর্বজনীন স্বীকৃতি লাভ করবে এবং ভারতের শ্রমিকশ্রেণী যথাযোগ্য সাড়া দিয়ে আন্দোলনকে সাফল্য গৌরৰে মগ্ডিত করবে।

যে-তারিখে স্ৃভাষচন্দ্রের কারাদণ্ড হয়, জানলে সতা; সেই তারিখে আমাদের রবীন্দ্রনাথ আমেদাবাদে গান্ধীজীর সঙ্গে দেখ! হওয়ায় একটি প্রশ্ন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন বিশ্বভারতীর জন্ অর্থসংগ্রহে লাহোর কংগ্রেসে গাঙ্ী-স্থভাষের মতপার্থক্য তার অজান। ছিল না। তোমরা বোধ হর অনেকেই জানো না, আমাদের কবিগুরু সুভাষচন্দ্রকে কি অসাধারণ স্নেহ করতেন ; ত্রিপুরী কংগ্রেসে। মহাজাতি সদন প্রতিষ্ঠায় সুভাষচন্দ্রের আকস্মিক অন্তর্ধানে এর আরও পরিচয় আমর! পাব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের হৃদয় ছিল সীমার মাঝে অলীম, সেখানে গান্ধীজীর মত ব্যক্তির অক্ষুণ্ন প্রীতির আসনও পাত। ছিল সমাদরে, বহু উপলক্ষে সে পরিচয়ও পাওয়! গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে আমন্ত্রণে শুধু নয়, তপশীলিদের আসন নিয়ে অনশনকালেও। সুতরাং লাহোর কংগ্রেসের পটভূমিকায় এই ছই ব্যক্তির সাক্ষাৎ রবীন্দ্রনাথের প্রশ্ন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। খবরটি দিয়েছিলেন এসোসিয়েটেড প্রেস অব ইগ্ডিয়! |

ললীত্দরন্নাথেন প্রন্তা “ডঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে (আমেদাবাদে ) বিশ্বভারতীর জন) অর্থসংগ্রহে এসেছেন। তিনি গান্ধীজীর সঙ্গেও দেখা করেন। কবি গান্ধীকে জিগগেস করেন, চলতি বছরে তিনি (গান্ধী) দেশের সামনে কি রাখতে যাচ্ছেন ? গান্ধীজী জবাব দিলেন ; আমি দিন

১৭১

রাত এই নিয়ে ভয়ানক ভাবছি। চারদিককার অন্ধতামন থেকে এখনও কোন আলো! ফুটে উঠতে দেখছিনে। তবে আমরা যদি কোন একট! কলপ্রস্থ কর্মন্চী ভেবে স্থির করতে না-ও পারি, তবু আমর। তো৷ দেশের লক্ষ্যাদর্শ যে স্বাধীনতাই একথ। ঘোষণা! করার কাজ থেকে বিরত থাকতে পারিনে- বিশেষ যেখানে ডেমিনিয়ান স্টা।টাসের সেই অর্থ কর! হয়েছে, যে-অর্থ আমরা কোনকালেই বুঝিনি 1৮

অর্থাৎ, গান্ধীজী তখনও স্বাধীনতা-আন্দোলন ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস আন্দোলন থেকে কি ভিন্ন রূপ নেবে স্থির করে উঠতে পারেননি গান্ধীজীর চিন্তাধারা সিদ্ধান্তে উপনীত হবার রীতি সম্পর্কে পট্টভি সীতারামায়া “ডাগ্ডি মার্চ” প্রসঙ্গে তার ডায়েরীতে লিখেছেন £

11587180103 99001) 171009911 1780 00 2]] 00100901510], ০01 ₹$1)9,6 83 6০ 10110. 1009 594 01011069 8,9 11 105 &। 119,91) 8,00 09,0090 119 001)01006 1)5 11001)0159. 1070 6109 1101069005 10081), 01)699 019 6ছ০ 50310190089 001098 01 1116১ 1006 798,301 100 1776911906. 01009 6119 1009:01) 10909,0) 1)901)19 08001)0 ৮76 ৪]0111 01 1)19 699.0101700 800. 6109 10100 01 1019 08001)8,100 ....... [118 1099, 5৮89 19199590., 800 6119 79168890. 1069, ০0001:590 81006. 01119790% 01)87010913) 599101116 ৮৪,10058 1017009 ০01 6%:107:93910103.

এসব কথা তখন শুনলে আমাদেরও রোমহর্ষ হত) 11170] ৮০1০67 £0590105 12115795 ইত্যাদি সাধু-সন্তের কথা শুনলে রাজনীতির দৃরদশী চুলচের! অন্কশাস্ত্ের হিসেব উঠত ন! মনেঃভাবতাম অন্তরতম ভগবৎ-প্রেরিত এই নির্দেশ নিভূলি মঙ্গলময় না হয়েই পারে ন|। কিন্তু আজ বুঝতে ভুল হয় না-_9696550121591)10 বা! রাজনৈতিক প্রজ্ঞ। একেবারেই অন্তরবাণী নয়, বান্তববাদী ডায়লেকটিক, সকল দ্বন্দের মধ্যে ঘটনাস্তরোতের দিকদর্শনটিই আসল কথা, ওটি যিনি ধর.ত পারেন তিনিই দূরদর্শী রাজনীতির প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। ভগবৎ সাধনার ক্ষেত্র হয়তো! আলাদা, তা রাজনীতি নয়। রাজনীতিতে

১৭২

নান! রকমের ছন্দ; এই দ্বন্দ লক্ষ করেই সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয় তৃতীয় বিবৃতি দিয়েছিলেন | দ্বিতীয়টি সার! বাংলার মানুষের উদ্দেশে £

. কারাগারে পদার্পণ করার আগে আমি বাংলাদেশের সকল কংগ্রেস কর্মীর উদ্দেশে এই আবেদন জানাতে চাই ষে, তীার। যেন সকল বিভেদ ঘুচিয়ে আমলাতন্ত্রের সামনে এঁক্যবদ্ধ হয়ে দাড়ান | কংগ্রেস কমাঁদের মধ্যে যে বিভেদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তা আজ অনেক মাটির নিচে কবর দিতে হবে

“এখন এটা স্পষ্ট যে, গবর্মমেন্ট নিষ্ষরুণ দমননীতি অনুসরণে কৃতসঙ্কল গবর্নমেন্ট যেখানে সুসংগঠিত কৃতসঙ্ল্প, সেখানে আমাদেরও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সমভাবে সংগঠিত দৃঢ়পণ হতে হবে।

“জনসাধারণ জানেন যে, বাংলা! সরকারের পীভন-নীতির ফলে বিভিন্ন জেলায় আমাদের অধিকাংশ কমা অভিযুক্ত হয়ে চলেছেন এজন্য একদিকে দরকার অর্থবল এবং অন্যদিকে তারের মামলা তদ্ধিরের জন্য আইনজীবীর সহায়ত | যতক্ষণ না কংগ্রেস আত্মপক্ষ সমর্থন বাতিল করছেন ততক্ষণ.এইসব কমাঁর পক্ষ সমর্থনের ব্যবস্থ! ন| করলে আমাদের কর্তবাচ্যুতি হবে।”

হল্দজিভলা নাস্ম র্দোভিন

স্থভাষচন্দ্র প্রাদেশিক কংগ্রেসে অর্থদানের জন্য এবং বন্দবিল! সতাগ্রহ পরিচালনার জন্যও আবেদন জানান

বন্দবিল। সত্যা গ্রহ ?

হয! সত্য। কথায় কথায় বর্দোলি সত্যাগ্রহের যে-প্রচার হয়েছে, লোকে তা যত বিশদভাবে জানে কোনো কোনে! তথাকথিত ইতিহাসেও যার উপযুক্ত স্থান হয়েছে, বন্দবিল। সত্যাগ্রহের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বন্দবিল| বাংলাদেশেরই একটি লোকালয় ছিল; আজ তাঁপাকিস্তানের যশোরের অন্তর্গত কিন্তু সেদিন অথণ্ড বাংলাদেশেরই এই একটি জায়গায় বর্দোলি সত্যাগ্রহের মতে। গণআন্দোলন

১৭৩

হয়েছিল; যশোর জেলায় বন্দবিলা ইউনিয়ানে “ইউনিয়ান বোর্ড” প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ছিল এই আন্দোলন ছ'মাস ধরে চলেছিল। বন্দবিল৷ কংগ্রেম কমিটি কমিটির সেক্রেটারী বিজয় চন্দ্র রায় এই আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ইউনিয়ান বোর্ড হলে করবৃদ্ধি হবার সঙ্গত আশঙ্কাকে কেন্দ্র করেই তার প্রতিরোধে এই আন্দোলন।

গ্রামবালীরা কর দিতে অস্বীকার করলেন এবং পুরোদমে কর-বন্ধ আন্দোলন চল গবর্মমেন্ট যথারীতি তাদের অত্যাচারের তাও শুর করে দিলেন এবং মুখ্যকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে বহু গ্রামবাসীও অভিযুক্ত হতে লাগলেন। যারাই কর-বন্ধ করলেন তাদেরই অস্থ/বর সম্পত্তি ক্রোক হতে লাগল, কোন কোন সময় গোপনে নীলাম হল। দামী গাই-গরু নামমাত্র দামে বিক্রী হয়ে গেল।

কিন্ত বাংলার বর্দোলির খবর তুমি পট্টভির ভায়েরীতে পাৰে না, সত্য বাংলার বেদন! বাংলাদেশেই গুমরে মরেছে। বাংলার সীমাবদ্ধ আইন-অমান্য আন্দোলন বাংলা কংগ্রেস ছাড়া কোথাও স্বীকৃতি পায়নি এবং ভারতীয় নেতৃবৃন্দের আশীর্বাদধন্য হয়নি। তবু, বন্দবিল। বর্দোলির মতই ১৯৩০-এর লবণ-আইন অথব। সাধারণ আইন আন্দোলনের নিঃসন্দেহে এক পূব লক্ষণ বৃহত্তর আন্দোলনের দিশারী সীতারামায়া ভাই যতই কেননা অন্তরের চমক, 299 17001156) তর্কাতীত অনুভূতির কথা বলুন, সারা ভারতে ব্যাপক আইন অম্রান্ত আন্দোলনের ইসারা ছিল ঘতথানি বর্দোলি সত্যা গ্রহে ততখানি বন্দবিল। সত্যাগ্রহে এবং আমি আরও বলব, বাংলা-বিহার- ইউ পি-পাপ্রাবের সশস্ত্র আইনভঙ্গের মধ্যেও | স্থুবিস্তৃত ফ্যান্টের মধ্য থেকেই গান্ধীজীর অন্ধ-তমসায় আলে! ফুটে উঠেছিল। ডাগ্ডি মাচ) লবণ-আইন ভঙ্গ, ধর্ষণা লবণ-গোলায় হান! কিছু আকম্মিক স্বতন্ত্র বা বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র নয়। বন্দবিলা সরকারী ইতিহাসে স্থান পাক না-পাক, ব্যক্তি-নিরপেক্ষ ইতিহাসে স্থান পাবেই

হাসলেন | তুমি ভাবছ। আমি খেই হারিয়ে ফেলছি। না?

১৭৪

সত্য? এত ঘটনা, এত তথ্য যে, যেই হারিয়ে ফেলবার আশঙ্কা অমূলক নয়। ন্ুভাষচন্দ্রের জেলের দিকে পা! বাড়িয়ে তিনটি বিবৃতির কথ! বলছিলাম তৃতীয়টি হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে সফল করার আবেদন তিনি এই বলে শুরু করলেন, “সম্ভবত এটি নিছক ঘটনাচক্র নয় যে, আমর। সার! ভারতে ২৬-এ জানুয়ারি স্বাধীনতা দ্দিবব পালনের আগেই দণ্ডিত হলাম। হতে পারে; গবর্নমেন্ট মনে করছেন ২৬-এ জানুয়ারির আগেই যদি তারা আমাদের জেলে নিক্ষেপ করেন তবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিদ্বিত হবে।

“] 0779:91019) 87098] 60 6128 01612970801 081006% 60 ৪9৪ 11760 16 6109৮ 117 01 81089100968 61089 10019109100 91709 1095 13 09191978690] 110 81009101007 জা০0:1)5 01 0106 698৮ 016 ০01 13101) ছা9 89 0700৭ 6০ 0%]1 007561%98 01129709.”

“আমি তাই কলিকাতার নাগরিকদের কাছে এই আবেদন করে বাই যে, তার! যেন দেখেন, আমাদের অনুপস্থিতি সত্বেও যে মহানগরের নাগরিক বলে তাদের গর্ব তার উপযুক্ত উৎসবের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়|”

স্ুভাষচন্দ্রের আবেদন ব্যর্থ হয়নি। স্ুভাষচন্দ্রের কারাদণ্ড তার আবেদনকে মহিমান্বিত করেছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু স্বাধীনতার আবেদন ছিল কলকাতা তথ বাংলার মর্মেই; কোন ব্যক্তির আবেদন নিমিত্ত মাত্র, অন্তরে পূর্বাহ্নেই আবেদন ন। থাকলে সাড়া! জাগেনা। সুতরাং স্ুভাষচন্দ্রের আবেদনেই সাড়া পড়ে গেছল, একথা যেমন সব্াংশে সত্য নয়, সুভাষচন্দ্র; অন্তান্ত "জননেতা প্রাদেশিক কংগ্রেস প্রভৃতি সংগঠনের উদ্ভোগও তেমনি উপেক্ষণীয় নয়। এই ছুই-ই সত্য এবং ছুইয়ের আস্তঃক্রিয়ায়ই ঘটন। গতিলাভ করেছে। মর্মে বেদন! বা আকুতি থাকাই যথেষ্ট নয়, সে-বেদনাকে মুখর বাজ্মায় করার জন্যেও চাই প্রবক্তা, নেতা

১৭৫

হে বিচারক, নিচান্র কল্প স্বভাষচন্ত্র প্রমুখের যে-অভিযোগ্ে কারদণ্ড হল তাও এই-_-এই নেতৃত্। ওদের দণ্ড দিয়ে বিচারক বললেন,

[79 16809: 01 019 10008851010) 8600560 900188 07:810018 13059, 17 1019 9186011 091156190. 61798 659201116 1189 9য]0181090 169 12790101170 800. 11060106102 1) (6178 107086 01981" 19000969)

0810615) 11106 আ9 218 119 8৪ [19920800106 &, (99 $)

১0 “মিছিলের নেতা “আসামী? সুভাষচন্দ্র বনু সেদিন সন্ধ্যাকালে তার বক্তৃতায় এর অর্থ উদ্দেশ্য পরিষ্কার-ভাষায় বুঝিয়ে দেন £ আমরা যাতে এই উন্মুক্ত আকাশের নীচে মুক্ত মানুষের মতে। বিচরণ করতে পারি। ১৯২৮-এর কলকাত! কংগ্রেসে মি: গান্ধী োমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রস্তাব তুললে তার ওপর সংশোধনী এনে তিনি (সুভাষচন্দ্র) তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এই মর্মে সংশোধনী ছিল যে, ভারতীয় জনসাধারণের লক্ষ্য হওয়। উচিত পূর্ণ স্বাধীনত। এবং বৃটিশ সম্পর্ক ছিন্ন না! হওয়1 পর্যন্ত সতাকারের স্বাধীনতা হতে পারে না এর অর্থ মোটেই ভোমিনিয়ান স্টাটাস নয় এবং এখানে তর্ক বৃথা যে, এক্ষেত্রে বিপ্লব অর্থ ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস বোঝাচ্ছে, বৃটিশ সম্পর্ক ছেদ করা নয়।

“অভিযুক্ত পক্ষ যুক্তিও দিতে চেষ্টা করেছেন যে, আনামীরা কংগ্রেসকর্মী এবং কলকাতা কাগগ্রেসে স্বাধীনতা প্রস্তাব গৃহীত হয়নি; অতএব, তার! অনুগত কংগ্রেসকর্মী হিসেবে পূর্ণ-্বাধীনতার কথা €ত প্রচার করতে পারেন না1। কিন্তু ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস সংক্রান্ত ্রস্তাবটিতে এই একটি অনুচ্ছেদ আছে যে, ১৯২৯এর ৩১-এ ডিসেম্বরের মধ্যে অথবা তার আগে যদি বৃটিশ পার্লামেন্ট নেহরু রিপোর্ট গ্রহণ না করেন তবে কংগ্রেন দেশবামীকে কর না দিতে

৭৬

বলে অহিংদ অসহযোগ সংগঠিত করবে এবং এর সঙ্গে সামঞ্জন্ত রক্ষা করে কেউ যদি কংগ্রেসের নামে পূর্ণ স্বাধীনতার কথা প্রচার করে তবে তাতে বাধা দেওয়! হবে না। সুতরাং কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ মিছিলের পরিচালকের। সেই পূর্ণ স্বাধীনতার প্রচার করতে বেরিয়েছিলেন যার লক্ষ্য হল বুটিশ গবর্নমেণ্টের অবসান ঘটানো ; মিছিলে বাহিত “বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক” হয় স্বাধীনতা নয় মৃত্যু; প্রভৃতি প্ল্যাকাভেই তা প্রতিপন্ন

£1005৮0 10) 11072119115” সাআাজ্যবাদ নিপাত ঘাক লিখিত প্ল্যাকার্ডটির উল্লেখ করে বিচারক বললেন, এখানে সাম্রাজ্যবাদ অর্থ, ভারতে বৃটিশ সরকার, সুতরাং এর নিপাত হতে পারে তখনই যখন বৃটিশ সরকারের অবসান হবে। এরই সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে হবে আর একটি পোস্টারে এই লেখাটিও : জয় রিপার্রিকের। 00 ৮৮10 005 [২০2810110. এদেশে প্রজাতন্তু

প্রতিষ্ঠার অর্থ বুটিশ সম্পর্ক ছিন্ন করা__ কেন না, 0১2 70107 (50217710010 15 9, 00105016000202] 00019101791

খস্‌করে একটা কাগজ টেনে বললেন-_

0:01076 0 78001005॥ শিরোনামায় অমৃতবাজার পাত্রক! লিখলেন £

“গত ১১-ই আগস্ট নির্যাতিত রাজনীতিক দিবস পালনের জন্য মিছিল সভানুষ্ঠান হয়েছিল, তাকে উপলক্ষ করে সুভাষচন্দ্র বস্তুর বিরুদ্ধে ১৯৩০-এর ২৩-এ জানুয়ারি রাজদ্রোহ এবং রাজদ্রোহের জন্য ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযোগ তোল। হয়।*

এ) 8 06199009706 000065 109,01061800 109৪ ৪1959 1১66]. &

মন 5১ 0711008,

“পরাধীন দেশে দেশপ্রেম সর্বদাই অপরাধ বলে গণ্য হয়েছে। স্থতরাং, এতে বিল্ময়ের কিছু নেই যে, সুভাষচন্দ্র বন্থ তার সহকর্মীদের মতো! উচ্চশিক্ষায় মাজিত সামাজিক মরধাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরও অতি সাধারণ ছু্কৃতকারীদের সমতুল্য বিচারে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়। হল।

১৭৭

স্বাধীনতা--১২

10০ 12 01 59016101010 01715 0010180:5 15 2199010 2 1609 11005107660961010 15 1215015 06621010011760 05 00০ 01625211175 20011610581 900009017016 11, 010০ 12100 2170 59015811505 60 17000 200 €০10192190)616 02 0০ 73012200505. এদেশে রাজদ্রোহের আইনের ব্যাখ্যা বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে আমলাতন্ত্রের ভাবগতি মেজাজের ওপর নির্ভর করে। সুতরাং কখন কোন্‌ জাতীয়তাবাদী এই জালে জড়িয়ে পড়বেন তাও একট! ঘটন! চক্রের ওপর নির্ভর করে। এই মামলায় আদালচ্চের অভিমত এই যে, গবর্নমেণ্টের প্রতি অসন্তোষ বিদ্বেষ সঞ্চারেয় চেষ্টা করেছেন বনু তার সহকর্মীর! | হয়তো ম্যাজিস্ট্রেটের এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে উচ্চতর আদালতেও। এমনও হতে পারে, এই অকারণ কঠোর দণ্ডাদেশও অপরিবন্তিত থাকবে

“30৮ 10. 81316 01 609 10060090601 6006 900: ০01 19) [060119 আ1]] 01৮ 61191" 0৮0 00001051010 9109৮ 6116 0787168 01 6109 10038900610 8100. 6109 6119].

“জনসাধারণ আদালতের এই রায় সত্বেও এঁদের নিরপরাধ সম্পর্কে অবিচল বিশ্বাস রাখবে এবং এই যে দণ্ড তা দেশপ্রেমের মূল্য বলেই গণ্য করবে ।”

আসন্ন স্বাধীনতা দিবস পালন সম্পর্কে সম্পাদকীয় প্রবন্ধে

বলা হয়-_

91869800085 01590079, 3099 11] 109 0001061588 ৪: £:6861 0015990. 01071170 0109 1010£0893 ০01 118 100091)0917091198 080)1)2,160. 7306 1019 90000018015 80990098 1:0200 &119 9910 ০01 1019 1900019 ৪6 61019 011918 আ]]] 9106%1] 2 [5079 01091:003 [881)070811011165 10 6109 ৪8100910618 ০01 1019 09011980959 ৪00. 10110-7675, 48100. 0106 906170116199 100 12016106109. 01000101117 05]: 1018 107889100 1866 12185 1886 8,580790 61086 192 07010 স্বয98,009101306 6119 10005910091069 1018 1)010191110068106 আ1]] 18,006 £€1ছ৪ 810 ৪09101009] 170199603 6০0 16.5

জওহরলাল এই দণ্ডকে বলেছিলেন “১৫৬৪০”, এবং এও স্বীকার

করেছিলেন যে। এই বিরাট সংগ্রামে বাংলাদেশ আবার নেতৃত্ব নিল

১৭৮

এবং তার শ্রদ্ধেয় সন্তানের! এই বলে গর্ব করতে পারেন যে স্বাধীন ভারতের সেনাদলে তাদেরই হল প্রাগ্রসর হবার সৌভাগ্য

“0: 8090100199010 & 70099851010 600৪ [0859 1)910 ৪ম8109] 809 ৪95889 59069009 ০01 0106 ৮9878 11601:008 110)1)118010108106, 13908511788 69109106159 1680. 2,681 17) 6119 6799 9606 800. 1091 1000000:90. 90708 10095 ক্া911 109 [07000 01086 16 1099 19%1191) 60 61091 106 6009 6139 5৪/06090. 170 0109 82075 01 100091)810- 0906 [7018.৮

অমৃতবাজার পত্রিকা আরও খবর দিয়েছিলেন যে, এই দণ্ডের সংবাদ শহবের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত অবধি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এর প্রতিবাদে এক সভানুষ্ঠানের আবেদনে স্বাক্ষর দিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, বাবা গুরদিৎ সিং, শেখ মুজিবর রহমান, শরংচন্ত্র বস ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, নলিনী রঞ্জন সরকার, রমাপ্রসাদ মুখাঞ্জি, সাম্ুদ্দিন আহমেদ? জালালুদ্দিন হাসেমী, বঙ্কিমচন্দ্র মুখাজি এবং আরও অনেকে |

লাভজেুোহ আবল্রওু াজজেহ

শুধু তাই নয়, সত্য, আবহাওয়াট। তুমি থেকেও অনুমান করতে পার যে, একদিকে এমনি আরও একটি মামলায় এক বছর করে কয়েকজন কংগ্রেস কমার কারাদণ্ড হল, অন্যদিকে হাইকোর্টে বিচারপতি পিয়নার্ণন প্যাটার্সন এই বলে সুভাষচন্দ্র প্রমুখের জামীনে মুক্তির আবেদন নামগ্ুর করলেন যে, ভারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন সভাসমিতিতে যোগ দেবেন ন৷ বলে মুচলেকা দিতে রাজি হননি আবেদনকারীর]! বলেছেন, তাদের আত্মপম্মান, মান মর্যাদার সঙ্গে সামগ্তীস্ত রেখে কিছুতেই এই যুচলেকায় স্বাক্ষর দিতে তারা রাজি হতে পারেন না এই সম্পর্কে অমৃতবাজার পত্রিকা আগেকার প্রবন্ধটিতেই মন্তব্য করলেন £ “]6 1৪ & 0165 0096 6109 19806010898 ০01 0199 18৮ 0০56

086018 10000 609 081] 8,001109,6101) 9৪ 110590 ০0 0810811 0

১৭৯

6179 8,000890 00010 17706 80689 6০ 7919839 10900 10008 09078001176 9, 1001201116106 01009121106, 0118 07690151017 0 0129 8000890. 60 791056 6106 0101 00. 61018 17790161105 09010016102 29 1086 আ1)80 83 9য1)90697. 01 6109 10010 01 0061 651৩-৮

আর যে একটি রাজদ্রোহের মামলার কথা বলেছি তার নাম ছিল তখন দক্ষিণ কলকাতা কর্মীদের মামলা__-3০09৮॥ 08105068 ৬৬011250859. এক অভিযোগ-_রাজদ্রোহ এবং রাজদ্রোহের জন্য ষড়যন্ত্র; এতে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা যুবসমিতির সেক্রেটারী বিনয়েন্দ্র নাথ রায়চৌধুরী, বেঙ্গল ভলাটিয়ার কোরের মেজর সত্য গুপ্ত, প্রেম সিং প্রেম সুশীল ব্যানাজি। এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড হল। কিন্তু আবহাওয়া! কেমন ছিল জানো, সত্য ?

“ম্যাজিস্টেট আসবার আগে আদালত কক্ষ যেন সশস্ব পুলিশ সাধারণ কনষ্টেবলের সমাবেশে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। আদালত-কক্ষের বাইরেকার চত্বরে কঠিন পুলিশ বেষ্টনীর প্রহর! এবং আগমন নির্গমনের পথ সার্জেণ্টদের নিয়ন্ত্রণাধীন ।” সাউথ ডিষ্রিক্টের ডেপুটি কমিশনার এক ডজন ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্নপে্রর নিয়ে গেটের কাছে উত্তেজিত জনতার ওপর নজর রাখছেন ; পুলিশ বেই্টনীর বাইরে এই জনগণ সমবেত। আদালত কক্ষের সর্বত্র সশস্্ সার্জেন্টদের প্রহরা-যেন তার। একট! জরুরী অবস্থার জন্য প্রস্তত। ম্যাজিষ্রেট আদবার অনেক আগে যেখানে যতটুকু সম্ভাব্য স্থান ছিল বসবার তা জুড়ে রয়েছেন বহু উকিল কংগ্রেসকর্মী।

যেই ম্যাজিস্ট্রেট বেলা সাড়ে এগারোটায় আদালত কক্ষে প্রবেশ করলেন অমনি চারদিকে গগনভেদী চীৎকার উঠল) “0725 1156 [২০৮0100101১7) 4]00%71 ছা?) [107611911510.7 ম্যাজিষ্ট্রেট কঠোর তিরস্কার উচ্চারণ করে তার রায় পড়তে শুরু করলেন

তুমি অনুমান করতে পার, সতা, এই পরিবেশে স্বাধীনত। দিবস কি ব্যাপক প্রকৃতি লাভ করেছিল? কিন্ত তোমার সে অন্ুমানও হবে অসম্পূর্ণ ; কেননা প্রাকৃ-স্বাধীনত। দিবানুষ্ঠানের ক্ষুব্ধ কালের এক ভগ্লীংশমাত্র।

১৮৩

তোমাকে বন্দবিল। সত্যাগ্রহের কথা বলেছি। বলিনি মুন্সীগঞ্জ সত্যাগ্রহের কথা সে আর এক সত্যাগ্রহ। মুন্সীগঞ্জ ঢাক! জেলার অন্তর্গত এক মহকুমা__বিক্রমপুর_তারই এক ছোট লোকালয়, আদালত, কাছারী, গঞ্জও ছিল। আর ছিল সেখানে এক কালী মন্ৰির। গির্জ। বা! মজিদ নয়, হিন্দুর দেবীমন্দির, তবে বেশির ভাগ হিন্দুরই ছিল সেখানে প্রবেশ নিষেধ, তারা অস্পৃশ্য এই বিধান দিয়েছিল ছুরাচারী কোন ব্রাহ্মণ; স্বামী সত্যানন্দ বৃহত্তর হিন্দু- সঘাজের-_সকলের জন্য__সে মন্দির-ঘ্বার শক্ত হাতে মুক্ত করার জন্য শুরু করেছিলেন সত্যাগ্রহ, আইন-শৃঙ্খলার অভিভাবকের! বিষয়- জ্ঞানী বিষয়ভো গী ব্রান্মণের পক্ষে। মন্দির-দ্বার খুলবে না তার৷ | কিন্ত এমন মান্নষও আছে। সত্য, *...১০০০০****যে শুনেছে কানে তাহার আহ্বানগীত, ছুটেছে সে নিভীক পরানে সংকট আবর্ত মাঝে, দিয়েছে সে বিশ্ব বিদর্জন, নির্যাতন লয়েছে সে বক্ষ পাতি, মৃত্যুর গর্জন শুনেছে সে সংগীতের মতো11” উনি যে এত ভালো আবৃত্তিও করতে পারেন, ভাবিনি, কথ৷ বলতে "পারেন আবেগ দিয়ে এই জানতাম, কানে অনেকক্ষণ গ্রতিধ্বনিত হতে লাগল সঙ্গীতের মতোই তিনিও ক্ষণকাল চুপ করে ছিলেন। তারপর বললেন, খুলতে হয়েছে সে মন্দির-ছ্বার। শুধু তে মন্দিরদ্ধার নয়, খুলল অনেক হৃদয় এবং সে সব হৃদয়ে স্বাধীনতার হাহাকার | বল, সত্য, স্বাধীনতা দিবন পালনের সমিধ নয় এসব? আর মীরাটে, দিল্লীতে, লাহোরে মীরাটে ১১ই জানুম়্ারি মীরাট ষড়যন্ত্র মামলার ৩১-জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করে আরও এক বিচারক বললেন :

১৮১

তু্িঃ ভুমি আব্র তুঙ্মি

“০0, 10 800. 1৪6990 1995 904 1999, 10210 8200. আ10- 00 13716181) [0019১ 8/67890. 900. 00108101760. 60286106£ অঃ] 009 8,0061061 900 160, 4001 78109270090 (90900200108 ৪000860) 900 70819078৪00 1003188 17906107787. 17) 6009 1186 806%01090 8100 00181 081:80109 10000 8100 00100008100 000 10810196109 000৮ 60 0910159 $109 70176 01 6109 9০501812769 01 73116151) [10018, 800 11919) 00101010660 80 09206 [00191791019 00097 8906107 191-4 01 6109 1001910 78081 0006 ৪70. অ161110 61189 20000178008 ০01 609 000৮ 01999910009. 40] 1) 17601) 01706 0086 5০০, ৪291] 79 00160 0 68% 006 0009: 60:86 ৪810. 0118,769.+

৩০০ ফুলস্ক্যাপ পৃষ্ঠায় টাইপ করা! এই এপিক রায়ের ফাঁক দিয়ে একজন মাত্র অব্যাহতি পেয়েছিলেন ; তিনি ধরমবীর সিং। তাকে নিরে মোট ৩২ জনের মধ্যে জন্মবিচারে ছিলেন ২৪ জন হিন্দু জন মুললমান, জন (ইউরোগীয়ান) খুস্টান, জন পার্সী; এক মহামিলনই বলতে হবে। নামবিচারে ছিলেন ফিলিপ স্প্রাযাট, বি. এফ. ব্রাডলে, অযোধ্য। প্রসাদ, দৌকৎ উসমানী, পূরণটাদ' যোনী, গৌরীশঙ্কর। এল. আর. কদম, ভি. এন. মুখাজি, এইচ. এল. হাচিনসন, ধরণী গোন্ব মী, শিবনাথ ব্যানাজি, মুজফফর আহমেদ; গোপাল বসাক সামন্ুল হুদা) কিশোরীলাল ঘোষ, গোপেন্দ্র চক্রবতাঁ, রাধারমণ মিত্র; শ্রীপদ অমৃত ভাঙ্গে, সচ্চিদানন্বিষণ ঘাটে, গড রায় থেংডি। এস. এইচ. ঝাবওয়ালা।, কেশব নীলকান্ত, শাস্তারাম সবলার!ম মিরাজকর, রঘুনাথ শিবরাম নিম্বকর, গঙ্গাধর মোরেশ্বর অধিকার, অর্জন আত্মারাম, গোবিন্দ রামচন্দ্র কাসলে। সোহননিং যোশী। এম. এ. মজিদ ওরফে আবছুল মজিদ) কেদার নাথ সেগল।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে আবহাওয়াট৷ বুঝে নেবার জন্য তোমায় মনে করিয়ে দেব এসেম্বলিতে বোম! বিস্ফোরণের

১৮২

মামলা, লাহোরে বড়যন্ত্র মামলা, কলকাতার কলাবাগান বস্তিতে বোমা পাবার জন্য আর এক প্রস্থ গ্রেপ্তার মামলার আয়োজন, জে. টি. সাগারল্যাণ্ডের প্রখ্যাত “ইপ্ডিয়। ইন বগ্ডেজ' বাজেয়াপ্ত সম্পর্কে স্পেশ্যাল বেঞ্চের দীর্থায়তন রায়। লাহোরে আরও এক প্রস্ত গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার জন্য প্রদেশ- প্রদেশাস্তরে ঢালাও তল্লাশি, ম্যাজিক ল্যাণ্টার্নে প্রথম রাজনৈতিক প্রচারের উদগাতা ল্যান্টার্ন বক্তৃতার জাছুকর জ্ঞানাপ্তন নিয়োগীর “বিপ্রবী বাংলা"র বাজেয়াপ্তি তার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহ মামলা) বাকুড়ার এক হেভমাস্টার রামকৃঞ্চ দাসের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ, বরিশীলের দেওয়ালে দেওয়ালে “বিষ-বাণী” পোস্টার | আবহাওয়াট। স্পর্শ করতে পারছ, সত্য ?

লাহোরের রামগলিতে বোম) বাংলার রাজসাহী পুটিয়ায় মেল ডাকাতি, আর চারিদিকে বিপ্রবী ইস্তাহারের ছড়াছড়ি এই সব নয়, তোমায় কিছু কিছু বলেযাই।

ভগৎ সিং বটুকেশ্বর দত্ত এসেম্বলি বোম! বিস্ফোরণের দায়ে তাদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপীল করেছিলেন; বিচারপতি ফোর্ড এডিমন এই বলে তা নামঞ্জুর করে দিলেন যে

[৮ $৪ 700 60990 6০ 585 6086 38826 91081) 800. 739 0915981)- ঘম৪ 10066 99 510087:915 800. 1)8.5810118,69]5 80008660 0 & 093178 00 81897 6109 101950006 01091 ০01 6111068, ভা০ 0০019 81086 109 8010921005 01 6179 0010109 10 6119 £88977)015১ 1)0ঘ- 959] ০৪৪9101]7 6109 171551165 10161)6 7959 1999100 01000 919 1001011)67)615 0:80£91005 8068) 9001) 8৪ 6109 8701)61190659 10709 138 0980080 60 1700) ০০] 10 ৪1] 10101080116) 08059 09896. 0: 6 616896) 901) 10081 10105 98 9৪ 1106] 6০ 08099 98610,

লাহোর মামল! গড়িয়ে গড়িয়ে চলছিল। ১৬-ই জানুয়ারি সিং, দত্ত আর কুন্দনলাল বাদে ১৫ জন স্পেশ্তাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক আবেদনপত্র পেশ করে জামীনে মুক্তি প্রার্থন! করলেন) কেননা, তাদের সঙ্গে তাদের এটন্শদের আদালত কিন্ব! জেলে দেখা করতে

১৮৩

দেওয়। হয় না, তাদের প্রতি অসদ্ধযবহারের অভিযোগ করলেও ম্যাজিষ্ট্রেট কর্ণপাত করেন না, আদালতের ঘটনার জন্য) এমন কি; আদালত অবমাননার জন্যও জেল করৃপক্ষ তাদের শাস্তি দিয়ে

থাকেন।

সেচনীবাজান্ োচ্মা্ মামলা

কলকাতার কলাবাগান বস্তিতে বোমা পাওয়ার জন্য: প্রথম দকায় ধর পড়লেন অপেক্ষাকৃত ছু'জন বয়স্ক সহ একদল'যুবক ; তাদের মধ্যে ছিলেন নিরপ্রন সেনগুপ্ত, প্রফুল্ল দাশগুপ্ত, সতীশন্দ পাকড়াশী, বিভূতি ঘোষ, শধাংশু দাশগুপ্ত, নির্মল দাস, রমেন্দ্ নারায়ণ বিশ্বাস, আনন্দ কুমার দা, দেবপ্রিয় চ্যাটাজি, ধরণীকান্ত বনু, নিশিকান্ত রায় চৌধুরী, স্ধাংশু কুমার আইচ।

আরও তল্লাশি আরও গ্রেপ্তার হয়েছিল কলকাতারই জোড়ার্সাকো থানায় মদন চাটাজি লেনের কাছাকাছি পাঁচু ধোপানী লেন; পার্বতীচরণ ঘোষ স্টাট এবং শ্যামপুকুর থানার কুমারটুলী অভয় মিত্র কাটের কয়েকটি বাড়ি থেকে ধরা পড়লেন £ মহিমারঞ্জন সেনগুপ্ত) সুবোধ রঞ্জন চক্রবর্তী, শচীন্দ্রলাল করগুু, মহেন্দ্র লাহিড়ী; রবীন্দ্র বসু, সুধাংশু মজুমদার, বিহারীলাল বিশ্বাস, সুধীর রায় চৌধুরী, সুরেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী; সত্যব্রত সেন, পান্নালাল দাশগুপ্ত, নৃত্যুগোপাল রায়) তারাপদ গুপ্ত।

সত্য, কলাবাগান বস্তির বোমা আবিষ্কার থেকে যে মামলা) তার আর একটা নাম মেছুয়াবাজার বোমার মামলা | শুধু একট! গোয়েন্দা কাহিনীমাত্র নয়) হচ্ছে ঝ।ংলার গুপ্ত বৈপ্লবিক দলে চাপা গুঞ্জনের একটা কবাট উদ্ঘাটন বোমাট! ফাটতে পারেনি, বোম পড়েছিল আসলে বৈপ্লবিক দলের নিক্ষির দাদাদের মাথায় |

বাংলার বিপ্লবী দলগুলোর প্রধান ছুটো৷ নাম অনুশীলন আর যুগান্তর ; অনুশীলন একটিই দল, অপেক্ষাকৃত বড় পরিব্যাপ্ত, কিছু প্রাচীনও | কিন্তু যুগাস্তর ঠিক একটি দল নয়, অনেক ছোট দলের

১৮৪

একট। ফ্রন্ট বিশেষ ১৯০৫ থেকে ১৯১০-১১ অবধি বাংলা দেশে' ষে ক'টি বিপ্লবী দল ছিল, ঢাকা! ষড়যন্ত্র মামল! মুরারীপুকুর বা মাণিকতলা বোমার মামলার উপসংহারের সঙ্গে সঙ্গেই তা স্তব্ধ হয়ে আমে ১৯১৪-১৫ নাগাদ রাসবিহান্নী বন্ু প্রমুখের উদ্যোগে একটা বড় রকমের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ঘায়। গান্ধীজী চিত্তরঞ্জনের অহিংস অসহযোগে ছ'মাসি স্বরাজের প্রতিশ্রতিতে বাংল! দেশের ক্রিয়াকলাপ মুলতুবী হয়ে গ্েছল, গোপীনাথ সাহার ব্যতিক্রম ছাড়া। তারপর আবার যেনব চেষ্ট। হয় তারই বিক্ষিপ্ত ফলশ্রুতি হচ্ছে দেওঘর, ষড়যন্ত্র মামল1। ককোরী ষড়যন্ত্র মামলা, লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা ইত্যাদি

বাংল! দেশে প্রবীণ বিপ্লবীরা৷ অহিংস অসহযোগকালে আত্মপ্রকাশ করার পর কংগ্রেস ক্যাপচারের দিকে এবং ম্যাস রিক্রুটের মাধ্যমে দলক্ষীতিতে আত্মনিয়োগ করেন ; দল বৃদ্ধি হয়, কিন্তু ছেলেদের মধ্যে ফিসফিসানি ছাড়া কোন কাজই দিতে পারেন না, সব কিছুই কর্ম- সূচীহীন রহস্তে আবৃত থাকে শুরু হয় গুঞ্জন ; কিন্তু তখন বড়দের ধমকের ভয় ছিল। শেষে সে ভয়ও কাটল, বড়দাদের ওপর স্তরের নিচে মেজদা-ছোড়দার। হাতড়ে হাতড়ে একে অপরকে আকড়ে ধরতে লাগল কলাবাগানে বা মেছুয়াবাজারে হঠাৎ নিম্ষল বোমার আবিফারে বিপ্লবীদলের এই অসামপ্তস্ত বিদ্রোহ উদ্ঘ/টিত হল। দাদার! “সামাল” সামাল” করে প্রকাশ্ঠেই বলতে লাগলেন) ওর আমাদের কেউ নয় ; অথচ এই দাদাদেরই অন্ত্রাগার লুষ্ঠনের মতো বৃহং কাণ্ডের তরফে অনেককেই কানে কানে বলতে শোন! গেছুল, আমাদের ছেলেদেরই কাজ অবশ্যই অসত্য বে-আবরু হতে বেশি দেরি হয়নি কিন্তু ধূমায়িত বিদ্রোহের স্পষ্ট রূপ প্রথম পাওয়া গেল মেছুয়াবাজারেই |

সৌভাগ্যবশত আমার হাতে এক রাজনৈতিক গোয়েন্দার একটি অপ্রকাশিত ডায়েরী এসে পড়েছে তাতে এই পর্যায়কে বলা হয়েছে “তৃতীয়” বল! হয়েছে £ ১৯২৮-এ সব নেতা ছাড়া পেলেন এবং সম্ত্রামবাদী অভিযানের তৃতীয় পর্যায় শুর হল। ১৯২৯-এ

এজ

বরিশাল সম্মেলনে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী নেতা সকল সন্ত্রাসবাদী প্রবণতা! একমুখীন এবং একই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সর্বত্র একসময়ে সশস্ত্র অভ্যু্থান সম্ভব করার উদ্দেশ্টে মিলিত হন। কিন্তু মতানৈক্যের জন্য এই উদ্দেশ্য সফল হয়নি অনুশীলনের উগ্রতর গোষ্ঠী বিদ্রোহ করে বসল এবং এইভাবে এ. আর. জি.-র উদ্ভব হল। যুগান্তরের কেউ কেউ প্রধান দল থেকে বেরিয়ে এসে এ. আর. জি.-তে যোগ দেন। সতীশ পাকড়াশী, নিরঞ্জন সেনগুপ্ত, শচীন করগুপ্ত, প্রতল ভট্টাচার্য এ. আর. জি.-র মুখ্য সদন্য ছিলেন। যুগাস্তরের নলিনী দাস প্রমুখ কতু়কজন এঁদের সঙ্গে যোগ দেন। মেছুয়াবাজার বোমার মামল। এই গোষ্টীরই ক্রিয়াকলাপের ফল। এই মিলন-ব্যর্৫থতার পর এঁরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে “একটা-কিছু-চাঞ্চল্যকর+ ঘটাবার জন্ত তৎপর হয়ে উঠলেন

ডায়েরীরই আর এক জায়গায় আছে £ অনুশীলন সমিতির তরুণের! প্রধান দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শঙ্কর মঠ সদস্যদের সঙ্গে মিলে এক প্রতিদ্বন্বী দল গড়ে তুললেন | এঁদের মধ্যে ছিলেন নিরঞ্জন সেনগুপ্ত (অনুশীলন থেকে বিতাড়িত )১) সতীশ পাকড়াশীর নেতৃত্বে সুধীর আইচ, সুধীর দত্ত; ( ঢাক৷ অনুশীলনের প্রতুল গাঙ্গুলী- বিতাড়িত ) প্রতুল ভট্টাচার্য, কলকাতার বিনয়েন্দ্র রায়চৌধুরী, ঢাকার সতীন রায়, ব্রজেন দাশ এবং জে. কে. ওয়াই, এ. ইত্যাদির একাংশ | সুশীল দাশগুপ্ত, মুকুল সেন, বীরেন কুশারী, ধরণী বিশ্বাস (সংগঠক ) প্রমুখের পুটিয়া মেল ডাকাতি, এবং মেছুয়াবাজার বোমার মামলা! পাঁঢু ধোপানী লেনের 'আবিষ্ষার'। এদের তৎপরতার পরিণতি ১৯. ১২. ২৯.-এ কলাবাগান বস্তিতে বোম। সম্পর্কে সতীশ পাকড়াশী নিরঞ্জন সেনকে গ্রেপ্তার কর! হয় জেলা সংগঠনের তালিকায় ধাদের নাম পাওয়। গেছে তাদের 'অধিকাংশই বরিশাল শঙ্কর মঠের

এও এক তরুণের বিদ্রেহ এবং এই অস্থির মানসিকতা স্বাধীনতা দিবসকে নিঃসন্দেহে পুষ্পিত পল্পবিত করেছিল। স্বাধীনতা দিবস

১৮৬

পালনের আগের বিস্মৃত দিনগুলে৷ থেকে মেই সব রত্ব আহরণ করে তোমায় দিচ্ছি, দিনটিকে উপলব্ধি করার জন্য |

তারই একটি রত্ব মাফিণ সাংবাদিক সুলেখক জে. টি, সাগ্ডারল্যাণ্ডের “ই গুয়া ইন বণ্ডেজের” বাজেয়াপ্তি। আমার বেশ মনে পড়ে “মডার্ন রিভিয়্যুতে যখন ওর অধিকাংশ অথব! সব প্রবন্ধ মাঝে মাঝেই বেরিয়েছে অপূর্ব আত্বাদ নিয়ে পড়েছি, সাগ্ীরল্যাণ্ডের কোল্ড লজিকে বিমুগ্ধ হতাম। মডার্ন রিভিয়ুর যোগ্য প্রখ্যাত সাংবাদিক-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসাদে বি. ডি. বসুর “রাইজ অব দি ক্রিশ্চিয়ান পাওয়ার” অথবা ডিগবির বইয়ের পর, নামটা ঠিক এক্ষুনি মনে পড়ছে না, অথবা মিস মেয়োর “মাদার ইণ্ডয়ার” জবাবে লাল! লাজপৎ রায়ের “আনহ্যাপি ইগ্ডয়ার” পর অনেকদিন স্বাদ পাইনি মডার্ন রিভিয়ু!য়ে যদ্দিন খণ্ড থণ্ড বেরিয়েছে তদ্দিন কিন্তু বৃটিশ সরকারের শ্রেনপৃষ্টি বইটির ওপর পড়েনি। পড়ল বইয়ের দ্বিতীর মুদ্রণের পর। হঠাৎ মনে হল যথেষ্ট রাজপ্রোহ তো ছড়িয়ে গেছে, অতএব, বাজেয়াপ্ত হল। সম্পাদক চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে বইখানির মুদ্রাকর প্রকাশক হিসেবে বাজেয়াপ্তির বিরুদ্ধে আগীল করলেন সজনীকান্ত দাস। কলকাতা হাইকো টের প্রধান বিচারপতি সহ বিচারপতি স্ুরাবদর্শ বিচারপত্তি পিয়ার্সনকে নিয়ে যে স্পেশ্ঠ।ল বেঞ্চ গঠিত হল তার] দীর্ঘ এক রান দিলেন

'হ্ডম্া ইন ণ্ডেজ, বইখানির পুরো নাম “ইগিয়া ইন বগ্ডেজ : হার রাইট টু ফিডাম?। বাজেয়াপ্তির তারিখ ১৯২৯-এর ১৩ই আগস্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮-এর ডিসেম্বরে, দ্বিতীয়বার ১৯২৯-এর মেমাসে। * বিচারকদের মতে লেখকের লক্ষ্য আমেরিকার পাঠক সমাজ | বিচারকের! বাজেয়াপ্তি সমর্থন করবেন এইটে স্থির করে নিয়েই যেন

|

বইটি, বইয়ের লেখক লেখকের উদ্দেশ্ের বিচার করেছেন এবং বলেছেন £

“বইটির সাধারণ বক্তব্য যুক্তি হচ্ছে, গ্রেট বৃটেনের ভারতবর্ষ শ্লাসন করবার কোনো অধিকার নেই, এই শাসন অনঙ্গত, নিপীড়ক বিষময়। মনুষ্যত্বের ওপর অপরাধ এবং বিশ্বের স্বাধীনতা শাস্তির পক্ষে আপদন্বরপ। বইটির আসল উদ্দেশ্ত-_ আমেরিকায় যে ব্যাপক ধারণা আছে, ভারতে রী শাসন তর্কাতীত কল্যাণবহ হয়ে আছে তা! দূর কর11.. |

“ভারতে বৃটিশ লগা চর জন্য একটি অধ্যায় লেখ। হয়েছে; আর একটি হয়েছে ভারতের আইনব্যবস্থার নিন্দাবাদে। লেখকের খবর এই যে, ভারতের আইনব্যবস্থার রচয়িতা মেকলে।

“নুতরাও, প্রশ্ন হচ্ছে, বইটিতে রাজদ্রোহাত্মক বিষয় আছে এবং তার প্রকাশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারানুনারে দণ্ডনীয়-_-এ বিষয়ে আমর! সুনিশ্চিত কিন আমার মতে এর একটিমাত্র সঙ্গত জবাবই আছে যে, এই বইটিতে বিধানগুলো বারংবার লঙ্ঘিত হওয়ার ঘথেষ্ট দৃষ্টান্ত যে কোন আদালতকে বিষয়ে সুনিশ্চিত করবে। আমার বিচারে এইটিই প্রতীয়মান হয়েছে যে এতে একনাগাড়ে চেষ্ট| হয়েছে বৃটিশ-ভারতে আইন সুপ্রতিষ্ঠিত বৃটিশ সরকারের প্রতি বিদ্বেষ) ঘ্বণা অসন্তোষ সঞ্চারের | এই বিদ্বেষ ঘ্বণা অসন্তোষ সঞ্চারের উদ্দেশ্যেই সরকারের সকল ব্যবস্থা, প্রশাসন অথবা ক্রিয়াকলাপের অপযশ কীর্তন করা হয়েছে ।*****।

00 [07020069089 1006890 01)01) দ911-010 11109) 6৮67৮ 651] 800 1001910750106+ 108 1% 0000]: 001:58+ 01010000089? 12771709 ০0৮ 81056001706 9196) 19 86100269060 619 181081151 8০761007906 আ1)099 10:68810 071810 9100. 010819,0661 19177819690 01000 ৪6 ৪91 70869. 1109 108890638 0116৪ 1006159 19 6109 861: 6980 8%10180961010 01169 1)01105)... ....

“চিরাচরিত ধারানুসারে, প্রতিটি আপদ ছর্গতি-_তা মগ্ঘপানই হোক, আফিম সেবন হোক; ছুভিক্ষ অথবা আর যা কিছু হোক; তার

সিনে

জন্য দায়ী কর! হয়েছে ইংরেজ সরকারকে ; উৎপত্তি প্রকৃতিতে যে বিদেশী সরকার তা৷ প্রতি পাতায়ই বলা হয়েছে এর নীতি ব্যাখ্যায় এর হীন উদ্দেশ্য আরোপ সতত প্রস্তত।"

বিচারকেরা তো৷ এইভাবে প্রাণ ভরে বইটি বইটির উদ্দেশে নিন্দাবাদ করলেন, কিন্তু যাদের স্বপক্ষ সমর্থনে এত অপযশ তাদের দু'জন ১৯৩০-এ ভারতবর্ষ স্বাধীনতা -প্রস্তাৰ গ্রহণ করায় কি রকম ক্ষ্যাপা সভ্যতার পরিচয় দিয়েছেন শুনবে ?

১৯-এ জানুয়ারি লগ্ডনে আর্ল উইন্টার্টন বললেন £

11660099081] 60108001109 2790007৮ 61)88 00780860901 00900819610 0053 2 1011)]% 015,061 73021191010791) 8,06106 101) 0901925%9 00078£89 97199660 1৮. (09,007) 8100 006 & 00610811090 110 911110009. .১00 1700-0001)978,61010 100107901896915 09011800990. 7119 1)8958106 9.0112011019618,01010 1099 01096 60199 93080])]19 60 100110ত 81) 6119 1001105 ভআ1)10 ভ3 1011060 আ1)01. 016 8799 01 উ[, 09001) আ্ব2৪ 06091790. 10010.”

একটি নয় আরও একটি : এটি হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার নাম

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যালীলার সঙ্গে অবিচ্ছ্গ্ভাবে জড়িত | স্তার

এম. ও. ভায়ার, লগ্নে ৫ই ফেব্রুয়ারী এক ভোজসভায় চিবিষ্ে চিবিয়ে বলেছিলেন £

[61079500913 01০০ ০০1] 60 61110191106 8, 2000106৮৪৫০

609 590161009 2110 265010010118)5 1)08681115 1910 26 191)019

6109 [00100 ৮৫8 ৪৪ 6০0) 000 2010 0109 765010610109

119, 18,15০0. 1096990. 69 08,101006 10011) (881176 1 দড৪ 913

10 18,10019 61610 16 অ০0 00৮ 179,569 1069010 8110%590. 60 09011.

[10019 19 108106 8৪৪,0719069. 60 [06119 10989115175. 731161518 00116101879) 00980801719) 19 16 60 09 880118090. ?”

একজন স্বাধীনতা-দিবস পালনের আগে, একজন পরে? কিন্তু উপলক্ষ এক, অর্থাৎ স্বাধীনতা-প্রস্তাব। “ইপ্ডিয়। ইন বগ্ডেজ বইয়ের বিচারকের! যত দোষ ওতেই দেখলেন) দেখলেন না) কি মানসিকতা থেকে সিডিসান আর অসন্তোষের উদ্ভব হয়। আর্ল উই্টারটন বা স্যার ও.ডায়ার লগ্ডনের কোন বিচ্ছিন্ন মানদিকতা নয়,

১৮৮

এখানেও, এই ভারতবর্ষেও, যেসব ইংরেজ অফিসার ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই ছিল তাদের মানস-সহোদর একথা আর কেউ নয় নির্ভেজাল ইংরেজ মিঃ ব্রেলসফোর্ড নিজে চোখে দেখে লিখে গ্রেছেন। তিনি আইন অমান্তা আন্দোলনের সময় এদেশ সফর করেহিলেন এবং ম্যানচেস্টার গাডিয়ানে প্রবন্ধ লিখেছেন। তাতে বনু দৃষ্টান্তের উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতা-দিবস উদযাপন করে দিয়ে আইন অমান্ত আন্দোলনের কথা যথাস্থানে তোমায় বলব তাতে তার মন্তুবাটুকু বিচারকদের দৃষ্টিভঙ্গিকে মোটেও সমর্থন করে নাঃ সেটি বলি। তিনি বলেছিলেন-ঃ |

“00780 61091001109, ৪5912 01006710706119]) 012091:9) 01113 10098176 60 11011106 10179108,] 1)017191000910% 101 0158.090610109 1. 0019 1706 00096.”

গীড়নের গর্ভেই জন্মালে! অসন্তোষ আর বিদ্রোহ, যখন ভাষা পেল তখন তাই হল আইনের চোখে 9158:9506107) 520101010। বিদ্রোহ আইনভঙ্গে আইন অমান্যে ; কিন্তু যারা আইনশৃঙ্খল! রক্ষার অভিভাবক তারাই আইন ভাঙ্গতে লাগল বেশি করে ; আইনের কেতাব ছেড়ে অডিনান্দের হাতিয়ারে শুধু নয়, সত্যি ছু'পায়ে সকল আইন কানুন মাড়িয়ে দিতে লাগল সঙ্ঞানে |

কনফেণ্টশন !

শুরু হল ২৬-এ জানুয়ারি স্বাধীনত। দিবস পালনের উপলক্ষ্যে সত্য; কারও সাধ্য নেই এই মহাভারতের সংগ্রাম পর্কে যথাসাধ্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন | ধার! এর ভেতর দিয়ে এসেছেন তাদের পক্ষেও এর গভীরতা ব্যাপকতা উপলব্ধি করা সম্ভব হয়নি। তারপরেও কেউ তা যথামথ সঙ্কলন করেননি এর মধ্য থেকে মোটা দাগগুলো! শুধু লক্ষ্য করলেই বহু খণ্ডের মহাকাব্য হবে। আমি সে চেষ্টা করব নী। একট! ভগ্নাংশ বলে যাই।

সঙ্গে সঙ্গে বলে যাই, আমি শান্তিপূর্ণ থাকতে চাইলে বা থাকলে আমি অহিংলা1! পালন করে ওদের সকল আইনকান্ুনের শেষ কারাগারে প্রবেশ করলেই আবহাওয়। প্রশান্ত থাকবে ধারণা

১৯,

একেবারেই ভুল? ১৯৩০-এ তা প্রতি পদে প্রতিপন্ন হয়েছে ; সন্ত্রাস- বাদীদের জন্যই মিলিটারি সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি ঘটে, গান্ধীজীর এই. তত্ব যে ভ্রান্ত তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে অপরিমেয় রক্ত-লেখার় |. সে লেখাও আমরা পড়ব।

২৬-এ জানুয়ারি চিহ্টিত করে রাখবার জন্য কলকাতা কলেজ প্টিট মার্কেটের খাদি মণ্ডল একটি সুন্দর স্ট্যাম্প ছেপে বিলি করলেন, খামের ওপর অনায়াসেই টিকিটের পাশে সেঁটে দেওয়া যায়। হলদে কাগজে সুন্দর করে ছাপা ছোট ছোট ব্যাপার, আজকের দৃষ্টিতে হয়তো তুচ্ছ বা হাস্তকর, কিন্তু মনের অভিব্যক্তি বোঝা যায়।

আশক্কিত ইংরেজদের আশ্বস্ত করে গান্ধীজী ২৩-এ জানুয়ারি £ইয়ং ইত্ডিয়ায়” লিখলেন £

“0৮ 11869597010 800. চয1)60%97 11910009133) 77 [8021191. [121)09 ছা1]] 80091) 100 010. 0119, 11196 ] 900 17010919100 09 1)768] 30615]) 10900889১ ] 217 00 91090) 01 13716810,

ছেট ছোট কথা, ছোট ছোট আশ্বাস সেকালের আবহাওয়ায় কত তাৎপর্যপূর্ণ

স্বাধীনতা-দিবস পালনের শ্রোতোধারায় এসে মিশেছে অনেক ছোট স্মক্ষ্ম অদৃশ্য প্রায় ক্রোত, এসে হারিয়ে গেছে প্রধান অ্রোতোধারায় ; তার মধ্যে কাউন্সিল বর্জনের কার্ধসূচী নিয়ে কিছু মতদ্বৈধ হয়েছিল ; মদনমোহন মালব্য প্রমুখ ব্যক্তিরা এটি চাননি; কিন্তু একথ! স্পষ্ট করে বলা দরকার, ধার! ডেমক্রাটিক পার্টি গড়েছিলেন তাদের মুখ্য প্রবক্তা শ্রীনিবাস আয়াঙ্গার সুভাষচন্দ্র এই কার্যস্চী সমর্থন করেছিলেন এবং ক্ষমতাধিষঠিত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কাউন্সিল বর্জনের পক্ষেই সমর্থন জানালেন। কিন্তু পষ্টভি সীতারামায়৷ এই ছৃ'টিকে একাকার করে ব্যঙ্গ করেছেন, গান্ধীজী প্রস্তাবের বিরোধীর! একই মুখে স্বাধীনতা কাউন্সিলে থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু মালব্যও আন্দোলন শুরু হবার পর কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, যেমন পদত্যাগ করেছিলেন লেজিসলেটিভ এসেম্বলির প্রেমিডেণ্ট ভি. জে. প্যাটেল। ম্যাজিক ল্যাপ্টার্ণ বক্তৃতা

৯৯৯

দেবার জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রাজদ্রোহের মামল। চলছিল “ককোরী ষড়যন্ত্র মামলা” বইটির লেখক মণীন্দ্র নারায়ণ রায় মুদ্রাকর নির্মল চন্দ্র গুহ বর্মনকে ছুই বৎসর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কলকাতার চীফ প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট দীর্ঘ এক রায়-লিপিতে মন্তব্য করলেন £

কুক্কোন্লী অডক্জ হাচ্মলা

179 15019 ছা] 8৪. ৪৮%1067361% 00126 175 ৪, 600510080 7৪৮%010610178,ঠ 60 8:০0] 795010610108195) 900 81)1799,] 60 [07990106095 50018 60 0.0 1119 189. 16 19 10019 29010010108] [17019 69009, 0010 05 60 18,906. 71077006110 6109 (90900759706 19 198,690. 98 6109 19616100859 01061007%5 ৪00. 91001000188 9001) .১১০০০০০১০]00259 00 10691626100 00 21917 19901108 01 6109 11010 10001 111 97101100 &19% 6109 5019 11797061010 01 119 8/001)01 আ৪,৪ 60 01:09009 8,101999 01 769ড%0106101019,5 10010861008 1008,1001)0 [01] 099 01 6109 0100,061010 1)8 ০0010 ৪৮1] 01) ০006 01 0179 1))9৮০৮৮ ০01 15910070 1089016৮870. ৪0039006706 6:18].

দেখ সত্য, ম্যাজিস্টেট আইনের চশমায় বিপ্লবীকে ক্রিমিনাল হিসেবেই দেখলেন, নিরুদ্ধ, অবসন্ন, আচ্ছন্ন মানস-চোখে দেখতে পেলেন না ভীরু এক জাতের নির্ভয় জাগরণ দেখতে পেলেন না কোন্‌ কোন্‌ জলধর থেকে, ক্যাচমেণ্ট থেকে স্বাধীনতা-দিবসে চাপ এসে পড়েছিল আইনের সুইস গেটের ওপর; কৃত্রিম বাধ ভেঙ্গে চুরে মারা ভারতবর্ষকে ভাসিয়ে নিতে আসন্ন হয়ে পড়েছিল আইনের প্রহরীর! জাল ফেলল বিধিনিষেধের, ধাতে-ন। এঁ দিবসটি পালন করা সম্ভব হয় মিছিল, সভা নিষিদ্ধ। অর্থাং আইন অমান্যের প্ররোচনা দিল আইন প্রহরীরাই। কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক আইন অমান্য আন্দোলনের দেড় মাস আগে।

আমি তখন কলকাতায় ; ২৬-এ জানুয়ারিতে যে কোন অঞ্চল ছিল সার! ভারতের দর্পণ; কলকাতা তে! বটেই আমিও শ্রদ্ধানন্দ পার্কের সভায় আবৃত্তি করেছিলাম | ভাবলে কেমন একটা অব্যক্ত “ভাব জাগে, তোমায় বোঝাতে পারব না। তবু সৰ কেমন অস্পষ্ট

১৯২

হয়ে এসেছে, তাই তোমায় অমৃতবাজার পত্রিকায় পরদিন ২৭-এ ষে বিবরণী বেরিয়েছিল তারই মর্মার্থ বলে যাব £

“কংগ্রেসের আবেদনে সাড়। দিয়ে বরাবর কলকাত। ভারতের প্রথম নগরীর যোগ্যরূপেই স্বাধীনতা দিবস পালন করল। গত কয়েক দিন ধরেই আয়োজন চলছিল এবং এই বিশেষ দিনটির উষা জাগল এক চাঞ্চল্যের মধ্যে, নরনারী শিশু সবার চিত্তে এক নতুন উদ্দীপনার স্পন্দন আটটা বাজবার অনেক আগেই শহরের প্রত্যেক পার্কে সাগ্রহী জননাধারণের সমাবেশ হল--সমাজের কোন্‌ স্তর থেকে তারা না এসেছে ? একমাত্র লক্ষ্য, পতাকা উত্তোলন দেখবে। অনুষ্ঠানের এই-ই সব।

“দেশবন্ধু পার্কে এক অধপূর্ব চিত্তস্পশী সমাবেশ হয়েছিল; সেখানে কর্ণেল এম. ঘোষের পরিচালনায় বেঙ্গল ভলাটিয়াসের এক র্যালি হয়েছিল; তিনি জি. ও. সি. সুভাষচন্দ্র বন্ুর হয়েই সৈনাপত্য করছিলেন সোনালীবর্ণের উজ্জল রোদ এসে পড়েছে মাঠে ; আর তেমনি গম্ভীর পরিস্থিতি; এরই মধ্যে মেয়র জে. এম. সেনগুপ্ত বিউগল্‌, বন্দেমাতরম্ঃ লং লিভ রিভলিউয়ান ধ্বনির মধ্যে পত্তাকা তুলে দিলেন।

“নির্দেশে অনুদারে বেঙ্গল ভলাটিয়াসের পদাতিক, অশ্বারোহী মোটর সাইকেলারোহী সকাল ৭টার মধ্যেই সারি দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন; ইউনিফর্ম পরিহিত অফিসার ভলাটিয়ারও একই সময়ে সমবেত হয়েছিলেন পতাক। উত্তোলনের সময় নির্দিষ্ট ছিল সকাল ৮1; কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই লোকালয়ের অধিবাসীরাও নান। জায়গা থেকে আগত ভদ্রমহোদয় মহিলাগণ এসে পড়ে- ছিলেন। গেটের মুখে হাজার হাজার জাতীয় পতাক। বিক্রী হচ্ছিল। গোটা পার্কটিকেই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা ফুলে সুন্দর সাজানে৷ হয়েছিল ; আর, পার্কের মাঝখানে ছিল একটি বড় পতাকা- দণ্ড তারই মাথায় এইমাত্র যে পতাকা উঠেছে তাতে বাভাসের ঢেউ খেলে যাচ্ছিল।

১৯৩

স্বাধীনতা-_-১৩

“এই সমাবেশে মেয়র সেনগুপ্ত ছাড়াও ছিলেন তার স্ত্রী, জালালুদ্দিন হাসেমী, মৃনালকান্তি বস্তু, অমল হোম। কে. এল. গ্াঙ্থুলী, মৌলবী লামস্থদ্দিন আহমেদ, এস. পি. বস্তু, লতিকা বন্ধু, নিস্তারিনী দেবী, অরুবাল! সেন

“পতাকাটি তুললেন সেনগ্রপ্ত, কিন্তু সন্কল্পবাক্য পাঠ করলেন জালালুদ্দিন হাসেমী; কেননা, অসুস্থতা বশত সেনগুপ্ত ছিলেন কাতর “মাণিকতলা পার্ক-এ তুললেন সিমল! ব্যায়াম সমিতির পক্ষে হেমন্ত কুমার বসু; গিরিশ পার্কে গোষ্টবিহারী শেঠ, কর্ণওয়ালিশ পার্কে ডাঃ যতীন্দ্র নাথ মৈত্র; ছাড়া, বাছুর বাগান, বেলেঘাটায় উঠল পতাকা; কলেজ স্কোয়ারে তুললেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত; ওয়েলিংটন স্কোয়ারে বিনয়েন্দ্র কৃষ্ণ বন্থ, গড়পারে অধ্যাপক নৃপেক্দ্র চন্দ্র ব্যানাজি, বিডন স্কোয়ারে স্থুরেশ চন্দ্র মজুমদার, তারা স্ুন্ৰরী পাকে মুলর্টাদ আগরওয়ালা; উঠল বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে, হোস্টেলে এবং গেরস্থবাড়িতেও |

“অপরাহে মিছিল বেরোলে। মনে হল সারা কলকাতার সব গেরস্থরাই সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছেন ব্রাস্তায় | তরুণ কিশোরদের আপাদকণ্ঠ খদ্দর, বক্ষে ত্রিবর্ণ ব্যাজ, কণ্ঠে কণ্ঠে বন্দেমাতর্ম্‌ ধ্বনিত উত্থিত প্রতিধ্বনিত; অলিগলি সব জায়গ1 থেকে মিছিলের স্রোত বেরিয়ে আনছে, মিশতে চাইছে এক জায়গায় এসে যেখানে সভা হবে।

“অল বেঙ্গল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের আহ্বানে বহু কলেজের ছাত্র সমবেত হল এমে এসোসিয়েশন অফিসের সামনে | তিনটের মধ্যে ৫০০০ ছাত্রের এক শোভাযাত্রা সাজানে। হল হ্যারিসন রোডের ওপর ; প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পতাক নয়তে। বা নান! রকমের বাণী লেখা পোস্টার। শোভাষাত্র। গেল হিন্দু হোস্টেল, হািগ্ হোস্টেল, রিপন হোস্টেল, বঙ্গবাসী, সিটি কলেজ; তারপর আমহাষ্ট স্বীট, স্ুু(কয়! স্ীট। কর্ণওয়ালিশ স্ত্রী, বিডন গ্ত্রীট হয়ে থামল এসে

১৯৪

বিডন ক্কোয়ারে যে সব পথে এল এই শোভাযাত্রা তাদের হ'পাশে দর্শকেরা শোভাযাত্রীদের ওপর করলেন পুষ্প বর্ষণ আর মেয়ের বাজালেন শঙ্খ | “বি. পি. এস. এফ.-ও এমনি এক বড় মিছিল বের করেছিল |

«একবার কিছু ভিন্ন ধরনের উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছিল। হাজরা পার্কের বিরাট সভাশেষে কয়েক হাজার নরনাব্ীর এক মিছিল এগোলে। আলিপুর সেপ্টাল জেলের দিকে ; সেখানে ছিলেন সুভাষ- চন্দ্র বনু, ডাঃ জে. এম. দাশগুপ্ত, কিরণশঙ্কর রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ | এই সবে তার! কারাদণ্ড নিয়ে এসেছেন। চলল সেখানে বিক্ষোভ অনেকক্ষণ ধরে, জেল-গেটের সামনে ; উত্তেগন! ফেটে পড়ছে কণ্ঠে কে £ 10০0৬ আ10. [00100 19010 সা 100, 0801009] 1125) [009৮ 10) 10006119115) 00 10 [২০৬০19001 বন্দেমাতরম্।

“কিন্ত পুলিশ এখানে সত্যি ছিল অহিংস নিরুপদ্রব “অসহযোগী' ; সাধারণত যা হয়, ত। হয়নি, লাঠি চলেনি, গুলি চলেনি। কাদানে গ্যাস তখন ছিল ন|।

স্সাশ্রীনতান্স ক্র

এমনি সর্ধত্র | কলকাত। ছাড়িয়ে শহরতলী, শহরতলী ছাড়িয়ে মফংম্বলের শহর-গ্রামাঞ্চল। বাংলা! ছাড়িয়ে আসাম থেকে কচ্ছ, হিমালয় থেকে কন্ঠাকুমারিক!।

স্ুভাষচন্দ্রের পাণ্টা-সরকারের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করার পক্ষে গান্ধীজীর সব চাইতে বড় যুক্তি ছিল, কংগ্রেন কি ভারতের লক্ষ গ্রামে পরিচিত ?

বুঝলে, সতা, এর কিন্তু একটি জবাবই ছিল এবং আজও আছে। পৃথিবীর ইতিহাস কোথাও তুমি পাবে না যে, কোন রাষ্ট্রবিপ্লবে শতকরা একশটি মানুষ অথবা শতকর1 একশটি অঞ্চলই লিপ্ত হয়েছে। এদেশে গান্ধীজীর নেতৃত্বে অথবা আহ্বানে অথব! উদ্যেগে যে সব

১৯৫

আন্দোলন হয়েছে সেগুলোই “বৃতত্বম” | তবু তাতে প্রত্যক্ষভাবে কারাদণ্ড হয়েছে সারা ভারতে সর্বসাকুল্যে আশি হাজারের বেশি নয়, অন্যান্তভাবে জড়িত হয়েছে, খুব বেশি হলে ছু'লক্ষ, অথবা তুমি এক কোটিই ধর-_পঁয়ত্রিশ কোটি তো নয়? এবং তাও প্রধানত বৃটিশ ভারতে, সাতাশ। দেশীয় রাজ্যে নয়, ফরাসী, পতুশীঙ্গ অঞ্চলেও নয়। সেই অর্থে ওগুলে। সবভারতব্যাগী না হলেও কে বলবে ওগুলে! ভারতীয় ব। ভারতের আন্দোলন নয়? ইংলগ্ডের, ফ্রান্সের আমেরিকার, রাশিয়ার, চীনের বা যে কোন দেশের রাষ্ট্রবিপ্লবের প্রত্যক্ষ অংশীদার ক'জন? বড়জোর শতকর! পাঁচজন? এত বড ভারতবর্ষে হিসেব করলে তাও নয়। তবু এমন বললে অসত্য হবে না যে, সেদিন সার! ভারতবষে ১৯৩০-এর একটি দিন-_২৬-এ জানুয়ারি-_-এই শপথবাক্য উচ্চারিত হয়েছিল £

“দু 09119৮9 65০৮ 18 15 119 1109116119,019 2161) 01 018 10018)

1)901019, 8৪ 01 900 06100] 1)601019১ 60 11958 £7989000 200 6০0

61010 609 17770716801 01091 6091] 200. 170৮9 1090959516188 ০01 1119, 50 618৮ 00৪৮ 108 10959 101] 09০0:0016193 ০1 £:০ 013.

“আমর। বিশ্বাস কর্সি যে, যে-কোন দেশের মানুষের মতো! ভারতীয় জনসাধারণেরও যাতে পরিপূর্ণ বিকাশের অবকাশ উন্মোচিত হয় এজন্য স্বাধীনতা এবং শ্রমলবদ্ধ ফল ভোগ জীবনধারণের প্রয়োজনীয় বস্ত লাভে তাদের আছে অবিচ্ছেগ্চ অধিকার |”

বিচিত্র ভারতের বিভিন্ন মাতৃভাষায় ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হল £

স্ব69 091167%6 9,190, 608 11 805 00%6101009106 090071599 & [601016 ০01 61)999 7121068 970. 01)1073৪ 6109170১ 6109 1901)19 10859 9 10:61)91 16106 60 91692 16 0) 60 9/901191) 16,10006 13116191 (90591000910 10 [00181] 23 1006 0015 091071%90 6139 1170191) [0901)]16 01 81091 17990002) 056 1789 18960. 19911 00 609 65010686101, ০0 6109 108,8398১ 900 1089 7017790 17018 99010010010811% 1011610911১ 800 ৪1010608115, দ্ও 109116-%9) 0109191019১ 077৪6 [0019 10086 86509 6139 716151)

00700906100. 20 86510 078) 81:9] ০] 00200001969 [7109109170.01709,

১৯৬

«আমরা এও বিশ্বাম করি যে, যদি কোন গবর্মমেন্ট কোন দেশবাসীদের এইসব অধিকার থেকে বঞ্চিত নিপীড়িত করে, তবে সেই দেশবাসীদের গবর্নমে্ট পরিবর্তন উচ্ছেদসাধনেরও অধিকার আছে। ভারতবর্ষে বৃটিশ গবর্নমেণ্ট ভারতীয় জনসাধাণকে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রেখেছেন তাই নয়, জনসাধারণের শোষণের ওপরই সে তার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে আছে এবং ভারতবর্ষের অথনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আত্মিক সর্বনাশ সাধন করেছে। স্থতরাং আমরা বিশ্বাম করি যে, ভারতবর্ষকে বৃটিশ

সম্পর্ক-ছেদ করতে হবে এবং পুর্ণ স্বরাজ অথবা অখণ্ড স্বাধীনত। অর্জন করতে হবে ।” |

41001811785 1091) 7810067 90010020108]10. [119 1050009 06115001000 ০007" 10601)189 19 ০00৮ ০01 811 [01010075101] 6০ ০001 10100109. 007 9৮91:88£6 11000200619 90৮81010109 (1699 (17817 9 10670009 ) 196: 0%5, 800. 01 6119 1092, 6988 8 108 0 1007 06736 89 1:8.18690. 17010 6109 118।7)7 [30৮61006 9911597. 107070 6139 1099,89/0659 8,100 31061 09706 10010 0106 9816 1078,52 11101) 19119 17009 1)09%115 ০00 0106 10001,

“স্ব1)1829 10010961165) 500) 83 109,0081)1110176) 1১89 1090] 0989610599১ 198,106 (6118 109952/06 1919 10৮ 9%6168,8৮ 1001 100106105 11 0109 598১) 800. 0011100 (10917 11706911606 10: 912 0117800101:8,169) 2100. 006101106 7095 06910. ৪0৫09961603690) 9,8 11) 061) 0001067163১ 101 61069 078,188 61008 098670590.১

“ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমাদের স্বদেশবাসীদের কাছ থেকে যে রাজন্ব আদায় করা হয় ত। তাদের আয়ান্বপাতকে ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের দৈনিক গড় আয় সাত পয়সা হে পেন্সেরও কম ) এবং আমরা যেকর দি তার শতকরা ২০ ভাগই কৃষক সমাজের কাছ থেকে ভূমিরাজন্বরূপে এবং শতকরা ভাগ লবণ কর হিসেবে গরীবের ওপরই পড়ে।

“সূতাকাট! প্রভৃতি গ্রামীণশিল্প ধ্বংস হয়েছে; ফলে কৃষকসমাজ বছরে অন্তত মাস কর্মহীন হয়ে থাকে; কুটিরশিল্পের অভাবে

১৯৭

তাদের বুদ্ধিভ্রংশও ঘটছে, কেনন।, তার পরিবর্তে কিছু অন্যান্য দেশে যেমন হয়েছে এখানে তা হয়নি, শিল্পই গেছে ধ্বংস হয়ে

3৬০

009602009 800. 001:900% 17859 10901) ৪0 12801018660 8৪ 60 11981) (01:৮1)97 10010810900 6179 1068.58065- 13116191) 00800- 1৪,০60] 60093 90129616069 0136 10110 0 ০0৮ 110000769, 00960779 706199 7096৪, 6198 10976191165 101 1311 81910 10800- 18,000013১ 27৭ 29591009010) 1106]. 1৪ 0960. 006 60 16891) (179 10070612010 01290095999 1006 10) 90369110176 9, 1)101)]19 8%0:956900 201011015696100- 96111 10028 ৪016 083 08910, 6108 1008/011)018,01010 01 9য0108,1759 79010 11100 1783 "98106909. 17011110109 10911) 07:8,11090. %৪,/ [010 6109 001106:$*

4[১01161981]15) [09189 ৪0903 13858 0959. 10900 50 20009. &3 10091 619 13171601910 19817179, 7:9100009 1)9৮9 61598 2981 [009116109,] 10061 6০0 6179 10901018. 17109 691199% 01 09 1099 6০ 106107 1)81079 1079180 8,01001165. [00197151063 01 17:99 91019559101) 200. 1769 98800196100 119,59 10991 990190 60 09) 8/00 10190 01 007 00010651081 9৪ 00172091167 6০ 119 117 9119 91)080 900 08101006 96071 60 10911002069. 41] 8,01001111568,01%9 19191) 18 1011190. 900 6109 1109,3583 108,9 60109 99/1999ণ] 161) 09665 ৮111809 000021 200 01911091011)9, 100] 0081]5, 609 8596910 01900086100 1199 60110 0৪ 1000 00] [7000011009 800. 09,1101106 1093 7009,09 03 1105 609 ০: 01091103 01786 0100 0৪. 90101600115) 90010018070 01897009000] 1189 00909 09 01010081015 8700 0109 0019981309 01 80. 21191) 900 01 9905100610709 61001010560. চ্ছ160 068,015 99906 60 010910 10 09 676 9101716 01 19919680068 1)8,3 10809 03 10110] 61096 দাও 09/11006 1000 81691. 001891599 ০৮ 106 01) 08191008 8,080180 10161010 8,£095910109 01 9910 0619100 ০00: 1102099 9,100 181011193 [0077 609 %668005 0 81019583১ 10100875 800. 177150198,065, “ভয০ 77010 18 60 009 9 0711729 8,251096 1090 %00. £00. 60 ৪010291 80৮ 1006 60 7০119 61086 1099 08990 61018 (0৮-6010 0.1888691 90০ 03 90006, 9900156) 1)0৮76591) 61186 61091107099 979098159 %5 ০01 £81101176 000 19890001018 2006 617100810 ড101617096. ৬6 '1]1]) (179:910:9) 0:2108:5 00891595 105 আ?6 07971178) 8৪ 19" 8৪ 090) 81] ড01010685 88900186101) 1000) 609 131161810 00561100090) 200 11] 0909: 101 ০0111

01901090191008+ 17701001108 7)000-08 00906 01 68:65 100 00178 ৮10191009১ 65910, 00087 02050086100 61]] 009 ৪2৭ ০01 6218 11010010090 21019 18 8,850760. 9, 0109191019১ 109:605 501010010]5 09019 60০ 0%1গঢ 006 6119 00081935 1709600610178 18960.

[000 (61009 60 61009 10: 01)9 7001)059 01 6962101191)11)6 001777% 988].

“বন্দর-শুক্ক মুদ্রানীতি এমনভাবেই পরিচালিত যেন আরও বোঝ। এসে পড়ে কৃষকসমাজের ওপর | আমাদের আমদানি পণ্যের মধ্যে বিলাতী দ্রব্যই বেশি, বৃটিশ পণ্যের ক্ষেত্রে বন্দর-শুক্কের পক্ষপাতিত্ব সুস্পষ্ট ; তাতে যে রাজন্ব হয় তা জনসাধারণের বোঝ কমাবার জন্য নয়; আঁমতাচার এক প্রশামনকে পরিপুষ্ট রাখার জন্যই ব্যয় করা হয়। বিদেশী মুদ্রাবিনিময়ের বাট্টাও এমনই

স্বেচ্ছাচারী যে তার ফাক দিয়ে এদেশের কোটি কোটি টাকা গলে ঘায়।

তারপর, রাষ্ট্রনৈতিক বিচারে সাংস্কৃতিক আত্মিক বিচারে আমাদের কি ছুর্গতি হয়েছে তা পর পর বলা হয়েছে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রর্ধাদার দিক থেকে বৃটিশ আমলে ভারতের যেমন অবনতি ঘটেছে তেমন আর কথনে। হয়নি। কোন শাসন সংস্কারেই দেশবাসীকে প্রকৃত ক্ষমতা দেওয়। হয়নি আমাদের মধ্যে ধিনি শ্রেষ্ঠ তাকেও বিদেশী কর্তৃপক্ষের কাছে নতশির হয়ে থাকতে হয়। মনের কথ। খুলে বলার অথব1 খুশিমত সংগঠন করার অধিকার দেয়৷ হয়নি আমাদের এবং আমাদের বহু স্বদেশবাসীকে বিদেশে নিবাসনে কালাতিপাত করতে হচ্ছে, স্বদেশে ফিরতে পারছেন ন1। দেশবাসীর মধ্যে যে প্রশাসনিক মেধ! ত৷ বিনষ্ট কর। হচ্ছে এবং গ্রামীণ অফিসের ছোট কাজও কেরানিগিরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে

“সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের (এঁতিহ্থ থেকে) মূলোৎপাটিত করেছে এবং আমাদের এমনই তালিম দেওয়া! হয়েছে যে, আমাদের বন্ধনে সকলেই আমরা চুম্বন একে চলেছি

“আত্মিক বিচারে, জবরদস্তি নিরম্ত্রীকরণ আমাদের কাপুরুষ

১৯১

করে দিয়েছে এবং বিদেশী পেনাবাহিনীর উপস্থিতি তাদের মারাত্মক প্রয়োগ-প্রভাবে আমাদের প্রতিরোধ স্পৃহা এমন নিঃশেষ করে দিয়েছে যে, আমর! ভাবতে অভ্যস্ত হয়েছি, আমরা আত্মরক্ষা করতে পারিনে।, অথবা বিদেশী আক্রমণ প্রত্যাহত করতে পারিনে। অথবা! চোর ডাকাত দুর্বৃত্তের দৌরাত্ম্য থেকে আমাদের গৃহ, পরিবার রক্ষা করতে পারিনে।

«আমরা এখন মনে করি, যেশাসন আমাদের স্বদেশে এই চতুধিধ সর্বনাশ সাধন করেছে তার কাছে আর নতি স্বীকার করা মানবতা দেবতার প্রতি অপরাধ ! আমরা অবশ্য একথা মানি যে, আমাদের স্বাধীনতা লাভের সর্বাধিক ফলপ্রস্থ উপায় বল প্রয়োগ নয়। আমর! তাই, ষতটা সম্ভব, বৃটিশ গবর্নমেন্টের সঙ্গে সেচ্ছা সহযোগিতা! প্রত্যাহার করে নিজেদের প্রস্তুত করব এবং কর বন্ধনহ আইন অমান্যের জন্য প্রস্তুত হব, যে পর্যন্ত না এই অগান্ুুষিক শাসনাবসান সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়। যায়; কিন্তু প্ররোচন! সত্বেও কোনপ্রকার বলপ্রয়োগ করব না। অতএব আমরা পৰিত্রচিত্তে এই শপথ নিচ্ছি যে, পূর্ণ স্বরাজ প্রতিষ্ঠার ভন্য কংগ্রেস যখন ষেমন নির্দেশ দেবে ত। পালন করব |”

জানিনে, কি মনে করে উঠে পড়লেন; আমার কথা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েই যেন ছোট্ট জানালার কাছে ফ্াড়ালেন ; বাইরে রোদের ওজ্জরল্য আর নেই, সন্ধ্যারানী আচল ছড়িয়ে হুহাত বাড়িয়ে আসছিল; সূর্য বোধ হয় দিগন্তে নেই অথবা! অস্তিমে--।

হঠাৎ ঘুরে বললেন। এই দীর্ঘ অভিশপ্ত জীবনে এই শপথ কতবার যে উচ্চারণ করেছি, কতবার ঘে হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে, অনির্বাণ প্রত্যাশায় দিনের পর রাত, রাতের পর দিন গুনেছি তা তোমায় বলতে পারব নী, সত্য, সবটা বোধগম্য ছিল না। তবু মনে হত এতে আমার হৃদয়েরই কথা এবং তাই তো মুখের কথায় অমন করে হ্বয় আছড়ে পড়ত।

চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

স্যোগ বুঝে জিগেন করলাম, আজ পড়ে না!

কেমন অস্বাভাবিক জোর দিয়ে বললেনঃ না তারপরই আবার খোলা জানালার দিকে মুখ ফেরালেন। সন্ধ্যারানী ততক্ষণে তার সব কালে! চুল ছড়িয়ে দিয়েছে।

পরদিন যেতে বললেন, তোমার কথাই ভাবছিলাম তোমার কাছে আমার জবাবদিহি আছে। আজ যে, মুখের কথায় হৃদয় 'আ[ছড়ে পড়ে না, তার কারণ ওশপথ-মন্ত্র অবিমিশ্র সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। ভূমিকাটি সুন্দর সত্যও বটে। কিন্তু যেখান থেকে চতুবিধ সধনাশের সবিস্তার বর্ণন। শুরু সেখানে খাদ মিশেছে অনেক অর্থ নৈতিক শোষণট। সাআ্রাজাবাদের মধ্যে নিহিত; স্তর ওটি তর্কাতীত। কিন্তু কৃষকসমাজ অথব। সমগ্র সমাজের তুর্গতি কি তার চরক! জড়িত কুটির শিল্পের বিলুপ্তি সাধনে ? কৃষক; ভূমি। ভূমি- রাজন্ব। স্বত্ব স্বামিত্বের মধ্যে কোন বেদনা ছিল না? এক বাংল দেশেই ১৯৩০-এ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কল্যাণে গ্রামীণ অর্থনীতি কি ভেঙ্গে পড়েনি ? এবপেট্ি ল্যাগুলর্ভের উদ্ভব কি ১৯৩০-এর পর এরাও তো৷ জমির বিকল্প পণ্যোৎপাদন শিল্পে বিকশিত হতে পারতেন, হননি কেন? সুতরাং বেদন1! কি কেবল গুটিকয়েক চরকা আর, তাত ঘুনে ধরায় ? পরাধীন ভারতবর্ষে এক বোম্বাইয়ের দিকেই শিল্পোদ্যোগ দেখা গেছে। আর বিশেষ কোথাও নয় যদি চিরকাল ক্রমবর্ধমান লোকসংখ্যা নিয়ে জমিতেই আটকে থাক] যেত, চলত বরধন্্ চরকা আর ভাতের খটখটির জীবন তো মন্দ ছিল না। ছোট শিল্প বা কুটিরশিল্পই কারখানার রূপ পায় বিবর্তনে, তাকে রোধ করবে কে? চরকায়ও তো তা কর] যায়নি উৎপাদন শক্তির ্ীবৃদ্ধিই আসল শক্তি, যাকে বল! হয় প্রডাকটিভ ফোর্গ। সুতরাং ওতে শুধু পড়ন্ত জমিদারের বিষগ্ন কান্না আছে, বলিষ্ঠ শিল্প স্যষ্টির শপথ নেই। রাস্ীয় মর্যাদা? ভারতের কল্পিত কাল নিয়ে বিলাস

২০১

আমি করতে পারব ন1 সত্য, ভারতবর্ষের ইতিহাসে অথণ্ড মান- চিত্র বড় বিরল, সুতরাং সমগ্র ভারতবর্ষের মহিম। মাহাত্াও ক্ষণায়ু; ওরজজেবের সাজাজ্য নয়, মারাঠা কনফেজারেসীর ধ্বসে-পড। আবর্জনার ওপরই উঠেছে ইউনিয়ান জ্যাক। তারপর আর রাষ্্রী মর্যাদা নেই পরাধীন দেশের রাষ্ত্ীয় মর্ধাদা থাকে না; সুতরাং ওটা আমাদের নালিশ হতে পারে না) ওটা আমাদের অর্জনের কথা হতে পারে এবং তা স্বাধীনতার পরেই, তার আগে নয়। স্বাধীন হলেই ষে রাষ্তীয় মর্ধাদ। চির প্রতিশ্রুত এমন নয়, যুদ্ধে হেরে গিয়ে শুধু নয়ঃ কূটনৈতিক ব্যর্থতাও অমর্ধাদার কারন হয়। ইংলগু; ফ্রান্স? জার্মানী, আমেরিকা ভিন্দেশ, থাক তাদের হেনেস্তার কথা; আমাদের স্বাধীন ভারত্বের ১৯৪৭-এ কাশ্মীর নিয়ে কুটনৈতিক ব্যর্থতা অমর্যাদার জের টেনে চলছিনে আমরা! ? ১৯৬২-তে চীনের সামান্য সীমান্ত ধাকায় স্বাধীন ভারতের রাষ্ীয় মর্ধাদ! ধুলোয় ধূসরিত হয়নি ?

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আমরা ইংরেজী শিক্ষা পেয়ে আমাদের এঁতিহ্ থেকে উৎপাটিত হয়েছি একথ| সর্বাংশে সত্য নয়, বরং অনেকাংশে তার উল্টো শ্রুতি-স্মৃতি-শাস্ত্র বেদ-বেদান্ত-পুরাণ ইত্যাদি নিয়ে যে শিক্ষ। এতিহ্যের অভিমান করে থাকি বৃহত্তর সমাজের কাছে ছিল দুর্গম বা অজ্ঞেয় এবং ক্রমে সঙ্ীর্ণ ব্রাহ্মণের যক্ষধনও বিলুপ্ত প্রায় হয়; তার অধিকাংশ উদ্ধার করেছে শাসকজাতের মানুষেরাই' তারাই দিয়েছেন আমাদের আত্মপরিচয় এবং তাদেরই অকৃপণ দাক্ষিণ্যে ব্রা্ষণেতরও নিজেকে মানুষ বলে জেনেছে গুটিকয়েক হিন্দীওয়ালর এই অমানুষিক অকৃতজ্ৰতা তোমায় যেন-না! কখনো স্পর্শ করে সত্য। স্বাধীনতার কথা, জাতীয়তার কথা, আত্মমর্ধাদার কথ! ইংরেজদের কাছে শেখা বুলি অন্তরস্থ করতে হয়েছে যন্ত্রণায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা ভালে! ইংরেজী লিখতে পারার জোরেই আমাদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছেন সাআজ্যবাদী ছুঃনহ পীড়নকে

৩২

অন্বীকার করবে কে? কিন্তু সেজন্য আমাদের দৃষ্টি যেন আচ্ছন্ন না হয় |

আর এও আমি বুঝিনে, সতা, অহিংস যেখানে আমার মূলমন্ত্র সেখানে নিরস্ত্রীকরণকে ছুষব কেন? তবে তো স্বীকার করতে হয়। অস্ত্রের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগ আছে। ওটা কেড়ে নিলে আমার আত্মাও নিরবলম্ব হয়ে পড়ে। যে অস্ত্রের যোগে আত্মিক শক্তিতে বিশ্বাসী সে-ই লাঠি কেড়ে নিলে শোকার্ত হবে সুতরাং অহিংসার সঙ্গে 01521172101এর হঃখ আর এরই অভাবে কাপুরুষ হলাম এই আতি মানিয়ে নেওয়! কঠিন। কেন না, শেষ প্যারাটায় অযথ। বলপ্রয়োগ করার ওপর জোর দেওয়৷ হয়েছে। স্বাধীনতা চাওয়া বা পাওয়ার জন্য! আকুতি এক কথা অহিংস! বা বলপ্রয়োগ কর! না-করা ভিন্ন কথ

তবু এই শপথ-বাণীই বহুজনকে অনুপ্রাণিত করেছে; কেননা, ওটি ছিল হৃদয়-আকূতির একটা অবলম্বন, অভিব্যক্তির একট বাহন, বুদ্ধি দিয়ে তার বিচার হয়নি সব সময় তার দরকারও হয় না; হদয়াবেগে অথহীনও অর্থবহ হয়! আমার জীৰনেই ষ। সেদিন হৃদয়াবেগে সর্বাংশে সত্য হয়েছিল, হয়তে। কিছু বেশিই ছিল, আজ তাই বিচারকের আলোকে খব হয়েছে

জুপ-প্ুবন্নিতিে অআ-ভ্সল্পেক্

কিন্ত সেদিন ধারা শপথের বিরোধিতা করেছেন তাদের ঈরয়াবেগও ছিল না, বুদ্ধির প্রার্ধও ছিল না। উত্তর প্রদেশের যে- অভিজাত মুসলিম সম্প্রদায়ের আরাবেই পরিণামে ভারতবর্ষ টুকরে! টুকরো! হল তারা স্বাধীনতা-প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন; তারা এক বিবৃতিতে আজান দিয়েছিল £

“ভ০ &:০170 10008179069] 0189£9920606 অ16]0 0109 79801061010 0% 1190600170.91009 108,5390. 105 6106 11001810 1396101081 00782995. ৪919 ৪6:006]5 0 0010100 6096 609 78980106100. 1৪

২৪০৩

09106970098. 0৮ 0012270011165 আ1]] 6909 100 1087৮ 110 80 80610) 05 0015:998 60 97:9068909 165 0617781709.৮

মৌলান। মহম্মদ আলি, মৌলান। সৌকৎ আলি, সফি দাউদি নবাব ইসমাইল খান আর এক বিবৃতিযোগে মুসলমানদের স্বাধীনত। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিষেধ করলেন ; এর কারণ হিসেবে

তার! বললেন, হিন্দু-মুসলিম সমস্তা-নমাধানে কংগ্রেস নেতারা কোন চেষ্টা করেননি তুমি খেয়াল রেখে যেওঃ সত্য, ভারতবর্ষে স্বাধীনত। সংগ্রামের

পথে ছুটি বড় সর্তের কাটা! ছিল; একটি গান্ধীজীর অহিংস, আর একটি এই হিন্দু-মুসলিম সমস্তা অথচ ছু'টির কোনটির সঙ্গেই স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নেই। যেন অনেকট। হ্যাপ্তিক্যাপ নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা | ফলে স্বাধীনতা-দিবসেই “বন্দে মাতরম্” ধ্বনিতে প্রতিবাদ জানিয়ে ত্বাধীনত। সংগ্রামে মিশোলো ধর্ম-সংস্কার অহিংস নীতির পাশে ঢাকা ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলল দিনের পর দিন; স্বাধীনতার বেদীমূলে নয়, ধর্মান্ধতা অহিংসনীতির বেদীমূলে চলল অব্যাহত রক্ততর্পণ।

আর, দেশীয় রাজন্যবর্গের পক্ষে পাতিয়ালার মহারাজ তার এক দরবারে . বললেন; “স্বাধীনতার লক্ষ্যাদর্শের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলোর কোন সংশ্রব নেই এবং বৃটিশ গবর্ণমেন্ট যে দমননীতিই অনুসরণ করুন না কেন রাজন্যবর্গ তার সঙ্গে সহযোগিতা করবেন ।”

কিন্তু গান্ধীজীর দৃষ্িভ্রান্তি হয়নি ২৫-এ জামুযারী-_স্বাধীনত। দিবস উদযাপনের আগের দিন--বড়লাট এসেম্বলিতে এক ভাষণ দিলেন। সছুপদেশেভর। সেই দীর্ঘ ভাষণের উত্তরে কাউন্সিল বর্জন বিরোধী “ন্যাশানালিস্টগণ এক বিবৃতিতে বললেন £

“বড়লাটের ভাষণ শোনার পর আমাদের মনে হল, এটি সাধারণ ভাবে এই ধারণারই স্ষ্টি করবে যে, ভারতের পক্ষে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস সুদূর পরাহত এবং দীর্ঘ পথপরিক্রমার পর মে-লক্ষ্যে

পৌঁছোনো যেতে পারে।

৩৪

“1৮ 15 00010010966 61096 110 61118 00101090610 6106 109০5 80185899 6109 0188110061010 109৮901) )00129ঘ 8100 189 9100. 2 0010 0109 19 01196 11 6019 68] 9868101191)70906 01 [00100117100 96806091199 6159 50106101001 6119 00299906 911001- 0169.

আর গান্ধীজী লিখলেন, “ইয়ং ইপ্ডিয়ায়” তাতে দিলেন কতকগুলে।

শর্ত; সে সব শর্ত পালন করলে বড়লাট-_“ছা1]] 17627 1১0 29]. ০: 0151] 10190090161006 2100. 6172 00185:255 7111 176810]5 [08100170966 10. 205 00100221029 ৮7172129022 15 [0০16206 5200100 6য701:995102, 210. 0109170..

গান্ধীজীর শর্তগুলে৷ ছিল : (১) মাদক দ্রব্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ; (২) এক শিলিং চার

পেন্সের অম্থপাত হাস ; (৩) ভূমি-রাজন্ব অন্তত অর্ধেক হাস এবং এটি আইনসভার এক্তিয়ারভুত্ত করা ; (8) লবণ কর প্রত্যাহার ; (৫) সামরিক ব্যয় অন্তত অর্ধেক হাস; (৬) বড় বড় পদের বেতন অর্ধেক অথব। তারও কমে এমনভাবে ধার্য করা, যাতে কমানো রাজন্বের সঙ্গে সামপ্তস্ত রক্ষা কর] যায় ; (৭) বিদেশী বন্ত্রের ওপর শুক্ক; (৮) উপকূল-জাহাজ-রক্ষা। বিল; (৯) হত্যাপরাধে দণ্ডিতের ছাড়া সকল কারাবন্দীর অব্যাহতি, ১২৪ (ক) ধারা, রেগুলেশন জাতীয় বিধান প্রত্যাহার এবং নির্বাসিত সকলের স্বদেশ

প্রত্যাবর্তন অনুমতি ; (১০) সি.আই.ডি তাদের আধিপত্যের অবসান

এসব মেনে নিলে বড়লাট আর আইন অমান্য আন্দোলনের কথা শুনবেন না এবং কংগ্রেস আহ্লাদের সঙ্গে এমন যে-কোন সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি আছে যেখানে বলবার দাবি উখথাপনের স্বাধীনতা থাকবে

কিন্তু ৭-ই ফেব্রুয়ারি ঝড়লাট যে বিবৃতি দিলেন তাতে এই উপদেশই ছিল ষে, বৃটিশ সাম্রাজের মধ্যে থাকলে ভারতের শ্ত্রীবৃদ্ধি | স্বাধীনতায় অপরিমেয় ছুঃখ সর্বনাশ |

40908106165 $৪ 177 96016 101 [0019 16 8109 19109109 ৪9,619990. 161) 1061108 10. 6786 00916100 1010] ৪109 0009010898 6০ 895 10 6109 73161910 [70]019. ভ10119 10000975097009 11] 1991108 101 1091 10690010810019 171960160109 800. 01958601.5

জন্নচ্িক্ড িস্ম্মত ব্বদেম্পী

ইতিমধ্যে ধার! তথাকথিত “হিংসাশ্রয়ী” আন্দোলনে কারান্তরিত জনচিত্বে বিস্বৃতপ্রায় তারাও এক চিঠি দিলেন রাজদরবারে ম্যাজিস্ট্টে মারফত তাদের ছুঃসহ অবস্থার প্রতিকার-দাবিতে; অন্যথায় আবার অনশন চিঠিতে তারা বললেন £ পাঞ্জাবর জেলে আটক লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার বিচারাধীন অন্যান্ত রাজনৈতিক বন্দী পাঞ্জাব জেল-তদস্ত কমিটির সাদস্তগণের প্রতিশ্রুতিতে অনশন ধর্মঘট স্থগিত রেখেছিলেন; প্রতিশ্রুতি ছিল যে অল্প- কালের মধ্যেই আমাদের সন্তোষমত রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি আচরণের প্রশ্নটি মীমাংদিত হবে। তা ছাড়া, আমাদের মহান্‌ শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাসের মৃত্যুর পর বিষয়টি লেজিসলেটিভ এসেম্বলিতে উখাপিত হয় এবং স্তার জেমস ক্রোবরও প্রকান্ত্যে এঁ প্রতিশ্রুতি দেন। তখন ঘোষণা কর। হয় যে, হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটেছে এবং রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি আচরণের প্রশ্নটি গবর্নমে্ট গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছেন ; দেশের বিভিন্ন জেলে ধারা এখনও অনশন ধর্মঘট করে ছিলেন তার! এ.আই.পি.সি.-র অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নেন। প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে এবং কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীর সন্কটাপন্ন অবস্থা! লক্ষ্য করেই এ.আই.সি.সি. এক প্রস্তাবন্রমে অনুরোধ জানিয়েছিলেন

“তারপর সব প্রাদেশিক সরকারই তাদের রিপোর্ট পেশ করেছেন, বিভিনন প্রদেশের জেলগুলোর ইন্সপেক্টর জেনারেলদের সভাও সমাপ্ত হয়েছে দিল্লীতে | সর্বভারতীয় সম্মেলন হয়েছিল গত ডিসেম্বরে তারপর এক মাসেরও কিছু বেশী কাল অতিবাহিত

২০৬

হয়েছে, কিন্ত ভারত গবর্নমেন্ট চূড়ান্ত স্পারিশগুলোর একটিও বলবৎ করেননি গবর্ণমেণ্টের এই টালবাহানার জন্য শুধু আমাদের নয়) জনসাধারণের মনেও এই আশঙ্কা জেগেছে যে, বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে গেছে। গত চার মাসে অনশন ধর্মঘটী এবং অন্ঠান্ত রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি যে প্রতিহিংসামুলক ব্যবহার করা হয়েছে তাই থেকে এই ধারণা আমাদের দৃঢ়মূল হয়েছে কি কষ্ট ছুঃখের মধ্যে বিভিন্ন জেলের রাজনৈতিক বন্দীরা আছেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়! আমাদের পক্ষে কঠিন। তবু যতট। জান গেছে বলছি £

(১) শ্রীযুত বি. কে.ব্যানাজি ; দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায়র বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন লাহোর সেণ্টাল জেলে সেখানে তিনি গতবছর অনশন ধর্মঘটে যোগ দেন। এখন তারই শাস্তিষ্বরূপ তিনি এযাবং যে র্রেমিশন পেয়েছিলেন তা থেকে প্রতি অনশন দিবস পিছু দুদিন করে রেমিশন কেটে নেওয়া হয়েছে এইভাবে তার কারামুক্তি চারমাস পিছিয়ে দেওয়! হয়েছে জেলেই আছেন ৭০ বৎসর বয়স্ক বাবা শোভন সিং) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগী। মিনওয়ালি জেলের এস. কে. কাবুল সিং) এস.গোপাল. সিং এবং রাওয়ালপিগ্ডি জেলে মাস্টার মোট সিংকেও এমনি প্রতিহিংসামূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে

(২) একই অভিযোগে আগ্রা সেপ্টাল জেলে আটক শচীন্দ্ নাথ সান্যাল, রামকৃষ্ণ ছত্রী সুরেশ ভট্টাচার্য, রাজকুমার সিংহ, মন্মথনাথ গুপ্ত,শচীন্দ্রনাথ বন্সী ককোরী যড়ান্ত্র মামলার “আরও কয়েকজন বন্দীকে কঠিন শাস্তি দেওয়। হয়েছে বিশ্বস্ত সুত্রে জান] গেছে, সান্ত(লকে ভাগ্ডা-বেড়ি পরিয়ে সেলে আটক রেখেছে.এবং তাতে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে! বেরিলি জেলের বন্দীদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখ সাক্ষাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া! হয়েছে। পদস্থ পুলিশের হুকুমে ২৩ ২৪ অক্টোবরে বিচারাধীন বন্দীদের নির্দয়ভাবে প্রহার কর] হয়েছে।”

২০৭

চিঠির উপসংহারে বললেন £

“৬৬০ 56111 11009 0086 006 00210217060 আ1]] ০21 11010020601 ড/100006 10101610619 15 010100199 70906 00 03 2180. 60 032 00010110 90 0286 01761210151) 1806 1702 21000161 000851010, 01: 12500101105 00০ 17017501 5601109) 10155 2100 01701] "০ 9100 2, 02910105 [0095০ 0 02 70216 01 006 (30010100101 601:2090100 119 [01:010190) 1. 0110 00170159101 0106 1965 চি 0955 ০. 5172]] 1702 68020. (0 1:650)6 1)11060া: 50119. (আবার অনশন ধর্মঘট অবলম্বনে বাধ্য হব )।

৬-ই ফেব্রুয়ারি অনশন অবলম্বনে বাধ্য হয়েছিলেন তারা | সবর- মতীতে ১৪/১৫|১৬-ই ফেব্রুয়ারীতে কংগ্রেস ওয়াফিং কমিটির যে অধিবেশন হয়েছিল তাতে ছুঃখ করে বল! হয় যে, গবর্নমেণ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি সদ্যবহার করা হবে ; এই প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে ২৮-এ সেপ্টেম্বর এ. আই.সি.সি. এক প্রস্তাবও গ্রহণ করেছিলেন; পরিতাপের বিষয় গবর্মমেণ্ট সে প্রতিশ্রুতি পালন করেননি এবং লাহোর বন্দীরা আবার অনশনে ধর্মঘট অবলম্বনে বাধ্য হয়েছেন ।”

তারা এর বেশি কিছু বললেন না তবে একদিকে অনশন আর একদিকে এই স্মারক প্রস্তাব একেবারে নিক্ষল হয়নি ১৯-এ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রকাশ করলেন সংশোধিত কারাবিধি। সতের দিন অনশনের পর ২৩-এ তারিখে বন্দীরাও অনশন ভঙ্গ করলেন।

জাতি ভালেন চন্দন্ন ভিলনক্ ১৪| ১৫। ১৬ তারিখে কংগ্রেস ওয়াফিধ কমিটির যে অধিবেশনের কথা বললাম) তাতেই আসন্ন আন্দোলন স্থির হয়ে গেল £

£17 689 00110102001 6106 দয 0111108 00101016899১ 0151] [0190196- 9197009 ৪1)0010 108 101618660. 9100. 00206:01160 105 60099 100 91119 10 1000-519.91009 10: 6108 10010096 01 80101671106 60109

০৮

5828] 88 210 961019 01 15160 8100. 8৪ 60900181998 0006- "81109 10 165 01:0800199)6100 00061091915 9001 10910 8100. 01701 006 8190 611099 130 8,008]06 10010-%10191006 83 790110 999৪- 70618] 11) 9139 61961106 01:0000.9690099 |] 6119 001065১ 609 ঘম0:101708 90200101699 ভদ910010769 6119 10701009989] 01 18118, 909, 08,00171 8100. 8,061)071999 1011. 800. 60039 0110105 1012 1] আ1)0 109119-9 11) 10020-510197)09 85 8, &1610]9 01 (81613 60 6109 65:66176 810059 11791089690) 60 ৪6%৮ট৮ 011] 41801090191009 93 9,110. ছড108]0 61095 09.99179 ৪00. 117) 6109 100901001 8,00 60 6109 9১690 6709 099199.

“ওয়াকিং কমিটি বিশ্বাস রাখেন যে, অভিযান খন সত্যই আরম্ত হয়ে যাবে তখন কংগ্রেসসেবী অন্য সকলে যত রকমে সম্ভব আইন অমান্তকারীদের সহযোগিতা করবেন এবং যে প্ররোচনাই আস্মুক না কেন তারা সর্বতোভাবে অহিংস থাকবেন। ওয়ার্কিং কমিটিও আরও আশা! রাখেন যে, গণআন্দোলন যদি শুরু হয়ই তবে ধার! আজও স্বেচ্ছায় সরকারের সহযোগিতা করছেন, যেমন আইনজীবী এবং স্থবিধাভোগী ছাত্র তারাও সহযোগিতা প্রত্যাহার স্ৃবিধা প্রত্যাখ্যান করবেন এবং চূড়ান্ত স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়বেন

তারিখউ। সঠিক ছিল ১৫-ই | জাতির বৃহত্তম সংগঠন কংগ্রেসের জাতীয় সংগ্রামের উদ্যোগ দায়িত্ব এইভাবে প্রকৃতপক্ষে এক আশ্রমের অধ্যক্ষ আশ্রমবাসীদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার দৃষ্টান্ত অনন্যসাধারণ ; জাতীয় সংগ্রামের চাইতেও আশ্রমিক নীতি যেখানে প্রবলতর | এবং এই প্রস্তাবের একাধিক ভাগ। প্রথমভাগ £ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি একটি বিরাট সংগঠনের প্রতিভূ হয়েও এই বলে দীয়মুক্ত হল যে; তার মতে পূর্ণ স্বরাজ লাভের উদ্দেশ্যে আইন অমান্য আন্দোলন তাদের দ্বারাই স্ৃচিত নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত; অহিংসাকে ধার! বীজমন্ত্র হিসেবে আত্মস্থ করেছেন ।”

ভেবে দেখ, সত্য, কংগ্রেস নয়, তার চাইতে ক্ষুদ্রতর কিন্তু প্রতি- শিধিমূলক এ. আই. সি. সি নয়) কংগ্রেসের ক্ষুত্রতম এ. আই. সি.

২০৯১

স্বাধীনতাঁ-_-১৪

সি-র প্রতিভূ ওয়াকিং কমিটি নয়, ওয়াকিং কমিটির অন্যতম এক সদস্য, এক ব্যক্তি, মহাত্ব। আখা। বিভূষিত হলেও তিনি ব্যক্তি অতিরিক্ত কিছু নন, তারই ওপর জাতীয় আন্দোলনের ভার সমর্পণ করা হল এবং স্পষ্টতই বলা হল, কংগ্রেসে অহিংসায় অবিশ্বাসী লোকও আছে ; অহিংস নীতির বিচারে নিঃসন্দেহে তার! নিকৃষ্ঠতর। কেননা, অহিংস! তাদের কাছে একটা চাল মাত্র এই শ্রেণী বিশ্যাস বা স্বীকারোক্তির মধ্যে সরকারী গোয়েন্দাদের এবং খোদ সন্নকারের যে এক মারাত্মক হাতিয়ার শাণিত রইল, ওয়া্ষিং কমিটির দৃষ্টিতে তা এডিয়ে গেল বটে, কিন্তু আন্দোলন সহিংন উপায়ে দমনের অমোখ যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সরকার কিছুমাত্র দিধা ব৷ কার্পণ্য করেনি। প্রস্তাবে বল! হল £ “যেহেতু কংগ্রেস সংগঠনের মধ্যে এমন সব নর-নারী আছেন ধারা দেশের অবস্থা বিবেচনায় অহিংসাকে একট! পলিসি (নীতি নয়) বা পন্থা হিসেবে মেনে নিয়েছেন মাত্র, এই কারণে মহাত্ম। গান্ধীর প্রস্তাবটি কমিটি সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং তাকে তার সহকর্মীদের যখন যেমন খুশি সেই ভাবে আইন অমান্য আন্দোলন আবস্ত করার অধিকার দিচ্ছেন |”

সবরমতী আশ্রমের একটি একান্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ওয়াকিং কমিটির অধিবেশনে ছিলেন স্বয়ং গান্ধীজী, মতিলাল, রাজা গ্লোপালাচারি, সর্দার প্যাটেল, যমুনালাল বাজাজ, শার্দূল সিং কবিশের, সীতারামায়া, সত্যপাল, দৌলতরাম, সৈয়দ মামুদ। ক্রীপ্রকাশ।

প্রস্তাবের দ্বিতীয় ভাগটি হচ্ছে যেখানে পরোক্ষ এই স্বীকৃতিও রয়েছে, সৃচন! যে বা যারাই করুক, জাতীয় আন্দোলনের ব্যাপ্তি পেতে হলে, তা যতই মহৎ বলে গণ্য হোক, একটি মাত্র আশ্রমবাসীর সাধ্যায়ত্তব নয়। আরও স্বীকার কর। হল, স্চনায় পবিত্রতা রক্ষা কর। গেলেও, গতি বা ব্যাপ্তিলাভে সে পবিত্রতা না থাকলেও চলবে।

২১০

অহিংস যাদের কাছে দেশের বর্তমান অবস্থায় পলিনি মাত্র তারাও যোগ দিতে পারবে অর্থাৎ, আন্দোলনের গতিমুখে ভেজালে আপত্তি নেই। তাদের উদ্দেশে উপদেশ দেওয়। যায় বটে ঘে? প্ররোচনা সত্বেও (পলিসি হিসেবে ) অহিংস থাকবে, কিন্তু বিপরীত অভিব্যক্তি ঘটবে না, অথবা নীতির চাইতেও স্বাধীনত। লাভের আবেগ প্রবলতর হয়ে উঠবে ভার প্রতিশ্রুতি কোথায়? তার একমাত্র প্রতিশ্রুতিতে চৌরিচৌরার আকন্মিক “হণ্ট চীৎকার” 1 মথবা ১৯৪২-এর ঘটন] পারম্পর্ষের নিন্দাবাদ দায়িত্ব অস্বীকার?

এর তৃতীয়ভাগে আছে আইনজীবী ছাত্রদের উদ্দেশে আহ্বান, তার যেন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অথব৷ সরকারী অনুগ্রহ প্রত্যাখ্যান করেন

১২-ই মার্চ আইন অমান্য আন্দোলনের সুচনা! এবং ৬ই এপ্রিল গান্ধীজীর কার্ধতঃ লবণ আইন ভঙ্গের পর ছাত্রদের উদ্দেশে আরও এক জোরদার প্রস্তাব ওয়াকিং কমিটি গ্রহণ করেছিল এলাহাবাদে ১৭-এ জুন £

কমিটির মতে এখন সময় হয়েছে যখন ভারতীয় কলেজসমূহের ছাত্রের। জাতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করবে, এই উদ্দেশ্তঠে প্রদেশ কমিটিগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছে যে; তারা যেন ছাত্রদের কংগ্রেসের অধীনে দেশসেবায় তৎপর হবার মত আহ্বান জানায়; এমন কি লেখাপড়া বন্ধ রেখেও কি ভাবে এবং কি পর্যস্ত তার! এই জরুরী অবস্থায় আত্মনিয়োগ করবে তাও বলে দেবে। কমিটির বিশ্বাস, ছাত্রের! সাগ্রহে এই আহ্বানে সাড়া দেবে ।”

বলা বাহুল্য, কলেজগুলে। কোন আশ্রম নয় এবং এখানে জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে, অহিংসার ওপরে নয়।

ওয়ার্কিং কমিটির অপরিবর্তনীয় বা তর্কাতীত প্রস্তাবটি আামেদাবাদে অনুষ্ঠিত এ.আই.সি.সি.-র অধিবেশনেও সমধিত হল;

২১১

এই অধিবেশনে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্তরা ছাড়া আর যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন তার! হচ্ছেন : শ্রীমতী কস্তুরব! গান্ধী, শ্রীমতী নাইড়ু, শ্রীমতী অন্ুস্ুয়া, শ্রীমতী আন্বালাল শ্রীমতী কমল। দেবা শ্রীমতী উমা; শ্রীমতী রুঝ্িণী, নাগেশ রাও, শশ্বমূতি, পুরুষোত্তম দা ট্যাগুন, আববাস তায়েবজী, কার্পেকর।

ওয়াকিং কমিটির সমর্থক প্রস্তাবটির নির্দেশনা ছিল-_

“10116 181] 01908186100 81000]0 12 08259নু 07. 1030169 0 805 0059101791068] 106621919008) ০0871] 01309991900 9181] 1006 96৪91 6111 01890010111 189 99019901015 09861178610] 8700 1)8,5 90৮0911% 0010710016690. 9 10198,01) 01 0118 ৪816 19 8100 £1910 0116 010...

এটিও গান্ধীজীর ইচ্ছাক্রমেই হয়েছিল কেননা, ৬-ই এপ্রিল

কার্ধতঃ লবণ আইন ভঙ্গের পর গান্ধীজী সংবাদপত্রে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন £

“০ 7৮6 6109 690100108,1801 08791000189] 10:90) 01 0106 ৪1

[9 4118,8 19991) 00201016660) 16 19 100 07090 00 80009 10

'0০]] 69,009 6109 119] 01 10999006101) 01001616106 9816 19

0০ 00810019,06019 9816 আ1)0959: 109 191193 8/00. 19:00 শৈ 16 18 00109101010.”

হিংসা-অহিংসার বাধ। নিষেধ না! রেখেই বললেন, অহিংস আশ্রম বাসীর! ছাড়াও, এখন যে কেউ যেখানে খুশি যেখানেই সম্ভব লব আইনভঙ্গের ঝুকি নিতে পারেন

১৫-ই ফেব্রুয়ারি ওয়াকিং কমিটি গান্ধীজীকে নিরম্কুশ অধিকার দিলেন। ১৯ তারিখে যুক্তপ্রদেশের গবর্নর স্যার ম্যাকম হেলি কাউন্সিলে ঘোষণা করলেন,

“1 686. ৪৮906 ছা08 ৪69269001৮1] [01309816009 009 (30592200676 010. 096 6০ 19891 09805 60 061826 1

800. 10 6199 ০%9206 01 1988] 299001:099 0০108 10500027, 69 30590010706 10009]. 61386 1 আ0৫10. 19909196106 91000:

01 006 0500110 5100. 6006 0001001] 20 99001171848001) 0990 19881 0:0515100 %৪ 98 1600179.”

বল বাহুলা, বৃটিশ সাআজ্যবাদের প্রতিভূরা সবরমতী আশ্রমের শ্রহিংস সাধু-সন্তদের দিকে তাকিয়ে তাদের নীতি নির্ধারণ করেননি, করেছেন ওয়ার্কিং কমিটির স্বীকারোক্তি মত কগ্রেস অন্ততুক্তি আহিংসায় অবিশ্বাসী কংগ্রেস কর্মীদের দিকে তাকিয়েই; প্রচলিত আইনে যদি চরমপন্থীদের (এক্ষেত্রে আইন অমান্য আন্দোলনের ্রস্তাবকদের ) নিবৃত্ত করা যায় ভাল, নইলে অপ্রচলিত নতুন বধানের আশ্রয় নিতে হবে। হুমৃকিটা একেবারেই প্রচ্ছন্ন নয়।

গান্বীজীরও ভাবন। ছিল। আইনগত ন! হোক, নীতিগত | তিনি বন্দী হবেনই | যখন হবেন তখন কে এই নির্ভেজাল অহিংস আইন তরমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব নেবেন? তিনি এমন মানুষ তে। দেখতে

পাচ্ছেন না। ২৭-এ ফেব্রুয়ারি গান্ধীজী তার “ইয়ং ইগডয়ায়” এক প্রবন্ধে বললেন « “] 0096 0021999 61189 90 0109 0890106 07010916) [ 1189 100

৪]] 00019 ৪00098802 10 19 ............. [1019 1062910)1)609

60179161010. 00096 109 1086910% 60 911) 60086 109 17096 109 ৪0 ০00

800 00৮ 10611956] 10 61096808050 0013-710181009 10] ঠ179 [0010099 8097090..

গান্ধীজীর নেতৃত্বের উত্তরাধিকারী একমাত্র তিনিই হতে পারবেন ঘনি সর্বতোভাবে উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য অহিংসার কার্ধকারিতায় বিশ্বাসী উত্তরাধিকারের এই শর্ত, যে কোন পথে স্বাধীনতা লাভ নয়, অহিংসপথে স্বাধীনতালাভের প্রতিশ্রুতি যিনি দিতে পারবেন এবং তা, অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন তিনিই হবেন অদ্বিতীয় নেতৃত্বের দ্বিতীয়

গান্ধীজী নিজের সম্বন্ধে বললেন :

“আমার দিক থেকে কথা এই যে, আমার ইচ্ছে আমি কেবল মশ্রমবাসীদের এবং ধারা এর আশ্রম-আচার মেনে নিয়েছেন ধাত্বস্থ করেছেন, তাদের নিয়েই আন্দোলনের স্চন। করি।”

২১৩

একদিকে গান্বীজীর নীতিগত উৎকণ্ঠা আর একদিকে সাআজ্য- বাদী রাজপুরুষদের প্রশাসনগত উৎকণ্ঠা, এই ছুই বিপরীত কিন্তু একই জায়গায় এসে মিলেছিল-_ত। হল; পাছে এই পরিকল্পিত আন্দোলন ভায়োলেন্সে পর্যবসিত হয়। তাই ছুই দিককার প্রস্ততি সাবধানতা ছিল একই লক্ষ্যে। কেন? তোমায় এক নিঃশ্বাসে তারই একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়ে যাব। ১-ল! ফেব্রুয়ারি থেকে অস্তত ২-রা মার্চ অবধি-_যেদিন গান্ধীজী রেনন্ডস নামে জনৈক ইংরেজের হাতে দিলেন তার আইনভঙ্গের চরমপত্র বড়লাটের ঠিকানায় পৌছে দেবার জন্য ছত্রিশ ঘণ্টা মেয়াদের চরমপত্র

চিন্ল গতি তগ্ু মহাকাল

মহাকালের গতিকে একটা জায়গায় খামিয়ে দিয়ে টানছি ১-ল! ফেব্রুয়ারির তারিখ

চলছে মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা, ল্যাংফোর্ড জেমস করলেন উদ্বোধন লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা! চলছে, তার! দিলেন! অনশন ধর্মঘটের চরমপত্র। চারদিকে “দেশের ভাক” বই নিয়ে, বক্তৃতা নিয়ে, বক্তাদের নিয়ে আইনের হুলুস্থুলু। মান্ুয়া ডাকাতির প্রতিধ্বনি শোনা গেল, যখন খবর এল ময়মনসিংহ জেলে প্রবীর গোস্বামী জগদীশ ভট্টাচার্য চক্ষুপীড়ায় ভূগছেন। ওরা নাকি কংগ্রেসকর্মী ছিলেন। মেছুয়া বাজার বোমার মামল। সম্পর্কে তল্লাশি হল ঢাকায়। অনশনব্রতী সতীন সেনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে শোন! গেল। রাজদ্রোহের দায়ে বোরস্টাল জেলে আটক হলেন “মিলাপ"” সম্পাদক লালা কুশল- &াদ। «ককোরী দিবস” পালন উপলক্ষ্যে রাজদ্রোহা ত্বক বক্তৃতা! দেবার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন পণ্ডিত দেবনন্দন সিং দীক্ষিত শুরু হল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার জেলবন্দীদের অনশন ধর্মঘট বন্দবিল! সত্যাগ্রহ বা কর অমান্য আন্দোলন চলছে কর্মী ধর্মঘটে জি.আই.পি. রেলওয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত বারাণসীতে বাঙ্গালীটোলা

১৪

কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারী ডা: জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ী বিবেকানন্দ সেবা! সঙ্ঞের সেক্রেটারী সারনাথ ভট্রাচার্ষের বাড়িসহ এগারে। জায়গ। তল্লাশি হল বৈপ্লবিক ইস্তাহারের খোজে মোরাদাবাদের বোম। বিস্ফোরণে এক কনস্টেবল আহত হল। “রক্ত বিনা হে দেশভক্ত দেশ না স্বাধীন হবে”) “দেশ দশ চিত্রাবলী” শিরোনামায় ছুটি ইস্তাহার হল বাজেয়াপ্ত এল রাজসা হী-পুটিয়ার ভাক-লুট মামলার খবর বীকুড়ী রাজদ্রোহ মামলায় দণ্ড হল হেভমাস্টার রামকৃষ্ণ দাস হেডমাস্টার শিশুরাম মণ্ডলের | “বারবের শের" সংবাদপত্রের শিখ সম্পাদক সেবা সিংকে গ্রেপ্তার করা হল রাজদ্রোহের অভিযোগে আই.দি.এস. পাঠার্থী হরিপদ সেনকে গ্রেপ্তার করা হল বারাণসীতে, দেখতে এসেছিলেন রুগ্ন পিতাকে জ্ঞানাঞ্জন নিয়োশীর কারাদণ্ড বহাল রইল; অধ্যাপক জে. এল. ব্যানাজির বিরুদ্ধে রুজু হল রাজদ্রোহের মামলা জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক কর্তৃপক্ষ আর ছাত্রীদের মধ্যে এক লঙ্জাকর বিরোধ ঘটল। “ভারতমে আংরেজি রাজ” নামে আর.সাইগলের, একখানি বই বাজেয়াপ্ত হল। 43119019৪00 ঢ৪৮” নামে আর একখানা বইও “বিপ্লব” শিরোনামায় এক পোস্টারের খোজে পুলিশ মাঝরাতে হান। দিল লাহোরে নবজীবন ভারত সভার প্রেসিণ্ডেট পণ্ডিত রামকিষণের বাড়িতে আর বিরজানন্দ প্রেমে দিল্লীর পুলিশ সুপার পনের হাজার টাকার পুরস্কার ঘ্যেষণ।! করলেন দিল্লী বোম। তুর্ঘটনার নায়ককে ধরে দেবার জন্য গয়। জেলে দেওঘর ষড়যন্ত্র মামলার বন্দীর অনশন শুরু করলেন। সিউডিতে চলছে বিপিন দাস, স্ুরেন সরকার, জগদীশ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহ মামল। | “ভারতমে আংরেজি রাজ” নিয়ে শুরু হল ফুল বেঞ্চে শুনানী, এলাহাবাদে ১০-ই জানুয়ারি বিচারক বয়েজ, ব্যানার্জি মস কিং। উদ“ এক শ্রমিক পত্রিকার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের মামল৷ নয়াদিল্লীর গুরুকুল ধর্মশালায় অনিল নামে এক বাঙালী

১৫

যুবকের গ্রেপ্তার রহস্ স্থষ্টি করল। একদল বন্দবিল। সত্যা গ্রহী ডাকাতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন। গত স্বাধীনতা দিবসে লাহোরের টাউন হলে জাতীয় পতাক৷ উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ায় গুজরানওয়াল! মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান মানিকলাল খান সরকারী আদেশে অপনারিত হরেছিলেন, প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন ছ'জন জাতীয়তাবাদী সদস্য | বাংলাদেশে সাপ্তাহিক স্বাধীনতা সম্পাদক চারুচন্দ্র মুখাজির বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ উথাপিত হল। মুূলতানে 'এক বোমা বিক্ষোরণে তিনজন আহত হল। “ফিলজফি অব বন্ব” সম্পর্কে বেনারস ইয়ুথ লীগের এসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারী কেদার প্রসাদের বিরুদ্ধে হল মামলা রুজু বাংলাদেশে মাদারীপুরে এক বিক্ষোরণের ফলে আহত অজিত দাশগুপ্ত রমেন্দ্র কলকাতার গ্রেপ্তার হলেন আনন্দবাজার পত্রিকা সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এল রাজদ্রোহের। আলিপুর স্পেশ্যাল ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরঞ্জন সেনগুপ্ত প্রমুখ ২৭ জন ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মামলার শুনানী আরস্ত হল; রাজসাহীতে আর এক স্পেশ্যাল ট্রাইবিউনালের সামনে পুটিয়া মেল ডাকাতির মামলারও খবর পাওয়। গেল, ঢাকা সেন্টাল জেলে জবরদস্তি খাওয়াবার চেষ্টা চলছে অনশনত্রতী স্ৃকিয়। স্্ীট বোম। মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত রবীন্দ্র করগুপ্তকে কলাবাগান বা! মেছুয়াবাজার বোম] ষড়যন্ত্র মামলায় রাজসাক্ষী ধরণী বস্থু চাঞ্চল্যকর তথ্যোদঘাটন করতে গিয়ে বলল, রক্তপাত ছাড়! স্বাধীনতা হয় না। উর্দূ শ্রমিক সাপ্তাহিকের সম্পাদক মহম্মদ সিদ্দিক আবছুল রহমানের ছু'বছর সশ্রম কারাদণ্ড হল। কৃষ্ণনগরেও চলল এক রাজদ্রোহের মামল! কংগ্রেস কমা তারক দাস- ব্যানাঞ্জি প্রমুখের বিরুদ্ধে। “পলাশী অবসানে শীধক বইয়ের খোজে ওড়িয়া সাপ্তাহিক “প্রজাতন্ত্রের” অফিসে পুলিশের হানা লাহোরে পুলিশ বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির উপযোগী রাসায়নিক পদার্থ অপহরণের

১১৬

জন্য ধরল ছ'জন যুবককে হাজারিবাগ রাজদ্রোহ মামলায় কারাদণ্ড হল রামনারাণ সিংহ কৃষ্কবল্লভ সহায়ের। ভূসোয়াল বোম! মামলা চলার সময়ে একজন বিচারাধীন বন্দী অকস্মাৎ এক পিস্তল উদ্যত করে একজন সাক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে

মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ধৃত বন্দীদের পক্ষ সমর্থনের ব্যবস্থাকল্লে এলবার্ট হলে এক জনসভ। ডাকলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, যতীন্দ্রনাথ বন্থ, নলিনীরঞ্রন সরকার, কুমুদশঙ্কর রায়। শরৎচন্দ্র বস্তু, মদন মোহন বর্ধন, সতীশচন্দ্র ঘোষ, স্থরেশচন্দ্র মজুমদার, উপেকন্দ্রনাথ ব্যানাজি, জে. সি. গুপ্ত, পি. কে. চক্রবর্তী, জে. বি. পেন, সত্যানন্দ বস্তু, পদ্মরাজ জৈন, জ্যোতিষচন্্র ঘোষ, জ্যোতির্ময় গাঙ্গুলী, মহবাবুল হক, মুণালকান্তি বনু, তুষারকান্তি ঘোষ ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত; হেমচন্দ্র নাগ। সত্ন্দ্রনাথ মজুমদার, উপেন্দ্রনাথ নিয়োগী, তারকনাথ মুখাজি, বি. সি. চ্যাটাজি, জে. চৌধুরী, রামানন্দ চ্যাটাজি, সামস্থুত্দীন আমেদ, জালালুদ্দীন হাসেমী, কে. সি. রায় চৌধুরী, লতাফৎ হোসেন এ. সি. মুখাজজি |

সহসা জিজ্ঞাস! করলেন, তোমায় এত নাম পড়ে শোনালাম কেন বলতো, সত্য ? নিজেই জবাব দিয়ে বললেন, নামগুলোর মধ্যেই বুঝতে পারবে সেকালে রাজনৈতিক শুচিবাই আজকের মত অত প্রগাট হয়নি এবং হিংসা-অহিংসার দাগটাও ছুর্জ্ঘ্য রকমে স্থুল হয়নি

আরও একটি বিস্তারিত দৃষ্টান্ত তোমায় দেব ; তাতে পাবে তুমি বিচার-বিভ্রাটের দৃষ্টাস্ত ; তথা কথিত হিংসাশ্রয়ী মামলায় বিচারাধীন বন্দীরা! কিভাবে দণ্ডিত হয়েছেন এবং একবার দণ্ডিত হবার পর অহিংস কংগ্রেসের দৃষ্টিতেও তারা কিভাবে অপাংক্কেয় হয়েছেন সাধারণ বন্দীযুক্তির বিচারকালে, সেই বেদনাও ফুটে উঠবে এতে বাংলাদেশের ঘটনা, কিন্তু মাদ্ররজের “হিন্দু” থেকে তোল।।

“২৪-এ তারিখে আকস্মিক যবনিকাপাত হয় পুটিয়। ডাক লুট

মামলার ওপর | এখানে ধৃত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক নিয়মে বিচার

২১৭

হয়নি, হয়েছে জরুরী বিধি ফৌজদারী সংশোধিত আইনমতো৷ স্পেশ্যাল ট্রাইব্যুনালের সামনে দেখা গেল, সরকারপক্ষের ব্যবহারজীবীর সওয়াল অকন্মাৎ সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কৌন্লীকে সওয়াল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তিনি বললেন, ৪৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছে; ছুদিন আগে তিনি তৎসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের জন্ত আবেদন করেছেন ; ওগুলো! সধত্বে না পড়ে তিনি সওয়াল করে উঠতে পারবেন না। ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট কেবল যে সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেন তাই নয়, এমন ঘোষণাও করলেন যে, তিনি পরদিন সকাল ১১-টায় রায় দেবেন। কিন্ত ঘটনার পরিসমাপ্তি এখানেও হয়নি | তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষতুটিকে বেলা তিনটা অবধি অপেক্ষা করতে বললেন যেই তিনটা! বাজল, যে কমিশনাররা চলে গেছলেন তার ফিরে এসে আসন গ্রহণ করলেন এবং অভিযুক্ত পক্ষের কৌন্ুলীকে সওয়াল করতে বললেন। কৌন্ুুলী এমন একটি গুরুত্পূর্ণ মামলার অপ্রস্তূত অবস্থায় সওয়াল করতে গররাজি হলেন। তক্ষুণি মিঃ প্রিংলে তার রায় পড়তে লাগলেন-__ নিদিষ্ট সময়ের ২০ ঘণ্ট| আগে রায় দিলেন : রাখালচন্দ্র দাস ৭বছর সশ্রম কারাদণ্ড; সুশীল দাশগুপ্ত বছর সশ্রম কারাদণ্ড; ধরণীকান্ত বস বছর সশ্রম কারাদণ্ড ।”

ভূসোরাল বোমা মামলায় সদাশিবের ১৫ বছরের দ্বীপান্তর, ভগবান দাসের ৯-বছর কারাদণ্ড হল।

লাহোর ম্যাজিস্ট্রেট ই. এস. লুইসের প্রাণনাশের ব্যর্থ চেষ্টা হল; পিস্তলের গুলি মোটর গাড়রি শাসি ভেদ করে যায়; কিন্তু গাড়িতে লুইস ছিলেন না; ছিলেন তার এক কাজিন, অল্পের জন্য বেঁচে যান

গান্দীজীল্ল ল্পম্স্পত্র

অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বলে যাচ্ছিলেন ঘটনাক্রম-_এক নিংশ্বাসেই বল যায়! তারপর যেন ব্বস্তি-শ্বাস ফেলে বললেন, এসে পড়েছি, সত্য, সারা ভারতের উত্তপ্ত মরু পার হয়ে এসে পড়েছি শাস্ত

২১৮

তপোবন, যেখানে শান্তশ্রী হাত বাড়িয়ে দিলেন আলটিমেটাম-_ চরমপত্র! |

“1621: চ1761)07 বড়লাট লর্ড আরুইনকে বন্ধুরূপে সম্বোধন করে লিখলেন গান্ধীজী-_

+0391079 90010811008 00. 0111 [0180090197009 ৪0৭. 6811706 6139 ৮181 1 1058 098,090. 6০ 6919 ৪1] 61098০9 98৪১ ] ০010 1810. 8,0)1)70801) ঠ০0. 800. 900 9 00৮. ****** 18119 1 0010. 9109 73716191) 1019 60109 8 0039১] 010. 006 1069100. 60 10817) £ 810218 18100118100080 01: 80 18516177866 10669963 109 108 189৮9 11) 110018,.

“বন্ধুবর, এত বছর যে ঝুঁকি নিতে আমি ভয় পেয়ে এসেছি দেই আইন অমান্যে অবতীর্ণ হবার আগে আমি কোন একটি পথান্ব- সন্ধানে সাগ্রহে আপনার সমীপবর্তাঁ হতে চাইছি আমি বৃটিশ শ[সনকে এক অভিশাপ বলে গণা করি বটে কিন্ত আমি কোনো ইংরেজের অথব। ভারতে তীর ন্যাষ্য স্বার্থের হানি করতে চাইনি

“বৃটিশ শাসনকে কেন অভিশাপ মনে করি আমি ? ক্রমবর্ধমান শোষণ নীতি, সর্বনাশ! সামরিক অলামরিক প্রশাসনবায় কোটি কোটি মানুষকে নিম্ব করে দিয়েছে, এই ব্যয়ভার বহন দেশের পক্ষে সাধ্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই শালনব্যবস্থা আমাদের দাসতে পর্যবসিত করেছে আমাদের সাংস্কৃতিক ভিত্তিকে দিয়েছে ভেঙ্গে এবং নিরন্ত্রীকরণের নীতি অন্ুদরণে আমাদের আত্মিক অবনতি ঘটিয়েছে।

«[)0,010100 10 তাত ৪6:90 610১ ৪. 900 190009ণ0 0৮ ৪111)

01015917891] 0198/:0)80769106 (60 ৪, 86869 01 ০০0%82:01% 1)911)1955- 55 10989,

“আমার দেশবাসী অনেকের সঙ্গে আমিও আশা লালন করে এসেছি ষে, প্রস্তাবিত গোল টেবিল বৈঠক হয়তো। বা একটা সমাধান আনবে কিন্তু আপনি যখন স্পষ্ট করেই বললেন যে, বৃটিশ মন্ত্রিসভ। পূর্ণ ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের পরিকল্পন। সমর্থনের প্রতিশ্রতি দিতে পারবেন না, তখন বোঝা গেল, যে-সমাধানের জন্য মুখর ভারত

২১৯

মজ্জানে এবং মুক জনসাধারণ অজ্ঞাতসারে উন্ুখ হয়ে আছে, গোল টেবিল বৈঠক হয়তো বা তা দিতে পারবে না। বলা বাহুল্য, পার্লামেণ্টের সিদ্ধান্ত দেবার অধিকারকে কখনই নিরোধ করার প্রশ্ন ওঠেনি

“9981989 60 ৪৮১ 61289 06501 ৪৪ 81000996100 ০1 739118008709১5 ড6:0106 1091106 8/061011)89690-৮

“যদিও এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই যেখানে বৃটিশ মন্ত্রিসভ। পার্লামেন্টের অভিমত পাওয়ার আগেই কোন একটা বিশেষ নীতি অনুসরণে প্রতিশ্রুত হয়েছেন দিল্লী বৈঠক ব্যর্থ হওয়াতে পণ্ডিত মতিলাল নেহরু আমার পক্ষে ১৯২৮-খুষ্টাব্বে কলকাতা কংগ্রেসে গৃহীত প্রস্তাব কার্ধকর করার পন্থা অবলম্বন ছাড়া গত্ন্তুর ছিল না

+139% 6179 73930106190 ০01 110061)910091008 ৪170010 08059 1)0 218100) 11 6709 জো 00000010100 9008১ 1081061017060 10 5০00 0101)0010062700$ 1080 19861) 0390. 10 169 80061060ণ. ৪91259.%

“ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের যে-অর্থ সর্বজনগৃহীত, আপনার ঘোষণার অন্তভূক্ত 'ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস শবও যদি সেই অর্থে ব্যবহ্ৃত হয়ে থাকে তবে স্বাধীনতা -প্রস্তাবে আশঙ্কার কিছু নেই কেননা, দায়িত্বশীল বৃটিশ রাষ্ট্রপ্রাজ্জেরাই কি স্বীকার করেননি যে, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস কার্ষতঃ স্বাধীনতাই ? অবশ্য আমার আশঙ্ক। ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে ডোমিনয়ান স্ট্যাটাম দেবার কোন ইচ্ছাই কখনো প্রকাশ পায়নি ।”

অর্থনৈতিক শোষণ অপব্যয় সম্পর্কে গান্ধীজী বলেন, “মনে হচ্ছে, একটি বড় বৃটিশ রাজনৈতিক দলও ভারতের লুষঠন ছেড়ে দিতে রাজি নয়। গ্রেট বৃটেন, দিনের পর দিন, ভারতের সব'জনীন বিরোধিতা অগ্রাহা করেও এই কাজে প্রবৃত্ত রয়েছে যাই হোক। জাতি হিসেবে ভারতবর্ষকে যদি বাঁচতে হয়, অনশনে তিল তিল করে ভারতবাসীর মৃত্যু যদি বন্ধ করতে হয়, তবে আশ ভ্রাণের একটা উপায় বের করতেই হবে। প্রস্তাবিত সম্মেলনে নিশ্চয়ই সে উপায়

নেই।

“অনেকে মনে করেন, অহিংস! কোন শক্তি নয়। নি:সন্দেহে সীমাবদ্ধ হলেও; আমার অভিজ্ঞতা এই যে, অহিংসাও প্রবল সক্রিয় শক্তি হতে পারে। আমার উদ্দেশ্য এই শক্তিকে কেবল বুটিশ শাসনে সুন্বদ্ধ বলের বিরুদ্ধে নয়, বিক্ষিপ্ত বল-প্রয়োগে বিশ্বাসী ক্রমবর্ধমান পার্টিগুলোর বিরুদ্ধেও সক্রিয় করে তোলা

“৮18 205 0010038 60 ৪9% 110 00061000086 10709 85 ভব9]1 8,68911096 6178 018801880. 1018176 10:98 01 6198 13116181) 1019, %ন 6129 011)0168101580 10191010109 ০01 608 201710602৮৮ ০01 ঘ10191809.+

“নইলে, নিক্ষ্িয় হয়ে বসে থাকার অর্থ ছুই শক্তির হাতে রাশ ছেড়ে দেওয়া

«আমি আপনার স্বজাতীয়দের কোন হানি করতে চাই নে। আমি তাদের ১৯১৯ অবধি নিবিচারে সেবা করেছি ; কিন্ত আমার যখন চোখ খুলল এবং মনে অসহযোগের অস্কুরোদ্গম হল তখনও তাদের সেবাই ছিল আমার উদেশ্য দেশবাসী যদি আমার সঙ্গে যোগ দেঁয়। আমি অব্য আশ! করি থে, তার! দেবে, তবে বৃটিশ জাতি নিবৃত্ত না হলে যে ছুঃখ তারা পাবে তা৷ পাষাণ হৃদয়ও গলিয়ে দেবে। আমার আইন অমান্যের পরিকল্পনা হল যেসব ঢুপ্রবৃত্তির কথ! বললাম তাদের মোকাবিল। করা আমরা! যে বৃটিশ সম্পর্ক ছেদ করতে চাই তার কারণই হল এই সব ছৃষ্প্রবৃত্বি নিরস্ত হলে পথ হয়ে যাবে সহজ এবং পৌইহার্দপূর্ণ আলোচনার পথও উন্মুক্ত হবে। ভারতের সঙ্গে বৃটিশ-বাণিজ্য বদি লোভ-বজিত হয়, তবে আপনাদের পক্ষে আমাদের স্বাধীনতা স্বীকার কর! কঠিন হবে না।

“কিন্ত আপনি যদি এই সব ছুপ্পরবৃত্তির মোকাবিলার কোন উপায় দেখতে না পান এবং চিঠি যদি আপনার অন্তর স্পর্শ না করে, তবে আমি মাসের ১১ তারিখে আশ্রমের ধতজন সম্ভব মহকমী নিয়ে লবণ আইন অমান্যের জঙ্য যাত্রা করব

“যদি আপনি মনে করেন আমার চিঠিতে কিছু বস্তু আছে,

যদি বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেন এবং সেজন্য ঘদি চিঠির প্রকাশন! স্থগিত রাখতে বলেন, তবে আমার এই পত্রপ্রাপ্তির পর আপনার কাছ থেকে সেই মর্মে টেলিগ্রাম পেলেই আমি সানন্দে এর গ্রকাশন! বন্ধ রাখব 1”

বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন আমি অপেক্ষ। করতে লাগলাম এই বিশুঞফষ কঙ্কালটির ভেতরে কি আলোডিত হচ্ছে বাইরে থেকে সহস। বোঝ! মুস্কিল। কিভাবেই বা সে তুমুল ঝড় অতটুকু সীমার মধ্যে আছাড় খেয়ে খেয়ে প্রশমিত হচ্ছে কে তার খই পাবে? চোখ বোজেননি, একপাশে তাকিয়েছিলেন, সেই চোখ ফেরালেন আমার দিকে। তেমনি অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে, আমার উৎকন্ঠিত মনে এও দীর্ঘ কাল ঠেকল-__

কি জবাব দিয়েছিলেন বড়লাট তোমার মনে হয়; সত্য? যাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বলা হয় তার পক্ষ হয়ে ওর উপসংহার অবধি পত্রলেখক ভারতীয় সেনাসংগ্রহে বুটিশ শাসকের সহযোগিত। করে প্রত্যাশা করেছিলেন প্রতিদান কিছু দেবে সাআ্রাজ্যভোগীরা ; মে আশা নিহ্ষল হলে মনে জেগেছিল অভিমান, অনহযোগিতার অভিমান তারই আর এক নাম অহিংস অসহযোগ | কিন্তু এবার যে আইন অমান্য, তার লক্ষ্য বলপ্রয়োগে বিশ্বামী সুসংগঠিত বৃটিশ সাআজ্যবাদই শুধু নয়, ভারতীয় বিপ্লবী পার্টিগুলেোরও মোকাবিল। করাও তার উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে সাধু এবং সাধুসম্তদেরই উপযুক্ত কাজ কিন্তু জগতে এই মিথ্যা ঘোষণা করার মতে! বুকের পাটা কার আছে যে, তিনি এই ছিৰিধ উদ্দেষ্য সাধনেই সফলকাম হয়েছেন? একটু পরেই দেখবে এবং ১৯৪৭ অবধি দেখবে বুটিশ সাআাজ্যবাদীদের সুসন্থদ্ধ বলপ্রয়োগের পাষাণ সংগঠন থেকে তিনি এতটকু অশ্রু উপগত করতে পারেননি, কিন্তু বলপ্রয়োগে বিশ্বামী ভারতীয়দের বিপ্লৰ প্রচেষ্টা চিরকালের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছে, আর তা, বার্থ আইন অমান্য আন্দোলনের নি:শেষিত শক্তির প্রায় সমসাময়িক | ভারতীয়দের

পরিপূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ বৃটিশ সাঘ্রাজ্যবাদীর! করেনি, অহিংসার আচার্ধরাই করেছেন। বুটিশের নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে যে আত্মিক শক্তির অভাব ঘটেছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি স্বদেশবাসীর নৈতিক আন্দোলনে তা পূরণ করতে পারেননি-_-যেখানে যখনই নিধিচার মার হয়েছে সেখান থেকেই সন্ত্রস্ত পশুর মত পালিয়েছে ভারতীয়েরা__নাতচল্লিশে তোমায় দেখাব কি নিদারুণ রক্তপাতের মধ্যে অহিংসবাদীদের লক্ষ্য সিদ্ধ হয়েছে আরও ট্রাজেডি এই, যদিবা কোটি মানুষকে নীতিবলের বিশ্বাসে নিরস্্ করা গেছে অপ্রতিরোধে কয়েক কোটি মানুষের হাতে ঝল্কে উঠেছে ছোরা এবং লক্ষ লক্ষ অসহায় পলায়নপর দেহকে শুধু নয়, তারা দেশকেও বিদ্ণ করেছে। কিন্তু গান্ধীজীর সেদিনকার কাতর আবেদনে লেখা চিঠির কি জবাব দিয়েছিলেন গবর্নর জেনারেল আরুইন 1

নিয়মকেতা-ছুরস্ত বড়লাট 4921 101007”-এর প্রতি কোন সৌজন্য প্রকাশ করেননি, নিজে জবাব দেননি, জবাব দিয়েছেন বড়লাটের প্রাইভেট সেক্রেটারী জি. কানিংহাম |

“নুও /৪82796 /0 19810 6108 ১০০. 0009101)1866 & 000759 01 000100 %$1750)0) 13 01981] 1)0000 (0 10৮01 9 1019102 01 0179 18 8130 £, 09,069£ 60 701১]10 19890.

“তিনি শুনে বড় ছুঃখ পেলেন, আপনি যে কার্যক্রমের কথা ভাবছেন তা আইন অমান্য শান্তিভঙ্গের বিপদে জড়িয়ে পড়তে বাধা ।?

গান্ধীজী তার চরমপত্রের শেষে বলেছিলেন, “আমি জানি, আমাকে গ্রেপ্তার করে আমার নব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবার পথ খোল! রইল আপনার সম্মুখে কিন্তু আমি আশা করছি, সেই অবস্থায় আমার পথানুসরণে সুশৃঙ্খল হাজারো মানুষ এগিয়ে আসবে এবং যে বিধানটি আইনগ্রন্থকে কলঙ্কিত করে রেখেছে সেই লবণ- আইন অমান্য করে দণ্ড বরণ করবে ।”

“হবার হভন শুক”?

গান্ধীজীর এই প্রত্যাশা মিথ্যে হয়নি ; চারদিকে যে-হতাশা। যে-সঙ্কল্প, যে-অভিব্যক্তি প্রকট হয়ে উঠেছিল তা তোমায় বলেছি, গান্ধীজীর পদযাত্র! তাকে পূর্ণ স্যাংসন দিল এবং সত্যি সত্যি, হিংসা- অহিংসার নীতি-বৈষম্য ঘুচিয়ে দিয়ে “তামাম হিন্দুস্থান? উথলে উঠল। একই সঙ্গে পদ্মা-গঙ্গ? ব্রহ্মপুত্র-কাবেরী, আরব সাগর-বলগোপ- সাগরে উদ্ভ্রান্ত ঝড়।

£৬10015 01: [9809 এই ছিল মোটে; “জয় নয় ক্ষয় * এই শ্লোগান ; “মন্ত্রের সাধন কিন্বা! শরীর পাতন” এই ছিল জপ।

১২-ই মার্চের সকাল সাড়ে ছটা1। গ্ান্ধীজী ৭৯ জন সত্যাগ্রহী নিয়ে শুরু করলেন পদধাত্রা। লক্ষ্য আরব সাগরতীরে ডাণ্ডি। যাত্রাপথের ছু'ধারে জনতার সারি ; কণ্ে কণ্ঠে "গান্ধী-কি জয় |”

এক্ষুণি গ্রেপ্তার হবেন এমনি গুজব আমেদাবাদ শহরের আকাশ বাত্াসকে যেন আরও গম্ভীর আরও ভারাক্রান্ত করে রেখেছিল; হাজার হাজার মানুষ অতন্দ্র রজনী যাপন করছিল আশ্রমের বাইরে, আশ্রমের গেটে গেটে নারী-প্রহরী। তবু মানুষের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে আশ্রমের প্রান্তসীমায়। সকাল ছণ্টার আগেই আশ্রমমুখী সকল পথ, ইলিস ব্রিজে মানুষের সারি | ঘাত্রাপথের অনেক জায়গায় পতাক।-পল্পবে স্ুমজ্জিত তোরণ

প্রভাতী প্রার্থনার পর ঠিক সাড়ে ছ"টায় গান্ধীজী যাত্রা শুরু করলেন; অনুগামীদের কাধে একটি করে ঝোলা) ওতেই সর্বন্য, আর একটি লাঠি; গান্বীজীকে সর্বাগ্রে রেখে ওরা তিন সারির মিছিলে চললেন

এই চল! থেমেছে আসলৈয়ে ১২-ই + বরেজা, নব গাওয়ে ১৩-ই? বাস্নায় ১৪-ই, মাতার নদিয়াদ বোরিয়াভি ওধাবনে ১৫-ই। আনন্দে ১৬-ই1১৭-ই, বোরসাদে ১৮-ই, এমনি করে গাজির! ব্রোচে ২২-এ

৯৯৪

নবসারিতে ৩-রা এপ্রিল এখানে তিনি তার অবিস্মরণীয় উক্তি করেছিলেন £

“78161091] 76600, আট 086] আজ 0৮100980102 আ1]] 108 10 6709 09880,

এরই আর একটি ভাষ্য শোন| গেছল? “15 0০05 জ11] 002 01 602 4১910181929) 16 1 08101006016 ১%/৪1:৪).) আমর। মুখে মুখে কথাটি আবৃত্তি করে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠতাম |

৫-ই এপ্রিল ডাণ্ডিতে গান্ধীজীর এই যাত্রা সমাপ্ত হল। ৬-ই এপ্রিল তিনি আন্ষ্ঠানিকভাবে লব্ণ-আইন ভঙ্গ করেন। ডাণ্ডির পথে গ্রান্ধীজী যখন ১৬-ই মার্চ আনন্দে ছিলেন, সেই রাতে পূর্ব বাংলার কুমিল্লায় অভয় আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা-প্রেসিডেণ্ট পশ্চিম বাংলার কাখিতে লবণ আইন ভঙ্গের জন্য সদলে যাত্র। করলেন বাংলাদেশে ধরাই ছিলেন প্রথম সত্যাগ্রহী দল। কলকাতা হয়ে বীকুড়। পৌছেছিলেন। ২৬-এ মার্চ সকাল সাড়ে ছণ্টায় “বন্দেমাতরম্” «পূর্ণ স্বরাজ কী জয়” ধ্বনির মধো ধার বাকুড়া ছেড়ে গন্তব্যস্থলের দিকে এগোলেন তাদের মধ্যে ছিলেন 2 ৪৮-বছর বয়স্ক ডাঃ স্ুরেশচন্দ্ ব্যানাজির নেতৃত্বে ভাঃ নিবারণচন্দ্র দে সরকার, জগদীশচন্দ্র পালিত, ননীগোপাল গুহরায়, দীনেশচন্দ্র লোধ, সুকুমার ঘোষ, রমেশচন্দ্ ধর, আনন্দহরি মিত্র, চপল কুমার তালুকদার, হরিদাস সাহা সম্তোষ চন্দ্র ঘোষ, প্রফুল্ল কুমার ব্যানাজি; সুধাংশু ভূষণ ব্যানাজি, প্রিয়ভূষণ দত্ত, রতীন্্রমোহন নাগ, রতিমোহন দে? ষুগাঙ্ক মুখাজি, হিমাংশু ভৌমিক, প্রবোধ কুমার রায়, শচীন্দ্রনাথ বনু, সুৰোধচন্দ্র চৌধুরী এবং মোহিতচন্দ্র রায়

এ্েন্য চউ গ্রাম”!

তোমায় কি একথা বলেছি যে, বাংলার ছুটে! ধারাঁ_ একটি সবরমতী হয়ে ডা, ডাণ্ডি থেকে কুমিল্লা, কুমিল্লা থেকে কাধিতে এসে মিশেছে, আর একটি ১৯০৮-খ্রষ্টাব্ব থেকে গোপন

পরিক্রমার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে সদ কলাবাগান বোমা মামল। ভেদ করে বঙ্গোপসাগরের টট্টগ্রাম উপকূলকে উত্তাল করে তুলেছে? সেদিনকার এক সাপ্তাহিক পত্র “ম্বাধীনতা” ৰাংলার গোপন অন্তরকে প্রতিধবনিত করে লিখেছিল “ধন্য চট্টগ্রাম! জসবরমতী-ডাগ্ডি-কুমিল্লা কাধির সুরে স্থুর মেলানো আমার, সে কি শুধু কণ্ঠে? নইলে চারদিকে ধন্য ধন্য ধ্বনিতে হৃদয়তন্ত্রীটা ঝন্‌ ঝন্‌করে চমকালো। কেন? লবণ-তোলা হাত হঠাৎ কেঁপে উঠল কেন? তারপর বুদ্ধি দিয়ে তাকে অস্বীকার করতে চেয়েছি, ভূলতে চেয়েছি। কিন্ত আজ ইতিহাসের পুরোনে৷ পাতা উন্টেতে গিয়ে ভারতের একান্তে বাংলা দেশের চট্টগ্রামে বুটিশের অস্ত্রাগার দখলের কাহিনী পরিহার করার মতো! নৈতিক মিথাচারী আমি হতে পারব না, কেননা, আমি কোনে সরকারী ইতিহাস-লেখকের ভূমিকার অবতীর্ণ হইনি | সম্বন্ধে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞত1 কিছু নেই কাহিনীর ছু'জন লেখক আনন্দ গুপ্ত অনন্ত সিং এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন-_সবাংশে না হলেও প্রথমাংশে | এর সঙ্গে জড়িত নন, তবু তুমি চারু বিকাশ দত্তের “চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লু্ঠন” বইটাও পড়ে নিও। জালালাবাদ পাহাড়ের প্রত্যক্ষ সংগ্রামের অধিনায়ক লোকনাথ বল বইথানির ভূমিকা লিখেছেন তুমি কি-শুনে আশ্চর্য হবেঃ লোকনাথ, পরিণত বয়সে, কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি কমিশনার থাকতে, কাহিনী বলেছিলেন নিজে; আমার কাছে? শেষ করে যেতে পারেন নিঃ কিন্তু বা বলেছিলেন, দুটে। খাতার মতো হয়েছিল, তারই খানিকট। তোমায় পড়ে শোনাই £

“১৮-ই এপ্রিলের মশস্ত্র অভ্যুতখানকে লবণ সত্যাগ্রহের নামে বেশ আড়াল করা গ্রেছল। বারা লবণ সত্যাগ্রহে প্রস্তত তাদের মধ্যে গুপ্ত সশস্ত্র অভ্যুর্থানের সৈন্যদের আনাগোনা চালিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা কঠিন হয়নি। তাদের আরও নিঃসংশয় করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা-কংগ্রেস সম্পাদক সুষ সেনের স্বাক্ষরে এক ইস্তাহার বেরোলে! £ “দেশের দিকে দিকে স্বাধীনতার তুর্ধধ্বনি শোন।

যাইতেছে সর্বত্র আইন অমান্যের সংগ্রাম আরম্ত হইয়াছে ।:*-.*' কলিকাতা অন্যান্ত স্থানে লবণ-আইন ছাড়। অন্ত আইন (যেমন রাজদ্রোহ আইন ) অমান্তও আরম্ত হইয়াছে। কাল বিলম্ব না করিয়! আমরাও আইন অমান্য করিব স্থির করিয়াছি_ইহার জন্য সর্বসাধারণের সহানুভূতি চাই, সত্যাগ্রহী সেনা চাই--লোক টাক চাই |?

+১৮-ই এপ্রিল সকালবেলা কংগ্রেস অফিসে ছোট ছোট দল-_ এর! মেই বাছাই দল মাষ্টারদ! প্রত্যেক দল দলনেতাকে স্ুম্প্ট কার্ক্রম দিলেন। ধার! রেললাইন তুলবেন তার। আগের দিন রওন। হয়ে গেছেন আজকে রাত্রি ৯টা ৪৫-মিনিটে যে ধার ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে উঠবেন |--*--**

“রাত্রি দশট। | আমাদের গাড়ি এসে থামল গেটের কাছে। কিন্তু যে ছেলেটির গেট খুলে দেবার কথা সে তো নেই। জীবন ঘোষাল নেমে গেল গাড়ি থেকে, ঠেলে গেটট। খুলে দিল। তারপর উঠে এল গাড়িতে গাড়ি গেট পেরিয়ে অস্ত্রাগার ভবনের প্রাঙ্গণে টুকল-_অস্ত্রাগারের দিকে এগোতে লাগল।

“সান্্রী হাক দিয়ে উঠল : হণ্ট, ভুকুমদার !”

“ফেগ্ুস |”

“ফ্রেগুসদের গাড়ি সিড়ি খেষে থামল আমি একাই নামল!ম, আমার ডানহাতটা পেছনে, হাতে রিভলভার সিঁড়ি দিয়ে বারান্দায় উঠে এলাম | সান্ত্রী আর আমার দূরত্ব সাত কি আট হাত। ওকে ডাকলাম। এগিয়ে এসে আমায় একটা “বাট স্যালিউট' করল। আমি তড়িংগতিতে ওর রাইফেলট! বা হাতে ধরে ফেললাম, ডানহাতের রিভলভার উদ্ভত করে বললাম) ছোড়ো। | সে কিন্ত ছাড়ল ন।। সে সন্বিং ফিতর পেয়েছে, আমাকে চিনেছে, ফরেণ্ড নই একেবারেই সে ছিনিয়ে নিল ওর বন্দুক এবং তা৷ দিয়ে আমায় মারতে উদ্ধত হল। উপায় ছিল না, রিভলভার গর্জন করে উঠল, পড়ল লুটিয়ে।

«কাছেই আর তিনটি সান্ত্রী ছিল বমে। অনুরেই ছিল রাইফেল- রাখার র্যাক-_এবং রাইফেল। গুলির শব্দে ওরা লাফিয়ে উঠল-_ আমার বন্ধুরাও লাফ দিয়ে নেমে এল গাড়ি থেকে, আমরা সবাই গুলি ছু'ড়তে লাগলাম আর কেউ আহত হয়নি সাম্ত্ীরা মুহূর্তে কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেল। সাক্ষ্য রইল র্যাকের রাইফেলগুলে৷ |

“সার্জেন্ট মেজর ফ্যারলের ওপর ছিল এই অক্ত্রাগারের ভার। অস্ত্রাগার প্রাঙ্গণেই ছিল তার বাংলো আমার রিভলভারের প্রথম গুলির শব্দ তার কানে গেছল। তিনি বারান্দায় বেরিয়ে এসেছিলেন তক্ষুনি হাঁক দিলেন; কে তোমরা?

“আমর! জবাব দিলাম £ “আমর! ইগ্ডিয়ান রিপারিকান আমির সেনানী | প্রেসিডেন্টের আদেশ মতো! আমরা অক্ত্রাগার দখল করেছি। তুমি যদি কোন অনিষ্ট করার চেষ্টা করো মার। যাবে

“বল! বাছুলা, ইংরেজীতেই বলেছিলাম কথাগুলো সাহেব মুহুর্তকাল ভাবল, তারপরই ছুটে বাংলোর ভেতরে গেল। কিন্তু বাংলোর দিকে তাক্‌ করে আমাদের শান্তি নাগ তার হাতের বি-এল গান ধরে ছিল। আমি তাকে প্রস্তুত থাকতে বললাম অনুমান ঠিকই হয়েছিল। ফ্যারেল একটি রিভলভার নিয়ে আমাদের দিকে ছুটে আসছিলেন শান্তির গুলি এসে লাগল তার দেহে। ফ্যারেলের গ।তরোধ হল। ফ্যারেল পড়ে গেলেন

“আমর! গল! ফাটিয়ে 'বন্দেমাতরম্? ধ্বনি দিয়ে চলেছি। গর্বে বুক ফুলে উঠেছে, কণ্ঠে শতকম্বুর শক্তি পেয়েছি, আকাশ হাত বাড়িয়ে আমাদের ধ্বনি নিয়েছে, ঈথর তরঙ্গমালায় ছড়িয়ে দিয়েছে টাউগায়। ঠাটগ! ছাড়িয়ে দূরে আরও বু দূরে আমাদের রিজার্ভ ফোর্ণ এসে জুটল। স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছি বাতাসে, নতুন দৃষ্টিতে দেখছি পৃথিবীকে__এই অস্ত্রাার আমাদের." *.

“অক্সিপিয়ারী অন্ত্রাগারটি ছিল রাস্তার ওপরেই » তাই আমি নির্দেশ দিলাম যে, কোনো গাড়ি যেন পথে নাষায়। কড়া নজর রাখতে হবে। নজর রাখতেই একটা গাড়িকে শহরের দিক

থেকে এদিক পানে আসতে দেখা গেল। ড্রাইভারকে থামতে বল৷ হল। আমাদের গ্রান্থ না করেই চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকে গুলি করা হল।

“এর পর একট| উদ্ভট অবস্থার স্থষ্টি হল। আমাদের হাতের রিভলভার পিস্তলগুলে। 'জাম' হয়ে গেল। এই অসন্ত্রাগারে কোন কাতুজিও আমরা পাইনি অস্ত্রাগার দখল করেও এই অবস্থায় অত্যন্ত নিরুপায় বোধ করতে লাগলাম |

“আর ঠিক এই সময়ে পাহাড়তলীর দিক থেকে একট গাড়ি আমাদের দিকে আসতে লাগল আমর! উদ্বিগ্ন হলাম, আমাদের- সান্ত্রী তাদের থামতে বলল কিন্তু গাড়িটি আমাদের সান্ত্রীকে সম্পূর্ণ উপেক্ষ। করে অস্্াগারের বড় গেটের মামনে এসে খামল। চারজন বৃটিশ মিলিটারী অফিসার প্রত্যেকের হাতে রিভলভার | আমাদের চরম সঙ্কট তস্ত্রাগারে ওদের সান্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়। রাইফেলেও কাতুজি নেই, আমাদের রিভলভার পিস্তলগুলে। তে। 'জাম?।

"হাল ছাড়লাম ন।। বৃটিশ অফিসারদের উদ্দেশে বললাম, তার! ধন্দ অস্্রাগার প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করে তবে আমি তাদের চার্জ করার আদেশ দেব। তখন আমাদের সংখ্যা হবে ১২।

“বিফল হলাম ওর বলল, ক্যা তোম লোগ বাঙালী কুত্তা চার্জ হরে গা? £

“[301005 15805) [)52800106 12809) চা] (বোমা প্ন্তৃত, ডিনামা ইট প্রস্তুত, চালাও গুলি!)

“অবিশ্বাস্ত ফল পাওয়া গেল। উধশশ্বাসে পলায়নের এমন প্রত্যক্ষ রূপ আর কখনো দেখিনি ; যে বীরের! রিভলভার হাতে এইমাত্র আমাদের বাঙালী কুত্ত। বলে সম্ভাষণ করছিল, তার! মুহুর্তে মিলিয়ে 'গিল।

“আমরাও লঙ্গে সঙ্গে অয়ধ্বনি দিয়ে উঠলাম দেশমাতৃকাকে আর একবার ভর! গলায় বন্দনা করলাম পরে জেনেছি এবীর চতুষ্টয়ের মধ্যে মেজর বেকার ক্যাপ্টেন টেটও ছিলেন।

“আমাদের চেষ্টা হল শ্টংরুমটা ভাঙবার। ওটা আটকানো ছিল, চাবিও নেই একট! মোটা৷ দড়ির মাথা স্টংরুমের গেটটার হাতলে জড়ালাম আর একটা মাথা বাধলাম ডজ গাড়িতে, তারপর স্টার্ট দিয়ে__এক ঝটুকাঁ। বদ্ধ ছুয়ার উনুক্ত হল। ভেতরে গেলাম পেলাম লুইস গান, রাইফেল আর রিভুলভার | কিন্তু কাতুর্জ পাওয়া গেল না একটাও তছনছ করে খোঁজাখুঁজি হল, নী? নেই, একটাও নেই ।-*"-.

“কিছুক্ষণ পর পুলিশ অক্্রাগার থেকে অনন্ত সিং টেগরা। নরেশ, বিধু, ব্রিপুর। মাস্কেট নিয়ে এল মনোবল আমাদের কোন অবস্থাতেই কুন হয়নি, ওরা এসে পড়াতে তা নয [বড গেল) আর ঠিক এই সমর এল আর একটি গাড়ি। শহরের নি থেক: হাক দিয়ে পরিচয় চাওয়া হল! বৃটিশ কঠে জবাব এল-_ডিন রক্টু মাজিস্টেট। সাঙ্গ সঙ্গে মান্ষেটগুলে। গর্জন করে উঠল এবং আমাদের কেউ কেউ গাড়ির দিক ছুটে গেল

"ম্যাজিস্ট্রেটের গার্ড মারা গ্েছে। ডাইভার আহত হয়েছে নাজিস্টেটকে রক্ষ। করেছে প্রকৃতি অন্ধকার পঞ্জেয়তছন 1০

»......আোমর। গাড়ি চালিয়ে পুলিশ-আঙ্থাগযতর এলাম ' যে ছুটি দল ইউরোসীয়া ক্লাব পোস্টম এগ টেলিগ্রফ অফিসে গেছল তার! ইতিমধো এখানে এসে সামিল হয়েছে গ্রুসছিচলন মাষ্টারদা 1...

«এরপর আমর আমাদদর পরিকল্পনার পরবর্তী পদক্ষপ “নব এমন সময়--টাটু ট্যাটু ট্যাটু শব্দ, লুইস গান থেকে কারা গুলি ছুঁড়ছে আমাদের লক্ষা করে ওয়াটার ওয়ার্কসের মাথা থেকে 1777

যেমন অকন্মাং থামলেন তৈমনি অকন্মাৎ প্রসঙ্গান্র গিরে বললেন, ঠিক এইনমরে ২১-এ এপ্রিল, রাজসাহীতে বসেছিল এক রাজনৈতিক মেলা বিপিন বিহারী গান্গুলী, প্রতুল গাঙ্থুলী, বহ্কিম মুখাজি। ত্রৈলোকা চক্রবর্তী যথাক্রমে মনোনীত হয়েছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন, যুব সম্মেলন, ইয়ং কমরেডস লীগ ওয়ার্কার্স কনফারেন্সের প্রেমিডেন্ট। চট্টগ্রাম সংলগ্ন বে অব বেঙ্গলের গর্ভ থেকে রাজসাহীর

মেলা-চত্বরে উঠল এক নিদারুণ অভিনান্সের ঘি, সব প্রেমিডেন্ট সমূলে উৎক্ষিপ্ত-নিক্ষিপ্ত হলেন কারা প্রাচীরের ভেতরে-বিনা বিচারে বন্দী! ঘৃণিপাকে পড়েছিলেন আরও অনেকে, ওখানে এবং সার! বাংল! জুড়ে অহিংস কংগ্রেদ আর লহিংস মন্ত্রশিষ্যেরা একাকার হয়ে গেলেন, বাংলাদেশের এক বিশেষ রূপ এবং সার! ভারতে তার তুলনাও নেই।

তবু ১৯৩০-এ চট্রল-বিদ্রোহ বিচ্ছিন্ন একক অদ্বিতীয় ঘটন। নয়। বাংলাদেশে যেমন দিয়েছিল বহু বাধার অবহোধে বন্দী তারুণ্যকে পূর্ণ মুক্তি, সার ভারতেও তেমনি ১৯৩০-এর অহিংস আইন অমান্যকে উপলক্ষ্য করে ঘটেছিল রুদ্ধক% গণশক্তির অসামান্য অভিব্যক্তি ১৯৩০-এ স্বাধীনত। প্রস্তাব গ্রহণ) স্বাধীনতা দিবস পালন) আইন অমান্য আন্দোলন, কাউন্সিল বর্জন, এমনকি ছাত্রদেরও কলেজ ছেড়ে আন্দোলনে যোগদানের জ্ম্য আহ্বান) ভারতীর বণিক সমাজের প্রত্যক্ষ সহযোগ সমর্থন জনসাধারণের মুন পূর্ণ স্বাধীনতালাভের এমন একটা প্রত্যাশ। জাগ্রত করেছিল যে, তারা সর্বস্বত্যাগ সর্বস্ব পণ করে ১৯৩০-এর আন্দোলনকে একেবারে চূড়ায় উৎক্ষেপ করেছিল (কানে দ্ুঃখকেই দুঃখ মনে করেনি, উদ্ধত লাঠির নীচে মাথা ঝণাকে ঝশাকে গুলির সুমুখে বুক এগিয়ে দিয়েছে, কারাবরণ করেছে, মৃত্যুকে ভয় পায়নি তারই কিছু ক্ষীর-নযান তোমার বলব, তারপরেই তুমি দেখবে) সতা। চারটি মাসও যারনি এবং এই আন্দোলন ষখন একেবারে শীর্ষে তখনই কারাস্তরিত নেতৃবুন্দ। স্বাধীনতা নয়, ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের জন্য, লোকটির আন্ডালে আপোষের সুড়ঙে আনাগোন। শুরু করেছেন

৪-ঠ মে গান্ধীজী কারাস্তৃ্মিত হন; করাদি ক্যাম্পে মধ্যরাত্রিতে তিনি বন্দী হলেন। তারপর যারবেদ। জেলে ইচ্ছে ছিল ডাগ্ির পর ধর্ষণার লবণগোল1 দখল করনে এবং, এই মর্মে চিঠিও লিখেছিলেন বড়লাটকে |! বন্দী হবার ঠিক আগের মুহুর্তে চিঠির খসড়া শেষ হয়েছিল তিনি আর পাঠাতে পারেননি ।পাঠিয়েছিলেন

আববাস তায়েবজী। ডাগ্ডিতে লবণ আইন অমান্তের আগে প্রথম চিঠি, ধর্ষণ! লবণগোল! দখলের জন্ত যাত্রামুখে ছিতীয় চিঠি

গাক্জীজীল্ল দ্বিতীয় চিলি

“004. 11116, 16 19105 11069126100 60 ৪66 ০0৮ (0: 10178:8008 800 79801) 6)0018. 1610 ড় 00010001009 200 09008100 00098939100. 01 6119 98916 ভা 0119.

“ভগবান করুণা করলে, আমার ইচ্ছে আছে ধর্ষণার উদ্দেশে যাত্রা করব এবং সদলে সেখানে পৌঁছে লবণ কারখানাটি দাবি করব

“.......একদিকে প্রধাত নেতাদের সঙ্গে মোটামুটি আইন মোতাবেক আচরণ কর। হয়েছে কিন্ত সাধারণ কমীদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করা হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে অশাোভনভাবে প্রহার করা হয়েছে (09162 58৮25215% 20 1]. 50107002525 ০৬০] 17060610115 25581010500!

“মথুরায়, এমিস্ট্যাণ্ট মাজিস্ট্রেট নাকি একটি দশ বছরের ছেলের হাত থেকে জাতীয় পতাক। কেড়ে নিয়েছেন জনত! বেআইনী ভাবে ছিনিয়ে নেওয়। পতাক1! ফেরত দেবার দাবি করতে থাকলে, তাদের নির্দয়ভাবে প্রহারি কর। হয়। বাংলাদেশে। দেখ যাচ্ছে লবণ নিয়ে কারাদণ্ড ব৷ প্রহারের ঘটন। তেমন হয়নি বটে কিন্ত স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে পতাকা কেড়ে নিতে অভাবনীয় নিষ্ঠুরা- চরণ করা হয়েছে। ধানক্ষেত পুড়িয়ে দেওয়া এবং খাছ্ছাবস্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি সরকারী কর্মচারীদের কাছে আনাজ বেচৰে না বলায় গুজরাটের সব্জীবাজার তছনছ করে দেওয়। হয়েছে।

“এখন আপনি দেশের ওপর প্রেস অডিনান্স নিক্ষেপ করেছেন, এটি ভারতের পূর্বেকার সকল অগ্িনান্সকে অতিক্রম করে গেছে 57100255116 2105 17106160 10057], 1 [17018 )।

সত 109৪ 10000 8 900: 00 60:08) 0৩ 1৪, 06185 80)

906 108669: ০01 005 81181 01 3108856 91081) 800 0510928 10১

২৩২

008170 ৪৪ 1610 609 10:0090079, 15 16 017067 11 1 ০91] 0018 000018,] 8,061516169 8900. 1109,0615161995 ৪, 61190 1020) ০01 11%:615] [19 ? 9৮, 6018 1৪ 609 96 691: 01 0179 ৪08819.

দ্বিতীয় চিঠি খানি লেখার সময় গান্ধীজী কিন্তু কারাস্তরালে যাননি, স্ৃতর1ং দেশব্যাপী ঘটনাক্রমে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও যাননি ; কেন না, “চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের” আগেই কলকাতায় ১২-ই এপ্রিল সেনগুপ্তের গ্রেপ্তার এবং ১৩-ই এপ্রিল জওহরলালের গ্রেপ্তারে বিক্ষুন্ধ জনতা ছুটি ট্রাম পুড়িয়ে দেয়, আর একটির ক্ষতি করে ; একটি বাঙালি ছেলে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এফ. ভি. বার্টলেকে আঘাত করে বন্দী হয়। আর, করাচীতে ভাঃ চৈংরাম গিদোয়ানীর বিচার সম্পর্কে কুড়ি হাজার লোকের এক সমাবেশের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। গান্ধীজী স্বভাবতঃ আন্দোলনের গতিক্রম লক্ষ্য করে ১৭-ই এপ্রিল নাগাদ মন্তব্য করেছিলেন £

“1 000-520190099 1788 80 98 6179 [090101928 50191009170 80016010. 60 6109 510191708 01 6109 00%9110006106) 16 00096 ৪611] 09৮40170169 8100009 189] 86 80 0096.),

তারপর “চট্টগ্রাম” হয়েছে, ২৩-এ এপ্রিল থেকে পেশোয়ারে নিদারুণ হাঙ্গাম। হয়েছে ২৪-এ নীলায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে, পুলিশ মাদ্রাজে ২৫-এ চালিয়েছে লাঠি, ২৭-এ গুলি এবং ইতিমধ্যে ২৭-এ এপ্রিল এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভি. জে. পাটেল পদত্যাগ করেছেন গান্বীজীর দ্বিতীয় চিঠিতে তার কিছুই প্রতিফলিত হল না কেন, সহসা বোধগম্য হয় না। রাজনীতির আসরে আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, এই সময় জওহরের শৃন্তস্থানে পিতা মতিলাল প্রেসিডেন্ট পদে পুনরাভিষিক্ত হলেন তোমার মনে আছে বোধ হয়, জওহরই এবছর পিতার পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ? সম্ভবতঃ লড়াই চলছে বলেই নেতৃত্ব রদবদলে এই সতর্কতা সীমাবদ্ধতা

২৩৩

পেশোম্বানে আব্প এক চউগ্রান্ম

কিন্ত ভারতব্যাপী সংগ্রাম সীমান্ত অতিক্রম করেছিল পেশোয়ারে ২৩-এ এপ্রিল। এখানে এমন কাণ্ড হয়েছিল এবং রাজপুরুষেরা এমনভাবে ত। চেপে ধাবার চেষ্টা করেছিলেন যে, পরে ভি. জে. প্যাটেলের নেতৃত্বে, এক বেসরকারী তদন্ত কমিটি হয়েছিল। তার! সরেজমিনে তদন্তের পর যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন ত। গবর্নমেণ্ট সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করে দেন। সে রিপোর্টের নকল “বেআইনী পথে" ব্যাপক প্রচার লাভ করেছিল ; কিন্তু ছুর্ভাগ্যের বিষয় কিভাবে আমার কপিটি হারিয়ে গেছে বলতে পারব না আমি এর আর সন্ধান পাইনি; সীতারামায়ার ইতিহাসে সামান্য যা আছে সরকারী বিবৃতির পরে তাও তোমায় পড়ে শোনাব। থেকে তুমি গণ- অভ্যুত্থানের একটা চেহার প্রকৃতি অচ করতে পারবে। গবর্মমেণ্ট বললেন £

সাত মাস ধরে কংগ্রেস নওজোয়ান ভারত সতার প্রচারকের! (এজিটেটরের ভালে। বাংলা আরকি করব 1),খানিকটা আইন অমান্য আন্দোলনের প্রস্ততি হিসেবে, খানিকটা স্থানীয় অভিযোগ- সুত্রে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে অসন্তোষ সঞ্চারের চেষ্টা করে আসছিল। কংগ্রেস দল সর্বতোভাবে আইনসভায় সরদ! আইনের সব চাইতে উৎসাহী সমর্থক হলেও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের কংগ্রেসকমীর! জনসাধারণ গবর্মমেন্টের মধ্যে অসন্ভাবের বী্গ ছড়াবার প্রয়াসে এই আইনের উদ্দেশ্য বিধানগুলো এমন বিকৃতভাবে উপস্থিত করেছে যেন এটি একটি গীড়নমূলক আইন এই ধমাঁয় আবেদনের পাশাপাশি নওজোয়ান ভারত সভার সদস্তের। পেশোয়ার জেলার গ্রামে গ্রামে কম্যুনিস্ট ভাবধারা ছড়াবারও চেষ্টা করেছে। এই অবস্থা থেকে প্রদেশবাসীদের রক্ষার জন্য প্রাদেশিক সরকার কংগ্রেসের যুব-আন্দোলনের কোন কোন নেতা যে,

২৩৪

তথাকখিত “সংগ্রাম পরিষদ” (৬৬2: 0০0819011) গঠন করেছিলেন আইন অমান্য আন্দোলন পরিচালন! করছিলেন তাদের গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেন ২৩-এ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ান। জারী হয়েছিল; তাদের জনকে গ্রেপ্তার কর! হল; কোন গোলমাল হল না। কিন্ত অপর ছু'জনকে জনতা নাকি জোর করে মুক্ত করে নিয়েছিল (75১০৪০৫ )। ব্যাপারট। তক্ষুনি ডেপুটি কমিশনারের গোচরে আন হয় ; তিনিও অবিলম্বে নিজের গাড়িতে করে শহরের কাবুলি গ্নেটের দিকে অগ্রসর হন। তার সঙ্গে ছিল তিনটি সাঁজোয়। গাড়ি। পথে তিনি শুনতে পান যে, ছুই ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছে। একথা শুনে তিনি সাজোয়া গাড়ি কর্টটকে অপেক্ষা করতে বলে বিন! প্রহরাই কাবুলি গেটের দিকে এগিয়ে যান। তার সঙ্গে পুলিশ সুপারের দেখা হয়| পুলিশ সুপার বলেন যে, কাবুলি গেটের কাছে রয়েছে এক উন্মত্ত জনতা! এবং পুলিশ অবস্থার মোকাবিলা! করতে পারছে না। এপিস্টাণ্ট পুলিশ স্থপারিপ্টেণ্ডেপ্ট প্রস্তর- নিক্ষেপে আহত হয়েছেন

“ডেপুটি কমিশনার তখন সাঁজোয়। গাড়িগুলোকে আনিয়ে নেন এবং নিজের গাড়িতে এগিয়ে বান কাবুলি গেটের কাছে গিয়ে দেখেন রিজার্ভ পুলিশ উত্তেজিত এক জনতার মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে। জন-নেতাদের মধ্যে একজনের হাতে একটি কুড়ুল এবং জনতার মধ্যে অনেকের হাতেই ইটের টুকরো ডি. সি. (মানে ডেপুটি কমিশনার ) প্রথম সাজোয়। গাড়িটায় ঢুকলেন এবং গেট পার হয়ে গেলেন ; জনতা! পথ ছেড়ে দিল, কিন্তু ইট-পাথর ছু'ড়তে লাগল। ডি. সি. যে সাজোয়। গাড়িতে ছিলেন তা ধীরে ধীরে বাজার বরাবর গেল, তারপর ফিরতি পথে কাবুলি গেটের দিকে এগোতে লাগল। মেখানে দ্বিতীয় সাজোয়! গাড়িটি স্থির হয়ে দাড়িয়ে ছিল এবং তার চাকার নিচে পড়েছিল এক সাইকেলারোহী পিয়ন শোনা গেল, লোকটিকে জনতারই কেউ কেউ মাথায় বাঁড়ি মেরে সাইকেল থেকে ফেলে দিয়েছে, আর সীজোয়। গাড়ি দিয়েছে তাকে চাপা হতবিহ্বল

৩৫

হয়ে গাড়ির চালক জনতারও একজন কি ছা'জনকে চাপা দিয়েছে। জনতার উত্তেজনা তুর্ঘটনায় আরও বেড়ে গ্েছে।

“ডি.সি. সাজোয়। গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথ! বলবেন বলে এবং জনতাকে বুঝিয়ে ছত্রভঙ্গ করবেন বলে। তিনি যখন হাঙ্গামাকারীদের সঙ্গে তর্ক করছিলেন তখন তিনি নিক্ষিপ্ত ইট-পাথরে আহত হলেন। ইতিমধ্যে হাঙ্গামাকারীদের একজন সাজোয়। গাড়ির এক মিলিটারী অফিসারকে আক্রমণ্‌ করে বসল এবং তার পিস্তলটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করল ।. সঙ্গে সঙ্গে জনতার চাপ বাড়তে শুরু হল এবং পুলিশ থানার সি'ড়িতে উঠে আসতে বাধ্য হল। ডি. সি. পুলিশ সুপার তবু জনতাকে শান্ত করতে শৃঙ্খলার সঙ্গে ছত্রভঙ্গ হবার জন্ত বোঝাতে লাগলেন কিন্ত ডি. সি. একটি ইটের আঘাতে অচৈতন্ত হয়ে পড়লেন ; তাকে থানার ভেতরে নিয়ে বাওয়া হল, অন্যান্ঠ পুলিশ অফিসারকেও সেখানে সরে আসতে হল। ইতিমধ্যে জনতা সাজোয়! গাড়িগুলো আক্রমণ করেছে এবং একটিতে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে ; ফলে সাঁজোয়া গাড়ি থেকে সেনার নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে দ্বিতীয় সীজোয়। গাড়িটার ওপর হাঙ্গামাকারীরা কুড়ুল। লোহার ভাণ্ড পাথর নিয়ে ভীষণ আক্রমণ চালায় এবং এই সময়ই ডি. সি. সংজ্ঞা ফিরে পান এবং সাজোয়া-সেনাদের গুলিচালনার আদেশ দেন। জনতা সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়।”

গবর্নমেন্ট স্বীকার করেছেন এটি সংক্ষিপ্ত গা সংবাদ এবং ব্যাপারটি আরও তদস্তসাপেক্ষ এবং এরপর তার! বলতে চেয়েছেন যে, বিক্ষিপ্ত হাঙ্গামা৷ চলতেই থাকে, তাদের শান্ত করার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়। | সীতারামায়ার ডায়েরীতে যে বিবরণ পাওয়া ঘায় তা স্বভাবতই সরকারী বিবরণ থেকে পুথক | এতে দেখা! যায়) “সারা ভারতের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশেও আইন অমান্য আন্দোলন আরম্ত হয় এবং কংগ্রেস এই মর্মে বিজ্ঞপ্থি দেয় যে, ২৩-এ এপ্রিল থেকে

৩৬

মদের দোকানে পিকেটিং আরম্ভ হবে। ২২-এ এপ্রিল এ. আই. সি. সি.র এক প্রতিনিধিমগ্ডলী সীমান্ত বিধিবিধান কিভাবে প্রযুক্ত হচ্ছে তার তাদস্ত করবার জন্য পেশোয়ারের দিকে যাত্রা করেছিল; তাদের পথরোধ কর! হয় এবং এই প্রদেশে প্রবেশ করতে দেওয়! হয় না এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে পেশোয়ারে এক মিছিল বেরোয় এবং শাহংই-বাগে এক জনসভা হয়। পরদিন সকালবেলা ন'জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও ছু'জনকে সকাল ন্টায় গ্রেপ্তার করা হয়। যে-লরীতে তাদের নিয়ে ষাওয়। হচ্ছিল সেটি বিকল হয়ে যাওয়ায় তার! নিজেরাই থানায়.হাজির হবেন বলেন এবং তাই তাদের করতে দেওয়া হয়। তদনুসারে তাদের নিয়ে এক মিছিল চলতে থাকে এবং কাবুলি গেট থানায় পৌছোয়, কিন্ত থান। ছিল বন্ধ! একজন পুলিশ অফিসার ঘোড়ায় চড়ে উপস্থিত হন | জনত৷ ধ্বনি দিচ্ছিল আর জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল | ঘোড়সওয়ার অফিসার অদৃশ্য হয়ে যান এবং পরক্ষণেই অকম্মাৎ ছু'তিনটি সীজোয়। গাড়ি এসে পড়ে এবং একেবারে জনতার মধ্যে ঢুকে পড়ে ঠিক এই সময়ে একজন ইংরেজ্ঞ মোটর সাইকেলে ছুটে আসতে আসতে সাজোয়া গাড়িতে এসে ধাক্ক। খায়; পড়ে যায় আর চাপা পড়ে সাজোয়! গাড়ি থেকে কে গুলি চালায়, একট। সাজোয়। গাড়িতে আচম্ক! আগুনও লেগে যায় ডি. সি. তার সাজোয়। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং থানায় ঢোকবার সময় সি'ড়িতে পড়ে যান এবং কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খুব শিগগিরই জ্ঞান ফিরে পান। এরপর সাজোয়। গাড়ি থেকে গুলিচালন। শুরু হয়। জনতা! মুতদেহগুলো৷ অপসারণের চেষ্টা করে। আবার গুলীচালন৷ শুরু হয় এবং থেকে থেকে তিন ঘণ্টাকাল। গবর্মমেট বলেছেন হতাহতের সংখ্যা ৩০।৩৩; জনসাধারণের মতে এর সাত থেকে দশ গুণ (অর্থাৎ নিহতের সংখ) ২১০ থেকে ৩০০7 আহতের সং্য ২৩১ থেকে ৩৩০ )। সন্ধ্যেবেল! সৈম্তবাহিনী কংগ্রেস অফিসে হান। দেয় এবং ব্যাজ পতাকা অপসারিত করে। ২৫-এ এপ্রিল সেনা-

২৩৭

বাহিনী, এমনকি সাধারণ পুলিশও, অকন্মাৎ সরিয়ে নেওয়া হয়। ২৮-এ এপ্রিল আবার আবিভূতি হয় এবং কংগ্রেস খিলাফত স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে শহরের দখল ফিরে নেয় ৪-ঠ মে ( গান্ধীজীর গ্রেপ্তার দিবসে ) স্বেচ্ছাসেবকেরা শহর পাহার। দিচ্ছিল শহর সেনাবাহিনী দখল করে।

জালালাবলাকছেল্ল ত্ভ লেখা

পেশোয়ারের আরও সব মর্মান্তিক রোমাঞ্চকর ঘটনার বিষরণ দিতে পারি যেমন শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অন্ত্রাগার দখলের পর বহু বীরের উপাখ্যান। ২২২৩ এপ্রিলে যখন পেশোয়ারে এই অবস্থা তখন চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে আর এক সংগ্রাম চলছে £

“শক্রপক্ষীয় সেনাদল ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে পাহাড়ের দিকে এগিয়ে আসছে ছুটে আসছে। এক একটা ক্ষণ যেন এক একটা যুগ। জাতীয় পতাকা সাক্ষী রেখে আমি শক্র সেনাদলের উদ্দেশে চীৎকার করে উঠলাম £ ছপ্ট'! জানিনাঃ কেমন করে সে ভয়ঙ্কর পাহাড়-কাপানে! শব্দ আমার কণ্ঠ থেকে বেরিয়েছিল ; আজ কোনে। অবস্থায়ই সেই ভয়ঙ্কর শব্দের পুনরাবৃত্তি করতে পারব না। চারদিককার পাহাড়ে সেই একটি শব্দ গম্‌ গম্‌ করে প্রত্যাঘাত করতে লাগল, একটি শব্দ সহস্র-লক্ষ কণ্ঠের নাদ পেল ষেন। শত্রুপক্ষের সেনাদল এই অপ্রত্যাশিত আদেশে হকচকিয়ে গেল আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গীদের উদ্দেশে বললাম : “ফায়ার !?

“শত্রুপক্ষের ওপর অগ্নিবর্ণ হল অবিশ্রাস্ত। ইংরাজের বীর সৈশ্যদল পলায়নের পথ খুঁজে পায় না,পড়ি-মরি করে দৌড়, বিশৃঙ্খল পশ্চাদপসরণ আমাদের এদিকে রণ-হুস্কার-_-“বন্দেমাতরম্‌ £ইনক্রাব জিন্দাবাদ” ইংরেজের ভাড়াটে সৈন্যদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করল- পাহাড়গুলে! যেন দৈত্যদানবের মতো! আমাদের প্রতিধ্বনি করতে লাগল।

“আমর! জানতাম, শক্রপক্ষ তখন পেছপ। হলেও আবার ফিরবে

৬০

এবং একবার যখন আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়েছে ওরা আক্রমণ থেকে সহজে নিরস্ত হবে না। আমর প্রস্তুত রইলাম, ওরা পথান্তরে এগোলো ওরা পাহাড় থেকে ৫* গজ দুরে একটি, ১০০-গ্জ দূরে আর একটি পাহাড়ে ঘাটি পাতল; তারপর শুরু করল গুলি চালন।।

“আমরাও বিরতি দিলাম না আমাদের মাস্কেটগুলে। অবিরাম গর্জন করে চলল | বন্দুক বা! রিভলভার কিছুক্ষণ চললেই অচল হয়ে পড়ে, এগুলোকে আবার সচল করার ভার নিলেন নির্নলদা। আর মাষ্টারদা নিলেন যোছ্ধবৃন্দের পেছনে অচল সচল আগ্নেয়ান্ত্গুলে! দেয়া-নেয়ার বিপজ্জনক ভার। অসাধারণ ধৈর্যের সঙ্গে বিস্ময়কর জাছুকরের মতে তারা এই কাজ করে চললেন 1... -***'

“ওদিকে ইংরাজ-শাসনরক্ষী প্রথম সৈন্যদের পেছনে আরও সৈন্য এসে ওদের শক্তিবৃদ্ধি করতে লাগল বাঁদিক থেকে একটি দল রাইফেল লুইসগান নিয়ে আক্রমণ চালালো | ত্রমে তিন দিক থেকে আমাদের ওপর গুলিবৃষ্টি হতে লাগল ।.-.*..

“আমি লক্ষ্য করতে লাগলাম, আমাদের কারে কারে। মধ্যে ক্রমেই একটা বেপরোয়াভাব সঞ্চারিত হচ্ছে গুলিচালনার বিধি- বিধান পরোয়া না৷ করার দিকে ঝেশক, আত্মরক্ষা সম্পর্কে উদাসীন থেকে কোনক্রমে শক্রকে ঘায়েল করার প্রবণতা ফুটন্ত জলের মতো! টগবগ করছে ওরা, উৎসাহের আতিশয্যে লাফিয়ে উঠছে, উঠে দাড়িয়ে তাক করছে। কল হাতে হাতেই ফলল, আমার ভাই টেগর! (হরিপদ বল) শত্রুপক্ষের সহজ শিকার হল। বরাবরই দুরস্ত) অস্থির এবং আবেগের তরঙ্গন্থরপ। সে শত্রকে লক্ষ্য করে গুলি ছড়ার জন্য উঠে ফ্াড়াতেই লুইস গানের অনর্গল গুলি ওর দেহ ঝাঝর1 করে দিল। প্রথম মারাত্মক মৃত্যু আমাদের দিকে

“সবাইকে শুয়ে পড়ে গুলি চালাতে নির্দেশ দিলাম কিন্তু বিপ্লবী তরুণদল তখন বেপরোয়াঃ ফুটস্ত জলস্তস্ভের মতো উত্তাল। জানতাম

২৩৯

অসমান যুদ্ধ, এক পক্ষে বৈপ্লবিক আবেগ কিন্তু শস্ত্রাভাব ; অপর পক্ষে চাকুরীর কর্তব্য কিন্ত শস্ত্র-প্রাচুর্য আমার নির্ভয় সাথীরা একে একে ভূমিলগ্ন হতে লাগল, জালালাবাদ পাহাড়ের মাথায় শহীদদের রক্ততর্পণ আখর পড়তে লাগল ।:*:**%

থামলেন! ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম-_এ কি সেই লোকনাথ বলেরই-_

তিনি কিছু সলজ্জ হাসি মিশিয়ে বললেন, হ্যা; লোকনাধ-কধিত আমার লিখিত

পরক্ষণেই হাসি মিলিয়ে গেল, বললেন, আমি তোমাকে মান্্রীজ, দিল্লীর, লক্ষৌর, পাটনার জনচিত্তের করেঙ্গে ইয়! মরেঙ্গের অভিব্যক্তি বিশদ বলে যেতে পারতাম, সব তথ্য আমার হাতে জমা, কিন্তু, সত্য, ইতিহাসের নির্নম খড়গাঘাতে অনেক পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয় ; মানুষের দ্াড়াবার সময় নেই, ইতিহাসও দ্রুতলয়ে চলে। তবু বলি, শোলাপুর বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

শ্পোলাপুল্ে লে এক ভ্রহিভোহ

বুঝলে, সত্য, গবর্মেন্ট কক্ষণো!৷ সত্য কথ বলতে পারে না এবং এবিষয়ে সব গবর্মমেন্টেরই গোত্র এক। শোলাপুরে মে মাসের ঘটনা-বিবরণে গবর্নমেন্ট ও-বিধির ব্যতিক্রম ঘটাবেন এমন নিশ্চয়ই তুমি আশা কর না, সুতরাং শোনো বোশ্বাই সরকারের ইস্তাহার £

“গান্ধীজীর গ্রেপ্তারের পর এক নির্দেশনামা! জারী হল দ্বিতীয় দিনের হরতাল পালনের জন্য | তদনুসারে ৭-ই মে সকালে শোলাপুর স্পিনিং এণ্ড উইভিংয়ের শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বেরিয়ে এলেই গোলমালের সূত্রপাত হল। *

“শোলাপুরে আরও যেসৰ মিল আছে তাদের শ্রমিকদের বের করার জন্য এগো লো, একদল গেল হট্টগোলকারী' আর “ছুরবত্ের' সঙ্গে মিশে শহরের দিকে | যাবার পথে এই জনতা ট্রেন লক্ষ্য করে ইট-

২৪৩

পাটকেল ছোড়ে এবং একটি মিউনিসিপাল চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওরা তই এগোয় ইটপাটকেল ছোঁড়াও তত বাড়তে থাকে। ভি. এস. পি. অন্যান্য অফিসার সামান্ত আহত হন, ছৃ'জন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠাতে হয় হাজার দশেকের জনতা হবে; এদেরই একদল মদের দোকানগুলে। পোড়াতে শুরু করল। জি. আই. পি. রেলওয়ে ব্যাটালিয়ান। এ. এফ. আই. এবং এক লরী পুলিশ নিয়ে ডি. এস. পি. এসে না-পৌছোনে। পর্যস্ত একটি ছাড় শোলাপুরের সব মদ তাড়ির দোকানেই আগুন দেওয়! হয়। বল-প্রয়োগের পর জনতা ছত্রভঙ্গ হয়।

“৪-ঠ। মে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডি. এস.পি.কে জানানে। হয়: যে। ৯০*-পোক দড়ি আর কুড়ুল নিয়ে তাল-গাছ কাটতে 'বেরিয়েছে। জেলাম্যাজিস্টেট এবং ভি. এস. পি. ছুই লরী পুলিশ নিয়ে তাদের জনাছয়েককে গ্রেপ্তার করেন ফেরার পথে তারা দেখতে পান তাদের পথ অবরোধ করে রয়েছে এক বিরাট সুসংগঠিত জনতা; লাঠি নিয়ে এক লরী লোক | তারা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছনড়তে লাগল

“ম্যাজিস্ট্রেট গুলি চালাবার হুকুম দিলেন। এতে রাস্তাটা পরিষ্কার হল বটে কিন্তু মাঠ থেকে টিল ছোঁড়াইড়ি চলল লোক বেড়ে বেড়ে হাজার দশেকের জনতা হল; পুলিশকে লক্ষ্য করে টিলপাটকেল ছুড়তে লাগল, পুলিশ-লরীগুলো আক্রমণের জন্য এগ্সোতেও লাগল আবার গুলিচালনার আদেশ দেওয়া হল। এবার কত গুলি ছোড়া হয়েছিল বল! কঠিন, তবে ৪০টির কম হবে না।

“কিরে এলে ভি. এম. ডি. এস. পি.কে খবর দেওয়া হল যে, শহরে পুলিশের আক্রান্ত হচ্ছে আবার তারা ছুই লরী পুলিশ, এ. এফ. আই. কনটিনজেপ্ট একটি লুইস-গান ডিট্যাচমেন্ট পাঠালেন। তারা দেখতে পেলেন থানার সামনে ছুটি অর্ধদগ্ধ পুলিশের দেহ জেলা আদালত জ্বলছে মিল এলাক রেলকলোনীর অসামরিক

9১

পদস্থ কর্মচারীদের তিনশ নারী শিশুকে পুনায় নিয়ে যাওয়া হল। ইতিমধ্যে শহরের পুলিশবাহিনীকে কোতোয়ালী থানায় সমবেত কর! হল এবং 'লরী-বাহিত সশস্ত্র পুলিশ শহর টহল দিতে লাগল। এরই একটি লরী কয়েকবার আক্রান্ত হল এবং গুলি চালাতে বাধ্য হল। যাতে চৌরাচৌরির পুনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য সন্ধ্যা নামতেই পুলিশবাহিনীকে কোতোয়ালী থানা থেকেও সরিয়ে নেওয়া হল। ্‌

“রাত্রি ১১-টায় পুন থেকে সেনাবাহিনী এল এবং মিলিটারী, পুলিশ মিলে শহর টহল দিয়ে ফিরতে লাগল তারপর সব ঠাণ্ডা

“৯-ই মে সকালবেলায়ও ঠাণ্ডা সকাল ১১-টা অবধি হতাহতের সংখ্য। দাড়িয়েছিল £ জন পুলিশ নিহত, জন নিখোঁজ, হাঙ্গামাকারীদের জন নিহত) ২৬ জনকে শুশ্রাধা করতে হয় সহরে ১৪৪-ধারা জারী |

“১০-ই মে। ঈদগণ। প্রার্থনা নিধিদ্বে সম্পন্ন হল সন্ধ্যার দিকে অমান্তের লক্ষণ দেখা গেল। একটি মিলিটারী লরী বিকল হয়ে পড়েছিল; তাকে ঘিরে ধরেছিল জনতা; ছত্রভঙ্গ হতে বললেও হল না।

“১১-ই মে ২1৪-বোন্ছে গ্রেনেডিয়ারের আরও একটি কোম্পানি এসে পৌছোলে স্থির হল শহর পুনরাধিকার করতে হবে_ স্থায়ী ফাড়িগুলো৷ এগিয়ে এগিয়ে ভ্রাম্যমান টহলদার নিয়োগ করে। ৪নং মিউনিসিপাল স্কুলে এক কোম্পানি পদাতিক সৈম্ত মোতায়েন করা হয় এবং টহলদার সৈন্য পাঠানো হয়। তার। খবর দিল; কোতোয়ালী থানার রেকড-রুম ভেঙ্গে ফেলে নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবকের। এমন ভান করছে ঘেন তার। শহরের প্রশাসন চালাচ্ছে।

“জেল! ম্যাজিস্ট্রেটের আঙ্ভাধীনে সর্বদা মোতায়েন রয়েছে ২৫* জন ভারতীয়, ৩৮ জন এ. এফ.আই. ৬* থেকে ৮* জন পুলিশ। অবস্থা এই যে, মিলিটারী দেখলেই জনতা অদৃশ্য হয়ে যায়, পুলিশ

৪৭

দেখলে ভয়ঙ্কর মারমুখী হয়ে ওঠে কোন সহকর্মী নিহত হওয়ায়, অনেকে আহত হওয়ায় এবং পরিবারদের নিরাপত্তার উৎকণ্ঠায় পুলিশেরাও অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে আছে এবং কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, জনতা৷ বদি তাদের আক্রমণ করে তবে তাদের নিরস্ত কর! কঠিন হবে। সুতরাং সাময়িকভাবে পুলিশদের স্থানান্তরিত করা এবং বিশ্রাম করতে দেওয়! বিশেষ প্রয়োজন এই অবস্থায় শহরের নিয়ন্ত্রণভার নেবার জন্য আর আশু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ কর। সম্ভব নয় বলে মনে হয়েছে।

“১২-ই তারিখে অবস্থাট। পুনরায় পর্যালোচন। করে দেখা হল। পুনা থেকে আরও বাহিনী আন। হল এবং ও. মি. ভি. এম-এর সঙ্গে এই সুপারিশ করেছেন ষে, আরও বাহিনী এসে গেলে সামরিক আইন জারী কর। উচিত হবে

“পুন। থেকে তক্ষুনি ২নং ব্যাটালিয়ান রয়াল আলস্টার রাইফেল্স পাঠানে৷ হল। তারা রওন! হয়ে যেতে ১২-ইমে রাত্রি সাড়ে আটটায় সামরিক আইন জারী করা হল। মধ্যরাত্রের আগেই রয়াল আলস্টার রাইফেলস পৌছে গেল।

“১৩-ই মে ভোর সাড়ে চারটায় সেনাবাহিনী শহর দখল করল। আর কোনো হাঙ্গাম। হয়নি ; গুলিও আর চালাতে হয়নি ১৬-ই মে মিলগুলো। খুলতে লাগল ইতিমধ্যে মিলিটারী ট্রাইবিউনালও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনৈক প্রাইভেট ডাক্তারের হিসেব মতো! “হাঙ্গামাকারীদের” মধ্যে মুতের সংখ্যা ১৩ আহতের সংখ্যা ৫০। গুলি ছোড়া হয়েছিল ১০৩টি, বাকৃসট ১০। রিভলভার থেকে কত গুলি ছোঁড়। হয়েছে তার হিসেব পাওয়। যায়নি |?

মেমলিনীপুক্স-চেচুস্রাহাতেন্স ভোলানাথ চেচুয়াহাটের ঘটনাটা একটু আলাদা ৫-ই জুন তারিখের সরকারী ইস্তাহার থেকেই বলি। “মেদিনীপুর জেলাঃঘাটাল মহকুমা, দাশপুর থানায় চেচুয়াহাট। ৩-র। জুন সাব-ইন্সপেত্রর ভোলানাথ

২৪৩

এসিস্ট্যা্ট সাব-ইন্সপেক্র অনিরুদ্ধ সামন্ত চারজন কনস্টেবল নিয়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তারের জন্য চেচুয়াহাটে যায়; স্বেচ্ছাসেবকেরা পিকেটিং করছিল রাজদ্রোহাত্বক বক্তৃত। দিচ্ছিল।

“গ্রেপ্তার করার পর চারজন স্বেচ্ছাসেবককে কনস্টেবলদের তত্বাবধানে রেখে এস.আই. এস.আই. আর সবার খোঁজে চলে গেলেন তারা আক্রান্ত হয়ে যেখানে কনস্টেবলদের রেখে গেছলেন সেখানে হটে আসতে বাধ্য হলেন হটে এলেন কিন্তু অক্ষত দেহে নয়। ছুপুরবেলা নাগাদ ধৃত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে পুলিশদল দাশপুর থানার দিকে এগোলো ; কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক পরিচালিত এক বিরাট জনতা ওদের অভিভূত করে ফেলল এস.আই. এবং এ.এস. আই.কে কনস্টেবলদের কাছ থেকে আলাদ1 করে নেওয়া হল। কোন সন্দেহ নেই ভোলানাথকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ.এস. আই.র ভাগ্য অজ্ঞাত। কনস্টেবলরা কোনক্রমে থানায় ফিরে আপসতে পেবেছে।

«এ খবর পৌঁছোলো! মেদিনীপুরে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত পুলিশ ম্ুপারিপ্টেণ্ে্ট ১৮জন সশস্ত্র কনস্টেবল নিয়ে চেচুয়াহাট তদন্তে রওন! হয়ে ধান এবং ৫-ই জুন সন্ধ্যায় সেখানে পৌছোন। পরদিন, যে-নন্দনপুর গ্রামে বহু স্বেচ্ছাসেবকের সমাবেশ হয়েছিল সেই গ্রামে গিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হল; সারাদিন তদন্ত চলল। অপরাহে সংবাদ পাওয়া! গেল যে, যেখানে পুলিশ শিবির ফেলবে ঠিক করেছিল তারই কাছাকাছি জায়গায় বছ লোক জড় হয়েছে জায়গাটা তীরবাধ। শুকনে। নদীর পুব দিকে ; আর নদীর বঙ্কিম গতিপথ গেছে এই শিবিরের তিনদিক ঘিরে | দেখা গেল, হঠাং হাজার ছয়েক লোক পেছন থেকে আসছে। আরও হাজার চারেক খালের ওপারে ফীড়িয়ে আছে। চারদিক থেকে অসংখ্য শঙ্খ হুইসিল ধ্বনি হচ্ছে। সূর্য অন্ত গ্রেছে। অতিরিক্ত জেল! ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বললেন

২৪৪

ব্েচ্ছাসেবকদের নেতৃবৃন্দ যাদের আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করলেন। বল। বাহুল্য, দাৰি অগ্রান্থ হল এবং জনতা! যখন খাল পার হয়ে ছুটে আসতে লাগল তখন চলল গুলি। জনতার মধ্যে অন্ততঃ একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, দে পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছু'ড়ল। জনতা একটু হটে গেল বটে কিন্তু হুইসিল শঙ্খধ্বনি চলতেই লাগল ততক্ষণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার হয়ে গেছে। পুলিশদল বিপন্ন হয়ে পড়েছে ; তাই তারা হাটের ক্যাম্পে চলে গেল; কিন্তু এটিরও আক্রমণাশঙ্কা থাকায় স্থির হল তার! ঘাটালে ফিরে যাবে। পধিমধ্যে পুলিশদলকে আর এক জনতা আক্রমণ করে কিন্তু একট গুলি ছু'ডতেই ওর] সামলে ঘায়। পুলিশ দল ৭-ই জুন বিকেল ছুটোয় ঘাটাল পৌছোয়।

“অবস্থা স্পষ্টতঃই অতীব সঙ্গীন বিবেচনার জেল! ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল ১০০ সশন্ত্র পুলিশ নিয়ে ৮-ই জুন সন্ধ্যায় চেচুয়াহাটের দিকে রওনা হয়ে গেলেন এবং ৯-ই জুন মেখানে পৌছোলেন। কোথাও কোন বাধা পেলেন না এবং লক্ষ্য করলেন আশেপাশের গ্রামগুলে৷ জনশূন্য 1”

সত্য, একটা জাতি যখন জাগে) এইরকম অখ্যাত অজ্ঞাত এবং যার! চিরবিস্মৃত হবার জন্যই প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে জন্মায় বিলীন হয়ে যায় নেতৃত্ব-কৃতিত্বের দাগে অক্ষয় করতে, এই চেচুয়াহাটের সূর্যাস্ত সন্ধ্যার অন্ধকারে তাদের অস্পষ্ট ছায়াছবিগুলে৷ দেখছ ? অথচ ১৯৩০-এর ইতিহাসে শঙ্খ-হুইসিল-করধৃত এই মানুষগুলো সিলুয়েটের অভিরক্ত তে। কিছু নয়। হিংসা-অহিংস! নীতির বালাই নিয়ে যতই এদের চুলচের। বিচার করো এদের বাদ দিলে ১৯৩০ ব! ভবিষ্যৎ ১৯৪২-এর সংগ্রামের থাকে কি? কি নিয়ে বারগেন-কাউন্টারে তারা দ্াড়াতেন বা দীড়িয়েছিলেন ? নৈতিক চালুনিতে ছেঁকে নিলে খাঁটি লবণের বা খাটি আশ্রম-পরিক্রত সত্যাগ্রহীর আইন অমান্য আদ্দোলনের পরিধি, ব্যাপ্তি তীব্রতা কতটুকু ? নৈব্যক্তিক ইতিহাসে তার যতটুকু স্থান ভার বেশি দাৰি যেন শুচিবাই অহিংস

নীতিবাগীশেরা না করেন, কেননা, মোহমুক্ত ইতিহাস তাদের পরিমিত স্থানের বেশি দেবে না।

সন্দেহ নেই। পরিমিত হলেও, সেখানে স্বাধীনতাকামীদেরই-_ ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসপন্থীদের নয়--প্রাণপণ পূর্ণ অভিব্যক্তি ঘটেছে। ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসপন্থীর। তখন হয় নিরাপদ জেলে নতুবা গণ- আন্দোলন থেকে নিরাপদ দূরত্বে বৃটিশ শাসক-প্রশাসকদের সানিধ্য লালন করে চলেছেন !

গান্ধীজী বড়লাটের কাছে তার দ্বিতীয় পত্রে ধর্ষনা লবণ গোলায় হান! দেবার পরিকল্পন। বিজ্ঞাপিত করেছিলেন কিন্ত তার আগেই ৪-ঠ মে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে যান; ধর্নার লবণ গোলায় প্রথম হান! দেওয়া! হয় ১৬-ই মে। বোম্বে ছোট আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি হুসেন তায়েবজী, কে. নটরাজন, সার্ডেন্টস অব ইও্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট জি. কে. দেওধর ধর্ধনা হানা দেখে এক বিবৃতি দেন এসোসিয়েটেভ প্রেসের কাছে। তারা তাতে বললেন; “তারা এসেছিলেন উনটাডিতে ; কারণ, তার] ধর্ষন হানায় সংশ্রিষ্ট স্বেচ্ছা- সেবকদের ওপর, এমন কি, ধারা এতে অংশ নেননি, কেবল দর্শক ছিলেন মাত্র, তাদের ওপরও অত্যধিক বলপ্রয়োগ এবং অসভ্যোচিত অরাজকতার অভিযোগ শুনেছেন এবং খবরের কাগজে পড়েছেন | তার! উনটাডি বুলসার হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন, এই হাসপাতাল ছুটি কংগ্রেসকমিটিগুলোই প্রতিষ্ঠা করেছেন ; এখানে একদল নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক ভাক্তার আহত বীর স্বেচ্ভাসেবকদের শুশ্রাষা করেন। মৃতের কঠিন ক্ষতহুষ্টির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম হলেও আহতের ' সংখ্য। বিস্তর উনটাভি গ্রামে সত্যাগ্রহীদের ক্যাম্প কিচেনটি গবর্মমেণ্ট দখল করে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করেছেন। তায়েবজী ওঁরা সেটিও দেখে এসেছেন। তারা তখন দেখতে চাইলেন লবণ গোলায় হানা এবং কিভাবে তা প্রত্যাহত হয়।

“এই উদ্দেশ্টে তার। এমন দূরত্বের একটি মাঠের দিকে অগ্রসর হলেন যেটি কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় কোন প্রতিবন্ধকতা স্থষ্টি করবে না

২৪৬

বা! তাদের পক্ষে আপত্তিকরও হবে না সেটি লবণ গোলার আধমাইল দুরে- সত্যাগ্রহীর! যেখানে দাড়িয়ে আছেন মেখান থেকে অস্ততঃ এক ফার্লং তো! হবেই | যখন তার। এখানে দশাড়িয়েছিলেন, একজন ইউরোপীয়ান ভদ্রলোক এসে তাদের বললেন যে, তাদের নিরাপত্তার জন্যই তাদের গ্রামে ফিরে যাওয়া উচিত। এর অর্থকি, পরবর্তা ঘটনাক্রমেই তা পরিক্ষার হয়ে গেল। তারা দেখলেন, লবণ-গোলা- হানাদারদের লবণ-গোলার অনেক দূরেই থামানো! হল; কিভাবে তাদের থামানো হল এবং তাদের গ্রেপ্তার কর! হয়েছে জানিয়ে কিভাবে তাদের উনটাভিতে ফিরিয়ে আনা হল তাও দেখলেন

“বার বার এই এক অভিযোগ শোন। যায় যে, গ্রেপ্তার করে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে যাওয়। শুধু নয়, লাঠি দিয়ে মারতে মারতে, তাদের পাজড়ায় লাঠি খোচাতে খোচাতে নিয়ে চলে। স্বেচ্ছাসেবকদের সীমারেখার ২০০ গজ অবধি ভেতরে যেতে দেওয়! হয়, তারপর ফিরে আসতে হুকুম করা হয়, গররাজি হলে সীমারেখায় না পৌছোনো পর্যন্ত এবং তারপরও খানিকটা দূর অবধি মার চলতে থাকে এর পর তাদের পেছনে তাড়া করে ঘোড়সওয়ারেরা। ইতিমধ্যে তার৷ অনেক লাঠির বাড়িই থেয়েছেন। এর পরের দৃশ্য হচ্ছে বহু সংখ্যক আহতের স্টেচারে আনয়ন, কারও দেহে একাধিক ক্ষতচিহ। কেউ কেউ সংজ্ঞাহীন | ্বেচ্ছাসেবকদের গ্রেপ্তার করার পর কঠিন আঘাতে জর্জরিত কর! হয়; থেকে তার যথেষ্ট প্রমাণ মেলে।

“বিশ্রী সব গালমন্দের অভিযোগও শোনা গেছে এবং এগুলে! সত্যাগ্রহীদের মনে বড় লেগেছে শরীরের বিশেষ কোনে। কোনে নরম জায়গায় চাপ দিয়ে ব্যথা দেবার অভিযোগও পাওয়। গেছে।

“এর চাইতেও মারাত্মক ঘটন। তার। নিজে চোখে দেখেছেন সত্যাগ্রহীদের লবণ-এলাকার সীমার বাইরে তাড়িয়ে দেবার পর, ইউরোপীয়ান ঘোড়লওয়ারের] পুরো! বেগে ছুটে গেছে আর হাতের লাঠি দিয়ে, যাকেই সত্যাগ্রহী সমাবেশের স্থান গ্রামের মধ্যবর্তা

১৪

জায়গায় পেয়েছে তাকেই হাতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। পুরো বেগে রাস্তা দিয়ে ছুটে গিয়ে নরনারী শিশুকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে

ভয় দেখিয়েছে ।” কিন্ত উন্মত্ত গবর্নমেণ্টের এই বেতাল তৎপরতায় লজ্জা পেয়ে- ছিলেন একজন ভদ্র ইংরেজ সাংবাদিকই তিনি “ডেলী হেরল্ডের? মিঃ শ্লোকোম ১৮-ই মে লিখেছেন £ “16 আ9৪ 7001031156806 100 80 09081191)0080 60 96900. 8000708 6015 5109006) 016700159 0০৮ 06961015 1000%60. 0:০জনু %০101769913 800 9510008,1019978 80৭ ৪০1) 6108 161019890689,61598 7818 0900106৮528 %01001015968,61010,9088890 110 6019 100107008, 9100108/8,881106 10091109358. 16 ভা৪5 85910. 10029 100101119,610£ 60 89100 9100715 006 ৪,709, 0068809 0106 08096 আঅঃ19 9068,0819- [09065 0179660. 160 91906110165 20000. 6109 9201)65 69139200610 1001101068 8৮ 0111 0068106 73017210855 10011190]15 7079108,760 10 61769 90910610102 01 6000 0215010978১ 9510906০088 & 79801 ০0 ৮০-৫৪,৮+৪ &00 00158 00199226801 6109 0151] 10150)90161796 08170108060 8100. 996 0109 ড1700দঘ8 01 611056 081 10011011069 01] আঃ161) 10589 (380010)-98])9 800. 1099]: 6009 10718010925 81908 000) 16) [00100 080]. গান্ধীজী তার বয়ানে বহু “মিলিটাণ্ট' শব্দ ব্যবহার করলেও তার সংগ্রামকে তিনি কখনে। বৈপ্লবিক বিশেষণ দেননি, পক্ষান্তরে বলেছেন; তার সংগ্রাম বৈধ অথবা সাংবিধানিক (০01550000100781)। বস্তুতঃ) আইনের বিধান মেনেই তার আইন অমান্ত ; যে-আইন মানেন ন। সে-আইন অনুসারে ধরলে বা দণ্ড দিলে তিনি আর প্রতিরোধ করবেন না) দোষ, দণ্ড মেনে নেবেন। তার আইন অমান্য আন্দোলন সর্বথ! সর্বতোভাবে অবৈধ বা বেআইনী অথব বিপ্লবী না হয় এজন্য তার সবিশেষ ড় ছিল এবং প্রথমাবধি সর্ভে সরতে একে নিয়ন্ত্রিত সীমাবদ্ধ রাখার জন্য তার সাবধানতার শেষ ছিল না। সেই বৈধবা সাংবিধানিক পরিস্থিতি কি দাঁড়িয়েছিল এই সময় ? কেন্দ্রীয় আইনসভা ব। সেণ্টাল এসেম্বলি যদি সকল বিধান- বৈধতার ভারকেন্দ্র হয়ে থাকে তবে তার প্রেসিডেন্ট ভি. জে. 'প্যাটেলই বলুন কি হয়েছিল এর দশ!

২৪৮

প্রেসিডেস্ট্ক্প পদত্যাগ

সর্দার বল্পভ ভাই প্যাটেলের দাদা ভি. জে. প্যাটেল ছিলেন সংবিধানের আশ্রয় সেন্টাল এসেস্বলির সম্মানিত প্রেসিডেন্ট! কিন্তু থাকতে পারলেন না| কেন?

প্যাটেল বড়লাটকে ২৫এ এপ্রিল পদত্যাগ প্রসঙ্গে লিখলেন £ “অবস্থা যতই কঠিন হোক, আমি অবিচল নিষ্ঠায় ছুই নীতি অনুসারে কর্তব্য পালন করে গ্নেছি। তবু আমার মাথায় আমলাতন্ত্রের ক্রোধ বর্ষণ হয়েছে। এটি নিঃসংশয় সত্য যে, আমলার! কিছু দূর পর্যস্ত আমার নীতি-নিষ্ঠ। সহা করেছেন, কিন্তু যেই তা তাদের স্বার্থ স্পর্শ করেছে তখনই তাদের ভাবাস্তর ঘটেছে। রাজশাসন চালাতেই হবে; এমন কি? জনপ্রতিনিধিত্মূলক এসেম্বলির স্পীকারের কাছেও তার। অনুগতের আচরণঃ আমলাতন্ত্রের পক্ষে সহজ নমনীয়ত। প্রত্যাশ! করেন আমি তাদের কোন আমল দিই নাই এবং তাদের বিচারে অপরিহার্য বলে গণ্য কোন ব্যাপারেও প্রশাসনের অংশবিশেষ হতে অথব! তাদের তাবেদার হতে অস্বীকার করেছি। ফল হয়েছে এই ষে, অন্ততঃ: বিগত তিন বংমর যাবত আমার ভাগ্যে জুটেছে হয়রানি গীড়ন। আগ্াগোড়াই এই সভাপতিপ? হয়েছে আমার পক্ষে কণ্টকশয্যা তারা এসেম্বলি প্রেসিডেণ্টকে সামাজিকভাবে বয়কট করার মফল আয়োজন পর্যস্ত করেছেন।

“আমি কিন্তু প্রতিশোধাত্মক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারিনি, মনোভাব ব্যক্তও করতে পারতাম না। বরাবর মুখ বুজে এই সব সহা করে এসেছি।

“যেন এও যথেষ্ট নয়, এই মনে করে প্রেদিডেটকে উপলক্ষ্য করে অধস্তনদের একট। গোষ্ঠী অপধশ, গা্নন্দ বিকৃতির অভিযানে বন্ধপন্িকর হয় এবং এদের অবাধ প্রশ্রয় দেওয়। হতে থাকে।

শি

আপনাকে আমার সম্পর্কে বিরূপ করে তোল! ছিল তাদের আর

এক কাজ। কোন কোন পত্রিকার সংবাদদাতার পক্ষে. এই গোষ্ঠী হয়েছে সহজগম্য এবং এদের কাছে যথেষ্ট উৎসাহ অনুপ্রেরণ! পেয়েছে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য এই. সব সংবাদপত্রের স্তস্ত ছিল অবারিত। ফলে, কেবল সদরে নয়, মফ£ম্যল অঞ্চলেও সাধারণ শ্বেতকায় মানুষের কাছে এসেম্বলির প্রেসিভেণ্ট

পদাধিষিত ব্যক্তিটি চক্ষুশূল হয়ে পড়ে। |

“70 07989 0170010786912069 5৮ 81700]7 1006 ৪0117193 ০০ 14509119105 60 168৮0 61098 11100. 91180097 ৪100 100 1105910097069 1189 19901] 00119680615 া8601)90.”

ভব্র সাংবাদিক শ্লোকোম শুনে নিশ্চয়ই কানে আঙুল দিয়ে বলেছেন £ 1 ৪5 25০] 10012 1701101]126015 60 1196217...... | কিন্ত আমর! ইংরেজ শাসক-গ্োষ্ঠীর যে-কোন রকম অসভ্যোচিত আচরণে অভ্যন্ত। আমদের মধ্যে যিনি ৪11০9 তিনিও ওদের কাছে অসম্মানের পাত্র। মিথ্যা ঠাট! এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট তো কোন্‌ ছার। প্রশাসনের আর এক নাম প্রেস্টিজ ; অন্ধ অভিমান ; আর শাসক-ইংরেজের জাত্যাভিমান। সুতরাং, প্যাটেলের একথায় আমাদের চমক দেয় না ইচ্ছে করেই এসব ষড়যন্ত্র চলেছে যাতে আমি বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করি, আর, ওর! সেই অছিলায় প্রচার

করতে পীরে যে, ভারতীয়ের! এসব দায়িত্বপূর্ণ পদের যোগ নয়।

“ভারত গবর্মমেন্টের। কি, তাদের পদস্থ ব্যক্তিদের যে আমার প্রতি কোন “প্রেম? ছিল না; একথ। কে না! জানত? সরাসরি অনাস্থ! প্রস্তাব-বলে আমাকে অপসারণের উপায়াস্তর নেই বলেই আমাকে সহা করতেন মাত্র। এরকম প্রস্তাব পাশ করাবার মতে। ভোটাধিক্য সম্পর্কে তার। কখনই স্থুনিশ্চিত ছিলেন না

“এইসব হয়রানি পীড়ন সত্বেও আমি ঘি মনে করতাম এর দ্বারা আমি দেশের কোন নেব! করতে পারব তবে আমি নিশ্চয়ই এই পদে অধিষ্টিত থেকে যেতাম কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই পরিবতিভ পরিস্থিতিতে এসেস্বলির প্রেসিভেপ্ট হিসেবে

ব৫ও

আমার প্রয্নোজনীয়তা একেবারেই ফুরিয়ে গেছে। ভারত সরকার যেভাবে ইম্পিরিয়াল প্রেফারেন্সের সোআ্রাজ্যবাদী আন্ুকুল্যের) নীতি- গুলো অনিচ্ছর এসেম্বলির গলাধঃকরণ করিয়েছেন, তার প্রতিবাদে বিরোধীপক্ষের নেতা পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য তার অনুগামীর। পদত্যাগ করে এসেম্বলি বর্জন করায় এসেম্বলির প্রতিনিধিমূলক চরিত্রই গেছে হারিয়ে

“আমার স্বদেশবাসীরা স্বাধীনতার জন্য জীবন-মরণ সংগ্রামে লিপ্ত। আমার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামোতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে আমার উপযুক্ত স্থান আমার দেশবাসীদের মধ্যেই; তাদের কাধে কাধ মিলিয়ে দাড়ানোই স্থির করেছি আমি, এসেম্বলির প্রেসিডেণ্ট- আসনে বসে থাক! নয়।”

অথচ, তুমিতো দেখেছ, সত্য, এই প্যাটেলই এমন একটা পরিস্থিতি নিবারণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল- কাম হননি

মুহনলি্ম জাহাঁন্নে লিচিত্র ক্ব্র-লহল্লী

আর, ভারতবর্ষের মুসলিম জাহানে চলছে বিচিত্র সুর-লহরী ; বৃটিশ সাআজ্যবাদীরা যেমন তাদের স্বার্থোপযোগ্ী একটিকে বেছে নিতে ভুল করেনি, জাতীয়তাবাদী ভারতবর্ষ কিন্তু শেষ নির্বাচন পর্বস্ত বাছাবাছির একটানা ভূল করে গেছে।

১৯২৯-এর ৩০।৩১ ডিসেম্বরে সার। ভারত মোসলেম কনফারেন্সের কথা তোমায় বলেছি! এই সম্মেলনে বড়লাটের ট্রেন ষে বোমা- দুর্ঘটনায় পড়েছিল তার জন্য নিন্দাসচক বড়লাটের অব্যাহতি- লাভে অভিনন্দনস্চক প্রস্তাব্টির সঙ্গে কংগ্রেস প্রস্তাবের পার্থক্য নেই। পার্থক্য পরিস্ফুট হয়ে উঠল, লগ্নে প্রস্তাবিত গোলটেবিল বৈঠক সম্পর্কে বড়লাটের ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশে তার চাইতেও বড় কথা এই সতর্কবাণী উচ্চারণে যে__

শ্৩ 00288106000. দ1]1 109 80066801860 6159 100913709)

১৫৬

01061) 8100. 0701689 80600866 58165097059 225 02053060. 10 900917 2161069 1069298658৪ 1810 00দ70 17) 6109 29901061025 01092117800915 80006690 ৪6 6106 41] 10018 18091610 001219191009 0916. &% 1091101 00061 6119 10195809005 01 17715 1701£00688 609 128 107820-”

১৯৩০-এর ৯ই ফেব্রুয়ারী দিলীতে হল অল ইত্ডিয়া মুসলিম লীগের অধিবেশন ; প্রেসিডেন্ট ছিলেন এম. এ. জিন্না। গতবার সভাভঙ্গের পর কাউন্সিলের এই প্রথম সভা; ছিলেন £ আবন্ুল কৈয়াম, মৌলবী মহম্মদ ইয়াকুব, আবছুল মতিন চৌধুরী, রাজা গজনফর আলি খাঁ, মহম্মদ রফিক, আবছুল কাদির সাদিক, তোফাইল আমেদ, আবছুল হক, জুলফিকার আলি খাঁ, নবাব সুজাত আলি এস. এম. আবছুল্লা

১৯৩০-এর ১৮ই মার্চ হল মুলিম অল পার্টিজ কনফারেন্স; এরই নামান্তর নিখিল ভারত মুসলিম সম্মেলন

এই সম্মেলন স্যার তেজ বাহাছুর সপ্রু-আহুত সর্বদল সম্মেলনকে মোটে স্বীকারই করতে চাইল ন1]। পরিষ্কার বল। হল যে, ওতে যারা ছিলেন তার! ব্যক্তিগতভাবেই ছিলেন? যদি হিন্দ্ু-মুললমানে কোন সমঝোতা হয়ই, তবে এই নিখিল ভারত মুসলিম" সম্মেলনে অনুমোদন সম্মতির জন্য উপস্থাপিত করা হবে

এই সম্মেলনে স্ভাপতি ছিজেন মৌলান। মহম্মদ আলি। এই সম্মেলনে গৃহীত একটি প্রস্তাবন্রমে যেমন ছুই মুনলিম দলের পুনমিলনে আনন্দ প্রকাশ কর হল এবং লীগকে অল ইগ্ডিয়। মুন লিম কনফারেন্সে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হল, আর একটি প্রস্তাবক্রমে তেমনি দ্যর্ঘহীন ভাষায় বল! হল যে, মুসলমানেরা আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিতে পারে না। কারণটা বেশ কৌতুকপ্রদ £ -

“16 88 1916 6386 20088851708775 0০00]0 006 689 106: 20 01018 011] 019501060187009 0005820790৮ 88 16 দা৪ 006 26911

2005800906 107 1006106098006 ঠ0 07070606 0810018690 80 17180690605 00582007606 8060 50986:08 1007030109

980৪ 1060 629 00231000109] 99661900906 612100060. 10 6136 1০100 91007,

আর ষে যুক্তপ্রদেশ ছিল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দেশখগুন ওরফে বৈরী রাষ্ট্র স্টির প্রেরণাস্থল এবং যে হতাশ মুসলিম বাংলা- শেষ ব! চরম পর্যায়ে মদদ জুগিয়ে পাকিস্তান হাদিল করল তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেদিন আশ্চর্যরকমে বিপরীতমুখীন

১৯।/২০।২১-এ এপ্রিলে হল যুক্তপ্রদেশ মুসলিম সম্মেলন রাজা সৈয়দ আমেদ আলি খ। ছিলেন সভাপতি গো টেবিলের পক্ষপাতী এই সম্মেলনে পৃথক নির্বাচনের ওপরই জোর দেওয়া হল। ১৩টা দাঁবি, তার মধ্যে এটিই মুখ্য সভাপতি রাজার মতে 46 60103 (170 01506 006 11012 90:006012 0:£ [1)0191) (002500- (101) 11) 50 191: 25 0106 70:069001010 1৬0511]7) 1105 212 00170217790. ৬০ ঠা] 0০11559 020 10. 0079 25150105 00101010105 ভা1)0]. 00120101081 £221106 22 50 0:22060115 0171921)6 52021:200 21506078065 216 250186215 110915010- 37010. 8.......১,

ুক্তপ্রদেশের এই ছুষ্টগ্ষত সারা ভারতে নালী ঘা'র স্পট করেছিল; এর বিষময় ফল অখণ্ড ভারতবর্ষকে কতকাল ভূগতে হবে আজ কারও সাধ্য নেই মে ভবিত্বদ্বাণী করেন। কিন্তু ঘটনাচক্রের অনিবার্ধ পরিণতি ; ভারতেরইতিহাসে এক বিচিত্র গতি ভারতবর্ষের হিন্দু শেঠ বা! বুর্জোয়া শ্রেণী পলাশি বা মিরাজী সামস্ততন্ত্রের অস্তিমকাল থেকে যেমন বুটিশ-বৃর্জোয়ার অনুগামী, গৌণ ভূমিকায় হাতধরা। ভারতীয় অভিজাত মুসলিম সম্প্রদায়ও তেমনি বণিকীসভ্যতায় হিন্দু বৈশ্থাদের পশ্চাদ্গামী--লেট-কামার। অসামর্থ্য অক্ষমত! সত্বেও অন্থকরণপ্রয়াসী হয়েও হিন্দু বণিকের! যেমন বৃটিশ বণিকদের সমৃদ্ধি আধিপত্যে ছিল ঈর্ধাপরায়ণ এবং কালক্রমে ১৯২১-২২ থেকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের অন্তরালবর্তা উদীয়মান শক্তি, প্রথমে 6৫091 6:0)609111) মধ্যে ভোমিনিক়ান স্ট্যাটাসে শেষে কমনওয়েলথের

ভেতর স্বাধীনতা-সংগ্রামের সমর্থক, কালামুস্থত পশ্চাদ্গামী মুসলিম বণিকদেরও ঠিক তেমনি এই তিন পর্যায় অতিক্রম করতে হয়েছে অনুয়াদগ্ধ-প্রতিন্বিতার মধ্যে। রাজনৈতিক দাবির ধাপগুলো আসলে এরই প্রতিচ্ছবি £ শোষণে কিঞ্চিৎ অংশ, ১৪ দফা হ'লেও চলে কিছু প্রেফারেন্স, কিছু সংরক্ষণ, কিছু রিজার্ডেশন, তারপর সমান, 20102] [9910)2151)17,; তাতেও সন্ত হয় না, হতে পারে না? গ্লোট! ভারতবর্ষে যেখানে হিন্দু বণিকের প্রাধান্য, তেমনি চাই একটা গোট। দেশ যেখানে থাকবে মুসলিম বণিকদের নিরঙ্কুশ অপ্রতিদন্দী প্রতাপ- পাকিস্তান; ইংরেজবণিকের রাজদণুমুক্ত হিন্দুস্থান; হিন্দুবণিকের আধিপত্যমুক্ত মুসলিম-স্থান। দেশখগণ্ডনের এই অর্থনৈতিক সাম্প্রদায়িকতার দিকট1 দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে অনেকেরই ভারতবর্ষকে ভারতীয় জনসাধারণ কেটে ছুটি প্রতিছন্দী রাষ্ট্র গড়েনি, সত্য, এটি ছুই প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্প্রদায়িক বণিক-ন্বার্থ ই. নিরম্কুশ আধিপত্যের জন্য রাজনৈতিক প্রবক্তাদের দিয়ে এই রক্তাক্ত রূপরেখা টেনেছে। যুক্তপ্রদেশের সব চাইতে শিক্ষিত সব চাইতে অভিজাত মুমলমানের৷ একদিকে এবং বোম্বাইয়ের অগ্রসর হিন্দু বুর্জোয়ার। অন্- দিকে নিয়েছিল এই নেতৃত্ব; হাড়-মাংস দিয়েছে বাংলাদেশের মতো ভাবপ্রবণ ব1 ধর্মপ্রবণ প্রান্তগুলো তারাই এই মহাপুজার বলি।

কথাগুলো কেমন অস্পষ্ট, ছুর্বোধ্য ঠেকছিল; হয়তো আমার চোখে সেই কাতরতা তার চোখে ধর পড়েছিল বললেন, বলছি। বলে যাৰ, আপনিই বুঝতে পারবে

১৯৩০-এর ২১এ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হয়েছিল এক বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম রাজনৈতিক সম্মেলন তুমি কি শুনে অবাক হবে যুক্তপ্রদেশের ড্রাগন যখন বিষবাম্প ছাড়ছে তখন বাংলা দেশের মুসলমানের] স্বাধীনতা-আন্দোলনে সামিল হবার নিঃশর্ত শপথ নিচ্ছেন? চট্টগ্রাম সম্মেলনের প্রস্তাবগলো৷ যথেষ্ট বায়,

ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না £ "218 00136105] 00018792008. 1997767598 169916 808176]5 520 1১০19-09875015 চ160) 60505610081 8০৪] 01 002201669

1709097000101908 101. 10019) 6178 001017010 1106109118100. ০1 &]] 51569 00101701010198,

আজকের খণ্ডিত ভারতবর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শুনলে বিস্ময় জাগে। না, সত্য ? সব সম্প্রদায়ের এক মাতৃভূমি এই ভারতবর্ষ; তার পুর্ণ স্বাধীনত। জাতীয় লক্ষ্য; সর্বতোভাবে এবং সববীস্ত;করণে একাত্ম হয়ে যাচ্ছে এই সম্মেলন, মানে, সম্মেলন-উদ্যোক্তারা, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা। বৃহত্তর মুসলিম সমাজের প্রতিভূর!।

যেখানে ধর্মবোধ প্রবল সেখানে ধর্মের দোহাই না! দিয়ে উপায় নেই। স্বরাজ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ইসলাম বা কোরাণ সম্মত, অর্থাৎ বিরোধী নয়, সুতরাং পরিহার্য নয়। একে পাবার জন্য যে- কোন সঙ্গত প্রচেষ্টায় সামিল হবার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আবেদন রইল।

«এই সম্মেলন সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আহ্বান জানাচ্ছে যে, তার! যেন সবাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভ্য হন; সকলজাতীয় ক্রিয়াকলাপে এবং জাতীয় সাংবিধানিক স্বাধীনতা! লাভের সংগ্রামে পুরোপুরি অংশ গ্রহণ করে, নিজেদের পূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক মুক্তি বিকাশের জন্মগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন

“সম্মেলন আশ। করে, মুসলমানেরাও অন্যান্ত সম্প্রদায়ের মানুষের মতো! আত্মত্যাগ করবেন, আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ্য ভূমিক1 নেবেন এবং তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নত্যাগ্রহীদের সঙ্গে একযোগে ভারতে বুটিশ সরকারের নীতিবিরুদ্ধ লবণে একচেটিয়া অধিকার ভেঙে দেবেন, গোপন না করে আল্লার কৃপায় পাওয়া সমুদ্রজল নোন। মাটি থেকে লবণ তৈরি করবেন ।?

আহা, সত্য, আমার মনের বড় অভিলাষ, এই দিনটি এই কালটি যদি ফিরে পেতাম!

নাঃ সেদিন সেকাল আর ফিরবে না, মহাকাল সমুজ্রে একবার

বা পড়ে তা ফিরে আমে না। আসে না জানি, তবু তো মনে মনে ফিরে যেতে হয় সেখানে, কেমন করে যেন তন্ময় হয়ে যাই। কংগ্রেসের স্বাধীনতা-প্রস্তাব গ্রহণের পর এবং গান্বীজীর ভাগ্ি- যাত্রার আগে ১৪১৫ ফেব্রুয়ারী দিল্লীতে হয়েছিল ফেডারেশন অব ইগডয়ান চেম্বার্গ অব কমার্পের তৃতীয় বাৎসরিক অধিবেশন সভাপতি ছিলেন বর্তমান ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ নিয়ামক বিরল! পরিবারেরই অন্যতম মুখ্য ব্যক্তি। | আমি যেন চমকে জিজ্ঞেদ করলাম, কে? তিনি বললেন,ঘনন্যামদাঁস বিরল! | তিনি তৎকালীন ভারতবর্ষের এই রেখাস্কন রাখলেন অধিবেশনে : 40) বিপুল বিদেশী খণের দায় নিয়ে জাতিহিসেবে আমরা অধমর্ণ; €২) দায় মিটাতে আমাদের বর্তমান সঙ্গতি যথেষ্ট নয়, (৩) এই দায় যথাযথ মিটাতে পারছিনে বলে আমাদের দায়ের পরিমাণ ভয়াবহগতিতে বেড়েই চলেছে) (8) সুতরাং, একেবারে সর্বনাশে পতিত হতে নাচাইলে আমাদের দরকার হচ্ছে উদ্ৃত্ত রপ্তানি অঙ্গপ্ন রাখা এবং তাই থেকে দায় মিটানোঃ সম্ভব হলে, খণের কিছুটা পরিশোধ করা, (৫) আমাদের উৎপাদনে উৎসাহ সঞ্চার করেই কেবল এই উদ্বত্ত রপ্তানি অক্ষুপ্র রাখা সম্ভব ।৮ তিনি আরও বললেন যে; “বর্তমান অসন্তোষের মূলে রয়েছে জনসাধারণের নিদারুণ দুর্দশা] | মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় নিছক জীবনরক্ষায় কঠিনতম সংগ্রাম করে চলেছে, তার! ভয়ঙ্কর বেকারীর কবলগ্রস্ত। আর যারা একেবারে নীচের তলাকার মানুষ তাদের অবস্থার বর্ণনা বাছুল্য মাত্র।

[89 00 006 89900 60 6 ৪009006 (0 000810101051276706 60 8 81001157 936506 09080966617 885704878 11517)8 1৪ ৪০ :10ছা 61186008008 00010. 00881101196 10579:.%

“কিন্ত চিরকাল এমন অবস্থা থাকতে পারে না ইতিমধ্যেই জনসাধারণের নিস্তরঙ্গ সম্তোষ বিদ্বিত হয়েছে কোন এক সময় একটা কীটও বেঁকে দীড়ায়, এবং কারণ যদি দূর কর! না! বায় তবে এই কোটি কোটি মূক জনসাধারণের অসন্তোষ একদিন ফেটে পড়তে

২৫%

বাধ্য। সমৃদ্ধ ভারত মানেই পৃথিবীর শাস্তি, বৃভুক্ষু ভারত পৃথিবীর বিপদস্বরূপ 1”

সমৃদ্ধ ভারত পৃথিবীর শাস্তিলাভের কি উপায়? আমেদাবাদ মিল মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট শেঠ চমনলাল পারেখ ২৬এ জুলাই বাৎসরিক সভায় বললেন, “সে উপায় অবিলম্বে ভারতে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠা |”

ডাণ্ডি মার্চের মাস পাঁচেক পরও আন্দোলনের তীব্রতা হাস পায়নি। শেঠজীই বলছেন £ £৬/1)01 10019 19 119 2369106 ০: 001358%9” এবং ১৯৩০-এ গৃহীত স্বাধীনতা -প্রস্তাৰ অবলম্বনে স্বাধীনতালাভের জন্যই এই অভ্যুত্থান কিন্তু বুর্জোয়া মুখপাত্র শেঠজী জুলাই মাসে নিদ্ধিধায় ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের কথাই বললেনঃ £2]] 12 001161529] 0210169 1] 005 0001005 0901921:90 0096 006 01606 200. 10170012016 ০0150 06 59001610217 1195 11

0০ 06£117166 2909101191)700106 0: 10010101019 96903 71000 0619%.%

প্রত-জন্ীকক্েে দৌত্য

এজন্য শেঠজীকে দোষ দেওয়। অন্যায় হবে। ১৯৩০-এর অসামান্য অব্যাহত জনতরঙ্গ-বিক্ষোভের কালেই কারাস্তরিত নেতৃবৃন্দও বৃটিশ কূটনীতির উর্ণনাভ যে জাল ছড়িয়েছিল তাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন আমর! যারা স্বাধীনতার ন্বপ্নে বিভোর ছিলাম তারা জানতেও পারিনি বারবেদা-নৈনী জেলে কি নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল; যখন জেনেছি, তখন আবেগহীন নিরুত্তাপে তা গ্রহণ করতে পারিনি। ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের আপোষ আলোচনা কেন ব্যর্থ হয়েছিল, দৃশ্যের পর দৃশ্যাস্তরে তা উন্মোচিত হয়েছে, আজ আমাদের সামনে ভার কতকগুলো চিঠি ছাড়া আর কিছু নেই। ১৯৩০-এর ৫ই সেপ্টেম্বর বিগত ছু'মাস ধরে যেসব চিঠি চালাচালি হয়েছিল সপ্র- অয়াকর তা প্রকাশ করেন। বলা বাহুল্য, সপ্র-জয়াকরের দৌত্য

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পত্রালাপ সম্ভব হয়েছিল তংকালীন বড়লাট লর্ড আরুইনের আন্ুকুল্যেই। বেদনাদায়ক-_কিন্ত আমার মনে হয়, ইতিহাসে বেদনার ভারই বেশি

সেদিন আর কিছু বললেন না। সম্ভবত নিজের বেদনাভারেই নিস্তব্ধ হয়ে গেছেলেন। পরদিন বললেন £

ডাণ্ডি মার্চের পর চার মাস কেটে গেছে আইন অমান্য আন্দোলনের মধ্যাহৃমূর্য |

২০এ জুন মতিলাল নেহরু লগ্ন “ডেলি হেরল্ডের স্পেশ্যাল করেসপণ্ডে্ট জর্জ শ্লোকোমকে (06075 91000275) এক ইন্টারভিউ দেন। গোল টেবিল বৈঠক সম্পর্কে তার কি অভিমত এই ইংরেজ সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাংকালে তিনি তা ব্যক্ত করেছিলেন

কিছুকাল পরই বোম্বাইয়ে শ্লোকোম মতিলালের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেছিলেন; শ্লোকোম এই থেকে কয়েকটি মীমাংস! শর্তের এক খসড়া রচনা করেন ; মতিলালকে তা দেখানো হলে তিনি বোম্বাইয়ের একটি ছোট্ট বৈঠকে তা৷ অনুমোদন করেছিলেন ; বৈঠকে ছিলেন মতিলাল; জয়াকর শ্লোকোম। মতিলালের সম্মতিক্রমেই শ্লোকোম তার খসড়ার একটি কপি জয়াকরকে দিয়েছিলেন, ধাতে জয়াকর এই নিয়ে বড়লাটের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারেন।

একথা মনে রাখা দরকার; সত্যঃ ষে। ১৯২৯/৩০-এর কংগ্রেস অধিবেশনে মতিলাল ছিলেন প্রেসিডে্ট এবং তারই স্থলাভিষিক্ত হন জওহরলাল। জওহরলাল কারাস্তরিত হলে মতিলাল আবার প্রেসিডেন্ট হন। শ্লরেকোমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি ছিলেন কারামুক্ত

শ্লোকোম স্তার তেজ বাহাদুর সপ্রকেও খসড়ার একটি কপি গেঁথে এক চিঠি লেখেন | চিঠিতে তিনি সপ্রজীকে জানান যে। এসব শর্তের ভিত্বিতে বড়লাটের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে তাদের মধ্যস্থ হিসেবে কাজ করতে মতিলাল সম্মত আছেন। বিৰৃতিটি বোম্বাইয়ে ২৫এ জুন মতিলালের হস্তগত হয়|

চিহ্ন দেওয়! একটা! বই খুলে পড়তে লাগলেন £

পু 10, 99:8911) 03:0000808170999 6109 73710181) 01059270676 &2৭ 8178 (05610100610 01 10019) &16100020 01290019 60 80010110969 08 2900201161709/610178 61086 208৮ 10 16109০ট 119900]0 108 71906 105 10000 181)19 (00016191798 017 6109 8,0৮16099 7121012 ঠ06 13171618910 0811181006176 1095 1988759 10 9001) 18000010167)” 09810109১ ০0]0. 106%6101091698 109 "ম11]100 60 01৮9 [011669 81590787709 61190 61095 0010 90000: 01069 09208100. 10: 1011 9910010911)16 £০0591307806 10: 10019, ৪0101906. 60 ৪001) 000609 8,01036109)065 8100. 66109 ০0 60819 88 89 9001799 05৮ 109 ৪1090191 06908 9100. 00110161073 01 800 100 179 10106 9%990018- 91010. 161) 31986 32691080093 009৮ 09 0990106900৮ 70000 [81018 00018181709,

হল্পোম্তা প্রতিশ্রুতি

পূর্ণ স্বাধীনতা নয়। শর্ত-কণ্টকিত স্বাধীনতাও নয় এক এমন দায়িত্বশীল গবর্ণমেপ্ট যার সঙ্গে সামগপ্তীস্ত বিধান করতে হবে গ্রেট বুটেনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘকালীন সম্পর্ক গোল টেবিল বৈঠকের সিদ্ধান্ত এমন যে গবর্নমেণ্ট তার দাবি সমর্থনের “ঘরোয়া প্রতিশ্রতি* দেবেন বৃটিশ সরকার ভারত সরকার

জিজ্ঞেস করলাম, ঘরোয়া প্রতিশ্রুতি মানে ? বললেন, ওর মানে নেই, ইংরেজি আছে; 011806 25501:8106. আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির পথে প্রতিবন্ধক আছে একথা মেনেই নেওয়া হল। এই ঘরোয়া প্রতিশ্রুতিই হবে আপোষ আলোচনার ভিত্বি। আমি জানিনে। সত্য, কংগ্রেস তথা! আইন অমান্য আন্দোলনের এমন কি বেপরোয়। অবস্থা হয়েছিল যাতে রকম একট। গবর্মমেণ্টের প্রার্থনায় নিদেন “ঘরোয়। প্রতিশ্রুতি”-ই যথেষ্ট মনে হয়েছিল। কি অতলম্পর্শা বিশ্বাস! অথচ এদেরই মুখে শুনেছি, 10150015 0 100517 10019 104500 0৫ 0:010 016855. চরম বিশ্বাসে আইন অমান্ত প্রত্যাহারের কথাও রইল বিবৃতিতে :

“ণ£ ৪৪0) 885328006 99 008:50. 800. 80090660) 26 0০০10

7'919091 1008311019 £610678] 10798907901 0010081186101 10101 91)0010. 90681] 619 91000169090 09,11176 ০0201 &009 ০0851] 019010901910908 10705827010) 6199 09388610100 005900009206,8 [0:938106 7810:983159 1001105 200. £91067003 07989807901 80009965 10৮00116108] 10118010918 800. জ0০]] 109 10110দ90 1১৩ 00108935 109৮6510810 17) 6109 700100 11%1)19 00101692009 010. 682028 6০ [0008] 8,099]. 01001.

এই ঘরোয়া প্রতিশ্রুতি পেলে আইন অমান্ঠ আন্দোলন প্রত্যাহার কর! হবে, সরকারের চগ্ুনীতি নিবৃত্ত হবে, রাজনৈতিক বন্দীদের কারামুক্তির উদার ব্যবস্থা হবে-_আর উভয়সম্মত শর্তান্ুপারে কংগ্রেস গোল টেবিল বৈঠকে যোগ দেবে

বললাম, তাহলে তো! সন্ধিশর্তে লাভ ছুটি-__

বাধ! পেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি বললাম, এক নম্বরঃ কারাবরণ থেকে কারামুক্তি ; ছুই নম্বর; প্রথম গোল টেবিলে ন1 গিয়ে দ্বিতীয় গোল টেবিলে যাওয়!।

হাসলেন, কিন্তু জবাব দিলেন না বললেন-_সপ্র-জয়াকর এই “দলিল” হস্তগত করে জুলাই মাসের প্রধমভাগে একাধিকবার বড়লাটের সঙ্গে সাক্ষাতের পর একটি পত্র দেন।

“আমর! জানি,ইয়োর একসেলেন্সি, একদিকে যেমন আইন অমান্য আন্দোলন প্রতিরোধে বাধ্য অপরদিকে সাংবিধানিক কর্মস্চীর একটি সর্বসম্মত সমাধানের উপায় বের করার জন্যও তার চাইতে কিছু কম উৎকন্তিত নন |” ইত্যাদি কথা বলে তারা গান্কীজী, মতিলালজী (কেননা, মতিলাল ইতিমধ্যে জেলে এসেছেন ) জওহরলালজীর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলেন উদ্দেশ্য, দেশের স্বার্থে যাতে তারা তাদের আবেদনে সাড়া দিতে পারেন

বড়লাট জবাব দিয়ে বললেন, দেখ আপনারা করতে চান; করতে পাক্সেন। এতে বদি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে আস্মুক, কিন্ত 'ভারতের ভবিষ্যং রাষ্ট্রকাঠামে। সম্পর্কে এখনই কিছু বল! সম্ভব নয়

“18 18 9৪510920615 00৮ 100881016 102 206 60 10610177866 6009

হও

0:9098825 6086 আ1]) 16 00806 25 00591507066 01 [081 866৪: 61567 1790. 63006 60 001081091 6109 9117070 (000111199107098 191002০0710 7802100. [79016 002016:91009 ৪09. 9611] 1993 6129 09018101) 01 6209 78111900919.

জগুহলক্ষে গাক্ষীজীল্ল চাই

লর্ড আরুইন প্রস্তাবিত সাক্ষাতে বাধা দিলেন না। সপ্র- জয়াকর এবার ছু"টি “দলিল” নিয়ে গান্ধীক্জীর সঙ্গে যারবেদা জেলে ২৩ ২৪এ জুলাই দেখা করলেন। গ্ান্ধীজী নৈনী জেলে জওহরলালকে প্রত্যর্পণের জন্য গুদের হাতে একটি চিঠি দিলেন।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, অন্তর্বতিকালে পূর্ণ স্বায়ত্ত শাসন ব্যবস্থায় কিকি রক্ষাকবচ থাকবে গোল টেবিল বৈঠকের আলোচন। যদি তাতেই সীমাবদ্ধ থাকে তো! আমার আপত্তি নেই) তবে একথাও বল! রইল যে, কেউ যদি স্বাধীনতার প্রশ্ন তোলেই তো তা বাতিল কর! হবে ন1।

“কংগ্রেসের সম্মেলনে যোগদানের প্রস্তাবে সমর্থন জ্বাপনের আগে আমাকে জেনে নিতে হবে কাদের নিয়ে এই সম্মেলন হতে চলেছে

“গোল টেবিল বৈঠক সম্পর্কে যদি কংগ্রেস নিঃসংশয় হয় তবে, স্বভাবতই; আইন অমান্য প্রত্যাহ্গত হবে। কিন্তু গবর্নমেন্ট নিজের! যদি মদ বিদেশী বস্ত্র (বিলাতী নয়) নিষিদ্ধ না করেন তবে বিদেশী বস্ত্র মদের জন্য পিকেটিং চলবে। জনসাধারণের লবণ তৈরি চালু রাখতে হবে এবং লবণ আইনের দণ্ডনীয় বিধানগুলো প্রয়োগ করা হবে না, পক্ষান্তরে সরকারী ব। বেসরকারী লবণ গোলায়ও আর হানা দেওয়া হবে না 1 আ1]] 222 ০৪৮গাঠ 16 0015 01210159 1510 10806 2; 0181052 17 00952 66005 25 212 01)02175621701105 11 ভা006,

“আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে হিংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ অথবা হিংসার প্ররোচনায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারাদণ্ডিত অথবা বিচারাধীন সত্যা গ্রহীদের মুক্তি দিতে হবে। লৰণ আইনে”

বি)

রাজস্ব আইনে বাজেয়াণ্ড সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে হবে। দণ্ডিত সত্যাগ্রহীদের কাছ থেকে অথব! প্রেস আইনে আদায়ীকৃত জরিমান! জামানত ফেরত দিতে হবে। গ্রামের অফিলারসহ যে সকল অফিদার পদত্যাগ করেছিলেন অথবা আইন অমান্য আন্দোলনকালে পদচ্যুত .হয়েছেন কিন্তু আবার কাজে যোগ দিতে চান তাদেয় ফিরিয়ে নিতে হবে।” |

“বড়লাটের অন্ডিনান্সগুলো বাতিল করতে হবে। আমার এই অভিমত একান্তভাবে সাময়িক; কেন না, আমি মনে রি, ব্যক্তিগত সংস্পর্শ-বিরহিত বন্দীর বাইরের প্রকৃত অবস্থ! সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকে না বলে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর অভিমত প্রকাশ করার অধিকার নেই। স্ুতরাং আমি আন্দোলনের সংস্পর্শে থাকলে আমার অভিমত সম্পর্কে যে গুরুত্ব দাবি করতে পারতাম এক্ষেত্রে সে-দাবি করতে পারিনে

«সংবাদপত্রে কিছু প্রকাশিত হতে পারবে না। এটি বর্তমানে ব্ডলাটকেও দেখানো চলবে না।”

পত্রটি এম. কে. গান্ধী স্বাক্ষরিত, তারিখ ২৩এ জুলাই

হ্মতিলালেন্র কাছে গাক্ষীজীল্প জজ গান্ধীজী মতিলালকে লিখলেন £

“45 00391610018 99500618115 অ]810. 7391106 661000979- 1776700811% 80 100118) 1 0801706 19 990181%8 01)1701010. 013 1008966915 18101090106 0065109 609 0218010৪115.”

গান্ধীজী মতিলাল নেহরুর কাছে এই প্রসঙ্গে উপলক্ষে যে চিঠি লিখলেন তাতেও এই কথাই বললেন যে, কারাপ্রাচীরের মধ্যে থেকে বাইরে ঘা ঘটছে তার ওপর কোন সুনিশ্চিত অভিমত দেওয়। যায় না।

জানতে চাইলাম, তবু দিলেন কেন?

বিঃ প্রঃ--এটি অসহযোগ আন্দোলনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য

হ্ভৎ

তারও ব্যাখ্যা আছে, লিখেছেন।

“স্থতরাং) আমি যা আমাদের বন্ধুদের দিয়েছি তা হচ্ছে আমাকে ঘা সন্তষ্ট করতে পারে তারই একটা মোটামুটি খসড়া। আপনি হয়তো না-ও জানতে পারেন যে। আমি মিঃ শ্লোকোমকে কোন কিছু দিতে গররাজি ছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তিনি যেন এই বিষয় নিয়ে আপনার সঙ্গে আলোচন! করেন। কিন্ত আমি তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারিনি এবং আপনার সঙ্গে দেখা করার আগেই সাক্ষাৎসংবাদ প্রকাশ করতে দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে এও বলতে চাই যে, সম্মানজনক মীমাংসার উপযুক্ত সময় যদি এসে থাকে তবে আমি তার প্রতিবন্ধক হতে চাইনে। সম্পর্কে আমার মনে যথেষ্ট সংশয় আছে। কিন্তু ব্যাপারে জওহরলালের কথাই হবে চৃড়ান্ত। আপনি আমি তাকে কেবল পরামর্শ দিতে পারি। সপ্রু জয়াকরের কাছে আমি আমার যে স্মারকলিপি দিয়েছি তাই হচ্ছে আমার শেষ সীম! কিন্তু জওহরলাল আপনি আমার এই অভিমত কংগ্রেষের মৌলিক কর্মনীতি (০11০5) অথবা! জনগণের মেজাজের বিচারে সামপ্রস্তহীন মনে করতে পারেন। লাহোর প্রস্তাবের প্রত্যেকটি অক্ষরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কঠোরতর মনোভাব অবলম্বনে আমার দ্বিধ। থাকা উচিত নয় | আমার স্মারকলিপি যদি আপনাদের উভয়ের হৃদয়ে অনুকূল মাড়! ন! জাগায় তবে তার ওপর কোন গুরুত্বই আরোপ করবেন না। বড়লাটের কাছে লেখ! আমার প্রথম চিঠির ১১টি বিষয় আপনাদের যে উৎসাহিত করেনি তা আমিজানি। আমি জানিনে, আপনি এখনও সেই অভিমত পোষণ করেন কিনা) ওগুলে। সম্পর্কে আমার মন পরিষ্ষকার। আমার কাছে ওগুলোই হচ্ছে স্বাধীনতার সারাংশ। ওগুলে। অচিরাৎ কার্ধকর করার মতো! ক্ষমত। জাতি না পেলে অন্য কোন কিছুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।

পৃ) 29862506108 2058911 6০ 69 60:99 10 009 11900০0- 90000) ] 0859 2006 ৪1590. 609 0606: 6180৮ 009 60099 89

20 2:০00806 00৮ 80 089] ম181) 609 0151] 10180199015099, হু 03010 1১9 100 102৮5 60 805 62006 দা1101) দা00]0 0000 0116 10081610100 98 10101) 8 17979 81590. 6০-৫085+

হাতের কাগজটা দশবে নেড়ে চেড়ে বললেন) তুমি নিশ্চয়ই মানবে সত্য মতিলাল বা জওহরলাল, বিশেষ করে জওহরলাল-_যার কথ! গ্ান্ধীজী চূড়ান্ত গণ্য করেন-_কি বলেন বিষয়ে মনে দ্বিধা! থাকলেও এই ছুটিতে গ্রান্ধীজীর মানস-সরোবরটির স্বচ্ছতা! লক্ষণীয় ; সেখানে একটি আপোষকামী মীন শ্বচ্ছন্দে বিহার করছে। বার বার মনে একথা জেগেছে বটে যে, কারাপ্রাচীরে থেকে একট স্মুনিশ্চিত অভিমত দাড় করানে। সমীচীন নয়, কিন্ত মন তার একট জায়গায় স্থির হয়ে গেছে; মীমাংসার উপযুক্ত অবস্থা যদি হয়ে থাকে হোক মীমাংসা এবং থাক অ।ইন অমান্ত। সে মীমাংসায় উপনীত হতে স্বাধীনতা -প্রস্তাব থেকে সরে এলেও ক্ষতি নেই; স্বাধীনতার সারাংশ হলেই হল। আইন অমান্য তে! একট। উপায় মাত্র__নিতাস্তই টোকেন, বিপ্লব তো! নয় যে, দণ্ডবিধি কার্যবিধির কেতাবগুলোরও বহয্যুৎসব হবে ! এজন্যই একান্তভাবে “বিলাতী” নয়, “বিদেশী” বস্ত্র বর্জন যদি গোল টেবিলে যাবার মতে। হয়; যাব, কিন্তূ এই এই শর্তে; মব কটি শর্তই কঠোর নিগড়ে রাখতে হবে তা নয়, একট! সমঝোত] হলেও চলবে আর আপাততঃ সব গোপন, অপ্রকাশ্য কোনরকমে প্রকাশ যেন না হয়। কেননা, বাইরের মেজাজ জান! নেই; কারাপ্রাচীরের বাইরে কি হচ্ছে তা অজ্ঞাত ; তবু।এই আমার চিত্তপটলেখা ; আপনারা পড়ুন, কিন্ত যদি মন সায় না দেয় কোনো গুরুত্ব দেবেন না।

কারাপ্রাচীরের বাইহর কি সে অজ্ঞাত ঘটনাবলী শোনাবার বা দেখবার জন্য আপোষ-মীমাংসায় স্থির গান্ধীজীর মনও উদ্িগ্ন ?

'জয়াকরের সঙ্গে কথা হল। তাদের ইচ্ছাক্রমে, আমাদের নোটে কিছু রদবদল করলাম | তাতে মৌলিক পরিবর্তন কিছু হয়নি। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার এবং সম্পর্কে আমার কোন সংশগ্ন নেই। আশ! করি, আপনি তা উপলব্ধি করবেন ।”

এর পর জয়াকর একাই দেখা করলেন গান্ধীজীর সঙ্গে--৩১এ জুলাই, ১ল। ২রা! আগস্ট |

সময় কারাপ্রাচীরের বাইর কি অবস্থা ছিল ?

সাহেহদেক্র দুর্ভিতে

স্তার হিউবার্টকার ইউরোপীয়ান এসোসিয়েশনের কলকাত। শাখার সভায় বলেছেন 2 1 95 10০৬7 0011 11 [10019 17011003 0096 11701010 190125 5000 52001065101. ০0106 ০00৫ 1 0010110 5009609 10 01009505 117501790 05 00116108] 10695.

অর্থাৎ বিদেশীদের চোখে পড়বার মতো ভারতীয় নারীরা গৃহে পর্দাননীন থাকেন এই তারা দেখে অভ্যন্ত। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির এটি একটি নতুন কথ৷ হল, ভদ্রঘরের মেয়ের! রাজনৈতিক ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়েছেন।'

অথবা,আমি বলব, আন্দোলনের তীব্রতা ব্যাপকতা গৃহপ্রাচীরকে দিয়েছে ধূলিসাৎ করে, সলাজ বিন্র আনত সান্ধ্য বধূর হাতে প্রদীপের বদলে ঝকঝকে উদ্যত-উদ্ধত কৃপাণ !

আর কি? আর, ইংলগ্রেশ্বর বললেন £ অর্থাৎ ভবিষ্যতে ভারতবর্ষে কি ধরণের গবর্নমেন্ট হবে তার প্রস্তাব আনবার জন্য বৃটিশ গবর্মমেন্ট শিগগিরই একটা! কাঠামো! তৈরি করে ফেলছেন ; এজন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্বার্থের প্রতিভূদের একটা সম্মেলন ডাকা হচ্ছে শণ্ডনে। গোলটেবিল বৈঠকের প্রথম অঙ্ক অভিনয়ের জন্য স্টেজ প্রস্তুত |

আর ভারতবর্ষে ওয়াফ্িং কমিটির সদশ্যদের গ্রেপ্তার কর! হল। ঠারা লোকমান বাল গঙ্গাধর তিলকের শ্বতিতে বোশ্বাইয়ে একটি

মিছিল নিয়ে বেরোন এবং পুলিশের হুকুমে মিছিল ভেঙ্গে দিতে রাজী হননি এই ছিল অপরাধ তাদের মধ্যে ছিলেন সর্দার প্যাটেল, মদন মোহন মালব্য শেরওয়ানী, জয়রাম দাস দৌলতরাম, হরদিকর |

আর গুলী চলল বালিয়ায়। লাঠি যশোরে

দেশের এই পরিস্থিতির পটসভূমিকায় কারাপ্রাচীরের ভেতরে, গ্বীন্মীজী এই নোটটি ডিকটেউ করলেন £ 4০) কোন সাংবিধানিক পরিকল্পনাই .তার গ্রহণযোগ্য হবেনা যাতে এই একটি খারা! নেই যে, সাম্রাজ্য থেকে খুমীমত বিচ্ছিন্ন হবার অধিকার থাকবে ভারতবর্ষের এবং আর একটি ধারা, যাতে তার ১১টি দফার সন্তোষ- জনক নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে (২) বড়লাটের এটি আগেই জান] থাক! দরকার যেন পরে তিনি গোল টেবিলে এসব কথা তুলতে গেলে ওগুলোকে 'আকম্মিক' মনে না করেন | বড়লাটের এও জান। থাক! দরকার যে, গান্ধীজী গোল টেবিল বৈঠকে এই একটি ধার! তুলতে চাইবেন যে-ধারাবলে অতীতে বুটিশের দাবী দাওয়া কনসেসান বিচার করতে পারবে একটি ইগ্ডিপেণ্ডেন্ট ট্রাইবিউনাল ।”

বক্ুহপ্রেস নেতৃব্রন্দেল্র দীজী

এর পর ১৪ই ১৫ই আগস্ট যারবেদা জেলে একদিকে সপ্রু জয়াকর, অন্যদিকে গান্ধী, মতিলাল, জওহরলাল, সর্দার প্যাটেল; সৈরদ মামুদ, জয়রামদাস দৌলতরাম সরোজিনী নাইডুর এক সমষ্টিগত মোলাকাৎ হল। বলা বাহুল্য, ভারত তথ! বৃটিশ সরকারের আন্ুকৃলেযই এটি সম্ভব হয়েছিল

কারাপ্রাচীরের বাইব্লে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে তখন চলেছে সামরিক শাসন আর অমুতসরে লাঠি।

যারবেদ কারাগারে সমবেত নেতৃবৃন্দ সপ্র-জয়াকরকে উদ্দেশ করে বড়লাটকে দেখাবার জন্য একটি পত্র দিলেন :

“প্রিয় বন্ধুগণ, বৃটিশ গবর্নমেন্ট কংগ্রেসের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ মীমাংসার চেষ্টায় আপনার যে ব্রতী হয়েছিলেন এজন্ত আমর। গভীর

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের বড়লাটের মধ্যে যেসব চিঠিপত্র লেখালেখি হয়েছে তা পড়ে এবং আপনাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা! করে নিজেদের মধ্যে আলাপ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি ঘষে, আমাদের দেশের পক্ষে সম্মানজনক মীমাংসা লাভের উপযুক্ত সময় এখনও আসেনি 1”

সত্য, যেন রুদ্ধ ঘরে শ্বীসরোধকারী দূষিত হাওয়ার বদলে, দরজা-জানালার খানিকটা! অবরোধ খোলা নতুন সজীব হাওয়া সমবেত নেতৃবৃন্দের কয়েকজন কারাপ্রাচীরের বাইরে থেকে এসে অর্গলরুদ্ধ জানালা-কবাট আংশিক খুলে দিলেন এবং গভীর যবনিকা একটু উন্মোচিত হল।

“বিগত পাঁচ মাস ধরে যে গণ-জাগরণ দেখ গেল তা৷ নিঃসন্দেহে অত্যাশ্চর্ধ, বিভিন্ন ধর্মমতবিশ্বাসীদের সকল স্তর শ্রেণীর লোকের ুর্গতিও হয়েছে অপরিসীম, তবু আমাদের ধারণা, আশু লক্ষ্যসিদ্ধির পক্ষে ছুঃখবরণ যথেষ্ট হয়নি। বল! বাহুল্য, আপনার! এবং বড়লাট যে বলছেন, আইন অমান্য আন্দোলন দেশের ক্ষতি করেছে অথবা অকালে কিম্বা সংবিধানবিরোধী হয়েছে, আমরা তা কোনক্রমেই মানিনে বুটিশ ইতিহাসে রক্তাক্ত বিদ্রোহের দৃষ্টান্ত অচেল; ইংরাজেরা তাদের অকুণ গুণকীর্তন করেছেন এবং তা অনুসরণের শিক্ষাও দিয়েছেন। সুতরাং এদেশে যে-বিদ্রোহ প্রধানতঃ শান্তিপূর্ণ রয়েছে তার নিন্দা বড়লাট কিম্বা কোন প্রাজ্ঞ ইংরাজের মুখে সাজে না। বর্তমান আইন অমান্য আন্দোলনের শিন্দাবাদ, তা সরকারীক্ষেত্রেই হোক কি বেসরকারীক্ষেত্রেই হোক, নিয়ে কলহ করার ইচ্ছা আমাদের নেই। আন্দোলনে জনসাধারণের মধ্যে ষে বিম্য্নকর সাড়া পাওয়া গেছে, আমরা মনে করি, তাই এর যৌক্তিকতা প্রতিপন্ন করেছে। ভবে এক্ষেত্রে কথা৷ হচ্ছে, সম্ভব হলে এই আইন অমান্য একেবারে বন্ধ অথব৷ স্থগিত রাখার ইচ্ছায় আমর! সানন্দে কণ্ঠ মিলোতে পারি দেশের'নর নারীকে, শিশুদের অকারণ কারাগারে, লাঠী গুলীর মধ্যে ফেলে দেওয়া আমাদের

3৩৬.

আনন্দের বিষয় হতে পারে না। সুতরাং, আপনার! আমাদের বিশ্বাস করুন সম্মানজনক শান্তিলাভের পথাবিফ্কারে কোন উপায়ই আমরা বাদ রাখব না কিন্তু একথা স্বীকারেও কোন ছিধা নেই যে এখনও দিগন্তে এমন কোন আভাস দেখতে পাচ্ছিনে। বৃটিশ সরকারী মহলে এই মতাবলম্বনের কোন লক্ষণ দেখ যাচ্ছে নে, ভারতের নর-নারীকেই ভারতের পক্ষে যা কল্যাণতম তা স্থির করতে দিতে হবে। সরকারী পদস্থ ব্যক্তিদের ভাল ভাল, শুডবুদ্ধি প্রণোদিত, সম্সেহ ঘোষণাবলীতে আর আমাদের বিশ্বাস নেই। এই প্রাচীন দেশের মানুষেরা ইংরাজদের যুগ যুগব্যাপী শোষণে এমন অক্ষম হয়ে পড়েছে যে, শোষণের ফলে যে নৈতিক, আধিক ব্াজনৈতিক ছুর্দশা! ঘটেছে তাও সহসা তাদের নজরে পড়ে না।

“197 0810006 [09190899 (11627861593 60 966১ 686 009 61)106 10990100110 61091] 60 0018 6০0 696 ০11 001. 08,009 800. 00 ৪801779 791)886017 101 6109 10896 006 10/ 108170106 03 6০ 1০৮ ০0% ০01 6109 0811176 1000988 61080 17879 £0108 070 10: & 06010607501 7311618) 00201086101) 0০৮ 1000৩ 900 800 80109 01 001 1991390 0001)0010010 65100]. 01109910615.”

ইত্যাদি ইত্যার্দি। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও গোলটেবিল বৈঠকে বাবার অভিপ্রায়ও অনৃক্ত রইল না| “আপনাদের চিঠির জবাবে বড়লাট ঘা বলেছেন তার ভাষা এতই অস্পষ্ট যেঃগত বছরকার লাহোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এর মূল্য নিরূপণ কর আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কগ্রেস ওয়াঞ্কি কমিটি, এবং দরকার হলে! এ. আই. সি. সি.-র সম্মুখে বিষয়টি উত্থাপন ন! করে অবিসম্বাদীভাবে কিছু বলার মত অবস্থাও আমাদের নয়; তবে ব্যক্তিগতভাবে আমরা বলতে পারি যে, কোন সমাধাঁনই সম্তভোষঙ্গনক হবে না যদি নাঁ_ (ক) বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারতের বিচ্ছিন্ন হবার অধিকার স্বীকৃত হয়; (খ) দেশরক্ষাবাহিনী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণাধিকার এবং গান্ধীঙ্জীর ১১-দফাসহ তারতবর্ষকে দায়িত্বশীল ব৷ পূর্ণ জাতীয় সরকার দেওয়া হয় ; (গ) জাতীয় সরকারের মতে যেসব সরকারী

কাল্াপ্রাচীল্সেল বাইন কচি?

২০এ জুন হয়েছিল মতিলাল-শ্লেকোম সাক্ষাৎ এবং তারই অবিচ্ছিন্ন জের টেনে ২০এ জুলাই নাগাদ হল গান্ধী-সপ্র-জয়াকর সাক্ষাৎ। কি ঘটনাবলী সংঘটিত হচ্ছিল এই একমাসকাল কারা- প্রাচীরের বাইরে ? এবং তারও একমাস আগে ২০এ মে তারিখে গান্ধীজী-শ্লোকোম সাক্ষাৎ যখন হয়েছিল ? অর্থাৎ এছুটি মাস আগেই গান্ধীজীর কতকগুলে। সর্ত সম্পর্কে মনঃস্থির ছিল। কিসের ভিত্বিতে ? ৪ঠ1 মে থেকে গান্ধীজী কারাপ্রাচীরে ছিলেন। মাত্র ১৬ দিন পরেই তিনি কারাপ্রাচীর থেকে কতকগুলো! সর্ত শ্লোকোমের কাছে পেশ করেছিলেন, সপ্র-জয়াকরের উৎসাহে তারই পুনরাবৃত্তি করলেন দু'মাস পর। আপোষ-মীমাংসার সর্তগুলে। নিশ্চয়ই গ্রেপ্তারের পর যোলে! দিনে উদ্ভূত বিকশিত হয়নি; এগুলে। ১২ই মার্চের সংগ্রাম অভিযাত্রী গান্ধীজীর মনের মণিকোঠায় বিন্যস্ত ছিল। কারাপ্রাচীরের বাইরের বা কারাপ্রাচীরের ভেতরের ঘটনাক্রম নয়, তার মনের বিস্তারে যা সাজানে। ছিল তাই প্রকাশ পেয়েছে; কারাপ্রাচীরের বাইরের ঘটনাক্রমের সঙ্গে ভার কিছুমাত্র সম্পর্ক ছিল না।

পক্ষান্তরে নিদারুণ বয়কটের ফল কি হয়েছিল? তারই ছুটো। হিমেব দিলেন স্টেটসম্যান ৯ই জুলাই আর ১৭ই জুলাই

প্রথম তারিখে বললেন £

টিকা 8100086 ৪%০চ 00061 20800150606 198 8600090 [000006100 11) 6106 810991006 01 870 0106781০000 61015 ৪109, 0০৪61০৪ 10: £6 00006195 829 10110দ790 1) 70101%898, 76185156 60 91011000606 10101 080 0015 16 £1%9]. 006 1000608 86692 0109 667001086100 01 006 005০০৮৮, 8&00. 1070 60019 18 080 0015 108 88801060 6086 00 10:0009879 89 ৪5118016....... থি9:510০5 &00168 81) £%5167 01 60 ৪916886100১ 800 51? 0189868 01 68506185815 8611088]5 8090650 5 01655111108

: 688086100- এদিক থেকে অর্ডার না! পাওয়ায় প্রায় সব ধুতি তৈরির কলই

বন্ধ হয়ে গেছে। সকলেই স্বীকার করছেন যে; অবস্থা ভয়াবহ এবং এই অচলাবস্থায় সব রকমে ব্যবসায়ীই ভীষণ বিপন্ন হয়ে পড়েছেন।

দ্বিতীয় তারিখে বললেন £

“কলকাতায় বয়কট শুরুহবার পর থেকে ১লা মে অবস্থা দাড়িয়েছে এই যে, কোন কারবারীই এখন আর আগাম কেনার কথা ভাবছেন না। চুক্তিবদ্ধ জিনিষগুলে। কিভাবে বেচে ফেলা ঘায় «এই একমাত্র ভাবনা কিন্তু বয়কট অভিযান এমনই অব্যর্থ হয়েছে যে, সং অনৎ কোন উপায়েই চুক্তি পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে 1”

40079 19981606156 7০050066 100059228106 জা13101) 1088, আ1610009 00800%১ 0990 ৪: 6000:00810১ 1788 0080. 168 601] 00. ৪0701018015. 16 18 96818697176 60 1687) 61086 60919 829 80006 100 01198 0109590 1) 1319,9101000-- 1101) 19 6109 1016698% 0910626 10 দ79৪৮1106 6119 1381088] 1010061১ 08039116 1005 0091098 0065109 ঠ109 7810191051009706 135:01090898 8]] ০ড9: 13810 08,91)179 0911 010611 ০10 96০0:5, ০5৪৮ 10616 1088 10990 80 20001) 00900- [0105100910 270 01009801861] 0৮ 100000008.+ |

“বয়কট আন্দোলনের ফল ফলেছে পুরোমাত্রায় বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই। রব্ল্যাকবার্ণ হচ্ছে বাংলার ধুতি তৈরির সবচাইতে বড় কেন্দ্র; এখানে ১০০ কল বন্ধ হ'য়ে গেছে; সারা ল্যাঙ্কাসায়ার জুড়ে এমপ্রয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জগুশোর সামনে লম্বা কিউ দেখলেই ছূর্দশাটা বোঝা যায়; ধর্ঘট বা লক-আউট হলেও কখনে। এমন বেকারী দেখা যায়নি?

লুতরাং আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব বা সর্ত যদি কারও দিকে অনিবার্য হয়ে থাকে তো! কংগ্রেসের দিকে নিশ্চয়ই নয়; কিন্তু শ্লোকোম-সগ্র-জয়কর। মতিলাল-গান্ধীজীর সাক্ষাতে বিপরীত চিত্র চরিত্রই ফুটে উঠেছে।

শান্তিপারাবতেরা নৈনী দ্দেলে এসে পিতা-পুত্র মতিলাল- জওহরলালের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট দলিল পত্র নিয়ে দেখা করলেন। গান্ধীজীর ২৩এ জুলাইয়ের চিঠি দেখে তার বললেন, গান্ধীজী অন্য সহচরদের সঙ্গে সাক্ষাং-আলোচন। ন! করে তারা সপ্র-জয়াকরের

৮১৬১০

এবং গ্রান্ধীজীর প্রস্তাব সম্পর্কে কিছু বলতে নারাজ |. “হয়তে| আমরা গান্ধীজীর নং বিষয়ের সঙ্গে মোটামুটি সহমত হতে পারি কিন্ত তাও বিস্তারিত আলোচনা-সাপেক্ষ, বিশেষ করে ১নং নিয়ে।?

গাহ্দীজীল্প কাছে জণ্ডহলেন্ল চো

জওহরলালজী ২৮এ জুলাই লিখলেন £

“ডঃ সপ্রু মিঃ জয়াকর কাল এসেছিলেন এবং পিতৃদেব আমার সঙ্গে তাদের অনেকক্ষণ কথা হল। আজ তারা আবার আসছেন। তারা আমাদের সব তথ্য দিয়েছেন এবং আপনার নোট চিঠি দেখিয়েছেন। আমরা ভাবলাম, আমর উভয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা! করে একটা দিদ্ধান্তে পৌছোবো। ইতিমধ্যে দিতীয় সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করব। অবশ্য ঘদি নতুন কিছুর উত্তর হয়, আমর! আগেকার অভিমত পাণ্টাতে প্রস্তুত থাকব। আপাতত আমাদের সিদ্ধান্ত একটি নোটে লিপিবদ্ধ করলাম; নোটটি আমর! স্যার তেজবাহাছুর সপ্রু এম আর জয়াকরকে দিচ্ছি। একথা বলতে পারি যে, আমাদের মনোভাব কি হবে সে বিষয়ে পিতৃদেব আমি সম্পূর্ণ একমত। স্বীকার করছি, সংবিধান সম্পর্কে আপনার ১নং বিষয়টি আমাদের মন জয় করতে পারেনি।

“আমাদের লক্ষ্য, শপথ আজকের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে কিভাবে খাপ খাওয়ানো যায় আমি ভেবে পাইনে। আমরা এবিষয়ে আপনার সঙ্গে সর্বাংশে এক মত যে, আমরা এমন কোন সন্ধিসর্তের অংশীদার হতে পারিনে ধা আমাদের বর্তমান অবস্থাকে কোনরকমে ক্ষু্ণ করতে পারে ঠিক এই কারণেই চূড়ান্ত কোন দিদ্ধান্তে উপনীত হবার আগে পরিপূর্ণ বিচার-বিবেচনার প্রয়োজন।

স্বীকার করতে কুণ্ঠ। নেই যে, আমি কিন্তু অপরপক্ষের কোনো! জক্ষ্যণীয় গরজ দেখছিনে এবং আমার খুবই আশঙ্কা যে, এটি আমাদের

২৬৭

পক্ষে ছুর্বল ভ্রাস্ত প্রচেষ্টা হচ্ছে আমি খুব নরম করেই একখ? হলাম

“আমার কথা বলতে পারি, আমি সংগ্রামেই আনন্দ পাই তাতে অনুভব করতে পারি আমি বেঁচে আছি। ভারতবর্ষের বিগত চার মাসের ঘটনা আমার অন্তরকে উল্লসিত করেছে এবং ভারতীয় নর, নারী, এমনকি শিশু আমাকে এমন করে আগে আর কখনো ভাবায়নি। তবু আমি জানি; অধিকাংশ লোক সংগ্রাম প্রবণ নয় শান্তিকামী এবং তাই আমি নিজেকে কঠোর সংযমে বাধতে চেষ্টা করি এবং শান্তিপূর্ণ দৃষ্টীভঙ্গী অবলম্বন করি

যাছুস্পর্শে আপনি নতুন ভারতের স্ষ্টি করেছেন বলে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই

“ভবিষ্যতে কি আছে আমি জানিনে, কিন্ত এই অতীত আমাদের জীবনে এনে দিয়েছে বেঁচে থাকার সার্থকতা এবং গদ্ধময় অস্তিত্বে মহৎ মহাকাব্যের স্পর্শ এই নৈনী জেলে বসে অস্ত্র হিসেবে অহিংসার আশ্চর্য কার্ধকারিতাঁ নিয়ে আমি ভেবেছি এবং আগের চাইতে অনেক বেশী প্রত্যয় নিয়ে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছি।

“অহিংস নীতি সম্পর্কে দেশে যে সাড়া পাওয়া গেছে, আশা করিঃ আপনার তাতে অসন্তোষের কারণ ঘটেনি হয়তো এখানে ওখানে কিছু বিচাতি ঘটেছে, কিন্তু আমি যা আশা করেছিলাম তার চাইতেও অনেক বেশী বিস্ময়ের সঙ্গে নিশ্যয়তার সঙ্গে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দেশ অহিংসা-নিষ্ঠ থেকেছে মাপ করবেন, আমি এখনও আপনার এগরারোটি পয়েন্টের প্রতিবাদী ওর কোনটা সম্পর্কে আমি যে ছিমত পোষণ করি তা নয়। ওগুলো! নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ তথাপি আমি মনে করিনে ওগুলো স্বাধীনতার বিকল্প হতে পারে।

“3৮ ০8:651015 1] 8899 18) 500. 696 ৩. 81300]9 11959

1000708178 6০ 00 &0৮ 60108 6056 ০০1৭ 006 159 606 0856100 2৩ভপ্: 60 81 10007971866 9606 60 61081

': ধরুন আমাদের আবার স্যার তেজ বাহাহুর সপ্রু এক

২৩৮

করেই বলেছেন, আমাদের ১৫ই আগস্টের লেখা চিঠির ভিত্তিতে কোন আলোচনা অসম্ভব; তাই তার এই উপসংহার যথার্থ ষে। ভাদের চেষ্টা নিক্ষল হয়েছে।”

পত্রের বিষয়গুলোর পুনরুক্তি করে তারা চিঠিতে বললেন, প্রশ্রগুলোয় নিষ্পত্তি হলেই কেবল লগ্ন বৈঠক কাদের নিয়ে হবে কংগ্রেসের কে বা কার! যাবেন তা স্থির হতে পারে লর্ড আরুইন বলেছেন, নিয়ে আলোচনারও কোন ভিত্তি নেই। বিষয় ছাড়াও চিঠির সুর বৃটিশ সরকারের সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপে এই ইঙ্গিতই পাওয়! ঘায় যে, তাদের শাস্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা নেই। দিল্লীতে ওয়াকিং কমিটির সভা! হবার বিজ্ঞপ্তি বেরোবার সঙ্গে সঙ্গেই কমিটিকে বেআইনী ঘোষণ! কর সদস্যদের গ্রেপ্তার করার মধ্যে আর কোন অর্থনেই। সরকারের কোন কোন ক্রিয়াকলাপ “অসভ্যো চিত” মনে করলেও আমরা নিয়ে নালিশ করছি নে। বরং, এসব আমরা বরণই করব ( %৪০100]02 61211 )1 কিন্তু আমর। মনে করি, একই সঙ্গে শাস্তি কামনা ঘে সংস্থা শান্তি আনতে পারে তার ওপর আক্রমণ চলতে পারে না৷ সার ভারতবর্ষে ওয়ার্কিং কমিটি নিষিদ্ধ করার একটি অর্থই হতে পারে--তা হচ্ছে, জাতীয় সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

“আমাদের লর্ডআরুইনের মধ্যে যে বিরাট ব্যবধান বিরাজমান তাতে বিস্তারিত আলোচন। নিরর্থক ; কিন্ত আপনার কাছে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতে চাই আমর! আমাদের চিঠিতে বলেছি, প্রতিরক্ষা- বাহিনী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রসহ পূর্ণ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোথায় কি রক্ষাকবচ হবে-না-হবে তা ভারতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই স্থির করবেন। বুটিশ সাআজ্য থেকে ভারতের বিচ্ছিন্ন হবার অধিকার বুটিশের দাবীদাওয়। কনসেসান সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে বড়লাট আগ্ের' কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন

“বন্দীদের মুক্িদান সম্পর্কে লর্ড আরুইনের কথা অত্যন্ত সীমাবদ্ধ অনস্তোষফজনক। আমর! বিষয়ে প্রাদেশিক সরকার পদস্থ

১৪৬

ব্যক্তিদের ওদার্ষের ওপর নির্ভর করে থাকতে রাজী নই! আইন অমান্য আন্দোলনের আগেও অনেকে বন্দী হয়েছেন ; উদাহরণন্যরূপ মীরাট মামলার বন্দীদের কথ] বলা যায়, বিচারাধীন অবস্থায়ই তাদের দেড় বছর কেটে গেছে, তাদেরই বা! কি হবে?

“ধারা হিংসাত্বক ক্রিয়াকলাপের অভিযোগে বন্দী হয়েছেন আমরা তো৷ তাদের মুক্তি দাবী করিনি, একারণে নয় যে, তাদের মুক্তি দিলে আমরা খুশী হব না। এই কারণ আমাদের আন্দোলন যখন অহিংস তখন ঘুলিয়ে দেওয়া উচিত নয়।”

তারা লিখলেন, পিকেটিংও লবণ আইন সংক্রান্ত জ্বাবও মোটে সম্তোষজনক নয়। আপনি আমাদের নোটটি শ্রীমতী সরোজিনী নাইড়ু, বল্লভ-ভাই প্যাটেল জয়রাম দাস দৌলতরামকে দেখাবেন এবং তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সপ্র-জয়াকরকে জবাব দেবেন।

এবাব্পকান্স মতো সেন চা

সপ্রু-জয়ীকর বারবেদ। জেলে গান্ধীজী অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে

দেখা করলেন ওরা, 8ঠ1১ ৫ই সেপ্টেম্বর তার! তারিখে একখান চিঠি দিলেন তাদের হাতে-__এবং এবারকার মতো! এটিই চূড়ান্ত এম কে গান্ধী, সরোজিনী নাইডু, বল্পভভাই প্যাটেল, জয়রামদাস দৌলতরাম-ন্বাক্ষরিত এই চিঠিতে সব বিষয়েরও সব বক্তব্যের পুনরাবৃত্তিআছে ; সুতরাং, ওর মধ্যে নতুন ছু একটি কথা ছাড়া আর উল্লেখ করব না

«প্রিয় বধ 1?

সকল কাগজ পত্র দেখে সপ্র-জয়াকরের সঙ্গে আলাপ আলোচন! করে তারা নিশ্চিত বুঝেছে যে, গবর্ণমেপ্ট কংগ্রেসের মধ্যে কোন মিলন-ক্ষেত্র নেই। “মস্ৃতরাং) শাস্তি প্রতিষ্ঠার পথে কোথায় বাধা আমরা সংক্ষেপে তারই উল্লেখ করে যাব।”

এই পত্রে প্লোকোমের সঙ্গে সাক্ষাৎ বড়লাটের বিভি্ন সময়ের

05

বিবৃতি ইত্যাদি উল্লেখ করে বল! হয়েছে যে, “আমর! মনে করিঃ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে মস্ত ফারাক রয়েছে।” পড়া থামিয়ে আমার দিকে ন। তাকিয়েই মন্তব্য করলেন £ গান্ধীজী প্রমুখের এই চিঠিতে সম্ভবতঃ এই প্রথম “সমঅংশী- পদারত্বের” (৪0021 09:06:51) কথাটার উল্লেখ হয়েছে।

“11107791518 100ত7 60 566817) 1011 1891)01)811019 £0৮9101076106 ০00 095৮ আ1086650] 061081 690008 16 19 80196 10007) 10 080 0015 09 010 0. 80090106915 ₹০100681য 1088818, 198,51106 9801) 0:৮৮ 60 ৪901: 609 1087:009287010 07. 88900186100 11]. [1 10018 1৪ 60 79100781000 1010691 & 108৮ 01 6109 73716181) 10010179 00৮ 1৪ 60 0900008 ৪0 9009] %00. (96 1087092 20 608 002010000- ড/9৪,1012) 9109 00096 1981 8108 0109 800 ৪7068 6108 89809186101. &00. 10956] 0606218০*,,

“যতক্ষণ পর্যস্ত বৃটিশ সরকার বুটিশ জনসাধারণ এটি (কমন- 'ওয়েলথভূক্ত সমঅংশীদারত্) অসম্ভব অগ্রাহ্ মনে করছেন; ততক্ষণ, আমাদের মতে, কংগ্রেনকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যেতে হবে

“লবণের ব্যাপারে গবর্মমেপ্টের মনোভাবটি আরও পরিষ্কার হয়ে 'গেছে।

“[6 19 88 101810 8৪ %5116196 60 0৪ 61096, 1৫000 01255 10816065 0 31018) 0198 70199 01 107019, 99 00%1019 6০ 10097968100 0: 8007908866 6106 01010016198 ০01 606 ৪০৪:51100 1001111008 115117£ 10 809 10181109 11099 17709589106 6০01] 17780:99 (30590 10906 1000. 5001) & £1005 10916196 &$ &]] 1009511)19.

লবণের বদলে আয়ের কোন একটি বিকল্প উপায় বলে দেবার কথাও নেতৃবৃম্দ কাটা ঘায়ে নূনের ছিটের? সঙ্গে (990176 12501 &০ 21))015 ) তুলনা করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আমার মতে এটা ব্যর্থতার স্বীকৃতিও বটে ষে শাসক সম্প্রদায়, তার। যে অস্ত্র প্রয়োগ করে ব্বাধীনতা পেতে চাইছেন তা মোটেই উপলব্ধি করতে পারেন নি। হয়তো! মাত্র কয়েকমাসের ছুংখবরণ তাদের চিত্র আলোড়ন করতে পারেনি

আরও ছুঃখবরণ চাই।

২৭

পা 00861000089 1980:690 60 ৪. 79800, 030 009 70121 08108 0100890 6০ 16, 11] 689 61006 6০ 00097908100 800 81001901869, ভও &25 006৮ ৪0015906096 5 19 10010610% 80017061783 0০0 0009:90. 61920.

সত্য, সেই হৃদয়ের পরিবর্তনের কথা এজন্য আরও একবার বল হল, না, ইংরাজদের সঙ্গে কোন বিবাদ নেই। বৃটিশ আধিপত্যই অসহা। বললেন, শাস্তি আলোচনার এখনও সময় হয়নি তাছাড়া বন্দী হিসাবে তাদের অসুবিধে আছে? খবর যা-কিছু তা নিতান্তই পরোক্ষ, তাতে ভুল হবার সম্ভাবনা অনেক। এজন্য ধার! বাইরে কংগ্রেসের তত্বাবধানে রয়েছেন তাদের সঙ্গে বন্দীদের সাক্ষাৎ হওয়া প্রয়োজন | গবর্নমেন্ট ইচ্ছে করলে সে ব্যবস্থাও করতে পারেন

হঠাৎ হাসতে লাগলেন আমি বিস্ময়ে হতবাক্‌। মুখে হাসি রেখেই বললেন, পরশুরামের “চিকিংসা সঙ্কটে” তারিণী স্যানকে মনে পড়ে? খুল্নের যেস্তী বাবুকে ধিনি একদল! চ্যবন প্রাশ দেবার কথা বলে জিগগেস করেছিলেন, তারপর কি হল কও দিকিন? কিন্তু পা গজালে। কিন। সে প্রশ্নের জবাব ন। দিয়ে ছাগলাছ্য ঘ্বৃতের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তুমিও যদি আমাকে জিগগেস কর» এবুূপর কি হল? আমি মোভ1 জবাব দেব না

কান্সা প্রাচীল্েেব্স বাহে লেখা

বলব, ইতিমধ্যে কারা প্রাচীরের বাইরে ইতিহাসের বেশ কয়েকটি পাতা উল্টে গ্রেছে। শবটা আজ আর তৃমি শুনতে পাবে না। কিন্তু কলকাতার পুলিশ কমিশনার স্যার চালস টেগার্টকে লক্ষ্য করে সেদিন এফটি বোম] বিস্ফোরণের নিদারুণ শব্দ চমকে দিয়েছিল ভ্যালহৌসী স্বোয়ারকে। সেদিন ২৫এ আগষ্ট স্কোয়ারের দক্ষিণ পূর্ব কোণে; সকাল বেল! ১১টা নাগাদ গ্রাড়ীতে করে যাচ্ছিলেন অফিসে ; গাড়ীটা মোড় ঘুরতেই ছুটো বিস্ফোরণের শব | গাড়ীটা একটু এগিয়ে গেল তারপর ঘুরল পেছনে গুলী চালনার শকও শোনা গ্েল। এক বাঙালী তরুণরক্তাপুত ;স্কোয়ারের রেলিং

খণ অসঙ্গত অধবা ভারতীয় জনসাধারণের স্বার্থপরিপোষক নয় তৎসহ ইংরাজদের সকল দাবী সুবিধা, প্রয়োজন হলে, কোন নিরপেক্ষ ট্রাইবিউনালে পেশ করতে ভারতকে অধিকার দেওয়। হয়!

২| ওপরের বিষয়গুলে! যদি বৃটিশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় এবং তদনুসারে একটি সম্তোষজনক ঘোষণ। কর! হয়, তবে আমরা আইন অমান্যের উদ্দেশ্েই আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করা বাঞ্ছনীয় বলে ওয়াকিং কমিটির কাছে সুপারিশ করব কিন্তু গবর্নমেণ্ট যদি-ন! স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মদ বিদেশী বস্ত্র নিষিদ্ধ করেন তবে পেক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পিকেটিং চববে

এর মূল ইংরাজী বয্লানট1 পড়ি, সত্য, বাংলা অনুবাদটা আমার তেমন মন:পৃত হচ্ছেনা, এর চাইতে ভালে! বাংল! আমি করতেও পার্ছিনে £ “৬০ 90010 00120107150 €0 06 ০1]0108 00201016650 00০ 20152011165 0 0811106 ০03 01৮1] [01500০- 16106) 0396 15 60 525১ 0150196016106 06 021091 125 001 0১০ 5815 0৫ 01501020161)06) 7006 70680600] [0101560105 0: 0919167 01000 2180 11000 111 02 ০0101001607

সত্য, এগুলে:র পুনরাবৃত্তি বাহুল্য মাত্র, এগুলো গ্ান্ধীজীর জুলাই মাসের চিঠিতেই ছিল মতিলাল, গান্ধী, শ্রীমতী নাইড়ু, সর্দার. পাযাটেল। দৌলতরাম, সৈয়দ মামুদ, জওহরলাল-্বাক্ষরিত বর্তমান চিঠিতে সেগুলো! অন্তৃভূক্তি হয়েছে অর্থাৎ ধার নাম কংগ্রেপ নেতৃবৃন্দের চিঠি তাতে আসলে ঘরে-বাইরের, কারাপ্রাচীরের ভেতর বাইরের, গান্ধীজীর আর কারও কারও মতসভ্বর্ষ মতসমন্বয়্ প্রতিফলিত হয়েছে বটে, কিন্তু উচ্্বী বিজিনেস, নরমে-গরমে এই চিঠির মধ্যে যেটি মুখ্য সেটি গান্ধীজীর গোটা চিঠিরই পুনরুক্তি। চিঠিটি আয়তনে বৃহত্বর হয়েছে কিছু দীর্শনিক তত্বে এবং বাইরের চলতি আন্দোলনের উত্তাপে ; সেখানেই জনলাধারণের সংগ্রামী মনোভাবটি প্রকাশ করা হয়েছে এবং তারই জোরে সর্ভগুলো দেওয়। হয়েছে। গান্ধীজীকে বাইরেকার চাপেই একটু পিছিয়ে যেতে

হও

হয়েছে, কিন্তু গান্ধীজীর কথাগুলোও প্রায় সর্বাংশেই স্থান পেয়েছে তবু এই ষে খানিকটা পিছোতে হল এবং শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের: শাস্তি আলোচনা ব্যর্থ হল, তাই গান্ধীজীকে হয়তো আর কম্মাস পর আর একটি চুক্তি সম্পাদনকালে যথেষ্ট সতর্ক করে দিয়েছিল

তেজবাহাদুক্পক্কে বডুলাট

আপাততঃ, কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের চিঠিখানি নিয়ে ২১এ আগ্রস্ট জয়াকর একাই গেলেন দিমলায় এবং বড়লাটের সঙ্গে আলাপ হল। সপ্রু তার সঙ্গে এসে যোগ দিলেন ২৫এ আগস্ট | বড়লাটের সঙ্গে এবং কাউন্সিলের কয়েকজন সদন্তের সঙ্গে আরও কথা হল ২৫এ থেকে ২৭এর মধ্যে। তারপর বড়লাট সপ্রু-জয়াকরকে একখানি চিঠি দিলেন এলাহাবাদ পুণায় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে দেখাবার জন্য 2 41০21 ১1:12] 03217900778

কারারুদ্ধ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সপ্র-জয়া করের যে আলাপ-আলোচন। হয়েছিল তার বিবরণ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের চিঠির নকল প্রভৃতির প্রাপ্তি সংবাদ স্বীকার করে বড়লাট তাদের অক্রান্ত চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানালেন। ১৬ই জুলাইয়ের চিঠিতে তিনিকি বলেছিলেন তার উল্লেখ করলেন। ৯ই জুলাই আইনসভায় তিনি যে ছুটি কথ৷ বিশেষ জোর দিয়ে বলেছিলেন তারও পুনরুক্তি করলেন। “প্রথমত এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে সমগ্র সাংবিধানিক সমস্যা পর্যালোচনার অবাধ অধিকার থাকবে ; দ্বিতীয়ত, সম্মেলনে যে মীমাংস। হবে তাই হবে বুটিশ গবর্নমেপ্টের পার্লামেণ্টে প্রস্তাব পেশ করার ভিত্তি। কিন্ত আমার আশঙ্কা, আশ! করি আপনিও স্বীকার করবেন যে, আপনি কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে যে চিঠি এনেছেন তা এই মীমাংসার পক্ষে সহায়ক হবেন11” চিঠির সুর) বক্তব্য কংগ্রেস নীতির পরিণামে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তার নিরাবরণ অস্বীকৃতি তার পছন্দ হয়নি; তাই তিনি মনে করেন ন] যে, চিঠিতে যে-সব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার কোন জবাব দেওয়ার স্বাথকত। আছে।

১৪

লৃুতরাং এই ভিত্তিতে কোন আলোচনাও অসম্ভব | আবার ঘি আপনি ওদের সঙ্গে দেখা করেন তো! একথাটি স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন

কারাদগ্ডিত অথব। বিচারাধীন বন্দীদের আইন অমান্ত আন্দোলন বন্ধ রাখার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিদানের প্রতিশ্রুতিও তিনি দিতে পারেন না; তবে বিষয়ে তিনি সং্রিষ্ট প্রাদেশিক সরকারদের বিবেচন! করবার সুপারিশ করবেন- এইটুকু বলতে পারেন। অভিনান্সগুলো প্রয়োজনবোধেই কর হয়েছে এবং তার প্রয়োজন এখনও রয়েছে

তিনি অবশ্য আশ্বাস দিলেন, সম্মেলনে কংগ্রেসের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে বিশেষ অসুবিধে হবেনা “অবস্থা যদি তেমন হয়, কংগ্রেস যদি প্রতিনিধিদের একটা নামের প্যানেল দেয় তাও আমি গ্রহণ করতে রাজী আছি।”

বড়লাট লর্ড আরুইন এই পত্রালাপ প্রকাশ বাগ্তনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন; সপ্র-জয়াকরের সঙ্গে তার অন্য যেসব বিষয়ে আলোচন। হয়েছে তা প্রকাশেরও অনুমতি দেন

আবাল্প নৈনলী জেলে

সপ্র-জয়াকর ২৮এ আগস্ট সিমল। ছেড়ে এলেন এবং এলাহাবাদে নৈনী সেন্টাল জেলে ৩০1৩১ তারিখে মতিলাল, জওহরলাল, সৈয়দ মামুদের সঙ্গে দেখা করে বড়লাটের চিঠিখানি দেখালেন? তাদের আলোচনা-কল জানালেন এই আলোচনা থেকে সপ্র-জয়াকরের ধারণ! হয় ষে। এই কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে আপোষ-মীমাংসা হতে পারে £ «বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারতের বিচ্ছিন্ন হবার অধিকারের প্রশ্নটি গান্ধীী গোল টেবিল বৈঠকে তুলতে পারবেন কিন। এই প্রশ্ন সম্পর্কে বড়লাটের অভিমত; ওটি এখন না তোলাই ভাল। তবু গান্ধীজী যদি শেষ পর্যস্ত ওটি তোলার জন্য জেদ করতে থাকেন তবে ভারত সক়কার গ্রাস্থীজীর এই অভিপ্রায়মের কথা ভারত-সচিবের গোচরে আনবেন গোল টেবিল বৈঠকে ভারতের আধিক দায়-দায়িস্বের

২৫

প্রশ্ন নিশ্চয়ই তোল! ধাবে; কিন্তু সকল খণেরই অস্বীকৃতির কোন প্রস্তাব বড়লাট মেনে নিতে পারেন না

“লবণ আইনের ব্যাপারে বড়লাট বলেছেন, সাইমন কমিশনের সুপারিশ গৃহীত হলে বিষয্সটি প্রাদেশিক সরকারের এক্তিয়ারে যাবে ; ইতিমধ্যেই রাজস্বের অনেক ক্ষতি হয়েছে; সুতরাং গবর্নমেন্ট এই রাজন্বের পথটা রুদ্ধ করতে চান না তবে বদি আইনসভায় আইনটি বাতিল করার প্রস্তাব গৃহীত হয় ক্ষতিপূরণেয় জন্য কোন বিকল্প অর্থাগমের প্রস্তাব আসে তবে প্রশ্নটি বিবেচনা করে দেখা হবে। কিন্তু বদ্দিন আইন বহাল আছে তদ্দিন খোলাখুলি আইনভঙ্গ গবর্মমেন্ট বরদাস্ত করবেন না। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে এই ব্যাপারে দরিদ্রদের কিভাবে কষ্ট-লাঘব করা যায় তা স্থির করার জন্য বড়লাট সানন্দে নেতৃবৃন্দের একটি ছোট্ট বৈঠক ডাকবেন

“পিকেটিং ষদি জবরদস্তি হয় তবে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাস্তি প্রতিষ্ঠিত হলে পিকেটিং সংক্রান্ত অঙিনান্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। যেসব অফিসার পদত্যাগ করেছেন অথবা পদচ্যুত হয়েছেন তাদের আবার কাজে নেবার প্রশ্নটি ক্ষেত্রাস্ুলারে বিচার করা হবে। বাছ্ছেয়াণ্ত ছাপাখানাগুলে। প্রত্যর্পণের ব্যাপারে বিশেষ অস্ুবিধে দেখা দেবে না। রাজস্ব আইনে ঘেসৰ জরিমানা অথবা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কর! হয়েছে তাদের প্রত্যপপণও ক্ষেত্রানুযায়ী বিচার বিবেচনা করে করা হবে ।”

গান্ধীজীল্প উদ্দেস্ণে আন্ল এক্চটি নোট

মতিলাল, জওহরলাল, সৈয়দ মামুদ এই মীমাংসার সর্তগুলো গ্রহণে বাজী হন নি; তারা গান্ধীজীর উদ্দেশে সপ্র-জয়াকরের হাতে এই একটি নোট দিলেন ৩১ আগস্ট £

“গতকাল আমাদের সপ্রা-জয়াকরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা কয়েছে। তাদের উদ্দেশে ২৫এ আগস্ট তারিখে লেখ! লর্ড আরুইনের একখানি চিঠির নকলও দিয়েছেন তারা তাতে বড়লাট প্পষ্ট

১১

দূ

ধরে কোনক্রমে দাড়িয়ে ছিল; হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রক্তপ্রবাহেই মারা গেল। আরও একজন রক্তাক্ত অবস্থায় ধর! পড়ল-_দীনেশ চন্দ্র মজুমদার | টেগার্টের কিছু হয়নি। ১৮ই সেপ্টেম্বর দীনেশের যাবজ্জীবন ছ্বীপান্তর হয়েছিল। ২৭ তারিখে দিল্লীতে ওরাফ্কিং কমিটি বেআইনী ঘোষণ! করে গ্রেপ্ার করা হল ডাঃ আন্দারী, পণ্ডিত মালব্য, সর্দার প্যাটেল, মথুরাদাস ত্রিকমজী” লাল! দুনিাদ, দীপনারায়ণ সিং, ডাঃ বি. সি. রায়। সর্দার মঙ্গল সিও চৌধুরী আফজল হক রাজা রাওকে ? তাদের ছ'মাস করে কারাদণ্ড হল। আমার যতটা জানা, ডাঃ রায় এই প্রথম শেষবারের মতো। জেলে গ্েছলেন |

২৮ তারিখে এ. আই. সি. সি-ও. বেআইনী হল।

২৯ আগষ্ট বাংলায় পুলিশ আই.জি. লোম্যান ঢাকার: পুলিশ সুপার ই-হডসন গুলীবিদ্ধ হলেন ঢাকা মিটফোর্ডহাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসবার সময়; লোম্যানের গায়ে ছুটো, হডসনের গায়ে তিনটি গুলী লেগেছিল। কিন্তু লোম্যান মারা গেলেন ৩১ আগষ্ট) হডসন আহত অবস্থায় বেচে রইলেন বিপ্লবীর। পালাবার সময় একটি রিভলভার ফেলে যান; কিন্তু দ্বিতীয় রিভলভার দিয়ে পেছন-ছোটা লোকদের নিরস্ত করে অদৃশ্য হয়ে যান। বিনয়-বাদল- দীনেশের পরিচয়ে এরা আবার শুশুকের মতো ভেসে উঠেছিলেন ৮ই ডিসেম্বর কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিস-এ।

ময়মনসিংয়েও শোনা গেল বিক্ষোরণের আওয়াজ; পড়েছিল গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর পবিত্র কুমার বস্তুর বাড়িতে ধর] পড়ল আঠার বছরের মেয়ে শোভারাণী দত্ত।

কিন্ত চন্দননগরে হয়েছিল সরাসরি 'যুদ্ধ'-_২র! সেপ্টেম্বর, সপ্রু জয়াকর তখন যারবেদা জেলের দিকে রওনা দিয়েছেন চন্দননগরের এই বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন টট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের কয়েকটি বীর | স্যার চার্লস টেগার্ট পেয়েছিলেন খবর এবং সদলে এলেন, গৌদলপাড়ায় সেই বাড়িতে; ঢুকতে যেতেই গুলী পাপ্টাঁ

গুলী। পালাবার পথ নেই। ২৩ থেকে ৩* বছর বয়ন্ক চাত্সজন বাঙালী যুবককে গ্রেপ্তার কর! হল; দু'জন মহিলাকেও। যুবকদের অন্যতম লোকনাথ বল। বাড়িতে পাওয়া! গেল তিনটি রিভলভার, কাতু্জ বোমার সরঞ্জাম লড়াইয়ে একজন নিহত কয়েকজন আহত হয়েছিলেন |

আর রাজসাহীতে ভাকলুট হল ৩র! সেপ্টেম্বর €৫ই সেপ্টেম্বর সপ্র-ক্তয়াকর এক যুক্ত বিবৃতেতে বললেন ; ড/০ 75৮৮ ০০ 21010017502 0080 006 01250100 16500200175 1995০ 91150-- ছু:ঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বর্তমান আপোষ-আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে ।”

অনেকদিন আগেকার মত নিজের মুখের ওপর ডানহাতের পাঁচটা আঙ্গুল ছড়িয়ে দিলেন; আঙ্গুলের ফাকে ফাকে দেখতে লাগলেন আমাকে | ঠোটে মুখে সে হাসি নেই। কেমন পাতুর।

বললেন, সেপ্টেম্বর) অক্টোবর নবেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে ১৯৩১ এর ২২ জানুয়ারীর পাতাটা! খোল, দেখবে, সেখানে শুরু হয়েছে আবার আপোব-আলেচনা-_সেই বড়লাট,সেই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। পাড়ে চার মান পর।

স্পোলাপ্ুল্পেল লীল্পদেল্ল ফাসী

কি হয়েছিল এই সাড়ে চারমাস 1 কি বেগ বা আবেগ আবারও আপোষ-মীমাংসার সেই বৃত্তে নিয়ে এল একই অভিনেতাদের ? ঠিক চারদিন আগে ১৯৩১ এর ১৮ই জানুয়ারী বহরমপুর থেকে মালদার পথে সুভাষচন্দ্র গ্রেপ্তার হলেন। আর দশদিন আগে শোলাপুরের মালগ্লা ধনসেটি, শ্রীকিষেণ সর্দা, জগল্লাথ সিন্দে আবছুল রস্ল কুর্বাণ ছসেনের ফাসী হয়ে গেল। শোলাপুরের ঘটন! তোমার মনে পড়ে, সত্য? কোন্‌ জেলে হল, তুমি অনুমান করতে পারো ? , - বললাম, না। - ধললেন, ঘারবেদা জেলেই। কিন্তু ওরা তো! পরিতাক্ু।

দের জন্য কংগ্রেস-নেতৃবৃন্দের চোখে জল নেই, 'ধাকতে নেই ওরা! তধাকধিত'হিংসাত্মবক' কর্মের কলভোগ করবেন, করলেন সাড়ে চারমাম আগে যে আপোষ-আলোচন! হয়েছিল তাতেও ওরা বাইরের লোক। সাড়ে চার মাল পরে যে আপোষ-সন্ধি হতে চলেছে তাতেও ওর! “কিদেশী' বলেই ন-গণ্য হবেন। হিংসা! শোলাপুরের হাঙ্গামা' আইন অমান্ত আন্দোলনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবু বৃটিশ সরকার অহিংসপন্থী কংগ্রেসের খাতায় তর! ব্ল্যাক-লিষ্টেড। বুটিশ সরকার কঃগ্রেসের এইটেই ছিল সেতু তবু কোথাও ছিল এঁদের জন্য করুণাধারা, জনসাধারণের মধ্যে; পুলিশের বিপরীত হুকুম সত্বেও এক বিরাট শোক-মিছিল সারা পুণাসহর ঘুরে বেডালে! এবং পুলিশ সত্যিই অহিংস রইল প্রথমবার তারপর আরও থেকে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বিকেলের দিকে, আর পুলিশের লাঠিচালনা বারবার কংগ্রেস হাসপাতালে ভি হল ১৮৫ জন আহত ১২ই জানুয়ারী ১৯৩১।

এরও সাড়ে তিনমাস আগে আর এক রক্তাক্ত সত্যা গ্রহ-সংঘর্ষ হয়েছিল। ২৫এ সেপ্টেম্বর পুলিশের গুঙ্গীচালনায় প্যানভেলে নিহত আহত ৫*। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয়) নিহতদের মধ্যে ছিলেন এক ম্যাজিস্ট্রেট একজন করেই রেঞ্জার। প্যানভেল পার্থ্ববর্তী গ্রামের লোকের! বন-সত্যাগ্রহ শুরু করেছিল। ধৃত ব্যক্তিদের হাতে হাতকড়া! দেখে তারা দাবী করল, ওটা খুলে নিতে হবে। ইন্সপেক্টর করলেন আপত্বি। জনতার দাবীও জোরদার হল। সরকারী 'ভাত্য অনুমারে ওরা সব গাছের ভাল কেটে করল ছু'ড়ে মারবাব হাতিয়ার বুনে। মিসাইল ! ইম্দপে্টরকে স্বেচ্ছাসেবক ধৃতব্যক্তিরাই ঘিরে ধরে বাচালেন। পালিয়েও গেল ইন্সপেক্টর হঠাৎ গুলীবৃণ্টি; অদুন্নে পনের জন সশস্ত্র পুলিশ-- ম্যাজিস্টেট চীৎকার কয়ে বলজেন, কে গুলী ছুড়ল, কে হুকুম দিল! কথাও শেষ হলনা, প্রথম ঝাঁক গুলীতেই তিনি ধরাশায়ী গুলী শেষ ন। হওয়া পর্যন্ত ওয়। থামেনি কমসে কম ১০৭*টা গুলীতো বটেই।

'এঁদিনই দাসপুর হাঙ্গামায় সাব-ইব্সপেক্টর ভোলানাখ ঘোষের হত্যার দায়ে ১৪ জনকে, মেদিনীপুর-ঘাটালে আইন অমান্য আন্দোলন দমনে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ২৬ জনকে আর একজনকে জুনিয়ার এস-আইকে অপহরণ করার জন্য স্পেশ্যাল ট্রাইবিউনাল অভিযুক্ত করলেন তবু এরা আইন অমান্য আন্দোলনের কেউ নন ! কেননা, হিংসার স্পর্শ লেগেছিল

২৬এ মোরাদাবাদে চলেছে গুলী। ২৯এ বড়লাট লর্ড আরুইন সিমলায় এক বিদায়ী ভোজলভায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছুমুখো নীতির অভিযোগ অ:নলেন। বললেন, গোলটেবিল বৈঠকে যোগ ন। দেওয়। “বিশ্বাসঘাতকতারই” সামিল £ “01 08510 1801. 1016515106 2150. 19121009005 ০৫ 9080950091091710.” শুধু তাই নয়, সেই যে 4011529 853018180" সেই সম্পর্কে বললেন, তিনি ঘেন্না! করেন এই ধরণের 45650196 01010109805 €০ 05 ০02 0011] 10150৮০- 0181106 7%1001021, আমাদের কিন্তু ঘেন্ন। ছিলনা, সত্য

৪ঠা অক্টোবর লাহোর পুলিশ স্থুপারিণ্টেণ্ডেটে খান বাহাছুর আবছুল আজিজকে লক্ষ্য করে ১৫ট1 গুলী ছুস্ড়েছিলেন বিপ্রবীরা, ড্রাইভার আর সাথী কনষ্টেবল আহত হলেও আজিজের কিছু হয়নি। আজিজ ছিলেন লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার সরকারী তদ্িরকার। তিনদিন পর বেরোলো! লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার রায়। ভগৎ সিং শুকদেব রাজগুরুর হল ফাঁসীর হুকুম। কিশোরীলাল, মহাবীর সিং বিজয় কুমার সিং শিব বর্ম, গয়াপ্রসাদ, জয়দেব, কমলনাথ তেওয়ারীর যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর, কুন্দলালের বছর, প্রেমদত্তের ৩বছর) “আর অজয় কুমার ঘোষ, যতীন্দ্রনাথ সান্যাল, দেশরাজের মুক্তি।

অন্যান্ত জায়গায় একের পর আর কংগ্রেস কমিটি বেআইনী ঘোষিত হচ্ছে, ইউ. পি; কোলাবা। বোম্বাই, কানপুরঃ স্ুরাট, বিহার, উড়িস্যা | আগষ্ট অবধি আইন অমান্তে দণ্ডিতের সংখ্য। দাড়ালো ২৩, ১৩৬ বললেন ওয়েজউড বেন। ভায়োলেন্স-লিগ্তের| সংখ্যায়

১৩

নেই। যেন অনেকটা অলিখিত ভদ্রলোকের ছু, বিপ্লবীদের কথা উচ্চারণেও কু]

গো েবিতন ৫বিক্কেল্স উন্বোধ্বন

১২ই নবেম্বর ইংলগ্েশ্বর উদ্বোধন করলেন গোল টেবিল বৈঠক / বৃটিশ ইতিহাসে এই প্রথম ইংলগ্ডের রাজা ভারতের সম্রাট কোন সম্মেলনে সভাপতির আসন গ্রহণ করলেন এবং “রাজকীয় আশীর্বাদ” বর্ষণ করলেন লর্ড ভার রয়াল গ্যালারীতে হয়েছিল এই সন্মেলন।

আর সার! ভারতে হরতাল।

২৭এ ৰেরোলে! আইন অমান্ত বহি আর এক মামলার রায় কলকাতা বোমার মামলা ডাঃনারায়ণ চন্দ্র রায় ভাঃ ভূপাল বন্থুর হল ২০ বছরের ছ্বীপাস্তর ? অস্থিক! রায় অদ্বৈত দত্ত ঘতীন ভৌমিকের ১২ বছরের দ্বীপাস্তর, স্ুরেন দত্ত, রসিক দাসের ১৫ বছর, আর রবীন অধিকারীর ১০ বছর

১লা ডিমেম্বর পুলিশ ইন্সপেক্টর তারিণী মুখার্জী চট্টগ্রাম থেকে আসছিলেন কলকাতাগামী মেল ট্রেণে টাদপুরে সেকেণড ক্লাস থেকে নামতেই ছুই যুবকের হাতে রিভলভার গর্জে উঠল। পুলিশের আই. জি. তার আর্দালির রিভলভারও গর্জালো৷ | কিন্তু বিপ্লবীর! সরে পড়তে পারলেন। তারিণী মুখাজির অবস্থা উদ্বেগজনক

৬ই ভিসেম্বর-_সে আর এক মৃত্যু মাণিকলাল সেন, ১৭ বছর বয়স। মুশিদাবাদ জেলে অনশন করেছিলেন অথান্য খাবার দেবার প্রতিবাদে তার পৃতভম্ম গেল বারাণসীতে গঙ্গাজলে বিসর্জনের জন্ক | আজ কেউ এই মাণিকের নামও জানেনা

কিন্ত পদধ্বনি গুমছ, সত্য, রাইটার্স বিচ্ডিংসয়ের সি'ড়িভে? প্রহরী সুরক্ষিত রাইটার্সে? মৃত্যু-পাগল যৌবনের পদধ্বনি। ওরা তিনজন; বিনয়-বাদল-দীনেশের় ঢাকা হ্বৃত্রটা টেনে আনছি কলফাতায়। ওয়া কারাগারের আই. জি. লেঃ. কর্নেল এ..এফ,

'দিমসনের সঙ্গে দেখ! করতে ডাইজেন | বল! হল কাজে ব্যস্ত) নাম, পরিচয় লিখে দাও। উন্* বলে ওরা চাপরাশিকে দিলেন ঠেলে স্ৃইং ভোরে লাগল দোল; লেঃ কর্নেল সিমসন ফাইল দেখছিলেন, চমকে উঠলেন গুদের উদ্দাম প্রবেশে ; কিন্তু মুহূর্তমাত্র, সঙ্গে সঙ্গে গুনী। তারপর আর পেছন নয়, বারান্দ৷ দিয়ে সি'ড়ির দিকে চলেছেন মরণ অভিযাত্রীত্রয় ; যুদ্ধ ; চলছে গুলী ; একটি গিয়ে লাগল জে. ডবলিউ. নেলমনের গায়ে; জুডিসিয়াল সেক্রেটারী এসেছিলেন ওদের বাধা! দিতে। প্রস্তুত বিপ্লবীরা আত্মহননে উদ্ভত হোন গুলী আর পটাপিয়াম সাইওনেড ।' বাদল বা সুধীর গুপ্ত পুরোপুরি সফলকাম হলেন ; বিনয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন ১৩ই ডিসেম্বর; বিফল হলেন দীনেশ গুপ্ত, নিরাময় হয়ে ফাসীতে প্রাণ দিতে হল।

আব্বান্প জুডুজপথে আনাগোনা

একমাস পর শুরু হল আবার আপোষ মীমাংসার আনাগোনা, ১৯৩১ এর ২৫এ জানুয়ারী কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞ৷ প্রত্যাহত হল এবং গান্ধীজী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বখন কারামুক্ত হলেন তখন ভারতের নিকটতম দিগন্তে প্রলম্থিত ছিল শোলাপুরে চার শহীদের দেহ, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞ আর কালীপদ চক্রবর্তীর যাবজ্জীবন দীপান্তরাদেশ।

কারামুক্ত হলেন গান্ধীজী, জওহরলাল, যমুনালাল, শিবপ্রসাদ, আবুলকালাম, জন্নরামদাস শাদূল সিং রাজাগোপালাচারি। বল্পভনাই, সেনগুপ্ত, পট্টভি, সত্যপাল, আন্দারী, আরও অনেকে

কারা মুক্তির যুক্তি হিসাবে গবর্মমেন্ট বললেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯এ জানুয়ারী যে বিকৃতি দিয়েছেন তা বিবেচনা করে দেখবার অবকাশ সৃতি জন্যই ওয়াকিং কমিটির সদস্যদের মুক্তি দিলেন

'জিগঞ্গেস করলাম, প্রধানমন্ত্রী কি নতুন কথা কিছু বলেছিলেন?

ইতিমধ্যে বীর বর্তমানে আইন অমান্তে লিপ্ত তারা বদি

ই৮৬%

বড়লাটের আবেদনে দাড়া দেন তবে তাদের সহযোগিত। পাবার ব্যবস্থাও করা হবে।” বদি কোন নতুন কথা হয় তো৷ নতুন।

১৭ই ফেব্রুয়ারী গান্ধী-আরুইন আজোচন। হল চারঘণ্টা ধরে; ১৯এ দেড় ঘণ্টা মুসলিম লীগকে আশ্বাস দিলেন হিন্দু মুসলিম এঁক্য প্রচেষ্টাই হবে তার প্রথম কাজ। ওয়াঞ্কিং কমিটি ২৪এ ফেব্রুয়ারী গান্ধীজীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিলেন আপোষ করবার

এমন সময় এলাহাবাদের নাগরিকের! চমকে জেগে উঠলেন সাতাশের সকালবেলায় ; আলফ্রেড পার্কে গুলীর শব্দ। শব্দ নয় যুদ্ধ; পুলিশ কাদের খোঁজে ফিরছিল। গোয়েন্দা বিভাগের এক স্পেশ্ত।ল সুপারিপ্টেণ্ডেটে একটি গাছের আড়ালে এবং এক বিপ্লবী আর একটি গাছের আড়ালে ; ৫* গজ ব্যবধানে আধ ঘণ্টা চলল গুলী বিনিময়। দেশমাতৃকার কোলে নিশ্রাণ দেহ রাখলেন-বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ। গুলী ফুরিয়ে গ্নেছল ছ'দিকেই ; কিন্তু পুলিশের হাতে নতুন রসদ সরবরাহের লোক ছিল; আজাদের চারদিকে হিংদ অহিংস শত্রু, তাকে কে রসদ জোগাবে? এই একল! চলার পথ ওরা জানতেন, তাই এই বিকল্প কাহিনীই সত্যি মনে হয় যে, রসদ ফুরিয়ে যেতে চন্দ্রশেখর নিজের প্রাণ নিজ হাতে নিয়েছেন।

৪ঠা মার্চ গান্ধী-আরুইন চুক্তি সম্পাদিত হল।

চুক্তিটা এমন কিছু নয়, তার চাইতেও গুরুতর হয়েছিল একটি নেপধ্য নাটক। দ্বিতীয় আপোষ-আলোচন। সুত্রপাতের আগের দিন ২১এ জানুয়ারী বিকেল চারটেয় তখন ষে ওয়াকিং কমিটি ছিল সেটি এলাহাবাদের স্বরাজভবনে এক প্রস্তাব নিয়েছিল। প্রস্তাবের সার মর্ম হচ্ছে, সংগ্রাম চালিয়ে যাও, আপোষ-মীমাংসার কোন ভিত্তিই নেই, অর্থাৎ ৩০ খুষ্টাব্ধের আগষ্ট মাসের সেই পুরোনো সুর তবে এই প্রস্তাবে স্বীকৃতি আছে ঘে, একদিকে যেমন সরকারী দমননীতি পুরোদমে চলছে তেমনি এ. আই. সি. দি. ওরাকিং কমিটি সদস্থগণনহ হাজার হাজার নর-নারী জেলে আবদ্ধ রয়েছেন।

খ্চ গু [৭

ল্লীতিম্মভ নাউক্

নাটক সত্যিই প্রস্তাবটি গৃহীত, হলেও প্রকাশিত হয় নি। গ্ঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ তখন প্রেসিডেন্ট এর প্রকাশনা নিয়ে দ্বিমত হওয়ায় অন্ততঃ পরদিন পর্যস্ত প্রকাশ স্থগিত রাখা হল। তারপর ঘটল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা! লগুন থেকে সপ্রু-শান্্ীর এক কেবল্‌ এল) তার] গোল টেবিল বৈঠকের পর লগুন ছেড়ে আপার উদ্যোগ করছিলেন। কেবলে জানিয়েছিলেন যে তার! না 'আসা পর্যন্ত ওয়াফিং কমিটি যেন কোন সিদ্ধান্ত ন। নেয়।

অনেক চাপাচাপি সত্বেও খবরটা গবর্ণমেন্টের গোচরে ঠিকই গেছল। বড়লাট ২৫ তারিখে ঘোষণা করলেন নেতৃবৃন্দের কারামুক্তি।

কারামুক্তি পেয়ে গান্ধীজী বললেন £

“আমি জেল থেকে বেরোলাম একেবারে খোলা, শক্রতা বিমুক্ত 'ও বিতর্কে নিরপেক্ষ মন নিয়ে ।” প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন তা নিয়ে স্যার তেজ বাহাছুর সপ্রু আরও সব ফিরে এলে তদের সঙ্গে সব দিক থেকে আলোচনার জন্য আমি প্রস্তুত। কয়েকজন ডেলিগেট জগ্ডন থেকে রকম ইচ্ছ। করাই আমি এই বিবৃতি দিলাল।”

পট্টভিমীতারামায়৷ এই কারামুক্তি বিবৃতির ভাষ্য করলেন :

গ্ান্ধীজী অনুভব করলেন, কেবল ওয়াকিং কমিটির সদস্যদের কারামুক্তি কঠিন অবস্থাকে অসম্ভব করে না তুললেও কঠিনতর করে ভুলতে পারে। কর্তৃপক্ষ এটি হয়তো! উপলব্ধি করতে পারেন নি ঘেঃ এই আন্দোলন জনদাধারণের এতই হাদগত হয়েছে যে, নেতারা যতই প্রথ্যাত হোন না কেন, কোন একটা বিশেষ পধনির্দেশে তীরা ব্যর্থকাম হবেন। এজদ্য তিনি সংবাদপত্র প্রতিনিধিদের কাছে পিকেটিং লবণ তৈরির ওপর জোর দিলেন গাস্ধীজী তাড়াতাড়ি এলাহাবাদ এসে পৌছোলেন এবং অপ্রকাশিত

০০

প্রস্তাবের বদলে আর একটি প্রস্তাব গৃহীত প্রকাশিত হুল £ *ওয়াফিং কমিটি শাস্ত্রী, সপ্রু জয়াকরের ইচ্ছাক্রমে ২১ তারিখের প্রস্তাব প্রকাশ না করায় একটি ধারণার স্থষ্টি হয়েছে যে, আইন অমান্য আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে। কথাটি পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয়েছে কারণ সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশ না পাওয়! পর্যস্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে

অর্থাৎ চুক্তিটা সম্পাদিত ন৷ হওয়1 পর্যস্ত বারুদ প্রস্তুত রাখতে হবে £ 00 10969 086 0০0৬1: 015. পট্রভি গান্ধীজীর বিবৃতির যে ভাষ্য করেছেন তা তোমায় বললাম কিন্তু দেশের প্রকৃত অবস্থাটা কি? গ্রান্ধীজীই বললেন £ “[ আ৪5 101201. 16001:595101 50170150015 01080866000. 211 51065) 01010100550 23980103 010. 111)090610 06150105 901] 0020107)06. 1:65090621016 06001 816 52101021115 2170 10006 20081:61)6 52501) 06001160 07617 10700521016 2150. 1107000521016 7010196155৮ ইত্যাদি ইত্যাদি।

পট্টি বলছেন, “ঘরোয়। নির্দেশ? চলে গেল, আন্দোলন চলবে তবে নতুন কোনো অভিধানে নেমো না অর্থাৎ বারুদ শুকনে। থাক, কিস্তু এর বেশী নয়।

ওয়াকিং কমিটির আবার সভা হল ১৩ই ফেব্রুয়ারী তার আগে গোলটেবিলের ২৬ জন প্রতিনিধি 'এক বিবৃতিতে এই দৃঢ়- বিশ্বাস ঘোষণা করলেন যে, “ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের আগমন নিয়ে আর কোনে সংশয়ের অবকাশ নেই।

তারপর গান্ধীজীর চিঠি লেখালেখি আনাগোনার আলোচনার উঠতি-পড়তি হতে হতে চুক্তি সম্পন্ন হল।

8, শুশলাদ, 94 আমার নিজের. কথা বলতে পারি, সত্য, সেদিন গান্ধী-আরুইন ইক্তিতে আমার কারামুকিটাই সব চাইতে বড় মনে হল, আর সব

ডট

স্বাধীনতা -্*১৯

কিছুই শৃন্ত মনে হয়েছিল। অথচ মুক্তি আমি মুচলেক! দিলেও পেভাম ; কিন্ত সেট। মামাকে দিতে হয়নি, আমার হয়ে, দিলেন নেতারা নইলে দেখঃ ফেভারাল কাঠামোয় ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের প্রত্যাশায় প্রথম গোলটেবিলেই যেতে পারতাম তা৷ বর্জন করে লাঠি-গুলী-কাসী ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ার কোন যুক্তি নেই, যেমন যুক্তি ছিল না৷ সাইমন কমিশন বর্জনেও। কারামুক্তির জন্তই কি আমরা! আন্দোলন করেছিলাম? জানি, তুমি বলবে--লবণ। জবণে কি হল? ওটি চুক্তিপত্রের ২০নং বিষন্ন। বলা হয়েছে, গ্রভর্নমেণ্ট লবণ আইন ভঙ্গ “চোখ বুজে” দেখতে পারবেন নাঃ ভঙ্গ করলে সাজ! পেতে হবে ; বর্তমান আধিক অবস্থায় লবণ আইনের সংশোধনও সম্ভব নয় তবে গরীবদের কষ্টলাঘবের জন্য লবণ এলাকার লোকের! ব্যবহারের জন্য লবণ তুলতে পারবে, বিক্রীর জন্য কিছুতেই নয়

এই হল লবণ আন্দোলনের পরিণতি শাসনসংস্কারের ক্ষেত্রেও শৃঙ্খল-শৃঙ্খলা অশেষ আর আইন অমান্ত প্রত্যাহার অর্থে বোঝাবে- সঙ্ঘবদ্ধ আইন অমান্য, খাজনা, কর-বন্ধ, আইন অমান্তের সমর্থনে প্রচারপত্র প্রকাশ, সামরিক অসামরিক ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে পদত্যাগে সচেষ্ট হওয়া, অর্থাৎ কিছুই করা! চলবে না

্িলাতী নম্র জিদেম্পী জনন

বয়কটের ব্যাপারউ! আরও হাস্তকর। ইংরাজ প্রভূরা ভণিতা৷ করে বললেন, দেশী শিল্পবাণিজ্যেকে নিশ্চয়ই উৎসাহ দেওয়। হবে কিন্ত বিদেশী বস্ত্র বর্জন বলতে আইন অমান্ত আন্দোলনকালে “বিলাতী বস্ত্র” বর্জনটাই মুখ্য হয়ে পড়েছিল; আর ওটা যে রাজনৈতিক চাপ দেবার জন্যই তাও স্বীকৃত ; স্ৃতরাং-_

“এটি মেনে নেওয়া হচ্ছে ঘে,একদিকে এই ধরণের বয়কট করা বা তা সংগঠন করা আর একদিকে শাসনতন্ত্র নিয়ে বৃটিশ ভারত, দেশীয়- রাজ? বৃটিশ. সরকার ইংহণ্ডের রাজনৈতিক. প্রতিনিবিদেক্র লগে

২৯৬”

কংগ্রেস প্রতিনিধিদের মন-খোলা - আলোচনায় বসা_এই ছইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষ! হয় না। সুতরাং এই স্থির হচ্চে যে, আইন অমান্ত আন্দোলন প্রত্যাহার অর্থে বোঝাবে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বৃটিশ পণ্য বয়কটের প্রত্যাহার...” এক্ষেত্রে জবরদন্তি, ভীতি- প্রদর্শন। বাধাদান। বিরূপ বিক্ষোভ ইত্যাদি চলবে না। মাদক দ্রব্য বর্জনের জন্থ পিকেটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই গান্ধীজী পুলিশী গীড়নের আতিশব্য সম্পর্কে একটি তদন্ত চেয়েছিলেন, গবর্মমেন্ট তাতেও রাজীহননি। আইন অমান্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে যেসব অডিনান্স হয়েছে সে সব প্রত্যান্ৃত হবে, সন্ত্রানবাদ সংক্রান্ত কোন অভিমাস নয়। মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি ব্যাপারে প্রদেশ সরকারগুলে! অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন, তবে ভায়োলেন্দে জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সরাসরি “না'। অবশ্য গান্ধীজী তথ। কংগ্রেসের সায় ছিল। চুক্তিমতো যে জরিমানা আদায় হয়ে গেছে তা আর ফেরৎ দেওয়া হবে না, সম্পত্তিও নাঃ পিটুনী করও না। অস্থাবর সম্পত্তি হাত- ছাড়া হয়ে গিয়ে থাকলে পাবে নাঃ থাকলে পাবে। চাকরীতে পুনবহাল ক্ষেত্রেও অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থ। হবে।

এই সর্তনামা পড়লে আজ যে কেউ প্রশ্ন করবেন, প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে ষেতে আপত্তি হল কেন? সংগ্রামে অবতীর্ণ সংগ্রাম চলা-অবস্থায় চুক্কিনাম। সম্পাদনের পক্ষে গান্ধীজী বলেছিলেন £

[6 0310 ০০ :0115 10 £০ 00 5000111)6 আ1]) 006 0000121 10091565 10 625 60 50. €0 তো 1100 & 015005- 5101 510 1011) 0000, 5০00. 1006155” কিন্তু ষে প্রশ্ন আমাকে এখনও উত্তেজিত করে তোলে এবং এখনও যার জবাৰ আমি পাই নি, এবার তোমায় দে কথাটি বলি। ভগং সিং, শুকদেব, রাজগুরুর কণঠরোধের জন্য সরকারী ফাসীর দড়ি প্রস্তত। যে সরকারের সঙ্গে আপোষ আলোচন। চলছে তাদের হাতেই দড়ি। গান্ধীজী এদের মৃতাদণ্ড যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তয়ে রূপাস্তরিত করা সম্ভব কিনা! এই নিয়ে বার বার বড়লা্টের সঙ্গে কণা কইছিলেন।

২৯৬,

মৃত্যু-মার্জন1 বড়লাটেরই এক্তিয়ার। কিন্তু বড়লাট রাজনৈতিক কারণেই বলেছিলেন- ন1।

ড়া শ্বতলল্েন5 “অথাজ্ভ'

শেষ পর্যন্ত মৌখিক একটি চুক্তি হল। আমাদের পরম জজ্জা; সত্য। বড়লাট এইটুকু রাজী হলেন যে, করাচী কংগ্রেসের আগে তাদের ফাসী হবে না। বড়লাটের পক্ষে এইটুকু করুণামাত্র-_কিন্ত আমাদের সমগ্র জাতির পক্ষে কি অসামান্য অপমান ! নইলে করাচী কংগ্রেসে_ গান্ধী-আরুইন চুক্তি পাশ করানো যাবে না এই তুচ্ছ আশঙ্কার জন্য এই কনসেসান! তাই রুদ্ররূপ ভয়াল জনসাধারণকে মিথা। আশ্বাসে প্রশান্ত রাখার জন্য আপাততঃ ব্যাপারট। চেপে ষেতে হবে; গান্ধী আরুইন চুক্তি একবার পাশ হয়ে গেলে আর কিছু ভয় নেই। বড়লাট এইটুকু বর দেবেন না? বড়লাট বলেছিলেন-_তথাস্ত 1

কিন্তু বড়লাট মৌখিক সে-কথাটুকুও রাখেন নি ভগৎ-রাজ গুরু শুকদেবের ফাসী হল ২৩এ মার্চ; করাচী কংগ্রেস শুরু হল ২৯এ মার্চ। তবে গান্ধী-আরুইন চুক্তি নিবিদ্বেই সেখানে পাশ হয়েছিল আশঙ্কিত উত্তাল গণ বিক্ষোভ অত্যন্ত সীমাবদ্ধ রেভ ফ্ল্যাগ রেড সার্টের বিরূপ বিক্ষোভেই নিঃশেষ হয়েছিল করাচী কংগ্রেসের জন্য করাচীতে পৌছোলে গান্ধীজী প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে ভীষণ বিরূপ বিক্ষো- ভের মুখে পড়তে হয়েছিল। তার ্টীব্রতা৷ ছিল, ব্যাপ্তি বা গভীরতা ছিল না করাচী থেকে তের মাইল দূরে মালিরে ট্রেন থেকে নামলে এক ঝাঁক কালো পতাকা আন্দোলিত এবং “নেতৃবৃন্দ ফিরে যাও” “সন্ধিচুক্তি বরবাদ? ধ্বনিত হতে লাগল। গাম্ধীজীর দলে ছিলেন প্যাটেল, মালব্য, আন্সারী | রেড সার্টের! একটি লরীতে করে ওঁদের পশ্চান্ধাবন করতে লাগলেন--তাদের দাবী: ভগৎসিংয়ের হত্যা-

৮155 718৮০: ০৫ 606 [20187 15810081 00708988, 9, 08৮6) 6181505975০] 5, 888,

8৯২

কারীকে চাই”, সংবাদদাতা বলছেন। “অর্থাৎ গান্ধীজীকে?। জওহরলাল ওদের প্রশান্ত করার ভার নিলেন। শ্রীশিশির দাল তার মহানায়ক নেতাজী নুভাষচন্দত্র গ্রন্থে লিখছেন £ “গান্ধী করাচি পৌছোলে একদল যুবক তাকে কালে! ফুলের মাল৷ পরিয়ে বলল-_ গান্ধী ফিরে চাও। করাচীতে একমাত্র সুভাষচন্দ্র ব্যতীত নেতাদের সকলকেই যুবক দল কালো ফুলের মাল! দিয়ে বিরূপ অভ্যর্থন! জানাল__মনে হল গান্ধী-আরুইন চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু ভাবতেও লজ্জা হয় যে, সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে মাত্র কিছু সংখ্যক বামপন্থী প্যান্টের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করলেন, এমন কি; ভোট দাবীর মত অবস্থ! পর্যস্ত তাদের ছিল ন11”

পক্ষান্তরে, নরেন্দ্রনারায়ণ চক্রবর্তা তার “নেতাজী সঙ্গ প্রসঙ্গ বইয়ে লিখেছেনঃ “গভীর রাত্রি ।-.-গান্ধীজী সুভাষচন্দ্রকে ডেকে নিয়ে গেছেন নিভৃতে ।--"দীর্ঘআালোচনার পর নেতা ফিরে এলেন শিবিরে গান্ধী-মুভাষ চুক্তিহয়েছে। কংগ্রেসের প্রকাশ্য অধিবেশনে গান্ধী-প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন ন1 কিন্তু আর সর্বত্র তার মত প্রকাশের থাকবে অবাধ স্বাধীনতা...গান্ধী-সুভাষ চুক্তির কথ। জানা- মাত্র কংগ্রেসের প্রধান আকর্ষণ কমে গেল ।”

সম্ভবতঃ এই ছুই লেখকই স্মতি-নির্ভর “ইতিহাস” লিখেছেন। প্রকৃতপক্ষে এঁ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন যমুনাদাস মেহতা। ন্ভাষচদ্র ২৭ মার্চ এর করাচীতেই অনুষ্টিত কংগ্রেস অধিবেশন থেকে পৃথক নওজোয়ান সম্মেলনে ভগৎ সিং প্রমুখের ফাসীর উল্লেখে অবশ্য মন্তব্য করেছিলেন : এইসব বীরদের জীবনই যেখানে বাচানো গেল ন! সেখানে এই সন্ধি চুক্তির কি সার্থকত৷ ? কিন্তু কংগ্রেসে তিনি কিছু বলেছেন বলে কোথাও পাইনি।

সর্দার বল্পভভাই পাটেল ছিলেন করাচী কংগ্রেসের প্রেবিডেন্ট, অর্থাৎ সেই ত্রম্নীর গ্নান্ধী-প্যাটেল-নেহরুর একজন। ১৯৩০৫ ধাদের একজনার প্রেমিডেট হবার কথা ছিল। তিনি ইতিমধ্যে গ্রান্ধীদ্দীর “পানটারশিপের” মতালম্বী

২৯,

হয়েছেন ।& তিনি যমুনাদাসের সংশোধনী প্রস্তাবটি বিধিবহিভূতি বলে ঘোষণা করেন। প্রস্তাবটি ছিল £ ৭5115 00715:695 160001963 022 10215072921] 52001211061) 21:171560. 2 06662) 702139008 98701) 2100 1.00 [100 23 11500159156 ছা?) 0৩ 16501000101 0 110021991021106 79925520৪26 19190152150 01500 015০ ৬/0111175 00100016066 00 09515 000 22 01006 1065002010195 01 0015 121321.% তিনি একে গান্ধী-আরুইনের ব্যক্তিগত মীমাংসা'বলে অভিহিতররে

ওয়াকিং কমিটিকে আলোচনায় বিরত হবার জন্য বললেন বললেন; কেকটা খাবও আবার রাখবও -- ছুটো একসঙ্গে হয় না। গোলটেবিলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা! প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। “সেফ-গাড”' যা-কিছু ভা স্বাধীনতার অনুকূলে হতে পারে না; চেমসফোর্ড ক্লাবে বডলাটের বক্তৃতার পর নি£সংশয় হওয়া উচিত। আর “পারিক ডেট?” ভারতের খণ? তার একটি পয়সা অবধি চুকিয়ে দেওয়। হয়েছে, সে পয়সা ফিরে চাওয়ার সাহস এই চুক্তিকারীদের নেই। ( ৪1] ৫606 0390 1395 561) 1681]5 17)001160 2881175000৩ 11062155605 01 11015 1025 0০) 7910 ০000 216905. ...20012 চড130 10121201015 77051580198] 5800০00া) আ111 000179৬2032 00085 60 061009810 00৫ [7951702196-0801. 06 ০06 100০০ চা11] 0০ 1660060 .৮)

গান্ধীজী এসব কথার জবাব দেননি চারহাজার ডেলিগেটের মধ্যে মাত্র ১০টি প্রতিকূল হাত উঠলো জবাব দেবেনই বা কেন?

একটু থেমে বললেন, পরম লজ্জায় তোমার কাছে স্বীকার করব সত্য এই ক্রট মেজরিটির আমিও অংশীদারী ছিলাম

[00925006006 209৪ 1006 8201705 69 708811১11165 01 9৫81 ঢি58150810 102 25060%] 090806% স্পপ্যাটেলের অভিভাষণ ১৯৩১

ডের

্বল্লা্জী ল্রথেল আগছ্মলী

মূল প্রস্তাবে এই চুক্তিকেই বলা হয়েছে 30200 06 [1701 €০৮/৪05 [01178 ১:21]. জওহরলাল তুলেছিলেন ভগং সিং প্রমুখের ফাসীতে শোক করার জন্য প্রস্তাবটি তুলেছিলেন জওহরলাল। প্রস্তাবের খসড়াটা গান্ধীজীর। প্রস্তাবটি যথারীতি ৬1116 01590019010£ 16616 200. 200 13200105106 ০0 7০110091 510161700” ইত্যাদি কথায় পরিশোধনের পর ওদের বীরত্বের তাগের প্রশংসা কর। হয়েছে চারদিককার আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে ওটুকু না৷ করলে কালোফুলের মালাগুলে। কাটা হয়ে বিধতে পারত। কিন্তু প্রস্তাব পাশ করাতেও ভগং পিংয়ের পিত| সর্দার কিষেণ সিং মঞ্চে দাড় করানো হয়েছিল। এই ফাকি ধার চোখে ধর! পড়েছিল, সেই ডি এল শ্ান্ত্রীকে বলতেই দেওয়! হল না তিনি নোটিশ দিয়েছিলেন এক সংশোধনী প্রস্তাবের ;₹ এমনি সময় মাইকের বৈদ্যুতিক সংযোগ গেল ছিন্ন হয়ে তার সংশোধনীতে তিনি এই বী' হাতের দাক্ষিণ্যের প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলেন) 41991662760 50007 80908176 ০০:০- 01171000.” লাউড স্পীকার স্তব্ধ হয়ে গেল। তারপর প্রেসিডে?্ট বললেন, সময় উত্তীর্ণ, বসে পড়ুন | শ্রীমতী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন করার কথা ডিনিও অনুপস্থিত। প্রেসিডেণ্ট বললেন, সময় উত্তীর্ণ কে একজন ক্লোজার মোমান তুলল; পাশ হয়ে গেল। শান্ী বললেন, ভোট গণনা হোক। প্রেসিডেন্ট বললেন, ন। |

কংগ্রেস-মঞ্চে বিপ্লবীদের সমর্থক নিঃশেষ হয়ে গেছল। কিন্ত

'গ্রেণের বাইরে ত্র! ছিলেন সংখ্যালঘূ। ভাই লাহোরে ভগং দিংয়ের উদ্দেশে বলিদান হুল মেদিনীপুরে | মেদিনীপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট জম্ম পেভি শিকার করে ফেয়ার পথে ধখন সন্ধ্যাবেবা! শিক্ষা প্রদর্শনী মেলায় এলেন তখন শিকার হলেন বিপ্লবীদের |

৯৫

৭ই এপ্রিল, তিনটি গুলী লেগেছিল পিঠে, ছুই হাতে ৮ই এপ্রিল সকালে সাম্রাজ্যবাদের বেদীমূলে দেহরক্ষ! করেন।

মেছুয়াবাজার বোমার মামলা হাইকোর্টের স্পেশ্যাল বেঞ্চে গেছল; সত্যব্রত সেন আর আট জন খালাস হলেন ; নিরঞ্জন সেন আরও আটজনের দণ্ড বহাল রইল, মেয়াদ কিছু কমল। ২২এ এপ্রিল।

লাহোরে আবার একট। পুলিশ-বিপ্লবী সভ্র্ধ হল ৩র মে। কলেজের এক ছাত্রের কাছে খবর পেয়ে এক পদস্থ পুলিশ ৬০ জন কনষ্টেবল নিয়ে লাহোর থেকে মাইল দূরে সালামার গাডেন ঘিরে ফেলে; দিল্লী ষড়যন্ত্র মামলার ছু'জন সন্দেহভাজন সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আকম্মিক ঘেরাওয়ে চমকে উঠে ওর গুলী চালান। পাল্টা গুলীতে ছ'জনের একজন জগদীশ-_-নিহত হন * আহত দ্বিতীয় জন-_ন্ুখদেবরাজ-_বন্দী হন

৭ই জুলাই দীনেশ গুপ্তের ফাসী হল। জুন মাসে তিনি মাকে লিখেছিলেন £ “মৃতুটাকে আমরা এত বড় করিয়! দেখি বলিয়াই সে আমাদিগকে ভয় দেখাইতে পারে যেন ছোট্ট ছেলের মিথ্যা জুজুবুড়ীর ভয় যে মরণকে একদিন সকলেরই বরণ করিয়া! লইতে হইবে, দে আমাদের হিপাবের ছুদিন আগে আসিল বলিয়াই কি এত বিক্ষোভ, এত চাঞ্চল্য ? যে খবর ন! দিয়া আসিত, সে খবর দিয় আসিল বলিয়াই কি আমর! তাকে পরম শক্র মনে করিৰ ?”

এই, সত্য, এই | বারংবার বছনিন্দায় এরা কলঙ্কিত হয়েছেন এবং আজ এদের শ্রদ্ধাশীল ইতিহাস লিখতেও পবিত্র অহিংসের কলম কাপে।

কিন্তু যে অধ্যাত-অজ্ঞাত তরুণ দিনছুপুরে লোকাকীর্ন আদালতে দীনেশ গুপ্তের বিচারক, আলিপুরের জজ আর. আর. গালিককে লক্ষ্য করে রিভলভার তুলেছিল তার হাত কাপেনি একটুও | কেনন! সে, শুধু প্রাণ নিতে আসেনি, দিতেও এসেছিল, শুধু যেন দীনেশ গুপ্তের ফাসী মুখর হয়ে ওঠে | গালিককে মৃত্যুদণ্ড দেবার পরে পরেই সে

২৯৬

সায়োনা ইডে মৃত্যুর মুখে চুম্বন একেছিল। ভূপেন রক্ষিত রায় তার “বিপ্লব তীর্ঘে” তরুণটির নাম দিয়েছেন কানাই ভউ্্রাচার্য ; তারিখ

দিয়েছেন ২৮এ জুলাই, হবে ২৭এ জুলাই |

ল্রিপ্রবনাদেল্স “৩০গ্ডান্সি”

এই নিদারুণ উত্তপ্ত প্রাণ দেওয়া-নেওয়ার আবহাওয়ার নিন্দাবাদে গান্ধীজী গোলটেবিল বৈঠকে যাবার উপযোগী ক্ষেত্র প্রস্তুত করে নিলেন। উপপক্ষ্যটা হয়েছিল ২২এ জুলাই পুনায় বোশ্বাইয়ের গবর্ণরের প্রাণ-হননের ব্যর্থ চেষ্টায় ছাত্র বাস্থদেৰ বলবস্ত ছুটি রিভলভারলহ ধর! পড়েছিলেন গান্ধীজী ৩০ তারিখে গবর্নর স্যার ই-হটসনের অব্যাহতিলাভে অভিনন্দন জানিয়ে গভীর মনস্তাপে লিখলেন £ 41598969151) 01:91 1799 00189. 2150 19 0011) 117021000191016 17810) 60 006 ০0016. 13196520 1175175 ০102120621 21500 ড্/10101) 1 11681:0. 90 20001) 7:01 161191016 50101065 ০91160 10)2 272 2150 10610016160 1070 10) 05০ ০200005 2190 081217060 1:55010001 70929960 ৪৮ চ2190101, 1155160 00 00521:52 0390 00০ ০2100011095 0০] 02108 00 03০ ৬1805) 006 0620 105০16 0০11)5 019101077৩0 89 1 1015 0105 06 21000198001. 010০ 25016 15 £001909- 1970 2190 09672096101) 1321০৮০0015 10090 ভ্য01:5101 25. 061176 70015010060 . [6 5 00০ 02161700000: ৫0 0 006. 4৯. 1, 0,100 100 50180671017 2 006 1001010 00001176 10062015 0 006 0:5012:005 ০080:856 0100 1616:966 15 00105 180৮- $10167506 10) 09001৬09021 62005.

গান্ধীজী জানতেন যে, একই সঙ্গে মীমাংসা-প্রস্তাব আর ভগ পিংদের নিন্দ আর বিপ্লবীদের “গা” আখ্যা কংগ্রেসকে অসম্ভব করে তুলবে জানতেন বলেই অনিচ্ছা সত্বেও ভগৎ সিং প্রস্তাবের খসডু তাকে করতে হয়েছে এবং একান্ত আস্থাভাজন জওহরলালকে

২৯৭

তুলতে হয়েছে। নইলে তার লগুনের পথও কুনুমাত্তীর্ণ খাকত না।

গাহ্ীজীল্ল লগুন্ন আত।

মীমাংস। প্রস্তাবেই গান্ধীজীকে নিরক্কুশ অধিকার দিয়ে কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছিল। গান্ধীজী স্বয়ং প্রস্তাবকেই সমর্থন করে বলেছিলেন, “আমি এমন. প্রতিশ্রুতি দিতে পারিনে যে, কংগ্রেস-প্রতিনিধিমগ্ডলী (বলতে তিনি একাই) স্বাধীনতা এনে দেবেন; কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে; 'অধিকতর বন্ধন (6০70০ 0০9098০) নিয়ে আসবেন না 1”

- এই পরম আশ্বাসের বাণী দিয়ে ২৯এ আগষ্ট গান্ধীজী “রাজপুতনা” জাহাজে করে দেবদাস, ছুই সেক্রেটারী, মিস শ্লেড বা মীরাবেনকে নিয়ে লগ্ন যাত্রা করলেন পরেরদিন চট্টগ্রামের পুলিশ ইন্সপেক্টর খান বাহাছুর আসাম্ুল্য! বিপ্লবীর হাতে প্রাণ হারালেন

এর আগে, ৭ই এপ্রিল, ফেডারেশন অব ইত্ডিয়ান চেম্বার্স অৰ কমার্সের চতুর্থ বাংসরিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গান্ধীজী ; লাল! শ্রীরাম ছিলেন প্রেসিডেন্ট সেখানে জি. ডি. বিরল! যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা অম্লান তাৎপর্যে উজ্জল হয়ে আছে £

“মহাত্মা! গান্ধীর ওপর বণিক শ্রেণীর অগাধ বিশ্বাস আছে এবং স্বরাজের জন্ঠ তারা সকলরকমে সহায়তা করবেন তবে, কংগ্রেসে বণিকশ্রেণীর যোগদান সম্পর্কে কথ! এই যে, ক্যাপিটালিস্ট শব্দটা নিয়ে বড্ড ভুল বোঝাবুঝি হয়; তা যাতে না হয় সেজন্য তার! কংগ্রেসের ভেতরে না গিয়ে বাইরে থেকে সাহাব্য করতে চান 1?

সোস্তালিষ্-কমুনিষ্টদেরও বুঝতে দেরী হয়েছিল, বুঝলে সত্য, যে কংগ্রেস ১৯৩১ সালে ভারতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীর আস্থালাভ করেছে।

দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে, জি. ডি. বিরলাও অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন। তাদেরই একান্ত আস্থাভাজন মুখপাত্ররূপে কি ন! জানিনে। গাক্ধীজী ম্যাঞ্চেন্টারবামীদের উদ্দেশে দ্ধর্থহীন ভাষায় আবার

২৯৯৮

পার্টনারশিপের কথা বললেন £ “[£ 1512) 2170 [1:019) ০1] ]াঠে 2 1101210015 09106151910) 1750980 06 0101605 20210 126 0৪10 67500] [21070891916 001 006 0100) 0021 05655 ০0010 150 5০ 0:000106 1) 11018. ২৩-এ সেশ্টেম্বরের এই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন ২৭এ সেপ্টেম্বর__40:051060 980569060 92006102170 ৪5 1০801000)1)6 010 95:52 (0 10101010100 0: 21] 101215 0100) ০0206 [2170251)116 0100).” এখানে £হি' মানে কংগ্রেস

বিলাতী পণ্য, নিদেন বিলাতী বস্ত্র বর্জনে উৎসাহীর। শুনে নিশ্চয়ই খুসী হয়েছিলেন, কি বল, সত্য? কিন্তু এর ব্যাখ্যা তো সর্দার প্যাটেলই রেখেছিলেন তার সভাপতির অভিভাষণে “5০5০০0৮ 0:81105 €9045 138. 00110021210 70010106 17069501:6. 00200061615 20599 09001001215 069০6 210 ৮৮০ ০০1 (0 15800 0016021 00081 001850210710017 2100. 0010121210০ 78:173005 10১09 036 00110021 ০৪01. ৬০ ০221706 02 316015£ ৪6 & 011610015 ০007621621506 02016. 2170 0005100 [19117)5 02516109500 10010 1101510 1100216505,

এই অসীম উদারতায় সেদিন চারহাজার ডেলিগেট নিশ্চয়ই গববোধ করেছিলেন; আপত্বি কিছু হয়নি। স্থৃতরাং গান্ধীজীর লগুন উক্তিতেও আপত্তির কিছুই ছিলনা হৃদয়ের পরিবর্তন সতা ঘটেছিল, কিন্ত সেকোন দিকে?

গান্ধীজী লণ্ডনে পৌছেছিলেন ১২ই সেপ্টেম্বর ; তার মিশন ষে ভারতের স্বাধীনত। নিয়ে যাওয়1 নয়, তার চাইতেও মহত্বর, অথবা স্বাধীনভালাভ যদি তার জক্ষ্য হয়ও তবে তা যে গৌণ, মুখ্য অন্তাকিছু। একথ। তিনি প্রথম স্ুযোগ্নেই। আমেরিকার উদ্দেশে বেতারে জানিয়ে দিলেন : “রক্তাক্ত পথে ভারতের ্বাধীনত! পাওয়ার চাইতে তিনি বরং দরকার হলে যুগ যুগ অপেক্ষা করতে রাজী আছেন (76 010 76:50158115 ৪26) 16 1060299015১ 101 2859 12056

উট

10) 5660 00 26240) 61620020০06 11018 15 ০1০05

171621)5 )7|

তগুলন থেক্ষে হিজল্লী

১৬ই সেপ্টেম্বর হিজলীতে তার নিঃ:সংশয় জবাব পাওয়া গেছল। কংগ্রেস-মঞ্চে বারংবার নিন্দিত বিপ্রবীদ্দের এক বন্দীশালা ছিল হতভাগ্য বাংলার হিজলীতে | বিপ্লবী দলে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে, চিত্ররঞ্জনের ভাষায়) সেখানে ছিল ইংরাজের নির্দয় হাতে চয়ম-কর!

বঙ্গ-পুষ্পরাজি--£10জ5 06 73210769]. সরকারী বেসরকারী নান। ভাত ; কিন্তু গুলী চলেছিল সরকারী তরফেই বন্দীদের মধ্যে সম্তোষ কুমার মিত্র তারকেশ্বর সেনকে প্রাণ দিতে হল; আহত হলেন ২০ জন | সার! বাংলার ক্ষুব্ধ ছুঃখকে ভাষ। দিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলকাতা টাউন হলের সভায় কবিকণ্ঠ সিংহনাদ করে উঠল £ “এই যে হিজলীর গুলিচালন।-...".তার শোচনীয় কাপুরুষতা৷ পশুত্ব যা কিছু আমার বলবার, সে কেবল অবমানিত মনুষ্যত্বের দিকে তাকিয়ে ।.-ডাক এল সেই পীড়িতদের কাছ থেকে রক্ষক নামধারীরা ঘাদের কণ্টম্বরকে নরঘাতন নিষ্ঠুরতার দ্বারা চিরদিনের মতে। নীরব করে দিয়েছে।

“যখন দেখা যায়) জনমতকে অবজ্ঞার সঙ্গে উপেক্ষা করে এত অনায়াসে বিভীষিকার বিস্তার সম্ভবপর হয়, তখন ধরে নিতে হবে যে ভারতে বৃটিশ শাসনের চরিত্র বিকৃত হয়েছে আমাদের ভাগ্য হুর্দাম

দৌরাত্ম্য উত্তরোত্তর বেড়ে চলবার আশঙ্কা ঘটেছে যেখানে নিহিবেচক অপমান অপঘাতে. পীড়িত হুওয়। দেশের লোকের পক্ষে এত সহজ। ঘখোচিত বিচারের অন্যায় প্রতিকারের আশা এত বাধাপ্রাপ্ত, সেখানে প্রজা রক্ষার দায়িত যাদের 'পরে )সেই সব শাদনকর্তা এবং তাদেরই আত্মীয় কুটুম্বদের শ্রেয়োবুদ্ধি কলুধিত হবেই, এবং সেখানে ভভ্রজাতীয় রাষ্ট্রবিধির ভিত্তি জীর্ণ না হয়ে হাকতে পার না।”

হটিও৬

হিজলী থেক্ষে লগুনেে

কিন্তু গান্ধীজীর লগ্ডন মিশনের ব্যর্থত। ছিল তারই মধ্যে। তার নিজন্ব বাক্তিত্বের ওপর অপরিমেয় বিশ্বান। মানুষ তই মহত্বের দাবী করুক কোথাও তার একটা সীমা আছেই, আলেকজান্দার, নেপোলিয়ান, হিটলার সম্পর্কে যে-কথা, পৃথিবীর তাবৎ মহাত্মা! সম্পর্কেও দেই কথা নইলে মাহাত্মযগুণে আদিকাল থেকে মানুষের মধো এক ধর্ম, এক আচরণ, এক রীতি এক মহাত্মাই সর্জনীন হয়ে থাকত। তা যে হয় না, পৃথিবীতে আজ ফে মাত্র একটি ধর্ম, এক আচরণ এক রীতি, এক পৃজানুষ্ঠান হয়না তারকারণ মহাত্মার সংখাও যত,পথ মত তত। বাস্তব পৃথিবীতে এই মত পথ-সঙ্ঘর্ধ-অনিবার্ধ। সেখানে কোটী কোটা লোকের পক্ষ থেকে একক প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব এক সেই কল্পিত সীমাহীন জ্বানের আধার) যাকে বজা হয় 0121010002180 01015150160 07177055617 ছাড়া! কারও সাধ্য নেই বহন করতে পারে। গান্ধীজী এই সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ সর্বত্রগামীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই অসম্ভব দায়িত্বের মধ্যেই বার্থতার বীজ ছিল। বাইরের ঘেসব বাধ! ছিল__মুসলিম, তপশীল সম্প্রদায়। রাজন্যবর্গ, ইউরোপীয়ান প্রভৃতির স্বার্থ সংঘাত--ও'র বিশ্বাস ছিল) এসব তিনি তার মাহাত্থ্যগুণে অনায়াসে অতিক্রম করতে পারবেন পারেন নি, পার! সম্ভৰ নয়) গোলটেবিলে অকারণে বু বিপরীত স্বার্থের সমাবেশ কর! হয়নি। অভ স্বার্থের সমাবেশে তার শতকরা ৯৫ জনের প্রতিনিধিত্ব দাবী গ্রাহ্থ হওয়া অসম্ভব

১৯৩০এর প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে কংগ্রেসের কেড যোগ দেন শি; সেটি হয়েছিল ১২ই নবেম্বর থেকে ১৯৩১এর ১৯এ জানুয়ারী ; ঘিতীয়টি হয়েছিল ১৯৩১এর ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ১ল৷ ডিসেম্বর অবধি। এই দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথম অধিবেশনের অতিরিক্ত ৩১

৩৩১

জন ডেলিগেট যোগ দিয়েছিলেন এই অভিরিক্তদের মধ্যে ছিলেন বুটিশ প্রতিনিধি দেশীয় রাজ্য ৬) বৃটিশ ভারত ১৯, তার মধ্যে গান্ধীজী একক কংগ্রেসের ্‌

সত্য, প্রথম অধিবেশনের “জনারণ্য” দেখলেই তুমি বৃহৎ ব্যাপারটি উপলব্ধি করবে বৃটিশ প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামজে ম্যাকভোনাল্ড প্রমুখ সতের জন; দেশীয় রাজন্যবর্গের মধ্যে ছিলেন ভূপালের নবাব প্রমুখ ষোল ভন; বৃটিশ ভারতের পক্ষে ছিলেন আগা খা, মৌলান। মহম্মদ আলি, ডাঃ আম্বেদকর, ফঙ্লুল হক, লেঃ কর্নেল গিডনী, স্যার হিউবার্টকার, এম. আর. জয়াকর, এম. এ. জিন্না, এইচ. পি. মেদি। ডঃ বি. এস. যুঞ্ধে। দেওয়ান বাহাছুর রামন্বামী মুদালিয়র। স্যার তেজবাহাছর সপ্র; স্যার মহম্মদ সফি, শ্রীনিবাস শান্ত্রী, চিমনলাল শীতলবাদ, জফরুল্যার্থান প্রমুখ ৫৬ জন।

দ্বিতীয় বৈঠকে এরও অতিরিক্ত ৩১ জন; বুটিশ ভারতের ১৯ জনের মধ্যে ছিলেন গান্ধীজী ছাড়া স্তার সৈয়দ আলি ইমাম, মৌলান। সৌকৎ আলি, ই. সি. বেস্থল, জি. ভি. বিরলা, স্যার মহন্মর্দ ইকবাল, পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য, সরোজিনী নাইড়ু, স্তার পূরুষোত্তমদাস ঠাকুরদাস।

আমি তোমায় সব নাম বললাম না, কিন্তু ধর এই যে দোয়াশ'র মত ডেলিগেট, এদের কেউই কারও চাইতে কম যান না। সমস্যাও একটি ছুটি নয় বৃটিশ ভারতে বৃটিশ সাম্রাজ্যের স্বার্থ বৃটিশ ভারত দেশীয় রাজ্যের সমস্তা। বৃটিশ ভারতে বর্ণহিন্বু সমন্যা। হিন্দু মুসলিম সমস্যা, রাজা-প্রজা সমস্যা। ব্যবসাবা ণিজ্য সমস্যা রয়েছে ।ধে-কোন একট! সমস্তাই সম্মেলনের ভরাডুবির পক্ষে যথেষ্ট এবং শেষ পর্যস্ত বানরের হাতেই পিঠে ভাগের দায়িত্ব দিতে হয়েছে। তারই নাম, কম্যুনাল এওয়ার্ড এবং তারই সর্বশেষ সর্বনেশে নাম- থাক্‌, সে-কথা যথাসময়ে

অর্থাত গান্ধীজী দ্বিতীয় গোলটেবিল অমীমাংসা বার্থতার

৩২

মধ্যে রেখে ভারতবর্ষে ফিরে এলেন এবং আবারও এক ব্যর্থ আন্দোলনের আহ্বান দিয়ে কারাস্তরিত হলেন।

ইউল্লোপীস্্র মুখপাত্রেব্র সালা

সেকালে বেম্থল সাকুলার যথেষ্ট কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু আজ এতদূরে দাড়িয়ে সাকুলারটির ছুটি একটা কথা সেকালের অপ্রতিরোধ্য ঘটনাক্রমের ওপর কিছু আলে! ফেলতেও পারে। খুদীতে ডগমগ এই সাহেব, বৈঠকে উপস্থিত মুসলমানদের সঙ্গে কি. ধরণের আতাত করেছিলেন তা! বলেছিলেন £.

-009য 98 80110 &100 91261109189610 ঠ99%70 : 4811 11090৯ 609 [96101081186 11081101) 090990 700 0$519100, 11095 [0]19590 61061 08109 101) €:886 881]] 60100210006 7 609 [0:01001860 09 ৪0101)07% 800. 01095 £9৮৪ 16 11) [01] 1006880:9. [0 19$010 006 89890. 60৪96 8 81001] 006 10286 6061 80010010010 [)111)6 17 1391068] &00 6096 8100010 দা1000৮ [08101092006 010891009০0 1186 6 080 (0 0100 [018089 10০ 60800 10 1901:00920 011205 30 608৮ 6065 0095 11859 & 01087)08 60 11010:0%8 01061 100968181 009161010 800 609 62068] 86800110601 61091] 90000000189

গান্ধীজী-প্রসঙ্গে এই সাকু'লারে বল! হয়েছে, “নতুন ভারতীন ডেলিগেটর! তে। লগুনে গেছলেন ( বুটিশ ) ব্যবসায়িক আধিক রক্ষাকবচ আক্রমণের জন্তই ; কিন্তু তা যেখানে ছিল সেখানেই অবিচল রয়েছে ।” বলেছিলেন £

“€ 18 01070080108 6186, 1৮ 8009 60 0109 010. 0006 00086008156 ঘ&0016/ 01 0800101:8 10100.

“দ্বিতীয় রাউণ্ড টেবিল বৈঠক আর কিছু না! করুক, অন্ততঃ পৃথিবীর কাছে গান্ধী-মনের গঠনাত্মক শৃন্যত৷ প্রকট করে দিয়েছে। কেবল লগ্ুনে নয়, প্যারিমে রোমেও ধার। তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কাছেও উনি ছুবোধ্য থেকে গেছেন।

ল্লিক্ড্হন্ডে গাহ্দীজীল্প প্রত্যাবর্তন

বেস্থলের সাকুর্লার নিঃসন্দেহে অসং-উদ্দেশ্য-প্রণো দিত। কিন্ত বৈষয়িক ব্যাপারে চারপাশে প্রকৃত বিশেষজ্ঞদের ন| নিয়ে গিয়ে সবই সুভ্ৰ্বেয় তত্বের রাজনৈতিক বুকনিতে সেরে আসা যাবে এই আশার আতিশয্যই হয়েছিল কাল। রাজনৈতিক প্রয়োজনেও যদি একজন বিশ্বস্ত জাতীয়তাবাদী মুসলমান" একজন জাতীয়তাবাদী অনুন্নত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং জাতীয়তাবাদী একজন দেশীয় খৃষ্টান, জাতীয়তাবাদী একজন বণিক নিয়ে ষেতেন, তাহলে কংগ্রেসের 'জাতীয় দাবী প্রকাশ করা ঘেত। তাও করেননি অথচ তার অবকাশও ছিল। কেননা, বৃটিশ সরকার কংগ্রেসের কাছে একটি নামের প্যানেলও চেয়েছিলেন কংগ্রেসকে পেয়ে বসেছিল টোটালি- টেরিয়ানিজম_ নিরঙ্কুশ এক-নায়কত্ধ। তার মূল্য দিতে হয়েছে শুধু কংগ্রেসকে নয়, পোড়াকপাল সারা ভারতবর্ষকেই |

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামজে ম্যাকভোনাল্ড ১ল! ডিসেম্বর গোল টেবিল বৈঠকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সমগ্র পরি কল্পনাটি প্রকাশ করলেন, ২৮এ ডিসেম্বর সকাল আটটায় গান্ধীজী ভারতে ফিরে এলেন। ৭ই ৮ই নবেম্বর বোম্বাইয়ে ওয়াকিং কমিটি গান্ধীজী ঘে কেবল্‌ করেছিলেন তারই ভিত্তিতে তাকে ফিরে আসার অনুরোধ জানানে। হল £ 41715 01006 00170117102106 1) 0106 [২0019019016 ০0186610106 200221:60 00 096]0 00 06 আ]ঠ])60295591.” তবে তিনি যেহেতু সেখানে আছেন সেইহেতু অবস্থা বুঝে যদি প্রকার মনে করেন, থাকবেন। সঙ্গে সঙ্গে এদিকে যে বাংলাদেশে, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে, যুক্ত প্রদেশে অন্যত্র অবস্থা অবনতির দিকে গেছে তার প্রতি গান্ধীজীকে অবহিত করে প্রস্তাবে বল! হল। শিগগিরই তার ফিরে আসা! বাঞ্থনীয়। ইউরোপ সফর এখন ঠিক বেন

পি

জিগগেস করলাম, কি হয়েছিল বাংলা, সীমান্ত প্রদেশ, যুক্ত প্রদেশে ?

বললেন, চট্টগ্রামে আসাম্ুল্যা হত্যার পর স্থযোগ বুঝে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় অধিবাসীদের ওপর ব্যাপক মুসলিম গুগ্ডাবাজি চালিয়ে দিল; তারা প্রাণ ভরে “বদল!” নিল মৌলান]| আক্রাম খা, বি. এন. শাসমল। ডাঃ জে. এম দাশগুপ্ত, তুলসী চন্দ্র গোস্বামী, অধ্যাপক নৃপেন্দ্র চক্র ব্যানাজি, জে. এম. সেনগুপ্ত এন. সি. সেনকে নিয়ে এক তদস্ত কমিটি হয়েছিল তার! এই সিদ্ধান্তে এলেন যে, ৩০এ আগষ্ট রাত্রে যা হয়েছে তা বেসরকারী ইউরোপীয়ান, ইউকব্রোগীয়ান অফিসার মুসলিম পুলিশের সঙ্ঘবন্ধ আক্রমণের ফল। ৩১এ আগষ্টের লুট- তরাজ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের প্ররোচনায়ই হয়েছে, পুলিশ প্রহরাধীনেই তা শুরু হয়েছে চলেছে মফ:ম্বলের হাঙ্গামাও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে।

১৯৩১এর ৩রা আগষ্ট বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাসী হয়। রেলওয়ে পুলিশ ইন্সপেক্টর তারিণী মুখাজির হত্যার দায় চেপেছিল তার ওপর মৃতুদণ্ড মাথায় নিয়ে রামকৃষ্ণ মাকে লিখেছিলেন £

“যতদিন নিজের নিজের করিয়। মায়ের। কাদিবেন, ততদিন ছুঃখ বাড়িবেই. কমিবে ন।। ছুনিয়ায় এত ছেলে মেয়ে আছে; তাহাদের প্রত্যেকের মধ্যে বখন মায়ের! নিজের ছেলের স্বরূপ দেখিতে পাইবেন তখনই তাহাদের মাতৃত্ব সার্থক হইবে ।”

সতা, এই ছেলেরাই তখন জম্মেছিল। আর হিংসায় নামে নাক টেনে ধার! এ্রদের ক্রিমিনাল বলে সরকারের কাছে বাহাদ্বরি নিতেন তারাই এখন নির্বাচনের ফাটকাবাজিতে রকবাজ সমাজ-বিরোধীদের আপন জন? করে নিয়েছেন--নিচ্ছেন।

২৮এ অক্টোবর ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এল. জি. ডূর্নে। ছুপুর বেলা এক মসলার দোকান থেকে ফেরবার পথে গুলীবিদ্ধ হলেন লোকের তাড়া খেয়েও আততায়ী সরে পড়তে পেরেছিল।

যে প্ররোচনার কলে হিজলী বন্দীশিবিরে নিধিচারে গুলীচালন।

৩৩€

হয়েছিল তার অন্ততম কারণ সেকালের ভারতবন্ধু স্টেটসম্যানে প্রকাশিত ইউরোপীয়দের নান! ঢঙের চিঠি

তার জবাব দিতেও এগিয়ে গেছল বাংলার বিপ্লবী তরুণ দল। ঢিল! পায়জামা মুসলমানী ফেজ পরা বিমল দাশগুপ্ত ইউরোপীয়ান এসোসিয়েশনের ভিলিয়ার্ঁকে 'াদমারি" করেছিল। পিঠে-লাগ। গুলীট। তেমন মারাত্মক ক্রিয়া করেনি। বিমলের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল

দেশের এক বিশেষ ভদ্রমহলে এবং আমাদের মতো অহিংস মহলে এই বিপ্লবীদের প্রতি ঘৃণার অবধি ছিলনা | বঙ্গীয় প্রর্েশিক কমিটি এই জাতীয় হিংসাত্মক ক্রিয়াকলাপের নিন্দার জন্য জনসভা আহ্বান করেন। সে আহ্বান কতদূর পৌছেছিল কে জানে, অন্ততঃ কুমিল্লার ফয়েজ উন্নেনা গবর্নমেণ্ট হাইস্কুলের অষ্টম মানের ছুটি মেয়ে শান্তি ঘোষ, স্থনীতি চৌধুরীর কানে বা হৃদয়ে পৌছোয়নি। কুমিল্লায় সাঁতার প্রতিষোগিতার আবেদন পেশের ছলে জেল! ম্যাজিস্ট্রেট সি. জি. বি. স্টিভেন্সকে লক্ষ্য করে রিভলভার উদ্যত করে। ম্যাজিস্ট্রেট বলতে যাচ্ছিলেন, তার! যেন নিয়ে হেড মিসট্রেসের সঙ্গে দেখা করে। কিন্তুতার আগেই রিভলভার ছুটি কথা বলে, স্টিভেন্স চিরকালের জন্য নিবাক হয়ে যান।

উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে অপ্রতিরোধ্য গণ-আন্দোলনে খান আবছুল গফফর খাঁন, কাজী আতাউলা। প্রমুখ নেতৃবৃন্দ রেগুলেশন (১৮১৮) আইনে বন্দী হন।

মুক্তপ্রদেশে ধূমায়িত হয়ে উঠেছিল কৃষক বিক্ষোভ; এখানেও থাজন৷ বন্ধ আন্দোলন অনিবার্ধ হয়ে ওঠে তারপর এক সিদ্ধান্ত নিতেই জওহরলাল, শেরওয়ানী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তার হন ২৬এ ভিসেগ্র

গান্ধীজী দেশে ফিরে বড়লাটকে সাক্ষাতের প্রার্থনা! জানিয়ে এক টেলিগ্রাম করেন। এই প্রার্থনাও প্রত্যাখ্যাত হয়

৬৪

ভিড সুশ্খে স্ব জেভ্ো

২৯এ ডিসেম্বর থেকে ১৯৩২-এর ১ল! জানুয়ারী অবধি ওয়াকিং কমিটির চারদিন ব্যাপী বৈঠকে নতুন করে আইন অমান্য আন্দোলনে অবতীর্ণ হবার দিদ্ধান্ত হয়। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি তাদের কাছে অসন্তোষজনক মনে হয়েছে এবং তাতে তারা৷ মনে করেছেন প্যাকের (মানে গান্ধী-আরুইন প্যাকের) আর কোন অর্থ নেই। স্মুতরাং হতাশায়ও আশা রেখে বল! হল £

এ] 635 690৮ 01 & ৪9618180601 ?88100088 120 102610- 0020010£) (108 00000016699 08119 2100 6109 086100 (60 £9500009 0111 01501999110 09.....

অহিংসার ওপর জোর এবং খুবই জোর দেওয়! হল যেন অত্যাচারীর হৃদয়-পরিবর্তন হয়। যে-প্রদেশ। জেল! বা তহশীল কি গ্রাম এই সংগ্রামের অহিংস প্রকৃতি না বুঝবে। অহিংস তার তাৎপর্য না বুঝবে বা! প্রাণ সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি বা ছুঃখবরণে প্রস্তত ন! হবে সেযষেন এতে না আমে কথায় কাজে অহিংস! পালন করতে হবে, হোক প্রচণ্ড প্ররোচনা”

“16 08106 0009:56০০], 6096 608 080008160, 5৪ 00 009 01 8888108 1960£9 ০0. 1010)081108 10107168 00. 0106 01010:6330: 00 1৪ 006 01 90050:%10£ 00170 0000810 9911-80060108 800 ৪11- 00715086100.

প্রতিহিংসা নয় কিন্তু বিদেশী বস্ত্র বর্জন। তা বিলাতী হোক কি অন্ত দেশের হোক একদিন বিলাতী বস্ত্র বর্জন নিষিদ্ধ ছিল, নইলে বুভাবে বৈঠকে বল। যায়না, এখন তার কৈফিয়ং হল-__ “[রও0। [0 & 10000-510160 আঞ£ ১০১০০৪৮ ০0% 8০০08 00800 18960190 0% 606 00010958018 179:080615 18 ম[0] 10 &3 000018

৪৪ 1৮ 19 065 805 00৮ ০01 & ৮106100 60 10:000069 0: 156910 90000761018] 1৩1861008 8) 606 00099801 ...

দেখছ, সতা, ননভায়োলেন্ট জলজিকও কেমন অবস্থা-সাপেক্ষ।

৩৭

সৃতরাং, অনুগত কংগ্রেসমেবক আমি-_চরকা,খন্দর। অহিংসার থলিটা নিয়ে ছুঃখবরণে বেরোতে হল।

তাল্াক্রশু পোলা

ইতিমধ্যে গান্ধীজী লিখলেন বড়লাট লর্ড উইলিংভনকে £ আমাদের বন্ধৃত্্ত্র ছিন্ন হয়ে গেল কি তারই লক্ষণ? অথবা আপনি কি চান আমি কংগ্রেসকে কি পরামর্শ দেব সে বিষয়ে আপনি আমাকে পথ বলে দেবেন ?

গান্ধীজীর ২৯ তারিখের এই চিঠির উত্তরে বড়লাটের প্রাইভেট সেক্রেটারী লিখলেন : বাংলাদেশে অফিসার "ও নাগরিকদের কাপুরুষোচিত আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্তই ওসব ব্যবস্থা নিতে হয়েছে যুক্তপ্রদেশে প্রাদেশিক সরকার যখন সকলরকম কষ্টলাঘবের চেষ্টা করছেন তখন কংগ্রেপ কমিটি খাজনা বন্ধ আন্দোলন শুরু করে দ্বিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে খান আবছুল গকফর খান বক্তৃতান্ পর বক্তৃতায় জাতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছেন ; আপোষ-আলোচনায় বসতে রাজী নন। আরও অননক কথা লিথে শেষে জানালেন £হ “306 [715 ঢ:06112705 5619 ০০) 00 21001595156 096 19০ ড/1]] 10 06 70:60816 00 01507755 10 5000. 006 10009317169 17101) 06 30৬10010606 06 71019. 100 2001052] 07715707159055 (0৮61004061 17952 00190 26 150255215 00 20001 1 93217691076 [001650 [70511)065 2130 09০ 01:05 ৬/ ০36 710156161 0:01106.”

গান্ধীজী তার ১লা জানুয়ারীর চিঠিতে লিখলেন £ “এ আপনার উপযুক্ত হয়নি। আমি চাইছিলাম আলো, আর আপনি বললেন; আমার অন্তরঙ্গ সাথীদের ঝেড়ে ফেলতে আর তা! করলেও জাতির স্বার্থসংপ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচন৷ করবেন না।

গান্ধীজী তার দীর্ঘ চিঠিতে আবছুল গফফয় খান যুক্ত প্রদেশের প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে কাগ্রেসী ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ লমর্থন

৬৮

করলেন | বড়লাটের অভিযোগগুলে। মেনে নিলেন না। মেনে নিলেন বাংল! দেশের ব্যাপারে, নিন্দা করলেন সব সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ, তবে এও বললেন যে গবর্ণমেণ্টেরও উচিত নয় বিধিবদ্ধ সন্ত্রাসের শ্থঠি করা।

“48 60 [36088] 6109 0008598৪ 18 ৪6 009 161. 00582010606 20 00100010)701078 98898811080101098 800. 09001081506 দা161) 609 (05920109106 110 10098,9099 61798 1085 106 10000 1090998%7 &0 ৪6820) 006 90010 017099.৮

এই সুদীর্ঘ চিঠির উত্তরে বড়লাটের একান্ত সচিব আবার লিখলেন ১৯৩২-এর ২রা জানুয়ারী £ পবর্ণমেন্ট বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, আপনি আবার আইন অমান্যের হাতিয়ার উদ্যত করে বড়লাটের কাছ থেকে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ প্রত্যাশা! করছেন

গান্ধীজী ওরা জানুয়াব্রী লিখলেন আপনি এটিকে হুমকি" মনে করলেন? আপনার কি মনে নেই, আইন অমান্য যখন চলছে তখনই দিল্লীতে আপোষ আলোচন। চলে আলোচন! শেষে ওটি প্রত্যাহৃত হয় না স্থগিত হয় ?

গাহ্দ্দীজ্বী ক্াল্পান্তল্লিত ১৯৩২-এর 851 জানুয়ারী গান্ধীজীকে বোসশ্বের “মনি ভবন” থেকে ১৮২৭-এর ২৫ রেগুলেশনে গ্রেপ্তার করা হয় ওয়ার্কিং কমিটি অবৈধ ঘোষিত হয় এবং চারটি নতুন অডিনাস জারী করা হয়। বলা কঠিন, গান্ধীজী-কধিত খাঁটি অহিংস-বাদীরাই একান্তভাবে ১৯৩২-এর আইন অমাম্ত-আন্দোলন করেছিলেন কিনা এবং উৎগীঙকের হৃদয়-পরিবর্তন ঘটেছিল কিনা।

7 ০404৬ 4 24৪৯০

স্যার স্যামুয়েল হোড় ২৮-এ জানুয়ারী কমন্সসভায় ঘোষণা করলেন £ বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের দিক থেকে কোনে! প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হস্সনি; অন্ততঃ মিঃ গান্ধী এমন কোনে অভিযোগ করবেন না।

8]

“তথাকথিত চুক্তির অবসান হয়েছে একথা সত্য আমাদের দোষে নয়। 10106 50029191765 06 00০ 0806 15 0005 10 €501016555 2150 (5017:255 21016.

“আর হুমকির জবাবে আমি প্রাচ্যের এই প্রবচনই আওড়াব £ হাথথি চলে বাজারমে কুত্তা ভূখে হাজার | 43 10] 036 00680 1 ভা1]1 215ড6 00210 1 6106 50105 ০0 0) 17990172 0:05] 2 4000061000০ ৫055 10210100109 02821) 1925503 0.2

বাংলার বিপ্লবীরাও “একলা চলার পথে' একান্ত সঙ্গোপনে যেন স্তামুয়েল হোডেরই প্রতিধ্বনি করছিলেন

২৭এ জানুয়ারী শান্তি-স্ণীতির যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর হল বটে। ৬ই ফেব্রুয়ারী আর এক বঙ্গনারী কলকাতা বিশ্ববিদ্ভালয়ের সমাবর্তনের ভীড় ভেদ করে সরকারী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে উখিত হলেন? হাতে তার রিভলভার | লক্ষ্যস্থল বাংলার গবর্ণর স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসন। সমাবর্তন ভাষণ পড়ছিলেন। পাঁচটি গুলীই লক্ষ্যভ্র্ হয়| জ্যাকসন পড়তে জাগলেন। অদৃরে ব্যর্থকাম] বন্দিনী। সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের অবসর প্রাপ্ত হেডমাষ্টার বেণীমাধব দাসের মেয়ে, ভায়োমিসান কলেজের ছাত্রী শ্রীমতী বীণ! দাস। গ্রাজুয়েট বোন কল্যাণী দাসও সাম্প্রতিক অডিনান্স বলে ন'মাসের মেয়াদে বন্দিনী! বাড়ি অগ্নিগর্ত চট্টগ্রামে ৰি-এ ডিগ্রী নিতে এসেছিলেন কনভোকেশন গাউন পরে কলেজ হোস্টেলে তার ঘর খুঁজে পাওয়া গেল আরও পাঁচটা তাজ! কাতুর্জ।

বিচারক পি. সি. ঘোষ, এম. এন. মুখার্জি এম. সি. ঘোষকে নিয়ে গঠিত এক স্পেশ্যাল ট্রাইবিউনালের সামনে বীণা দাস অপরাধ ত্বীকার করে এক বিবৃতি দিলেন; ১৫ই ফেব্রুয়ারী বিচারকের! দিলেন বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

বীণা দাসের “শৃঙ্খল বঙ্কার” তে। এই বিবৃতিটি খু'জে পাই নি --আমি বললাম।

বটি১

বললেন, আমর। পেয়েছিলাম, ওটি ছেপে বিলি হয়েছিল 'আরপুলি লেনে দেশবন্ধু পল্লী সংস্কার সমিতির কর্মাধক্ষ্য জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগীর গোপন উদ্যোগে, আজ হারিয়ে ফেলেছি। মিত্রের য়্যানুয়ান রেজিস্টার-এ যে ইংরাজী ভাষ্য আছে তার একটু তোমায় শোনাতে পারি আমার বাংলায়-_-

“অবরুদ্ধ দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি গবর্নরকে গুলী করেছিলাম আমি মনে করেছিলাম, আমার দুঃখের নিবৃত্তি হবে যদি আমি দেশমাতৃকার বেদীমূলে আত্মোত্সর্গ করে মৃত্যু বরণ করি। ভারতীয় নারীত্বের শ্রেষ্ঠ এতিহোর মধ্যে বড় হয়েছি আমি; কিন্তু গবর্নমেণ্টের বেকানুন এমন এক নিদারুণ অবস্থার স্থষ্টি করছে যে, আমার মতো ক্ষীণশক্তি নারীকেও তার কোমল-প্রকৃতি ভুলিয়ে দিয়েছে। আমি সকলের দৃষ্টি এদিকেই আকর্ষণ করতে চাই। তবে আমি একথা জোর দিয়ে বলতে পারি ষে, মানুষ হিসেবে স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ নেই; তিনি আমার পিতৃতুগ্য; লেডী জ্যাকমনও আমার মায়ের মতো কিন্তু বাংলার গবন্নর একটা শাসন ব্যবস্থার প্রতিভূ মাত্র; এই শাসন-ব্যবস্থা' আমার স্বদেশের ত্রিশ কোটা নর নারীকে দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ রেখেছে |" চা

২৪ ফেব্রুয়ারী ৪৯-১৮ ভোটে বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল' এমেগুমেপ্ট য্যাক্ট পাশ হল। ১লা মার্চ চট্রগ্রাম অস্ত্রাগার দখল মামলার রায় বেরোলো। জে. যুনি 0. ০০11) এন. এন. লাহিড়ী, খানবাহাছুর আবছুল হাইকে নিয়ে গঠিত স্পেশ্যাল ট্রাইবিউনাল দণ্ড দিলেন : অনস্ত সিংগনেশ ঘোষ, লোকনাধ বল, আনন্দ গু, ফণী নন্দী, সুবোধ চৌধুরী, সহায়রাম দাস, ফকির সেন? লালমোহন সেন, সুখেন্দু দক্তিদারঃ সুবোধ রায়, রনধীর দাশগুপ্ত প্রত্যেকের বাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর অনিলবন্ধ দাস__বোরস্টাল স্কুলে তিন বছর নন্দ সিং_-ছু" বছর | আর ষোলো জন খালাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গল ক্রিমিনাল এমেগুমেন্ট ্যাক্টে বন্দী হয়ে গেলেন বিনা বিচারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য

৩১১

৩০এ এপ্রিল মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর ডগলাস ডিস্ত্রীকট বোর্ড অফিসে বসে কাগজপত্র সই করছিলেন। হঠাৎ রিভলভার ছড়ার শব্দ, পর পর পাঁচটা ছটো৷ এসে লাগল ডগলাসের গায়ে। চার গজ দূর থেকে আক্রমণ করেছিলেন ছৃ'জন একজন পালিয়ে ঘেতে পারলেন আর একজন পালিয়ে যাবার পথে ধরা পড়লেন ডগলাপও বাচেন নি।

১২ই জুন রাজসাহীর 'জেল| ম্যাজিস্ট্রেট রায় বাহাছুর সুরেশ চন্দ্র বস্তুকে লক্ষ্য করে বোম! নিক্ষিপ্ত হল রাজবাড়িতে ; কিন্ত বোমাটি লক্ষ্যত্র হয়।

পরদিন, ১৩ই জুন; পটিয়৷ মিলিটারী ক্যাম্পের চার মাইল দূরে ক্যাপ্টেন ক্যামেরনের নেতৃত্বে ২৮নং গোর্থাবাহিনীর ৭জন সেপাই, এক হাবিলদার এবং একজন পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর ছুঙ্গন কনষ্টেবল নবীন চক্রবর্তার বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল রাত নটায় | ৰাড়িতে ঢুকতেই শোন1 গেল, কারা সব সিড়ি বেয়ে উঠে গেল। হাবিলদারকে আগে রেখে ক্যাপ্টেন ক্যামেরনও পি'ড়ি বেয়ে উঠতে লাগলেন হাবিলদার প্রচণ্ড এক ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ে গেল উঠোনে ; তার পরই ক্যাপ্টেন ক্যামেরনের গলায় বুকে এসে লাগল গুলী, তার নিশ্রাণ দেহও পড়ল নীচে। বিপ্লবীদের একজন দ্রুত ছুটে নেমে এসে এক সেপাই-এর রাইফেল কাড়তে গিয়ে ব্যর্থকাম হলেন; সেপাই বন্দুক তাগ করে ঘুরে দাড়াতেই পালাতে চেষ্টা করলেন; কিন্ত গুলী ছুটে! ছিল অব্যর্থ। পরদিন দেহ পাওয়া! গেল ঝোপে; অপূর্ব সেন ওরফে ভোলার আর একজন জানালা দিয়ে গলে পালাতে চেষ্টা করছিলেন; সেপাই গুলী করতেই পিছিয়ে যান। আরও সৈন্য সামন্ত এসে গেল | তারপর বিজয় গৌরবে সৈম্ বাহিনী ভেতরে গিয়ে দেখে আরও এক নিষ্প্রাণ বিপ্লবীর দেহ --নির্ল সেনের। ধর! পড়লেন সাবিত্রী দেবী তার ১৯ বছরের ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, আর ১৩ বছেরব মেয়ে সেেহলতা। |

১১২

সাফল্যের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন সূর্য সেন আর সীতারাম বিশ্বাস

২৯এ জুল/ই এডিসানাল সুপারিণ্টেপ্ডেটে অব পুলিশ ই. বি- এলিসান (ডু. 8. 8:111507) সাইকেলে করে অফিস থেকে বাংলোয় আসছিলেন ; এমন সময় লাগল গুলী | তার দেহরক্ষী পাণ্টা গুলী, চালিয়েছিল বটে কিন্ত এলিসন ঢাকায় মার! গেলেন ৫ই আগষ্ট।

তারিখেই "স্টেটসম্যান পাত্রকার সম্পাদক স্তার এলফ্রেড ওয়াটদনের প্রাণ নাশের চেষ্টা হয়েছিল ; কিছু হয়নি। তখন বেল! তিনটে সম্পাদক দুপুরের খাওয়। খেয়ে অফিসে ফিরছিলেন একটি বাঙালী তরুণ লাফ দিয়ে গাড়ীর ফুটবোর্ডে উঠল, গাড়ীটা খানিকটা টালখেল, গুলী গেল স্যার এলফ্রেডের কান ঘেষে, জানালার শাঠি ভেঙ্গে চুরচুর। দারোয়ান আর এক কনষ্টেবল জাপটে ধরল ছেলেটিকে | ছেলেটি প্রাণপণে নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার চেঞ্। করতে লাগল কোনরকমে হাতটা ছাড়িয়ে নিজের পকেটে হাত দিল, একট। বেরোলো। মুখে ফেলে দিল। হাসপাতালে। যাবার পথে দেখ! গেল তার দেহ প্রাণহীন ধুতি আর কোট পর! ছেলেটির নাম জান। গেল পরে। খুলনা-সেনহাটির অতুল কুমার সেন, বছর ২২ হবে, যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র।

কর্তৃপক্ষ বুঝলেন, বাংলাদেশে এত উৎপীড়ন, ফাঁসী, কারাদণ্ড? অহিংস-সহিংসদের অবিরাম অপযশ কীর্তন সতেও তথাকধিত বিপ্রৰ- বাদীদের শ্ত্রীবৃদ্ধি হয়ে চলেছে অতএব দণ্ড যথেষ্ট নয় স্থির হল নির্বাসন | নির্বাসনের স্থান আগেই ছিল এবং পুত-পবিত্র হয়েছিল বাংলার প্রথম বিপ্লবীদলের বিচরণে তার নাম আন্দামান। ১৯৩২ এর ১৫ই আগষ্ট 'ছ্বীপান্তরিত' প্রথম দলকে পাঠানো হল আন্দামান

ল্লাজন্ৈতিক্চ ব্রজগ্পীতি

এমন সময় নিদারুণ এক বজ্রপাত হল সারা ভারতবর্ষের ওপর ক্ষতিগ্রস্ত হল সব চাইতে বেশী বিপ্লবী বাংলা পাঞ্জাব ১৯৩২ এর

৩১

১৬ই আগষ্ট বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামজে ম্যাকভোনান্ড 'কমুযুনাল এওয়ার্ড ঘোষণা করলেন

ইংলণগ্ড ভারতবর্ষে একই সঙ্গে ঘোষণায় যা বল হল তার মর্মার্থ হচ্ছে £ “মুসলমান, শিখ, ভারতীয় খৃষ্টান, ফ্ল্যাংলে। ইগ্ডিয়ান ইউরোপীয়ানদের পৃথক নির্বাচন; অনুন্নত শ্রেণী সাধারণ নিরবাচক- মগুলীতে (জেনারেল কনস্টিটিউয়েন্সীতে) ভোট দেবেন; কিন্তু তাদের জন্য বিশেষ নির্বাচকমণ্ডলীরও স্যষ্টি করা হবে। এই ব্যবস্থা ২০বছর চলবে; তবে সম্প্রদায়ের সম্মতিক্রমে তার আগেও এই ব্যবস্থার অবসান ঘটতে পারবে মুসলমানর! যেখানে যেখানে সংখ্যালঘু সেখানে সেখানে তাদের প্রচলিত ওয়েটেজ অপর্লিবতিত থাকবে

বল হল £ “দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকের শেষে ১৯১১এর ১লা ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বুটিশ সরকারের তরফে যে বিবৃতি দেন তা অব্যবহিত পরেই পার্লামেন্টের উভয় সভায়ই অনুমোদিত হয় | তাতে পরিক্ষার বলা হয়েছিল ষে,যদি গোলটেবিলে বার্থকাম ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক প্রশ্নে নকল দলের পক্ষে গ্রহণীয় কোন সমাধানে পৌছোতে সমর্থ না হন তবে বৃটিশ সরকার দেখবেন যেন এজন্য ভারতের শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতি ব্যাহত না হয়। অর্থাৎ তার] নিজেরাই অন্ততঃ সাময়িক কোন উপায় অবলম্বন করে এই প্রতিবন্ধক ঘুর করবেন।

“গত ১৯এ মার্চ বুটিশ সরকারকে জানানো হয় ষে, ওদের বার বার কোন একটা মীমাংসায় উপনীত হওয়ার ব্যর্থতা নতুন সংবিধান রচনার কাজ ব্যাহত করে চলেছে আরও বল! হয় ষে ধেলব বিতর্ক- মুলক প্রশ্ন উঠেছে বৃটিশ সরকার তার জট ছাড়াবার চেষ্টা করছেন। এখন তারা এই উপসংহারে পৌছেছেন যে, নতুন সংবিধানে সংখ্যা- লঘুদের অবস্থান-সংশ্লিষ্ট সমস্া গুলোর অন্ততঃ কয়েকটি বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে না এলে সংবিধান রচনার কাজে আর অগ্রসর হওয়। খাচ্ছে ন!।

অতএব বুটিশ সরকার স্থির করেছেন যে £

5১৪

“[119061010. 60 6106 8896৪ &1109660 6০ 2151)0700998%70) 1র0098 ৪00 918 00086100600599 আহ] 9৪ 07 066৪ 06110£ 17 861)8:866 09010010001)08] 91906086698 ০0611706 1096 7981 61১9100 চ06 70019 9198 ০01 60910701700, 10070২18100 আ]] 109 00806 10 6006 00086160610) 16881 60 91001005797 78ড181010 01 6109 61906029,] 21190670061068 8166 10 ড99৪ আঠা 605 888806 0 689 00001001086199 2990690.) 60৮ 606 96651700990 01 01010 ৪0168019 220608 21] 709 0971960, 141] 28911990. 619960:8 130 819 1006 0690৪ 6101061 10 108100- 1009080) 98001), 11001910 (0101180180১ /$10610-1100190 07170707098 00085180900 আ!1]] 106 910$76190 60 ০6০ 10:68 60092] 00086100900 .?

লক্ষ্য কোরো, সত্য, সংবিধান রচয়িতারা ব। বুটিশ প্রবক্তারা কখনে। হিন্দু শব্দটি ব্যবহার করেন নি, ভারতবর্ষে হিন্দুর অস্তিত্ব তার' বিপ্লবীদের অপযশ কীর্তনের ক্ষেত্র ছাড়া সরকান্রীভাবে কখনো স্বীকার করেন নি। তাই সেকালে ছুটি শব্দ মাত্র প্রচলিত ছিল; ত৷ হচ্ছে, মুসলমান এবং অমুসলমান বৃটিশ রাষ্ট্রনীতিতে মুসলমানই মুখ্য, আর সব গৌণ। কিন্তু বৃটিশ রাষ্ট্রনীতিতেই যদি তা সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে হয়তো হিন্দুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়? যেত। কংগ্রেসের পরম লজ্জ। আশঙ্কা পাছে কেউ তাকে হিন্দু আখ্য। দেয়__যদিও ১৯৪৭এ এই মরণই তার হয়েছে কংগ্রেস মহলও বৃটিশ কূটনীতির ভাষায় খুশী হল- মুসলমান অমুসলমান চথাকথিভ বিপ্লবী বামপন্থীদেরও এক লজ্জা! আশঙ্কা হিন্দু হয়ে যাবার ভয়। সতরাং, তারাও বৃটিশের দেওয়। এই পরিভাষায় পরিতৃপ্ত থাকলেন।

বাংল! পাঞ্জাবের আসন এই পরিভাষা অনুসারেই বণ্টন করা হল; এখানে হিন্দুর নাম গন্ধও নেই £

“বাংল। সাধারণ আসন ৮* (তার মধ্যে ছ'জন মহিল! )7 অনুন্নত শ্রেণী (আপা ততঃ শৃন্ত ); মুসলমান ১১৮ (তার মধ্যে ছজন মহিলা); ভারতীয় খৃষ্টান ২7 র্যাংলো ইগ্ডয়ান (একজন মহিল।); ইউরোগীয়ান ১১; বাণিঙ্য ইত্যাদি ১৯; জমিদার ৫; বিশ্ববিস্ালয় ; শ্রমিক ৮) মোট ২৫* |

৩১৫

“পাঞ্জাব £ সাধারণ আসন ৪৩ (একজন মহিলা); শিখ ৩২ ( একজন মহিলা ); মুনলমান ৮৬ ছুজন মহিল1); ভারতীয় খৃষ্টান ২; ফ্যাংলে! ইত্ডিয়ান ১; ইউরোপীয়ান ১7 বাণিজ্য ইত্যাদি জমিদার ৫7 বিশ্ববিদ্ঠালয় ১; শ্রমিক ৩$ মোট ১৭৩1৮

একুল্সার্ডেব্প নেপথ্য কাহিনী

১৯৩১ এর ৮ই অক্টোবর লগ্ন বৈঠকের সংখ্যালঘু শাখা-ক্মিটিতে অচলাবস্থার স্থট্ি হয়েছিল তখন গান্ধীজী বলেছিলেন, “সংখ্যালঘু সমস্যা সম্পর্কে সবসম্মত সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। তা পাওয়া ন। গেলেও সংবিধান রচনার কাজ এতে ব্যাহত হওয়া উচিত নয়” কিন্তু তারপর যে কথাটি বলেছিলেন, তাই মারাত্মক শেলের মতো বি'ধে গেল ভারতীয় রাষ্ট্রনীতিতে | তিনি বলেছিলেন 2 %6 90]0- 61010. 0: 0016501017. 05 10010951010) 10০ 010 5000016 21)5 90106177606 115906 21010020070.) যদি সমাধান অসম্ভবই হয় তবে তিনি বেসরকারা সালিশীর যে কোন ক্কবীম সমর্থন করবেন ! “ম্থতরাঙ্ এখন সংখ্যালঘু কমিটির অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুখী থাক।” স্যার এম. সফি এই মুলতৃবী প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে বললেন,সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান ন1 হলে ফেভারাল স্টাকচার কমিটির কাজ চালানো অসম্ভব। ডঃ আম্বেদকরও মুলতুবী প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেন। বুটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কমিটির সভাপতি ; তিনি বললেন, হ্যা, সংবিধান রচনার 'মাগে প্রশ্রটির মীমাংস1 হওয়া দরকার কিন্তু হয়নি |

এর চাইতেও মজার কাহিনী তোমায় শোনাই শোনো।যে- কাহিনী সবিশদ অপ্রকাশিত থাকায় ভবিষ্যতে অনেক মারাত্মক কৌতুকের ন্থষ্টি করেছিল।

বিলেতে সংখ্যালঘু কমিটির বৈঠক চলছে; মীমাংসায় আর কিছুতেই পৌছোনে। বায় না। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী নভাপতির আপনে বসে আছেন। তারিথট। ১৩ই নবেম্বর স্যার চিমনলাল শীতঙগবা?

১৬.

প্রস্তাব করলেন যে, সান্প্রদাপিক প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীই নিনঠ সমাধান সবাই মেনে নেবেন

প্রধানমন্ত্রী বললেন বেশ, আপনারা তবে প্রত্যেকে সই করে লিখে দিন; আমার সিদ্ধান্ত আপনার! মেনে নেবেন (ভ/]] 5০৮, 820 ০0 5045 ৪৬০০ 10002] 0 096 0000107166652) 916 12006500000 60 520016 00০ 00101010101 0116501010 2100

015086 95091561£ 60 20021061705 01019101% 0086] 00115] 15 ৬০] 061?)

ভি. এস. শ্রীনিবাস শাস্ী £ আমরা এদিকে সবাই রাজী

প্রধানমন্ত্রী £ না শুধু একাংশ বা একজনের কথা নয়। এই কমিটির সব সদস্য একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করবেন ; তাতে আমাকে অনুরোধ করা থাকবে একটা সিদ্ধান্তের জন্য-_সে সিদ্ধান্ত যদি সাময়িকও হয়, তাতে তারা সম্মত হবেন। আমি এক্ষুনি চাইছিনে কিন্তু আমার কথা: ৮/1]] 500 7006 9০0] 18006 6০1 200 51০ 082৮ 60 00০ 10) 006 255021702 008 006 42015101) 00206 00 ড511] 20020609905 500 850 আ]]] 9৫ ০1060 ০০ 05 500. 0 05০ 0650 0: ০] 201115) 1 00050 06 006 09110150016 006 06৬7 00500010101 ? আপনার! কথা দিন, যে__দিদ্ধান্তে আমি পৌছোব তা গ্রহণ করবেন নতুন সংবিধান চালু হলে ত। যথাসাধ্য কার্ষকারী করবেন ?

পরদিন পণ্ডিত মালব্যের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি মর্মে এক চিঠি দিয়ে জানালেন) 00৫5 ০০1৭ 2105 ৮৮ 056 [11006 111015065 06015101 200. 0010 1600100100০10 01186 ০010152 0 0009০ 1300) 0025 16016552050. তেজ বাহাতর আর একদল প্রতিনিধিও অনুরূপ চিঠি দিলেন মুসলমানেরা লিখলেন, সবাই যদি সমর্থন করে আমরাও করব

ছুদিন পর গান্ধীজী লিখলেন : মালব্যের চিঠিতে আমার স্বাক্ষর না থাকায় বোঝায় না যে, 0১6 (00128:555 1750 2501০8060

৩১৬

0920 16 ০০৫1৭ 1706 801010৬০০0৫ 25 50106002 2০০2002016 60 006 02:66 02065 0015610760১ [7170003) 005111075। 9110125.

এত সব হয়ে যাবার পর ১লা ডিসেম্বর বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকভোনাল্ড শাসন সংস্কার সম্পর্কে গোলটেবিলে যে বিবৃতি দেন এবং যে বিবৃতি কংগ্রেস অসম্তোষজনক মনে করেন, তাতেও তিন নম্বর দফায় বল! হয়েছিল যে, সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়গুলো! যদি নিজেরা কোন মীমাংসায় না আসতে পারে তো বৃটিশ সরকারই তার একটা সমাধান করে দেবার ইচ্ছে রাখেন £ 43) [75 10919905 (09056101170 170215000 020106 002 ০0000001021 006550102) 1 8 ৮০010100815 25122107606 15 1700 20152 2005 ০01021000- 101095 0৮ 217. 291]5 0819.7

ভাল্রতে মুসলিম ল্লাজনীতি্প খালা

সুতরাং এটি ঘটনাক্রমেই এসেছে। ভারতে মুসলিম রাজ- নীতির আর একটি সরকারী নাম সংখ্যালঘুর রাজনীতি তা এক পৃথক ইতিহাস ভারতের ব্বাধীনত। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্ভ অংশ; কিন্ত বিচ্ছিন্নতার ইতিহাস। তারই গর্ভে একটি বৈরী পৃথক রাষ্ট্রের সথ্টি হওয়। সত্বেও বর্তমান (অমুসলমান) ভারতে মুনলিম-সংখ্যালঘু সমস্যার পুনরাবৃত্তি ভয় চলেছে। 10150015 160680176 15616 7 সেদিক থেকে এই ধ।রাগুলে৷ লক্ষ্যণীয়

১৯৩১-এর ১৮ই এপ্রিল লক্ষৌতে এক সর্বভারতীয় মুসলিম জাতীয়তাবাদী লম্মেলন হয়; অভ্যর্থনা সমিতির চেয়ারম]ান ছিলেন মৌলান। কুতবুদ্দিন আবুছল ওয়ালি। এই সম্মেলন আইন অমান্য আন্দোলনের বিরোধী ছিল। প্রত্যাহারের পর মুপলিম দাবী সম্পর্কে গান্ধীজীর সামঞ্জন্ বিধানের চেষ্টায় খুসী হয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করে যে, পৃথক নির্বাচন “ভারতীয় জাতির? বিকাশের পরিপন্থী প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্তার আলি ইমাম; তারও একথা £ “9622190 71600৪6 1682001 1180010811300.7

মে মাসের ২৯/৩এ সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী মুসলিম দল

সবভারতীয় মুসলিম সম্মেলনের এক সমঝৌতা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সিমলায় ডাঃ আনসারী টি. এ. কে. শেরওয়ানী এবং মৌলান। সফি দাউদি ছুটি পৃথক বিবৃতি দেন।

৩০এ মে বোম্বাই সর্বভারতীয় খিলাফৎ সম্মেলন পরিক্ষার জানান যে, তারা এমন কোন সংবিধানই গ্রহণ করবেন না যাতে মুসলিম স্ার্থরক্ষার রক্ষাকবচ নেই এৰং একথাও মানেন না যে, পৃথক নির্বাচন জাতীয়তার সঙ্গে সামগ্রস্তহীন

অল ইগ্ডিয়া মুমলিম ভলাটিয়ার্স কনফারেন্সে বাংলার এইচ. এস. স্রাব আরও এক ধাপ এগিয়ে বললেন 21492091902 ০12060120 00010 02806 2. 18010 71011 00150 5150601962 ০0010 02015 00697, 0151700651861017 2170. [71100 001011)90101).+

অর্থাৎ পৃথক নির্বাচন এক অভিন্ন মুসলিম জাতির স্থ্টি করতে পারে, নতুবা হিন্দুপ্রাধান্তে মারামারি, বিশৃঙ্খলা | সুরাবদাঁ ভবিষ্যদবক্তা | দিল্লীতে এমনি এক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। অল ইত্ডয়! মুসলিম ইয়ুথ কনফারেন্স (আমেদাবাদ, ওর] জুন ), সৌকৎ আলির সভাপতিত্বে অল বেঙ্গল মুমলিম কনফারেন্স (১৬ই মে) কথারই প্রতিধ্বনি করল। অল বেঙ্গল ম্তাশানালিষ্ট মুসলিম কনফারেন্স (ফরিদপুর ২৭এ জুন) অবশ্ট বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে যুক্ত নিবাচকমগ্ডলীর সপক্ষে ঈাড়ায়।

এওয়ার্ড ঘোষণার পর এই বনুম্বর বিচিত্রতর হয়ে একট! পরিণতির দিকে ছুটে চলল, গান্ধীজীর সামনে তখন হিন্দু-মুসলিম প্রশ্ন নেই, এই ছুই সম্প্রদায়ের পুথক নিবণচনের ভয়াবহ পরিণামের জন্য উদ্বেগ নেই, তার বিস্ময়কর উদ্বেগ দেখ। দিল [67)75359৫ 01255 বা অনুন্নত সম্প্রদার নিয়ে--তার! হিন্দুলমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব! পৃথক হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, মুসলমানেরা সর্বতোভাবে সন্তষ্ট না হয়েও এওয়ারডকেই দবলে আকড়ে ধরলেন গান্ধীনী ব। কংগ্রেসের দিক থেকে কোন বাধা বা প্রতিয়োধ না থাকার মুমলমানদের পক্ষে এটিই শক্ত হাতিয়ার হয়ে উঠল।

৩১৯

১৯৩১ এর জুলাই-আগষ্ট-অক্টোবর-ডিসেম্বরেও অনেক মুসলিম সম্মেলন হয়েছিল ৯ই জুলাই, এলাহাবাদেঃ নবাব মহম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে অল ইপ্ডিয়৷ মুসলিম কনফারেন্স, ১১ই1১২ই জুলাই ঢাকায় সফৎ আমেদ খানের সভাপতিত্বে অল বেঙ্গল মুসলিম কনফারেন্স, ১৮ই জুলাই ডঃ সৈয়দ মামুদের সভাপতিত্বে মীরাটে ইউ. পি. ন্যাশানালিষ্ট মুসলিম কনফারেন্স, ৮ই আগষ্ট এলাহাবাদে জমিয়ৎ উপ্-উলেম! সশ্মেঘন, এদিনই এক্সাহাবাদে ইউ.পি.মুসলিম কনফারেন্স; ২৪এ অক্টোবর পাঞ্জাব ন্যাশানালিষ্ট মুসলিম কনফারেন্স, ২৬এ ডিসেম্বর অল ইগ্ডিয়া মুসপ্সিম লীগের ২২তম অধিবেশন নয়াদিল্লীতে।

মুসলিম লীগ তখনও জিন্নাজীর করায়ত্ত হয়নি ; তখনও খান সাহেব শেখ মহম্মদ আবছুল্যার মুখে শোনা যাচ্ছে “৬৬০ ০1920 85 17010101) 117019175 25 2177 00001 0017110011)15) আবার চৌধুরী জফরুল্ল। খানের মুখে শোন। যাচ্ছে-_কারও শুভেচ্ছা ব! সহুদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর না করে মুসলিম স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়েছে আইনগত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি তাই প্রস্তাব হল : যে সংবিধানে এই সব প্রতিশ্রুতি নেই তা মুদলমানদের পক্ষে গ্রহণ- ষোগ্য হবেন সর্বভারতীয় মোসলেম কনফারেন্সে কংগ্রেসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ পেল। জোর দেওয়া হল পৃথক নির্বাচনের এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়াও সংখ্যাল্পতা- ক্ষেত্রে চলতি ওয়েটেজের স্থৃবিধে অক্ষুণ্ন রাখার ওপর নিখিলব্গ মোসলেম সন্মেলনেও বল! হল £ £521021:206 61900018066 ৪. 5০00120 £৪০6. তাছাড়া, জাতীয়তা আবার কি? ৬172৮ 262. 211) 13 18800121151)? ৬৬1)০০ 15 72001081151) 1) [17019 2 10125217602 ?...11015 81100010106 002175950 06016 210 05০ ০1761610017) 7130 [0110০ 00610561525 0 (11 [09332591012 96 0515 00211 216 10101601756 035 9109800ড 17) 056 আ3621:.% এদের প্রস্তাবও ছিল পৃথক নির্বাচন। এলাহাবাদে মৌলান! সৌকং আলিও কংগ্রেসের সমস্যা সমাধানে সংশয় প্রকাশ করলেন

২6৭৩

স্থতরাং, মুসলিম মহলে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামজে ম্যাকডোনাল্ডের এওয়ার্ড যতটা না ভায়োলেপ্ট প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তার চাইতে বেশী হয়েছিল গান্ধীজীর তার মহলে। মুদলমানেরা প্রথম, দিতীয়, তৃতীয় কোন বৈঠকই বর্জন করেন নি বরং সহযোগিতা করেছেন ; কিন্তু গান্ধীজী প্রথমটি বর্জন করেছেন, দ্িতীয়টিতে উপস্থিত থেকেও অসমাপ্ত অবস্থায় চলে এসেছেন, তৃতীয়টির কথ। তখনও ওঠে নি। অতএব বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভারই সব চাইতে বেশী নিবিকার থাকার কথা

গাহ্দীজীল্ল সত্য অন্ন্পনেল্ল নেটীস্শ

তিনি স্যার স্তামুয়েল হোড়কে ১৯৩২এর ১১ই মার্চ যারবেদ! জেল থেকে চিঠি লিখে জানালেন, তিনি মৃত্যুপণ অনশন করবেন, (পৃথক নির্বাচনে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক তিক্ততর হবে এই অশাঙ্কায় নয়) অনুন্নত শ্রেণীকে পুথক নিবণচন দেওয়া প্রস্তাব যদি . প্রত্যান্ৃত না হয়।

“নু 0০019 0056 89109:865 61906017969 15 178,001] 107 610900১ 808. 10: 17100101810....90 19/ 88 17100019710 19 0000010090১ 8809:8,09 91909602569 0010. 81001019 ₹1515896 &00. 019291১6 167,

লক্ষ্য করার বিষয়, সমগ্র হিন্দুসমাজ ঝ1 সম্প্রদায় যেখানে গোটা কম্যুনাল এওয়ার্ডকেই জাতীয়স্বার্থ পরিপন্থী বলে নিন্দা প্রতিবাদ করেছেন, সেখানে গান্ধীজী অনুন্নতশ্রেণীর মুখপাত্র থাকতেও, একান্তভাবে হিন্দু সমাজের একটি অংশের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নত৷ প্রতিরোধের জন্থ মরণপণ অনশনের কথ জানালেন : “নু, 6069:91070, 29809068115 10602001719 0181996518৪ 0:০910- 00610 6086 110 6109 6806 01 61061 099383010 076561106 9918969 91609607966 10: 606 12910793980 01859693১ ] 70096 1896 01060 0986.+ ব্ভাবতঃই তামাম হিন্দৃস্থানে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। নিঃ হোড় বলেছিলেন, তারিখট। হচ্ছে ১৩ই এপ্রিল, আপনি লর্ড

লোধিয়ান কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ পর্যস্ত অপেক্ষা করুন।

৩২১

স্বাধীনতা---২১

গান্ধীজী মানলেন না; তিনি ১৮ই আগষ্ট বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও তার মরণপণ অনশনের দিদ্ধাস্ত জানালেন £ 4] 1786 60 1:2515 0.0] 09015101 ড/10 1205 1166. 1006 015] জাঞযা ] 5215 40 19 15 090191:17)6 এ, 00106608195 81260 06201. 2010 ০0০00 ০1 2105 10110 59৮6 20০1 710) 01 10300 9916 20 5008.

ববটিশ প্রধানমন্ত্রী জবাব দিলেন £ “আপনি অনশনে মৃত্যুবরণের চরম পথ নিচ্ছেন এজন্য নয় যে, অনুন্নত শ্রেণী অন্যান্য হিন্দুর সঙ্গে যৌথ নির্বাচনে সামিল থাক, কেননা, সে ব্যরস্থা তো। ' রয়েছেই ; আপনি হিন্দুদের এক্যও চাইছেন নী, কেননা, তাও রয়েছে আপনি চহেছেন অনুন্নত শ্রেণী ষেন নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধি পাঠিয়ে আইনলভায় নিজেদের কথা বলতে না পারে ; অথচ এই অনুন্নত শ্রেৌঁষে আজকে তাদের সীমাবদ্ধ আপন ক'টি পেতেও নিদারুণ অসুবিধে ভোগ করে তা আপনার কথায়ই স্বীকৃত। আমাদের দিক থেকে সঙ্গত সবত্ব প্রস্তাব সত্বেও আপনি কেন এই দিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি নে।”

গান্ধীজী আবার লিখলেন ম্যাকডোনাল্ডকে ; একই কথা সুতরাং ২০এ সেপ্টেম্বর গান্ধীজীর অনশন শুরু হল। সরকার চাইলেন তাকে জেলের বাইরে আর কোথাও রাখতে কিন্তু গান্ধীজী সর্তাধীনে বাইরে মুক্ত হতে রাজী নন। সুতরাং জেলেই থাকলেন। গ্ান্ধী-সহচরের! অনেকেই অনশনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, কিন্তু গান্ধীজী তাতে রাজী হলেন না) কেননা, তারট। ছিল ভগবানের নির্দেশে

£03808089 61218 1৪ & 1886 1 10958 650810) 6৪ 1 01015 06119দ9 %6 000১8 0811.

্লিওক্রল্্ উচ্ছেগ

রবীন্দ্র জীবনীকার শ্রীপ্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ৩য় খণ্ডের ৪৪৮ পৃষ্ঠার বলেছেন, ১৯এ সেপ্টেম্বর রবীশ্্রনাথ গান্ধীজীকে এই

৯৬১

সম্পর্কে যে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন, তাতে তিনি গান্ধীজীর “সংকল্প হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইবার জন্ত অনুরোধ জ্ঞাপন করেন নাই-_

“শু 18 ০0: 890110701776 01601008 1116 £0£ 6106 ৪8৮6 [0018+8 00165 8100. 1091: ৪00181 100980185....

গগ্রান্ধীজী যেদিন অনশন আরম্ভ করিলেন সেইদিন প্রাতে কৰি মন্দিরে: উপাসনা করিলেন। কবি বলেন, যিনি সুদীর্ঘকাল ছুঃখের তপস্তার মধ্য দিয়ে সমস্ত দেশকে বথার্থভাবে, গ্রভীরভাৰে আপন করে নিয়েছেন; সেই মহাত্মা আজ আমাদের সকলের হয়ে মৃত্যুব্রত গ্রহণ করলেন |”

ইতিমধ্যে, ১৯এ সেপ্টেম্বর থেকে এক নেতৃ-সম্মেলশন হল এই সঙ্কট উত্তরণের উপায় নিধধারণের জন্য উপস্থিত হলেন সপ্রঃ জয়াকর, মালব্য, রাজাগোপালাচারি) রাজেন্দ্রপ্রসাদ, এম. সি. রাজা; বি. এস, মুঞ্জে, চিমনলাল শীতলবাদ, এম. আর. বালুঃ টি প্রকাশম ডঃ আম্বেদকর, সোলোনকি, জি. কে. নটরাজন, এম এস আনে; জি. কে. দেবধর) ভিঠকর, স্যার গোবিন্দ, ডাঃ চৈত্রাম গিদোয়ানী, স্বামী সত্যানন্দ, ভি পি খৈতান, শ্রীযুক্ত! হংস মেহতা, শ্রীমতী অনুমুয়া বাঈ গোখলে, ওয়ালটাদ হীরা্টাদ, রাজ রাও, পণ্ডিত হুদয়নাথ কুঞ্জরু এবং আরও কেউ কেউ।

স্বভাবতঃই চাপটা পড়েছিল বিলাতের প্রধানমন্ত্রী বা ভারত- সচিবের ওপর নয়, বড়লাটের ওপরও নয়. চাপ পড়েছিল অনুম্পত শ্রেণীর মুখ্য প্রবক্তা ডঃ আম্বেদকরের ওপর। তিনি বললেন। সাধীদের সঙ্গে আলোচনা না! করে সহসা কোন কথা দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় তারপর তিনি যে প্রস্তাৰ দিলেন তার মর্মার্থ হচ্ছে £ বাংলাদেশে ২৫০টি আসনের মধ্যে ৫০টি অনুন্নত শ্রেণী পাবে ; আনন সংরক্ষিত রেখে ঘৌখ নির্বাচন হবে ;$দশ বছয় পর আসন সংরক্ষণ রেখে সরাসরি যৌথ নির্বাচন হবে ; আরও পনের বছর পর গণ-ভোট।

২১এ সেপ্টেম্বর জি. ডি. বিরল! প্রমুখ এক প্রতিনিধিমগ্লী গান্ধীজীর সঙ্গে দেখা করলেন

৩২৩

শ্রীতিহাসিক চুক্তি নিম্পক্স

২৪এ সেপ্ম্বর, অনশনের পঞ্চম দিন বেল! ৩টায় “এঁতিহাসিক চুক্তি” নিষ্পন্ন হল; চুক্তিপত্রে প্রথম স্বাক্ষর করলেন পণ্ডিত মালব্য, তারপর ডঃ আম্বেদকর।

এরপর নেতার৷ বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক কেবলে জানালেন; আপনি সাধারণ নির্বাচকমণ্ডলীতে অনুন্নত শ্রেশীকে দিয়েছিলেন ৭১, আমরা রাজী হলাম ১৪৮ টিতে কেন্দ্রীয় আইন নভায় সাধারণ নির্বাচকমণ্ডলীর ১৮ শতাংশ তাদের হবে।

কিন্তু বিলেত থেকে অনুমোদন আসতে দেরী হচ্ছিল। ববীন্দ্র- জীবনীকার খণ্ডেরই ৪৪৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ “কবি গ্রান্ধীজি সম্বন্ধে খুবই উদ্ধিগ্ন হইয় উঠিতেছেন ; পুনায় যাওয়। স্থির করিলেন |”.

কবির নিজের কথা উদ্ধৃত করেছেন জীবশীকার £

“আশ নৈরাশ্টে আন্দোলিত হয়ে ছানিবশে সেপ্টেম্বর প্রাতে আমরা কল্যাণ ষ্টেশনে পৌছলেম ।-..মোটর গাড়িতে চড়ে পুনা-পথে চললেম ।...-বিঠলভাই থাকারসে মহাশরের প্রাসাদে গাড়ি থামল।.." মহাত্বাজির শরীরের অবস্থা সন্কটাপন্ন। বিলাত হতে তখনও খবর আসেনি প্রধানমন্ত্রীর নামে আমি একটি জরুরী তার পাঠিয়ে দিলেম। দরকার ছিল ন। পাঠাবার) শীঘ্র জনরব কানে এল, বিলাত থেকে সম্মতি এসেছে ।--

অবশেষে জেল কর্তৃপক্ষ গবর্নমেণ্টের ছাপমারা মোড়ক হাতে উপস্থিত হলেন ।-"""পড়া শেষ করে জানালেন; কাগজটা উরুর আম্বেদকরকে দেখানে। দরকার

“লেবুর রস প্রস্তুত করলেন শ্রীমতী কমলা নেহেরু মহাদেৰ দেশাই বললেন, "জীবন খন শুকায়ে ধায় করুণাধারায় এসো? গীতা্জলির এই গানটি মহাত্মাজির প্রিয় সুর ভুলে গিয়েছিলাম তখনকার মতো স্থুর দিয়ে গাইতে হুল ।?

২৬এ সেপ্টেম্বর সেন্টাল এসেম্বলিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ছেগ এবং

৬০১৩]

কাউন্সিল অব স্টেট-এ স্তার স্রাঙ্ক নয়েল ঘোষণ! করলেন পণ চুক্তি বৃটিশ সরকার গ্রহণ করেছেন বিপুল হর্যধ্বনি হল।

এই অনশন থেকেই উদ্ভুত হল আরও ছুটি জিনিস £ একটি জি. ডি. বিরলার সভাপতিত্বে 'এট্টিআনট্রাচেবিলিটি লীগ” আর একটি সাম্প্রদায়িক সমাধান চেষ্টায় “এক্য সম্মেলন” এবং দ্বিতীয়টিই বেশ কিছুকাল ভারতবধের. আবহাওয়1 বর্ষণহীন গর্জানে। মেঘের মত ভারাক্রান্ত করে রাখল!

সাম্প্রদান্ত্িক গ্রক্ষ্য প্রচেন্তা

মৌলান1 আবুল কালাম আজাদ ডঃ সৈয়দ মামুদের অনুরোধে মৌলানা লৌকৎ আলি একট! স্থায়ী মীমাংসার উপনীত হবার জন্য বড়লাটকে বললেন, গান্ধীজীকে ছেড়ে দিন | বড়লাট প্রথমে জানতে চাইলেন, আপনার পেছনে কি সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন আছে? পরে বললেন, গান্ধীজী যতক্ষণ না আইন অমান্চ আন্দোলন থেকে নিজেকে বিমুক্ত করছেন ততক্ষণ তীর মুক্তির কথা ওঠে না।

না উঠুক, সৌকৎ আলি আরও কাল চেষ্টা করলেন, তাকে সমর্থন করলেন বোম্বে কাউন্সিল মুসলিম পার্টি, খিলাফং কমিটি, আক্রাম খা, লেবার ফেডারেসন। খালিকুজ্ছুমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী মুনলমানগণ জমিয়ৎ-উলল-উলেমা, আসাম মুললিম এসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের মুসলমানগণ, সর্বদল মুসলিম সম্মেলন কিন্তু বিরোধিতা করলেন এ. এইচ. গজনভীর নেতৃত্বে কলকাতার যুপলমানগণ। মাদ্রাজ মুনলিম সম্মেলন, মাদ্রাজ প্রেসিভেন্দী মুসলিম সম্মেলন এবং স্যার মহম্মদ ইকবাল; মৌঃ মফি আমেদ খান, স্যার জুলফিকার আলি খাঁন, ডঃ জিয়াউদ্দীন। স্য।র মহম্মদ ইয়াকুব, সৈয়দ আবছুল হাফিজ, এস. এম. পাদশ। মহম্মদ মোয়াজ্জাম। বিবৃতিতে তার! বললেন £ আমরা মনে করি, পৃথক যৌথ নিবাচনের প্রশ্নটি পুনরুথাপণ করা! অত্যন্ত অসঙ্গত হচ্ছে; আমর। বর্তমানে এই রক্ষাকবচ ছাড়তে নারাজ

পক্ষাস্তরে হিন্দুদের সঙ্গে মীমাংসার জন্য সবদল মুসলিম সম্মেলন

৩২৫

১৬ই অক্টোবর যে কমিটি করলেন তাতে থাকলেন £ মৌলান! সৌকং আলি, মৌলানা! আবুল কালাম আজাদ, নবাবমহম্মদধ ইসমাইল, রাজা নবাব আলি খান, সালেমপুরের রাজাঃশেখ আবছুল মজিদ সোদ্ধি, সর্দার সুলেমান কাশিম মিঠা, মিঞা জাফর শা, মৌঃ জাফর আলি খান, চৌধুত্রী খালিকুজ্জুমান, হাফিজ হিদায়েং হোসেন, মৌ: আক্রাম খাঁ, শেঠ ইয়াকুব হাসান, নবাব জাদা যুস্থফ আলি। মুদলিল লীগ বলল, ফলাফল দেখে সে মতামত দেবে ।! সেটা হল ২৩এ অক্টোবর এলাহাবাদে সম্মেলন ১৯৩২ এর ৩র] থেকে ১৭ই নবেম্বর অবধি চলল। উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাসভা, পাঞ্জাৰ রাত্ীয় হিন্দুদভা, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, উদার নীতিক জাতীয়তা- বাদী, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভূম্বামী সংস্থা, অল-ইগ্ডিয়া খিলাফত কমিটি, অল-ইগ্ডিয়া মোসলেম কনফারেন্স, অল-ইগ্য়। মোসলেম শ্যাশানালিষট পার্টি, অল-ইগডয়! মুললিম লীগ মোসলেম ইয়ুথ লীগ, জমিয়ং-উল- উলেম। হিন্দ, পাঞ্জাব অহ্র পার্টি, অল-ইগডিয়া.সিয়। কনফারেন্স এবং ভারতীয় খুষ্টানদের মোট ১২১জন প্রতিনিধি; সম্প্রদায় হিসেবে ৬৩জরন হিন্দু; ৩৯জন মুসলমান, ১১জন শিখ, ৮জন ভারতীয় খৃষ্টান একসময় মনে হয়েছিল, এঁক্যের সূর্যোদয় হল বুঝি অনেক অনুকূল মত পাওয়া গেল; এঁক্য সম্মেলনে একটা চুক্তিও গৃহীত হল; চুক্তি মতো যৌথ নিব্ণচনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আইন সভায় প্রতিনিধিত্বের হার হবে £ মুপলমান ৩২ শতাংশ? শিখদের ৪$ শতাংশ ; ভারতীয় খুষ্টান শতাংশ ; য়্যাংলো-ইগ্ডিয়ান ১টি আসন অবশিষ্ট সাধারণ আসন মুসলমানেরা বাব যে ওয়েটেজ পেয়ে এসেছেন তা! অক্কুপ্ন থাকবে এই হারে বাংল। পাঞ্জাবে মুদলমানের! পাবেন ৫১ শতাংশ ; বাংলায় আর সবাই মিলে ৪৪৭ শতাংশ? পাঞ্জাবে শিখেরা ২০ শতাংশ, ভারতীয় খুষ্টানের। ৩টি আসন; র্যাংলো-ইগিয়ান/ইউরোগীয়ের! ১টি আলন। ভারপর সবার অলক্ষ্যে মেতের সঞ্চার হল এবং ভারত জন-

২৬

সমুদ্রে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কথ্যুনাল এওয়াডে় ভীষণাকৃতি তরঙ্গ-চুড়াই সত্য হয়ে রইল | দিশেহারা! জাতীয়তাবাদী মুসলমানের! তরঙ্গক্ষেত্রে অভিভূত হয়ে গেলেন কংগ্রেসের না-গ্রহণ না-বর্জন নীতি অকুল সাগরে হাবুডুবু খেতে লাগল, তারপর কোথাও একট। আশ্রয় মিলল-_কিস্ত জাতীয়তাবাদের জাহাজটা তখন কোন্‌ দরিয়ায়?

সধ্যাহ্হু উত্তীণ হল

বাংলার বিপ্রববাদ মধ্যাহ্ন উত্তীর্ণ হতে চলেছে, সত্য ১৯৩৪ নাগাদ এর এপিটাফ লিখব। তখনই ঘটেছিল পূর্ণগ্রাস। কিন্তু আজ এখনও ১৯৩২এর পাছছুয়ার আর ১৯৩৩এর সিংহদ্বার।

১৯৩২এর ২৭এ জুন মুন্সীগঞ্জের স্পেশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট কামাখ্যা প্রসাদ সেন নিহত হন। তিনি তখন ঢাকা-ওয়ারীতে সদর মহকুম! ম্যাজিস্টেট এস. এন. চ্যাটাজির বাড়ি ঘুমোচ্ছিলেন। মশারী টাঙানে৷ ছিল ম্শারী তুলে কে মেরে গেছে পরদিন একখানি টেলিগ্রাম নিয়ে মমোরঞ্জন দত্ত নামে একটি ছেলে টেলিগ্রাফ অফিসে ধায় £ “কামাধ্যার দেহে অস্ত্রোপচার ভালই হয়েছে কোন উদ্বেগের কারণ নেই ।” এই ছিল টেলিগ্রামের বয়ান আর এই পুলিশের সন্ধান-স্ত্র। কালীপদ মুখার্জী বন্দী প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন

২২এ আগষ্ট ইদিলপুরের মনোরঞ্রন ভট্টাচার্ষের ফাসী হয় চরমুগপ্িয়া ভাকাতি সম্পর্কে

সেপ্টেম্বরে বঙ্গীয় ব্যবস্থা পরিষদে ৫৫--১৮ ভোটে বঙ্গীয় সংশোধনী ফৌজদারী আইনে হত্যা-প্রচেষ্টায়ও প্রাণদণ্ডের ধারা সংযোজিত হয়। কিন্তু বিপ্লবীদের ব্যাপারে কোন উৎকণ্ঠা ছিল না। ২৫এ সেপ্েম্বর চট্টগ্রামে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ইউরোপীয়ান ক্লাবে সাহেবী আনন্দোল্লাসের মধ্যে বোমা ফেটে পড়ে বিপ্বীদের মধ্যে ছিলেন গ্রাজুয়েট মেয়ে গ্রীভিলতা ওয়াদেদার নিবার্য কেরানী বৃত্তির আকাথ্া। এর রক্তে সঞ্চারিত হতে পারেনি | বোম। নিক্ষেপের পর আর সব বিপ্লবী সরে পড়েন গ্রীতিলত। ধরা পড়ার অমধাদাকর

৩২৭

আশঙ্কায় বিষপান করেন। কিছুদূরে তার দেহ পাওয়া ঘায়। ২শোধিত ফৌজদারির নববিধান এদের করবে কি?

বিপ্লবীরা আরও একবার ২৮ সেপ্টেম্বর স্টেটসম্যান সম্পাদক স্যার এলফ্রেড ওয়াটসনের প্রাননাশের চেষ্টা করেছিল। সথের প্রান গড়ের মাঠে ওয়াটনন তার সেক্রেটারী মিসেস আর. গ্রসকে নিয়ে মোটরে করে সান্ধ্য ভ্রমণ করেছিলেন; আরও একটি গাড়ী ছুটে এসে এই ভ্রাম্যমান গাড়ীর সমান্তরাল হল; দশ দাঁশটা গুলীর আওয়াজ সান্ধ্য বাতাসকে ছিন্ন ভিন্ন করল কিন্তু ০811799 1317)6 1155, গাড়ীর আরোহীর]৷ আহত হলেন মাত্র। কিন্তু বিপ্লবীদের ছ'জন প্রান দিলেন; “জনতাস্পিছু তাড়া করেছিল ; ওর। বিষপান করেছিলেন ; তৃতীয় জন অপশ্যত হতে পেরেছিলেন

ওয়াটননকে আক্রমণ করার মামলায় স্থনীল চ্যাটাজি, প্রমোদরঞ্জল বন, অমর ঘোষের হল যথাক্রমে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর, ১০ বছর ২০ বছর কারাদণ্ড। প্রাণকুমার দাস, অবণীভূষণ দন্ত, মনসাচরণ বী খালাস হলেন। তবে সে কালে আদালতে খালাস পেলেই যে রাহুমুক্তি ঘটত তা একেবারেই নয়, গরম চাটু থেকে আগ্চনে পড়তে হুত। মামলার জাল ভেদ করলেও বি-মি-এল-এর জালে বন্দী হতে হত এবং এর ব্যাতিক্রম নেই বললেই চলে

এমনি এক জেলখানার স্থপারিণ্টেণ্্টে চাল লিউক স্ত্রী কন্তাকে নিয়ে মোটরে বেরিয়েছিলেন। এমন সময়ে পথে এসে পড়ল এক সাইকেল। পড়ল বাধা তারপরই লিউকের মুখে লাগল এক গুলী। সত্য, এই সাহেবকে আমি দেখেছিলাম রাজলাহী জেলেই এবং স্থপারিপ্টেণ্ডেটে পদেই। আমি সেখানে কারাদণ্ডিত বন্দী। নিরাময় হয়ে নির্ভয়ে এসেছেন স্বপদে, গালের নীচে গলার কাছাকাছি ক্ষতচিহ্ন। রুদ্ধ লোহার গরাজের ফাক দিয়ে মুখখানা দেখেছিলাম--মনটা দেখতে পাই নি। বাহাছুর বটে। ওর মনোবলকে প্রণাম করি। : ১৯৩৩এর ১৬ই জানুয়ারী মীরা যড়যন্ত্র মামলার গিলোটিন

6২৮

নেমে এল দায়রা জজ ইব়্র্ক মাত্র তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে দণ্ড দিলেন : যুজঃকর আমেদকে- যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর ? ভাঙ্গে, স্প্র্যাট, ঘাটে, যোগলেকর, নিম্বকরকে--১২ বছর করে কারাদণ্ড» ব্রাভলে, মিরাজকর) উসমানিকে_-১৭ বছর করে; সোহন সিং যোশ» মজিদ; গোস্বামীকে--৭ বছর করে ; অযোধ্য। প্রসাদ, অধিকারী, পি- সি. যোশী দেশাইকে-৫ বছর করে ; চক্রবতাঁ, বসাক, হাচিনসন,» মিত্র ঝাবওয়ালা, সায়গলকে-_৪ বছর করে; সামসুল হুদা, আলভে» কাসলে, গৌরীশঙ্কর, কদমকে--৩ বছর করে। খালাস পেলেন কিশোরীলাল ঘোষ, শিবনাথ ব্যানা্গি, বি. এন. যুখাজি | ১৯২৮ এর মার্চে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার কর! হয়েছিল। রায় লিখতে লেগেছে পাঁচ মাস। অভিযোগ ছিল- লোভিয়েট রুশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিচারকাল--তিনবছর দশমাস | ছাপানো! নধিপত্রের আয়তন ১০০০০ পৃষ্ঠা ; সাক্ষীর সংখ্যা ৬৩৭, নিদর্শন উপস্থিত কর! হয়েছিল ৩)৩৬৪টিঃ এবং এক গবর্মমেন্টেরই খরচ হয়েছিল ১৬ লক্ষ টাকা

কি বলেছিলাম আমি, মধ্যাহ্ন সুর্য পশ্চিম দিগন্তে গলে পড়েছে ? হ্যা, সত্য, ১৯৩৩ এর ১৬ই ফেব্রুয়ারী সূর্ধ সেন ধরা পড়লেন, মাথার দাম ধর! হয়েছিল ১০,০০০ টাকা। কিন্ত অমূল্য-প্রাণ সূর্য সেন বিন। লড়াইয়ে ধরা দেননি, সংক্ষিপ্ত তীত্র লড়াইয়ের পর কারাস্তরিত হক্সে, গেলেন! তারপর ঠিক ছ'মাস পর-_থাক্‌, ছ'মাস পরেই বলক সে কথা।

ভুভ্ভান্মচত্দ্র ক্ষোথাম্র £

আমি বোধ হয় তোমাকে গান্ধীজী গান্ধীবাদের একমাক্ত প্রতিবাদী প্রতিদবন্বী সুভাষচন্দ্রের কথা! একেবারে ভুলিয়ে দিয়েছি» না, সত্য ? ইচ্ছে করে নয়, ঘটনাক্রমে এখনও তোমায় বলতাম ন। বদি এমন একটা সময়ে এসে ন1 পড়তাম বখন স্ৃভাষচন্দ্রকে গভীর কৌশলে এদেশ থেকে নির্বাসন দেওয়া। হল। তোমাকে বলেছি, ১৯৩৯ প্রর আন্দোলনের আগেই সুভাষচন্দ্র কারাস্তরিত হয়েছিজেন। এগ

ধক

শর তার জীবনে দাভদিন বা ছ'মাস কারাদণ্ড তুচ্ছ ঘটনা বে-গ্রেপ্তার নির্বাসনের মূলে গভীর ষড়ধস্ত্রের সন্দেহ করার অবকাশ আছে তা হচ্ছে, ১৯৩২ এর ১ল! জানুয়ারী কংগ্রেস ওয়াফিং কমিটির অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়ে যোগ দিয়েছিলেন অধিবেশনের পর বাংলায় ফেরবার উদ্যোগ করলেন রওনাও হলেন। কিন্তু কল্যাণ স্টেশনে তার জন্য প্রস্তুত ছিল গ্রেপ্তারী পরোয়ানা--১৮১৮ খুষ্টাবের রেগুলেশন ৩। প্রথমে মধ্যপ্রদেশের শিউনি জেল ; তারপর জববলপুর সেন্টাল জেল। স্বাস্থ্য ভাঙতে লাগল। নিয়ে ওয়! হল ভাওয়ালী স্থাস্থ্য-নিবাসে। কিছুতেই কিছু নয়। লক্ষষৌর -বলরামপুর হাসপাতাল ভাক্তার লেঃ কর্নেল বাকলের পরামর্শে সুভাষচন্দ্রকে চিকিৎসার জন্য ইউরোপে যাবার অনুমতি দিতে সরকার রাজী হলেন, মুক্তিপত্র দিলেন লয়েভ ট্রস্টাইন কোম্পানির ইটালিয়ান হ্দাহাজ গ্যাঙ্গী যখন বোম্বাই বন্দর ছেড়ে সাগরে প্রবেশ করল। আপাতঃ লক্ষ্য ভিয়েন। | 0160) 20160) [05 1780৫ 19170 1.1"

৯ই মার্চ করালী চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার ম: কুইর চোখের সামনে তিনজন বিপ্লবীর অগ্রিনালিকা গর্জে উঠল। গৌদলপাড়ায় একদিন এসেছিল কল্লকাতার পুণিশ কমিশনার টেগার্ট, সংগ্রামে আহত বিপ্লবীদের ধরে নিয়ে গেছল, সাআ্রাজ্যে সাম্রাজ্যে আতাত। 'আজ দিতীয় চস্কুর সামনেও আততায়ী। ম: কুই হাসপাতালে গেলেন ; সেখান থেকে মৃত্যুর কোলে। কুঁই গল্প শুনেছিলেন কোন্‌ একটা বাড়িতে তিনজন সশন্ত্র বাঙালী বিপ্লবী আশ্রয় নিয়ে আছেন গেলেন খোজ নিতে; ওরাও খবর পেয়ে সরে পড়তে চেষ্টা করলেন; ক্রুই পেছন ছাড়েন না; একজন দাড়িয়ে গেলেন, গুলী করলেন, খর! পড়লেন, আর ছা'জন সঙ্গী ইত্যবসরে অদৃশ্য

গাহ্দীজীল্প আবাল অন্স্পন্ন

. এঁসৰ নিয়ে সারা ভারতবর্ষে কেন, ভারতের একাংশেও কোন £ভোলপাড় হয়নি তামাম হিন্ৃস্থানে তোলপাড় হল গান্ধীজী বখন

বারবেদ! জেল থেকে ১লা মে তারিথে যোষণ। করলেন, তিনি ৮ই' মে খেকে অনশন করবেন £

৮0001585 30. ০: 708511) '1)06দ৪7 1908589889 206, 900298 60 0706 68006 809. 88৪ ০০. 20086 2506 15৪6”...

কিন্ত ভগবান বা শয়তান কেউই তাকে নিবৃত্ত করতে এলেন ন।। ৮ই মে ১২ট। বেল! থেকে তিনি অনশন শুর করলেন। হরিজন সেবায় আত্মনিয়োগের জন্য চাই মুক্তি

৮ই.মে-রই সন্ধ্যেবেলায় পেলেন মুক্তি। যারবেদা পাহাড়ের চূড়ায় ছিল লেডী থ্যাকারসের মারবেল প্যালেস, বিনয় করে নাম দেওয়! হয়েছিল 'পর্ণকুটির” ; সমাদরে গান্ধীজীর স্থান হল সেখানেই, শ্রীমতী সরোজিনী নাইডুর হাতে নিউরানেো। জাফা-কমলার রস পান করে অনশন ভঙ্গ করলেন হরিজন বন্ধু গান্ধীজী

আল্ল আন্দাক্মান্ন ন্দীদছেল্স অন্স্পন্ন

কিন্তু আন্দামানের সেলুলার জেলে কোন শ্রীমতীর হস্ত বা জাফা-লেবুর এক ফৌটা রসও প্রসারিত হয়নি; সেখানে সত্যি সত্যি মৃত্যু-প্রস্তত:£5 ৪:১০ ০80 সরকারী ইস্তাহারমতো ২০ জন বন্দী ১২ই মে থেকে অনশন শুরু করেন পরে আরও অনেকে যোগ দেন; ১৭ই তারিখে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার মহাবীর সিং প্রহরীদের জবরদস্তি আহার-চেষ্টার-আপ্রাণ প্রতিরোধে মৃত্যু বরণ করেন। তারপর আরও ছু'জন, বাংলাদেশের মানকৃষ দাস আর মোহিত মোহন মৈত্র ইংরেজ প্রচারকের! মিথ্যারসনায় ঘোষণা করেছিল নিউমোনিয়। | সেদিন এঁদের জন্য অশ্রপাতের বিশেষ কেউ ছিল ন।; অশ্রজ্জলহীন বাংলাদেশের সংবাদপত্রও গান্ধীজীর আমরণ অনশনে অত্যধিক কাতর

গান্ধীজী ৮ই মে তারিখেই এক মাসের জন্তক আইন অমাম্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা! ঘোষণ! করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বন্দু ভি. জে. প্যাটেল ইউরোপ থেকে রয়টার মারকৎ এক যুক্ত বিবৃতিতে বজজেন £16 19050 ৪0600 0৫ 74081790008 039180191

ও).

ক, 5215175150176 (01511 10150102016102 15 2. 0013:695101 ০0 £911016. ড/6 26. 0162115 0010107) 0096 15021280008 (3210151 25 ৪. 700110109] 169007 1993 91160.

মানলাম। কিন্তু সেদিন ঘরে-বাইরে কোথাও তো একটা বিকল্প নেতৃত্বের দেখা পাইনি ঘা! এই হতমান দেশকে সাফল্য গৌরৰে নিয়ে যাবার আশ। দ্বিতে পারে? মৃতকে মৃত বলে স্বীকারে লঙ্জ নেই, লজ্জা মৃতকে অ-মৃত বলে ঘোষণা করায় অথবা মুতদেহ থেকে জ্যোতি নির্গত হচ্ছে দাবী করায়, গুরুবাদী আশ্রমবাসীদের জাতীয় ঝৌক আছে। এক্ষেত্রে, আইন অমান্য আন্দোলনের আয়ু যেখানে ফুরিয়ে গেছে, সেখানে ওকে স্থগিত রাখার নামে জীইয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে নেতৃত্বকেই সপ্ীবিত রাখার কৌশল লজ্জা এখানেও

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'পুনর্জন্ম' নাটকের “বুড়ো মরেছে কি মরেনি'র বিতর্কের মতো আন্দোলন চলছে চলবে” কিনা স্থির করার জন্য পুণীয় কংগ্রেসসেবীদের এক সভা! বা বৈঠক হুল ১৯৩৩ এর ১২ই জুলাই এম. এস. আনে ছিলেন সভাপতি | গান্ধীজী সবাইকে 'খলুমখোল্লা” বলতে বললেন তাদের অভিমত তার কি অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনের নিঃসর্ত প্রত্যাহারের পক্ষপাতী? অথবা স্থগিত রাখার? অথবা সীমাবদ্ধ আন্দোলন ?

তিনদিন ধরে চলল বৈঠক: ১২ই, ১৩ই, ১৪ই। ধারা আন্দোলনের নিঃসর্ত প্রত্যাহারের পক্ষপাতী ছিলেন ( পুরুষোত্বম ত্রিকমদাস। হরিসব্ধামা রাও। আলি বাহাছুর খা, বমুনাদাস দ্বারকাদাস, সত্যমূতি প্রমুখ ) ভারা বললেন, অভিজ্ঞতায় দেখা গ্নেল, গান্ধীজীর আদর্শ জনসাধারণের পক্ষে অবাস্তব বা অপ্রযোজ্াঃ গান্ধীজীর নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে, কংগ্রেস পুঁজিপতিদের হাতে খেলেছে, তারা কংগ্রেসকে সমর্থনের নামে নিজেদের পকেট-পুতি করেছে। শাদুলি দিং কবিশের, আচার্য কৃপালনী প্রমুখের ছিলেন ্রজ্াহারের বিপক্ষে, আসফ আনি সীমাবদ্ধ বা! ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহেরও বিরুহ্ধে। |

৩৩

গান্ধীজী বললেন, পুণী-চুক্তি তিনি জীবন দিয়েও রক্ষা করবেন। কারাগারে হরিজন উন্নয়ন এই প্রতিজ্ঞারই জের। লোকে কাকে এখনও ভালবাসে, সুতরাং তাদের একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা ঠিক হবে না। তিনি নিঃসর্ত প্রত্যাহারের বিপক্ষে, কেননা, তা পুরোপুরি আত্মসমর্পণ স্থির হল সীমাবদ্ধ বা! ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ।

আর, গান্ধীজী বড়লাটকে চিঠি দেবেন কি চিঠি? সে অধিকার তাকেই দেওয়! হল।

ড়লাটেব্র সাক্ষাশুপ্রা্থী গাহ্ীজী

গান্ধীজী ১৭ই জুন আরও ছ*সপ্তাহের জন্য আইন অমান্য স্থৃগিত ব্লেখেছিলেন, অবস্থায়ই তিনি একমাস পর ১৭ই.জুলাই "শাস্তি? প্রতিষ্ঠার জন্য বড়লাটের সাক্ষাৎপ্রার্থী হলেন :

11] 718 1001]1900 82900 009 80 106675167 1010 19 60620101106 6159 100881101118198 ০0৫ 06806? 157701% 16.

একদা! ১৯৩০এর যে-আন্দোলন ছিল ভয়াল উত্তাল, ১৯৩২এ তারই স্তিমিত তলানির দিকে চেয়ে বড়লাট বললেন-_না' 1& গান্ধীজী তার অপমান গায়ে-ন1-মাখার' রীত্যন্সারে আবার টেলিগ্রাম করলেন, ছুঃখ করে বললেন, একটা ঘরোয়] বৈঠকের অননুমোদিত কার্যবিবরণীর প্রচার ষে আপনাদের সরকারী স্বীকৃতি পাবে এবং তারই ভিত্তিতে আমার সাক্ষাৎ-প্রার্থন। নামঞ্জুর হবে, তা কিন্তু আশা করিনি সাক্ষাৎ-প্রার্থন৷ যদি মঞ্জুর হত, আমি দেখাতে পারতাম, বৈঠকের মোদ্দা কথ ছিল সম্মানজনক শাস্তিচেষ্টা |

এর পর কিছু একট। করা গান্ধীজীর পক্ষে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল ; প্রশ্নও উঠেছিল, হরিজন ছেড়ে আবার তিনি রাজ- নীতিতে লাগলেন কেন? জবাবে বলেছিলেন অনেকে মনে

দৃত্তিতের সংখ্য হাস ; জানুয়ারী ১৪,৮০৩; ফেব্রুরায়ী ১৭,৮১৮) মার্চ ৬৯০০ 7 এ্রপ্রিল ৫,২৫৪; মে ৩,৮১৮) জুম ৩,৫৩১; জুলাই ৩১৫৯৫; আগষ্ট ৩৩৪৭; সেপ্টেম্বর ২,৭৯১; অক্টোবর ১৯৩৭ নবেম্বর ১,৮৯৮; ডিসেম্বর ১৫৪৫ |

করেছিলেন যে, আমি সর্ধক্ষণের জন্য হরিজন সেবায় আত্মনিয়োগ করব | তারা আমাকে বোঝেন না। প্রথমত আমার কর্মজীবন এমন কাঠিন্তে ভাগ ভাগ করা নয়, এক অথণ্ড সত্তা, আমি আমার সারাজীবনের কাজ পরিহার করতে পারি নে। সে কাজ হরিজনের কাজের চাইতে কিছু কম প্রিয় নয় আর ২৪ ঘণ্টাই তো৷ হরিজনের কাজ করা যায় না। তা অসম্ভব

আশ্রন্ম ভিডে ছেল

২৬এ জুলাই আমেদাবাদ থেকে গান্ধীজী পুণায় বোম্বাই গবর্নমেষ্টের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সেক্রেটারীকে এক পত্রযোগে আশ্রম ভেঙে দেবার দিদ্ধান্ত জানান | আর. এম. ম্যাক্সওয়েল প্রাপ্তি স্বীকার করলেন গান্ধীজী ঘোষণ1 করলেন, গ্রামে গ্রামে পাদপরিক্রমা করে নিভাঁকতার বাণী প্রচার করবেন। আইন অমান্টেরই রকমফের

কথ! রটেছিল যে, তিনি অর্থাভাবে অথবা হতাশায় আশ্রম ভেঙে দিচ্ছেন। গ্ান্ধীজী বলেছিলেন, বিদ্বেষপ্রন্থত ভিত্তিহীন কথা। তিনি গুজরাটবাসীদের উদ্দেশে আবেদন জানালেন, ৩০এ জুলাই ৩৩জন সাথী নিয়ে রাস যাবেন এঁ (নিভাঁকতার) বাণী প্রচার করতে

১লা! আগষ্ট গান্ধীজী এমার্জেন্সী পাওয়ার্স ফ্ম্যাহের তিন ধারা অনুসারে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে সবরমতী জেলে নিয়ে যাওয়া! হয়। ৪ঠ1 আগষ্ট এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু তাকে সর্তাধীনে মুক্তি দেওয়! হল। গ্ান্ধীজী সর্ত অমান্য করলেন তাই নিষিদ্ধ এলাকায়ই আবার তাকে গল্ফ মাঠে গ্রেপ্তার কর! হয়

মামলাকালে তাকে প্রশ্ন কর হল £

বয়স কত? চৌধব্ি।

পেশ! ?__কাটুনী, তাতি, চাষী

বাড়ি?__-এখন যারবেদা জেল

নচেৎ ?- আমেদাবাদ জেলায় সবরমতী |

আবাল্সশু গাহ্গীজীল্প অন্নশন্ন

জেলে দিন বারে! কাটতে ন1 কাটতেই গান্ষীজী আবার হরিজন- সেবার নামে অনশন শুরু করলেন £ 4005 1162 022365 (0 10021:25 110) 1] 0210106 00 [0211)21%5 701],

বিব্রত সরকার এক ইস্তাহারে জানালেন, হরিজনের কাজে তিনি কোন ন্ুযোগটা! পাচ্ছেন না? দরকার মতো! সংবাদপত্র-সাময়িকী' সবই পাচ্ছেন, দৈনিক অন্ততঃ ছু'জনের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন, “হরিজন? সম্পাদনার কাজে সপ্তাহে তিনদিন নির্দেশ লেখা দিতে পারছেন। কয়েকখানি চিঠিও লিখতে পারেন। তাকে একজন কয়েদী-টাইপিস্ট, বই ইত্যাদি দেওয়। হয়েছে এতেও যদি ন1 হয় তবে তিনি আইন অমান্য প্রত্যাহার করে মুক্ত হলেই পারেন

“306 11 110 3500101 0০0 19618 61596 1119 098899 60 171697986, 0107) 10 109 009৮ 1006 00 1709711%10 997:5106 1000 196 ০৮ 1010019009১ 109 (09110709106 819 1029109780১ 0:05196ণ, 2. 0870017 23 11106 6০ 80900020. ৪1] 0151] 018009016009 80615106195 &0৭ 100)6970061765) 60 596 10170) 996 1110065 86000৪ 80 61390 116 090 09ড069 1111709811 [00115 800 আ1010006 19৪৮ 01081000 60 8136 08089 01 80018] 291000.৮

ভারত-সরকার খুব বাহাছুরির সঙ্গে আমাদের দেশের অন্যতম 42112502021)” কে একথা বললেন বটে, কিন্তু অপঘাত মৃত্যুর দার এড়াতে ছেড়ে দিলেন গান্ধীজীকে। প্রথমে র্যান্থলেন্সযোগ্ে স্তাস্থন হাদপাতালে, পরে উন্মুক্ত আকাশ তলে

২৩এ সেপ্টেম্বর কারামুক্তির পর আবারও গান্ধীজী লেডা থ্যাকারসের পর্ণকুটিরে গ্লেছিলেন য়্যান্ব লেন্সযোগে। তারপর সবরমতা; আশ্রমকে সম্প্রদান করলেন জি. ডি. বিরলার হাতে ৩০এ সেপ্টেম্বর

আগ্রাসী আহুন অস্মান্য আল্প নম্র সরকারী উদারতায় গান্ধীজীর নিঃসন্দেহে কিছু হৃদয়ের পরিবর্তন হল। তিনি নিংসর্ত মুক্তিলাভের দিন কুড়ি পর ১৫ই সেপ্েম্বর

রা ঘা কীনা

«ঘোষণ। করলেন, কঠিন প্রার্থনা ভাবনার পর আমি এই সিদ্ধান্তে €পৌছেছি যে, একার! মেয়াদ শেষ না হওয়! পর্বস্ত আগ্রাসী আইন "অমান্য করে আর কারাবরণ করব না

বাংলার বিপ্লবীদের “আগ্রাসী সত্যাগ্রহ? মৃত্যুবরণেরও অবশ্য মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, কিন্তু সমাপ্তি ঘোষণ। হয়নি

বূর্যসেনের গ্রেপ্তারের তিনমাস পর ১৯এ মে আর একটি খণ্ড যুদ্ধে বিপ্লবী মনোরঞ্জন দাস পুর্ণ তালুকদার নিহত হলেন? বন্দী হলেন কল্পন। দত্ত, তারকেশ্বর দত্তিদার: সুধীন্্র দাস ও. প্রসন্ন তালুকদার

কর্ণওয়ালিশ দ্বীটে চিত্রা! সিনেমার বিপরীত দিকে এক বাড়িতেও এএক যুদ্ধ হল। ড্যালহোৌদী স্কোয়ার বোমার মামলায় ২০ বছর কারাদপ্ডিত দীনেশ মজুমদার মেদিনীপুর জেল থেকে পালিয়ে- ছিলেন; চন্দননগর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নলিনী দাসও ছিলেন আত্ম- গোপন করে। আর মুক্ত রাজবন্দী জগদান্দ মুখাজরঁ। “আগ্রাসী? পুলিশের সঙ্গে হল সশস্ত্র সঙ্বর্ষ ; পুলিশ ইন্সপেক্টর মুকুন্দ ভট্রাচার্ষের গ্রায়ে লাগে গুলি। তারপর বিপ্লবীর অনিবার্ধ পরিণতি; ধরা পড়লেন। ২২এ মে।

৭ই আগষ্ট শুরু হল আস্তঃপ্রাদেশিক ষড়যন্ত্র মামল। ; বাংলা! যুক্তপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ব্রন্মের ৩৮ জন যুবক | আলিপুরে স্পেশ্যাল স্রাইবিউনাল।

৩১এ আগষ্ট পুলিশ আদালতের অদুরে এক বাড়িতে পাওয়া গেল বড় এক ট্রাঙ্ক ভরতি ডিনামাইট ষ্টিক আর এক কানাস্তারা বিষবাম্পের বোমা

চারদিকে এই ব্যর্থতার মধ্যে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ভিয়মান বিপ্লবীরা নিশ্চয়ই আবার উন্মুখ হয়ে উঠেছিজেন যখন শুনলেন, মেদিনীপুরের 'কৃতীয় ম্যাজিস্ট্রেট বি. ই. জি. বার্জ বিপ্লবীর হাতে প্রাণ দিয়েছেন.। এন্তোৎ ভটাচার্সের কথাই সত্য হল। ১৯৩৩এ ১২ই জানুয়ানী

বটি

প্রদ্যোতের ফাসীমঞ্চে আরোহণের পর ম্যাজিষ্ট্রেট বার্জ প্রশ্ন করে- ছিলেন £ “১০ 700. 16905 127:00506 1”

10109 1010069) 0168999১147. 730789. ছা 519 26690011060, 183089১4008 6০ 81107 &0 130:00980 60 29100810 96 11101090009, ০05 28 6105 10656 6009 £০6 50089119845. [80 006 81810. 01 098610. 139,010 0200 0 705 01000 অ?]] £155 01:61) 60 17000:908 ০01 7:00.065 8) ৪1] 1008969 01 7390881. 10০ 5০]: 0] 019989.%

অকন্মাৎ কণ্ঠ কিঞ্চিৎ উচ্চগ্রামে তুলে অপ্রতিরোধ্য আবেগে বলে উঠলেন, সত্য, স্বাধীনতার বেদীমূলে উৎসর্গাকৃত এই সব প্রাণ ক্রিমিনাল? |

আরক্ত মুখমণ্ডল হঠাৎ মুমূর্ধর মতো! মনে হল ; কণ্ঠ একেবারে থাদে নামিয়ে ধরা গলায় বললেন, বিদেশী সরকারের গলায় গল। মিলিয়ে আমরাও তাই তো বলেছি।

সামলে নিয়ে বললেন, যাক্‌, গল্পটা শেষ করি; আজ এসব গল্প ছাড়া আর কি ?

কিস্বদস্ভতী আছে, বার্জ ইংরেজের স্বভাবসিন্ধ পৌরুষে বাঙালী বিপ্লবীদের নগণ্য জ্ঞান করে বিচরণ করতেন | বিপ্লবীরাও দিনের বেলায়ই দেখা দিলেন সরকারী রক্ষা! ব্যবস্থা অবশ্যই পাকা ছিল। বার্জ এসেছিলেন মাঠে টাউন ক্লাব বনাম মহামেডান টিমের ফুটবল খেলা দেখতে ; সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সাহেব জোন্স, সিভিল সার্জেন লিণ্টন। মাঠের খেলা সবে শুরু হবে, এমন সময় শুর হল প্রাণ দেয়া-নেয়ার আর এক খেলা মঞ্চের ফোকানে পড়েছে একদিকে বার্জ-জোন্স-লিন্টন, আর এক দিকে তিনটি বাঙালী যুবক ; বার্জের গায়ে ছস্টা গুলিই লাগল, বেঁচে ওঠবার কোন অবকাশই আর রাখেননি ওরা, বার্জের আর্দালির গুলিতে বিপ্লবীদের একজন নিশ্প্রাণ' দেহে ধরাশায়ী বার্জের ওপরই পড়লেন, আর একজন আহত হয়ে হাসপাভালে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়লেন, তৃতীয়জন ধর! পড়লেন

৩৩৭

স্বাধীনতা-২২

চট্টগ্রামে চলেছে চিরনি আচড়ানো *পলাতক* বিপ্লবীদের খোজ, হিন্দুমাত্রেই চাই পরিচয়-পত্র। তল্লাপী এখানে ওখানে সার। বাংল দেশেই। পাওয়া! গেল। কলকাতা ভায়োসেসান কলেজের চতুর্থ বাধিক ছাত্রী জ্যোতিকণ! দত্তের কারাদণ্ড হল চার বছরের ; তার কাছে পাওয়া গেল ছুটো ০৪০ ছুটো পিস্তল ৫৩টি কাতুর্জ |

আবারও একটা ব্যর্থ রক্তাক্ত চেষ্টা হল উত্তর বাংলার হিলি স্টেশনে দাজিলিং মেল হিলি-বালুরঘাটের ডাক দিয়ে ঘেতেই তা লুট হয়ে গেল; ডাকপিয়ন কালীচরণ মাহালীকে প্রাণ 'দিতে হল, আহত হল কিছু যাত্রী ওকুলী। গ্রামবাসীরা ওদের পেছন ছাড়ল না। ঘেরাও হয়ে ধরা পড়ে গেলেন অনেকেই ; তাদের সঙ্গে পাওয়া গেল একটি ছু'নলা, একটি একনল! বন্দুক, ছ"্ঘরা ওয়েবলি রিভলভার, অটোমেটিক পিস্তল? ৬৮টি কারতুজ; তিনটি ছোরা, একটি টচ, ১১০০ টাকার নোট, ২২,০০০ টাকার ইন্সিওর পার্শেল ইত্যাদি

তোমায় যে ডিনামাইট স্টিক পাবার কথা বলেছিলাম তার জন্য যোগেন্দ্রনাথ ব্যানাজির ২১এ নবেম্বর হল সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড; তার কাছে পাওয়। গ্েছল ১৭৭টি ভিনামাইট, ৩২টি জেলাটিন, ১৮৮টি ডিটোনেটর, তিন কয়েল সেফটি ফিউজ বহু কাতুর্জ। ২৪এ নবেম্বর বারাণসীর এক বাড়িতে হান! দিয়ে পুলিশ বিহারের সীতানাথ দেঃ কেশপ্রসাদ শর্মা, -বাংলার কেশব চক্রবর্তী, বারাণসীর প্রফুল্লকুমার চক্রবতা, অমৃতসরের স্বামী কর্মদেবজীকে গ্রেপ্তার করল। ২রা ডিসেম্বর কলকাতায় আরও তল্লাসী হল; আর ১৩ই ডিসেম্বর, তিন বছর ধরে, যে পাঞ্জাব যড়যন্ত্ মামলা! চলছিল তার অবসান হল ; অম্বক সিং পেলেন প্রাণদণ্ড।

হি ক্ষীন্মাণ

অহিংস আইন অমান্যের বিরতি চলছে ; তারই নিঃশেষ মুখে . “সহিংস” আইন অমান্যের বিস্ফোরণে ১৯৩৪-এর দ্বারোদ্ঘাটন হল

৩৩৮

সেই অগ্নিগর্ভ টট্টগ্রমেই। ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন ইউরোগীয়ানেরা, এমন সময় চারটি হিন্দু যুবক বোমা নিক্ষেপ করলেন; পুলিশ সুপারিণ্টেণ্ডেটে এম. এক. ক্লিয়ারি সামান্য আহত হলেন; ক্ষতি হল বিপ্লবীদলেরই ; একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হলেন, ছু'জন মারাত্মক রকমে আহত হলেন, একজন ধর। পড়লেন নিক্ষিপ্ত তিনটি বোমার ছুটিই ফাটেনি। অথচ তাদের কাছে পাওয়। গেল সাতটি তাজা বোমা একটি রিভলভার। একজন ছিলেন

অস্ত্রাগার দখলের পসন্দেহভাজন। সার! চট্টগ্রামে বিপ্লবীদের খোজে চিরুনি আচড়ানোর কথা

তোমায় বলেছি, তিন-ম্যাজিস্ট্রেট-মার! মেদিনীপুরে মিলিটারী রুট- মার্চের কথাটাও বলি, শোনো নাঃ বিস্তারিত কিছু নয়, এই আতিশঘ্য এমন জায়গায় গিয়ে গৌছেছিল যে, কলকাতার অবিপ্রবী নাগরিকের! এলবার্ট হলে ১৯৩৪ এর ১৭ই জানুয়ারী এক প্রতিবাদ সভ। করতে বাধ্য হলেন ; সভাপতিত্ব করলেন এ. কে. ফজলুল হক। বৃটিশ অনুগত সেনার গ্রামবাসীদের ইউনিয়ান জ্যাক সেলামে বাধ্য করেছে, গ্রামবাসীদের বেত মেরেছে। সম্পত্তি নাশ করেছে। টেরারিজম্! টেরারিজম্‌ আর কাকে বল, সত্য? সে কথার জবাব দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু পরদিনই ১৮ই জানুয়ারী

4/06100 ০0৫8, 19 692:011965 10 73826811180 £1৮90. 6109 (90921200906 81) 9%:9059 &0 01291) 995 8117616 ৪০৮15165 110 0709 10:0511009.৮

তিনি কলকাতার ছাত্রদের উদ্দেশে এক বক্তৃতার মধ্যে এত বড় একটা কথা বললেন আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দের এই এক রীতি অনর্গল বক্তৃতা দেন, অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা! না করে পাঞ্জাব নয়; যুক্ত- প্রদেশ নয়; আসাম নয়, মান্র।জ নয়, মারাঠাও নয়, বাংলাদেশের হী, বাংলাদেশেরই গুটি কয়েক সন্ত্রাসবাদীর ক্রিয়াকলাপ প্রদেশের প্রত্যেকটি কাজ ধ্বংস করার অছিল! তুলে দিচ্ছে গবর্নমেন্টের হাতে। এখানে, এই প্রদেশেই অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের জন্য গবর্নমেন্ট চটেন নি; তা কোন অছিলায় ধ্বংসও করতে চান নি

৩৩১

১৯৩০এ আইন অমান্ত আন্দোলনে গবর্নমেন্ট চটেন নি, কীথির লবণ সত্যাগ্রহ কোন অছিলায় ধ্বংসও করতে চান নি, সবই নিহিদ্বে সুসম্পন্ন হত এবং স্বরাজও আপত হাতের মোয়ার মত। শুধু বাদ সেধেছে গুটিকয়েক সন্ত্রাসবাদী ; ওর! ১৯০৫-৮এর সন্ত্রাসবাদী বাংলার উত্তরাধিকারী, আর ওরাই গবর্মমেন্টের হাতে অছিলা জুগিয়ে জুগিয়ে জহওরলাল প্রমুখের বৈধ, নিধি; শাস্ত,আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

কিন্তু তারা ঘে বারবার বাংলার বিপ্লববাদ ধ্বংসের জন্য গ্বর্ণমেণ্টের হাতে হাতিয়ার তুলে দিয়েছেন তার এঁতিহাসিক বিচার করবে কে?

৩১এ জানুয়ারী ব€জ্ঞ £1761-76701150 911] আনা হল বাংলাদেশের জন্য | বাংলা তথা ভারত তথ বৃটিশ সরকার বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে_ চট্টগ্রাম, ঢাকা? কুমিল্লা, মেদিনীপুরে_ পুলিশ মিলিটারী লেলিয়ে দিয়ে ত্রিশের বঙ্গ যুবসমাজকে বিনাবিচারে বন্দীশালায় আটক রেখে তাদের ওপর গুলি চালিয়ে, হিন্দু যুবকদের পরিচয়পত্র রাখতে বাধ্য করে, দ্াজিলিংকে বাঙালী হিন্দুর পক্ষে নিষিদ্ধ করে, স্কুল কলেজ পথে ঘাটে অচেল টাকার গুপ্তচর এজেন্ট প্রভোকেটর ছড়িয়ে দিয়ে, মেরে, কারাদণ্ড দিয়ে ফাসীতে ঝুলিয়েও সন্তুষ্ট হয়নি | হত্যা প্রচেষ্টার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানসহ অগ্ডিনান্সের পর অদ্ডিনান্স, আইনের পর আইন, হুকুমের পর হুকুম বলবৎ জারী করেও তৃপ্ত হয়নি__

একটু গল! নামিয়ে বললেন, আমরাও, অহিংসবাদীরাও হইনি, তাই বাংলা সরকার আরও একটা পালক গু'জে নিলেন তাদের টপিতে-_ 47047009681]. তুমি কি জান, সত্য, যে-হান্টকে মহাসমারোহে কলকাতার কংগ্রেসী পৌরদভা তেনজিং-হিলারীর এভারেষ্ট চূড়ায় আরোহণ পরিচালনার জন্য সম্ব্ধন। জানিয়েছিল, সেই হান্ট নোয়াখালী চাটগায় বিপ্লবীদের শিকার করে বেড়িয়েছে? কে খোজ রেখেছে, একটি নর, ছুটি নয় এমন আরও হাটের 1

বিশ্মিত হয়ো না বদি শোনে! তারাও কোন-না-কোন উপলক্ষে সম্বধিত হয়েছেন | কেননা, এদের হান্টিংয়ের ফলেই বাংলার বিপ্লৰবাদ নিশ্চিহু হয়েছে সন্বর্নাকালে কারও মনে এতটুকু প্রশ্বও জাগেনি 10110 120679015 29 70:05215121]5 91)0:৮তাই বলে এত সর্ট?

১০ই ফেব্রুয়ারী বার্জ হত্যা-মামলার রায় বেরোলো একজন নয়, তিনজনের ফাসীর হুকুম হল; একের বদলে তিন-_নির্মলজীবন ঘোষ, ব্রজ্কিশোর চক্তবতাঁ, রামকৃষ্ণ রায় ; যাবজ্জীবন ছ্বীপাস্তর হল কামাথ্য। ঘোষ, নন্দলাল সিং সনাতন রায়, সুকুমার সেনের ; মনীজ্দ্র চৌধুরী, পুর্ণানন্দ সান্যাল, বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ, সরোজদাম কানুনগো ছাড়া পেলেন

২৭এ ফেব্রুয়ারী হিলি ভাকাতি মামলার রায় বেরোলো প্রাণকৃষ্ণ চক্রবতাঁ, সত্যব্রত চক্রবতাঁ, সরোজ কুমার বনু, হৃষীকেশ ভট্টাচার্ধের হল মৃত্যুদণ্ড আপীলে যাবজ্জীবন ছ্ীপাস্তর হয়েছিল ( এখানেও দেখ, একজনের জন্য চারজন-_-এমনি প্রতিহিংসাত্মক বিচার চলেছে তখন। এঁমামলায় আর যাদের দণ্ড হল তারা হলেন আবছুল কাদের, প্রফুল্ল সান্যাল, কিরণ দে-_যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তর; কালীপদ সরকার, রামকৃষ্ণ মণ্ডল, হরিপদ বসু ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড তিনজন রাজসাক্ষী হয়েছিল, তাদেরও দণ্ড হয়েছিল পাঁচ বছর; সাত বছর করে।

একটু থামলেন, বা দিককার ছোট জানাল! দিয়ে দেখতে লাগলেন; ছুটে! কাক ঝুটোপুটি করতে করতে মাটিতে পড়েছিল, সেখানেও ওদের পাখার ঝাপট্ায় উঠেছিল ধুলো, মুহুর্তেই ছাড়া- ছাড়ি হল, ছুটে! উড়ে গেল।

এক্ুউ। তন ফন ডে

দৃষ্টি ফেরালেন, বললেন, কাক নাকি কাকের মাংস খায় না! বলে নিঃশব্দে হাসতে লাগলেন | তারপর মাথা নামিয়ে হাতের কাগজটা খেয়াল হতেই একেবারে হো! হো করে হেসে উঠলেন

৩৪১

হাসতে হাসতেই বললেন; তোমর। £১1150015? [025 কাকে বল?

আমি বললাম, ১লা এপ্রিল।

বললেন, হ্যা, ১৯৩৪এর এঁদিনে কংগ্রেস নেতাদের এক সম্মেলন আহ্বান কর! হয়েছিল; কেউ এপ্রিল ফুল হন নি। সম্মেলন হয়ে- ছিল। সেখানে কি কার্যক্রম নেওয়। হয়েছিল তুমি অনুমান কর, সত্য ?

আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে বললেন অনুমান করা শক্ত। সেদিন তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, অল ইতিয়া স্বরাজ্য পার্টিকে পুনরু- জীবিত করতে হবে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্ন্দ্িতা করতে হবে।

পরদিন) ২র! এপ্রিল, গান্ধীজী ঘোষণা করলেন £ “130:09960- 001) 01025006095 002 00152:58010175 ভা10) 002 4১917210 1171002055..'আশ্রমবাসীদের সঙ্গে আলোচনাকালে আমার অস্তদর্শনে এই বাণী পেয়েছি ষে, বিশেষ বিশেষ 'মভিযোগের ক্ষেত্র থেকে আলাদা স্বরাজের জন্য সকল কংগ্রেঘসেবীকে আইন অমান্তে বিরতি দেবার পরামর্শ দিতে হবে। ওটি আমার ওপরই তাদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমার জীবদ্দশায় কেৰল আমার নির্দেশেই অপরে তা আরম্ভ করতে পারবে ; তবে ষদি এমন কেউ আধিভূত হন ষিনি আমার চাইতে এই বিজ্ঞানটি আরও ভাল জানেন বলে দাবী করতে পারেন, তবে সে-কথা আজাদ বহু লোকের আইন অমাম্ কলতঃ চমৎকার হলেও সন্ত্রাসবাদী অথবা শাসকশ্রেণীর হৃদয় স্পর্শ করে নি।

গান্ীজী এখানে 0190109016002 না বলে 1651521)06 বলেছেন এবং সচরাচর গান্ধীজী যে বিনম্র মিষ্টি ভাষায় লিখে থাকেন ত৷ থেকে এর বয়ান নুর আলাদা ; খানিকটা! যেন আত্মস্তরিতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিজ্ঞানটি এক তারই জান? আছে এবং আর কেউ এই জ্ঞান নিয়ে এখনও জন্মায়নি, সুতরাং তার জীবদ্দশায় ওট! তারই পেটেণ্ট। কেউ করতে চায় তো! তার নির্দেশে করতে হবে। আর এর যেউদ্দেশ্ট ছিল তার ছুটো ব্যর্থ হয়েছে এবং ছুটি একই বন্ধনীগত--সন্ত্রাসবাদী আর শাসকশ্রেণী, ওরাই স্বরাজের

৬৪২

প্রতিবন্ধক, আইন অমান্য বিশাল হয়েছে, কিন্ত ওদের হৃদয় স্পর্শ করেনি ; প্রতিবন্ধক দূর হয় নি।

কিন্ত যারা সন্ত্রাসবাদী নন, শাসক শ্রেণীভুক্ত নন, এমন কি জাইন অমান্য করার নির্দেশ প্রার্থীও নন, তারা ছুজন ডাক্তারের নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্রিয়াকলাপের বিকল্প হিসেবে স্বরাজ্য পার্টির পুনরুজ্জীবনে মিলিত হয়েছিলেন | সে সম্মেলনে ছিলেন ভাঃ বিধানচন্দ্র রায়; ডাঃ আন্সারী, ডাঃ আলম, আর. কে. সিদ্ধ, পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য, সত্যমৃত্তি, কে. এম. মুন্সী, কে. এফ. নারীমান, জি. ভি. স্ুববা রাও। মোহনলাল সকসেনা, দীক্ষিত এবং আরও ২৯ জন।

কেবল তে৷ স্বরাজ্য পার্টির পুনরুজ্ীবন নয়, মুমূর্য, কংগ্রেসের মধ্যে প্রাণক্রিয়! সঞ্চারের এই বিধান গান্ধীজীর কাছে ছুই ভাক্তার ভুলাভাই দেশাই নিবেদন করলেন, গান্ধীজী আশীর্বাদ করলেন।

গান্ধীজীর দৃষ্টিতে শাসক শ্রেণীয় হৃদয় পরিবর্তন না হলেও তার! ১৬ই এপ্রিল জানালেন, গান্ধীজীর আইন অমান্ত প্রত্যাহারের নতুন নীতি সমর্থনের জন্য দি এ. আই. সি. সির অধিবেশন বসে তারা আপত্তি করবেন না।

কিন্ত তার আগে ত্বরাজীদেরই এক সম্মেলন হল-_রাচীতে। উদ্দেশ্য- দিল্লীতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা এই ১০০ কংগ্রেসসেবীর সম্মেলনে পাকাপাকি করে নেওয়া চৌধুরী খালিকুজ্দরমান প্রস্তাবটি তুললেন ন্বরাজ্য পার্টি পুনরুজ্জীবনের, এসেম্বলি নিবাচনে প্রতিদন্দিতা করবার

মূল স্বরাজ্য পার্টির €0 20010. 0: 2150. 03 0:059005008- এরই রকমফের, বড়লাটের প্রেরোগেটিভ সার্টিফাই করে বাতিল আইনকে সচল করার অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যথেষ্ট থাক। মত্বেও। ম্বজনেরও ছলের অভাব হয় না। ছাড়া কাজই বাকি ছিল? তাই আমরাও সেই পুরোনে। নো-চেঞ্রারদের মতই চরকা খন্দরের, গুড় আর ঢে'কির চালে, গ্রামের কাদামাটাতে চলে গেলাম; তর! দিল্লীর হল প্রকম্পিত করার জন্য প্রস্তত হতে লাগলেন

৩৪৩

পাটনায় ১৮ই ১৯এ মে অনুষ্ঠিত এ. আই. সি. সি.র অধিবেশন দিল্লীর পথ প্রশস্ততর করে দিল। ডাঃ আন্দরী প্রস্তাব করলেন গ্ান্ধীজী আইন অমান্য প্রত্যাহারের যে সুপারিশ করেছেন তা গৃহীত হোক ; ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ সমর্থন করলেন

৬ই জুন কংগ্রেসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়। হল। ১৭ই জুন কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি কম্যুনাল এওয়ার্ড

সম্পর্কে এক প্রস্তাব গ্রহণ করল; তাতে এরই প্রকাশ পেল যে কংগ্রেস এটি গ্রহণও করছে না, বর্জনও করছে না

401)9 0008:98৪ 0181078 60 79101989106 80081] 81] 08 0000” 02001086199 00000081106 6109 11701810 10861010 8,00১ 61062916016) 2 1৪ 0 6129 01511151000 01 0101101010১ 980 179261097 88099061008 91906 6119 00000001081] 4010 8৪ 10706 9৪ 609 0.1191010

1986৪,

এই বিশ্বলগতে আর কোথাও এই ত্রিশস্কু প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে আমার জানা নেই এবং এর বিষময় ফল কফলতেও দেরী

হয়নি।

হম্মাজনাদেন্ল কথা নল

কিন্ত ১৮ই জুন ওয়াকিং কমিটিতে যে প্রস্তাব গৃহীত হল তা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পার্টি-প্রকৃতিটি ১৯৩০এর হোমোজিনিয়াস ক্যাবিনেটের চাইতেও ন্ফুটতর হল। কংগ্রেসে অপোজিসান থাকে থাকুক, ক্যাবিনেটে থাকবে না এই ছিল যাবৎ কথা; কিন্তু এবার তার চাইতেও বড়, কংগ্রেসে শ্রেণীন্বার্থের সংঘাত বিনা ক্ষতি- পূরণে সম্পত্তি দখল জাতীর কথার ওপর নিষেধাজ্ঞ। জারী করা হল। এর ভায়েলেকটিকাল পরিণত আমাদের পেছনে-ফেলে- আসা মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা নয় অথবা বোস্বাইয়ের রেড ফ্ল্যাগের বিক্ষোভও নয়, এগুলো হয়তো! দূরবর্তাঁ বা পরোক্ষ কারণ, নিকটতম প্রত্যক্ষ কারণ কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই সোস্যালিষ্ট ভাবধারার বিস্তার।- কংগ্রেসে সোম্যালিষ্ট গোষ্টির আবির্ভাব কংগ্রেসের মূল প্রবলতর-

& ৩৪৪

প্রকৃতিকে না বুঝে এঁ গ্নোষ্টির প্রত্যয় ছিল একদিন কংগ্রেসে সমাজবাদী ভাবধারা সঞ্চারিত হবে এবং তার! প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করবে। অতিমাত্রায় সচেতন অ-সোস্তালিষ্ট নেতৃত্ব উঠতি ভাব- বাদীদের দিকে প্রখর দৃষ্টি রেখেই প্রস্তাব নিলেন £

“ডড101196 610৩ ভা ০110108£ 00100016799 ভা61007098 6109 10102186101 ০01 £:00109 7970768910011)6 0161606 80100018 ০: 6100081)6) 16 18 10609968159 21) 19তম 01 00086 627 0006 00706900850 0.7 ?7750066 27026768070 79095886%/ 07 01093 2007১ 00 29101100 00089587092) 6296 8109 155790101 26901061072) 893 ঠ08]] ৪9৮$190১ 05৮ 4. 1, 0১0. 86 730101085 210 06886 1931, 10101) 1858 0০0 08181) 1)11170101995 109161)67 00106900- 1718899 0010980%1010 02 011%869 0009৬, আ1600036 1088 08086 0: 902201)6708968010১ 1007 80%00885 01 01839 ভর৪,

«কংগ্রেসের ওয়াকিং কমিটির আরও অভিমত এই যে বাজেয়াণ্তি শ্রেণীসংগ্রাম তা অহিংসনীতির বিরোধী |

মাসথানেক আগে ১৫ই মে কাশীবিগ্যাগীঠের প্রিন্সিপ্যাল আচার্য নরেন্দ্রদেবের সভাপতিত্বে প্রথম সমাজবাদী সম্মেলন হয়েছিল। আর, ৮ই জানুয়ারী একবার এবং ২৩এ মে বোম্বাইয়ে শ্রমিক ধর্মঘটাদের ওপর পুলিশের গুলী চলেছিল

অথবা, বল! যায়, কংগ্রেস এতদিন সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে যে মনোভাব অবলম্বন করে বিদেশী বৃটিশ সরকারের সান্নিধ্যে এসেছিল, সমাজবাদ সম্পর্কেও অনুরূপ মনোভাব অবজম্বন করে বৃটিশ বুর্জোয়াদের নিকটতর হয়েছিল পার্টি হিসেবে কংগ্রেসের সংহতির দিক থেকে এর মধ্যে কোন অসঙ্গতি ছিল না। তেমনি, ভারত সরকার যখন ২৩এ জুলাই কম্যুনিষ্ট এসোসিয়েশনগুলো। নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন তার মধ্যেও কোন অসামঞ্জন্ত খুঁজতে যাওয়া ভূল।

লোস্যািষ্দেন্স আবিভ্ডাব অর্থাৎ, ভারতীয় রাজনীতিতে স্পষ্টতই মতদ্বৈধ, ভাব-সংঘর্ষ চলছিল একটি সমন্বয়ের দিকে যাবার তাগিদে তাই, ২৯এ জুন যখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন অভিযানের উদ্বোধন করলেন

৩৪৫

শ্ীতী সরোজিনী নাইডু, তখন ৩০এ মেপ্টেম্বর কংগ্রেস সোস্তা লিষ্টর! বললেন, তার] নিবাচনে অংশ নেবেন না।

তার আগে ৩০এ সেপ্টেম্বর স্বামী সম্পূর্ণানন্দের সভাপতি্থে বারাণসীতে হয়েছিল অল-ইপ্ডিন্া কংগ্রেন সোস্যালিষউ পার্টির সভা উপস্থিত ছিলেন ডঃ ভি. সিলভা! ( পি. পি.),বি. পি. সিংহ বিহার), মাসানী (বোম্বে) নরেন্দ্র দেব, শ্রীপ্রকাশ ছেউ. পি.) শঙ্করলাল (দিল্লী), এস. এম. এ. যোশী (মহারাষ্ট্র), চার্লস ম্যাসার্নহাস (0521169 79502021795) (বাংল! )১, আসওয়! (আজমীঢ) নবকৃ্ণ চৌধুরী (উৎকল )। প্রস্তাব হল £

“প্রার্দশিক কংগ্রেস সোস্তালিষ্ট প্রতিনিধিদের, এই সভার অভিমত যে, কংগ্রেসের লেজিনলেটিভ এসেম্বলিতে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতায় কংগ্রেসের বর্তমান সংসদীয় ক্রিয়াকলাপ এমন ধরণের নয় যাতে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম তীব্রতর বা ত্বরান্বিত হতে পারে পক্ষান্তরে, এই সভা মনে করে ষে, এই ধরণের তৎপরতা নিক্ষলল নিয়মতান্ত্িকতায় নিয়ে যায়; ইতিমধ্যেই যার! পূর্ণ স্বাধীনতায় অথব! প্রত্যক্ষ সংগ্রামে বিশ্বাসহীন তাদের মিশ্রণে অবনতি ঘটেছে ; এর সুনিশ্চিত ফল হবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্পূর্ণ বিরতি এবং বুটিশ সাম্রাজাবাদের সঙ্গে আপোষ এই সভা তাই কংগ্রেস সোস্তালিষ্ট পার্টিগুলোর সদস্যদের উদ্দেশে আবেদন জানাচ্ছে যে তারা যেন (১) এসেস্বলি নিবাচনে কংগ্রেস অথবা নির্দলীয় প্রার্ধারপে মনোনয়নের প্রস্তাবপ্রত্যাখ্যান করেন, মনোনীত হযে থাকলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন; (২) কি কেন্দ্রীয় কি প্রণন্দেশিক সংসদীয় পরিষদ অথব! নির্বাচন-সংক্রাস্ত কমিটিগুলোতে যোগদানে গররাজী হন ।?

১লা অক্টোবরও বোম্বাইয়ে এক সব'ভারতীয় সমাজবাদী সম্মেলন হয়? সেখানে ডঃ লোহিয়া, এক. এ. আন্লারী, জর প্রকাশ নারায়ণ, মোহনলাল গৌতম. ডাঃ কাসিক, এলাহাবাদের জে. মুখার্জা, মাত্রাজের পি. কে. পিল্লাই, অছ্যুত পটবর্ধন, এস. এ.. ব্রেলভি

৩৪৬.

কষঙাদেবী চট্টোপাধ্যায়,'পি. ওলাই. দেশপাণ্ডেও ছিলেন এখানেও অনুরূপ প্রস্তাব গৃহীত হল :

আভ্যন্তরীণ দ্বন্দের আর একটি প্রকাশ হল কমানাল এওয়ার্ড নিয়ে ; এই ছন্দের পরিণতি স্বরূপ পণ্ডিত মালব্যের নেতৃত্বে এক “কংগ্রেস ন্যাশানা লিষ্ট পার্টির উদ্ভব হওয়ায়ও সমাজবাদী সম্মেলনে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়, ৩০এ মেপ্টম্বর বারাণদী সম্মেগনে |

কম্যনাল এওয়ার্ডের নিন্দা না তার বিরোধিতা করা সাম্প্রদায়িকতা জাতীয়তাবিরোধী কেন বাকি করে হচ্ছে তার কোন যুক্তি নেই। নিজেদের একদিকে দক্ষিণপন্থাুক্ত সমাজবাদী বলে আর এক দিকে অসাম্প্রদায়িক বলে জাহির করার বাহাছুরি ছাড়া এর মধ্যে আর কিছু নেই। কম্যুনাল এওয়ার্ড বৃটিশ কৃট- নীতির দান। সে কৃটনীতির জালে ধারা পড়লেন, প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না, কার্ধতঃ গ্রহণই করলেন | তারা হলেন অসাম্প্রদায়িক, অনিন্দ্য, আর ধার! সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার নিন্দা করার ঝুঁকি নিলেন তার! .হলেন সাম্প্রদায়িকতাবাদী জাতীয়তা বিরোধী

কম্যুনাল এওয়ার্ডে একটা নিক্ষল বিতর্কও ছিল না, জন- সাধারণের পক্ষে উপেক্ষারও বস্তু ছিল না। কম্যুনাল এওয়াডের মূল কথাটা সংখ্যা, সংখ্যান্ুপাত প্রতিনিধিত্ব এবং মুললমান জন- সাধারণ মুসলমান প্রার্থা ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবে না। নির্বাচকমগ্ডলীটাই আলাদ। করে দেওয়া! তবু বলতে হবে 06779 1017901:621502 60 10085525 ? এই [085-এর মধ্যে গিয়ে সোস্যালিষ্টর কতখানি সিকিউলারিজম আনতে পেরেছিলেন ? শুধু তাই-.নয়, সত্য, দেশ বিভাগের পর, পার্টির একজন লালটুপি পর! নেতাকে জিগগেস করেছিলাম, শেষটায় সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে দেশ ভাগ হল?' ভিনি অনায়াসে বললেন না! তো, ভাগ হল রিজিওনাল বেগপিসে। কালের পরিণামে ইনি দল-ছাড়। বাণী-বাহক হয়েছেন এষং অনল সবাইকে উপদেশ দিয়ে চলেছেন

৩৪৭

অথচ সেদিন এঁতিহাসিক প্রয়োজনেই কংগ্রেস সোস্তালিষ্ট পার্টির মতো কংগ্রেস ন্যাশানালিষ্ট পার্টির উদ্ধবে হয়েছিল হত না গান্ধাজী পরিচালিত কংগ্রেস ঘি সমাজবাদকে অপাউক্তের মনে না করতেন এবং কম্যুনাল এওয়ার্ড সম্পর্কে ব্লীবনীতি অনুদরণ ন। করতেন। ১৯৩৩-৩৪ এর হতমান কংগ্রেসের মধ্যে কোন বলিষ্ঠতার পরিচয় ছিল না, ছিল বিস্ফোরক মুক্ত কাজের খোলের মত। পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য তখনকার কংগ্রেলের একজন স্তস্ত ছিলেন, লগ্নে গান্ধীজীর সহচর ছিলেন, কম্যুনাল এওয়ার্ড সম্পর্কে কংগ্রেসের অনিশ্চয়তাই তার মত ব্যক্তিকে কংগ্রেণের বাইরে ঠেলে দিয়েছে

বাইরে মানে?

বললেন, কম্যুনাল এওয়ার্ড সম্পর্কে কংগ্রেসের অনিশ্চিত মনোভাব মনঃপৃত না হওয়ায় পণ্ডিত মালব্য আনে কংগ্রেস পাামেন্টারী বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন

মীমাংসার চে ব্যর্থ হবার পরই কলকাতায় ১৮ই আগষ্ট এক সম্মেলন হয় | আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রার সাদর অভ্যর্থনার ভাষণ দেন। প্রেসিডেন্ট ছিলেন পণ্ডিত মালব্য। প্রস্তাব উত্থাপন করেন অখিল চক্র দত্ত। উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণ করেন ষমুনাদাস মেহতা» এন. সি. কেলকার; এম. এস. আনে প্রস্তাবে “সাম্প্রদায়িক সমস্তা। সম্পর্কে. গবর্নমেন্ট যে দিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং অসঙ্গতভাবে যার নাম দেওয়! হয়েছে “কম্যুনাল এওয়াড” তার তীব্র নিন্দা কর! হয়ঃ কেন না এতে পৃথক, সাম্প্রদায়িক শ্রেণীগত নির্বাচন প্রথা শুধু অক্ষু নয়, সম্প্রসারিতও হয়েছে এবং পুথক নিরবাঁচনে বিধিবন্ধভাবে সংখ্যাগ্নরিষ্ঠতার বিধান রাখা হয়েছে।

স্ুনলিম্ম লাজনশীতিল্র গত্িশ্রল্ম

কিন্ত ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িক কোঠায় বিভক্ত করার বৃটিশ কূটনীতি ব্যর্থ হয় নি, কংগ্রেসের বাইরে মুসলমানের ক্রমশঃই এওয়াডেরর নিকটতর হয়েছেন | সিমলায় একই সময়ে ১৩ই,

৩৪৮

আগস্ট নাগাদ অল ইণ্ডিয়া মুসলিম কনফারেন্স অল ইগ্ডিয়া মুসলিম লীগ যে প্রস্তাব গ্রহণ করে তার স্বর এক।

অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায় ওটি গ্রহণ করেছে, কংগ্রেন না-গ্রহণ না-বর্জনে ওটি গ্রহণ করেছে (নইলে নির্বাচনে নামতে পারত না) সোস্তালিষ্টরা কম্যুনাল এওয়াডের বিরুদ্ধে আক্রমণ সাম্প্রদায়িকতা বলে মনে করছেন (নইলে গণ-আন্দোলন করতেন )। কম্যুনাল এওয়ার্ড অন্ততঃ শতায়ু হয়ে রইল।

লিলিববাদেল্প এপিটীফ

আয়ু ফুরিয়েছিল বাংলাদেশে বিপ্রববাদের | আমি বলেছিলাম ১৯৩৪ নাগাদ এর এপিটাফ লিখব | এপিটাফের রুক্ষ সৌধ উঠৰে দাজিলিংয়ের লেবং ঘোড়দৌড়ের মাঠে

“এইখানে বাংলাদেশের অফুরন্ত বৈপ্লবিক শক্তির নিরুদ্ধ সমাধি 1?

একি হত্যা, ন। আত্মহত্যা! ? সন্দেহ নেই, সমগ্র সরকারী বন্ত্, বেসরকারী অহিংস সংগঠন, উদারনীতিক থেকে শুরু করে খেতাবধারী রাজানুরক্তের ভদ্রমহল এবং সর্বোপরি উদাসীন জনগণের বেষ্টনীতে ঘেরাও হয়ে গেছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা | কিন্তু, সত্য, এই রূঢ় তথ্যই বা ভুলি কি করে যে, তার! সঙ্কল্পসাধনে এক হাতে রিভলভার আর এক হাতে বিষ নিয়ে বেরোতেন? ব্যর্থতার জন্যই শুধু নয়, তাদের ধরে দেবার লোক আশেপাশেই থাকত সেই আশঙ্কায়। হাত- বাড়ানে! জনসাধারণের সঙ্গে এদের আত্মিক যোগাযোগ ছিল না

দাদারা এদের সরণ মারণ মন্ত্রেই দীক্ষা দিয়েছিলেন, কিন্তু যে-দেশ বা দেশের মানুষের কল্যাণে এই আত্মোৎসর্গ তার মধ্যে প্রত্যেক বিপ্লবীকে সম্প্রসারিত করার কোন মন্ত্র শেখাননি | এককালে রোগীর শুঞ্যা, মড়া পোড়ানো, মুগ্টিভিক্ষার কারণ্য ছিল বটে কিন্তু অবস্থাবিপাকে আর সবই ছিল একান্ত গোপন,ব্যায়ামাগার থেকে রিভলভার চালন! শিক্ষণ অবধি। অন্ত্রও খুব বেশী ছিল না, কিসফিসানিটাই ছিল সব চাইতে বড় হাতিয়ার আর সংগঠন

৪৯

ইত্যাদি ছিল আত্মনির্ভর ; অনেক সময় দাদার! খবরও রাখতেন না, ঘর ছাড়! ছেলেটি কোথায় এবং কেমন করে জীবন ধারণ করে, অথচ তার জীবনের ওপর দাবী ছিল যোলো আনা বাংলার নির্বোধ ছেলের! তাও মেনে নিয়েছিল, কিন্তু একমাত্র গীতা” কতকাল তার জীবন ধারণ করে রাখতে পারে ? মৃত্যুকে তুচ্ছ করার দর্শন হিসেবে গীত অনবন্ত হয়েছিল, কিন্তু বাস্তব জীবনকে শ্রীমণ্তিত করার দর্শন ছিল ন1; ম্যাটসিনি, গ্যারিবন্ডী, ফরাসী বিপ্লব, রুশ জাপান যুদ্ধ, আয়ঙ্ল্যণ্ড হ্যা, সবই তার সঙ্কল্পে ধুপের কাজ করতে পারে, কিন্ত ভারতের মাটিতে, দেশের মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে কি দর্শন দিতে পেরেছিলেন দাদারা? বরং সাধারণ থেকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলতে হয়েছে, বাস্তব জীবনের ভারতীয় দর্শন তার! কিছু দিতে পারেন নি--সব কিছু ভাসা-ভাসা, অস্পষ্ট ; শেষ পর্যায়ে ঘদি-ব! বলশেভিক বিপ্লবের কথ! বলতেন, কিন্তু তাতেও ছিল বেশীর ভাগ রোমান্সের খাদ ধার! ওর তত্বের মধ্যে ডুবলেন, তারা রূশদেশের দিকে তাকিয়ে স্বদেশের মাটী থেকে নিলেন পা৷ তুলে, বায়ুভূত অবস্থায় স্বদেশের বিস্বৃতিতে পরদেশ হয়ে উঠল দিগ.দর্শন।

কিন্ত তারও আগের কথা, ৩৪-৩৫এর কথা সেখানে আরও একটা বাহ্যিক ঘটনা! ঘটেছিল। বাইরেও ছিল, সোস্তালিজম কম্যুনিজমের বুলি, বিক্ষিপ্ত ছাড়া ছাড়! নিতান্ত সীমাবদ্ধ; কিন্তু বন্দীনিবাসগুলোয় যেন নামল প্রবল বন্তা | সত্য, সেকালের একটা কই থেকে তোমায় খানিকট। পড়ে শোনাই+ এক রাজবন্নীর কখ £

ল্লাজন্রন্দীল্প জব্বানহন্দী

“্া্জশক্তি এখানে একটু চালে ভূল করেছিল। “ভাল ছেলে হব আমি পাঠে দেব মন, বিপ্লবীদের ভাবগতি হয়তো এই সক্ষল্পে পাপ্টাবে এরই মনে করে অতিবুদ্ধি গোয়েন্দা বিভাগের পরামর্শে মরকার কার্াভ্যত্তরে সাম্যবাদী সাহিত্য আমদানীর পথ প্রথমদিকে

৫৬

উন্ৃক্তপ্রায় রেখেছিলেন বৈপ্লবিক গণ্তীতে ঘটনাক্রমে আগভ কর্েক হাজার ছেলের মধ্যে সকলেই বিপ্লবের ভাবে উদ্বুদ্ধ নয়; এমন একদল স্থধোধ ছেলে সত্যিই পাওয়! গেল যার] অনুমতি পেয়ে বিশ্ব- বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রাচীরগ্ুলে উত্তীর্ণ হবার আয়োজনে আত্ম- নিয়োগ করল। কিন্তু এরই মধ্যে একদল যুবক সাম্যব।দী সাহিত্য গোগ্রাসে গিলতে শুরু করল। রক্ষণশীল প্রতিক্রিয়াশীলদের সঙ্গে এজন্য তাদের সংঘাত নিতান্ত নগণ্য হয়নি ভাবগত দলগত পার্থক্যের বিচারে এই বিপ্লবীর! প্রথমাবধিই পৃথক হাড়ির ব্যবস্থা করেছিল। ইংরাজীতে যাকে বলে “কিচেন? |......কোন্‌ কিচেনে কে উঠবে এই দিয়েই তার প্রাথমিক পরিচয় হত। এদের মধ্যে শিক্ষক ছিল, ছাত্র ছিল; খেলোয়াড় ছিল, ব্যবসায়ী ছিল, নিতান্ত বেকারও ছিল। বাইরে ভোগসস্তেগের অতৃপ্তিও অনেককে ভেতরে প্রসাধনের সুযোগে সৌখীন করে তুলেছে, কেউ কেউ গীত ষড়দর্শন নিয়ে সাত্বিক হয়েছে, কেউ বডি-থে। করে ভাল গোলকিপার হবার চেষ্টা করেছে, কেউ কালো পোষাকে “অটো-বায়োগ্রাফি অব ৰেনিটো মুসোলিনী" বগলে গুটিকয়েক ছেলের কুচকাওয়াজে মেতে মুসোলিনী অথব! হিটলার হবার চেষ্টা করেছে; কেউ কেউ সাম্যবাদী সাহিত্য নিজে পড়েছে এবং অপরকে নিস্পহভাবে পড়িয়েছে, কেউ বন্দীশিবিরেই দল গড়তে শুরু করেছে।**..**অনুশীলনের মস্ত হাড়িতে ভাঙন ধরেছিল মোটামুটি মেছুয়াবাজার বোমার মামল। থেকেই, বছ উপদল পরিপুষ্ট যুগান্তরের হাড়িতেও রকমারি কাঠি পড়তে শুরু হয়েছিল, এই থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল না-অনুশীলন না- ষুগাস্তর “গোত্রহীন? থার্ড কিচেন” অর্থাং তিন নম্বর হাড়ি। এই 'তিন নম্বর হাড়ির ওপর এক নম্বর, আর ছুই নম্বর হাড়ির বিরাগের অস্ত ছিল না। কিন্তু এই আত্মতুষ্ট শ্রদ্ধেয়ের তৃতীয় রমুইয়ের অনাহ্বাদিত গন্ধ বাতাস ঠেলেও রোধ করতে পারলেন না, ছুদিককার শাসনের প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে সমানে ছড়িয়ে পড়তে লাগল দাদার প্রথম চেষ্টা করলেন বই বাছাই করে বাক্সবন্দী করতে; পরে চেষ্ট।

৩৫১

করলেন একট! মাঝামাঝি দর্শন দাড় করাতে। ক্যাপিক্মম, দোস্তা লিজম কম্যুনিজম যেন মোকাবিলা শুরু করল ।.-..*"

“তথন সবে প্রাচীন স্থবির ভাবহীনতার উর্বর ক্ষেত্রে ভীড় করে এসে ফাড়িয়েছেন মার্স, এঙ্গেলস, প্লিকান ভ, পেনিন, ট্রটক্ষিস্ট্যালিন, বুখারিন, ল্যাপিভাস, এমনকি কাউটস্কি, ক্রুপটকিন। আনুষঙ্গিক মূল সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ক্ষুধার্ত বিপ্লবীদের মুখে এনে পড়তে লাগল | বন্দীশিবির হল বিপ্লবী বিশ্ববিছ্ভালয়ে পরিণত |”

ভারতবর্ষের পটভূমিকা গ্েছে বিলুপ্ত হয়ে ফলে একদিকে নারদনিকি ওরফে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি উন্নানিকতা আর এক দিকে নবদর্শনের ক্ষেত্রভৃমির মুখাপেক্ষিত৷ তাদের কখনো আত্ম- দর্শনে স্বাবলম্বী করতে পারেনি কিন্তু ইতিমধ্যে -** |

১৯৩৪ খুষ্টাব্দের ৮ই মে দাঞ্জিলিংয়ের ঘোড়দৌড় মাঠে বাংলার গবর্নর স্যার জন এগ্ডার্নের ওপর বিপ্লবীদের আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায়। সাহেবী পোষাকে ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য রবীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় লাটসাহেবের ছ'পাশে এসে দাড়িয়েছিলেন ; গুলীও চালিয়েছিলেন | কিন্তু ব্যর্থ লক্ষ্য কোন আঘাত লাগেনি লাট সাহেবের সুরক্ষিত দেহে বিপ্লবীর! বন্দী হন

গান্ধীজী নিদারুণ নিন্দা করলেন এই প্রচেষ্টার এবং তৎকালীন কলকাতা করপোরেশনের ভদ্র কাউন্দিলাররাও।

অনাদরে অনশনে কারাগারে ফাসীমঞ্চে কত বিপ্লবীর বলিদান হয়েছে, কত জন পঙ্গু অশক্ত ভিথিরী হয়েছেন, কোন একদিন হয়তো এই অকৃতজ্ঞ পৃথিবীর কেউ হিসেব করবেন

আমি তাদের এপিটাফে শুধু এইটুকু লিখে রাখতে চাই £ একদা ৰাংলাদেশে প্রকৃতির অন্ধ তাগুবের মতো অপরিমেয় হৃদয়াবেগের অপ্রতিরোধ্য ঝড় উঠেছিল, বিগত এক শতাব্দী ধরে তা সঞ্চারিত হয়েছে। শেষ তরঙ্গের উত্থান শুরু হয়েছে ২৭-১৮এ, তীব্রতার চূড়ায় উঠেছে ১৯৩০-৩১এ, স্তিমিত প্রশমিত হয়ে এসেছে ১৯৩৩-৩৪এ। কিন্তু নিন্দা-দমন অতিক্রম করে এই প্রাকৃতিক শক্তিকে কজ 1! করার

ন্ট

মতো! কোনো শক্তিধরের আবির্ভাব ঘটেনি, যিনি বাস্তব প্রাণ- প্রাচুর্যের দর্শন-সৌকর্ষে একে সুন্দরতর করে তুলতে পারতেন ; প্রাণোচ্ছুল যৌবনের ডান হাতের রিভলভারকে অসত্য করে বঁ হাতের বিষটাই সত্য হয়ে উঠল; এই, এইখানে আত্মবিনাশী সেই ক্ষণায়ুর দেহ সমাধিস্থ_”

বলতে বলতে তিনিও যেন সমাধিস্থ হয়ে গ্রেলেন। নিষ্ঠুর অহিংসবাদী নন, অপরিসীম ন্েহ শ্রদ্ধা গর বিশুঞ্ষ ল্যাক্রিমাল গ্ল্যাণ্ডে আলোড়ন তুলেছে, বার্ধক্যয়নান চোখ ছুটিতে ছোট্ট ছুটি সরোবর

গর্দচ্মেণ্উ অন ই্ডিম্তা আ্যাহ্

আজকের মানুষটি গতকাল সন্ধ্যের মানুষটি নন। খুৰ স্বাভাবিক স্পষ্ট গলায় বললেন £ ১৯৩৫ এর সব চাইতে বড় কথা ইগ্ডিয়। বিল-_ গবর্মেন্ট অব ইত্ডিয়া র্যা

১ল। ফেব্রুয়ারী তার একটি ভারতীয় সংস্করণ বেরোলো! ; কমন্স সভায় ছ্িতীয় দফা আলোচনাকালে স্তার স্যামুয়েল হোড় ৬ই ফেব্রুয়ারী ঘোষণা করলেন, ভোমিনিরান স্ট্যাটাসই লক্ষ্য ; পুণ? চুক্তি মেনে নেওয়া! হল; ৫ই জুন কমন্সে তৃতীয় দফার আলোচনাও সমাপ্ত হল। ২০এ জুন লর্ড সভা! পাশ করে দিলেন ইগ্ডিয়! বিল।

নিয়ে বিশেষ মাথ! ঘামাবার কিছু নেই, এটুকু জানলেই যথেষ্ট ষে, স্তার স্তামুয়েল হোড়ের সে কথাই সত্য যে, সারমেষদের চেল্লা- চেল্লি নতেও ক্যারাভান চলে গেল; হোয়াইট পেপার, কম্যুনাল এওয়াড? পৃথক নিবাচন এবং গান্ধীর অনশন-স্থষ্টি বিস্ফোটক পুণা৷ চুক্তি নিয়ে ইণ্ডিয়! বিল হল ইণ্ডিয়া ফ্যাক্ট আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের “ইগ্ডিয়া উইন্স ফ্রীভম+।

এর চাইতে উল্লেখযোগ্য, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট লীগ প্রেসিডেন্টের সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন মীমাংসার ব্যর্থ চেষ্টা পক্ষান্তরে, মুসলিম লীগ মুসলিম কনফারেন্সের সফল মিলন-আলোচন!।

কম্যুনাল এওয়াড'-বিরোধীরা হিন্দু মহাসভ। বৃথাই হাত

৩৫৩ স্বাধীনতা--২৩

কামড়ে মরলেন | দিল্লীতে ২৩এ ফেব্রুয়ারী সি. ওয়াই চিস্তামনির' সভাপতিত্বে এক কম্যুনাল এওয়ার্ড বিরোধী সম্মেলন হল, নিন্দাত্বক- প্রস্তাব হল, কমিটি হল। কানপুরে ২০২২ এপ্রিলে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার ষোড়শ অধিবেশনেও কমুানাল এওয়াডে নিন্দা হল। বাংলাদেশের ঝিনাইদহে সারা-বঙ্গ অনুন্নত শ্রেণী সম্মেলনেও তার নিন্দা হল। পক্ষান্তরে, দিল্লীতে ২৪এ মার্চ ঢাকার নবাবের সভাপতিত্বে কম্যুনাল এওয়ার্ড কনফারেন্নে কিছু হৈ হট্গোল হলেও কম্যুনাল এওয়ার্ভকে 40010561-500106 06 ৪, £1597010 0005060- 00008] 10190171121” বলে আদর করা হয়েছিল। ইয়ামিন খ! এখানে একটি বড় বেয়াড়া প্রশ্ন তুলেছিলেন :

“0৫ ছা 3%09101 18869]. 10: 009 89661920670 009 10910798990. 01893 009861010 10 8110810 109 100 00 8০ 10£ 8,010195910081)6 01 6109 17017000-18105110) 01016 10101) 8৪ &, 0707:8 ৮:68] 00696101) ?”

প্রশ্নের জবাব দেবার কেউ ছিল না; কংগ্রেস তখন আমন্ন নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এবং গ্রান্ধীজী কংগ্রেস ছেড়ে যাবার কথ! ভাবছেন।

যয! আমি চমকে উঠলাম

তিনি বললেন, ধৈর্যং কুরু ধৈর্যং |

ক্ুংগ্রেসেন্স ইতিহাস লেহন

১৯৩৫ খুষ্টাব্দের ২৯এ জুলাই থেকে ১ল! আগষ্ট ওয়াকিং কমিটির অধিবেশন হয়েছিল এবং দেশের কল্যাণে ড: পট্টভি সীতারামায়াকে ধন্যবাদ জানানে। হল। তিনি “হিষ্তি অব কংগ্রেস" নামে একখানি বই লিখেছেন? তার পাওুলিপি প্রেসিডেন্টকে পড়তে দেওয়! হল; কংগ্রেসের ৫০ বছর পুত্তির স্মরণী হিসেবে এটি প্রকাশ করা যায় কিন! তাস্থির করার অধিকার তাকে দেওয়। হল। বল! বাহুল্য গান্ধী প্রশস্তির এই বইথানি মুদ্রন প্রকাশনের জন্য ৬০০০ টাকা'

মঞ্জুর হল। |

৯০৮৫]

কংগ্রেস বে সাংবিধানিক ক্ষমত1 দখলের জন্যও ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল এবং দেরী যে আর সইছিল না, ১৯৩৫ এর ১৭।১৮ই অক্টোবর, এ. আই. সি. সি-র মাদ্রাজ অধিবেশনে ত। প্রকট হল £

“নতুন সংবিধান অনুসারে সাধারণ প্রাদেশিক নির্বাচন হতে কিছু সময় কেটে যেতে বাধ্য; এই অন্তর্বতরশকালে রাজনৈতিক অবস্থা কি দাড়াবে তাও অনিশ্চিত; এসব কথা বিবেচনা! করে কমিটির অভিমত ঘষে, মন্ত্রিত্ব গ্রহণ কর! হবে কি হবে ন। বর্তমানে তৎসংক্রানস্ত কোন সিদ্ধান্তে আস]

৭006 0015 07900186019, 006 8180 10885188119 8700 10000011610 6০ 90109 (০0 80 09018101) 010 6109 00986107-7

আসলে কিন্তু ওরা মনঃস্থির করে ফেলেছিলেন শুধু জনমানসকে চমকে ন]৷ দেওয়ার জন্য এইটুকু বলা, তাই জনমনকে প্রস্তুত করার জন্য নিয়ে আলোচনার অবাধ অবকাশ করে দিলেন £

416 888108 700 0016061012 60 006 00936101 7081708 918008890 115 609 00010675,9

গাহ্ীজীন্প কংগ্রেস ত্যাগ ৫১!

নিস্তরঙ্গ এই ১৯৩৫এ একট অভিমানক্ষুন্ধ হতাশার ঢেউ তুলেছিলেন স্বয়ং গান্ধীজী_যে কথ! শুনে তুমি এইমাত্র চমকে উঠলে। গুজব একট! রটেছিল বা রটছিল। তার নিরমন করে গান্ধীজী ১৭ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ধাগঞ্জ থেকে এক দীর্ঘ বিবৃতি দিলেন ; এই বিবৃতির সবটাই তুমি পট্টভির ভায়েরীতে পাবে, আমি শুধু ওর অন্যতম একটি কারণ এখানে চয়ন করছি : “] 11879 81002060 6136 10110986100. ০৫ 67৪ 9001%1156 £:001), 21805 01 69200 89 98106069000 8811-8901190108 ০০ 0:87. ড1৮0 ৪1] 68019, 1 0086 [01008706068] 01097910065 16) 60900 00 609 020£820008 00101157060 170 60612 8060001:190 10810020196, 80৮ ] ০0] 008, 19590001608

[0028] 107685076 ] 1087 1১9 8015 60০ 63:96) 90027698 &09 80980 06 10688 10107000050 10. 6৮91: 116926008- [0088

৩৫

1006 11067279 1600 1096 93075881010 01 60086 80658, 100 7959 01568866810] ৪801025 01 61060 106 60108, ] 6065 £511 89091008100 00 606 000£199, 8৪ 1095 91] 105১ ] 0821006 791108110 11) 6106 00108688707) 60 09 20, &০৮1%6 00790916102 81)0010 109 0106131009016

মোটামুটি কথ! হল, তিনি তার ভাবধার! থেকে পৃথক সমাজবাদী ভাবধার। বরদাস্ত করতে পারছিলেন না; তার চোখের সামনে সমাজবাদীর প্রাধান্য বিস্তার করছেন, এমনও আশঙ্কা যে, তার নিরম্কুশ আধিপত্য ক্ষন হতে পারে, তেমন অবস্থায় তার পক্ষে কংগ্রেসে থাক। সম্ভব নয়; কেননা, বিরোধিতা! তিনি কোন কালে সহা করেন নি, এখনও করবেন না। সুতরাং তিনি সমাজবাদীদের «সম্মানিত আত্মত্যাগী” বলে তুলে ধরে কর্মপন্থার নামে আছড়ে মারলেন | হয় ওঁরা থাকবেন, নইলে “আমি কংগ্রেসের ইতিহাসে গান্ধীজীর এই অভিমান একবার শয় বারকয়েক ঘটেছে এবং প্রতিবারই তিনি তার মূল্য বাড়িয়ে নিয়েছেন আর হতবাক্‌ জনসাধারণের কাছে সহচরেরা তার অপরিহার্ধতা প্রতিপন্ন করেছেন কংগ্রেল কখনও তাকে বাদ দিয়ে চলেনি, তিনি ক্রমশ:ই কংগ্রেন প্রতিষ্ঠানের উর্ধে থেকে কংগ্রেদকে তার পথে চালিয়েছেন |

অথবা, সত্য, কংগ্রেস তথ। ভারতীয় রাজনীতিতে যে মন্থন রোমস্থন চলছিল তারই এক অভিব্যক্তি। কমুযুনাল এওয়াডকে ভিত্তি করে মুসলিম রাজনীতি আলোড়িত হয়েছে ; হিন্দু রাজনীতি দিধাগ্রস্ত বিচ্ছিন্নগতি নিয়েছে ; কংগ্রেসে নির্বাচন মন্ত্িত্বপন্থীর জোটবদ্ধ হয়ে চলেছেন এবং সমাজবাদী-দাম্যবাদী-আপোবষরিরোধী সংগ্রামী অংশগুলোর ক্রমাপসারণে চাপ দিয়ে চলেছেন।

১৯৩৬-এ ভারতের আকাশে সমাজবাদের একটা ধেশয়াকুগুলী উঠছিল | মার্চ মাসের ১৯-এ তারিখে বোস্বাইয়ে কংগ্রেসকমীদেরই নবসংবিধান-বিরোধী সম্মেলনে এক প্রস্তাবক্রমে খুব জোর দিয়ে বলা হল £ নববিধানে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করলে ডা জাতীর ম্বাধীনভা-

৩৫৬

লক্ষ্যের এবং শাসনসংস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষিতনীতির পরিপন্থী হবে। ২২ তারিখে করাচীতেও এর প্রতিধ্বনি হয় |

কিন্ত ধার! জোটবদ্ধ হয়ে মন্ত্রিত্বের দ্কে এগোচ্ছিলেন তারা সতর্ক থাকলেও এদিকে খুব বেশী কর্ণপাত করেন নি; কর্ণপাত করেছিলেন খোদ জওহরলালের সমাজবাদী ধণাচের কথাবার্তায় এতে কিছুকাল চায়ের পেয়ালায় তুফান উঠলেও প্রবক্তারই পরবর্তী আচরণে ত। প্রশমিত হয়ে যায়।

১৫ই মে বোম্বের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে জওহরলাল বলেছিলেন, তার যদিও এই দৃঢ় নিশ্বাস যে, ভারতবর্ষের হূর্গতি নিরাকরণের একমাত্র নিদান সমাজবাদ; তবু তিনি এই অভিমত কংগ্রেসের ওপর কেউ চাপিয়ে দেয় তা চান না।

কিন্ত জওহরলাল সমাজবাদ সম্পর্কে যতটুকু বলেছিলেন তা-ই চায়ের পেয়ালায় তুফান ওঠবার পক্ষে যথেষ্ট হয়েছিল। বোম্বে ২১ জন নেতৃস্থানীয় বণিক এক যুক্ত ইস্তাহার মারফত জওহরলালের 'ভারতে সমাজবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার সানুকুল প্রচার” সম্পর্কে আশঙ্ক। প্রকাশ করলেন ১৮ই মে; ২*শে মে আরও একজন মুখ্য ব্যবসায়ী ভারতে 'মমাজবাদের বিকাশে আফসোস করলেন ৩০শে মে জওহরলাল ভার সমাজবাদী প্রত্যয়ের পুনরাবৃত্তি করলে স্যার কাওয়াসজী জাহাঙ্গীর অভিযোগ করলেন, নেহরুর সমাজবাদী কথ। আদলে সাম্যবাদ প্রচারেরই আড়াল মাত্র (051)£ 9০001811970 &5 & 50012-5066] 601 (02000012156 01002521209) |

“৩১এ মে দৈত্যাকার ধোয়াকুগ্ুলী দেখে নেহরু একটু ঘাবড়ালেন। পাঞ্জাবের কৃষকের! তাকে কাস্তে হাতুড়ী উপহার দিলে তিনি বললেন, তিনি চান না তার মব-কিছুই রুশিয়ার অনুকরণ করুন। পাঞ্জাবের বণিকের! তাকে জানালেন যে, তার মতবাদ নিরক্ষর গ্রাম বাসীদের পক্ষে বিপজ্জনক। লাহোরের ব্যবসায়ীরাও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ওয়া জুন, আর যে নেহরুর সহকমীঁদেরও মনঃপৃত নয় তার অভিব্যক্তি হল ৬ই জুন। চূড়ান্ত হুল বখন গান্ধীজীরই-

৬৫৭

গোপন পরামর্শক্রমে রাজেন্দ্রপ্রসাদ, রাজাগোপালাচারি, জয়রামদাস দৌলতরাম, যমুনালাল বাজাজ, বল্লভভাই প্যাটেল, জে. বি. কপালনী, এস. বি. দেব পদত্যাগের হুমকি দিয়ে এক চরম পত্র দিলেন। তাতে তারা লিখলেন £ “কংগ্রেন আজও সোস্তালিজম্-এর নীতি নেয়নি। এই অবস্থায় কংগ্রেসের প্রেলিডেন্ট এবং ওয়াকিং কমিটি; আর সমাজতন্ত্বী সদন্যর। যদি পোস্তালিজম্-এর নীতি ব্যাখ্যায় প্রচারে মুখর হয়ে ওঠেন, তবে দেশের অমঙ্গল ঘটবে এবং আমর! বিশ্বাস করি যে, স্বাধীনতা-সংগ্রামের পথে একাজ অনর্থ স্যপ্টি করবে ।?

পত্রের এই অংশটুকু তোমায় আমি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবতাঁর “নেতাজী সঙ্গ প্রদঙ্গ' থেকে পড়ে শোনালাম, তিনি অনুবাদ করেছেন “বাঞ্চ অব লেটার্ঁ” থেকে

গান্ধীজীর চেষ্টায় এই যে ঘরোয়া-ঝগড়া, গান্ধীজীর হস্তক্ষেপে তা মিটেছিল এবং জওহরলাল সতর্ক হয়ে গেছিলেন। সত্য- মৃতি স্পষ্টতঃই, ১লা জুন জানালেন, তিনি ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিকার উৎসাদনের বিরোধী এবং ২২এ নবেম্বর বললেন, ধারা এখনই সমাজবাদের কথা বলেন তারা কংগ্রেসের শক্র।

নির্বাচনে মুক্তি পথ

কিন্তু কংগ্রেসের কারও সঙ্গে শত্রতা নেই), কোন কোন বিষয়ে বিরোধিতা আছে মাত্র কংগ্রেম তাই ১৯৩৬এ ১২-১৪ই এপ্রিলে উনপঞ্চাশতম বাৎসরিক অধিবেশনে একই সঙ্গে গবর্নমেন্ট অব ইগ্ডিয়! ক্্যাক্টের বিরোধিতা র্যাক্টের অন্তভূর্তি নির্বাচনে সহযোগিতার এক- বিমিশ্র প্রস্তাব গ্রহণ করল। অথব৷ প্রস্তাবের প্রথমাংশটুকু দংগ্রামী জনসাধারণকে এবং দ্বিতীয় অংশটি মন্ত্িতব-পিয়াসীদের তুষ্ট করার জন্য নথিভুক্ত কর! হল।

বাবু রাজেন্দ্র প্রনাদ-উত।পিত এই প্রস্তাব সোস্তালিই সর্দার শাদুজি সিং কবিশেরের সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে গৃহীত হয়

খ্রি,

'ঝোস্বা ইয়ে ১১।১২এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় মুদলীম লীগের চতুখিংশ 'অধিবেশনেও ঠিক একই ছাচে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

মাস চারেক পর বোশ্বাইয়ে ২২২৩ আগ্টে এ. আই. সি. সি-র 'অধিবেশনে গৃহীত এক সুদীর্ঘ নির্বাচনী ইস্তাহারের সার কথ। হল 'আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থনের আবেদন কেন?

“13861009] 11519 0900%009 16, [09 56 10: 1700992- 09209 08,119 101 16.১,

হাস্তকর মনে হয় না, সত্য ? কিন্তু সেদিন তা হয়নি | ১৯৩৬এর ২৭/২৮ডিসেম্বরে কংগ্রেসের ৫০তম অধিবেশন হয়েছিল ফৈজপুরে ; জওহরলাল প্রেসিডেন্ট ৩০এ ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচনী হৈ হুল্লোড়ে ভারতের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত-_-সেই হোয়াইট পেপার-_ জয়েপ্ট পার্লামেন্টারী রিপোর্ট-ভিত্তিক কম্যুনাল এওয়ার্ড কলঙ্কিত নববিধানে আসন নিয়ে কাড়াকাড়ি__ক্ষমতা চাই, ক্ষমত1 কুহভ্োসেন্র নির্বাচন্ন সাফল্য গ্রে পেল সে ক্ষমতা প্রথমে ছ'টা, পরে সাতটা প্রদেশে কংগ্রেস রাজত্ব কায়েম হল, কিন্তু “সংগ্রামী জনতার” দিকে তাকিয়ে সহসা ঘোমটা ফেলে নাচতে রাজী হয় নি। কংগ্রেসের নির্বাচনে মন্ত্রিতঘধগ্রহণে এই দ্বিধাগ্রস্ততা কাটাতে মৌলানা! আবুল কালাম আজাদ তার “ই্ডিয়। উইন্স ফ্রীভমে” কৃতিত্ব দাবী করেছেন £ 41196590৮02 60০ 00105551785 €0 155 1908০] 98211750006 050108:595 621]5 16100021506 60 0012055 005 €1900025 2৮ 21]. ১৯৩৫-এর ভারত আইনে প্রাদেশিক স্বায়ত্ব- শাসনেয় বিধান ছিল। কিন্তু পরমান়্ে পড়েছিল মাছি। জরুরী অবস্থ) ঘোষণার অধিকার ছিল গবর্ণরের হাতে। তা করলে গবর্মমেন্ট সংবিধানও প্রত্যাহার করে সব ক্ষমতা নিজে নিতে পারবেন। ন্ুৃতরাং প্রদেশে প্রদেশে গণতন্ত্র তদ্দিনই চলতে পারে বঙ্দিন' গবর্ণর. লে অন্ভুমভি দেবেন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের

“মতরাং এতে বিস্ময়ের কিছু নেই ষে, কংগ্রেস যেখানে দেশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে সেখানে সে এই ব্যবস্থার প্রতি বিরুপভাব অবলম্বন করবে ।..***আমি কিন্তু ভিন্ন মত পোষণ করতাম ।******শেষ পর্যস্ত আমার মতই গৃহীত হয় এবং কংগ্রেস নির্বাচনে যোগ দেয় ।”

“নতুন আর এক মত পার্থক্য দেখা দেয় কংগ্রেস নেতৃতে। নির্বাচনে যোগ দিলেও একাংশ মন্ত্রিত্ব গ্রহণের বিরোধী হলেন

সম্পর্কে পট্টভি বলছেন £ |

“ও ৪1 ০0৮ 01 91978] [0:05171099১ 61)8 08 6109 নিন 11) & 109182165 ০010 2006 60000 06809 "1010 & 1091 01 60088.”

এত ঘ্বণ! মন্ত্রিত্ব গ্রহণের ব্যাপারে ! কিন্তু আজাদ বলছেন £ «এ ব্যাপারে আমিও বিপরীত অভিমত পোষণ করেছি এবং বলেছি ০০০৭ গবর্নরের সঙ্গে সংঘর্ষ যদি বাধেই তবে তার মোকাবিল। করতে হবে ।."*আর যদ্দি কংগ্রেসকে চলে আসতেই হয় তো জনসাধারণের কাছে কংগ্রেসকে তা বলিষ্ঠতরই করে তুলবে ।” |

“কিন্ত গবর্নরেরা তর্কাবদানের জন্য অপেক্ষা করেন নি। কংগ্রেসের ছিধাচিত্ত লক্ষ্য করে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলকেই মন্ত্রিত্বগঠনে আমন্ত্রণ জানালেন। ফলে, অকংগ্রেপী কোথাও কোথাও কংগ্রেসবিরোধীরা অন্তবর্তাকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করলেন। কংগ্রেসের এই অনিশ্চয়তা সাধারণ কংগ্রেদসেবীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করল ।"*"***বড়লাটের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাকালে 'এই কথাটি বের করে আনার চেষ্টা হল যে, গবর্নরের। মন্ত্রিদের কাজে বাধার হ্যপ্টি করবেন না। বড়লাট: অবস্থাটা বুঝিয়ে বলার পর ওয়াক্কিং কমিটির কোন কোন সদস্তের ম্তিত্ব গ্রহণের অনুকূলে মত-পরিবর্তন হল ।”

কেন, বড়লাট কথা দিয়েছিলেন বুঝি ?

মোটেও না আসলে বাধাটা ছিল নিজেদের মধ্যেই আমি তোমায় বলেছি, সত্য, নেতৃবৃন্দ অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা! না করে এমন

৩৬৩

মঘ্ চরম কথা ব'লে ফেলতে অভ্ভ)স্ত ঘে, পন্ে তার তাল সামলানে। দ্বায় হয়! মৌলান। আজাদ সে-কথাই বলজেন £ “কংগ্রেল গ্রবর্নমেণ্ট অব ইঙিয়। য্যাক্ট ৰা ভারত আইন সম্পর্কে বারংবার এমন সব কঠোর বাক্য প্রয়োগ করেছে ষে, নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেও কেউ তা মুখ ফুটে বলতে সাহস করেছিলেন না। জওহরলাল ছিলেন তখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণের বিরুদ্ধে এমন সুস্পষ্ট অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, তার পক্ষে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করার কথা বল! ছিল ত্যন্ত কঠিন। ওয়ারধায় যখন ওয়াফিং কমিটি বসণ তখন দেখলাম বাস্তব অবস্থার সম্মুখীন হতে সকলেরই কেমন আনচ্ছা। তাই আম স্পই ভাষায় বললাম, কংগ্রেসের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ কর। কর্তব্য কিছুক্ষণ আলোচনার পর গান্গীজা আমাকে মমর্থন করলেন এবং কংগ্রেস প্রদেশে প্রদেশে মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল ।”

শ্নিলাস্ম লাজ্যজ্ভল

১৯৩৭এ গৃহীত প্রস্তাবট। ছিল এই রকম £

“স্থতরাং কমিটি এই সিদ্ধান্তে আসছেন এবং স্থির করছেন যে, যেখানেই আমান্ত্রত হবেন সেখানেই কংগ্রেসকমীদের তা গ্রহণে অনুমতি দেওয়া হবে ।” সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সংগ্রামী কথাটাও জুড়ে দেওয়া হল যে, গ্রহণ আইনটিকে বাতিল করার জন্যই |

সত্য, গল্প হলে বলতাম, অতঃপর তার! সুখে শান্তিতে সংসার যাত্র। নির্ব(হ করতে লাগলেন কিন্তু ইতিহাস গল্প নর, ফুরোয় না, নটে গাছটিও মুড়োয় না, ইতিহাস অবিচ্ছিন্ন, এর শেষ নেই।

নিবাচনের ফলাকল দেখে কংগ্রেস ওয়াফিং কমিটি খুবই খুনী হয়েছিল কিন্ত জেদটুকু ছাড়ে নি। প্রথম প্রস্তাবটি হয়েছিল বিস্ময়কর সাড়া! দেবার জন্ত জাতির উদ্দেশে অভিনন্দন জানাতে

£]71)2 ৬৬ 0111175 0070107105 001051:76019255 01021721010) 013. 169 ডা01)06110] 155901356 €0 ৮০ ০৪1] 07০ (0008993

৩৬১,

00100 006 2608৫ 0৮০6০:৮-এয় দ্বারা জনলাধারণের কংগ্রেস নীতির প্রতি আমুরক্িই প্রকাশ পেয়েছে, প্রকাশ পেয়েছে নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধাচয়ণ বিনাশের জঙ্গ তাদের সঙ্কল্প এবং সংবিধান পরিষদের মাধ্যমে এক স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভার মাহায্যে সকলের ছূর্গতিভার দূর করার আকাক্ত। 1”

ৰোম্বাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন বি. জি. খের, মাদ্রাজে রাজাগোপালাচারি, যুক্তপ্রদেশে গোবিন্দ বশ্ুভ গন্থ, বিহারে প্রীকৃফ সি'হ। দি. পিতে এন. ৰি. খারে, উড়িস্তায় বিশ্বনাথ দাস। আর, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ডাঃ খান সাহেব। |

কোস্তালিশনের ব্যতি্র্মণ্ড ?

শেষেরটা আলাদ] করে বললেন যে?

এর জবাবটা দিন জিন্নাজী ।£তিনি ১৯৩৭-এর ১৫-১৮ই অক্টোবর লক্ষ্ষৌয়ে অনুষ্ঠিত অল-ইওডয়া মুলিম লীগের পঞ্চবিংশ অধিবেশনে কংগ্রেসের মন্তরিবগঠন-নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন £

৪016 06021)0 23 11051506100 21016 900: 081 200 6015০215০00] 00115 2150 110010966 1105117) 1:28506 7 কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মতো! যেখানে দেখল সংখ্যা- গরিষ্ঠতা নেই সেথানে সমগ্টিগ্নত দায়িত্বের পবিত্রনীতি গেল উবে, অচিরাৎ যে-কোন গপের সঙ্গে জোট-বাধার অনুমতি দেওয়া হল।?

অবশ্য, জিন্নাজীর অভিযোগ সবাংশে মত্য নয়; বাংলাদেশের বেলায় ধদের কঠোর নীতির কোন ব্যতিক্রম হয়নি; তাহলে ফজলুল হকের নেতৃতে বাংলাদেশে কংগ্রেস-কৃষক প্রজা-কোয়ালিশন হত এবং ফজলুল হক লীগে যোগ না! দিলে পাকিস্থান হাদিল হত কিন! সন্দেহ |

কিন্তু চকংগ্রেসের মতি ছিল ইতিহাসের এই গতির একান্ত বিরোধী

১৯৩৭এর ১৫ই অক্টোবর এতাবং লীগ-বছিভূর্ভি এবং পৃথক

তই

00178 006 150৮ 21500025--*এয় দ্বার! জনলাধারণের কংগ্রেস নীতির প্রতি আমুরক্কিই প্রকাশ পেয়েছে, প্রকাশ পেয়েছে নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধাচর়শ বিনাশের জন্ট তাদের সঙ্কল্প এবং সংবিধান পরিষদ্দের মাধ্যমে এক স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভার নাহায্যে সকলের ছূর্গতিভার দূর করার আকাভক| 1?

বোশ্বাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন বি. জি. খের, মাদ্রাজে রাজাগ্োপালাচারি, যুক্তপ্রদেশে গোবিন্দ বল্লপভ পন্থ, বিহারে শ্রীকফ সি'হ,। দি. পিতে এন. বি. খারে, উড়িষ্যায় বিশ্বনাথ দাস। আর, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ডাঃ খান সাহেব |

জ্লেম্ালিশ্শনেল্স ব্যতিজ্রু্মণ্ড ?

শেষেরটা আলাদ। করে বললেন যে?

এর জবাবটা দিন জিন্নাজী ।*তিনি ১৯৩৭-এর ১৫-১৮ই অক্টোবর লক্ষৌয়ে অনুষ্ঠিত অল-ইগডয়! মুনলিম লীগের পঞ্চবিংশ অধিবেশনে কংগ্রেসের মন্ত্রিহগঠন-নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন

“11০ 021070870. 825 17515062100 201012 5001 02165 2100 017557921 ০01 001105 2100 11010010506 71051171295 ; কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মতো! যেখানে দেখল সংখ্যা- গরিষ্ঠত৷ নেই সেখানে সমষ্টিগত দায়িত্বের পবিত্রনীতি গেল উবে, অচিরাৎ যে-কোন গপের সঙ্গে জোট-বাধার অনুমতি দেওয়া হল।”

অবশ্য, জিন্নাজীর অভিযোগ সবাংশে সত্য নয় ; বাংলাদেশের বেলায় ওদের কঠোর নীতির কোন ব্যতিক্রম হয়নি; তাহলে ফজলুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশে কংগ্রেস-কৃষক প্রজা-কোয়ালিশন হত এবং ফজলুল হক লীগে যোগ না দিলে পাকিস্থান হাসিল হুত কিন! সন্দেহ

কিন্তু ঠকংগ্রেসের মতি ছিল ইতিহাসের এই গতির একান্ত বিরোধী

১৯৩৭এর ১৫ই অক্টোবর এভাবং লীগ-বহিতূর্তি এবং পৃথক

পরিচয়ে নির্বাচিত পাঞ্জাব বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছু'জন জিদ্না- পরিচালিত মুসলিম লীগে যোগ' দেন। এই সভারই সবপ্রথম ইসলামের পতাকা উত্তোলিত হয় এবং জিলানী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে 'তীত্র আক্রমণ চালান |

২৩শে অক্টোবর বহরমপুরে সারা বাংল! মুসলিম সম্মেলন হয় ; উপস্থিত থাকেন ফজলুল হক, নাজিমুদ্দিন, কাজেমালি মীর্জা এখানে জিন্নাজী ঘোষণ! করলেন £

40201161981] 7009: 15 ৪, 009: 61786 আ1]] ৪81820810০0 7917819, ০016076 ০0: 181009,£9. বি 18 দ7096 9 ৪29 9720৮" 176 10:,%

“আর, লোকে বলে আমাদের দলে নাকি সব নবাব, নাইট, জমিদার, তালুকদার ওটা আপনাদের ধেশক দেবার জন্য। নইলে কংগ্রেন কি? বিরলাদের কথা, বড়-বড় মিল মালিক আর কোটাপতিদের কথ! কে বলবে-্যারা কংগ্রেসের নীতি নিয়ন্ত্রিত করে থাকেন ??

&লন্দেমাতব্্‌্*

আগে লক্ষৌয়ে, পরে বহরমপুরেও মুসলমানের “বন্দেমাতরম্‌” সঙ্গীতে আপত্তি তুললেন পক্ষান্তরে পুনায় 'বন্দেমাতরম্‌ রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করা হল। কিন্তুইতিমধ্যে ১৪-১৭ই আগষ্টে ওয়ার্ধায় ওয়াকিং কমিটি ওর প্রথম ছুটি স্ট্যাঞ্জামাত্র গাইতে অনুমতি দিলেন ২৯-৩১ অক্টোবরে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এ. আই. সি. সি'তে জওহরলাল ছুটি স্ট্যাঞ্জার কথা বলেই ক্ষান্ত হলেন না। একথাও ঘোষণা করলেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে শেষ ছটি স্ট্যাঞ্জার বিরোধী, এজন্য তিনি ছুটি উচ্ছেদের দাবী করেছিলেন

কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্বী মুসলিম লীগের সাফল্য শুধু ছুই প্রদেশের মৃখ্যমনত্রী-ট্রফিলাভেই সীমাবদ্ধ নয় বা বন্দেমাতরমের অঙচ্ছেদেই নয়। এম. এ. জিল্নার মুসলীম লীগে সকল মুসলিম দলের অস্তভূক্তির প্রচেষ্টা নফল হল পাটনায়, অর পার্টিুলোও যোগ দিল লীগে

িউিকি

সতা, হোয়াইট পেপার, জয়েন্ট পার্লামেন্টারী রিপোর্ট, কমনাল এওয়ার্ড, সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে নির্বাচনী লড়াই, দলগত “পবিভ্রত।” রক্ষা করে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ ইত্যাদি ঘটনার মধ্য দিয়ে মুসলিম লীগের উত্তরোত্তর 'ভ্রীবৃদ্ধি হতে লাগল; আর কংগ্রেস একই সঙ্গে মুখে সংবিধানের অস্ত্েষ্িক্রিয়। সম্পাদনের কথা' বলে কাজে নিষ্ঠার সঙ্গে সংবিধানের জাতককে স্নেহযত্বে লালন করে চলল পরিশেষে সংগ্রামের কথাটি যতই ন্ুদূরপরাহত হতে লাগল; ততই মুসলিম লীগের সঙ্গে সসঝৌতায় আসবার জন্য একটা উৎকণ্ঠার সঞ্চার হতে লাগল। মৌলানা আজাদ বলেছেন “সাম্প্রদায়িকতা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি ঘটনাই আমার কাছে এসেছে আমার বাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এবং পূর্ণ দায়িত্ব বোধ নিয়ে বলতে পারি, মিঃ জিন্না মুনলিম লীগ মুদলমান' অন্যান্য সংখ্যালঘুর প্রতি যে সব অবিচারের অভিযোগ করেছেন সেসব একান্ত অপত্য এসব অভিযোগের একটিতেও যদি লেশমাত্র সত্য থাকত, আমি তান্র প্রতিকারের চেষ্টা করতাম) এজন্য আমি, দরকার হলে পদত্যাগের জন্যও প্রস্তুত ছিলাম |” |

জিজ্ঞাস! করলাম : ভারতবর্ষে এই যে এত সব ক্রিয়াকাও হয়ে চলেছে এর মধ্যে স্ুভাষচন্দ্রের তো! উপস্থিতি দেখছি নে

না, তিনি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত এবং ভারতীয় রাজনীতির এই এক অন্ততম ট্রাজেডি ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ অবধি ভারতীয় রাজনীতির প্রত্যক্ষ ক্ষেত্রে সুভাষচন্দ্র অনুপস্থিত-__ইউরোপে নিব্পসিত। তিনি অবশ্য নিষ্ক্রিয় ছিলেন ন1। কিন্তু স্বদেশের কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে থাকা না-থাকার রাজনৈতিক পরিণাম যে কি তা! ট্রটক্কি-স্ট্যালিনের বেলায় যা হয়েছিল, স্থভাষ-গান্ধীজীর বেলায়ও তাই হয়েছে পাঁচ বছরের অনুপস্থিতি সুভাষচন্দ্রের পায়ের নীচে দেশের মাটীকে যতখানি শিথিল করেছে, গান্ধীজীর পায়ের মাটী তত মজবুত করেছে ; তবু ঘে সুভাষচন্দ্রের বিদ্রোহে অনেকের পায়ের মাটী কেঁপে উঠেছিল সে কেবল স্ুুভাষচন্দ্রের অসাধারণ সংগঠন শক্তিতে স্বদেশে পাচ বছর

অনুপস্থিতির খেসারত দিতে দিতেই স্ুভাষচন্দ্রের শক্তি শেষ হয়ে, গেছল! তারপর ১৯৪০এর পর একেবারেই ৰিলীন হয়ে গেলেন

১৯৩৪ এর শেষ ভাগে ইউরোপে থাকতে সুভাষচন্দ্র লিখেছিলেন “ভারতের সংগ্রাম” বইখানি | সঙ্গে সঙ্গে বৃটিশ সরকার বইথানির ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন। তারপরও ছুটো বছর গড়িয়ে গেল। নিরুপায় হয়ে সুভাষচন্দ্র ১৯৩৬এর মার্চ মাসে ভারত গবর্নমেণ্টকে স্বদেশে ফেরার ইচ্ছ। জানালেন গবর্মমেন্ট বললেন, সাবধান, এদেশের মাটীতে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার | সুভাষচন্দ্র বেপরোয়। | গবর্মমেন্টও বেপরোয়া ১৯৩৬এর ৮ই এপ্রিল স্বদেশে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হলেন। ১৯৩৭এর ১৭ই মা কারামুক্তি পান। কিন্তু তদ্দিনে ভারতের সাংবিধানিক ভাগ্য স্থির হয়ে গেছে সাতটি প্রদেশে কংগ্রেস শাসন-সিংহাসনে আমান। সুভাষচন্দ্র আবার চিকিৎসার জন্য ১৯৩৮এ ইউরোপ রওন। হয়ে যান।

সুভ্ভানচক্ড্রেক্স পুননক্প।গন্মনন

ভারতীয় রাজনীতিতে একটা অত্যাশ্চর্য ঘটন। হল। ১৯৩৮এর ১৮ই জানুয়ারী কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারী ঘোষণা করলেন, সুভাষচন্দ্র বস্তু সবসম্মতিক্রমে মভাপতি হয়েছেন সুভাষচন্দ্র তখন লগ্নে একি করে সম্ভব হল? কংগ্রেসের প্রেমিডে্ট মনোনয়ন, উত্থান-পতন সবই গান্ধীজীর ইচ্ছাধীন ছিল একথা সেকালে কে ন৷ জানত 11015 ৮1010 ৪319৮ এবং স্ুভাষের প্রতি তার'মনোভাবও অনুচ্চারিত, অস্পষ্ট অবিদিত ছিল না। তবু একি করে সম্ভব হল? আমি মনে করি, সত্য, নিয়ে গবেষণ! বৃথা | হয়তো এও তার একটা 62796117606 10, 006. ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার নির্মম অক্ষালনীয় চিহ্ন আছে; যে আমার-তোমার গবেষণার অপেক্ষা রাখে না। অধবা একটা বছরের অপেক্ষা মান্্। যে সময় অর্জনের মতো অনুল্লেখ্য এক ব্যক্তিকে সম্মুখে

৩৬৫

যেখে স্বভাষের উদ্দেশে তৃণীর শুষ্ঠট করেছিজেন, কিন্ত অঙ্গনের মতো তীম্মদেবকে পরাজয়-সৃত্যুতে শেষ করতে পারেন নি। পক্ষান্তরে, ববনিকার আড়াল তুলে পরাজয় ত্বীকার করতে হয়েছিল সে স্বীকায়োক্তিও সছদ্েস্ট-প্রণোদিত ছিল না। প্রণম্া গান্ধী- জীবনের সে কলহ্ক আজও আমায় অসুশোচনায় ভরিয়ে দেয়

ল্ুভ্ভাম্বচত্দ্রেল্প অপল্াশেল্স ব্লেকর্ড

১৯৩৮এ কংগ্রেদের প্রেসিডেন্ট হয়ে সুভাষচন্দ্র আনলেন এক নতুন সথর। গান্ধীজী বা গাস্বীপন্থীদের দৃষ্টিতে সব চাইতে বড় অপরাধ হয়েছিল চরকা-খন্দর-গুড়-লকড়ির বদলে তিনি করেছিলেন এক প্র্যানিং কমিশন কংগ্রেসের সমগ্র ইতিহাসে বদি কোন জাতীর সংগঠনাত্মক কাজ হয়ে থাকে তো সে এই ভারতবর্ষের যাবতীয় সম্পদের সদ্বাবহারের উদ্দেশ্যে মজবুত ভিত্তিতে সুভাষচন্দ্র সমবেত করেছিলেন রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্া-বিরহিত বিজ্ঞানীদের গান্ধী-পরিচালিত নেতৃবৃন্দ যখন কম্যুনাল এওয়ার্ড-বিষাক্ত রাজ্য শাসনের খাদে পড়ে মিথ্য। সংগ্রামের ঘণ্টা বাজিয়ে চলেছেন তখন এমন একটি প্রকৃত দায়িত্বের কাজ তাদের বিরক্ত না করে পারেনি

“মহানায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র” বইয়ের লেখক শিশির দাস লিখেছেন : “সতীশ দাশগুপ্ত কুমারাপ্পা ছিলেন এই (পরিকল্পনা) কমিটির গান্ধবাদী সদস্য কিছুদিন বাদেই সতীশ দাশগুপ্ত কুমা়াপ্প1! পরিকল্পনা কমিটি কুটিরশিলেও রিছ্যুৎ ব্যবহার করতে চাক, তাতে হিংসা! আসবে--এই অজুহাতে কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন--কারণ গান্ধীজীর অহিংসাবাদী সেবকরূপে ভার! যে কাজে কিপার গন্ধ পাওয়। যাবে, তাতে সম্মতি দিতে পায়েন না|”

শিশির দাশ তান বইয়ে বিরোধেক় কারণ লিখতে গিয়ে সুভাষ- চক্রেরই উক্তি উদ্ধত করেছেন, আমি তোমায় সেটি পড়ে শোৰাই :

“বটেনেত্ বিরুদ্ধে কগ্রেসকে আপোম-বিরোধী করে ভুলতে কংগ্রেস বব্তাপতিরূপে ঘথালাধ্য চেষ্টা কয়েছি। খাস্বী-শিষ্তের।

ভঙ্গন বৃটেনের লঙ্গে আশোবের চেষ্টা করছিলেন এবং তার এতে অসন্ধঃ হয়েছিলেন। ১৯৩৮এক শেষ ভাখে জাতীয় উন্নয়ন শিল্পোক্নতির গ্ল্যান রচনার জন্ত জাতীয় প্ল্যানিং কমিটি গঠন করি। মহাত্মা গান্ধী শিল্পোক্নতির বিরোধী ছিলেন বলে এতে আরও অসন্তষ্ট হুলেন। ১৯৩৮এর সেপ্টেম্বরে মিউনিক চুক্তির পর ভারতীয় জন- সাধারণকে আসন্ন সংগ্রামের জন্য প্রস্তত করতে ভারতব্যাপী প্রচারকার্য চালিয়ে যেতে বলি) জনসাধারণের মনঃপৃত হয়েছিল কিন্তু গান্ধীবাদীর। অসন্তষ্ট হচ্ছিলেন। কারণ, তাদের মন্ত্রিত্ব এবং পার্লামেপ্টারী কাজে বাধা স্গ্থি হয় তারা চাননি এবং এসময় কোনরূপ জাতীয় সংগ্রামে তাদের আপত্তি ছিল।?

এবাবস ফ্িল্পাও ভালে

স্থতরাং, তারা স্থির করে ফেলেছিলেন যে, স্ুভাষচজ্জকে দ্বিতীয় বার কংগ্রেসের হাল ধরতে দেওয়া হবেনা নেপধ্য আয়োজন চলতে লাগল স্ভাষচন্দ্রকে প্রতিহত করার

ব্যাপারে স্বয়ং পট্টভি কি লিখেছেন ?

বলি,শোনো £ “হঠাৎ অপ্রত্যাশিত ঝড় উঠল ত্রিপুরী অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদকে কেন্দ্র করে। ১৯৩৮এর শেষ নাগাদ জান। গেল যে, স্থভাষচন্দ্র এবারও প্রেসিডেণ্ট হবার অভিলাষ পোষণ করছেন

“1[1)6 0688179, 000651) 60 000611209 60 106 70178910606 ০01 608 00108:955 17) 90008688300 ০56: 6৮০ 5৩৬5 0660. 100৮ 08 206$- ৪১৪০ 0 2 09:6100187 98500. 11 8 910818] 1080 [01981060 601306, 61090 8৪ 109098089 1088 18609) 0৫081181)) 0681150. 18 &% &]] 9086৪ 10 1939, 6189 1086100 0689179 1% [10050 10 1956, 00 0018 09687508908 03:800101]1 0681790 1৮ ৪৪ 71500761878 2000605 16৪,7

«লেখককে গ্ান্থীজী বলেছিলেন, মৌলানা গররাজী হলে তাকে ( লেখককে ) কাটার মুকুট মাথায় ভুলতে হতে পারে। ঘোষণার দেখা গেল তিনজনের নাষ, শেষেরচি লেখকের এবং তার

এখন

'আসছে' মভাপতির নাম। সুভাষচন্দ্র, মৌলানা! আজাদ আর পটভির নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। সভার কাজ শেষ করে কলকাতায় ফিরতে নাফিরতে নেত! জানতে পারলেন এক বিন্ময়জনক ঘটন| | আবুল কালাম আজাদ নিজের নাম প্রত্যাহার করে সমর্থন করেছেন ডাঃ পট্টভিকে। সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন-*-কংগ্রেস- প্রতিনিধেদের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন ডঃ পট্টভিকে সমর্থন করেন

“......এই 'মৌলানার সঙ্গে পাশাপাশি বমে কেটেছে দুটো! দিন! অথচ ঘৃণাক্ষরে জানতে দেননি তার মনের গোপন কামন11”

১৯৩৯-এর ১৭ই জানুয়ারী ডঃ পট্ভি সীতারামায়া সংবাদপত্রে এক বিবৃতি দিলেন £ [015 00৮55 10 016 0086] 1256 062 1)0171718660 25 ৪0210010969 101: 07০ 77591001071." "আমি প্রতিদন্দিতা থেকে আগার নাম প্রত্যাহার করতে চাই।

কিন্তু বিবৃতিটি পরক্ষণেই প্রত্যাহৃত হয়েছিল। কারণটা জানা গেল ২০এ তারিখ প্রকাশিত মৌলানা আবুল কালাম আজাদের এক বিবৃতিতে

“আমি আমার নাম প্রতাাহার করব না ধারণ। করে ডঃ নীতারামায়া তার নাম প্রতাহারে উদ্যত হয়েছিলেন। শেষ পর্যস্ত আমি তাকে বোঝাতে পেরেছিলাম |

আজাদ কিন্তু তার বইয়ে প্রেসিডেণ্ট নিরাচনের সমগ্র ব্যাপারটাই চেপে গেছেন

মৌলান! আজাদের নাম প্রত্যাহারে ওতার বিবৃতিতে সুভাষচন্্র একট জবাব দেওয়! প্রয়োজন বোধ করলেন। “এ বিষয়ে

আলোচনাকালে অযথা বিনয়-নঅতা প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই, কেন ন1 বিষয়টি ব্যক্তিগত নয়। ...আমি এখন পর্যন্ত একজন ডেলিগেটের কাছ ধেকেও আমার নাম প্রত্যাহারের প্রস্তাৰ বা

পরামর্শ পাইনি; পক্ষান্তরে। আমার অভ্্াতমারে এবং আমার সম্মতির অপেক্ষা না রেখেই কয়েকটি : প্রদেশ থেকে আমাকে

৩৬উ

'স্বাধীনতা- ২৪

অক্ঞাতদারে | ' তিনি তাস প্রতটাহাঁর করলেন ।: কিন্ত 'মৌলার্পীঘ অনুরোধে ভার মত পরিবর্তন করতে হয় মৌলানা কেন মনোনয্ম প্রত্যাহার করলেন, তা মৌলানাই জানেন 'এবং হয়তে! জানেন গান্বীজী |” | চা নি

এদিকে পরিকল্পনা! কমিশন-প্রসাদে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের আশরীরবাদের আলে। এনৈ পড়েছিল স্থভাষচন্দ্রের' ওপর | নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রব্তাঁ তার “নেতাজী সঙ্গ প্রসঙ্গ” বইয়ে “বাঞ্চ অব লেটার” থেকে দেখিয়েছেন “১৯৩৯-এর কংগ্রেস সভাপতির পদে পুনরায় স্ভাষচন্দ্রকে মনোনীত করবার জন্য রবীন্দ্রনাথ শ্রীঅনিল চন্দকে দিয়ে জহরলালের নিকট অনুরোধ পত্র পাঠিয়ে ছিলেন বলেও ছিলেন- এবং বলেছিলেন খুব জোর দিয়ে-_যে পরিকল্পন। পরিষদের মত একটা নতুন গুরুতর বিষয় সাফল্য-মণ্ডিত করতে হলে স্ুুভাষের তো দ্বিতীয়বার সন্ভাপতি হওয়। খুবই প্রয়োজনীয় |”

উৎকগ্ঠায় গান্ধীজীকেও চিঠি দিয়েছিলেন কবিগুরু তিনি গান্ধীজীরও গুরুদেব বটেন কিন্ত রাজনীতিতে শিষ্য গুরুর এই হস্তক্ষেপ" পছন্দ করছিলেন না। তিনি জওহরলালকে যে চিঠি দেন সেটি তোমার “নেতাজী সঙ্গ প্রসঙ্গ” থেকেই পড়ে শোনাই £ “গুরুদেব যে চিঠি পাঠিয়েছেন লোক-মারফত, তা তোমাকে পাঠালেম। আমি উত্তর দিয়েছি। বাংলায় বড্ড বেশি ছুর্নীতি দেখা দিয়েছে এর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হলে ওর মুক্ত থাক। প্রয়োজন সভাপতির কাজের বাইব্পে না থাকলে কাজ হবে না।..তিনি নিশ্চয়ই তোমাকে লিখবেন) অথবা! বিষয়ে তোমার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তখন তোমার মতও তুমি জানিয়ে! |” নরেন্দ্র নারায়ণ টাকা! করেছেন, “গর অর্থ সুভাষ |? তোমাকে আরও খানিকটা পড়ে শোনাব নরেঞ্জ নারায়ণের বই থেকে £ |

“১৯৩৮-এর শেষ ওয়াফিং কমিটির সভা: বসে ওয়াধণয় নতুন বছরের সভাপতি নির্ধাচন করতে হবে| মানা প্রদেশ থেকে

৩৮৮

আসছে, সভাপতির নাম। সুভাষচন্দ্র, মৌলানা! আজাদ আর পট্রভির নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। সভার কাজ শেষ করে কলকাতায় ফিরতে না-ফিরতে নেতা জানতে পারলেন এক বিশ্ময়জনক ঘটনা আবুল কালাম আজাদ নিজের নাম প্রত্যাহার করে সমর্থন করেছেন ভাঃ পট্টভিকে। সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন**'কংগ্রেস-

প্রতিনিধেদের কাছে আমার আবেদন; তারা যেন ডঃ পট্টভিকে সমর্থন করেন

«....১.এই 'মৌলানার সঙ্গে পাশাপাশি বসে কেটেছে ছুটো দিন! অথচ ঘৃণাক্ষরে জানতে দেননি তার মনের গোপন কামনা”

১৯৩৯-এর ১৭ই জানুয়ারী ডঃ পট্টভি সীতারামায়। সংবাদপত্রে এক বিবৃতি দিলেন £ [6 19 10079 10 00০2 03216] 1722 10221 10101179150 25 2. 08170010906 0 16 11695102009151*"আমি প্রতিদ্বন্ৰিত। থেকে আনার নাম প্রত্যাহার করতে চাই।

কিন্তু বিবৃতিটি পরক্ষণেই প্রত্যান্ুত হয়েছিল। কারণটা জানা গেল ২০এ তারিখ প্রকাশিত মৌলানা আবুল কালাম আজাদের এক বিবৃতিতে £

“আমি আমার নাম প্রতাহার করব না ধারণা করে ডঃ নীতারামায়! তার নাম প্রতাহারে উদ্যত হয়েছিলেন। শেষ পর্যস্ত আমি তাকে বোঝাতে পেরেছিলাম |”

আজাদ কিন্তু তার বইয়ে প্রেমিডেপ্ট নিবাচনের সমগ্র ব্যাপারটাই চেপে গেছেন

মৌলান। আজাদের নাম প্রত্যাহারে ওভার বিবৃতিতে সুভাষচন্দ্র একটা! জবাব দেওয়া প্রয়োজন বোধ করলেন “এ বিষয়ে

আলোচনাকালে অধথ। বিনয়-নম্রতা প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই, কেন না বিষয়টি ব্যক্তিগত নয়। ...আমি এখন পর্যস্ত একজন ডেলিগেটের কাছ থেকেও আমার নাম প্রত্যাহারের প্রস্তাব বৰ!

পরামর্শ পাইনি; পক্ষান্তরে, আমার অভ্ঞাতসারে এবং আমার সম্মতির অপেক্ষা না রেখেই কয়েকটি - প্রদেশ থেকে আমাকে

৩৯

স্বাধীনতা ২৪

যনোনীত কর! হয়েছে; সমাজবাঙ্গী অলমাজবাহী নকলের কান্ছ থেকেই অন্ুয়োধ আসছে আমি বেন সরে না দাড়াই। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উত্তেজনা ফেডায়েশন প্রশ্ে সংগ্রাম সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিভেন্টরূপে আমার সেবাতায়, নেবার দাবী বগি ওঠে আমি কি ধুক্তিতে নিজেকে প্রত্যাহার করব ?”

হন্রনিক্কা উত্তোলন | ওয়াকিং কমিটির সদস্য পরিচয়ে প্যাটেল, রাজেজ্জ প্রসাদ, দৌলতরাম কৃপালনী এবার পর্দা সরিয়ে দেখ! দিলেন এবং বললেন, “স্থৃভাষবাবু দেখছি নতুন নজীর স্থ্টি করছেন ; ভা অবশ্য তিনি করতে পারেন ; কেবল অভিজ্ঞতায়ই এর যৌক্তিকতা প্রতিপর হতে

পারে। তবে আমাদের এবিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। “যখন মৌলানা! আজাদ তার নাম প্রত্যাহার করা স্থির করেন,

তখন তিনি আমাদেরই পরামর্শক্রমে ডঃ প্টভির সান্গুকুলে বিবৃতি

দেন। আমরা মনে করি) বিশেষ অবস্থার উদ্ভব না হলে একই প্রেসিডেন্ট পুননিব্ণাচিত হবেন না এই নিয়ম মেনে চল! খুবই সমীচীন ডঃ পষ্টভি প্রেসিডেণ্ট হবার যোগ্য পাত্র”

তারিখেই সুভাষচন্দ্র এক পাণ্টা বিবৃতিতে বলেন, এই প্রথম শুনলাম যে, ডঃ পট্রভিকে দাড় করানোর সিদ্ধান্ত অনেক আলাপ আলোচনার পর কর! হয়। আমার তো নয়ই, আমার অন্য সহ- কর্মীদেরও এই দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার খবর জানা নেই স্বাক্ষর- কারীর! নিজেদের ওয়াফিং কমিটির সদস্য ৰলে পরিচয় না দিলেই

ভাল করতেন। |

২৫এ জানুয়ারী সর্দার প্যাটেল নুভাষচন্দ্রের বিবৃতিকে +207082106% বিশেষণ-ভূষিত করলে ২৬এ সুভাষচন্দ্র প্যাটেলের

বিবৃতিকে 40221281016 00100£655107” বলেন তাদের পরামর্শ বৈঠকে ছিলেন, গান্ধীজী, জওহর তিনি নিজে উল্লেখ করে বলেন, “13 11006 50751150280 10260561056 19651427

৮৬

101 056 00061 20610001506 052 00100101665 1006 205৭ 0018 29০৩৮ 0025 ?? |

ইতিমধ্যে ডঃ পষ্টতি ২৫এ জানুক্কামী ঘোষণ। করেন যে, তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার. করছেন না। ২৬এ জওহরলাল এক বিবৃতিতে বলেন। কেডায়েশন নির্বাচনের কোন ইন্ুই নয়। স্ৃভাষচক্্র বললেন £ ফেডারেল ক্যাবিনেটের সম্ভাব্য তালিক৷ পর্যস্ত প্রস্তুত ! ২৭এ স্বভাষচন্দ্র আরও একটি বিবৃতি দেন ; ২৯এ বেরোয় নির্বাচন ফলাফল | আমার এখন আর অস্কটা মনে নেই। গ্রীশিশির দাসের বইয়ে দেখছি ১৬৯-১৩৭৭ ভোটে সুভাষচন্দ্র জিতেছেন ; আমি বূপেন মিত্রের য়্যানুয়াল রেজিষ্টার-এ পাচ্ছি ১৫৭৫-১৩৭৬। শিশির দাস বলেছেন, বাংলা দেশের ৮ণজন স্ভাষচক্দ্রের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, মিত্রের হিসেবে দেখছি ৭৯জন। মিত্র এক জায়গায় বলেছেন মহাকোশল বাদে ২১টি ভাষাভিত্তিক প্রদেশ ভোট দিয়েছে, বিস্তারিত হিসেৰে দিচ্ছেন ২০টি প্রদেশ |

দোড়াইন্ু বিশ্বসভা সাতে

ফলাফল প্রকাশের ছ-দিন পর ৩১এ জানুয়ারী গান্ধীজী এক চমকপ্রদ বিবৃতি দিলেন £

41, 900101595 173096 1395 80116ড50 02015456 ৬10601:5 ০5০19 00016101001. 02055010 91291008558. আমাকে স্বীকার করতে হবে আমি নিঃসন্দেহে তার (সুভাষের) পুননির্বাচনের বিরোধী ছিলাম এর কারণ বলা আমি দরকার বোধ করছি নে। তার সব ইন্তাহারে তিনি যে সব তথ্য বা যুক্তি দিয়েছেন তার সঙ্গে আমি একমত নই। তথাপি আমি তার জয়লাভে আনন্দিত এবং যেহেতু ডঃ সীতারামাক্সার নাম প্রত্যাহার না করার মধ্যে আমার হাত আছে এজন্য পরাজয় তার চাইতেও বেশী আমার-_113৩ 06286 15 20016 151)6 0132 135. পরাজয়ে আমি উল্লনিত। ১০০০০০০০৯66 8] 590085 8890. 25 006 9 60910

৭৯

06175 ০০92, যাই হোক, সুভাষবাবু তার দেশের শক্র নন। | বিবৃতিকে পট্টভি “এঁতিহাসিক” আখ্য। দিয়ে বললেন £ দেশে নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল €11]9)9 8৪ 58201010001 179508) ৪, 2৪৮01061000 10 10031610108,

[07039 100 1080 ৮06৪0 60১ 30001799 17380] 09079 00 জা]. ৪.

17991) 06806 01 00205097009 10 0%00171]1 800. (98001710128 16809191011)... ... [16 0118108,] 06106 6০০08101809 00. 6109 2096 0800, 1939. 16210 9৪]: 16 1009৮ ৪৪ 0100051) 6810193 69 60090...........,0788090 8 5100:96101 ৪1605961197 01097018019 101 6179 0৪15 819069ণ. 778980906.....

তোমায় বলব কি, সত্য, গান্বীজীর মন্তব্য শুনে সেদিন আমার অহিংস সততায় দাবদাহ ঘটেছিল গান্ধীজী যখন ভারত-শক্র ইংরাজের প্রথম ইউরোপীয় যুদ্ধের ভারতীয় সৈন্য সংগ্রহের গৌরবে ভূষিত তারও অনেক আগে বাংলাদেশ অনেক রক্ত ঢেলেছে দেশমাতৃকার চরণে ; দেশপ্রেমের বেদীমূলে গান্ধীজী একান্তই নবাগত ; তার কাছে প্রমাণপত্র নিয়ে বাংলাদেশের স্ুভাষচন্দত্রকে দেশপ্রেমিক ন! দেশের শক্র তা স্থির করে নিতে হবে? সেদিন আমার কাছে সেই প্রণম্য মহাত্মা বড্ড ক্ষুত্রে বড্ড সাধারণ প্রতিপন্ন হয়েছিলেন ! তার অহিংসায় নাকি হিংসার স্থান নেই; পরাজয় মেনে যদি তিনি দেশ-নিবাচিত নেতাকে মেনে নিতেন, একথা স্বীকার করতাম। তার প্রতিহিংসাপরায়ণতা সেদিন বড্ড বেশী প্রকট হয়েছিল। তিনি অদম্য ক্রোধবশে কংগ্রেস নির্বাচকমগ্ডলীকে পর্যন্ত বোগাস বলেছিলেন |* একথা স্মরণ করতেও আমি উত্তেজিত হয়ে উঠি। কিন্তু তোমায় বলেছি, বেদনা নইলে ইতিহাসের স্বাদ থাকে না! গতিও থাকে না।

নির্বাচনের পর ২রা ফেব্রুয়ারী সুভাষচন্ত্রের সঙ্গে জওহরলালের দেখ! হয়েছিল শান্তিনিকেতনে ; আলোচনাও হয়েছিল | ফয়সালা

% মহানায়ক নেতাঞ্জী হভাষছত্ত্র, পৃঃ ১১৩

৩৭২

কিছু হয়নি ধারা সুভাষচন্দ্রের পুননিবণচনে ভোট দিয়েছিলেন তারা কলকাতায় এমে ফেডারেশন রে দৃঢতর মনোভাব অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিলেন।

কংগ্রেস ওয়াকিং চর বাধ়োজন চারানীনিরা আজাদ, শ্রীমতী নাইডু, পণ্ডতত জওহরলাল, মর্দার প্যাটেল, বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ, যমুনালাল বাজাজ, জয়রাম দাস দৌলতরাগ, ভুলাভাই দেশাই, পট্রভি সীতারামায়া, আবদুল গফফর খান; হরেকুঞ্চ মহতাব, জে. বি. কপালিনী কমিটির নদস্তপদ থেকে এক মাসের মধ্যে অব্যাহতি চাইলেন ১০ই ফেব্রুয়ারী কিন্তু এক মাসের ত্বরাও সইল না, ২২এ ফেব্রুয়ারীই পদতাগ করুলেন। ইতিমধ্যে জওহরলাল ২০এ ফেব্রায়ারী গান্ধীজীর সঙ্গে দেখ। করেই সম্ভবত এটি ত্বরাম্থিত উ. করেছেন ২৬এ সুভাষচন্দ্র এঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন

যদদও স্থভাষচন্্র এদের নমবেত শক্তির সমকক্ষঃ কেনন। এ'দের প্রকৃত শক্তি ছিল বাইরে, তবু অতিরিক্ত কার্ষভারে সুভাষচন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৪ঠ মার্চ; জ্বর উঠল ১০৪ ডিগ্রীতে। স্বভাবতঃই ডাক্তার নিষেধ করলেন ত্রিপুরী গিয়ে ৫২তম কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে নিষেধ শুনলেন না। কিন্তু অনুস্থতাবশতঃ এ. আই. সি. সি. বা বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে যোগ দিতে পারলেন না৷ এবং এদিকে মহাত্মার অহিংস সত্যের উপকরণে অভিমন্ত্যুর বক্ষ লক্ষ্য করে তারা যে মৃত্যু-শেল তৈরী করেছিলেন “নিক্ষম্প্র” হাতে গ্রোবিন্ন বল্লভ পন্থ তাই নিক্ষেপ করলেন £

গু) 0008:555 0801869 165 (শা) 8017619009 60 60৪ 10098- 1006069] 00110868 ০0 6106 00061995 10101) 19589 £05%91080. 165 0:08900009 110 006 0886 66065 59815 21006) 609 £108009 01 1681190009, (80011 800 15 060016915 €0% 606 0010102 096 00919৪00010 08 00 10268 10 81959 1001108695 &130

৩৭৩.

চেয়ারট৷ ও'দের পক্ষে দখল করলেন মৌলান1 আখুল কালাম আজাদ এবং এই নুযোগ্ক তারা নিয়ে এলেন পন্থ-প্রন্তাব। সুভাষচন্দ্রের সভাপতিত্ব কংগ্রেস-বহিভূতি গ্রান্ধীজীর ইচ্ছা-রজ্জুর সাতপাকে বাধতে এবং এক্ষেত্রে আর একবার প্রমাণিত হল কি চোরা- বালির ওপর তথ!কধিত ব।মপন্থী কাঠামে। দাড় করানে হয়েছিল।

মর্মান্তিক পন্থ-প্রস্তাবের মনার্ঘ কি ছিল? বলা হল; গান্ধীর প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা আছে এব্‌ংগ'ন্ধীজীর ইচ্ছান্ুমারেই সভাপতি সুভাষচন্দ্রকে ওয়াকিং কমিটির সদস্ত মনোনীত করতে হবে। |

বাঃ! ১৯৩০এ না এরাই

ধীরে, রঙ্গনী। ধীরে হা) এাই। এই স্ৃভাষচন্দ্রকে বাদ দেবার জন্যই বলেছিলেন ক্যাবিনেট দিনটেমের কথা এবং বলেছিলেন, মভাপতির অনিচ্ছায় কাউকে মভাপতির ওপর চাপিয়ে দেওয়! যায় না। এবার লোক-নিব্ণচিত সভাপতি ন্তুভাষচন্দ্রকে পন্থু করার জন্য একেবারে বিপরীত প্রস্তাব গৃহীত হল কার স্বার্থ ইসারায় অনুমান করা শক্ত নয়। গান্ধীজী জওহরনালকে বিষয়ে সাহায্য করতে বলেছিলেন; 1তনি বিশ্বন্ততার সঙ্গে সে কাজ সম্পন্ন করে- ছিলেন।

বড়ল।উ-গাহ্ষীজী সাক্ষাহ্

ত্রিপুরীতে সুভাষ-নিধন পালার প্রথম অঙ্কে যবনিকাপাত হতেই গান্ধীজী ১৫ই মার্চ নয়া দিল্লীতে গেলেন বড়লাটের সঙ্গে কথা কইতে? ছু'ঘণ্টা আলাপ হল। রাজকোট নামক একটি ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্য নিয়ে যথেষ্ট বান্পের স্থষ্টি করেছিলেন। হয়তে! সেজন্যই

তবে ১৯এ মার্চ গ্ান্ধীজীর সঙ্গে নেহরু, প্যাটেল, পন্থ ভুলাভাই দেশাইর যে বৈঠক হল, তা যে ব্রিপুরী-বিজয়-কাহিনীমুক্ত ছিল না, পম্থজীর নামটিই ভার নিঃদংশয় প্রমাণ। এবং স্থির হ'ল এবার ডাকতে বা ভাকাতে হবে এ. আই. সি. সি.| অহিং মতেও আহত পশু অপেক্ষা নিহত পণ্ড নিরাপদ

৭৬

নির্বাচনের ধরণ দেখে আমি এই কথাই মনে করিষে, দৃয়্ থেকেই "আমি দেশের সেবার আরও বেশি করে নিজেকে নিগ্নোজিত করতে ' *পারবো ।...আশা করি বিষয়ে তুমি আমাকে সাহাধ্য করবে। অধিবেশনে যোগ দিতে তুমি কিন্তু আমায় বাধ্য করে! না |? [70610117261 আ10 010000800 চলেছে, সত্য, আচ করে ছিলেন, সুভাষচন্দ্র মোক্ষম কথ। বলতে পারেন এবং বললেনও, এঁ স্টঁচারে শায়িত অবস্থায়ই £ “[খ)6 61709 1088 90209 10: 09 60 19159 6109 18509 ০1 9818]

809. 80107016 00086107081 0910907. 60 606 7137161910 00560- [0610 10 0109 100) 01 01610096000.

এ-কথাই প্রস্তাবাকারে উত্থাপিত হল। কিন্তু এ-যাবং ধার! দক্ষিণপন্থীদের নিন্দায় নিজেদের সমাজবাদী বা প্রগতিশীল বলছিলেন অথব1 ধারা ভোট দিয়ে সুভাষচন্দ্রকে সভাপতি করেছেন তাদের মধ্যে এই প্রথম সন্ত্রস্ত ভাব দেখ৷ দিল, তারা প্রস্তাব দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে মিলে নাকচ ক'রে দিলেন

স্বভাষচন্দ্রের পীড়। নিয়ে দক্ষিণীমহলে অনেক ঠাট্রা বিদ্রপ অবিশ্বাসের ঢেউ খেলেছে, কেউ কিছু গ্রোপনও করেন নি। বলেছেন, পলিটিকাল ফিভার। অভার্থনা সমিতির ডাক্তার পর্যস্ত__ স্বীকার করতে চান নি।

“পরে করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন কর! হল তারই পরামর্শে। বোডের সভ্য হলেন সেপ্টাল প্রভিন্স বেরারের সিভিল হাসপাতালের ইনস্পেক্টার জেনারেল; ভাইরেক্‌- টার অৰ পাবলিক হেলথ; আর জববলপুরের মিভিল সার্জেন। এরা যুক্ত বিবৃতি দিলেন রোগী সম্পর্কে। রোগ সত্যি এবং সাংঘাভিকও 1”

বিশ্বান করেন নি, কিন্তু সুুভাষচন্দ্রের অসুস্থতার পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন বিষদ্ধাচাক্মী নেতৃবৃন্দ এক পঙ্ক্তিতে বসবেন ন1 বলে:ষে মঞ্চ থেকে তারা জোষ্টবন্ধ হয়ে নেমে এসেছিলেন তারই কভেটেবল

* নেতাজী সঙ্গ প্রল্জ

চেয়ারট৷ ও'দের পক্ষে দখল করলেন মৌলান। আবুল কালাম আজাদ এবং এই সুযোগ তার! নিয়ে এলেন পন্থ-প্রস্তাব, সুভাষচন্দ্রের

সভাপতিত্ব কংগ্রেল-বহিভূ্তি গান্ধীজীর ইচ্ছা-রজ্জুর সাতপাকে বাধতে | এবং এক্ষেত্রে আর একবার প্রমাণিত হল কি চোরা- বালির ওপর তথা কধিত ব।মপন্থী কাঠামে। দাড় করানে। হয়েছিল।

মর্মান্তিক পন্থ-প্রস্তাবের মনা কিছিল? বলা হলঃ গান্ধীজীর প্রতি তাদের পুর্ণ আস্থা আছে এবংগান্ধীজীর ইচ্ছান্ুারেই সভাপতি সবভাষচন্দ্রকে ওয়াকিং কনিটির সদস্ত মনোনীত করতে হবে।

বঃ। ১৯৩০এ না এরাই

ধীরে, রজনী, ধীরে হ্যা, এ্রন্নাই। এই স্ুভষচন্দ্রকে বাদ দেবার জন্যই বলেছিলেন ক্যাবিনেট সিনটেমের কথা এবং বলেছিলেন, সভাপতির অনিচ্ছায় কাউকে সভাপতির ওপর চাপিয়ে দেওয়। যায় না। এবার লোক-নির্বাচিত সভাপতি ন্ুুভাষচন্দ্রকে পঙ্গু করার জন্য একেবারে বিপরীত প্রস্তাব গৃহীত হল কার স্বার্থ ইসারার অনুমান করা শক্ত নয়। গান্ধীজী জওহরপালকে বিষয়ে সাহায্য করতে বলেছিলেন ; 1তনি বিশ্বস্ততার সঙ্গে সে কাজ সম্পন্ন করে- ছিলেন।

বড়ল।উ-গাক্দীজী সাক্ষাত

ত্রিপুরীতে সুভাষ-নিধন পালার প্রথম অঙ্কে যবনিকাপাত হতেই গান্ধীজী ১৫ই মা নয়াদিল্লীতে গেলেন বড়লাটের সঙ্গে কথা কইতে ; ছু'ঘণ্টা আলাপ হুল। রাজকোট নামক একটি ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্য নিয়ে যথেষ্ট বাম্পের স্থষ্টি করেছিলেন হয়ত! সেজন্যাই |

তবে ১৯এ মার্চ গান্ধীজীর সঙ্গে নেহরু, প্যাটেল, পন্থ তুলাভাই দেশাইর যে বৈঠক হল; তা যে ব্রিপুরী-বিজয়-কাহিনীমুক্ত ছিল না, পন্থজীর নামটিই তার নিঃসংশয় প্রমাণ এবং স্থির হ'ল এবার ভাকতে বা ভাকাতে হবে এ. আই. সি. সি. | অহিংস মতেও আহত পশু অপেক্ষা নিহত পশু নিরাপদ |

৭৬

সুভাষচন্দ্র ওয়াফ্িং কমিটি গঠন বা! এ. আই. নি. সি'র অধিবেশন আহ্বানের বিলম্বের একটা কৈকিয়ং দিতে গিয়ে বললেন, বুঝতে পারছি নে, গঙ্থ প্রস্তাবটি আমার পদত্যাগের উদ্দেশ্যেই কর! হয়েছে কিনা। গ্ান্ধীজীকে এজন্য চিঠি লিখে চলেছেন।

তারপরের দিন, ১৮ই এপ্রিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ আচার্- প্রফুল্লচন্দ্র একটা নিষ্পত্তির জন্য গান্ধীজী সুভাষের কাছে তার পাঠালেন।

ইতিমধ্যে বড় ছুঃখে সুভাষচন্দ্র জওহরলালকে এক চিঠি লিখে- ছিলেন £ “সমগ্রভাবে নিবাচনী ছন্ছটাকে যদি ধর] যায়, তাহলে লোকে কি একথা ভাবতে পারে না যে, প্রতিদ্বন্দিতা শেষ হবার পর সমস্ত তিক্ততার অবসান ঘটবে এবং মুষ্টিযোদ্ধার ন্যায় যুদ্ধশেষে সকলেই হেসে করমর্দন করবে? কিন্তু তোমাদের সত্য এবং অহিংস! সত্বেও ইহা ঘটে নি। খেলোয়াড়ী মন নিয়ে তোমরা নির্বাচনের ফল গ্রহণ কর নাই, তোমরা আমার বিরুদ্ধে অন্তরে অভিযোগ পোষণ করে প্রতিহিংনা নিতে আরম্ত করেছ। ওয়াকিং কমিটির অন্যান্য সদস্তদের পক্ষে তুমি আমার বিরুদ্ধে লগুড় ধারণ করেছ, সে অধিকার অবশ্য তোমার আছে ।""*ওয়াফিং কমিটির সদস্তের] আমার (সভাপতির ) অনুপস্থিতিতে বৈঠক করে আমাকে না জানিয়ে পট্টভিকে সভাপতি পদে দাড় করানোর নিদ্ধান্ত কি অন্থায় হয়নাই? আমার নির্বাচন দেশের পক্ষে ক্ষতিকর সর্দার প্যাটেলের এই উক্তি কি অন্যায় হয় নাই? ভোট ক্যানভাসের জন্য বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীমগ্ডলীকে ব্যবহার কর] কি অন্যায় হয় নাই 17

জওহরের জবাবে মোদ্দা! কথাট। দ্রাড়িয়েছিল £ “আমার মনে হয়, প্রকৃতিগতভাবে আমরা কতকট। বিপরীতমুখী এবং জীবন সমস্ত সম্বন্ধে আমাদের ধারণ। এক নয়।”

* “মহানায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র”

ঙপ৭

শরচ্জেস্থ লাপুজী

জওহর গান্ধীজীকে চিঠি লিখলেন £ বর্তমান সমস্যা আলোচনার জন্যে স্বভাষ আমাকে ডেকেছেন ।""*"*আমার না? বলবার উপায় নেই কিন্তু তাকে কী বলবে তাও আমার কাছে স্পষ্ট নয়। বর্তমানে ওয়াকিং কমিটির সদস্যদের নাম স্থির করবার সম্পূর্ণ ভার আপনার ওপর ছেড়ে দেবার পরামর্শ ছাড়া আমি তো আর কোন পর রশ তাকে দিতে পারছিনে। তিনিও ছু-একজনের নাম না-বলতে পারেন তা নয়, কিন্তু একথ! তাকে স্পষ্ট করে বলতেই হবে যে সে- নাম আপনি ইচ্ছে করলে রাখতে পারেন আবার অগ্রাহাও করতে পারেন | ভবিষ্যৎ-কর্নপন্থার কথাও আছে। ত্রিপুরী কংগ্রেসের প্রস্তাব ব্যাপারে স্থির নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। অতীতের পারম্পর্য আর কর্মন্চী মানতে হবে,ভার বাইরে যাওয়া চলবে না। স্থভাষ যদি এতে রাজী হন? তাহলে দায়িত্ব আপনাকে নিতেই হবে |7%%

শিশির দাস তার বইয়ে এই প্রসঙ্গে হিউ টয়'এর যে মন্তব্য উদ্ধত করেছেন আমি তাই তোমার পুনরুদ্ধার করে শোনাই £

“6 8৪ 20069. 1015 9600730. (01:010£ 00109. [119 1186 00৪ দয0010. 10859 018110909 1780 10990 0109 798016 ০0: 8 13216181) 1010851069 100৬ 16 ত৪/৪ 0106 10108608 01 1019 070 0601019, 1018 ০, 90020080950: 106 1780. 199910 0610000:8610811% 9199960. 10 10918181708 60০ 0:800101:8 1001011399 ) 179 তা9৪ 7:98106206 108016 ০01 608 আ1]1] 01 0800101 ,........7019 0000181 10 177800869 1090 10980 1970190. 05১ 17)60509, 11606069006 0019 8911096 1711078817 1)0% 8,£%17086 609 09120001807 12100 1080. 810660. 1017)

গ্াদ্ধীজীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অনেক পত্রালাপ হয়েছে এই নিয়ে।

গান্ধীজী অনায়াসে যে স্তরে নেমে বলতে পেরেছেন ৪62: 211 176

19 106 1 10610% 0 006 ০0000, নুুভাষচন্দ্র সে স্তরে নামতে ** “নেতাজি সঙ্গ প্রসঙ্গ

১০০৪

পারেন নি, তার মাঙ্জিত, বাঙাজীর রূচিবোধ বিনয়-নভ্রতা। স্ুভাষ- চন্দ্রের চিঠিগুলোকে করে তুলেছিল স্গিঞ্ণ। সে পরত্রাবলী পাঠের স্থযোগ করে নিও তুমি সত্য আমার কাছে কিন্তু অনেক পত্রে স্ভাষের বিনয়াতিশয্য আত্মসমর্পণের প্রবণতা বিরক্তিকর লেগেছে, সে সব তুমি পড়ে নিও ।* এর শেষ কথ! হচ্ছে, গান্ধীজীর কঠিন অনমনীয়তায় কোন মীমাংসায় পৌছানে। যায়নি। গান্বীজী জানতেন; আবেগপ্রবণ লোকেদের কোন কোন নার্ভ অত্যন্ত দুর্বলও থাকে, তার ওপর অবিরাম চাপ দিতে থাকলে একবার আর্তনাদ উঠবেই, ছেড়ে দাও, ছেড়ে দিচ্ছি।

আসলে ছুটি বিপরীত আদর্শের সংঘাত চলেছিল, ব্রিপুরী তার শীর্যারোহণ এবং ৩০শে এপ্রিল-১লা মে তারিখে কলকাতা ওয়েলিংটন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত অল ইগ্ডিয়া৷ কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে তার অবতরণ। স্ভাষচন্দ্র নিরুপায়বোধে পদত্যাগ করলেন। সুভাষচন্দ্রের সাদর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে গান্ধীজী ছিলেন সোদপুরে ; স্থভাষচন্দ্র সেখানে গিয়েও তার সঙ্গে এই নিয়ে আলাপ করেছেন ২৭এ এপ্রিল; পরদিন আরও ৭জন প্রাক্তন ওয়াকিং কমিটি সদস্যের সঙ্গেও কিন্ত কোন মীমাংসায় পৌছোনোধায়নি। প্রত্যেক আলাপের মর্ষকথ! ছিল নি£সর্ত আত্মসমর্পণ

ওস্মেতিহউন্নে অসন্ত্যেন্তি কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ারের এ. আই. সি.সি.-মঞ্চে ২৯এ এপ্রিল বিচিত্র দৃশ্যের অবতারণার পর এত দীর্ঘদিনের দীর্ঘায়ত আলোচনার সারাংশ উদঘাটিত হল। স্তুভাষচন্দ্র সভাপতি পদ ত্যাগ করতে গিয়ে গান্ধীজীর এই জীবন-বাণী পড়লেন £

“0108 5০0 ০) ঘ?9ও 800 1000ঘ7176 10 ০০ 809. 03050601006 10600106:5 (01 609 010 ভা 0:108 00001016699 )

ক. “সর্বসাকুল্যে ৪৯ খান! পত্র এবং টেলিগ্রাম নেতা! গান্ধীজীকে লিখেছিলেন। ন্তোর প্রতিথান। পত্রের ছত্রে ছত্রে আছে সৌজন্ত, ধের্য গান্ধীজীর ওপর অপরিসীম শ্রদ্ধার পরিচয় ।” --নেতাজি সঙ্গ প্রসঙ্গ।

৩৭৯

01116 10 10015026068], ১6 889708 6০ 005 6086 211 885৪ 5০৫ 087088 16 জয0010 06 ০৪3 10019081100, 00 ড0৩, 9001) 09178 006 0886 500 &1৩ 7:66 60 01508 00: 601010)16696.”

কিন্তু পন্থ-প্রস্তাব তো! দেই প্রতিবন্ধক ন্যট্টি করার জন্যই | স্থভাষচন্দ্র বললেন £ তিনি যদি নিজের পছন্দমত ওয়াফিং কমিটি গঠন করেন তবে তিনি এ. আই. সি. সি. কে একথা বলতে পারৰেন

না যে +৪001) & 00100016699 90100180060. 6118 17701011016 0০5048058 0৫ 1181196008 (900173.9

অতএব তিনি পদত্যাগ করেছেন স্থুভাষচন্দ্র শ্রীমতী নাইড়ুকে সভাপতির আসন গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান! শ্রীমতী নাইড়ু আসন গ্রহণ করার পর পণ্ডিত জওহরলাল স্ুভাষচন্দ্রকে পদত্যাগ প্রত্যাহারের জন্য 'মনুরোধ করে বলেন, পুরোনো ওয়াকিং কমিটিই থাক, তার সঙ্গে “নতুন রক্ত” নেবার আপনি ছুটে! অবকাশ পাচ্ছেন ; যমুনালাল বাজাজ জেলে এবং জয়রামদাস দৌলতরাম অনুস্থ। এখানেই সেই স্থভাষচন্দ্রের হোমোজিনিয়াস কম্পোজিট প্রশ্নটি ওঠে তিনি বলেন, লোকের আশঙ্কা এক কমিটিতে বিভিন্ন মভাবলম্বী থাকলে কাজের অসুবিধে তার জবাব হচ্চে, সমগ্র কংগ্রেসে বিভিন্ন মতাবলম্বী লোক নেই 1 এ. আই. দি. দিতে নেই? তবু তে। একটা মিলনক্ষেত্র আছে; শক্তিশালী একট কশধিনেট গড়তে গেলেও তাতে কাগ্রেসের বিভিন্ন মত প্রতিফলিত হওয়া দরকার “1 806 8620106 0801096 160 ৪. 0008080 2669 1618 [)9069987 10৮ 09 60 7008৮ 2900168676561598 01 011019190

808,099 01 00101010110 6106 001727938, 01106 609 209%107185 6০ 60096 290 দা?]] 60805 00106100165 01 100119.%

এরপর নাটকের এই অঙ্কের আর বিশেষ বাকী নেই চৈতরাম গিদোয়ানীর প্রস্তাবক্রমে মোহনলাল সকসেনার সমর্থনাক্রমে বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। ম্ুভাষচন্দ্র কংগ্রেস থেকে চিরতরে নিঙ্কান্ত হলেন।

৩%

চিরতয়ে ?

হ্যা, এরপর সুভাষচন্দ্রের ফরোয়ার্ড লক গঠন, ওয়াকিং কমিটির নতুন কাংবিধির বেড়াজাল। তারপর ন্ুভাষচন্দ্রকে বিতাড়নের গিলোটিন এটা কি মাস সত্য?

আমি হুকচকিয়ে বললাম; এপ্রিলের শেষ মে মাস পড় পড়

বললেন, হ্যা, এই অসহ্য দাবদাহের মধ্যে যদি হঠাৎ বর্ষার আশীর্বাদ নামে? নুভাষচন্দ্রের অসহা তাপ-গীড়িত জীবনেও এক আশীর্বাদের বর্ষ নেমে এসেছিল £

ল্লল্রীত্রনাথেল্প নেতাবন্দুশ

“বাঙালী কৰি আমি, বাংলা দেশের হয়ে তোমাকে দেশনায়কের পদে বরণ করি।” বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “গীতায় বলেন, সুকৃতের রক্ষাকর্তা বারংবার আবিভূর্তি হন। তুর্গতির জালে রাষ্ট্র যখন জড়িত হয়, তখনই গীড়িত দেশের অন্তর্ধেদনার প্রেরণায় আবিভূ্ত হয় দেশের অধিনায়ক | রাজশাসনের দ্বার] নিম্পিষ্। আত্মবিরে ধের দ্বার! বিক্ষিপ্তশক্তি বাংল! দেশের অদুষ্টাকাশে ছৃর্যোগ আজ ঘনীভূত নিজেদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্বলতা বাইরে একত্র হয়েছে বিরুদ্ধ শক্তি ।-.....ছুর্ভাগা যাদের বুদ্ধিকে অধিকার করে, জীর্ণ দেহে রোগের মতো! তাদের পেয়ে বমে ভেদবুদ্ধি; কাছের তারা দুরে ফেলে, আপনাকে করে পর, শ্রদ্ধেয়কে করে অসম্মান স্বপক্ষকে পিছন থেকে করতে থাকে বলহীন-**১-”

ছত্রে ছত্রে অস্তরোদগত স্নিগ্ধ ন্নেহাশীষের ঝরণা। নিষ্ঠুর ইতিহাস-বর্ণনায় আমার সময় সীমাবদ্ধ; তুমি পড়ে নিও

কিন্তু, আমার মতে, সতা, সুভাষচন্দ্র ওয়েলিংটনে মারাত্মক ভুল করেছিলেন তিনি যে-শক্তি নিয়ে ফরোয়ার্ড ব্লক গড়তে লাগলেন, সেই শক্তি নিয়েই তো তার মনোমত সাধীদের নিয়ে ক্যাবিনেট বা ওয়াকিং কমিটি গড়তে পারতেন নাই-ব! থাকত তাতে গান্ধীজীর আমীব্ণাদ বা! আস্থা। কংগ্রেসের সংগঠন তো তার হাতে থাকত?

যাগ

ওদেরই বরং কংগ্রেস ছেড়ে যেতে হত। স্বুভাষচন্দ্রের এই 'আশস্কাও অমূলক যে এ. আই: সি.'সিতে পন্থ-প্রস্তাবের লগুড় নিয়ে তারা ক্যাবিনেট বানচাল করে দিতেন আমি মনে করি, বাপারটা আদালত পর্যস্ত গডালেও দক্ষিণপন্থীর! জিততে পারতেন না, কেননা) ' গান্ধীজীর যে-চিঠিখানি পড়ার পর তিনি পদত্যাগ করলেন, সে-চিঠিই তার সপক্ষে হত। স্মুভাষচন্দ্র কম্পোজিট ক্যবিনেটের ওপর না দিয়ে পছন্দমতো হোমোজিনিয়াস ক্যাবিনেট করার সা দেখালে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রচরিত্রই যেত বদলে উত্তরকালে বিদেশে স্বনির্বাসিত অবস্থায় স্থভাষচন্দ্র যে অসাধারণ বীর্যব্তা। প্রতিভা সংগঠনশক্তির পরিচয় দিক্সেছেন তার কল্যাণ ভারতবর্ষেই উৎসারিত হতে পারত ভারতে রাষ্ট্রনৈতিক ভাগ্যনির্ণয়ে স্ুভাষচন্দ্রের দৈহিক অনুপস্থিতি ঘটেছিল ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ এবং ১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ আসলে এই অনুপস্থিতির কাল ১৯৩৩ থেকে অবিচ্ছিন্ন | কিন্ত তার ক্রিয়াকলাপের সুযোগ নিয়েছে অপরে।

“তনক্তল কাত প্বন্য কলে?

সেদিন গিয়ে দেখি, তিনি তার আদরের বেড়াল ছানাটার সঙ্গে খেলছেন ; উনি ওকে মারবার ভান করছেন, ছানাটা ওর ছোট্র থাবা দিয়ে গ্‌ুকে আচড়াতে চাইছে, মাঝে মাঝে ফ্যাচ ফ্যাচও করছে। মনে হল, খুব উপভোগ করছিলেন আমার দিকে দৃষ্টিপাত হতেই বললেন £

সংগ্রাম চলেছে, সত্য, সংগ্রাম | আহত পশুকে ছেড়ে দেব না কিছুতেই, বোস্বাইয়ে আমরা প্যাটেলের নেতৃত্বে প্রস্তাব করেছি, প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অনুমতি ন! নিয়ে কোন কংগ্রেস কর্মীর আইন অমান্য আন্দোলন কর! চলবে ন1।

সুভাষচন্দ্র অবিরাম সংগ্রামের কথ! বলে চলেছেন এখন তিনি সভাপতিপদ-মুক্ত কিন্ত এখনও কংগ্রেসে ; সুতরাং সংগ্রামীকে নিয়ম শৃঙ্ঘলে বাধতে হবে বোম্বে এ. আই. দি. সিতে প্রস্তাব গৃহীত

৩৮৭

হবার পরও নৃভাবচন্দ্র বললেন 2 [0136 002)6 15 1207 026 101: 18018 60.61009100 00010 21 20055 5006816 01: 11067012- 0670০. 4৯ 5012010 01020100101 101 01008100106 106- ঢ09061)06 2010 71517, 11] 06 1056 11900 2521190 0.৮ | কেন? কি এমন সুবর্ণ মুহূর্ত? ইউরোপের আকাশ তখন দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধের মেঘে ছেয়ে ফেলেছে লেবেনভ্রাউম ! নাৎসী- বাহিনীর গুজ স্টেপ, ব্রিংসক্রিগ, ফিফথ কলাম প্রন্তত।

আমার স্বদেশেও চলছে সংগ্রাম; কম্যুনাল এওয়ার্ড নিয়ে হিন্দুদের ব্যর্থ সংগ্রাম ; মুমলিম-তোষণে কংগ্রেসের নিষ্ষল প্রচেষ্টা; সত্যাগ্রহের অধিকার নিয়ে বামপন্থীদের বন্ধ্যা প্রতিবাদ স্ুভাষ- চক্রের বলিদান; বাংলার কারাগারে রাজবন্দীদের বাঁচার লড়াই; বামপন্থী সংহতির মিথ্যা! আশা; দক্ষিণপন্থী কংগ্রেসের ক্ষমতা রক্ষার অহিংস আহব |

কম্যুনাল এওয়ার্ড নিয়ে হিন্দুদের সংগ্রাম এক কথায়ই সমাপ্ত করে দেওয়' যায় ষে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস বা বিপ্লবী সংস্থার বাইরে একান্তভাবে হিন্দুদের সংগঠন কখনই সংগ্রামের শক্তি অর্জন করতে পারেনি? বিপ্লবীর নিঃশেষ হয়ে যাবার পর কংগ্রেসের দিকে ভাকিয়ে গবর্নমেন্টও হিন্দুমহাসভাকে কখনও প্রবল মনে করেননি ; খুব বড় বড় সভ। হয়েছে রবীন্দ্রনাথ। আচার্ধ রায় প্রমুখ ব্যক্তিরাও কম্যুনাল এওয়াডে'র প্রতিবাদে মিলিয়েছেন ; কিন্তু কম্যুনাল- এওয়ার্ড ফট সংগ্রামী ফ্রুট নয় বলে কখনও সত্যিকারের সরকারী ত্বীকৃতিঙগ্গাভ করেনি ,. কমনাল এওয়ার্ডে সম্প্রদায় হিসেবে হিন্দুদের ক্ষতি হয়েছে নিশ্চয়ই কিন্তু রাষ্ট্রনীতির দিক থেকে জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের ক্ষতি হয়েছে সব চাইতে বেশী। পৃথক নির্ধাচনে তাদের পরিচয় হয়েছে মুসলমানই ; এজন্য ধার! সাম্প্রদায়িক স্বার্থে মুসলমান জন- সাধারণের কাছে গ্রেছেন__ যেমন মুসলিম লীগ-্তারাই ক্রমশঃ

৩৮৩

আসর জমিয়েছেন। দক্ষিণপন্থী কংগ্রেসও যাত্তব রা'জনীতিবশে জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের গৌণ করে রেখে লীগের তোষণে উৎকঠ দেখিয়ে লীগকে মুখ্য করে তুলেছে কনসেসন দিয়েছেন, তুষ্ট করতে পারেনি

সত্যাগ্রহের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সুভাষচন্দ্র যেই গান্ধীজীর উদ্যোগে বিতাড়িত হলেন, সঙ্গে সঙ্গে লেফট কনসলি- ডেশনের কাচা তক্তাগুলো মড়মড় করে ভেঙে গেল। দক্ষিণপর্থথীরা অনায়াসেই তারপর ক:গ্রেসকে বামপন্থী-ক্টক-মুক্ত করলেন রাঈ- নৈতিক ক্ষেত্রে তখন একমাত্র প্রতিদন্দবী মুসলিম লীগ__আরও টেবলেট করে বলা! বায়-_জিন্না | দক্ষিণপন্থী কংগ্রেস এত সংহত যে আর কাউকে পরোয়! করে না। এবং একমাত্র লীগকে পরোয়! করতে করতে একদিকে হিন্দু সম্প্রদায় অন্য দিকে জাতীয়বাদী মুসলমানদের নেকড়ের মুখে ফেলে দিয়ে রাজালাভ করেছে

তন্্পনেল্স পেটে ক্লাইডি”

তুমি জান, সত্য, গান্ধীজী রাজনৈতিক অনশন সম্পর্কে নিদারুণ স্পর্শকাতর ছিলেন তিনি ওটি বরাবরই তারই স্বাধিকারে রাখতে চেয়েছেন এবং তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে যখনই কেউ রাজনৈতিক অনশন করেছেন তিনি নিধিচারে নিন্দা করেছেন একে তো সুভাষচন্দ্র ক্রিয়াকলাপ তাকে সবর্দাই টেন্টারহুকে রেখেছে তার ওপর “ছুনাঁতি- গ্রস্ত” ( গান্ধীজী) বাংল! দেশেরই কিছ রাজনৈতিক বন্দী কারাগারে অনশন করে বসলেন শুনে গান্ধীজী ছবার এমন বিরূপ মস্তব্য করলেন যে বন্দীদের অসামান্য ক্ষতি হল এবং বাংলাদেশের লীগ সরকার আরও শক্তি পেলেন। পণ্ডিত নেহরুকে অনুরোধ কর! হল, এটাকে ইন্থ্য করে কংগ্রেস-মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে পারেন না? তিনি ততথানি জোর দিয়ে বললেন, ন1, ভা]: 5130810 0965 16518 ? : গ্বান্ধীজী প্রথমবার বললেন £ [1380%%521919 ৪20. 90 2 2 ০৪99.৮ দ্বিভীবার বললেন, অনশন অযৌক্তিক সুতরাং

১৪,

খেই জীবন-মরণের প্রশ্নটা হয়ে ঠাড়ালে। একাম্তভাবে বাংলার + ফেননা, বাংল তো! উদাসীন থাকতে পানে না1 ১৭ই জুলাই, কলকাতায় হয়তাল হল। ৩১এ জুলাই জনসভা। হজ। গান্ধীজীর মন্তব্যে সুভাষচল্জ্ বলেছিলেন 2 16 11] 50:606005 056 1221005 0: 006 (3056102166,

অর্থাৎ শেষ পর্যস্ত, বাংলার রাজনৈতিক বন্দীদের নিঃসর্ত অনশন ভঙ্গ করতে হল।

বাস্পস্থ্ীল্প অস্তি্ম আত্রা

বোম্বাইয়ে সত্যাগ্রহ নিষিদ্ধ করে দক্ষিণপন্থী এ. আই. সি. সি.

ষে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল বামপন্থী কংগ্রেসসেবীদের একাংশ তার প্রতিবাদে ৯ই জুলাই একটি সারাভারত দিব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। তোমায় বলেছি, চোরাবালির ওপর একট! লেফট কনসলিডেশন কমিটি ([..0.0.) ফ্রাড় করানো হয়েছিল, সেই ্বল্পায়ু সংস্থাটিই এর উদ্যোগভার নিল। সুভাষচন্দ্রের স্থলাভিষিক্ত জোটবদ্ধ দক্ষিণপন্থী-মনোনীত প্রেসিডেণ্ট বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ ৬ই জুলাই রাচী থেকে এক সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন “এইভাবে যদি এ. আই. সি. সি'র অধস্তন কমিটিগুলো তাদের কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাব অমান্য করেন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন তবে কংগ্রেসে শৃঙ্খলার অবসান ঘটবে এবং সংগঠন ভেঙে পড়বে |” লেফট কনসলিডেশন কমিটি (লে; কঃ কঃ) বা বামপন্থী সমন্বয় কমিটি (বাঃ সঃ কঃ) ৮ই জুলাই এই বিবৃতির একটি প্রতিবাদ জানালো বটে কিন্তু দক্ষিণপন্থীরা ইতিমধ্যে বামপন্থীর চোরাবালি সম্যক জানতে পেরেছিলেন এবং এজন্য দ্রেতগতি ব্যবস্থা অবলম্বনে তার! দ্বিধ! করেন নি। ভেতরের খবর অন্যান্য বামপন্থী নেতার প্রকাশ্য বিবৃতি থেকে তার! নিঃসংশয় হয়েছিলেন | নুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে আগষ্টের শেষ সপ্তাহে ঠিক তার ছ'মাস আগে কমিটির অন্যতম শরিক এম. এন. রায় বলেছিলেন £ ৩৮৫

স্বাধীনতা---২৫

“খুবই খুনীর কথ যে বামপন্থী শক্তিকে সমদ্বিত করার- উদ্দেশ্যে আন্ত সম্মেলন. এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে 4 বছরকাত্ন সভাপভি- নির্বাচনকে “976 ০0 00০ 10000216005 11070655 হ1 06 00150270012 13150:চ 06 ০001 ০0005 অভিহিত করে তিনি বললেন; “কম্পোজিট, নেতৃত্ব একট! অবাস্তব প্রস্তাব ।...এটা হোমোজিনিয়াসই হওয়! দরকার। বিপ্লব-বিরোধী লোক নিয়ে আপনি বিপ্লব করতে পারেন না। অনুবিধেগলোর দিকে চোখ বুজে থেকে লাভ নেই। একটা! প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে মতৈক্য না হওয়া পর্যন্ত বাম-

পন্থী শক্তিসমূহের এঁক্য হতে পারে না। পরে, (৯ই জুলাই ) আরও স্পষ্টতর করে বললেন £ “আজকে

আমরা দক্ষিণপন্থীদের উৎগীড়নের অভিযোগ করে থাকি কিন্তু কেতাদের এই একচেটিয়া অবস্থায় পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হবার অবকাশ দিয়েছে? স্বাধীনত] সংগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বগ্রহণের যে সুযোগ এসেছিল বামপন্থীর। তা নিতে পারেননি বলেই তা হয়েছে যখন ওয়াঞ্চিং কমিটি পদত্যাগ করল তখন প্রেসিডেন্টের পক্ষে ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ' তার কর্তব্য ছিল এগিয়ে যাওয়া, নিজের পছন্দ মতো কমিটি গঠন কর] এবং সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া | আমি কোন গোপন কথ। ফাস করছি নে যখন আমি বলছি, আমি তাকে বরাবর এই পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তিনি অন্য পন্থ! স্থির করেছিলেন এবং

পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন ।” সমাজবাদী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ বললেন £ বামপন্থী

দক্ষিণপন্থীদের বিবাদের বিষয়ট। নতুন সংগ্রাম-স্থচনার সময় নিয়ে ।” অর্থাৎ মৌলিক কোন কারণ নয়। ওুরই সহচর অশোক মেহতা বললেন £ 4৯ ০07)065 6০০6 00০ ছ্ে০ 71]]) 0130:200:০-- 29216 01000 6758101106 1081006 17156015) 2 221001001901091 [/0101295 500100176 0101536) €0 0185 ০00666 710 006 01215 200 10 62121016016 000861553 20 1620601015 006 02৮1 0৫ 001 £12200100.7

৩৮৬

ধূর্বতে পারছ, সত্য, বামপন্থী সমন্বয় ইতিমধ্যেই কতখানি রিসিড করে গেছে; পেছু হটে গেছে ? লীগ অব দির্যাডিকাল কংগ্রেসমেন ২৫এ জুলাই পরিফার বলে দিলেন;

“বল 879 1769 60 8798]. 909. 01188001866 002991%98 1:00) 670৮6৪ 10 93%801181)110£ 10165 01 0156728106 616006069 109" 178 00071061176 18৪ &০০006 608 10006200 01 0109 15916

“আমাদের দৃঢ় অভিমত এই যে, লেঃ কঃ কঃ যে পন্থা নিয়েছেন তার দ্বারা কোন সদছুদেশ্য সাধিত হবে নাঁ। ৪০ 8150 01 6106 010110107/ 01286 16 15৪ 1206 0892218811919 10: 2981001081016 00069981091) 60 0:£8%0186 0010110 0627017868610108 110 আ01012 81061-0008958 61672067765 879 1000100. 60 70876101799,66....৮

স্বতরাং সন্দেহের অবকাশ নেই, স্থভাষচন্দ্র এক পড়ে গেলেন, 1501960. দক্ষিণপন্থীরা আর সবাইকে ছেড়ে স্ুভাষচন্দ্রকেই আক্রমণ-লক্ষ্য করে নিয়েছিলেন | সর্দার প্যাটেল তো সোজা বলে দিলেন, “ম্ুভাষবাবু শক্রদলে ভিড়েছেন (1:83 013052 60 101 76 12170105016 006 217610165.১)

সতা, ক্ষেত্র প্রস্তৃত |

সুভাষচন্দ্র বৃধাই এর প্রতিবাদ করেছিলেন; চরম গিলোটিন নেমে আসছিল তার গ্রীবাদেশে। ১২ই আগষ্ট অমৃত বাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেড লাইন হল £ [01950101102 40002 4১521550901195 7309০; তার নীচে তিনটি সংবাদ সাজানো £ ৬৬৪: 01202190005 2:11010066 56৪15 8212: '0810065, 1২6806015. সংবাদ হচ্ছে এই £

[09 00208098৪ ভ70:8108 00000018696 ৪6 16৪ &1690002. ৪16৮" 106 6০-০৪5 69019]. 6086 460: 1018 £%ড৩ &০ট ০৫ 1713150101109, 1৪৮ 90)008৪ 01080009 9088 18 09018%790 01800811960 ৪৪ 19581090601 606 89088] 75105170038] 0008:988 00000016666 800 60 06 0091009: 01 &0৮ 916068%5 0008983 00001016696 10: 60759 56818 98 (000 0808৮) 1999.

নাটকের পঞ্চমান্কের আর একটু বাকী। সুত্রধরের ভূমিকা

৩৮৭

যবনিকার় সামনে পাদপ্রদদীপের আলোকে বেরিয়ে এসে গান্ধীজী- বললেন :

“] ০৪ 16 60 6099 00110 6০0 1259 005 00816100018 ৪000৮. 0060 61986 78901061029.

“আমাকে স্বীকার করতেই হবে ষে, স্ুভাষবাবু সংক্কাস্ত প্রস্তাৰ- টির খসড়া আমারই ! ] 021 585 0880 026 236019215০0 02৩ ভ/0:1275 00100071666 জ্া0410 17956 51210060085 0০ ০: ৪0075 20010) 16 0065 00910 1785. তারা জানতেন যেঃ তাদের কাজের বিরুদ্ধে বিরোধিতার ঝড় উঠবে যে প্রস্তাব কোন ব্যক্তির তোয়াক্কা রাখে না৷ এমন প্রস্তাবের চাইতে একটা মামুলী প্রস্তাব করা তাদের পক্ষে সহজ ছিল। কোন ব্যবস্থা অবলম্বন না করার অর্থ হত কংগ্রেসসেবীদের মধো শৃঙ্খলারক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ পরিহার আমার মতে ওয়াফ্চিং কমিটি যে দণ্ড দিলেন ন্যুনতম 1”

প্রস্তাব এই স্বীকারোক্তিতে নিঃসন্দেহে কীর্যবন্তা প্রকাশ পেয়েছে বিশেষ করে যখন স্মরণ করি যে, তিনি কংগ্রেসের কেউ নন, অথচ কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির সদস্থের1 তার হাতে টিনের পুতুলে'

প্রতিপন্ন হল তিনি আরও বললেন :

“আমি প্রস্তাবের সঙ্গে নিজের পরিচয় রাখতে অথব! ওয়াকিং কমিটির সাধারণ নীতির সঙ্গে সাধুজ্য রক্ষার জন্য কমিটির সভায় যোগ দিই নি। [ ৪6207060 1 006 0005016 [0 17195101) 06 17003-510121)09. ৬৬০ 00506 6০ 5206 5০9০01-__-আমি অহিংদার বাণী বাহকরূপেই সভায় যোগ দিয়ে ছিলাম 1?

অর্থাৎ, ওয়াঞফ্চিং কমিটির সদস্যদের ওপর আস্থা ছিল না। ঞ্রের পরও কমিটি সদস্যরা কেউ লজ্জা পেয়েছেন বা পদত্যাগ করেছেন, বলে শুনিনি; এবং হল অহিংসার মিশন |

ড়লাটেন্ ডাক্ষে গাক্ষীজী

নাও, সত্য, এবার ডেক পরিষ্কার, এবার আমর! ছুটে যাৰ স্বরাজের নিষণ্টক পথে শত্রু নিমূ্ল। এবার বন্ধু মুস্লিম লীগ বৃটিশ-প্রতিভূদের সঙ্গে মিলন-বৈঠকের পালা

২র৷ সেপ্টেম্বর ছুটি খবর বেরোলো ; একটি কমন্স সভায় “ভারত সরকার (সংশোধনী ) বিল পাশ; আর একটি বড়লাটের জরুরী আহ্বানে গান্ধীজীর সিমল| যাত্রা একটিতে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ক্ষমত। হরণ করে কেন্দ্রীয় "সরকারে ন্তান্ত হলঃ আর একটিতে বড়লাট গান্ধীজীর সঙ্গে ফেডারেশন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন; কেননা, যে-ফেডারেশনের কথা তুলে এমন কি মন্ত্রীদের তালিক! তৈরীর কথ। ফাস করে দক্ষিণপন্থীদের বেশী বিব্রত করে দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র, গান্ধীজী তারই সম্পর্কে খর! সেপ্টেম্বরের “হরিজন” সংখ্যায় লিখেছিলেন : চাপিয়ে দেওয়। ফেডারেশন ভারতবর্কে এখনকার চাইতে বেশী বিভক্ত করে দেবে। বৃটিশ সরকার যদি ঘোষণ! করেন যে, তার। ভারতের ওপর ফেডারেশন চাপাবেন না, তবে অনেকট। এগোনে। যায়। মুখে না বললেও, মনে হচ্ছে, বড়লাট সেভাবেই এগোচ্ছেন। আমার অনুমান যদি ঠিক হয়ঃ তাহলে আমার প্রস্তাব, তিনি একটি ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্টতর করে তুলুন ; তাহলে প্রকৃত ফেডারেশনের পথ মহ্থণ হবে, এঁক্যও হবে।

সুতরাং প্রদেশে প্রদেশে কংগ্রেস-মন্্রিত্বের ক্ষমতা হরণ কর! হজেও আলোচনার ক্ষেত্র ছিল প্রস্তৃত। কিন্তু এই মহা আহবের আবহাওয়ায় সুভাষ-বিরোধীদের “কাছ থেকে আহ্বান আসবে সুভাষচন্দ্র বোধ হয় অতটা প্রস্তুত ছিলেন না। ৪2 সেপ্টেম্বর সকালবেল! সর্দার বল্পভভাই প্যাটেলের কাছ থেকে এই মর্মে এক তার পেলেন ধে। তিনি যেন রওন! হবার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

৩৮১

ওয়ার্ধাতে নেতৃসভা হবে। সবই অপ্রত্যাশিত, তবু সুভাষচন্দ্র দক্ষিণ-ভারত ভ্রমণ স্থগিত রেখে প্রস্তত রইলেন।

ব্যাপারট! কার পরামর্শে হয়েছিল; কে জানে, গান্ধীজীর পরামর্শ ক্রমে আমন্ত্রণ বা বৈঠকের ব্যবস্থা পরিত্যক্ত হল | ডঃ রাজেন্দ্র প্রদাদকে গান্ধীজী এক টেলিগ্রাম পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি দিমল। যাচ্ছেন, বড়লাটের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর ফিরে এসে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসার স্থান কাল স্থির করবেন।

বডলাটের সঙ্গে গান্ধীজীর যে কথাবার্তা হল তা গোপন খা হল। বড়লাট কিন্তু -গান্ধীজীর সঙ্গে দেখা হবার পরই জিন্নাজীর সঙ্গেও আলাপ করলেন। জান গেল,. বড়লাট এম. এস. আনে প্রমুখ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আলোচনা অসমাপ্ত থাকে।

ইতিমধ্যে জে. বি. কুপালনী জানান যে, ৮ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ধায় ওয়াফকিং কমিটির সভা হবে + হয়তো সুভাষচন্দ্র আনেও আমন্ত্রিত হতে পারেন। হঠাৎ গ্রোপাল রেড্ডী নামে এক ব্যক্তি বলে। বসলেন, দেশবাসী যেন গান্ধীজীর ওপর আস্থা! রাখেন। বড়লাটের সঙ্গে গান্ীজীর আলাপ গোপন রাখার জন্যই সম্ভবতঃ কথাটা উঠল। €ই সেপ্টে্বর গান্ধীজী এক বিবৃতি দিলেন £ “এ ব্যাপারে ওয়াকিং কমিটির কোন পরামর্শ নিয়ে যাই নি। টেলিগ্রাফে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রথম ষে ট্রেন পেলাম তাতেই সিমল! রওন] হয়ে গেলাম। ভা ছাড়া, আমার অদম্য অহিংসার দরুণ আমি জানতাম, জাতীয় মন প্রতিকলিত করতে পারবো না? করতে গেলে ব্যর্থ হব; বড়লাটকে তাই বলেছি। ন্ুুতরাং আমার সঙ্গে কোন সমবৌতা বা আপোস আলোচন। হয়নি। তিনি আমাকে সে জন্য ডেকেছিলেন বলেও মনে হল না।

শু ছগছও 26600050 [00০ 6 2০985] [০889 8000৮0- 1390098. 909. 00036 805 00098590930 008 0: 890:96,7

“ঘদি কিছু হয় তো৷ সে কংগ্রেস ওগবর্নমেন্টের সঙ্গে হবে আমি

অবশ্য বড়লাটকে বলেছি যে, আমার সব সহানুভূতি ইংলগ্ড ফ্রান্সের প্রতি__

“1 ০0 87008610199 86 16) 17081829 800. সা009 [020 606 00:91 100008016918) 96800190106. 1 6010. 1010 809৮] 90010 1006 9010691001869) 10006 09106 91790. 6০0 %1)9 91৮ 091)610) 806 09860061010 01 1.0700020) 10101) 190 10161067160 10960 28£9,:060. 93 1701)766£08,019, 4৪ ] 95 101060- 108 10810289 10110) 6108 17000895 01 2711817790৮ 900. 606 9962010969৮ 40095 800 61061] 00881018 0936:0081010১ 10:019 000, [11959 7980901206 019007801866.,

হিটলার এবং দেশের স্বাধীনাত। প্রসঙ্গে বললেন, আমার কতই না|! আশা যে, হিটলার যুক্তিতে কর্ণপাত করবেন। আমি এখন ভারতের মুক্তির কথ! মোটে ভাবছি নে। ইংলগু যদি ব্যর্থকাম হয় অথবা ধংসের মধ্যে বিজয়ী হয় তবে ভারতের সে স্বাধীনতার কি মূল্য?

“] 800 1706, 6109191019১ 1086 00 61010101706 ০0117001878 09115978009. 16 সা1]] 00006 100৮ সা1]] 16 109 0:0১ 1 78061850800. 71790091911 01 11 6095 902006 ০0৮ দ£96071008. 0৮01: 09100805 0011090. 800. 100001)190. ?”

৬ই সেপ্টেম্বর সুভাষচন্দ্র গান্ধীজীর বিবৃতিতে হতাশ প্রকাশ করলেন। পক্ষান্তরে, পণ্ডিত জওহরলাল চীন থেকে ফিরে এসে গ্ান্ধীজীর কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন : “আমর! বার বার বলেছি; আমর! দর কষাকষি করতে চাইনে। বৃটেনের অস্থবিধের সুযোগ নিয়ে আমর! সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি নে।”

ওয়াঞ্িং কমিটির সভা ৮তারিখেও হতে পারল ন।; রাজেন্দ্র প্রসাদ জওহরলাল এসে পৌছোন নি।' ধার! এসে পৌছেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন আমন্ত্রিত স্বভাষচন্দ্র, আচার্য নরেন্দ্র দেব, জয়প্রকাশ নারায়ণ, যুস্থফ:মেহেরালি। অচ্যুত পটবর্ধন।

৩৯৯

ফে্ডাল্েশশন্ন হ্রীক্ম কছগিত

এদিকে কংগ্রেন ওয়াফিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে অথবা তাদের সঙ্গে অ-কংগ্রেসী নেতাদের ঘখন নিক্ষল আলোচনা চলছে তখন ১১ই সেশ্টেম্বর বড়লাট কেন্ত্রীঘ্র বিধানমণ্ডগীর যুখব অধিবেশনে বললেন, জরুরী অবস্থা স্থষ্টির ফলে ফেডারেশনকে লক্ষ্য রেখেও তৎসংক্রান্ত কাজ আপাততঃ স্থগিত রাখ! হল। সম্পর্কে অমুত- বাজার পত্রিকা লিখলেন £ £[09 20210009007 রা [60618000...15 2001:2 2. ৮1০601৮ 001 0১6 71109160) [,22609 0020, 001 002 0010£535. চা 006 001061555 ৮০০৪]0 112৬৪ 80060090 00০ 76202796012 1090 10 1092] 170016 00100082010) ৮৪6 0১০ 05160] [62509 010 1506 19256 82006760. 16 (2. 8. ঢ.,55০৮ 12) 1939.)

ওয়াঞ্কিং কমিটির অলোচন। নিক্ষল হলেও এটি স্থির হল যে, গান্ধীজীকে নিরস্কুশ অধিকার দেওয়। হবে বড়লাটের সঙ্গে আলাপ ব। যথাবিহিত ব্যবস্থ। করবার | ওয়াধ্ণাগঞ্জের ১৪ই সেপ্টেম্বর সংবাদে বলা হল) কমিটি এখনও মনঃস্থির করতে পারেন নি।

স্থভাষচন্দ্রের আর মিলিত হবার কোন কথাই ওঠে না। দক্ষিণ- পন্থী বামপন্থীদের কোন আপোস হবার লক্ষণ প্রকাশ পেলনা। যুদ্ধ সম্পর্কে পরে ওয়ার্ধাগঞ্জ থেকে যে দীর্ঘ বিবৃতি বেরোয় তার বর্ণনায় পত্রিকা বললেন যেঃ ওটা একট! খিসিসের মতো | গান্ধীজীর এক বিবৃতি এই থিনিমকে আরও রহস্যাবৃত করে ফেলল চারদিন লেগেছে খনড়। করতে * খসড়া করেছেন জওহন্নলাল, এই সংবাদ দিয়ে গান্ধীজী বললেন £

66... 889 8000: 01 6039 ৪6566029206 1৪ &] 8:1৪ 1১0 080100$ 706 80088890 810 1218 10001809018 209611167 6০0 10091181180 10 ভা 80809 0: 10000 179 19 & 11600 01605 11281180 090716 : 130960. 106 18 1000:9 19108118) 6080 17001510 10 1015

খডউ২

05660005, 17915 1016 2৮ 1)917516 1610 17611518102 10 1005 0 2610.”

সুতরাং খসড়া, খসড়ার বিষয়বস্তু নিশ্চয়ই ভারতের স্বার্থোপযোগী' হয়েছে, কি বল, সত্য? অভিভাবক হিসেবে ইংরাজেরা চিরকালই আমাদের ভালোটা দেখে এসেছেন এর ওপর শিল্পীর স্পর্শ বলা বাহুল্য, প্রস্তাবে ইঙ্গ-ফরাপী জমর্থন হিটলারের দ্যর্থহীন নিন্দা ছিল। |

আবার বড়লাট-গান্ধীজী সাক্ষাৎ

বড়লাটের সঙ্গে গান্ধীজীর আবার দেখা-সাক্ষাতের ব্যবস্থা হ'ল; তিনি রওন৷ দেবার আগে প্যাটেল, প্রসাদ, রাজাগোপালাচারি এবং ঘনশ্তামদাস বিরলার সঙ্গে একান্তে আলাপ করলেন। ২৬এ সেপ্টেম্বর সাড়ে তিনঘণ্টা আলোচন৷ হ'ল। গান্ধীজী কংগ্রেসের যে অভিমত পেশ করলেন, তা লগুন হোয়াইট-হলে পাঠাবার ব্যবস্থা হল। কথা রটল সাত জন হিন্দু, চারজন মুসলমান, তিন জন ইউরোগীয়ান নিয়ে বড়লাট পর্দ সম্প্রসারিত হবে ইতিমধ্যে রাজেন্দ্রপ্রসাদ জওহরলাল বড়লাটের সঙ্গে দেখ! করবার জন্য আমন্ত্রিত হলেন। কমন্স সভায় ম্তার ও'নীল মিঃ সোরেনসেনকে জানালেন, তারা কংগ্রেস প্রস্তাব পড়ে দেখছেন

একটু গোলমাল বাঁধিয়েছিলেন লর্ভ জেটল্যাণড। প্রদেশে প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্িগুলী গবর্ণরদের সহযোগিতায় যে দিব্যি প্রশাসন চলছিল তার ভূয়সী প্রশংসা করে বলে বসলেন, “তাই আমি মনে করি, এসময়ে কংগ্রেসের দাবী পুনরুথাপনটা সমীচীন হয় নি!

কিছু অস্বস্তিকর হলেও গান্ধীজী বললেন, কংগ্রেস উদ্ভট কিছুই করে নিবা একটা ঘোষণার দাবী অসম্মানজনকও নয় যাতে জন- সাধারণের কাছে গিয়ে বলতে পার! যায় যে, যুদ্ধ শেষে “স্বাধীন ভারতের প্রেট বুটেনের মতই স্বাধীন মর্ধাদা। হবে'--একথা৷ জেনে নেবার অধিকার কংগ্রেসের নিশ্চয়ই আছে।

৩৯৩

দক্ষিণপন্থী 'কংগ্রেসীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ' দেবার পর ' জংস্ক্রোমী বামপন্থীদের সঙ্গে কোন সমবৌতার কথা ওঠে না, ওঠেও নি। ' কংগ্রেস বামপন্থীদের থেকে যতখানি দূরে গেল, গ্রেট বূটেনের ততথানি কাছে এল।

কিন্ত উদারনীতিক কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সকল আশায় ছাই দিয়ে বড়লাট অক্টোবর মাসে এক ঘোষণা করলেন ; নরমগন্থীর পর্ধস্ত চমকে উঠলেন

বড়লাটের ঘোষণাটি কি ছিল?

মামুলী। যুদ্ধাবসানে তারা সকল দল সম্প্রদায়, রাজন্যবরগ স্বার্থের মুখপাত্রদের নিয়ে কি রকম বাঞ্ছনীয় সংবিধান হতে পারে তা পরামর্শ করবেন

এর মধ্যে মুসলিম লীগ স্নাযুযুদ্ধে অবতীর্ণ হল। প্রদেশে প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রিগুলীর বিরুদ্ধে মুসলিম নিপীড়ণের এক বিরাট অভিযোগ তালিকা পেশ করল। গবর্ণরেরা উচ্চবাচ্য করলেন না। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এগিয়ে এলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তিনি বললেন, বেশ তো, ভারতের প্রধান বিচারপতি তদন্ত করুন। জিন্নাজী বললেন, না, বড়লাট। বড়লাটের পথ অবশ্যই খোলা ছিল; তিনি গবর্ণরদের জিজ্ঞাসা করতে পারতেন তিনিও তা করলেন না। অন্বস্তিকর অবস্থা ; কিন্ত অভিযোগ তালিকা! ঠিকই থাকল প্রলম্থিত।

এমনি করে আশার আলো যখন চারিদিক থেকেই নিভে আসছে . তখন কংগ্রেস মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়াই স্থির করল, ছাড়তেও লাগল | এমন সময় বড়লাট সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ পাঠাতে লাগলেন কংগ্রেস লীগ নেতাদের উদ্দোশে উদ্দেশ্য--ও'দের কথাবার্তায় ব্যস্ত রাখা, সংগ্রামের কথা থেকে নিরস্ত রাখা

চি কংগ্রেস লীগ সমঝৌতা! "ক্রস স্বভাবতই স্র্যাটেজি পাণ্টালো৷ | বিরলা বাঁড়িতে কংগ্রেসের যুদ্ধ কমিটির বৈঠক বসল। গাম্ধীজী উপস্থিত থাকলেন'। বড়লাটের

৯৪

সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে আবার আশা-তর মঞ্জুরিল। প্রসাদ, নেহরু বললেন, লর্ড জেটল্যাণ্ডের কথাই শেষ কথা নয়। কিন্তু কংগ্রেস মুসলিম লীগ সম্ন্ধেও মনোভাব বদলে ফেলল; কংগ্রেস লীগ আপোস অপরিহার্য অনুভূত হ'ল জওহর একদা জিন্নাজীর সঙ্গে ডিনার খেলেন। ' “নেহরু জিন্না আলাপ” এই শিরোনামায় অমৃতবাজার পত্রিকা লিখলেন 411, 010021) 200 1১210016 02572121151 টব6100 1395৩ 4100 (০৩075 277৫ 01$00556 [9011005* দুর্ভাগ্যবশতঃ, মোসলেম লীগ ন্ত্বেন্দের মতামত মনোভাব দেশে ঘে আবহাওয়ার স্থষ্টি করেছে তার মধ্যে এই ঘটনাটি বহু লোকের কাছে অপ্রত্যাশিত বিস্ময়ের মতো ঠেকবে তা অস্বাভাবিক নয়; থেকে নানারকম জল্পনারও উদ্ভব হয়েছে। খবর এই যে, লীগ কংগ্রেসের মীমাংস! হয়ে গেছে £

“জিন্নাজী বড়লাটের দরবারে আর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন না ; তার বদলে কংগ্রেসের কাছ থেকেই প্রতিশ্রুতি নেবেন এবং ভারতবর্ষের প্রতি বুটেনের কি মনোভাব কংগ্রেস তা জানতে চাইলে কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন সকল প্রদেশে জাতীয় কোয়ালিশন সরকার গঠনের কথাও হয়েছে যদি এই প্রস্তাব গৃহীত হয়, তবে কংগ্রেস মন্ত্রিসভাগুলোতে লীগ প্রতিনিধি থাকবেন, তাদের কংগ্রেস শগথপত্রে স্বাক্ষর দিতে হবে না এবং এই লীগ প্রতিনিধিরাই পিরপুর রিপোর্টভূক্ত অভিযোগগলো৷ নিরাকরণ করবেন বাংলা পাঞ্জাব সরকারে লীগ প্রাধান্য বর্তমান; সেখানেও কংগ্রেস প্রতিনিধি নেওয়া হবে |”

অথচ তোমায় বলেছি কি না মনে পড়ছে না, সত্য, যে, ১৯৩৮-এর ১৫ই ডিসেম্বর ওয়ার্কিং কমিটি একাধারে হিন্দু মহাঁসভা মুসলিম লীগকে সাম্প্রদায়িক সংস্থা! বলে ঘোষণা! করেছিল। কংগ্রেস শেষ পর্যস্ত বামপন্থী সংগঠন হিন্দু মহাসভাকে এড়িয়ে গেছে, কিন্তু মুস্লিম লীগকে সমমর্ধাদা দিয়েছে কার্ধতঃ হিন্তু মহাঁসভার ভূমিকা অবলম্বন করেছে, লীগের যুক্তিকেই শেষ পর্যস্ত মানতে হয়েছে, হিন্দু মহাসভার পৃথক অস্তিত্ব স্বীকার করলে অথবা হিন্দু মহাসভ! লীগকে সমান জ্ঞান

৩৯৬

করলে এই ফাদে পড়তে হত না। হিন্দু মহাসভাকে এড়াতে গিয়ে কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক ফাদে পড়ে গেছে। কংগ্রেসকে বামপন্থা-মুক্ত করতে গিয়ে দক্ষিণপন্থী কংগ্রেসীর! নিজেদের শক্তিহীনতা৷ পূরণে লীগের পেছনে বুটিশ মদত লক্ষ্য করে লীগের সাহচর্য কামনা করতে বাধ্য হ'ল। ১৯৩৯-এ তার নিঃসংশয় নৃচনা লীগের ব্ল্যাকমেল সার্থক হয়ে উঠতে লাগল

অমৃতবাজার পত্রিকাও এই প্রসঙ্গে বললেন

£[ 76 001187655 1680675 1)2%6 0601060 রা ভা]. 006 19280 0009 86910, 07616 15 00 681111]7 1585001 110 06 12011000 812109829002 80000110155 900010 176 1871060 99 0006127.+

অথবা কংগ্রেস উত্তয়কেই উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদী মুসলিম সংস্থার সাযুজ্য রক্ষা করে চললে প্রকৃত এক সিকিউলার শক্তির উদ্ভব হতে পারত। কিন্তু ভারতীয় ইতিহাসের ধারা কংগ্রেস-লীগের যৌথ ধাকায় পথান্তরে গিয়ে পড়েছে

ওয়াকিং কমিটির কাছে জওহরলাল তাঁর জিক্লাজীর সঙ্গে আলোচনা- ফল এবং সর্ধার প্যাটেল বড়লাটের সঙ্গে তার আলোচনাফল রিপোর্ট করলেন। জিন্নীজী গেলেন বড়লাটের সঙ্গে দেখা করতে গান্ধীজী তৃতীয়বার কড়লাটের সঙ্গে দেখা করলেন _ বড়লাট এর মধ্যে এক কৌতুক করলেন ; হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেট বি, ডি, সভারকরকে আমন্ত্রণ করে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। আর স্থভাষচন্দ্রকেও আমন্ত্রণ জানালেন

এ. আই, সি* সি'তে যুদ্ধ-প্রস্তাব কিন্তু মহাকালের শ্রোত রুদ্ধ হয় না। হাতে কিছু না পেয়ে এ. আই: দি. সি* যুদ্ধ সঙ্কটের প্রস্তাবটি গ্রহণ করল এবং ওয়ার্ধায় ওয়াঞ্কিং কমিটি সদস্ত, কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিগণের এক সম্মেলন হ'ল। এইখানেই একরকম বাধ্য হয়েই স্টির হ'ল যে, যুদ্ধপ্রস্তাব প্রাদেশিক বিধান সভাগুলোতেও পাশ করতে হবে।'

৩৯৬

গাস্মীজীর মতে যাঁরা কোন-একটা-কিছু করার জন্ত অধৈর্য হয়ে পড়েছেন তাদের উদ্দেশে বললেন, এই. প্রস্তাবটি “মধাপন্থানথবর্তী পরজঞাপূর্ণ” আরও ভালো যে, ছ্যার্থ ঘোষণার দাবীতে কোন সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। এই কারণে অনস্তকাল তিনি অপেক্ষা করতে রাজী যে, |

008 18190 1185 00010667. 076 ০1 11005101611 76915621706 0? 16 50011, 16185 09610 016 01 78.351%6 [16518121106 01 11)6 681,

এই একট! কৌতুকের বিষয় লক্ষ্য করে আসছি, সত্য, যে, গান্ধীজী নিজেই প্রস্তাবের খসড়া করছেন, ওটা পাশ করানোর নির্দেশ দিচ্ছেন এবং অবধারিত পাশ হবার পর নিজেই তার প্রশংসা করছেন। এবিষয়ে তার কখনো কুষ্ঠা লক্ষ্য করি নি।

পুনরাগমনায় বিদায়

ুদ্ধ সম্পর্কে কংগ্রেসের এই যে প্রস্তাব তা প্রাদেশিক বিধান মগ্ডলীগুলোতে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। বিহার এবিষয়ে সবার আগে। তখনকার দিনে আজকের মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হত প্রধান- মন্ত্রী; বিহারের প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করলেন তা-ই সব প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী তুলেছিলেন, বলীবাহুল্য, গৃহীতও হয়েছিল

«এই বিধানসভা ভারত সরকারের এবং ভারত সরকার মারফং বৃটিশ সরকারের গোচরে একথা আনতে চাইছে যে, বর্তমান যুদ্ধের সন্করিত লক্ষ্যের সঙ্গে সামগ্রন্ত রক্ষা করতে এটি অপরিহার্ধ যে, ভারতীয় অধি- বাসীদের সহযোগিতা লাভের জন্য গণতন্ত্রের নীতি ভারতের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ কর! উচিত এবং ভারতের কার্ধক্রম ভারতীয়দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া সমীচীন ; হৃতরাং, এই বিধানসভা ভারত সরকারকে একটি ঘোষণাবলে একথ! পরিষ্কার করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে যে, তার! স্বাধীন জাতি হিসেবে ভারতবর্ষের সংবিধান রচনা ভারতীয়দেরই অধিকার বলে মেনে নিচ্ছেন এবং বর্তমানেই যতটা সম্ভব ভারভ-শীসনে সে নীতি

৩৯৭

ততটা প্রয়োগ করার জন্থা ব্যবস্থা অবলম্বন করছেন ।” ( ১৬ই অক্টোবর ১৯৩৯ ) | '

এর জবাবে বড়লাট যা বললেন তাকে গান্ধীজীও বললেন €13:009800]7 15919120105.” এর চাইতে আদৌ কোন ঘোষণ! ন! করলেই ভালো হত ( ১৮ই অক্টোবর )

২২শে অক্টোবর কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি হাজার শব্দ সম্বলিত এক প্রস্তাবত্রমে কংগ্রেস মন্ত্রিগুলীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন এবং এই গভীর সম্কটে সকল দেশবাসীর উদ্দেশে সর্বপ্রকার আভ্যন্তরীণ বদ মিটিয়ে ফেলার জন্য আহবান জানালেন

স্থির হল যে, মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও বিধানসভার স্পীকার, চপ স্পীকার সদস্যগণ এবং পরিষদের প্রেসিডেন্ট সদস্যগণ স্ব স্ব পদ আসনে বহাল থাকবেন কিন্তু মীমাংসার দরজা খোল! রাখা হ'ল

গান্ধীজীর নেতৃত্ব গ্রহণ

গান্ধীজী কংগ্রেসের সকল দায়িত্বভার গ্রহণ করে “এসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে বললেন £

£ 0106 10007:862018 01 006 উ/ ০1]10£ 00102066656+5 16930101100) 162565 116 8001. 00010 607 82005071116 616 20201008] 06107970 8100. 8%610106 016 01515, (২৩শে অক্টোবর ১৯৩৯)

কিন্তু একটির পর আর একটি প্রদেশে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর শুন্য কর্মক্ষেত্রে সংগ্রামের প্রশ্ন অনিবার্ধ উপলব্ধি করে গান্ধীজী তার নেতৃত্বের সর্ত উপস্থিত করলেন

“আমাকে যদি সংগ্রামের সর্বময় কর্তৃত্ব রক্ষা করতে হয় তো আমি কঠিনতম নিয়মানুবতিতা দাবী করব। আমি যতটা বুঝতে পারছি, কংগ্রেসসেবীর৷ যতক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ নিয়মানুবতিতার এবং এযাবৎ যে অহিংস সত্যোপলব্ধির পরিচয় দিয়েছেন তার চাইতেও বেশী না দেন তবে বড় আকারে আইন প্রতিরোধের (0111 2.6/3420০6 ) কোন সস্তাবন! নেই কর্তৃপক্ষ আমাদের নেহাৎ সেদিকে ঠেলে ন৷ দিলে

5 ?

তার দরকারও নেই আমি এই. আশ! পোষণ করে আসছিলাম যে», বূটেন ভারতের মধ্যে এক সম্মানজনক শাস্তি শরিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে.***.*৮ (২৮শে অক্টোবর )। |

বৃটিশ গবর্ণমেন্টের দিক থেকে এক কঠিনতর আঘাত এল। মাদ্রাীজে সংবিধানই একেবাত্র বাতিল করে দেওয়া হ'ল |

কিন্ত পটপরিবর্তন হতেও দেরী হ'ল না। বোন্বের ৩৭এ তারিখের এক খবরে প্রকাশ পেল, গান্গীজী আর হংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্রপ্রসাদ ৩১এ অক্টোবর বড়লাটের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দিল্লী ছেড়ে যাচ্ছেন বড়লাট নাকি আবারও কয়েকজন কংগ্রেস লীগ নেতাকে ডেকেছেন

জিন্লাজী গান্ধীজী

এর একটা তিক্ত রক্তাক্ত পটভূমিকা ছিল। সুক্কুরে বেধেছিল নিদারুণ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গ। দাক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদেই জিন্নাজী অত্যন্ত কড়া ভাষায় গান্ধীজী কংগ্রেসের সমালোচনা! করে বলেছিলেন

“পরিতাপের বিষয় যে, মিঃ গান্ধী কংগ্রেসের একমাত্র ভাষ্যকার ডিক্টেটর হিসেবে তার বিবৃতিতে এমন ভাষার মোড়ক দিয়েছেন যে, তাতে আবারও এই ধারণারই স্থষ্টি হয় যে, কংগ্রেস প্রথমতঃ বাস্তব অবস্থার সম্মুখীন হতে অসমর্থ এবং সে এই খারণার বশবর্তী যে, কংগ্রেসই ভারতের একমাত্র প্রবক্তা! ; দ্বিতীয়ত, সে একদিকে ভারতে গণতন্ত্রের পক্ষে বলে যাচ্ছে গ্রেট বুটেনের গণতান্ত্রিক সাত্রাজ্যবাদ উচ্ছেদ করতে চাইছে, অন্যদিকে বিগত আড়াই বছর ধরে নিজেকে কেবল যে ফ্যাসিষ্ট একনায়কতন্ত্রী সংস্থা বলে ঘোষণা! করেছে তাই নয়, কাজেও এই নীতির প্রয়োগ করে চলেছে। তৃতীয়তঃ, কংগ্রেস সারাভারতে হিন্দু জাতির পুনরুজ্জীবন হিন্দুত্বের প্রাধান্য ও.আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে চলেছে ।” |

জিন্নাজী তথা লীগকে খুনী করার জন্ত গান্ধীজী লিখলেন £ |

“মুসলিম লীগ এক মহৎ প্রতিষ্ঠান এর প্রেসিডেন্ট একদা.

তল

নিষ্ঠাবান কংগ্রেসসেবী ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের আশা-তরু ব্বরূপ ছিলেন। লর্ড উইলিংডনের সঙ্গে তার ছন্ঘ অবিস্মরণীয় কংগ্রেসের জন্য তার শ্রমদান কংগ্রেস কর্মীদের অকুষ্ঠ কৃতজ্ঞতার সৌধ চিহুম্বরূপ বোম্বাই কংগ্রেসে রয়েছে দজিন্না হল ।' লীগের এমন বহু সদন্থয আছেন ধারা সেই স্মরণীয় খিলাফত দিনে সর্বাস্তঃকরণে কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। আমি ভাবতেও সঙ্ষৌোচ বোধ করি যে, সেই এক- দিনকার সাথীরা আজ তদের লেখা বক্তৃতায় যে তিক্তুতার পরিচয় দেন তাদের হৃদয়েও সেই তিক্ত! বিরাজমান সততা, আমি ট্রলব, কংগ্রেস বা কংশ্রেসসেবীদের হৃদয়ে যদি লীগ বা কোন লীগ সদন্তের প্রতি তিক্ততা থাকে তবে তা অত্যন্ত অন্যায় ॥”

গান্ধীজীর এই প্রশস্তি যখন বেরোয় তখন সুক্করের হাঙ্গামা মীরাটে ছড়িয়ে পড়েছে। |

স্রুতরাং, এখানে দরকার হ'ল তৃতীয় পক্ষ, যে তৃতীয় পক্ষের মোহ থেকে কুড়ি বংসর স্বাধীন ভারতে বাদশাহী করা সত্বেও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ মুক্ত হতে পারেন নি; আজও উইলসন কিম্বা ফোসিগিন। সেদিন ছিলেন বৃটিশ বড়লাট। বড়লাট, জিন্নাজী গান্ধীজী এক বৈঠকে বসলেন এর একটা মীমাংসার জন্য | ত্রয়ী” এই শিরোনামায় লিখলেন পত্রিকা £

470] 05 019 19001 1) 10165 162.0618 (08179010111, 201.

[২2]61)019,71959.0 2100 0107)91)11) জ576 010959660 710) ০6:05.

1১81 02175101160. 13616 15 51]] 2 588160 79010 10 05. (0ড৮61701067, 9%, 1939)

পত্রিকা পরদিনই স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, আপোস-মীমাংসার আলাপট! কিন্তু গান্ধীজী “মুসলিম সম্প্রদায়ের” সঙ্গে করেন নি, করেছেন “মুসলিম লীগেগ্র সঙ্গে

হৃতরাত, ব্যর্থতা অনিবার্ধ ছিল, ব্যর্থ হ'ল। পত্রিকা বললেন, “বুনো হাসের পেছন ছোটা।” আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ কিছু প্রকাশ পায়নি, কিন্তু জিন্নাজীর লাভ হ'ল প্রচুর আর এইসব বৈঠক, খানাপিন! ব্যর্থতাশেষে গান্ধীজী আর একবার জোর দিয়ে বললেন,

8০০.

দেশকে আইন অমান্যের জন্য প্রস্থ না দেখলে আমি সেরকম চেষ্টার প্রতিরোধ করব।

দেখ, ত্য, তোমায় এর আগেও বলেছি, আমাদের দেশের স্মরণীয় বরদীয় নেতৃবৃন্দের এই একটি বিরল গুণ যে, তার! অনর্গল বক্তৃতা বা বিবৃতি দিতে পারেন ; তাদের মনে সর্বদাই এই আশঙ্কা যে, তারা যেন লোক-স্মতির অগোচরে ন| যান; সর্বদাই যেন তাদের অস্তিত সাধারণের মনে জাগরূক থাকে এই অনর্গল বক্তৃতা বিবৃতির ফল এই যে, তাতে জট পাকিয়ে যায়; সেটা যে গুরা না চান তানয়; কেননা, তাতে মানুষটা বিজ্ঞাপিত থাকে .এমনি একটা কাণ্ড ঘটল নবেন্বরে

তোমাকে সম্ভবতঃ বলেছি, সত্য, যে, কম্যুনাল এওয়ার্ড দেবার আগে লগ্নে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ-_মায় মালব্য গান্ধীজী__র্যামজে ম্যাকডোনাল্ডকে একটা এওয়ার্ড দেবার জন্য লিখিত অনুরোধ করেছিলেন। গান্ধীজী সেই কথাটিই এখন আবার তুলতে হুলুস্থল পড়ে গেল। গান্ধীজী। এও বললেন যে,__

£4]0)6 001161655। 1015 111918000, “1058119 2০০60$60 006 4810০

গান্ধীজী সত্যি কথাই বলেছিলেন, কিন্তু বিব্রত কংগ্রেস একথা স্বীকার করতে রাজী নয়। হট্টগোল এমন হ'ল যে, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে এগিয়ে এসে বলতে হ'ল £ আমরা তো শাসন সংস্কারটাই অগ্রাহ করেছি; এওয়ার্ড তার একট! অংশ ; স্ৃতরাং, সেটিও অগ্রাহা করেছি।

এই ছেলে ভুলানো ছড়ায় অনেকেই পরিতুষ্ট হ'ল না বটে, কিন্ত বিদ্রোহও হ'ল ন!; কেননা, তখন বিদ্রোহ করবার মতো কেউ ছিলও না।

এদিকে কংগ্রেস প্রদেশে প্রদেশে মন্িত্ব ত্যাগ করায় প্রশাসন জেত্রে যে শূন্যতার স্ত্টি হয়েছিল তা পূরণের জন্য কোথাও কৌথাও

৪০৯

স্বাধীনতা-_২৬

একট! ঝোক দেখ! দ্িল। আসাম হ'ল তার স্্চনা | প্রদেশ-গবর্ণর বিরোধীপক্ষীয় স্যার মহম্মদ সাছুল্যাকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমন্ত্রণ করলেন। স্বভাবতঃই কর্মাভাবশুন্য সাধারণ কংগ্রেসসেবীদের এই সব পরিণতি চঞ্চল করে তুলল; পক্ষান্তরে, কম্যুনাল এওয়ার্ডের মহিমায় বিরোধীপক্ষ মানেই ছিল মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা! আসামে তা-ই ইউরোপীয়ান চা-করদের প্রসাদে বিজাতীয় প্রকৃতিতে ফে'পে উঠতে লাগল বুটিশ সরকারের দিকেও অচলাবস্থা অবসানের জন্য তাগিদ নেই। সাধারণ কংগ্রেসসেবীদের “হচ্ছে হবে” করে নিরস্ত রাখা যাবে ?

কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটিও কিন্তু নীমাংসার দরজা খোল! রেখে . আনুষ্ঠানিকভাবে গান্ধীজীর এই অভিমতই সমর্থন করলেন যে, আইন অমান্য আন্দোলনে অবতীর্ণ হবার সময় এখনও হয়নি তাদের প্রস্তাবে বলা হ'ল £ প্ৰৃটিশ গবর্ণমেন্ট কংগ্রেসের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলেও ওয়ার্কিং কমিটি সম্মানজনক মীমাংসায় উপনীত হবার সর্বপ্রকার উপায় আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাবেন।” সুভাষচন্দ্র বস্থু এর একটু কড়া সমালোচনা করে বললেন £ “অর্থাৎ, আমাদের লাথি মারলেও আমরা বুটিশ সরকারের পদলেহন করে যাব।” ( অঃ বাঃ প$ ২৫ নবেম্বর, ১৯৩৯ )

কিন্তু স্থভাষচন্দ্রের কথায় কর্ণপাত করার মতো লোক খুব বেশী ছিল না; গান্ধীজী নেহরুজী বরং জিন্নাজী তার সহচরদের কথায় কর্ণপাত করেছিলেন জিন্নাজী অবশ্য গান্ধীজী-নেহরুজীর কথায়ও কান পাতছিলেন না।

মুসলিম মুকি-দিবস জিন্লাজী এই নীরব নিষ্্রিয়তার ওপর এক বোমা ছুড়ে মারলেন ? কর্ণবিদারী শব্দতরঙ্গে আন্দোলিত হতে লাগল জিক্মার্জীর এই বিবৃতি যে, ২২-এ ডিসেম্বর শুক্রবার মুলমানদের মুক্তিদিবসরূপে পালিত হবে

৪0২. .

“1005 087 0৫ ৫9115918006 2:00. 100810105 £1%105 83 2, 1008200 91. 91161 10)2 008 001161555 (0৮81317)61069 1726 20195 099,880. 181001015.

তখনও কিছু “জাতীয়তাবাদী' . মুসলমান ছিলেন যাঁরা অপ্রতিরোধ্য সাম্প্রদায়িক ধ্বস নামতে দেখেও এই দত্বস্তিতে শুক্রিয়া” জানাতে, চাইলেন না। কিন্তু জিন্নাজীর অসাধারণ দুঃসাহস তার রাজনৈতিক প্রতিমুত্তিকে আরও দীর্ঘায়ত করে দিল। তখন কে অস্বীকার করবে জিন্না তার মুসলিম লীগ গান্ধী তার কংগ্রেসের সমকক্ষ নয়__ অগণিত উদাসীন নির্বোধ অসাম্প্রদায়িক জনসাধারণ সত্বেও? পত্রিকা নালিশ করেছিলেন, লীগ-বহির্ভূত অসংখ্য মুসলমান থাকতেও বৃটিশ সরকার লীগকেই স্বীকৃতি দিয়ে অন্যায় করছেন। কিন্তু যদি বৃটিশ সরকারের দোষ হয়ে থাকে, তবে গান্ধীজী কংগ্রেসও একই কারণে সমভাবে দোষী; তারাও কার্ধতঃ একমাত্র লীগকেই উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমানহারে স্বীকৃতি দিয়েছেন

১২ই ডিসেম্বর ৰোন্বের এক সংবাদে জানা গেল, জিন্নাজী জওহর- লালের কাছ থেকে একখানি চিঠি পেয়েছেন। তার জবাবে জিন্নাজী কিছুমাত্র অস্পষ্টতা না রেখে যা বলেছিলেন তা আরও জোর দিয়ে. বললেন

যুক্তি-দিবস উদযাপিত

সাধারণ মানুষের এই নিঃসহায় অবস্থায় মুসলিম মুক্তিদিবস পালিত হল! লীগ-বহি্ভূতি মুসলমানদের মধ্যে নিয়ে যে প্রতিরোধ বিরক্তি ছিল কংগ্রেস তার কোন স্থুযোগ নিল না, তাদের পাশে ঈড়িয়ে তাঁদের সংগঠিতও করল না। কারণ, কংগ্রেস-নেতৃবুন্দে .জিন্নাজী লীগের সেই একটা! আপোসের জন্য বেশী করে বুকে পড়েছিলেন। বৃটিশ শক্তির পর লীগকেই তার! দ্বিতীয় শক্তিবূপে গণ্য করছিলেন

অথচ একজন খাঁটা মুসলমান, করাচীর খান আবছুল কোয়াম নুকুর

রি বে

লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনার ভাবন! ত্যাগ কর! উচিত ।” (২রা 'জানুয়ারী, ১৯৪০ )

কিন্তু গান্গীজীর ভাবন! ছিল অন্যত্র মীমাংসার দরজা! ছিল খোল! ; 'তাই তার নির্দেশে “ন্বাধীনতার সঙ্কল্প” বাক্যেরও রদবদল হ'ল এবং চরকার ওপর জোর দেওয়। হ'ল

আবার আনাগোনা

আমরাও হয়তো চরকাই ঘুরোতাম ; 'কিন্তু ঘর্ঘর শব্দের মধ্য 'দিললীর এক খবর এল কানে, নেতৃবৃন্দের ডাক পড়েছে আবার বড়লাটের সঙ্গে বৈঠকে বসবার ১৩ই জানুয়ারী শুরু হ'ল বৈঠক

যবনিক। উঠলে দেখা গেল, সুসজ্জিত বৈঠকে অপেক্ষামান বড়লাটের সঙ্গে দেখ করতে এলেন কংগ্রেস পার্লামেন্টারী পার্টির ভুলাভাই দেশাই | ' তারপর এলেন জিন্নাজী

স্বভাষচন্দ্র বলেছিলেন, আমি তো বুঝতে পারছিনে, বড়লাটের ভাষণে এমন কি আছে যাতে আবার ছুটে যেতে হবে বড়লাঠের সঙ্গে কথা কইতে তিনি পাটনার এক জনসভায় বলেছিলেন £ “আমি প্রথমে স্বাধীনতা চাই ; সেজন্য আমি স্বাধীনতা সংগ্রাম আরম্ভ করার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছি ।” ( ১৬ই জানুয়ারী, ১৯৪০)

গান্ধীজী বললেন, আমি কিন্তু সংগ্রামের জন্য একেবারেই হাত কামড়াচ্ছি নে। আমি ওটা পরিহারের জন্তই চেষ্টা করছি

4৫] 217) 1001 9000111176 107 2,261) 1 222 ৮108 ৫৮০1 1 ৬/18556] হেড 00 006 ০0৫ 0109 17762070618 01 00) 0115)105 0০909102156, ] ৮/1)0119 81500756 91101)85 73805 0115815987৪ [ 20) 62587 0 13256 2, 00100100156 5/300 13716510) 1616 ০2 7968 020 1৮0 1)020017--, [09৮৩1101986 186) 10 311165172 [116 006 18165% 07018001006176106 01 1,010 15101161780, [:0911556 11) 1015 511091365,5 (২০এ জানুয়ারী ১৯৪০ )

হ্ৃতরাং ওয়াকিং কমিটিও শৃত্রচালিত পুত্তলীবৎ প্রস্তাব নিলেন যে, গাঙ্কীজী বর্তমান অবস্থা দূরীকরণ যায় কি না তা জানবার জন্য বড়লাটের বক্তার কিছু ভাস্য চাইবেন। ( ২০এ জানুয়ারী, ১৯৩৯)

৪?

গান্ধীজী আবার বললেন, চর আস্তরিকতায় তার; খুব বিশ্বাস সভাষচন্রের আরও একটি বক্তৃতার জবাব কী গিয়ে কথারই' পুনরাবৃত্তি করে বললেন £ £06 ] 08156 11৮6 11) 1106 10009 102 51791] 6911) ০01 ০0171000160 %1101)9101 21701010601), গান্ধীজীর প্রত্যাশামতো৷ আবার বৈঠক আনাগোন! শুরু হ'ল ; যুদ্ধকালট! যদি এইভাবে ভারতবর্ধকে' নিক্ক্িয় রেখে অতিবাহিত করা যায় মন্দ কি? গান্ধীজী সদলে নয়াদিল্লী পৌছোলেন 77 ভবনে গেলেন অন্যান্য নেতারাও এলেন বল! বাহুল্য, এবারও কোন মীমাংসাস্ুত্র পাঁওয়! গেলনা কিন্তু গান্ধীজী কিছুতেই একে 'ত্রেকডাউন' বলতে রাজী হলেন না। আমি: মনে করি আশ! রাখি, শুধু মূলতুবী হ'ল। «]106116%6 1006 1)0169 50 10680205681 61006611811) 1106 ঠা 06116 08৮ ৮6 26 76901)108 006 2০৪1 5900 7; 10780 0210 96০1১. 05 80091711776 17)0610011061)06.“ লালেবাই, সত্য, ঘুম-পাড়ানীয়া গান। আলোচন! হচ্ছে কি নিয়ে. তার হদিস নেই, কিন্তু টেবিলেই পাওয়া যাবে স্বাধীনতা-উপঢৌকন কেউ রুখতে পারে না কিন্তু, সত্য, মাঝে মাঝে এমন ছুরম্ত ছেলেরও দেখ! পাওয়া যায়, যাকে কিছুতেই ঘুম পাড়ানো যায় না। ম্থভাষচন্দ্র নিশ্চয়ই গান্ধীজী- চালিত কংগ্রেসের মাথাব্যথার কারণ ছিলেন, কিন্তুসে প্রধানতঃ সাংবিধানিক ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে কিন্তু কে জানত, পাঞ্জাবেরই এক দামাল ছেলে সকলের অলক্ষ্যে বিলেতে গিয়ে সিংহনাদ করে উঠবেঃ ভুলিনি- জালিয়ানওয়ালাবাগ ! স্যার মাইকেল ওডায়ারের কথা আমরা হয়তো বছরে এপ্রিলের একদিন মনে করতাম ; কিন্তু কে জানত, এই পাঞ্জাবী যুবক ২১ বছর ধরে একাদিক্রমে ওভায়ারের পেছন পেছন ছায়ার মত

89৬:

"ঘুরেছে ? মহম্মদ সিং আজাদ ওরফে উধম সিংয়ের রিভলভার ছুটল নিশ্চিন্ত জালিয়ানওয়ালাবাগের নায়ককে লক্ষ্য করে; কাছেই ছিলেন 'লর্ড জেটল্যাণ্ড, লর্ড লেমিংটন স্তার লুই ডেন। কেউ রক্ষা করতে পারেননি স্তার মাইকেল ওডায়ারকে লগুনের ১২ই মার্চের রাত্তি। 'উধম সিংয়ের প্রথম বিচার করলেন গান্ধীজী প্রমুখ মহাত্বারা অপযশের ফাঁসীমঞ্চে তুলে, তারপর ২১এ মার্চ লণ্ডুন আদালতে, তারপর মে মাসের শেষে মৃত্যুদণ্ড ! মাইকেল ওডায়ারের বিচারক বিস্থৃতির অতলগার্ভে; জালিয়ানওয়ালাবাগের ৫০ বছর পৃতিতেও কেউ তার নাম |

একই সময়ে গান্ধীজী স্বভাষচন্দ্র-চালিত আপোস-বিরোধী সম্মেলনের দিকে দৃষ্টি রেখে বললেন £ আমি বড়লাটের কাছে, দরকার হলে, পঞ্চাশ বার যাব। নিজে যেচে দেখা করব। লর্ড রিডিংয়ের কাছে যেতেও আমার লজ্জা ছিল না, জেনারেল স্মাটসের সঙ্গে আপোসে পৌছাতেও আমার লজ্জা ছিল না ( ১৮ই মার্চ, ১৯৪০)

আমরা বাংলায় যেমন বলি বেশ করেছি, একশ'বার করব কিন্তু গান্ধীজীর সুর কিন্তু সর্বত্রগামী নয়--জিন্নীজীর বেলায় নয়, বুটিশ সরকারের বেলায় নয়। ন্ত্ুতরাং ওয়াফিং কমিটিরও নয়। কথা উঠেছিল এবং কংগ্রেস অধিবেশনে প্রস্তাবও এসেছিল, স্তুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দণ্ড প্রত্যাহার করা যায় না? মৌলানা আজাদ গান্ধীজীর মতই উত্তপ্ত জবাব দিয়ে বললেন “শৃঙ্খলাভঙ্গে” দণ্ড বাতিল করার জন্ত প্রস্তাব আন! সহজ কিন্তু বাস্তব অবস্থাকে পরিহার করা তত সহজ নয়। ওয়াকিং কমিটিতে অনেক ভেবেচিন্তে কংগ্রেস সংগঠনের স্বার্থেই ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছিল; কংগ্রেস একটি সংগ্রামশীল প্রতিষ্ঠান, স্তুতরাং সামরিক নিয়মানুবতিতা দরকার ওয়ার্কিং কমিটি 'সঙ্কটকালে যদি বিন্ৃমাত্রও দুর্বলতা প্রকাশ করে তবে গোটা সংগঠনই ভেঙে পড়বে (১৯ মা$)

আহা, ওয়াফিং কমিটির যদি সর্বত্র এবং বরাবর এই রকম হূর্বলতা- মুক্ত সংমাহসে অবিচল থাকতে পারতেন! মৌলান। আজাদই তার বইয়ে এর বিপরীত প্রকৃতি উদঘাটিত করেছেন।

৬৪ চে |] এশি টি।

ইতিমধ্যে জিন্নাজী যে দ্বিতীয় বোমাটি নিক্ষেপ করলেন, তা সমগ্র ভারতবর্ষকে, ভারতবর্ষের জাতীয়তাকে ভারতীয় চরিত্রকে নিশ্চিহ্ন অথবা বিকৃত করে দিয়ে গেছে। বোমাটির লেবেল ছিল পাকিস্থান? লাহোরে-_যে-লাহোরে কংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব নিয়ে অবধি শতবার বৈঠকে বসবার আক্ষালন করে চলেছে সেই লাহোরেই--নিখিল ভারত মুসলিম - লীগের ২৭তম অধিবেশনে আপাতত গান্বীজীর সমশক্তিসম্পন্ন, পরবর্তীকালে অধিকতর শক্তিসম্পন্ন ডিক্ট্রেটর জিন্নাজী 'বজনাদে ঘোষণ। করলেন £

£[186 01019 ০011756 0060 009 21] 15 10 2110৬ 106 108,101 1)911015 961091266 10189192005 10 015101116 [17012. 11000 80000000005 2801781 5055.৮ (২২ মার্চ ১৯৩৯.)

এইখানেই জিন্নার্জী অন্যান্য ভারতীয় নেতা থেকে পৃথক 'ছুঃসাহসে অটুট এবং ভাষণে স্পষ্ট; কোন ধেশায়া নেই, ছূর্জেয় অন্তরাত্মার অন্ুচ্চারিত বাণী ক! তার ভাষ্য নয়, তীক্ষ খজু স্বচ্ছ। জিন্নাজী এতদিন ধরে যে দ্বিজাতি তত্বের কথ! বলে আসছিলেন তারই অবশ্যন্তাবী পরিণতি, কংগ্রেস-মন্ত্রীমগ্ুলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযোগপত্র, কংগ্রেস ম্্রীমগ্ডলীর পদত্যাগে স্বস্তি দিবস পালন, কড়লাট-গান্ধীজীর মন বুঝে নেৰার বঠৈক--পাকিস্থান-লক্ষ্যে এক একটি পদক্ষেপ। বৃটিশ ট্রাটেজি ক্ষংগ্রেসের দুর্বলতা জিন্নাজীর নখদর্পণে এবং সময় বুঝেই ভিনি এই বৌমাটি নিক্ষেপ করলেম। এর পর থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রনীতি রাজনীতি বাকাচোরা৷ পথে হাভড়াতে হাতড়াতে পাকিস্থানের অন্ধ গলিতে এন থেমেছে এবং আমার আশঙ্কা, সত্য, সম্ভবতঃ চিরকালের জন্যই গতিরুদ্ধ হয়েছে

জিন্নাজী লীগের সিদ্ধান্ত শুনে গান্ধীজী মন্তব্য ফরলেন ১2178। আর আশা! করলেন, যখন এটি কার্ধকর সিদ্ধান্তের রূপ নেবে মুসলমানেরা

1৪০৭

দেশবিভাগ চছিবে না যেমন ৬ই এপ্রিলের কথা, ১৩ই এপ্রিল তেমনি বললেন যে, 1485 2 118 00 1000-519197109 16 08,000 10101815 75915 (8৪ 0:0109980 09211016010, 1 06 1105)1709 ০1 [07012 16211 10815 00001, কিন্ত তিনি কখনো স্বেচ্ছায় এই অঙ্গচ্ছেদে রাজী হবেন না ; তিনি এটি নিবারণের জন্য সকল অহিংস উপায়ই নিয়োগ করবেন ( এপ্রিল ১৩ই ১৯৪০ )।

আবার মান-অভিমানের পালা

এর মধ্যে জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাঙ্থে গান্ধীজীকে নিয়ে আর একবার মান-অভিমানের পালা শুরু হ'ল। যুদ্ধ, ভারতের ঘোগদান, হিংসা অহিংস নিষ্বে গান্ধীজী ওয়াকিং কমিটির যে মতান্তর তা প্রতিফলিত হ'ল এক প্রস্তাবে “বহু উৎকষ্ঠিত সুদীর্ঘ বিতর্কের পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, কমিটির পক্ষে আর মহাত্মা গান্ধীর কার্ধস্চী ক্রিয়াকলাপ অনুসরণ কর! সম্ভব নয়।” অথচ এই সেদিনই একাস্ত- ভাবে তার ওপর সকল দায়িত্বভার একং কংগ্রেস নীতি পদ্ধতি নির্দেশের কর্তৃত্ব ন্যস্ত কর! হয়েছিল

অনুমান করা যেতে পারে বড়লাটের সঙ্গে গান্ধীজীর যে আলাপই হয়ে থাক তা কমিটির মতে সন্তোষজনক হয়নি, স্থৃতরাং গ্রহণযোগ্য হয়নি একথার সমর্থন পাওয়া যায় কমিটির প্রস্তাবে “ওয়াকিং কমিটির এই প্রত্যয় পূর্বাপেক্ষা জারও দৃঢ়তর হয়েছে যে, ভাল্লতের পূর্ণ স্বাধীনতার স্বীকৃতিই ফেবল ভারত বুটেনের সমস্তা সমাধান করতে পারে ; সুতরাং সেরকম ছ্যর্থহীন ঘোষণা! প্রয়োজন ।” (জুলাই ৭, ১৯৪০)

খান আযছুল গফফার খ'! গান্ধীজীর সমর্থনে পদত্যাগ করলেন

এ. আই, সি. সি- ৯১-৬৩ ভোটে কুমিটির প্রস্তাব মেনে নিলেন ২৭এ জুলাই সম্পর্কে মৌলানা! আজাদ তার [7015 ভ13 চিতে5৫০০০এ।

8০৮

লিখেছেন “অবস্থা চরমে উঠল জুলাই মাসে পুণায় ওয়াং কমিটি ও. এ, আই. সি. সি'র সভায় 1” প্রস্তাব যথান্বীতি গ্রহণের পর “ওয়ার্কিং কমিটির সদস্তরা বুদ্ধ সম্পর্কে দোছুল্যমান হলেন। কেউ ভুলতে পারছিলেন না যে, গান্ধীজী নীতিগতভাবে যুদ্ধে যোগদানের বিরোধী তারা একথাও ভুলতে পারছিলেন না যে, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম আজ যে আয়তন লাভ করেছে তা তাঁর নেতৃত্বেই এই প্রথম একটা মৌলিক প্রশ্নে তাদের মতান্তর ঘটছে এবং গান্বী্জী নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন। পুণা সভার এক মাসের মধ্যে প্যাটেল তার মত বদলালেন এবং গান্ধীজীর মত মেনে নিলেন। অন্যান্য সদম্যও ছুলতে লাগলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ আর কয়েকজন সদম্য আমাকে লিখলেন, যুদ্ধ সম্পর্কে তারা গান্ধীজীর অভিমতই পোষণ করেন এবং কংগ্রেসেরও তা করা উচিত। কিন্ত আমি যেহেতু ভিন্ন মত পোষণ করি তখন তাঁদের পক্ষে কমিটির সদম্য থাকা সমীচীন কিনা এই সন্দেহ জেগেছে ।-*.***আমি তাদের লিখে জানালাম, বৃটীশ সরকারের এখন যা মতিগতি তাতে তারা যে ভারতের স্বাধীনতা স্বীকার করবেন এমন মনে হয় না সুতরাং যতক্ষণ বুটীশ সরকারের মতি পরিবর্তন ন৷ হচ্ছে ততক্ষণ ভারতের যুদ্ধে যোগদান একটা বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকছে মাত্র আপনাদের অনুরোধ করি, আপনার! কমিটির সদস্য থেকে যান।

আবার আমন্ত্রণ

এর মধ্যে আগস্ট মাসে বুটিশ সরকার বড়লাটের কেন্দ্রীয় পর্ধদে (8০০০৩ 0০০001]) আরও প্রতিনিধি নিতে চাইলেন ; মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমন্ত্রিত হলেন।

“সাথীদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই আমি এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলা অনেক কংপ্রেসকর্মী আমার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হননি। গান্ধীজী কিস্ত সম্পুর্ণ সমর্থন করে আমাকে একখানি চিঠি দিলেন।”

কিস্ত গান্ীর্জী নিজে এক ক্রাণ্ড করে বসলেন। তিনি ইংরাজদের

৪০৯

উদ্দেশে আবার এক আবেদনে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মিক শক্তিষোগে হিটলারকে বাধাদানের প্রস্তাব করলেন চিঠি লিখে ক্ষান্ত না হয়ে তিনি লর্ড লিনলিথগোর সাক্ষাৎপ্রার্থা হয়ে একই আবেদনের পুনরাবৃত্তি করলেন। এই প্রস্তাবে লর্ড লিনলিথগো এতই হৃকচকিয়ে গেলেন যে, অভ্যস্ত মৌজন্যবোধও ভুলে গেলেন। মৌলান! লিখেছেন ৪:

“[ 525 12011009110 1015 1019000০810 7105 085 10611 1৭1 2) 48০ 10, 07 9 00289 200 2106 08%1001)1]1 60 1015 02. 071 ১19 90085100109 16161)2712176 6106 061] 2002 96110] 0106 4. 0০. 19 16591 9025 01020 02001)3)1 21760 2৮25 17501) &, 11011 210 06৮/1102160 ড106109 2100 1390. 60 900 115 দা৪/ ০0. 10 1019 02. 21] 0 1)10)9211,৮

ব্যাপারট! শেষ পর্যন্ত এই দাড়ালো যে, কংগ্রেস বৃটিশ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল, (২৩শে আগস্ট ) মুসলিম লীগ প্রস্তাবই গ্রহণষোগ্য মনে করল (৩১এ আগস্ট )। ভারত সচিব এমেরিও কমন্সসভায় একথা ঘোষণা করলেন

সেপ্টেম্বরকে ধন্তবাদ, বোম্বাইয়ের এক সভায় ছত্রভঙ্গপ্রায় কংগ্রেস জনতা ফিরে দাড়াল; গান্ধীজীর সঙ্গে মতপার্থক্য চুকে গেল এবং গান্ধীজী আবার রামগড় প্রস্তাবমতো৷ কংগ্রেস পরিচালনার নেতৃত পেলেন। ( ১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪০)

এবং গান্ধীজী আবারও বড়লাটের সঙ্গে দেখা করবেন। আইন অমান্যের প্রস্তাব রইল স্থগিত | জিন্নাজী বড়লাটের সঙ্গে দেখা করলেন ২৫-এ এবং গান্বীজী ২৮এ সেপ্টেম্বর |

কিন্ত যথারীতি এবারও আপোদ বৈঠকের নৌকো ব্যর্থতার চরে ভেঙে গেল। গান্ধীজী চেয়েছিলেন যে, ভারতবর্ষ যে স্বেচ্ছায় যুদ্ধের শরিক হয়েছে অন্তত তা বাহক দেখাবার জন্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিন। বড়লাট বললেন__না'।

95৩

ব্যষ্টিগত সত্যাগ্রহ

স্বভাবতঃই গান্ধীজী, অতএব কংগ্রেস, যাকে বলে “কিং ঢ, সেই অবস্থায়, সমষ্টিগত বিরাট ব্যাপক আইন অমান্ত আন্দোলন সত্যাগ্রহ নয়, কংগ্রেসের সংগ্রামশীগগতা রক্ষার জন্য, ব্যস্টিগত সত্যাগ্রহ মঞ্জুর করলেন। তার প্রথম গান্ধী-মনোনীত সত্যাগ্রহী বিনোবা ভাবে, স্বক্পং গান্ধীজীর নিজ ছাচে ঢাল! আশ্রমবাসী হল ১৬ই অক্টোবরের কথা।

এই প্রসঙ্গে, কারও কারও মতে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে, তোমায় বলে রাখি, গান্ধীজীর মতই নিরুপায় অথচ সংগ্রামের জন্য অস্থির স্ুভাষচন্দ্রও সত্যাগ্রহ বা আন্দোলনেক্স কোন ব্যাপক পরি- কল্পন| নিতে পারছিলেন না বা নিচ্ছিলেন না তিনি একটি ছোট আন্দোলনের পরিকল্পনা করছিলেন। ডালহোৌসী স্কোয়ারের উত্তর পশ্চিম কোণে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের বিপরীত দিকে একটি মনুমেন্ট ছিল, তার নাম হুলওয়েল মন্ত্রমেন্ট পলাশী-খ্যাত-নবাব সিরাজদৌলার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি একট! অবিশ্বাস্য রকমের ছোট্র ঘরে বন্দী ইংরাজদের আটকে রেখেছিলেন ; তাতে সব মার! গেছিল ; এবং তার নাম হয়েছিল অন্ধকৃপ হত্য! সিরাজ হেরে গেলে এবং বণিক ইংরাজ রাজদণ্ড পেলে তার! হত্যাকে চিরপ্লীব রাখতে হলওয়েলের নামে একটি সৌধ করেছিল পরবর্তীকালে ইতিহাসবিদের! এই “মিথ 'কে স্বীকার করেন নি; কিন্ত তবু এটি খাড়া ছিল। মুসলিম লীগ যখন রাজ্য হাতে পেল তখনও | এর বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর মুনলমানেরও অসন্তোষ ছিল-- যেহেতু সিরাজ মুসলিম নবাব কিন্তু সত্যের খাতিরে একথা উল্লেখ করা কর্তব্য মনে করি যে, কারণ যাই হোক, প্রাচীন স্থৃতি-সৌধ আইন অনুসারে হলওয়েল মন্ুমেন্টকে সংরক্ষিত বলে ১৯২৩এর - ১০ই জুলাই যে নোটাশ করা হয়েছিল ১৯৪০এর ১৬ই আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার তা৷ প্রত্যাহার করে নেন। লীগশাদিত বাংলার বিধানদভায় ২৩এ আগস্ট এক

৪৯১

প্রস্তাবক্রমে, স্থির হয় যে, পাঠ্য পুস্তকে এই মিখ্যাকাহিনীকে সন্নিবেশ করা চলবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কি প্রদেশ সরকার তক্ষুনি ওটি অপসারণে উদ্ভোগী হলেন না তবু আন্দোলনের ভিন্তিভূমি বহুলাংশ শিথিল হয়ে গেলেও স্ুভাষন্ত্র আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন না তিনি এর শেষ করে যেতে পারলেন না; তীর দৃষ্টি-ভঙ্গি ছিল পৃথক স্রভাবচন্দ্র অবশ্য এতিহাসিক কারণে এই মিথ্যা কলঙ্কচিহ্ন অপসারণের উদ্ঠোগ করছিলেন। ইংরাজেরা থাকতে লীগ সরকারকে দিয়েও এর অপসারণ সহজ হবে ন! জেনে স্ুুভাবচন্দ্র একটি সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অবতীর্ণ হুৰার উদ্ভোগ করতে করতেই ভারতরক্ষা নিযমাবলীর ১২৯ ধারামতে বন্দী হয়ে গেলেন। কংগ্রেস রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে ইতিপূর্বে অপসারিত স্তভাষচন্দ্র রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষেত্র থেকেও অপসারিত হলেন। এদিনই হলওয়েল স্মৃতি অপসারণ সত্যাগ্রহ আরম্ত হওয়ার কথা, চারজন সত্যাগ্রহী এজন্য গ্রেপ্তারও হলেন। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ তখন সিমলায় আনাগোনা করছেন; বাংলা দেশে আর একটি মাত্র বাধা ছিল ; শ্ুভাষচন্দ্র বস্তুর দাদা, শরৎচন্দ্র বস্তু; তাকে প্রথমে এ. আই. সি. সি. থেকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস পার্লমেপ্টারী বোর্ড থেকেও বহিষ্কার করা হ'ল ১৯৪০-এর অক্টোবরের মাঝামাঝি

এই সময়ই গান্ধীজী ব্যস্তিগত সত্যাগ্রহ মঞ্জুর করলেন বিনোবাজীর ২১-এ অক্টোবর তিনমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হ'ল। আজাদ তার বইয়ে বললেন, “এর পর জওহরলাল সত্যাগ্রহী হতে চাইলেন, গান্ধীজী হলেন রাজী ।” এলাহাবাদ থেকে পনের মাইল দূরে ছেওকিতে তিনি গ্রেপ্তার হলেন ৩১-এ অক্টোবর ; গোরক্ষপুরে এক বক্তৃতা দেবার অপরাধে ৪8ঠা নবেম্বর তার চার বছর কারাদণ্ড হয়েছিল তিনদফা অভিযোগে আজাদ বলছেন : “এর পর আরও অনেকে অনুসরণ করলেন এবং শিগগিরই দেশব্যাপী ব্যষ্টিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়ে গেল ।”

সুভাষচন্দ্র যে-কানুনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সর্দার প্যাটেলকেও সেকানুনে আটক রাখা হা'ল। সত্যাগ্রহ ক্রমশ বোদ্ে ছেড়ে যুক্তপ্রদেশ, পাঞ্জাব ছড়িয়ে পড়ায় এইইটই প্রতিপন্ন হ'ল যে, গুধু

৪১২

সুভাষচন্দ্র নয়, দেশের বহু মানুষই সংগ্রামের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিলেন প্রতিদিন নানা জায়গ! থেকে গ্রেপ্তারের খবর আসতে লাগল বাংলা, দিল্লী, মাদ্রাজ

বড়লাট তার পরিষদ সম্প্রসারণের যে প্রস্তাব করেছিলেন তা প্রত্যাহার করলেন ২০-এ নবেম্বর

মৌলানা আজাদকেও গ্রেপ্তার করা হ'ল ১৯৪১ এর ওরা জানুয়ারী ১৯৪০ এর ১৩ই ডিসেম্বর তারিখে এক বক্তৃতার অপরাধে আজাদ তার বইয়ে বলেছেন, “আমাকে দু'বছরের কারাদণ্ড দেওয়৷ হ'ল নৈনী জেলে আটক রাখা হ'ল।” অমৃতবাজার পত্রিকায় দেখছি ৮ই জানুয়ারী ( ১৯৪১ ) তার ১৮ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল।

কিন্তু গান্ধীজী বার বার সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে লাগলেন

4106 0155910% 9108516 12017011690 99 0৪ (0027£659 ভা] 116৬০] 06৮6101) 100 2, 77)2,99 1000৮620061) ( ড/1)816৮6] 17790 1709 110৪ 61028981012 ) 2070 90 18 2.9 1 027) 586, 1 911] 12170911) 25 2.0 11701510091] ০11] 0150192016106 200. 00122116 07217 10 0959 5110 0611559. ॥0 2.0. 101 [7% ০0001010188” (অঃ বাঃ পঃ ৯১ জানুষারী, ৯৯৪৯)

স্থভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান

এর মধ্যে বাংলা দেশে তথ৷ ভারত উপমহাদেশে এক আলেয়ার আলোক ঝলক ঘেলে গেল স্থভাষচন্দ্র নিখোজ হয়েছেন তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল তোমায় বলেছি জনসভায় এক বক্তৃতা দেবার জন্য আর “ফরোয়ার্ড ব্লক” সাপ্তাহিকে প্রবন্ধ লেখার জন্য ১৪ই জানুয়ারী যখন মামলা! ওঠে তখন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পেশ করে মুলতুবী প্রার্থনা করা! হয়। এর পরও একই কারণে মুলতুবীর প্রার্থনা জানানে! হয় ২*শে জানুয়ারী ইতিমধ্যে স্থভাষচন্দ্র অন্তর্ধান করেছেন

তারপর, নে এক পৃথক রোমাঞ্চ কাহিনী আমার ইতিহাসের গতিপথে সে কাহিনী পাশে রেখে নাই।

এদিকে গান্ধীজীর আন্দোলন যেমনই হোক ন৷ ব্যাপারটা কংগ্রেস

৪6১৩

বনাম গবর্ণমেপ্টই হোক, জিন্নাজী আপত্তি তুললেন। লীগ এক প্রস্তাবক্রমে জানালেন, আন্দোলনের উদ্দেশ্য ভারতের ভবিষ্যৎ ংবিধান সম্পর্কে বুটিশ সরকার যা স্থির করেছেন তা নড়চড় করে দেওয়া তেমন অবস্থা হলে লীগ হস্তক্ষেপ করতে পরাজ্মখ হবে না। (২৪-এ ফেব্রুয়ারী ১৯৪১ )।

সবই নার্ভের খেলা, বুঝলে, সত্য, জিন্নাজী বললেন, কংগ্রেস চাপ সথষ্ট্ি করছে ইংরাজদের ওপর, আর উনি চাপ স্থষ্টি করতে লাগলেন কংগ্রেসের ওপর কংগ্রেসকে দিয়ে একথা স্বীকার করাতে যে, লীগ হঠ্চ্ছ মুসলমানদের সংগঠন, কংগ্রেস হচ্ছে হিন্দুদের সংগঠন নার্ভের এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের “হিম্মৎ গির গিয়া” বে, কিন্তু ১৯৪১-এ তেমন অবস্থা আসে নি ; কেবল এইটুকু হয়েছে যে, ১৯৩৮-এ যাকে সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান বলে নিন্দা করা হয়েছিল তাকে আর বর্জন কর! হয় না, এক টেবিলে বসে কথাবার্তা হয়, স্থৃতরাং সে নিন্দাও কার্ধত বাতিল হয়ে গেছে। তবু ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯-এ এপ্রিল জিন্না বা লীগের এই প্রচেষ্টায় প্রতিবাদ জানালেন ;

“615 09951009072 00৬ 001081659 ৬0010 101 001017)16 5010106 ৮101) 006 56016 01006 091) 00010170£5 165611 25 2, 00171011719 01691115811010 01 1116 1711005 2101)6.--" ৪170 06911716 2, 06861) 010৮ €0 005 16215 ৫017 জা)101) 16 19000160, 5009160 2110 82.0119060.,%

গান্থীজীও বললেন, “আমি দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করতে চাই যে, এই আন্দোলনের ভাবনা প্রয়োগে কিছুমাত্র সাম্প্রদায়িক-_কি মুসলিম- বিরোধী কি ইংরাজ-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি আছে লক্ষ্য করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে, এটিকে সীমায়িত অনিষ্টমুক্ত রাখার জন্য সবিশেষ গ্তর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে ।”

কিন্তু অবস্থাটা বেপরোয়া হয়ে আসছিল কমন্স সভায় ভারত- সচিব আমেরীর এক বক্তৃতায় অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে গাহ্বীজী বললেন “আমি স্বীকার করি, ছূর্ভাগ্যবশতঃ কংগ্রেস মুসলিম লীগের মধ্যে এক ছুস্তর ব্যবধান গড়ে উঠেছে***কিন্তু বৃটিশ শক্তি এখান থেকে চলে

১০0,

যাক, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি-_কংগ্রেস, লীগ এবং সকল দল তাদের স্বার্থেই একত্র হবে এবং ভারত সরকার প্রতিষ্ঠায় তার! নিজেরাই এক ঘরোয়! সমাধানে পৌছোবে। হতে পারে, সে সুদিন আসবার আগে আমাদের নিজেদের লড়াই করতে হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি বিদেশীকে আমন্ত্রণ না করা বিষয়ে একমত হই তো হাঙ্গীম৷ বড় জোর পক্ষকাল চলবে এবং আজ ইউরোপে একদিনে যত মানুষ মারা যাচ্ছে তার চাইতেও কম লোকক্ষয় হবে; তার সহজ কারণ, বৃটিশ শাসনে আমরা একেবারেই নিরস্ত্র 1৮ (অঃ বাঃ পঃ ২৮ এপ্রিল, ১৯৪১)

গাহ্ধীজীর একথাটি তুমি মনে রেখো, সত্য, আমার পরে লাগবে ; আর, আগের একটা কথা স্মরণ করো, যখন তিনি বলেছিলেন, অহিংসায় দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য তিনি যুগ যুগ অপেক্ষা করতে রাজী আছেন এখানে কিন্তু কম হলেও রক্তপাতে আপত্তি নেই--বড় জোর পক্ষকাল

অথচ মে মাসেই তিনি অহিংস সত্যাগ্রহের দিকে তাকিয়ে এক রকম স্বীকারই করলেন যে, তার ব্যগ্টিগত সত্যাগ্রহও নিক্ষল হতে পারে। গান্ধী সেবা সঙ্ঘের “সর্বোদয়' কাগজে লিখেছিলেন £

“176 780৮9109126 101 006 €000010 01 10101) ] ৪00 1651017511919, [085 700৮6 2, ৮21] 60,

সত্য, আমর! প্রায় ভুলতে বসেছি যে, আজ প্রায় তিন বছর যাবৎ নী মহাযুদ্ধ চলছে, কেননা, ভারতের স্বাধীনতা লাভে অহিংস সংগ্রামের দিক্‌ নির্ণয় হচ্ছে না কিন্তু বুটিশ কর্তারা এজন্য বসে থাকেন নি। বুটিশ ভারতের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওয়াভেল লালা রামশরণ দাস, স্তার কাউয়াসজী জাহাঙ্গীর, যমুনাদাস মেহতা! প্রমুখ কয়েকজন ভারতীয়কে নিয়ে একটি প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমিটি করলেন। ছাড়া, বড়লাট পরিষদের সম্প্রসারণ জাতীয় প্রতিরক্ষা পর্ষদ গঠনের কথাও ঘোষণা করা হ'ল এক সরকারী ইস্তাহারে ; এতে অনেকের মধ্যে হোরমাসজি মোদি, আকবর হায়দরি, মালিক ফিরোজ

৪:৯৫

খা! মুন, সুলতান আমেদ, ফজলুল হক, এম এস আনে, বীরেন মুখাজি; সেকেন্দর হায়াৎ খা প্রমুখও ছিলেন

এখানে তোমাকে আর একটা অনিবার্ধ বেদনার কথা বলি। স্ুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধানের মাস সাতেক পর ১৯৪১-এর ৭ই আগস্ট ছিপ্রহর ১২ট! ১৩ মিনিটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করলেন। বোটানিকেল গার্ডেনের সেই দীর্ঘায়ু বটগাছট! দেখেছ তুমি ? রবীন্দ্রনাথ গোটা! বাংল! দেশকে তেমনি স্লেহচ্ছায়ায় রেখেছিদুলন। স্ভাষচন্দ্রের ওপর যখন অন্ুর-উৎপীড়ন চলছিল তখন তার করুগাম; হৃদয়টি দেখেছ কালবৈশাখীর রুদ্ররূপ দেখেছ তার ? মে মাসের ( বিলাতের পার্লামেন্ট সদস্কা। মিস র্যাথবোন ভারতের উদ্দেশে যে কটুক্তি করেছিল জুন মাসের প্রথমেই তার জবাব দিতে সেরূপ জ্বলে উঠেছিল ইতিহাস বর্ণনায় সবটা চিঠি তোমায় বলতে পারব না, একটুকু বলি

47105 1311151) 0266 0106 8215 10] 0061610 ০121151051176 00611 €70110-079,56615 2750 11155 1১801)90116 63:0805 05 0 10155 15 10900 1061 [0601916 11) 361৮1110101 1)8৮11)6 7159190 019105 92) 0015,

জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই দীপ্ত জ্যোতি বাংলা দেশ মহীরুহশৃন্য হল।

অনশন-নীতি অপরিবর্তশীয় নয়

তোমার মনে আছে, সত্য, বাংলার ছেলেরা জেলে থাকতে অনশন করেছিল বলে গান্গীজী তার তীব্র নিন্দা করেছিলেন ? কিন্তু দেউলীতে জয়প্রকাশ প্রমুখ কেউ কেউ অনশন করলে গান্ধীজী নিন্দা করতে পারলেন না, সমর্থনই করলেন ;

“] 08090 18611) 7600£015116 0026 26 (77065 01765 10956 10

00580 20100921916 760001756 10 160159$ ০0৫ £119211085,

615 01091 001 6136 0০৮61100791) 10 555 (1১76 05৮ 11] 1709

008831051 87292971089 001659 (116 511115 15 61] 00. 165

00052000006 00 58517060051 50761615 5110010 1106 806 101 €2 16071585 ০৫ 01089 0076 10 11)6179, “(0০৮, 30, 1941).

৪১৬

২৮এ নবেম্বর তিনি আবার বললেন £

4001 &, 01250057 00057 90655, 13017567501 15 00৪ 1069: হ01-10167) 1617)90.*.] 08100. (086 1)50561-5000055 91১0910 9০99 £8821060 29 ৪, 0211716. (০৮. 28, 194] )

আজীদ-জওহরের আকন্মিক যুক্তি

কারামেয়াদ শেষ হবার আগেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কারামুক্তি হ'ল। বিলাতের সংসদীয় মহলে এজন্য আশার সঞ্চার হলে গান্ধীজী এসোস্য়েটেড প্রেসের কাছে মন্তব্য করলেন, তার! শিগগিরিই হতাঁশ হবেন। পণ্তিত নেহেরু রাজনীতি নিয়ে আলোচন৷ করতে চাইলেন না। (€ই ডিসেম্বর ১৯৪১) এর মধ্যে ৭ই তারিখে গান্ধীজীর এই নির্দেশটি তাৎপর্যময় হয়ে উঠল যে, ওয়াফিং কমিটি এ. আই. সি. সি'র সদন্তেরা সত্যাগ্রহে নামবেন না পরিষ্কার ই্গিত-_-কিছু একটা আসন্ন।

আজাদ তার বইয়ে লিখেছেন £ “এই সিদ্ধান্তের অভিপ্রায় যুদ্ধের পরিবতিত পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কি প্রতিক্রিয়া তা দেখা

“অন্তান্তবার কারামুক্তির পর আংশিক সাফল্যের একটা আনন্দ পেয়েছি ; এবার মনে হ'ল যুদ্ধ চলেছে আজ ছু'বছরেরও বেশী কাল কিন্তু আমরা ভারতীয় স্বাধীনতালাভের জন্য কোন ফলপ্রন্থ পদক্ষেপ করতে পারিনি আমরা যেন অবস্থার শোতে ভেসে চলেছি, স্রোত কেটে লক্ষ্য স্থানে যেতে পারিনি ।”

এই সময় ৮ই ডিসেম্বর জাপান বিশ্ব মহা আহবে নেমে পড়ল এবং পার্ল হারবার থেকে শুরু করে সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অতটুকু দেশ তোলপাড় ক'রে তুলল।

গান্ধীজী ছিলেন বরদোলিতে মৌলানা মুক্তির অব্যবহিত পরই বরদোলিতে ওয়াফিং কমিটির সভা ডাকলেন। কিছু দূর এগিয়েই বোঝ! গেল, যুদ্ধ, যুদ্ধে যোগদান, হিংসা-অহিংসা অথবা হিংসা-অহিংসা- নিরপেক্ষ দেশের স্বাধীনতা ইত্যাদি প্রশ্নে নেতৃবন্দের মধ্যে যথেষ্ট

৪১৯৭

স্বাধীনতা ২৭

অনৈক্যের স্থষ্টি হয়েছে ছু'দিন ধরে বিতর্ক হ'ল, কোন মীমাংসায় আসা গেল না। গান্ধীজী কিছুতেই অহিংসা ছাড়তে রাজী নন; মৌলানা বললেন, ভারতের স্বাধীনতার ওপরই জোর দিতে হবে, অহিংস নীতির ওপর নয়। গান্ধীজী এই বিপরীত ৯০০০০৪০০ একট! খসড়া! তৈরি করলেন

আবার ছাড়াছাড়ি

শেষ পর্যস্ত ১৯৪১-এর শেষ দিন ৩১-এ ডিসেম্বর পত্রিকার সাতের পৃষ্ঠায় সাত কলম ব্যাপী এক সংবাদ বেরোলো৷ “গান্ধীজী কংগ্রেসের নেতৃত্বভার-মুক্ত ওয়াকিং কমিটি যুদ্ধের প্রতি মনোভাব প্রকাশ করে জানালো, জাতীয় প্রতিক্ষায় যোগদানের প্রথম সর্ত স্বাধীনতা | অর্থাৎ যুদ্ধ হিংস অহিংস গৌণ কথা, মুখ্য কথা দেশের স্বাধীনতা ১৯৪২-এর ১৩ই জানুয়ারী ওয়াফিং কমিটি “স্বাধীনতার সঙ্কল্প' বাক্যে যেখানে ্যষ্টিগত সত্যাগ্রহের কথা আছে সেই অংশটুকু তুলে দিলেন এ. আই. সি. সি. নেহেরুর প্রস্তাব গ্রহণ করল।

ফেব্রুয়ারী মাস নাগাদ শ্রীমতীকে সঙ্গে নিয়ে জেনারিলিসিমো চিয়াং কাই সেক ভারত পরিদর্শনে এসেছিলেন এবং বড়লাট থেকে শুরু করে সকল ভারতীয় নেতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ আলাপ করেন। তিনি একটা! বাণীও দিয়ে গেছিলেন এবং একদিন সারা ভারতে চীন দিবসও পালিত হয়েছিল

১৯৪২-এর ১৫ই ফেব্রুয়ারী জাপবাহিনীর হাতে সিঙ্গাপুর পতনের পর কলকাতায় ছু'টি সভায় জেনারেল চিয়াং মাদাম চিয়াং সম্পর্কে জওহরলাল যে উচ্ছাসিত প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করেছিলেন তার খানিকটা পড়ে শোনাই পরবর্তী নয়া-চীন অত্যুর্থানকে এবং আমাদের পররাহথ্ীয় প্রজ্ঞাকে বুঝে নেবার জন্য ;__ '

“215 585 058 01 05 16৬7 1027)65 1080 50007 90 11] 076 [880 01 ৬0110 ০-098%. [60109 91610 0 01011210785, 010 $/0010 970 2170 8100] ০0: 17001580091 8) 010806- ছা1০ 0০10 10 28156 11) 0706 00176 ১2৮ 11275199] 0001816 2০৯1-

রর

৪১৯৮

91161. /85 1006 0015 ৪, ৮৩1 £152% 168,061 ৮0 70995101 07৬ £58556 168067 (10118 1)2,0.,,,৮

ক্রিপস মিশন

রাজনীতি রাষ্ট্রনীতির দিক থেকে মার্চ মাসটা বড়ই তাৎপর্যময় ধুরহ্ধর কূটনীতিক উইনস্টন চাঁচিল তখন ইংলগ্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং দ্ধমন্ত্রী। ইউরোপীয় যুদ্ধে লিপ্ত বৃটিশ সাম্রাজ্য জাপানী আক্রমণের পর কি রকম দীড়িয়েছে লোকগুলোর মনের গতিই বাকি বুঝে আসবার জন্য পাঠালেন স্তার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌সকে

কংগ্রেস, লীগ, হিন্দু মহাসভা দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করা হ'ল।

পৃথক সত্তা সত্বেও ভারতীয় কম্যুনিস্টরা তখনও কংগ্রেসের মধ্যে ছিলেন। সম্ভবতঃ সেজন্যই তাদের পৃথকভাবে ডাকা হয় নি; অথবা তারা যুদ্ধোগ্চমে সামিল ছিলেন বলে বোধ হয় অগ্রয়োজন মনে করেছিলেন তবু, কম্যুনিস্টদের মধ্যে যাঁরা বন্দী ছিলেন তাঁদের মুক্তি দাবী করে বহ্ছিম মুখাজি বলেছিলেন

“[া) (15 10021 01 07756 0611] 70 73610691], ৬৪ ০0010171515 0601976, 519 সা1]] 251) 0106 072.50195 10 0690), ৬6 ৬11) [60101 000391705 0] 019 ৪1 10108 ১,০০০, ৬11] 1690৪, 08101098161 10: 01999 61061015185) 210101)5 ছ70110275 1০ 10617510 [00010061017 ; £৮৪ 09 20 00 168.06175, (4.3.সি 119101) 2, 1042)

ফরোয়ার্ড ব্লকের কোন প্রতিনিধি কেন আমন্ত্রিত হন নি, প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন ফরোয়ার্ড ব্লক প্রেসিডেন্ট আর. এস. রুইকারকে স্ট্যাফোর্ড লেখেন, “015 ৮০ 00৩ 9০৮ 0086 056 10:650606 0 য০এ: 02210152001. 1025 6৩10 200] ০০০61501610 605099 ০75,” (430, &21 115 1942 )

সুভাষের সৈম্তাপত্যে যদি কোন সেনাবাহিনী আসে তখন জওহরলাল কি করবেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 75 50128

৪১৯

3০956 1095 01)05610 15 00611) ৮:০০, 1 0207006 2০০০1 0৫ 2050 00009৩,৮ ( &০8-, &০ 13 0

ব্রন্ধে বৃটিশবাহিনীর পশ্চাদপসরণের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদপত্রের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হ'ল স্প্রাই ওয়েনকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিপজ পৌছোলেন করাচীতে ২২-এ মার্চ। ক্রিপস ভূমিকায় বললেন, সময় অপচয় নয়, দীর্ঘ আলোচনাও নয়

সর্বপ্রথম দেখা করলেন মৌলানা আজাদ, দোভাষী হিসেবে বলে ছিলেন আসফ আলি আজাদ চলে আসবার তিন মিনিট পর এন 'জিন্নাজী | |

কিন্ত কি কথা নিয়ে এসেছেন ক্রিপস?

গান্মীজীর সঙ্গে ছু'ঘণ্টা আলাপ হল ২৭-এ মার্চ দ্বিতীয়বার মৌলান! জিন্নাজীর সঙ্গে মোলাকাৎ হ'ল। হিন্দু মহাসভা নেতৃবৃন্দ সেকেন্দর হায়াৎ খাঁনের সঙ্গেও তৃতীয়বার প্রেসকে বললেন, বেশ আলাপ হচ্ছে। ২৯-এ মার্ট স্যার স্ট্যাফোর্ডের খসড়া ঘোষণ! ছাড। হ'ল, “হয় সবট! নিন, নইলে ছেড়ে দিন।” ক্রিপসের সাফ কথা

কেউই সর্বাংশে মানতে পারল না, কংগ্রেস নয়, লীগ নয়, হিন্দু মহাসভাও নয়। সঙ্কটটা নাকি প্রতিরক্ষার কর্তৃত্ব নিয়ে। এখানে তেজ বাহাছুর সপ্রু শান্তিদূতের কাজ করেছেন; কিন্তু কংগ্রেস বলল, না।

তবে মৌলান! নেহেরু ক্রিপস ভারতের প্রধান সেনাপতির সঙ্গে দেখা করলেন; আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেন্টের কাছ থেকে এক দূত এসেছিলেন, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হ'ল।

তারপর কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি ক্রিপ.স প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যে দীর্ঘ প্রস্তাব নিল তা প্রেসে ছাড়া হ'ল ১১ই এপ্রিল। পণ্ডিত নেহেরু তার স্বাভাবিক নাটকীয় ভঙ্গিতে বললেন

40810116815 20176 10 ৮৪ 10090. 8170. 16873), 2001 01 & 66৮ 001 00 ০0 88৮ 0117008150৫ 76০016.”

ক্রিপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর মৌলানা! আজাদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে অবস্থাটা বুঝিয়ে বললেন। ক্রিপ্‌জ এসে প্রথমে একটা

5২০

রঙিন চিত্র কেন; যুদ্ধাবসানের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষ স্বাধীন হবে যুদ্ধকালে বড়লাট বৃটিশ প্রতিভূ হিসাবে শীর্ষস্থানীয় থাকলেও বড়লাটের ভারতীয় পরিষদই হবে সব-কিছু। পরে, বিস্তারিত আলোচনাকালে নানারকম আইনের ফ্যাকরা বের করতে থাকেন ; তাতে শেষ পর্বস্ত সব কিছুই মিথ্যে হয়ে পড়ে তাই কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে

44১0৮ 000098] ০0006101065 0119 [00019 0৫1 11012. [70051 010)970. 21200101) 2170. 5০010101105, ০০৮ 11) 6০085 8128 011515, 1 19 01)9 01652610 1109% 09111)5, 210. 6৮618 [0101095815 101 &1)5 06079 816 11010016286 11) 50 িহ 25 01065 2090 006 চ75560৮,,,001 056 0075590 009 80109) 21 0901065 00০- 95215 216 ৮82726 200. 210066186] 11)00120101966 2100. 11 01110. 80621 ৮1026009৮16] 0109565 17 (106 [165670 9001৩- 815 00716917115.

গান্ধীজী মন্তব্য করেছিলেন £

“1615 8 00005200 7010695 172, 13216191) 00761121206 51)0101 182৬6 5610 ৪. 70100098] 101 01550141106 16 [১০11102] 0০2.010901, 010) 00 1906 011, দা25 (0০0 11010010115 60 200 20০91012706 ৪1 1)610,

কমন্স সভায় গিয়ে স্তার স্ট্যাফোর্ড রিপোর্ট দিলেন যে, তার মিশন প্রতিরক্ষা প্রশ্নে ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হয়েছে যুদ্ধাবসানতক কি ধরণের, অবস্থায় সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে সে কথ নিয়ে

পাকিস্থানের সমর্থনে মাদ্রীজ

কিন্ত ভারতবর্ষে গোলমাল বাঁধালেন রাজাজী ক্রিপ প্রকারাস্তরে যে সাম্প্রদায়িক প্রশ্নের ইঙ্গিত করেছিলেন মান্্রাজ বিধানমণ্ডলী পার্টি মুসলিম লীগের পাকিস্থান মেনে নিয়ে তা প্রজ্জলিত করে দিল। তোমাকে আমি একেবারে শুরুতে মাদ্রাজ বা দক্ষিণ ভারতের মানসিকতা সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত করেছিলাম বাংল! বা পাঞ্জাব যদি পাকিস্থান যায়, অথবা কেটে ভাগ করে, কিছ্ব৷ উত্তর ভারতের খানিকটা যদি ভিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হয়ই মাত্রাজের অঙ্গকে তা স্পর্শ করে না, ওপরে কাটলে সেখানকার একটা তৃণেরও বেদনা হওয়ার কথ! নয়। পাকিস্থান মেনে

৪৯৯,

নিলে অক্ষুষ্ণ দক্ষিণ বা মাদ্রাজ সহ অবশিষ্ট ভারত যদি স্বাধীন হয় তা -তাদের অকাম্য হবে কেন? ভারতে অখণ্ডত! বা সংহতি তো! একটা কল্পুলোকের কথা, ভারতবর্ষের এক তৃতীয়াংশ কেটে ফেলেও তো খণ্ড ভারতের অখণ্ডতা সংহতির কথা চলছে। ম্ুতরাং কোন বিন্ময়ের কথা নয় যে, মাদ্রাজ থেকেই প্রথম পাকিস্থানের সমর্থন এল। জিগগেস করলাম £ কি হয়েছিল সেখানে ? বললেন মাদ্রাজ কংগ্রেস বিধান মণ্ডলী পার্টির সভা হচ্ছিল, রাজাজী ছিলেন সভাপতি তিনিই পাকিস্থান মেনে নেবার প্রস্তাব ভুললেন। কংগ্রেস-এর বিপরীত প্রস্তাব আছে জেনেও | প্রস্তাবটিতে কি ছিল ?-_আমি জানতে চাইলাম বললেন, আসল অংশটুকু শুধু পড়ছি

“800, (176191016, 85 10001) 25 (16 111511]0 1,980 1795 100915060 07) 016 16008110100) 01 106 1151)% ০01 9108121101) 01 08118117 2162.3 110) [77160 17019 00010 06 25061911- 17861 01 0106 /151)95 06 [9018 5001) 21995 25 00200101010 76090601017 9, 00160 119110119] 20010) ৪% 11015 17)0178610% 0 818৮০ 1781101081] 0875617, (10157111501 0011010 ৪10 16007001776105 116 411-171012, 0008793, (০0107016166 09 €9 58011002 11)6 01081)065 01 10210191000 ৪, 820101191 0০022006106 26 0015 £2856 011915 107 00991] ৪.0%৪.00856 01 109.117691101106 & ০01000%6]5% ০৬৮6 006 0011৮ 01 11019. 15 &, 1709 01)158 [01105 ৪10 101)85 19600006 [150699215 (0 01,00956 61১6 165867 €৮)] 8180 2:01000%16066 1106 71051117) 1.68065 01917) 107 59621201010 ১5১,০০০ &

নিয়ে হুলুস্থুল বেঁধে গেল কিন্তু কারও সাহস হ'ল না রাজাজী বা মাদ্রাজ বিধান মণ্ডলী সদন্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আনে। গান্বীজী এবিষয়ে কিছুমাত্র উদ্যোগী হলেন না, তবে মন্তব্য করেছিলেন £ 1] ০95161 51515500020. ০6 10012 00 06 2 512. মৌলানা আজাদ অসন্তুষ্ট হলেন মাত্র।

রাজাজী অবিচল। দেশব্যাপী নিন্দায় ভ্রক্ষেপ নেই শেষ পর্যন্ত

১৪২২,

ওয়াকিং কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করলেন এবং কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তা সথেদে গ্রহণ করলেন | কি বিপরীত ব্যবহার ! ( ১লা মে, ১৯৪২)

এলাহাবাদে যে এ. আই. সিঁ, সি'র অধিবেশন হ'ল তাতে রাজাজীর প্রস্তাব ১২০--+১৫ ভোটে অগ্রাহ্‌ হয় বটে, কিন্তু কৌতুক এই যে, তার পাল্টা প্রস্তাব মাত্র ৯২--১৭ ভোটে গৃহীত হয়; বিরোধীদের সংখ্যাও ছু'জন বৃদ্ধি !

এই থেকে তুমি খানিকটা আভাষ পেতে পারো যে, রাজাজীর প্রস্তাবটি অগ্রাহা হ'ল বটে, মুসলিম লীগ সম্পর্কে সকলের মনোভাব এক ছিলনা কংগ্রেস মহলে লীগ এখন আর হিন্দু মহাসভার সমপর্যায়ভূক্ত নয়, তার আলাদা মর্ধাদা। পণ্ডিত নেহেরু লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও এর ইঙ্গিত দিলেন ; 4ম) 01515 0790 23055 ০001 0001)00 6০-৪5 15 111617 00 20016 2 26% 01706 ০০ 06 60102107005] 7:001৩00 200 5155 1150 6০9 2, 10৮৮ 21159901) £0: $5 5010001. (১৮৮০ থয 24, 1942 )

ক্ষুরধারবুদ্ধি রাজাজী গান্ধীজীর পথান্ুসরণ করলেন ; কংগ্রেসের সদম্যপদ, শ্ুতরাং মাদ্রাজ বিধান সভার সদস্তপদও ত্যাগ করলেন (১২ই জুলাই )

একট মস্ত আমুদে ব্যাপার ঘটেছিল, সত্য হঠাৎ বিস্ফোরণের মত তা প্রকাশ পেল। ওয়াফিং কমিটি “রেস্কুনের ঘটনাবলী ভারতে তার সম্ভাব্য পরিণতি” এবং “সৈশ্যদের হাতে মেয়েদের লাঞ্ছনা” সংক্রান্ত যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, ভারত সরকার তার প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। এ. আই, দি. সি. অফিস তল্লাস করে যুদ্ধসংক্রান্ত বিতর্কের এক বিবরণী হস্তগত করেছিলেন, তাই প্রকাশ করে বিশ্বকে চমকে দিতে চাইলেন ! গান্ধীজী এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে একটা খসড় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল বৃটিশ সরকারকে চলে যেতে ; বৃটিশ সাত্রাজ্যবাদের জন্যই ভারত যুদ্ধাঞ্চলে পড়েছে; দেশের স্বাধীনতার জন্য কোন বিদেশী সাহায্যের দরকার নেই; জাপান যদি ভারতবর্ষ আক্রমণ করে তবে সে অহিংস প্রতিরোধের

৪২৩

নিলে অক্ুপ্জ দক্ষিণ বা মাদ্রাজ সহ অবশিষ্ট ভারত যদি স্বাধীন হয় তা তাদের অকাম্য হবে কেন? ভারতে অখগুতা বা সংহতি তো একটা কল্পলোকের কথা, ভারতবর্ষের এক তৃতীয়াংশ কেটে ফেলেও তো খণ্ড ভারতের অখগ্ততা সংহতির কথা চলছে। ম্থৃতরাং কোন বিল্ময়ের কথা নয় যে, মাদ্রাজ থেকেই প্রথম পাকিস্থানের সমর্থন এল। জিগগেন করলাম £ কি হয়েছিল সেখানে ? বললেন মাদ্রাজ কংগ্রেস বিধান মণ্ডলী পার্টির সভা হচ্ছিল, 'রাজাজী ছিলেন সভাপতি তিনিই পাকিস্থান মেনে নেবার প্রস্তাব তুললেন কংগ্রেসএর বিপরীত প্রস্তাব আছে জেনেও | ্রস্তাবটিতে কি ছিল ?_-আমি জানতে চাইলাম বললেন, আঙল অংশটুকু শুধু পড়ছি

4210, (10661016, 85 79001) 25 ()6 11051117) 1:98806 1795 17)5156 01) 1116 16005171610 ০01 8116 118106 ০0 96008121100 0911811) 21625 11010 (01160 10019, 0001) 106 2506191)- 17001 01 01065 %151)95 ০01 9 16901016 ০৫ 5001) 252.5 2.9 & 00700101010 12:9090.610% 101 ৪. 00150 112,01009] 20001) ৪৮ (0015 10018910001 818৮6 080101078] 09,089, (1019 70811 15 01 0101101010 8100 7600201761)05 9. 11১6 4১11-17)019, 0008:553 002010166 09 19 58011908 (1)6 018,1)065 ০01 107196107) ০01 2 28811017981 00৮০7017090 2৮ 0015 ৫856. 01915 07 0006 ৫0090] ৪,080 01 002.117911011055 & 00706061595 ০2] €1)6 0101 0 [10018 15 ৪, 10109 00158 [00110 ৪100 1026 11025 10900106 [1606558.0% ঠ0 01)0956 61) 165961 €ড1] 81)0 2,010)0%/19068 006

11051170 1:6260915 01910 101 58709180101) ১,০১১

নিয়ে হুলুস্থুল বেঁধে গেল £ কিন্তু কারও সাহস হ'ল না রাজাজী বা মা্রাজ বিধান মণ্ডলী সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আনে। গান্ধীজী এবিষয়ে কিছুমাত্র উদ্যোগী হলেন না, তবে মন্তব্য করেছিলেন £হ [ ০9251061 ₹151550000 ০৫ [19019 60 1৩ 2, 510. মৌলান! আজাদ অসন্তুষ্ট হলেন মাত্র।

রাজাজী অবিচল। দেশব্যাপী নিন্দায় ভ্রক্ষেপ নেই। শেষ পর্যস্ত

সী ০২.

ওয়াকিং কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করলেন এবং কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তা সখেদে গ্রহণ করলেন কি বিপরীত ব্যবহার ! ( ১ল! মে, ১৯৪২)

এলাহাবাদে যে এ. আই. সি. সি'র অধিবেশন হ'ল তাতে রাজাজীর প্রস্তাব ১২০--১৫ ভোটে অগ্রাহা হয় বটে, কিন্ত কৌতুক এই যে, তার পাল্ট। প্রস্তাব মাত্র ৯২--১৭ ভোটে গৃহীত হয়; বিরোধীদের সংখ্যাও ছু'জন বৃদ্ধি !

এই থেকে তুমি খাঁনিকট। আভাষ পেতে পারো যে, রাজাজীর প্রস্তাবটি অগ্রাহ্‌ হ'ল বটে, মুসলিম লীগ সম্পর্কে সকলের মনোভাব এক ছিল না। কংগ্রেস মহলে লীগ এখন আর হিন্দু মহাসভার সমপর্যায়ভূক্ত নয়, তার আলাদ। মর্ধাদাী। পণ্ডিত নেহেরু লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও এর ইঙ্গিত দিলেন 7. 47৩ 01515 0790 2059 ০001 ০901)00 ০০-৪% 15 111০17 6০ 102101 26৬ 0056 0০ 06 60903109002] [10016002100 515০ 1156 60 2. 190 20:02) (01 15 50100100. (49., [পুঙ্য 24, 1942 )

ক্ষুরধারবুদ্ধি রাজাজী গান্ধীজীর পথান্ুসরণ করলেন; কংগ্রেসের সদস্যপদ, সুতরাং মাদ্রাজ বিধান সভার সদস্তপদও ত্যাগ করলেন €১২ই জুলাই )

একটা মস্ত আমুদে ব্যাপার ঘটেছিল, সত্য হঠাৎ বিস্ফোরণের মত তা প্রকাশ পেল। ওয়াকিং কমিটি “রেঙ্গুনের ঘটনাবলী ভারতে তার সম্ভাব্য পরিণতি” এবং “সৈম্যদের হাতে মেয়েদের লাঞ্ছনা” সংক্রান্ত যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, ভারত সরকার তার প্রকাশ শিষিদ্ধ করেছিলেন। এ. আই. সি. সি. অফিস তল্লাস করে যুদ্ধসংক্রান্ত বিতর্কের এক বিবরণী হস্তগত করেছিলেন, তাই প্রকাশ করে বিশ্বকে চমকে দিতে চাইলেন ! গান্ধীজী এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না, তবে একটা খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল বৃটিশ সরকারকে চলে যেতে; বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের জন্যই ভারত যুদ্ধাঞ্চলে পড়েছে ; দেশের স্বাধীনতার জন্য কোন বিদেশী সাহায্যের দরকার নেই; জাপান যদি ভারতবর্ষ আক্রমণ করে তবে সে অহিংস প্রতিরোধের

৪২৩৮.

সম্মুখীন হবে ; কি রকম অসহযোগিতা হবে তা বলা হ'ল; বলা হ'ল, বিদেশী সৈন্য ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে আপদন্বরূপ।

এই খসড়া নিয়ে ষে আলোচন! লিপিবদ্ধ হয়েছিল তাই প্রকাশ করে ভারত সরকার মনে করলেন কিছু একটা করা গেল। গান্ধীজী বললেন, আমার খসড়া নিয়ে আমার কিছুমাত্র লজ্জিত হবার নেই।

ভারত সরকারের এই তৎপরতার মূলে হচ্ছে ওয়াকিং কমিটির বনু শব্দসম্ঘলিত এক প্রস্তাব__যার পরে নাম হয়েছিল “ভারত ছাড়” প্রস্তাব অর্থাৎ বৃটিশ সরকারকে ভারত ছেড়ে যেতে বল! হয়েছিল ; তাতে একথাও বলা হয়েছিল যে, কংগ্রেস অচিরাৎ রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষে কোন পদক্ষেপ করতে চায় না। প্রস্তাবটির সার কথা হচ্ছে £

“105 11200010115 000) 09 60 09, &00 006 63006125006 021 009 10901016 01 170019, 216 709,5511]8 €1)10021), ০0100) 0৩ 07211710102 ০01 001761659176]) 1129 81161511018 11) [77018 10051 0100 10010060196615, 00 07616] 70952.050 1075167) 0027)- 0261017) ৪61) 2৮ 15 7069, 15 210 €%1] 11) 15611 200. ৪. 00701001106 10105 0০ 61১০ 5010)60 0607019, 10010608156 17)012. 1) 00170266 0217 1012. 110 66016 791 1 06167501106 106919615 ৪180 1) 2,6600106 0১6 10160156501 66 ৮21 (086 15 09501201706 10000217310. 1006 £660010 01 170018 15 1005 11605655810 100 001% 20 6 11665155601 17018 00 2150 101 009 586 ০1 09 স92]0 2150 101 009 61001708 ০1 102.218170, 19.501522, 10111691051) 8100. 011)68 1017)5 01 17017181150, 2100. (106 9£616551010 91 0176 09.1101 0৮] 27011)61.

কিভাবে এই প্রস্তাবের অথবা প্রস্তাবের পেছনে যে মানসিকতা৷ তার স্ত্রপাত হ'ল সেই প্রসঙ্গে আজাদ লিখেছেন ক্রিপ্‌স চলে যাবার পর আমি গান্ধীজীর মধ্যে একটা লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখলাম ।...গান্ধীজীর মন সর্বাত্মক চরম নিক্ক্িয়তা থেকে এখন সঙ্ঘবন্ধ গণ-ততপরতার দিকে ঝুঁকেছে 1."'দেখে বিস্মিত হলাম (জাপান জাপানীদের সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে ) গান্ধীজী আমার সঙ্গে একমত নন ।...দেখলাম সর্দার প্যাটেলেরও সেই মত 1...ওয়ার্কিং "কমিটির সভায় যোগদানের জন্ আমি €ই জুলাই ওয়ার্ধায় পৌছোলে এই প্রথম আমি গান্ধীজীর মুখে

৪২৪

“ভারত-ছাড়' আন্দোলনের কথা শুনলাম আমি সহসা! এই নতুন ভাবের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না 1:....'যখন আমি তাকে চেপে ধরলাম, কর্মনথচীটা কি হবে, দেখলাম তার কোন স্পষ্ট ধারণা ছিল না।-....-গাঙ্ধীজীর ধারণ! ছিল যে, বুটেন তার সজ্ঘবদ্ধ গণ-আন্দোলনের প্রস্তাবকে একটা সতর্কবাণী হিসেবে নেবে এবং চরম কিছু ব্যবস্থা অবলম্বন করবে না আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত সংগঠনে তিনি সময় পাবেন ।'"'আমি আমার বিপরীত অভিমত পেশ করলাম একমাত্র জওহরলাল আমাকে সমর্থন করলেন, তাও খানিকটা নিজেদের প্রত্যয় না থাকলেও অন্তান্্য সদন্য গান্ধীজীর বিরোধিতা করতে রাজী নন। এআমার নতুন অভিজ্ঞতা নয়। সর্দার প্যাটেল, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ আচার্য কৃপালনীর যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। তার! প্রায়শঃই নিজেরা কিছু ভাবেন না, তারা গান্ধীজীর চিন্তাভাবনার ওপরই নির্ভর করতে অভ্যস্ত ।'.-তারা শুধু একথাই বলতে পারলেন যে, আমাদের গান্ধীজীর ওপর বিশ্বীস থাকা উচিত |...

*.*-অবস্থা চরমে উঠল যখন গান্ধীজী আমাকে লিখলেন যে, আমার দৃষ্টিভঙ্গি তার দৃষ্টিভ্গির মধ্যে এমনই ব্যবধান বর্তমান যে একসঙ্গে কাজ করা অসম্ভব। কংগ্রেস যদি চায় যে, গান্ধীজী আন্দোলন পরিচালনা করবেন তবে আমাকে প্রেসিডেন্ট পদ এবং ওয়ার্কিং কমিটি সদম্য পদ ত্যাগ করতে হবে। জওহরলালকেও তাই করতে হবে আমি তক্ষুনি জওহরলালকে ডেকে পাঠালাম এবং তাকে গান্ধীজীর চিঠিটি দেখালাম সর্দার প্যাটেলও এসে গেছলেন, তিনি চিঠিটি পড়ে মর্মাহত হলেন। তিনি তক্ষুনি গান্ধীজীর কাছে গেলেন এবং প্রতিবাদ জানালেন 1...

শেষ পর্যস্ত গান্ধীজী ত্রুটি ত্বীকার করলেন এবং ওয়াকিং কমিটির সভায় এলেন। প্রস্তাব গৃহীত হ'ল এ.আই-সি-সি'র সভায়ও গৃহীত হ'ল- বিরোধ সংখ্য। মাত্র ১৩ জন। ৮ই আগস্টের প্রস্তাব। জওহরের ভাষায় “অহিংস বিদ্রোহ” গান্ধীজীর ভাষায় অহিংস বিপ্লব !

8২৫

আগস্ট বিপ্লব

বিপ্লব শুরু হ'ল ৯ই আগস্ট থেকে। প্রস্তুত ভারত সরকার ৯ই আগস্টের ভোর বেলায়ই গান্ধীজী, জওহরলালজী অন্তান্ত নেতাকে সাপটে গ্রেপ্তার করেছেন এবং আরও করে চলেছেন। বোম্বাইয়ে নিদারুণ বিশৃঙ্খলায় 'পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হ'ল, জন বুলেটের আঘাতে আহত হ'ল। স্বাধীনতার বেদী মুলে 'আবারও জনগণের রক্ততর্পণ। অন্তত বারোবার গুলী চলেছে। ; পুণ! আমেদাবাদেও। সারা ভারতে জনবিক্ষোভের তরঙ্গ আকাশ হোঁয়া হ'ল। দিনের পর দিন__-দিনরাত

তবে বাদ ছিল; ছুটি বড় রাজনৈতিক পার্টি, মুস্লিম লীগ ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টি, রাজাজী, গ্টীলফ্রেম আর চির রাজভক্তের!

মুসলিম লীগের অভিপ্রায় ছিল ইংরাজের! এদেশে থাকতেই তাদের সহায়তায় একটা পৃথক রাষ্ট্র ছিনিয়ে নেওয়া ; লীগের পক্ষে বৃটিশ বিরোধী হওয়ার ইচ্ছ৷ বা সাহস কোনটাই ছিলনা লীগ বুঝেছিল ব! জিন্নাজী বুঝেছিলেন, ইংরাজকে যেতে হবে; যেতে ষদি হয় তো ভারতের বুকে একটা কীট। রেখে যাঁক ; সে কাটা ভারতেরই বুকে একটি বৈরী- রাষ্ট্র। ইংরাজ পরম আনন্দে তা করে যাবে স্থতরাং, এই স্বর্ণ স্যোগে পাকিস্থানের দাবীটা হলধরের মতো! ভারতের বুকে চেপে রাখা। কর্ষণ হবেই, ফল ফলবেই। তাই, কুইট ইপ্ডিয়া আন্দোলনে লীগের যোগদান দেওয়ার কথা ওঠে না।

ভারতীয় কমুযুনিস্টরা ১৯৪১ এর ২০-এ জুন অবধি বৃটিশ সাম্রাজবাদ বিরোধী ছিলেন। ১৯৪১ এর ২৯এ জুন নাংসী জার্মানী যেই সোভিয়েট রুশিয়াকে আক্রমণ করল অমনি তত্বের দিক থেকে ফ্যসিবাদ নাংসীবাদ সাআজ্যবাদ থেকে পৃথক হয়ে গেল, সাত্রাজ্যবাদীর৷ হ'ল গণতন্ত্রী এবং জনসাধারণের সংগ্রামী রাষ্ট্র। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ বুটিশ জনসাধারণ একাকার হয়ে গেল, বৃটিশ সাত্রাজ্যবাদ সোভিয়েট

৪২৬

রুশিয়া একাকার হয়ে গেল। মৌলিক প্রকৃতিতে পৃথক হয়েও স্ত্র ঘুদ্ধ জনযুদ্ধে ঈাড়াল। বৃটিশ বা সোভিয়েট রুশিয়ার ক্ষেত্রে ঘদিবা তা সত্যি, সাম্রাজ্যবাদের বন্ধনে নিপীড়িত, শোধিত নিরবীর্ধ ভারতের জনসাধারণের পক্ষে এযুদ্ধ জনযুদ্ধ হতে যাবে কিসের জোরে? কিন্তু সেদিন এরা দলবদ্ধ হয়ে তাই বলেছেন, ১৯৪২-এর সংগ্রামের বিরোধিতা করছেন, বৃটিশ সাআজ্যবাদের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সাহায্য করেছেন, কোথাও জনবিক্ষোভ এই যুদ্ধ প্রচেষ্টা বিদ্বিত করলে তা বরদাস্ত করেন নি। অথচ এই ভারতেই কোটা কোটা জনসাধারণের মধ্যে যে সাম্াজ- বাদ বিরোধী শক্তির উদ্বোধন সঞ্চার পরিপোষণে জনগণেরও কোন 'অভিসন্ধি থাকলে তা স্বতঃই সম্কুচিত হয়ে যেত সে বিরল সুযোগ তার! নিলেন নাঃ নিজেরা পরবৃদ্ধিতে বিভ্রান্ত হলেন, একশ্রেণীর শ্রমিক- শক্তিকেও বিভ্রান্ত করলেন এবং করেই তারা অবাঞ্চিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পৃথ মস্থণ করে দিলেন। অথচ সখ্যতাবশে এরা রাজাজী এবং রাজাজীর ফরমূল প্রসাদাৎ পাকিস্থান দাবীও সমর্থন করেছেন

তবু, ১৯৪২ এর বিদ্রোহ" “বিপ্লব, অভ্যুত্থান-_যে নামেই তাকে অভিহিত করো--এত ন্যদেশী' বিরোধিত। সত্বেও এক অবিস্মরণীয় স্মরণীয় হয়ে আছে; সেই ন্মর্তব্য তোমায় শোনাতে পারি, পর্বের পর পর্বে, দীর্ঘকাল ধরে কিন্তু আমার ইতিহাসের গতিক্রমে সময় বড় সংক্ষিপ্ত; কোনদিন অবকাশ পেলে তোমায় শোনাব। কি অসামান্য গণশক্তি, কি অকাতর বলিদান

১৯৪৩-এর মন্বস্তর বাংল! দেশে ১৯৪৩-এর মন্বন্তর আর এক করুণ মহাভারত স্তৃতীবত্র আকাঙ্খা! সত্বেও আমি তোমায় একাহিনীও বিস্তারিত বলতে পারছি নে। "শুধু এই বলি, এক এমন ুভিক্ষ__যা মানুষের ইচ্ছে করে ক্ৃ্টি__ 'নিরহ্কুশ কর্তৃত্বের আসনে বসা মানুষ, অমানুষ ব্হ্মদেশে বুটিশবাহিনী যখন প্রতিপক্ষের চাপে পশ্চাদপসরণ করতে

৪২৭

করতে বাংল! দেশ ছেড়ে যাওরা স্থির করল তখন এখানকার নৌকো বা সাইকেলগুলোই শুধু ধংস বা বাজেয়াপ্ত করে ক্ষান্ত হ'ল না বুটিশ লীগ কর্তৃপক্ষের আতাতে এখাঁন থেকে খাগ্ঠসম্ভারও সব বাংল! দেশের বাইরে চালান দিতে লাগল--যাতে এক কণ! চালও প্রতিপক্ষের হাতে না পড়ে। প্রতিপক্ষ মরে নি, মরতে মরেছে এদেশেরই বাঙালী দরিদ্র চাষী নিম্ন মধ্যবিত্তেযা-_-পঁয়ত্রিণ থেকে ষাট লাখ।

আজাদ তার বইয়ে লিখেছেন গবর্ণমেপ্টের ধারণা, জাঁপানীরা যদি সারা ভারত আক্রমণ নাও করে তো বাংলাদেশ দখলের চেষ্টা| করতে পারে। তারা মনে করেছিলেন, জাপানীরা সমুদ্রপথে আক্রমণ করবে এবং ডায়মণ্ডহারবার থেকে কলকাতার দিকে অগ্রসর হবে। আমি জানতে পেরেছিলাম, এমন বিপন্ন অবস্থায় গবর্ণমেন্ট কলকাতা৷ পরিত্যাগ করবেন। কোন্‌ কোন্‌ পায়ে কলকাতা, হাওড়া ২৪ পরগণা ছেড়ে যেতে হবে সেই পরামর্শ দিয়ে একটা গোপন সার্রুলারও জারী হয়েছিল কোন কোন জায়গায় প্রতিরোধের পরিকপ্ননাও রইল এবং প্রয়োজন হলে কিভাবে কোন্‌ পথে পিছিয়ে আসতে হবে তারও নক্সা রইল। প্রথম প্রতিরোধের কথা ছিল পদ্মা বরাবর, দ্বিতীয় আসানসোল র'চী বরাবর আর শেষ এলাহাবাদে জাপ-আক্রীন্ত হলে গবর্ণমেন্ট এখানে পৌড়া মাটীর রীতি অবলম্বনও স্থির করে রেখেছিলেন-_বড় বড় সেতু উড়িয়ে দিয়ে, কারখানা ধ্বংস করে-_যাতে সেগুলো জাপানীদের হাতে না পড়ে ; জামসেদপুরের আয়রণ এও ষ্টিল ফ্যাক্টরী ধ্বংসের পরিকল্পন! জানাজানি হয়ে গেলে নিদারুণ চাঞ্চল্যের স্থষ্টি হয়েছিল 1”

গান্ধীজীর অনশন ভারতের ১৯৪৩ শুধু বাংলার মন্বস্তুরের জন্যই চিহ্নিত নয়, রাজনৈতিক মানচিত্রে গান্ধীজীর অনশনও একটি চিহ্ন। তিনি তখন কারাগারে কিন্তু কারামুক্তির জন্য ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ দিনের জহ্য অনশন শুরু করেন। কারাগারে অনশন সম্পর্কে গান্ধীজীর মত-বিবর্তন তোমাকে আর একবার মনে করিয়ে দি। বাংলার বন্দীরা অনশন করলে তিনি

9২৮

তার মিন্দা করলেন, দেউলীতে জয়প্রকাশ প্রমুখের অনশন সমর্থন করলেন, এবার নিজের কারামুক্তির জন্য অনশনের পথ নিলেন। গবর্ণমেন্ট “অনশনকালীন” কারামুক্তি দিতে চাইলেন। তাতে গান্ধীজী রাজী নন; গবর্ণমেন্টও নিঃসর্ত মুক্তি দিতে প্রস্তুত নন। সরকারী ইস্তাহারে বলা হ'ল 2 “ণুট 2500 01521 0026 ০010 1315 0130070010002] 1615256 ০০010 [16506 10000 2010 25005, [00015 00৩ 00510000600 06 [0019 215 1006 01:68:54 09

৫01)0০06.৮

মৌলানা! আজাদ তার বইয়ে যদিও গান্ধীজীর এই অনশন সমর্থন করেন নি, সরকারী এই ইস্তাহারও উল্লেখ করেন নি; তার ধারণা গান্ধীজী হতাশায় “আত্মশুদ্ধির” জন্য এই অনশন করেছেন

কিন্তু সরকারী ইস্তাহারে যেটি উল্লেখযোগ্য কথা তা হচ্ছেযে গান্ধীজী

“010 1015 001255001061006 10) 00০ ড15910%, 1029 16700012960. ৪]] [15190185111 101 00 0096011911069 ৬/1)101) 10256 10560 701) 106 0916 1001981 9.61702.70. ₹০1))01) 1) 200 001061855 221৮৮ 112৮ 00৮ ০%/,:0..”

কুইট ইত্ডিয়া প্রস্তাবের পর দেশে যা কিছু ঘটেছে তার দায়িত্ গাহ্ধীজী অন্বীকার করলেন বটে কিন্তু ভারত সরকার একখাঁন!৷ বইয়ে ঘটনাবলীর বর্ণনা! দিয়ে গান্ধীজী কংগ্রেসকেই দায়ী প্রতিপন্ন করলেন এবং এজন্য “হরিজন” থেকে প্রচুর উদ্ধতি দিলেন !

গাঙ্গীজী অনশন ভঙ্গ করেন, ১৯৪৩-এর ৩রা মার্চ সকাল ৯1 টায়।

গান্গীজীর কারামুক্তি ১৯৪৪ এর ৬ই মে গান্ধীজী নিঃসর্ত মুক্তি পেলেন। তার সঙ্গে ছাড়া পেলেন ডাঃ স্ত্রশীলা নায়ার, ডাঃ গিলডার, পিয়ারীলাল মনি বেন। মুক্তির পর তাকে যথারীতি থ্যাকারসের “পর্ণকুটিরে” নিয়ে যাওয়া হল। আসলে, অনশনের পর থেকে গান্ধীজীর শরীর ভাল যাচ্ছিল না ৪২৯

ডাক্তাররেরাও তাকে আটক রাখা সম্ভবতঃ নিরাপদ মনে করছিলেন না। লগুন মহলে কথা হ'ল, বড়লাট তার নিজের দায়িত্বে গান্ধীজীকে ছেড়েছেন। ইয়র্ক থেকে এর ওপর রাজনৈতিক তাৎপর্ব আরোপ করে বললেন, আশা করা যায়, পরিবত্তিত নীতির সুচন! হ'ল (৮ই মে, ১৯৪৪)

গান্দীজী নীরবতা ভঙ্গ করে ঘোষণা! করলেন, “গত বছর কায়েদ-ই- আজমের প্রতি আমি যে অনুরোধ জানিয়েছিলাম তা বজায় এবং আমি একটু ভাল হলেই হিন্দু মুসলিম সমবৌতা। বিষয়ে গে জন্য প্রস্তুত হব |” (১৬ই মে)

গাহ্মীজীর চিঠির তারিখ-__যাঁরবেদা, ৪ঠা মে, ১৯৪৩। লিখেছিলেন £

[681 030910-7-/১2909

“প্রিয় কায়েদ-ই-আজম, আমি কারারুদ্ধ হবার পর গবর্ণমেণ্ট যখন আমার কাছে জানতে চাইলেন আমি কি কি সংবাদপত্র চাই, আমি আমার তালিকায় “ডন* পত্রিকাটিও ধরেছিলাম। মোটামুটি নিয়মিতই পাচ্ছি; যখনই পাই, তখনই যাডের সঙ্গে পড়ি

“আপনার আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করছি পত্রালাপের পরিবর্তে আমার প্রস্তাব “আন্বন' আমরা মুখোমুখি আলাপ করি। কিন্তু সে

আপনার উপর নির্ভর “115 51041 00 09০৮ 50 2100 1 20010801), 6 £162. 005501097) ০91 00220001)91 0010 25 17760 0919177110160 0] 010011)5 2. ০01017)01)81 50101100 ৪:0০601919 10 911 দ/1)0 26 0000617)60 ৮/161) 16 01 11765155050 10, 2৮

সত্য, মৌলানা আজাদ গান্ধীজী এই যে জিন্নাজীকে কায়েদ-ই-আজম বিশেষণে ভূষিত করলেন তা আপত্তিকর মনে করেছেন এবং জিন্নাজীর পেছনে এভাবে ছোটাছুটিও তিনি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেন £

“আমি এখানে উল্লেখ করতে পারি যে, গান্ধীজীই সর্বপ্রথম মিঃ জিন্নার ক্ষেত্রে “কায়েদ-ই-আজম” বা! মহান্‌ নেতা উপাধিটি চালু করেন ।*****"এই বিশেষণের তাৎপর্য সম্পর্কে কিছুমাত্র বিবেচনা না করে গাঙ্কীজী মিঃ জিন্নাকে কায়েদ-ই-আজম বলে সম্বোধন করেন ।.* ভারতীয়

9৩০%

মুসলমানেরা বুঝলেন যে গান্বীজী যখন মিঃ জিন্নাকে কায়েদ-ই-আজম বলে সম্বোধন করছেন তখন তিনি প্রকৃতই বুঝি তাই ।”

কারামুক্তির পর এই যে গান্ধীজী জিন্নাজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হিন্দু-মুসলিম সমস্ত সমাধানে প্রবৃত্ত হলেন, এই সম্পর্কেও আজাদ বলেছেন

“আমি মনে.করি, এবার জিন্নাজীর সঙ্গে গান্সীজীর সংলাপ-প্রচেষ্টা মস্ত এক রাজনৈতিক ভ্রান্তি এক নতুনতর মর্ধাদা দিল মিঃ জিন্নাকে; মিঃ জিন্না এটিকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন। বস্ততঃ, গান্ধীজী গোড়া থেকেই মিঃ জিন্না সম্পর্কে এক উদ্ভট মনোভাব অবলম্বন করে- ছিলেন। গান্ধীজীরই কাজে অকাজে মিঃ জিন্ন! ভারতের রাজনৈতিক জীবনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে গান্ধীজীর এই মনোভাব ছাড়া মিঃ জিন্না আদৌ প্রাধান্য লাভ করতে পারতেন কি না। ভারতীয় মুসলমানদের এক বিরাট অংশ মিঃ জিন্না তার নীতি সম্পর্কে সংশয়ী ছিলেন কিন্তু যখন তারা দেখলেন গান্গীজী অনবরত তার পেছনে ছুটছেন এবং তাকে খুশী করতে চাইছেন, তখন মিঃ জিন্নার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বাড়তে লাগল তারা এও মনে করলেন যে, সাম্প্রদায়িক মীমাংসায় স্থবিধা আদায় করতে তিনিই সব চাইতে উপযুক্ত ব্যক্তি ।”

পরবর্তীকালীন নিষ্ঠুর সত্যের প্রবক্তা !

“ডন”-এ গান্গীজীর পত্র কিন্তু তখন লগ্নে জিন্না-গান্ধীর সাক্ষাৎ সন্তাবনায় কৌতৃহলের উদ্রেক হ'ল। জিন্নাজীর উদ্দেশে লেখা যে-চিঠি লর্ড লিনলিখগো আটক করেছিলেন, গান্ধীজী সে চিঠি ছাপতে দিলেন “ডন” পত্রিকাকে এমনি করে গান্ধীজীকে উপলক্ষ্য করে বোম্বাই রাজনীতির কেন্দ্রস্থল হয়ে পড়ল। ডঃ জয়াকরের কাছে গান্ধীজীর চিঠি প্রকাশ পেল।, তাতে লেখা ছিল $ “আপনি আমার মুক্তিকে কি চক্ষে দেখছেন জানিনে। আমি সুখী নই। কিছু লজ্জাও বোধ করছি। আমার অসুস্থ হয়ে

৪৩৯

পড়া উচিত হয়নি। চেষ্টা করেছিলাম, ব্যর্কাম হয়েছি। মনে হয়, আমাকে একটু সুস্থ দেখলেই ওর! আমায় বন্দী করবেন। যদি না করেন, আমি কি করতে পারি? আমি আগস্ট প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে পারিনে। আপনিও বলেছেন, ওটি নিতো |”

গান্ধীজীর সেক্রেটারী পিয়ারীলাল চিঠির ভাষ্য করে জানালেন, একমাত্র এ. আই, সি, সি'ই অবস্থাস্তর ঘটাতে বা প্রত্যাহার করতে পারে।

সাক্ষাৎপ্রার্থীর আোত বইতে লাগল পর্ণকুটিরে। জয়াকর,) সপ্রঃ শ্রীনিবাস শাস্ত্রী, মালব্য, জি, ডি. বিরলা, ভুলাভাই দেশীই, কে! এম. মুন্দী, হোমি মোদি, জে. আর. ডি, টাটা, পণ্ডিত কুঞ্জরু, এস. আর. মাসানি, পি. সি. যোশী।

শুধু তাই নয়, আরও জানা গেল, লর্ড ওয়াভেল বড়লাট পদে অভিষিক্ত হবার পর থেকেই গান্ধীজী তার সঙ্গে ভারতের রাজনীতি নিয়ে পত্রালাপ করছিলেন; তিনি অন্তান্য সরকারী পদস্থ ব্যক্তির সঙ্গেও চিঠি লেখালেখি করছিলেন সব মিলিয়ে টাইপ-করা ফুলস্কেপ সাইজের ২৫০ পৃষ্ঠা ; তার মধ্যে ভারত সরকার প্রকাশিত “১৯৪২-৪৩- এর হাঙ্গামায় কংগ্রেসের' দায়িত্ব” পুস্তিকাটিরও জবাব ছিল। এসব পত্রালাপ হয়েছিল ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিলে গান্ধীজী তার জবাবে বলেছিলেন, “তিনি এবং কংগ্রেস যে নির্দোষ তা৷ নিরপেক্ষ টাইবিউনালেই প্রতিপন্ন হতে পারে ।”

তিনি তার জবাবে একথাও লিখেছিলেন যে, ভারত সরকারের দেশব্যাপী গ্রেপ্তার এমনই প্রবল বেগে করা হয়েছিল যে, কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন জনসাধারণ আত্মসংযম হারিয়ে ফেলে। কারও সংযম হারানোর সঙ্গে কংগ্রেসকে জড়ানে যায় না, বরং এর দ্বারা এই বোঝায় যে, মান্থুষের সহযের একটা সীমা আছে।”

আমেদনগর ফোর্টে ওয়াকিং কমিটির যেসব দন্ত আটক ছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে গান্বীজী বড়লাট লর্ভ ওয়াভেলকে এক চিঠি দিয়েছিলেন গুণ! থাকতে তার অনুরোধ ছিল, হয় তাকে

৪৩২

ওয়াকিং কমিটির সদন্যদের সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হোক অথব৷ টীর অভিপ্রায় সম্পর্কে বড়লাট ভারত সরকারকে স্ত্ুনিশ্চিত করার জন্য বড়লাটের সঙ্গে সমগ্র ব্যাপার নিয়ে আলাপ করতে দেওয়া হোক বড়লাট বললেন, না ( অঃ বাঃ পঃ, ৩০ জুন) জুলাই মাসের মাঝামাঝি গান্ধীজী আবার এক চাঞ্চল্য স্থষ্টি করলেন তিনি “নিউজ-ক্রনিকলের স্পেশ্যাল করেসপণ্ডেণ্ট মিঃ গেল্ডারকে তিন ঘণ্টা ধরে এক ইন্টারভিউ দিলেন ; তিনি গেল্ডারকে বললেন, অসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ কর্তৃত্বে যদি কোন জাতীয় সরকার ( ট22০21 ০5001)570 ) কর! হয় তবে তিনি ত৷ গ্রহণ করবেন এবং কংগ্রেসকে তা গ্রহণে পরামর্শ দেবেন। এই দ্সাক্ষাৎকার' স্বভাবতই বেরোলো৷ লগ্ুনে।

গান্গীজীর রাজাজী-ফরমুল। সমর্থন এখানেই শেষ নয়। এদেশের খোরাক হিসেবেও তিনি ফ্রী প্রেস জার্নালের ম্যানেজিং এডিটার এস. সদানন্দের কাছে যা বললেন তাতে এই প্রথম প্রকাশ পেল যে, তিনি রাজ!জী ফরমূলা অনুমোদন করেন জুলাই, ১৩) কোথাও কোথাও কিছু বিভ্রান্তির স্থষ্টি হওয়ায় তিনি বললেন, আগস্ট প্রস্তাবের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের যা! বলেছেন তার কোথাও অমিল নেই চারদিকে উল্টোপাপ্টা খবর বেরোতে লাগল বলা হ'ল, অদুর- ভবিষ্যতে গান্ধী-জিন্না মোলাকাৎ হবে ; কিন্তু গান্ধীজী বড়লাটের সঙ্গে দেখা করবার জন্য দ্বিতীয়বার যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তা নামঞ্ুর হয়েছে গাহ্ধীজী বললেন, তাতে কি হয়েছে, রাজাজী ফরমূলার তাতে কোন ব্যত্যয় ঘটছে না। পক্ষান্তরে, মুসলিম লীগ কাউন্সিল গাস্ধীজীর সঙ্গে আলাপ আলোচনার ভার সর্বতোভাবে জিন্নাজীর ওপর হস্ত করলেন ৪9৩৩

স্বাধীনতা-_-২৮

সত্য, পাকিস্থান যাত্র। শুরু হ'ল আমাদের রাজাজী কংগ্রেস সংসর্গ ছেড়ে গেলেও গান্ধীজীর মতো চিন্ময় দেহে রয়ে গেছেন এবং রয়ে গেছেন কংগ্রেসের সর্বময় নেতৃত্বের মধ্যেই। তাই কায়েদ-ই-আজম নিয়ে এত বোলবোলা সাভারকরকে মহান নেতা বলাতেই যত সাম্প্রদায়িকতা! ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসটাকে তুমি পাকিস্থানের ছায়ায় ভারতের গ্রাম বলে চিহ্িত করতে পার

ব্যাপারটা এতদূর গড়ালো যে, বড়লাট দেখা করতে না চাইলেও দেবতাকে আর রুষ্ট না করার জন্য গান্ধীজী নিজে উদ্ভোগী হয়ে কংগ্রেসসেবীদের পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে “৯ই আগস্ট” দিবস পালন থেকে নিবৃত্ত হবার পরামর্শ দিলেন। গাঙ্গীজী আরও একবার আন্দোলনে তার দাঁয় দায়িত্ব অন্বীকার করে বললেন, “আমার ব৷ কংগ্রেসের নামে যত সব অনাস্থগি হয়েছে

জিনা-গান্ধী মোলাঁকাৎ জিন্না প্রস্তুত ; গান্ধীজীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন ; পত্র পত্রিকা নেতৃবুন্দের উদ্দেশে বললেন 3 “সঙ্গি ! বন্ধুত্ব শুভেচ্ছার আবহাওয়৷

স্যষ্টিতে যত্ববান হোন মন্তব্য সংলাপ-অবসানে ।৮ সত্য, জিন্নাজী হাতের মুঠোয় পাকিস্থান অনুভব করছেন ; একবার স্বীকৃতি যখন পাওয়া গেছে আর নিস্তার নেই বললেন, গাঙ্গীজী- প্রস্তাবিত জাতীয় সরকারের ফরমূলা তার হাতে আছে। দেশের বিবেক- বিক্রীত সংবাদ-পত্র জনমত সংগঠনে অবিরাম বলতে লাগল, উপায় কি? এই তো ভালো, এই তো ভালো ১৯৪২ এর আন্দোলনে পণ্যভারবাহী এই সংবাদ পত্রই ভয়ে পয়সার লোভে কংগ্রেস- বিরোধী বিজ্ঞাপনে ছেপেছে স্টেটসম্যান পথ না দেখালে ১৯৪৩ মন্বস্তরের মৃত্যু দৃশ্যও চেপে যেত; ১৯৪৪এ-ও কংগ্রেসের সর্বময় নেতার, অর্থাৎ, কংগ্রেসের পাকিস্থান প্রস্তাব গ্রহণের সর্বনেশে দিকটা উদঘাটিত করে নির্বোধ জনসাধারণকে সতর্ক বা সচেতন করল না; যেমন করেনি ১৯৩৫ কমুযুনাল এওয়াডের “না গ্রহণ না

8৩৪

বর্জনের বিষময় পরিণতি সম্পর্কে, টিিহনিরদা গতি নির্থাত অন্ত রকম হ'ত

কংগ্রেস-সংবাদপত্র সহযোগিতায় জনসাধারণের নিরোধ গঁদাসীচ্যের রসাজিক্কনে পাকিস্থানের বিষবৃক্ষ রোপণ হ'ল। জিন্নাজীর অন্ুস্থৃতার জন্য সাক্ষাতের তারিখ ১৫ই আগস্ট থেকে বদলে বদলে ৯ই সেপ্টেম্বরে এল জিন্নাজী জানতেন, মাছ টোপ যখন গিলেছে, তখন তাঁকে একটু খেলিয়েও ডাঙ্গায় তোলা যায়।

৯ই থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অবধি গান্ী-জিন্না বৈঠক চলল বোম্বাইয়ের মালাবার হিলে জিন্নাভবনে অনেক ছবি, চলচ্চিত্রও উঠল, তবে বৈঠকে প্রেসকে থাকতে দেওয়া হ'ল না ২৭-এ সেপ্টেম্বরই আলোচনা! ভেঙ্গে গেল

জিন্নাজী দ্যর্থহীন ভাষায় অভূতপূর্ব প্রবলতার সঙ্গে ঘোষণা করলেন হিন্দু মুস্লিম বিরোধ নিষ্পত্তির একটাই মাত্র কার্যকর বাস্তব পথ আছে; তা হচ্ছে, ভারতবর্কে ছুটো সার্বভৌম অংশে ভাগ করা-_পাকিস্থান এবং হিন্দৃস্থান ; সমগ্র উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্থান, সিন্ধু পাঞ্জাব, বাংল! আসাম নিয়ে পাকিস্থান ।৮ ( ৭ই অক্টোবর, ১৯৪৪ )

সারা ভারতবর্ষে মর্মান্তিক শোনালেও মৃত্যুর মতই অনিবার্ধ মনে হ'ল।

সৈয়দ মামুদের মুক্তি

এই সংশয়, অবিশ্বাস অপ্রতিরোধ্য বিষময় পরিণতির দিকে যখন ভারতের ভাগ্য গড়িয়ে চলেছে তখন অকম্মাৎ ডঃ সৈয়দ মামুদের মুক্তি গভীর বিস্ময়ের সঞ্চার করল স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ভারতসচিবের এই ঘোষণা বিষয়টাকে আরও রহম্তময় করে তুলল। তিনি আমেদনগর ফোর্টে পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে একই কক্ষে থাকতেন, কিন্তু তিনি যে বড়লাটের সঙ্গে পত্রালাপ চালাচ্ছিলেন তা জওহরলাল বা তার অন্ত কোন সহকর্মীও জানতেন না মুক্তির পর তিনি এক বিবৃতি দেন। তাতে তিনি স্বীকার করেন যে, এভাবে সহকমীদের অগোচরে পত্রালাপ করে তিনি অসঙ্গত কাজ করেছেন। তার বিবৃতিতে জানা যায় যে,

99&:

“তিনি ৮ই আগস্ট অপরাহ্থে কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির সদশ্যপদ ত্যাগ করেন; এর পর এ. আই, ্গি. সি. হয় এবং মধ্য রাত্রি অবধি চলে .৯ঈই আগস্টের ভোর বেলা! গ্রেপ্তার হন।

২৬ মাস পার হয়ে গেল; এদ্দিন তিনি কাউকে একথা! বলেন নি; অতি সম্প্রতি বড়লাটকে বলতে পারলেন যে, তিনি আগস্ট প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন

১৯৪৫ এর ন্ূচনায় ভুলভাই দেশাই সর্দার বল্পভভাই প্যাটেলের 'সাক্ষাৎ ঘটল। ১৯৪২-এর আগস্টের পর ভুলাভাইর মতো (একজন প্রথম সারির নেতা আমেদনগরে বন্দী সর্দার টার সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন। দেশাই গেলেন ওয়ার্ধায় গান্ধীজীর 'সঙ্গে দেখা করতে। পর্বতো বহমান ধূমাং। কিছু একটা! হচ্ছে, কিন্ত কিছু জানা গেল না। কোন কোন মহলে অন্বস্তি প্রকাশ পেল যখন ভুলাভাই কেন্দ্রীয় এসেন্বলির মুসলিম লীগ পার্টির ডেপুটি 'লীভারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। কংগ্রেস লীগ মীমাংস৷ কিছু হয়নি কিন্তু এতেই স্থার্থসংশ্লিষ্ট কোন কোন মহল উচ্ছৃসিত হয়ে উঠেছিলেন

কৌতৃহলী জননাধারণ এইসব ঘটনার সঙ্গে দেশাই --বড়লাট সাক্ষাতের একট। সম্বন্ধ হ্ত্র অনুমান করল একঘণ্টা আলাপ হয়েছিল ও'দের মধ্যে 8 তখন নাকি ভূলাভাই একটা কম্পোজিট সকলদল- ইপ্টারিম গবর্ণমেন্ট গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন এতে এইটিই প্রকট হ'ল যে, একশ্রেণীর কংগ্রেসসেবী কোন না কোন ছলে মন্ত্রিত্বে ফিরে যাবার জন্য উদ্গ্রীব।

ভুলাভাই প্রেসের উদ্দেশে আবেদন জানালেন যে তারা যেন নিয়ে জল্পনা না করেন। এবং নিজেও প্রকাশ করলেন না নবাব লিয়াকৎ আলি খাঁর সঙ্গে আদৌ কোনো চুক্তি হয়েছে কিনা অথবা ব্যাপারে গান্ধীজী জিন্নাজীর সমর্থন ছিল কিনা শেষ পর্যন্ত অবশ্য কিছুই হয়নি। নিক্ষল।

8৩৬

চল ফিরে মন্্িতে

ফল ফলল উত্তর পশ্চিম-সীমাস্-প্রদেশে। কংগ্রেস মন্ত্রিত্ব ফিরে নিল ?' ডঃ খান সাহেবের কাছে গান্ধীজী একটি সীল করা খাম পাঠালেন তাতে কি ছিল আর কেউ জানেনি ; কিন্তু বল! হ'ল খাঁন সাহেব চিঠির, নির্দেশনাম।৷ অন্গরে অক্ষরে পালন করেছেন। অবশ্য কারান্তরিত ভাই আবদুল গফফর খানের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই। সীমান্ত সরকার আবদুল গফফর খান.ও আরও আশী জন বন্দীকে মুক্তি দিলেন।

এমনি সময় বড়লাট লর্ড ওয়াভেল বৃটিশ সরকারের আমন্ত্রণে লগ্ডন রওনা হয়ে গেলেন আমেরি যেন কথাট! খোলসা করার জন্যই বললেন, তার সঙ্গে ভারতের সাংবিধানিক ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনা হবে

ইতিমধ্যে পৃথিবীর পটভূমিকার আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে; ইতালীতে ফ্যাসিবাদ এবং জার্মানীতে নাংসীবাদের পতন হয়েছে। জনতা মুসৌলিনীকে হত্যা করেছে, হিটলার আত্মহত্যা করেছেন। জাপান দ্রুত ভেঙে পড়ছে। ছূর্বল কিন্তু মহিমান্বিত হয়ে আছে সাআাজ্যবাদ; আকাশে সঞ্চারিত বিজয়োৎসব--শাস্তি কথকতা! ॥. স্তান ফ্বান্সিস্কোতে বাজছে বৃহৎ শক্তি সম্মেলনের আবহসঙ্গীত |

ভারতীয় প্রশ্ন যে তিমিরে সেই তিমিরে।

জিনা আমেরির লুকোচুরি খেলা

আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছিল বুটিশ কূটনৈতিক ্মাযুদ্বন্ে বিজয়ী লীগ মহলে। তার একটি পরিচয় উদ্ঘাটিত করলেন দঅমৃতবাঁজার পত্রিকা" ১৯৪৫-এর ১২ই মে। বম্‌শেল' এই শিরোনামায় লিখলেন ; “১৯৪৪-এর ২৪-এ জুলাই মিঃ জিন্না ভারতসচিব মিঃ আমেরির কাছে যে চিঠি লিখেছিলেন, আর একটী কলামে আমরা তা প্রকাশ করলাম চির্মিটি বেরিয়েছে আমাদেরই সহযোগী '্যাশীনালিস্ট" পত্রিকায়।..'জিন্নার মতে! একজন প্রখ্যাত ব্যক্তির পক্ষে কি সম্ভব যে, তিনি একই জঙ্গে

৪৩৭

"গান্ধীজীর সঙ্গে আপোস-আলোচন৷ চালাচ্ছেন আবার মিঃ আমেরির সঙ্গে ধরনের পত্রালাপ করছেন ?_-বিশেষ করে, যে-আমেরি যত ভারতসচিব হয়েছেন তাদের মধ্যে সব চাইতে শক্র-ভাবাপন্ন ? পাছে মিঃ আমেরি মিঃ জিন্নার আচরণকে ভুল বোঝেন এজন্য তিনি (মিঃ জিন! ) তাকে (মিঃ আমেরিকে ) এই আশ্বাস দিতে ব্যস্ত যে, গান্ধীজীর সঙ্গে হিন্দু-মুসলিম সমস্ত নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত আলোচনায় কিছু হবে বলে তিনি মনে করেন না। তা হলে তিনি দেখা করতে রাজী হলেন কেন ?..তিনি মিঃ আমেরিকে লিখেছেন “আপনি এটি [নিশ্চরই উপলব্ধি করবেন যে, আমি যদি আলোচনায় গররাজি হতাম তবে তার স্থযোগ নিত কংগ্রেসী হিন্দু সংবাদপত্র ; বিকৃত যুক্তি দিয়ে কেবল যে আমাকে কলঙ্কিত করত তাই নয়, মুসলিম স্বার্থেরও ক্ষতি করত অর্থাং যখন সারা দেশে আনন্দ হিল্লোল বইছে এই দেখে যে, ছুই নেত। “মিলিত হয়েছেন এবং বুটিশ সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে এক্যবদ্ধ হবার উপায়ম্বরূপ সাম্প্রদায়িক সমন্তা সমাধান কামন। করছে, তখন মিঃ জিন্না গোপনে মিঃ আমেরিকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন, আসলে ওটা ফর্িকারি, মুসলিম স্বার্থসাধনে বৃটীশ সরকারের ওপরই তার সকল বিশ্বাস ন্তাস্ত। শুধু মাত্র কংগ্রেসী হিন্দু সংবাদপত্র অথবা সার! দেশকে-ফাকি দেবার জন্যই তিনি আলোচনায় যোগ দিয়েছেন |” পত্রিকা মন্তব্য করেছিলেন £

“]1) 0106 1075 10195601501 19611859157 15 0100001 ৮০ 8100 &.

চ2751161.7

কিন্তু এর দ্বারা কংগ্রেস বা কংগ্রেসের সবময় কর্তা যে কোন শিক্ষা লাভ করেছিলেন পরবর্তী ঘটনাবলীতে তার লেশমাত্র লক্ষণ প্রকাশ পায়নি কেননা! আমেরিকা থেকে একট! খবর রটল যে, লর্ড ওয়াভেল লগ্ডন থেকে একটা শসালো প্রস্তাব নিয়ে ভারতে ফিরছেন

দাছুরী ভ্তাকিছে মিলন-পিয়াসে কংগ্রেস আবার মিলন পিয়াসে উচ্চকিত হয়ে উঠল | বিলাতে একটু পরিবর্তনও ঘটল। মিঃ চাচিলের পদত্যাগে রক্ষণশীল

8৩৮

মন্ত্রিসভা গেল ভেঙে। হু'ল সাধারণ নির্বাচন আসন্ন কুটবুদ্ধি ইংরাজের৷ লোকের মনে ধোকা দেবার জন্য ডাঃ মামুদের পর আসফ আলিকে কারামুক্তি দিলেন।

আর রাজাজী লর্ড ওয়াভেল কিছু নিয়ে আসছেন শুনতেই তা গলাধঃকরণ করে বসলেন। তিনি মাদ্রাজের গোখেল হলে ৩১এ মে মন্তিত্ব গ্রহণ সম্পর্কে আবেগের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মপন্থা পরিবর্তনের আবেদন জানালেন প্রশাসন কাঠামে! কেমন হবে এটা তার কাছে প্রশ্ন নয়, তার প্রশ্ন আমাদের শাসন করাটা শিখতে হবে তো !

নয়াদিল্লীর সংবাদে প্রকাশ পেল, ১৩ই জুন ওয়াভেলের প্রস্তাবটি উদঘাটিত হবে ; সেদিন সিলেকসান কমিটির স্যস্াদের আমন্ত্রণ জানানো! হবে। এই সিলেকসান কমিটিতে ছিলেন জন কংগ্রেসের, জন মুসলিম লীগের, ৫জন হিন্দু, অন্তান্ত ৫, আর চেয়ারম্যান হচ্ছেন বড়লাট

বড়লাট এক বেতার বক্তৃতায় ত৷ উদঘাটন করলেন, আমেরি করলেন বিলাতে বড়লাট আমন্ত্রণ জানালেন “কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক রাজ- নীতির ভারতীয় নেতাদের উদ্দেশে £ “০০ 08৩ 5098056] 20 00৩ 101) 2 ৮16৬ 60 ৮১৩ 69102201020 0964 106৮ 02%6000৮০ (00010011.” নতুন বড়লাট পর্দ গঠনের জন্য; এই নতুন পর্ধদে থাকবেন সমানুপাতিক বর্ণহিন্দু মুসলমান

মৌলানা আজাদ মুক্তি পেলেন। কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়৷ হ'ল; শরৎচন্দ্র বনু ছাড়! সব নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হ'ল; সিমল! নেতৃসম্মেলনে গান্ধীজী এবং অন্যান্য নেতারাও আমন্ত্রণ পেলেন

গান্ধীজী বড়লাটের ভাষণে “বর্ণহিন্দুর” উল্লেখে আপত্তি করলেন এবং সর্দার প্যাটেল সোজান্ুজি বললেন, যদি বর্ণহিন্দু মুসলমানের

সংখ্যাসাম্য বজায় থাকে তৰে সিমল! ০০০

(১৭ই জুন)

বললে কি হবে, গান্ধী-ওয়াভেল সাক্ষাৎ তখন স্থনিশ্চিত। কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও আমন্ত্রিত; তিনি ওয়ার্কিং কমিটি সদস্যদের মিলিত হবার

৪৩৯

আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ( ১৮ই জুন )1 সিমলা সম্মেলনের সুফল সম্পর্কে গাঙ্ধীজী নেহরুর খুবই আশাবাদী বোম্বাইয়ে মিলিত ওয়াফিং কমিটি সদস্তেরা প্রেসিডেন্ট অন্যান্ত সদস্যকে সম্মেলনে যোগদানে অনুমতি দিলেন ; গান্ধীজী উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন ( ২৪এ জুন)

সম্মেলন শুরু হলে জিন্নাজী দাবী করলেন, বড়লাট পরিষদের মুসলিম সদন্াদের লীগ মনোনীত করবে অর্থাৎ কংগ্রেস বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মুসলমানকে মনোনয়নের অধিকার থাকবে না। |

আলোচন! ব্যর্থতার মুখে এসে পড়ল কিন্তু নেহেরু ব্ললেন, আমাদের সফল হতে হবেই বড়লাট বললেন ৬ই জুলাইয়ের মধ্যে তার কাছে নামের তালিকা পাঠিয়ে দিতে জিম্নাজী বললেন, গান্ধী যদি পাকিস্থানের ভিত্তিট! মেনে নেন তবে সম্মেলন নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাবার কিছু নেই, আমরা নিজেরা একটা সম্মেলন করষ। ( ২র! জুলাই )

৪ঠা জুলাই নেহেরু বড়লাটের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নামের তালিকা স্থির করে ফেলল, প্রধান সেনাপতি বড়লাট বাদে পনেরটি নাম প্রস্তাব করল। অন্যান্য দলও নাম দিল। কিন্তু মুসলিম লীগ সর্বসম্মতিক্রমে নামের তালিকা দিতে গররাজী হ'ল, কেনন! জিন্নাজী যে প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন, তা পাননি, অর্থাৎ বড়লাট পরিষদের মুসলিম সদন্তের নাম একমাত্র লীগই প্রস্তাব করবে৷ তারিখ পার হয়ে ৯ই তারিখে পড়েছে।

সিমল। সম্মেলন ব্যর্থ

নির্দিষ্ট তারিখের পাঁচদিন পর জিন্নাজী গান্ধীজী বড়লাটের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে দেখা করলেন। ১৪ই জুলাই পত্রিকার সংবাদ শিরোনাম! হ'ল £ সিমল! সম্মেলন ব্যর্থ

আজাদ বলেছেন, এই প্রথম আপোস আলোচন৷ ব্যর্থ হ'ল | ভারতে বুটেনের মধ্যে কোন রাজনৈতিক প্রশ্নে নয়, সাম্প্রাদায়িক প্রশ্নে

88৪0

“বড়লাট পরিষদে কে কে থাকবেন এই পার্থক্যটা দেখা দিল অথচ রাজনৈতিক প্রশ্নগুলোর মীমাংসা হয়ে গেছল।

“জিন্নার বিরোধিতার জন্য সম্মেলন যদি ভেঙে না যেত তাহ'লে মুসলমানদের জনসংখ্যা যেখানে মাত্র ২৫ শতাংশ সেখানে ১৪ জনের পরিষদে তাদের প্রতিনিধি সংখ্যা থাকত ৭।....."লীগ নাকি ছিল মুসলিম স্বার্থের ধারক কিন্তু লীগের বিরোধিতায় ভারতের মুসলমানেরা অখণ্ড ভারতের প্রশাসনে একটা উল্লেখযোগ্য শরিকানা থেকে বঞ্চিত হ'ল।

“আমি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছি, আমর মুসলিম লীগের দাবী মেনে নিতে পারিনে যে, লীগই ভারতীয় মুসলমানদের একমাত্র কর্তৃত্বময় সংস্থা সীমান্ত প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রিমগুলী | বাংলায় গবর্ণরের শাসন। পাঞ্জাবে ইউনিয়ানিষ্ট মন্ত্রিগ্ুলী। সিন্ধু আসামে লীগ-সরকার কংগ্রেস সহযোগিতার ওপর নির্ভর |”

কিন্তু সত্য, হচ্ছে যুক্তি বা তথ্য লীগের তখন তার চাইতেও বড় জিনিস করায়ত্ত হয়েছে, তার অবিসম্বাদী অখণ্ড স্বীকৃতি সংহতশক্তি। এই শক্তিকে সামান্ত করে দেখে ৪৬ খুস্টাব্দে নেহেরু মীমাংস৷ বানচাল করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন লিওনার্ড মসলে

কেইনি?

“দি লাস্ট ডেজ অব দি বৃটিশ রাজ” বইয়ের লেখক | এই বইখানি নিয়ে বডড বেশী হৈ-চৈ হচ্ছে, জনসন ক্যান্েল, পিয়ারীলাল প্রমুখের বিশদ গ্রন্থাবলী সত্বেও, মসলে আজাদের বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন জায়গা মতো আমিও মসলেকে উল্লেখ করব। মসলে বলেছেন, সব গোঁপন দলিল সরকারী ম্বত্রে প্রকাশ পাবে ১৯৯৯ খস্টাব্দে। আরও ত্রিশ বহর প্র

এই ব্যর্থতা হতাঁশার পর কংগ্রেসের আর কিছুই করবার ছিলনা গটভুমিটাও কিছু বদলে গেছল। চার্চিল সরকারের পদত্যাগের পর

৪9৪৯

বিলেতে ষে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল তাতে শ্রমিকদল' ক্ষমতায় এল। ভারতের বড়লাটও ভারতবর্ষে শীতকালে সাধারণ নির্বাচনের (ঘোষণা! করলেন। নিক্ষ্িয় কর্মহীন কংগ্রেস সঙ্গে সঙ্গে তা লুফে নিল এবং শুনে ভূমি কি আশ্র্ঘ হবে, সত্য, যে, কংগ্রেসের সর্বময় কর্তা যে-আগস্ট বিপ্লবের নেতৃত্ব দায়িত্ব'অস্বীকার করে ওর সাবোতাজ ধবংসলীলার নিন্দা করেছিলেন, তাই--এবং আরও অধিকতর বিম্ময়কর-_সশস্ত্র আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্রিয়াকলাপই তাদের নির্বাচন বৈত্ররণী পার হবার পাথেয় বাহন হ'ল। | আজাদ হিন্দ ফৌজ ? | হ্যা, সত্য, এবারও আমাকে তোমায় ক্ষমা করতে হবে। আমি আমার সীমাবদ্ধ ইতিহাস বর্ণনায়, মহাভারতের অনেক পর্ব পাশে ফেলে চলেছি--১৯৪২ এর আগস্ট বিপ্লব, ১৯৪৩ এর নিদারুণ অমার্জনীয় মন্বন্তর ১৯৪২-৪৩-৪৪-৪৫ এর আজাদ হিন্দ সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের বিরাট পর্ব তোমায় বলতে পারব না, পারব ন! বলতে কলকাত৷ তথা নোয়াখালীতে লীগের প্রত্যক্ষ সংগ্রামের নরহত্যা-লীল৷ বীভৎস তাণগ্তব। অথচ এগুলো! প্রত্যেকটি বিচ্ছিন্ন অবিচ্ছিন্ন ভাবে আমাদের স্বাধীনত৷ আন্দোলনের অথবা ভারতের ভবিষ্যৎ ভাগ্য নির্ধারণের সঙ্গে অঙ্গা্গীভাবে জড়িত ভারতের নেতৃবৃন্দ খবর পেয়েছিলেন কি পান নি বলতে পারব ন।, তার! বুটিশের স্থরে স্থর মিলিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের ব্রহ্ম ইম্ষল অভিযানকে জাপানী অভিযাঁন বলেই প্রচার করেছিলেন, মাঝে মাঝে স্পষ্টতায় বলেছিলেন যে, স্ভাষের এমন ছুবুদ্ধিই যদি হয় তো তারা তার প্রতিরোধ করবেন। কমু[নিস্টর! যে স্ভাষচন্দ্রকে কুইসলিং বিশেষণ দিয়েছিলেন ত৷ থেকে এই সব উক্তির প্রকৃতিগত কোন পার্থক্য ছিল ন।। বিজয়ী ইংরাজ আজাদ হিন্দ ফৌজের ধৃত সেনানীদের দিল্লীর লাল কেল্লায় প্রকাশ্ট বিচারের ব্যবস্থা করে। ভারতবর্ষে আবার এক সর্বজনীন বিদ্রোছি, সর্বাত্মক বিপ্লব আসন্ন হয়ে পড়ে। তোমায় আমি সিপাহী বিদ্রোহের চাইতেও অনেক বড় তাৎপর্ধে মহত্বর নৌ-বিক্রোহের কথাও

৪9২

বলতে পাল্পব না; সেও শ্াভারতের আর এক বিরাট পর্ব। ভাও ব্যর্থ হয়েছে * নেতৃত্বের অভাবে ; কেনন|, একমাত্র সক্রিয় নেতৃত্ব ভারতীয় কংগ্রেস তখন স্ত্বনিশ্চিত সাংবিধানিক পথে পা দিয়েছে, আন্দোলন নয়, বিদ্রোহ নয়, বিপ্লব তো নয়ই, তাকে প্রতিহত করে সমগ্র শক্তিকে কংগ্রেসীরা নির্বাচন, গবর্ণমেন্ট গঠন ক্ষমতা! হস্তান্তরের দিকে প্রধাবিত করলেন পক্ষান্তরে, ১৯৪৬ মুস্লিম লীগ মারের পথে দেশ বিভাগ অনিবার্ধ করে তুলল। রাজশাসন হস্তগত করতে সাগ্রহী কংগ্রেস পাকিস্থানও মেনে নিল

এখানে তোমাকে শুধু ছুটি খবর বলে যাই ; কেননা, ছুটি ভবিষ্যৎ কোন কোন ঘটনার পক্ষে তাৎপর্ববহ। একটি নয়াদিলির ১ল৷ মেপ্টেম্বরের খবর। তাতে বল! হ'ল, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পুনরধিকারের পর ভারত সরকার স্থির করেছেন, এটিকে আর কয়েদখানা করে রাখ! হবে না। প্রথমত, এতে তিক্ততার স্থি হয়; রাজনীতিক বন্দীদের পাঠানোতে তাই হয়েছিল ; দ্বিতীয়ত, কারাগার প্রদেশ-প্রশাসন তুক্ত বলে, কেন্দ্রের কোন পেনাল সেটেলমেন্টের দরকার নেই। তৃতীয়ত, যোগাযোগ রক্ষার অন্থুবিধে জাপ অধিকারের সময় ৫৬ হাজার বর্মী বন্দী ছাড়া ভারতীয় রাজনীতিক বন্দী কেউ ছিলন]। দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের ৮ই সেপ্টেম্বরের খবর। আজাদ হিন্দ ফৌজের শহীদদের স্মরণে স্ত্ভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুরে যে স্থতিসৌধ নির্মাণ করিয়ে- ছিলেন, পুনরধিকারের পর ইংরাজের৷ সেটিকে ভারতীয় স্যাপারদের দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। জাপ আত্মসমর্পণের পরে ওটির আবরণ উন্মোচিত হয়েছিল। ইংরাজেরা ওটি ভাঙতে গিয়ে দেখে ওখানে আজাদ হিন্দ ফৌজের চিহনুমাত্র নেই অথচ তিনদিন আগেও ওখানে আজাদ হিন্দ প্রহরী মোতায়েন ছিল।

সম্পর্কে নেহরু কি আচরণ করেছেন ১৯৪৬ এর জানুয়ারিতে, তা মাউণ্টব্যাটেন বিশদ বলেছেন

আপাততঃ ১৯৪৫ এর আগস্ট মাস থেকে কংগ্রেস অন্তান্ত দল সাধারণ নির্বাচনে মেতে উঠল। গান্ধীজী সমর্থন করলেন। পু

৪৪৩

অধিবেশনে সিদ্ধান্ত লিপিবন্ধ হ'ল। ১৯-এ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস পার্লামেন্টারী বোর্ডের প্রথম সভা হ'ল; এদিনই বড়লাট বেতারে ঘোষণা করলেন যে, বৃটিশ সরকারের আহ্বান করার ইচ্ছা

485 90017 28 0099511919৪, ০010756110001020-10780116 1000 2170 25 2, [91611101119 50]) 11)65 108৮5 950071560. 1708 19 01)0.671206, 10)100760126519 2657 0106 €150107, 015009910175 /111) 190155910121595 01 11)৩ 1621519016 /595677707755 17) (16 1:০৮10095, 109 2.50611811) 10011061006 [01070059151 00719,106 10 056 1942 00199010101 ৪10 2.006009,018 ০0: ৮00981)০ 50178

!

৪1661082616 01107001660 501)6109 15 [1610191019,৮ 1

ইত্যাদি ইত্যাদি। তিন বছর পর বোম্বাইয়ে ২১ সেপ্টেম্বর এ, আই. সি. স্ি'র প্রথম অধিবেশনে ওয়াভেল-ক্রিপস প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হ'ল; দ্বিতীয় দিন “৯৯৪২ সংগ্রামের জন্য জনসাধারণকে সাধুবাদ” জানিয়ে জওহরলালের প্রস্তাব গৃহীত হ'ল আর নিয়োগ করা হ'ল--এইটেই সবিশেষ উল্লেখযোগ্য--আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযুক্ত সৈন্যদের পক্ষ সমর্থনের জন্য কমিটি

একটা খবর তোমায় বলি, সত্য | ঠিক এই সময়েই, ২৫ সেপ্টেম্বর, আজাদ হিন্দ ফৌজের ধৃত সেনানীদের এক শিবিরে গুলী চালিয়ে পাঁচজনকে মেরে ফেলে এবং অনেককে আহত করে শিবিরট৷ ছিল কলকাতার কাছে নীলগঞ্জে এবং এখানে অন্ততঃ একহাজার বন্দী আজাদ সেনানী ছিল খবরটা স্বয়ং জওহরলাল দিয়েছিলেন এলাহাবাদে ১০ই অক্টোবর ( অঃ বাঃ পঃ ১১ই অক্টোবর, ১৯৪৫)

ওয়াভেল প্রস্তাবকে ওয়াঁফিং কমিটি বলেছিল, “অস্পস্ট, অপূর্ণ অসন্তোষজনক” ; বল! বাহুল্য, এ. আই, সি. সি'ও তাই সমর্থন করল।

স্থতরাং সংগ্রাম। মানে, নির্বাচন সংগ্রাম কৃষকদের উদ্দেশে বলা হ'ল, মেহনতি জনতার হাতে ক্ষমতা এনে দেওয়ার জন্যই তো সংগ্রাম ; মূল শিল্পগুলে! হবে রাষ্ট্রায়ত্ত, অন্যান্য শিল্পও ; ভূমি ব্যবস্থারও সংস্কার আর সমবায়ভিত্তিক খামার

88৪8

| পি. সি. যোশীর ফতোয়া

লীগ প্রত্যক্ষ সংগ্রামের মহড়া শুরু করল বোম্বাইয়ে। কমুনিষ্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারী পি. সি. যোশী কংগ্রেসের সকল কম্যুনিস্ট সদন্যকে কংগ্রেস থেকে অবিলম্বে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন। যোশী মহাশয় যে বিবৃতি দিলেন তাতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জঙ্ক ধগ্রেসকেই দায়ী কর! হ'ল। আগে ইংরাজীটুকু বলি, পরে বাংলা

[106 6010£1995 52705 10 17690017 01 [1709 16 1,626716 067009)05 0669007% 107 110511]]) 10170619105. 70 06797) (1) 1101) 01 5616-061611711119,61010 072) 1311051) 00 60 9100 16 €0 2 99061010100 0%৮1) ০0117117191) 19 ৪, [019,117 110]056109, [1 016 11017)6 011170191] 1660010) 1100 (50101655 16806791917) 19 06191110660 €0 110511]) 17016181005 0 (1)০ 109079 01 0101 01 [10018 1 19 15661017)8 011060. 117019,9 (৮৮0 107817) [091101081 018810159,01015,.৬০ 009 00৮ 001851997 1৮ £০০৫ 561058 10 51) ০0৮ 107011)61 ]151105 110 (16 709106 0: 1100121) 00119

“কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা চায় ; লীগ চায় মুসলিম স্বদেশের স্বাধীনতা | বৃটেনের কাছে স্বায়ত্তশাসন দাবী করা, আর, আমাদেরই স্বদেশবাসীদের ত। থেকে বঞ্চিত রাখ! পরিষ্কার অবিচার। ভারতের স্বাধীনতার নামে কংগ্রেস নেতৃত্ব মুসলিম স্বদেশের স্বাধীনতা দিতে চাইছে না। ভারতের এঁক্যের অছিলায় কংগ্রেস ছুটি রাজনৈতিক স্থাকে পৃথক করে রাখছে ।..**-, ভারতীয় এক্যের নামে মুসলমান ভাইদের সঙ্গে লড়াই করা সুবুদ্ধির পরিচায়ক নয়।"""

সত্য, কিছু মন্তব্য করে এই কদর্য অনিষ্টকারিতার মর্যাদা দিতেও আমি কুষ্টিত; আজ একটি প্রতিবেশী বৈরী রাষ্ট্রের পটভূমিকায় এই বিবৃতির বিজাতীয়তা আপনা-আপনিই পরিস্ফুট হবে। তবে হ্যা, যেখানে বিবৃতিতে অকম্মাৎ আগস্ট সংগ্রামের প্রশস্তির নিন্দা করা হয়েছে তার নিশ্চয়ই যৌন্তিকত! থাকত যদি ও'র৷ সা্রাজ্যবাদী যুদ্ধকে জনযুদ্ধ আখ্যা

৪৪৫

দিয়ে এদেশের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তিকে হনন না করতেন তবু বলব, একথা বলার মধ্যে যুক্তি আছে যে, “কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ য্দিন জেলের ভেতর ছিলেন তদ্দিন বুটিশ বড়লাটের সঙ্গে পত্রালাপে আগষ্টোত্বর সংগ্রামের দায়িত্ব অস্বীকার করেছেন জেল থেকে বেরিয়ে এসেই তাদের প্রথম কাজ হ'ল, আমাদের কোন কথা না শুনে, আগস্ট সংগ্রামে যোগ না দেওয়ার জন্য আমাদের নিন্দা করা আমরা যদি তাদের মনোভাবকে নীতিহীন স্থৃবিধাবাদ বলি, কে আমাদের ছুষবে ?” |

নীতিহীন স্থবিধাবাদেরই আর এক নাম রাষ্ট্রনীতি বা » তাই না, সত্য? হিটলার-স্ট্যালিন ট্রেড প্যাক্ট নন-য়্যাগ্রেসন আবদ্ধ হবার আগে পর্যন্ত “সাআজ্যবাদের” বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য চীৎকারই ছিল রাজনীতি এবং তারপরও এই প্যাক্টে বাহবা দেওয়া রাজনীতি ; তারপর পোল্যান্ডের ভাগাভাগি এক রাষ্ট্রনীতি ; তারপর ফ্রান্স-ইংলণ অবধি ফ্যাসিবাদ নাৎসীবাদের অগ্রগতিকালে নীরবতা! এক রাজনীতি ) তারপরও একই ঢল যখন উল্টোস্রোতে বইল, সোভিয়েট রুশিয়ায় পড়ল নাৎসী গুজস্টেপ তখনকার হাহাকারও রাজনীতি এবং একেবারে কৌয়ালিটেটিভ চেঞ্জ--জল থেকে বাম্প-_- “সাআজ্যবাদী” যুদ্ধ থেকে “জনযুদ্ধ” ; ফ্যাসিবাদ নাৎসীবাদের বিরুদ্ধে সাআাজ্যবাদ সেদিন সমাদরের সখা। এও রাজনীতি কিন্তু যোশীদের মতে 17117010160 922০0011500 নয় হিরোসিম। নাগাশাকিতে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপে নীরব থাকা অথবা উপভোগ করা আদৌ নীতিহীন স্ৃবিধাবাদ নয়। নীতিবিগহিত স্ুবিধাবাদ নয় আরও কিকি কথা, আর বাড়িয়ে বললাম না, সত্য; কিন্তু এদ্দিন পর কি চৈতন্য হ'ল কংগ্রেসে নীতিবিগহিত স্ৃবিধাবাদ আছে? অকস্মাৎ লীগের প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে কংগ্রেসের নিন্দা করে বেরিয়ে আসার মধ্যেই বা কি নীতি-পরিশুদ্ সঙ্ধ্যবাদ আছে তা আমার বৃদ্ধির অগম্য ০. ক্ঈঘখ্রেসের আরও কি দোষ? “তাঁরা ভুলে গেছেন ফ্যাসিস্ট ্লাপানের আগ্রাসী হুমকি, তারা সাবোতাজ ক্রিয়াকলাপের সংগঠকদের তুলে গেছেন”--জাপানকে তো যোশীরাই শুস্তমার্গে বন্ধমুষ্ঠি তুলে

৪8৪৬

ঠেকিয়েছেন এবং সক্রিয় সহযোগিতায় সাবোটারদের নিস্তব্ধ করেছেন ; এজন্য বৃটিশ সাত্রাজ্যবাদীদের কাছ থেকে ইনাম পুরস্কারও কি তার৷ পাননি? কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের পক্ষে নিশ্চয়ই অন্যায় আগস্টোত্তর দিন- গুলোকে মূলতঃ ঘ্বণিত বিদেশী শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা প্রেমিক জনসাধারণের ন্বতচক্ষর্ত অভ্যু্থান বলা কিন্তু যোশীরা যে ভারতস্বার্থ বৈরীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন তার নিন্দা কি অন্যায় ?

একথা তারা একশবার বলতে পারেন যে, “আমরা ভারতীয় কম্যুনিস্টরা হাইকম্যাণ্ডের বর্তমান লীগ-বিরোধী কম্যুমিস্ট বিরোধী নীতিকে মনে করি গৃহযুদ্ধের শক্তিকে সরাসরি উৎসাহ দেওয়া-_যার পরিণাম দেশের সর্বনাশ, স্বাধীনতা! নয় “(অঃ বাঃ পঃ অক্টোবর ৬, ১৯৪৫)

সত্যি ভাল কথা কিন্তু তার দাওয়াই কি স্বায়ত্তশীমনের নামে বৈরী রাষ্ট্র পাকিস্থানের সমর্থন ? আমি তো জানিনে, সত্য, 01201709150 ০2০110192, নীতিবিগহিত স্ুবিধাবাদ কাকে বলে। সেদিন কিন্ত ও"রা ছাড়া কেউ সন্দেহ করেন নি যে, দিকে দিকে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গম! 20690021000 [01117-এরই মহড়া মাত্র ফ্যাসিবাদ নাৎসীবাদের মহড়া যেমন হয়েছিল স্পেনে। কারা সেদিন স্পেনের প্রগতিশীল শক্তিকে সহায়তা না করে নিবীর্ধ করেছিল তা আজ কারও অৰিদিত নয়। নাৎসীবাদকে ত্বরান্বিত করেছে যেমন ইউরোগীয় জান্তপথিক কম্যুনিস্টরা, ভারতে পীকিস্থানকেও ত্বরাস্বিত করেছে তেমনি

ংগ্রেসের ভ্রান্তি কম্যুনিস্টদের মদদ

পুষ্পস্তবক নয়__ইট

সেদিন এসব মহলে নিন্দা করতে শোঁনা যায়নি খন মৌলানা আজাদকে ইটপাটকেলে লাঞ্ছিত করায় “ডন” খুশী হয়ে লিখেছিলেন ভ7০ ০2 011 52 01096 001010550, 12006 0920 0০900060৪16

17273) 10 211] 013055, £। 500 9: 00065 2170 9170%/0০75,

কে বা কার! গৃহযুদ্ধের জন্য তরপাচ্ছিল? যোশীরা যাকে

৪৪৭

7/105100 10920615708 বলে অতিহিত করছিলেন, একশ্রেণীর মুদলমানের সংস্থা সারাভারত মজলিন-ই-অর্থর তার নিন্দা করলেন 41১21052015 20001009200 062 7900 210) 15 06105 0190৩3 01০02. 05৫01005 140311019....৮ (৯ই অক্টোবর, ১৯৪৫)

যোশীমহোদয়দের দুর্ভাগ্য, একদিকে কংগ্রেস যেমন আজাদ হিন্দ ফৌজের কীতিকলাপ নির্বাচন অভিযানে ব্যবহার করেছে অন্যদিকে কংগ্রেস-কম্যুনিস্টদের অনিচ্ছা সত্বেও সারা ভারতব্যাপী আজাদ হিন্দ ফৌজের চেতনা প্রেরণা ছড়িয়ে পড়েছিল- ছাত্রদের মধ্যে, কেরাণীদের মধ্যে, ডাক তার বিভাগে, পুলিশের মধ্যে, অনুগত বৃটিশ তীরতীয় ফৌজের মধ্যে ; বিমানবহরের মধ্যে, নৌবাহিনীর মধ্যে আমার হাতে এত তথ্য আছে, সত্য, নৌ-বিদ্রোহের কালে কালেই, উদ্বেলিত অসন্তোষের_ আর. আই. এ. এফ-এ, জব্বলপুর পুলিশে, গোর্থা বিদ্রোহে, উপকূল গোলন্দীজ বাহিনীতে, মালাবার স্পেশ্াল পুলিশে, হাজারীবাগ পুলিশ ধর্মঘটে, টাকা পুলিশ ধর্মঘটে এবং আরও কোন কোন ঘটনা সম্পর্কে যে তোমায় অভিভূত করে ফেলতে পারি। প্রত্যেকটি ঘটনাই এক একটি ছোট কাব্য। কৈ এর একটারও তে৷ ফয়দা ওঠাতে পারেননি মহোদয় বিপ্লবীরা ?

পক্ষান্তরে, মৌলানা আজাদের চোখেও পড়েছিল এই সর্বজনীন বিদ্রোহ £

“4 [0991 16102112016 01050261020. 21] 00610)0621761006 00106 2000 17) 211 1116 [0019110 56151069,,.41] 0100 (10166 10121101165 01 006 411060 20:065--01)6 125, 006 4100 200. 006 417 চ০:০৩--567৪ 110501760 1709 2106৬ 50171 01 10860100907, 71)656 56110110761005 91819 ৬1109517680, 100 01110 21710106 00009151016 2150 81001060106 181015,,০১১১, র্‌

সেদিনকার সে মানসিকতা আজ বর্ণনা করাও ছুঃসাধ্য নিন্দা করতে হয়, তাদের ধারা এই চেতনা প্রেরণাকে সঙ্ঞান উপেক্ষায় অপযশে বা বলগ্রয়োগে দমন করেছেন। তারাই সেদিন প্রতিবিপ্লবীর ভূমিকায় সারা ভারতে বিচরণ করে বেড়িয়েছেন। বিকল্প নেতৃত্ব থাকলে ভারতবর্ষে কেরেনস্কি সরকার স্থপ্রতিষ্িত হতে পারত না|

58৮

'লগুন অবজার্ভারের দিল্লী প্রতিনিধি লিখেছিলেন £__

“110019, €০-09./ 19 & ৮85 0067 208:69217)9 ৬1010 5য:0109155 ঢ০/910192116165 8%09601778 €1)056 2 10 [09100 ০৫ [7709- 49311601510 13150015109 1100100..,... ৮. (১২ই নভেম্বর,১৯৪৫ )

কংগ্রেসের নির্বাচন সাফল্য

কংগ্রেস সেপ্ট্ণাল এসেম্ধলিতে বিনা প্রতিদ্বন্িতায় অর্ধেক আসন পেয়ে গেল। বৃটিশ রাজ হতাশায় এবং চারদিককার উত্তপ্ত প্ররোচনায় একটা উপলক্ষ্ের অপেক্ষায় ছিল; সে উপলক্ষ্য পাওয়! গেল কলকাতায় ছাত্রদের আই-এন-এ (মানে, আজাদ হিন্দ ফৌজ ) দিবস পালনে ধর্মতলা স্রীটে পুলিশ গুলী চালিয়ে রক্তরেখা আকল। ( ২৯এ নবেম্বর ) পর পর ২৫ তারিখ পর্যন্ত চলল রক্তের লিখন মাছুরার রক্ত লক্ষষৌয়ে, লক্ষৌয়ের লাহোরে, লাহোরের রাওয়ালপিপ্ডিতে, রাওয়ালপিপ্ডির রক্ত গড়িয়ে এল কলকাতায়__সেই এক উপলক্ষ্য--আই-এন-এ বিক্ষোভ |

কংগ্রেস-নেতৃব্ন্দও ভয় পেলেন, শক্তি আয়ত্তের বাইরে চলে যাবার ভয় তার! বললেন, তার! চান না 4“50617807 ০£ 076 0০০116 1015-01760150 2100 7715-5101)0 হয় কেননা, তখন তার! চাইছিলেন সকল শক্তি নির্বাচন-উত্তরণে মন্ত্রিত্ব করতলগত করার কাজে নিয়োগ করা হয় ( ২৮এ নবেম্বর )। আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রেরণা মানসিকতা তো নিঃসন্দেহে কংগ্রেস-ক্রীডের নয় উৎকষ্িত গান্ধীজী কলকাতায় 'এলেন ১লা ডিসেম্বর বাংলায় নির্বাচন আসন্ন প্রচার করা হ'ল, তিনি সেজন্য আসেন নি, এসেছেন ১৯৪৩-এর ভুক্তভোগীদের সাস্তবনা দিতে কিন্তু ভিড় বাড়তে লাগল ; কৃপালনী, আসফ আলি, রফি আমেদ কিদোয়াইও এলেন গান্ধীজীর কাছে। সোদপুরের সভা রাজ- নীতি-বর্জিত ছিল না। মৌলানা আজাদ এলেন; কংগ্রেস পালা- মেপ্টারী বোর্ডের সভা হ'ল নিছক ৯৯৪৩ এর ব্যাপার নয়। গান্ধীজী প্রদেশের গবর্ণরের সঙ্গে দেখ৷ করলেন, শোনা গেল, এটি বড়লাটের সঙ্গে

৪৪৯ স্বাধীনতা-_-২৯

সাক্ষাতের ভূমিকা স্বরূপ। কেসী তখন বাংলার গবর্ণর, তার সঙ্গে চারদিন আলাপ হ'ল গান্ধীজীর এবং দীর্ঘকাল ধরে। সরকারী ইস্তাহারে বলা হ'ল, “বহু বিষয় নিয়ে আলোচন। 1৮

পণ্ডিত নেহেরুর নির্বাচনী বক্তৃতা স্পষ্টতর

1000. ০0172106 (0 3910881 81661 01166 2170 179] 09815 1200 915 19611716 19 6০ ০0662 10 98106 200 1101702661০ 7361789115 062.0--062.0 1707 187)1116 2৪1)0 51215200200 1200915. 11)00020266000 800. 17017000805 200 0006 6০ 89910 ঢ01106 2:00 0711182 ) ৪150 10 58106 8100 £76611755 11৮1176 7361059], 91১9০012115 06 5০000, ৮2072762130 রঃ ০. 79.951010 101 [17)01945 176900100.%

মৃত জীবিত বাংলার যুবশক্তিকে প্রণাম ! দেশশ্রিয় পার্কে আই-এন-এ সপ্তাহের উদ্বোধনে প্যাটেল নেহেরু বক্তৃতা দিলেন এমন এক বিশাল সমাবেশে যে অমন সমাবেশ নেহেরু দেখেন নি বলা বান্ল্য,, শরৎচন্দ্র বস্থুর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে কংগ্রেস-বিতাড়িত স্ুভাষচন্দ্রের অকুণ্ প্রশস্তি হ'ল, কেননা, তখন সুভাষচন্দ্র প্রতিরোধের অতীত মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ছাত্রদের সমর্থন করলেন, স্টক এক্সচেঞ্জওয়ালারা লক্ষাধিক টাকার এক তোড়া দিলেন নেহেরুকে। গান্ধীজী শরৎচন্দ্র বন্থ, সুভাষচন্দ্র বন্তু, চিত্তরপরনের কন্যা অপর্ণী দেবী ও. বাসন্তী দেবীর ভবনে পদার্পণ করলেন (১৭ই ডিসেম্বর )। ১৯৪৩ এর ভুক্তভোগী এঁরা কেউ নন। পণ্তিত নেহেরু কলকাতার ব্লাড ব্যান্কে রক্ত দিলেন। ১৯৪৩ এর ভূক্তভোগীর! তখন কেউ বেঁচে নেই।

এবং নিবাচন কিসের ভিত্তিতে ? বলা বাহুল্য, কমুযনাল এওয়ার্ডের ভিত্তিতে ; মুসলমান মুসলমানকে ভোট দেবে, জাতীয়তাবাদী হলেও নিস্তার নেই এবং হিন্দু হিন্দুকে চিঠি টািনিিরিরালং নিস্তার নেই

গাঙ্গীজী শান্তিনিকেতনে গিয়ে গুরুদেবের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে এলেন-_যে গুরুদেব বড় দুঃখে সুভাষচন্দ্রকে “দেশনায়কের পদে” বরণ করেছিলেন

এইভাবে নির্বাচনের মজবুত মঞ্চ হ'ল প্রস্তুত

8৫9

দুর্ভাবনার বছর ৪৬

ভারতসচিব লর্ড পেখিক লরেন্স ১৯৪৬-এ ১লা জানুয়ারী এক বেতার ভাষণে ঘোষণা করলেন £

41946 ৬11 06 00015] 9621: 1) 10101915 131500100,

১৯৪৬ সত্যি তাই হয়েছিল। তার মধ্যে সম-প্রধান ঘটনা হচ্ছে: বৃটিশ পার্লামেন্টারী ডেলিগেশন, ক্যাবিনেট মিশন, ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট, ব্যাপক ডাক তার ধর্মঘট, ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হাল্গামা, কলকাতার নরহত্যা লীলা, নোয়াখালী-বিহারের বীভৎসতা, কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের দ্বিজাতি-তত্বের যুপকাঠে আত্মনিবেদন। শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে, সতা, তবু বলে যেতে হবে ১৯৪৭-এর ভঙ্গবঙ্গ তীরে সীতরে ওঠবার জন্য |

বৃটিশ পার্লামেন্টারী ডেলিগেশন ভারতবর্ষে পদার্পণ করলে তার নেতা রবার্ট রিচার্ড বললেন, আমাদের মিশন সরকারী নয়, সরকারী রিপোর্টও আমরা করব না। আমরা শুধু ভারতের ভবিষ্যৎ মতিগতি লক্ষ্য করতে এসেছি।

আর একটি হচ্ছে পার্লামেন্টারী রাজনীতি সম্পর্কে গান্ধীজীর অত্যাশ্্ধ বিবর্তন তিনি €ই জানুয়ারী বললেন পা থা? ০005100৩৫ 02016 152] 160155010050565 06 016 11] 96076 06০16 2:০6 [6010060 0০ 016 16019190016, 16 ০21 [61006 5210210 5011069 02103 00105070006 70110 10 2৫5156. 011001050317055 ?

গান্ধীজী আসাম নির্বাচনকালে আসাম সফরে গেলেন

বৃটিশ গ্রতিনিধিমগ্লীর সঙ্গে দেখা হ'ল আসফ আলির, ডঃ সৌকৎ উল্লা আব্ারী যুগল কিশোর খান্নার ৯ই জানুয়ারী; ১০ই তারিখে দু'ঘণ্টা ধরে পণ্ডিত জওহরলালের সঙ্গে ; ১৭ই তারিখে মৌলানা! আজাদের সঙ্গে মিনিটকাল ; গান্ধীজীর সঙ্গে সর্বপ্রথম ২৩-এ জানুয়ারী

সত্য, এই যে এত মিনিট এত ঘণ্টা ধরে সাক্ষাৎ সম্পর্কে লিওনার্ড মসলের কয়েকটি চমকপ্রদ মন্তব্য তোমায় শুনিয়ে রাখি

৪৫৯

“এ 2. 12190 01160 710) 00116101205, /1)0 01610 010. 1906 1000 %/1)60 (0 15961) (15617 100011)5 9170, ( ওয়াভেলের কথা বলছেন ), 186 1091)0 5 91070501100 09551016 60 0061) 1015,%

নেহেরুজী ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও সারা রাত কথা বলতেন; যত সমন্তা বাড়ত তত বেশী

গান্বীজীর সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে আগের দ্িন রাতে লর্ড ওয়াভেলের ঘুম হয় নি

“176 90086 (0 779 101 17916 21) 11027, 2100] 2] 911) 7)01190£9 12 106 77062106 €0 (611 [৩.৮ | 402001)1 ৮185 0008 25190. £0 06501108 1015 [00110 “] 151]] 105 1৮ ৫0৬ 10 900 11) 2৮6 961791)069১+ 1) [6791190. 7106 19001715000]. 01700 17069926 99, আ1]) 0010 800 015009৮9760 0107 68,01) 9318610005 ০010118010160 1069 079 061016 1৮.”

স্বতরাণ্ড ঘণ্টা-ক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামিও না, সত্য, জনসভায় তো৷ ও'রা আড়াই ঘণ্টা তিন ঘণ্টার কমে বক্ততাই দিছে পারতেন না, এখনও পারেন না। আমাদের শ্লোগান হচ্ছে, কাজ নয়, কথা কথকতা নয় কতকথা। এবং এই কথা বলে বলেই একদা কোন এক সময় স্মমত। হস্তাস্তুর হয়ে গেল

নতুন বড়লাট-পরিষদ

বৃটিশ পার্লামেণ্টারী ডেলিগেশনের সঙ্গেও যখন এমনি "কথা আর কথা' হচ্ছিল তখন তাদের অতিক্রম করে এল এক নতুন ঘোষণা বৃটিশ সরকার যথাশীঘ্ব রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে এক নতুন বড়লাট পরিষদ গঠন করবেন এবং সংবিধান সংস্থাও করবেন।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকেই ভারী খুশী হয়েছিলেন, মৌলান। আজাদ বললেন £ “স্বাধীনতা একেবারে কাছেই, যে-কোনদিন কোলে এসে পড়তে পারে 1” জওহরলালও বললেন “ম্বাধীনতা এখন আর শ্দুরপরাহত নয় ।”

কেননা, সংসদীয় পন্থায় ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে কংগ্রেসের এক

৪৫২.

বৈপ্লবিক মত পরিবর্তন ঘটেছিল এবার নির্বাচনে জয়লাভের পর: যেখানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠত| আছে সেখানে তো বটেই যেখানে নেই সেখানেও-_-অলীগ মুসলিম সংস্থার সঙ্গে নতুবা, এইটাই চমকপ্রদ-- মুসলিম লীগের সঙ্গে মিতালি পাতিয়েও ক্ষমতা দখলে কংগ্রেস নেতারা আগ্রহী হলেন। সিন্ধু থেকে তার সূচনা এখানে প্রাগ্রেসিভ মুস্লিম লীগ পাটির জি. এম. সৈয়দের নেতৃত্বে কংগ্রেস-প্রপ্রেসিভ মুস্লিম লীগ পার্টি-খানবাহাদুর মৌলাবক্ের শ্যাশানালিস্ট মুস্লিম পার্টির কোয়ালিশন ঘোষণ! করা হ'ল ২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৪৬ যে ১৯৩৭ নয় তার প্রমাণ ; বাংলাদেশে ফজলুল হকের দলের সঙ্গে কংগ্রেসকে কোয়ালিশন করতে দিলে বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইতিহাস অন্করকম হত, স্বাধীনত। হয়তো অন্যরকমেও আসত তা৷ আসতে দেয়নি কংগ্রেসের এই একই নেতৃত্ব, যে-নেতৃত্ব ৪৬এ নিজেরাই উদ্ঠোগী হয়ে নিষিদ্ধ কোয়ালিশনের পেছনে ছুটল। ইতিহাসের কণে ধিকার নেই, সত্য, নইলে এখানে অসহ্য ধিক্কার উঠত।

সিন্ধৃতে ঘোষণার পর সিন্ধু প্রাদেশিক মুস্লিম লীগের প্রেসিডেন্ট এম. এইচ. গজদার ৪ঠা ফেব্রুয়ারী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মৌলানা আজাদের সঙ্গে একঘন্টাকাল কংগ্রেসলীগ কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব করলেন। শ্ঠাম রাখি কি কুল রাখি এই অবস্থায় আজাদ প্রস্তাব করলেন যে-কোয়ালিশন ইতিমধ্যেই হয়েছে তাদের অর্ধেক আর মুজ্লিম লীগের অর্ধেক নিয়ে এক কোয়ালিশন মন্ত্রিমগ্ুলী তাহলে চাড়ালে। সকল-দল-মন্ত্িমগ্লী গবর্ণর সব দল- প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করলেন, মায় ইউল্লোপীয়ান শ্রমিক। কিন্তু সব বানচাল হয়ে গেল যখন গবর্ণর মুস্লিম লীগ স্যার হিদায়েতুল্লাকেই মন্ত্রিগুলী গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন।

আসামেও লীগ-কংগ্রেস কোয়ালিশনের চেষ্টা ব্যর্থ হ'ল। আহা,, কি পরিণতি, সত্য, কংগ্রেসেরই নিন্দিত এক সাম্প্রদায়িক সংগঠনের গলায় গলা মিলোতে সিকিউলার কংগ্রেসের কি ব্যর্থ আকুতি !

৪৫০,

একই বন্ধনীতে কগ্রেস লীগ

কাণ্ড কারখান। দেখে বুটিশ পার্লামেন্টারী ডেলিগেশন করাচী থেকে -১০ই ফেব্রুয়ারী লণ্ডন রওন! হয়ে গেলেন। কংগ্রেস লীগকে তারা এক বন্ধনীতে ফেলে বললেন, এদেরই আধিপত্য কিছু মুসলমান হয়তো লীগের বাইরে আছেন ; কিন্তু কংগ্রেসের বাইরে কিছু হিন্দু আছেন কিন! তা উল্লেখ করলেন না। লগুন থেকে জান৷ গেল, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতসচিব পেখিক লরেন্স 4085৩ ০০০৫ 06075309091

হিরা 11711155560 0 056 25565512761) 01 0) [1001919 51012301017 চা

£01 00605 07 05৩ 00৩150505 ০£ 070৩ 02011500600 [001622710 সা0০ 110৮৩ 160010760 000100 [10012,

কিন্তু সব চাইতে যে মারাত্মক কথ! ও'দের চমকে দিয়েছিল তা হচ্ছে গণ্য করবার মতে প্রত্যেকটি মহলে আজাদ হিন্দ ফৌজের অন্ধুপ্রেরণা ; যদি এখনই কিছু করা না যায় তো নেতৃত্ব স্ভাষবাদীদের হাতে গিয়ে পড়তে পারে £

“9০0 0০927876395 2170. 616 1105117) 1,686 216 06125 0023)8- [18090 1707 0106 1170191) ব861010981 400 [000৮০1706100,55 ০১, [1)019010 51602010115 5001) 01)8 061019 10106 6176 110101861৮6 ০০৪] 79,55 ০00 11) 1176 1)2.)05 01 052470171 10 (17056 জ/1)0 706116৮ 1) 7305685 009০11116. (58, 89, 1946 )

নৌ-বিদ্রোহ

সন্দেশ এল ভারত সচিব লর্ড পেখিক লরেন্স, স্তার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস -ও এলবাট এলেকজাগ্ডারকে নিয়ে এক মন্ত্রীমিশন আসছে। লগুন . সংবাদের তারিখট৷ ছিল ১৯এ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৬।

ঠিক সেদিনই বোম্বে কলকাতার কয়েক হাজার ভারতীয় নাবিকের ধর্মঘটের একটা অগোছালো সংবাদও পাওয়া গেল এবং এই ভারতের ইতিহাসে অভূতপূর্ব, অনিন্দ্য কিন্তু ব্যর্থ নৌ-বিদ্রোহের শুচনা। তোমায় আমি অত্যন্ত সংক্ষেপে যতটুকু সম্ভব গুছিয়ে বলার চেষ্টা. করব। বেসরকারী সুত্রের সংবাদ হিসেব হ'ল যে, রয়াল ইগ্ডিয়ান নেভির “তলোয়ারের' ধর্মঘট অন্তান্ত নৌ সংস্থায়ও ৭০০ নৌ-সেনাকে এর

8৪

আওতায় এনে ফেলেছে। শুধু ভাই নয়, বন্দরের জাহাজগুলোও তীরে ধনৌ সংস্থার ধর্মঘটীর উদ্দেশে সিগন্যালে সমর্থন জানিয়েছে। ক্যা অফিসার কম্যাণ্ডিং, রিয়ার ফল্যাডমিরাল র্যাটরে ( 7২৮৮ ) ধর্মঘটা মুখপাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন। ধর্মঘটীরা অফিসার কম্যাণ্ডিংয়ের পদচ্যুতি দাবী করেন। ও'র অপমানকর আচরণই ধর্মঘটের আশু কারণ ধর্মঘটারা জানান যে, অনেকদিন ধরে তীরা কুখাগ্ঠ অসছ্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন ২০,০০০ নৌ-সেনা তাদের সঙ্গে আছেন।

কিছু গ্রেপ্তার হলেন, নৌ-সেনার৷ বোন্ধের রাস্তায় রাস্তায় কুচকাওয়াজ করে গেলেন -

কলকাতার কাছে মাঝেরহাটে ৫০০ শিক্ষানবিশী নৌ-সেনাও ১৯এ ফেব্রুয়ারী ধর্মঘট করেন ; তাদের দাবী বোম্বেতে ধৃত নৌ-সেনার মুক্তি ; তার অপরাধ তিনি ক্যাম্পের মধ্যে “জয় হিন্দ” “কুইট ইত্ডিয়া” লিখেছিলেন |

পরবর্তী সংবাদ “তলোয়ারের” বি. সি. দত্ত স্যালিউটিং বেস-এ ( সেলামি বেদী ) কথাগুলে৷ লেখবার সময় ধরা পড়েন, তখন ফ্র্যাগ অফিসার কম্যাণ্ডি-এর আসবার ময় দত্তকে গ্রেপ্তার কর! হয়। যাঁর মুক্তির জন্য নৌ-সেনারা আন্দোলন করছিলেন সেই আর. কে. সিং তখন জেলে “তলোয়ারের' কমাগ্ডিং অফিসার ছিলেন এই ধর্মঘটের আশুকারণ, তাকে বদলি কর! হ'ল। তীর জায়গায় এলেন এক বৃটিশ অফিসার।

সত্য, এই বি. সি. দত্ত হচ্ছেন আমাদের বাংল! দেশের বর্ধমান জেলার বলাই চন্দ্র দত্ত তিনি ছোট্ট একখানি বই লিখেছেন, নাম “নৌ-বিদ্রোহ' আমার কুড়োনো৷ অজত্র তথ্য থাক, আপততঃ নৌ-বিদ্রোহের অন্যতম অগ্রণী নায়ক বলাই দত্তকে বলতে দি

“১৯৪৫ সালে নেতাজী স্থভাষচন্দ্রের ইগ্ডিয়ান ন্যাশনাল আমির লোকদের ভারতে ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে দেখা দেয় প্রচণ্ড আলোড়ন- বিক্ষোভ

“আজাদ হিন্দ ফৌজের আসন্ন বিচারের সংবাদে নৌ-সৈম্তের! বা

৪৫৫

রেটিংগণ হয়ে উঠলো বিচলিত, চঞ্চল। ব্যারাকগুলোর আত্যন্তরীণ অবস্থার চাপে পরিস্থিতি হয়ে উঠলো আরে বেশী সন্কটাপন্ন।

প্ঘটনাবলীর এমনি কাঠামোর মধা থেকে বেরিয়ে আসে এমন এক শক্তি যে শক্তিকে পূর্বে কখনো দেখতে পায়নি আর. আই. এন, এর রেটিং নাবিকের! 1*-****আমরা ছিলাম বহুদুরব্তী ভিন্ন ভিন্ন এলাকার সব লোক-_ছিল ভিন্ন ভিন্ন ধর্মসংস্কৃতি |

“আমি ছিলাম একজন বেতার টেলিগ্রাফ কর্মী..." *আমরা] প্রায় এক বংসর কাল কাটিয়েছিলাম বর্মাদেশের যুদ্ধে সেখানে আমরা ভোগ করেছিলাম এমন পার্থক্য এবং ব্যক্তিগত অবমানন! যে বুটিশ | প্রতি আমাদের আর বিন্দুমাত্র ভালবাসা অবশিষ্ট ছিল না। প্রায়ই আমরা টমীদের সঙ্গে লড়াই করবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠতাম 1**,

“আমি সহজেই আমার মত আরে! লোকের সন্ধান পেলাম

“আমরা আমাঁদের নিজেদের বলতাম “আজাদ হিন্দ" (স্বাধীন ভারতীয় )।..-

“আবেগপ্রবণ আর. কে সিংকে একটা কিছু করতেই হতো এক স্বপন বিলাসী যুবক ।:*****দর্শনীয়ভাবে আর. আই. এন. থেকে বেরিয়ে ষাওয়ার মধ্যে দিয়ে তিনি চেয়েছিলেন আমাদের সাহায্য করতে

“০*****সিংএর লাভ হলো, তিন মাসের কারাবাসের শাস্তি

«১৯৪৬ সালের ওরা ফেব্রুয়ারী তারিখে কমাগ্ডার-ইন-চিফ-এর পতলোয়ার' পদ্দিদর্শনে আসার খবর ঘোষণা করা হলো" ভারতীয় সন্ধ্যার স্তিমিত আলোর স্থযোগ নিলাম যেবেদীর ওপর দাঁড়িয়ে কমাণ্ডার- ইন-চিফ অভিনন্দন গ্রহণ করবেন, সেই বেদীর ওপরে “জয় হিন্দ' এবং ভারত ছাড়ো" লিখে রাখা হলো ।..*যে সময়ে আমার কাজ শেষ হলো, তখন প্রভাতের আলো সবে ফুটে উঠেছে দিগন্তে ।...এতই শ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে অনবধানবশত একাধিক স্বত্র ফেলে এলাম পিছনে সেই সুত্র ধরে অনতিবিলম্বে তারা৷ আমার সন্ধান পেলো ।*** আমাকে গ্রেপ্তার করল

৪৬

. ধর্মঘটের আওতায় এসেছিল কোলাবায় ভারতের রয়াল ইন্ডিয়ান নেভির বৃহত্তম বেতার ঘাটি ধর্মঘটে ক্যাসল ব্যারাক, ফোর্ট ব্যারাকের এবং বন্দরের বহু জাহাজের লোকেরাও ধীর রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন “শাস্তি লরীগুলো” তাদের কুড়িয়ে নিয়ে এল। ধর্মঘটীরা। খাবার প্রত্যাখ্যান করলেন। পতাকাদণ্ড থেকে তলোয়ারের' প্রতীকচিহ্ন নামিয়ে এনে সেখনে ব্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাও তোল। হ'ল পরে অবশ্য আপাততঃ কোন পতাকাই সেখানে না রাখবার সিদ্ধান্ত হয়।

২০এ ফেব্রুয়ারী বোন্থে সহরতলীর ভরোসা৷ অন্যান্য নৌ-সংস্থা থেকে শত শত নৌ-সেনা লোকাল ট্রেন করে চার্চগেট স্টেশনে পৌছোতে লাগলেন পনের মিনিটের মধ্যে হাজার দুইয়ের এক সমাবেশ হ'ল চার্চগেট স্টেশনে হাতে কংগ্রেসের তেরডা ঝাণ্ডা কে ধ্বনি। আন্ধেরী থেকে চার্চগেট পর্যন্ত ধর্মঘটীর! ধ্বনি দিয়ে এসেছেন এবং বুটিশ সেন! দেখলেই বিদ্রপের শব্দ করেছেন

তারপর সমবেত বিক্ষোভকারীরা স্টেশন থেকে এলেন “ওভাল'-এ, নেতারা তাদের সম্বোধন করে অহিংস সুশৃঙ্খল থাকতে বললেন তারপর মার্চ করে তলোয়ারের দিকে চললেন সবাই ।**"

কত সংক্ষেপে বলব, জানি না, সত্য করাচীতে গুলী চলল, ভারতীয় নৌ-সেনারা পাল্টা কামান দাগল | বোম্বাইয়ে বৃটিশ সেনারা চালালো গুলী। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন রয়াল নেভি রওন। দিয়েছে বোন্বের দিকে

ভারতীয় নৌ-সেনার! ২০টি জাহাজ অস্ত্রাগার দখল করল

ইত্যাদি। তারপর ২৩শে ফেব্রুয়ারী ভারতীয় নেতৃবৃন্দের উপদেশে আত্মসমর্পণ

ভারতীয় নেতৃবৃন্দ তখন কোথায় ছিলেন? মৌলানা আজাদ কোয়ালিশন গবর্ণমেন্ট গঠন করে বেড়ীচ্ছিলেন সার ভারতে জনতার বিপরীত মেজাজ লক্ষ্য করে মাঝে মাঝে বলছিলেন, বৃটিশ সরকার যদি অবহিত না হুন, সংগ্রামের আহ্বান ' দিতেই হবে; কিন্ত হে

৪৫৭

ভারতবাসিগণ তোমরা যেন সত্যিই আন্দোলন করে বোসে! না, শাস্ত থাক তার সম্মুখে এক উজ্জল চিত্র; বললেন «ন156 0100016 026] আহ) 56611062007 15 8, [0106076 ০:4 5000859 2.00. £10919* 1615 ৪. 5016790 70106076,. [ ৮785 1) 1081900)1. 1 45 110 5101)1006, 8০0৮] 10852 006 587)6 0200016

21016 17)6,%

কথা বললেন এসোসিয়েটেড প্রেস অব আমেরিকার কাছে লাহোরে ১লা মার্চ এবার পাঞ্জাবে কোয়ালিশন গবর্ণমেন্ট। শুনে নাকি লোকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল দিল্লীতে নৌ-বিদ্রোহরে কথ! শুনে তিনি স্্রনিশ্চিত হলেন যে, 40345 আ2$ 1006 20 27001001206 $8005 607 200 108255 [00086100 01 17600 200100.” |

হতভাগ্য ভারতীয় নৌ-সেনারা যেদিন ভারতীয় নেতাদের সক্রিয় চাপে আত্মসমর্পণে বাধ্য হলেন সেদিন কংগ্রেসের সর্বময় নেতা গান্ধীজী পুণা থেকে স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রচার করলেন নৌ-সেনাদের সর্বাংশে নিন্দা করে, কেন না, তিনি ওয়াকিং কমিটিকে ক্যাবিনেট মিশনের প্রতি যত্ববান হবার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। তিনি নৌ-সেনাদের অভ্যুথান সম্পর্কে কি বলেছিলেন, অবকাশ পেলে তোমায় বলব আপাততঃ শুধু এইটুকু তুলে দিচ্ছি

“15 51001061069 ০00856 10 5216, 11 561805 15 11010)1-

1190106 001 00610 01 11)019, 2

সত্য, এই মহাত্মাই একদা মিস মেয়োর বই সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন 70:517-11780002% [২০০০০ আমি জানিনে, গাঙ্ধীজীর এই বিবৃতির মাপকাঠি কি হবে। বিবৃতি বুটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলী অথবা এখানকার বড়লাট কি বোন্ধে গবর্ণর দিলেও কিছুমাত্র বেমানান হ'ত না; কিন্তু লোকে ভিন্ন দৃষ্টিতে বিচার করত এই মাত্র। অথচ দেখ, এই বিশুর্ধ নিষ্করুণ বিবৃতিতে ভারতীয় নৌ-সেনাদের দুঃখ-কষ্ট বেদনার জন্য লেশমাত্র সহানুভূতির কথা নেই, পক্ষান্তরে ওর! কেন লাঞ্ছনা বয়ে চাকরী ক'রে সেজন্য নিচুর কটাক্ষ আছে।

66৮

লাঞ্ছনা? সমাজের কোথায় নেই ? জেলখানায় লাঞ্ছনা! নেই ? তবে জেলে যাওয়া কেন? আমেদনগর ফোর্ট আর পর্ণকুটিরের কপাল নিয়ে কোটী কোটা লোক জন্মায় না; তাই ব'লে রাজনীতিতে লাঞ্থন। নেই? মসলের বিবরণ যদি সত্যি হয় তো! লাঞ্ছন! নয় ?

“গান্ধী কিন্তু আপনি তো৷ আগেই ঘোষণা করেছেন যে, গবর্ণমেন্ট হবে। এখন তো৷ কথ ফিরিয়ে নিতে পারেন না

“ওয়াভেল £ অবস্থা বদলে গেছে। কলকাতায় হত্যালীলার পর ভারত এসে পড়েছে গৃহযুদ্ধের সীমান্তে নিবারণ করা আমার কর্তব্য। আমি তা নিবারণ করতে পারব না, যদি মুসলমানদের বাদ দিয়ে কংগ্রেসকে গবর্ণমেন্ট গঠন করতে দ্রি। তাহলে তারা স্থির করবে যে প্রত্যক্ষ সংগ্রামই একমাত্র পথ, আবার তবে বাংল! দেশে হত্যালীলা হবে।

“নেহরু অর্থাৎ আপনি মুসলিম লীগের ব্লাকমেলের ( মানে যাকে বলে হুমকি দিয়ে কাজ আদায়ের ) কাছে আত্মসর্পণ করছেন ?

“2611: (৬1৮) 1626 1)92) : 0: 08005 596, 30817, 11)0 216 00. (0 1৪100 01 01901507981] 2%

লাঞ্কনার মাপকাঠি কি, সত্য ?

অপরে রাজসিক গ্রাসাচ্ছদন জোগাবে এমন সৌভাগ্যে নিয়ে সবাই জন্মায় না; পৃথিবীর কোটী কোটা মানুষকে লাঞ্ছনা! অপমানের মধ্যেই মেহনত ক'রে জীবনধারণের অন্ন খুটতে হয় তাই বলে তারা৷ কাজের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শ্রমান্ুপাত মজুরী-_ সবোপরি বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে অন্তরে দেশপ্রেম পোষণ করতে পারবে না? মে যদি কখনো উদ্বেলিত হয় তবে তা আমার মতে চলল না! বলে নিন্দা করতে হবে এবং দণ্ডদাতাদের অপেক্ষায় না থেকে ধিচার করব আমি ? দণ্ড দেব আমি? না, সত্য, এত তত্বকথার কাটা আমি সহ্য করতে পারতাম যদিন! বিবৃতির শেষে মূল উদ্দেশ্যট! অত বিবস্ত্র হয়ে দেখ! দিত। শাসকের! ক্ষমতা হস্তাস্তরের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন, অতএব, শান্ত হও, ধীরে কথা কও, ওরে মন নত কর শির

.. তুঙ্ি বিশ্বাস করবে, সত্য, এজন্য লণ্ডনের অর্থ নৈতিক রাজনৈতিক সাপ্তাহিক “ইকনমিষ্ট' গান্ধীজীকে পুরো! কৃতিত্ব দিয়েছেন ?

02501 101 006 16550180010 01 01061 170 10018 2705 £০ 00 0151 60০ [91106 200 09018 ০81150 ০০10 00109 91 09015, 00 (0 10018) 165.0615--781110111911, 111, 0320101)).1

কিন্তু রাগ করছিলেন নেহরুজীর উচ্ছাঁসপ্রবণতায়

“48 08106510105 0666] 1175 2.11629,05 10661) 96৮--0810100121% ৮9 ৮2007 61)20--0 05106 £65০01001010910 [01010259511 07055 01 00016 200. 0120 01 161070019.01775 (176 001590867705 ৮/1)61) 006 167০0] 01 779009285115য), 01981055010 1100 0091 060707859.0101)5. |

এই পত্রিকার মতে এহচ্ছে “10750 10572251১06 270. 0010.” ঠিক ২রা মার্চেই ঝান্সীতে এমনি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন নেহেরু £

“1 00513116151) 0910106€ 10155105. 9115 60 5018 6192 016551106 8100. 015106 08019161775 ড/1)101) 906. 0192)0011776 001 9. 5010501)) [001)1021 52010010096 ০01 46951811105 11791)5105 ০010 9961) 116 220176 0001060*”

এবং নৌ-বিভ্বোহ সম্পর্কে কি বলেছিলেন, পরে আমি তোমায় বিশদ বলব।

পচানব্বই শতাংশ পাকিস্থান

আমর! জানতাম না, সত্য, বূটেনের প্রখ্যাত রাষ্ট্রনীতিবিদ অন্যতম শ্রমিক নেতা হ্যারল্ড ল্যাস্কি প্রকাশ করে দিলেন ; বুটিশ ক্যাবিনেট মিশন আসবার আগেই কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ পচানববই শতাংশ পাকিস্থান মেনে নিয়েছেন তিনি বিশেষ করে পণ্ডিত নেহরুর একটি বক্তৃতার উল্লেখ করলেন।

এপি-জাই বিষয়ে পণ্ডিত নেহরুর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পণ্ডিত নেহরু অস্বীকার করলেন না, বোঝাতে চেষ্টা করলেন, কংগ্রেসের সাম্প্রতিক প্রস্তাবেই তে। তা আছে

পড$71)81 ] 5210 আ23 1) 0020£7689 [97070095215 25 00162111680 10 1509001 165010010203 2100 10 12816100127 0 06 18061010 02101-

৪9৬০

16910 ৮7876 9001) &9 €0 £1%6 96 08:060 9611-051617008002 €0 006 00751100619 00106 10 006 560619001).%

“আমর! বলেছি যে, আমর! ফেডারেশনে স্বেচ্ছাসম্মত শরিক চাই এবং এইসব ইউনিটের সাধারণ বিষয়গুলো ননতম করতে হবে_ যেমন, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ইত্যাদি একেই আমি বলেছি ৯৫ শতাংশ আত্ম- নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতা এবং অবশিষ্ট পাঁচ শতাংশ সমষ্টিভূত।

ক্যাবিনেট মিশন এল

অতএব ক্যাবিনেট মিশন বেশ প্রস্তুত হয়েই এল। চার বছর আগে এসেছিল একক ব্যক্তি এক মিশন-_ক্রিপস মিশন। আর ১৯৪৬-এর মার্চ নয়াদিল্লীতে এল ক্যাবিনেট মিশন সাংবাদিক সম্মেলনে জওরলালের ৯৫ শতাংশ পাকিস্থানেরই প্রতিধ্বনি করে লর্ড পেথিক লরেন্স বললেন £ নীতিগতভাবে স্বাধীনতা আত্মনিয়ন্ত্রণ স্থির হয়ে গেছে। এখন দেখতে হবে কি উপায় নিলে ভারতীয়েরাই নৃনতম কলহ উত্তীর্ণ হয়ে দ্রুততম গতিতে নিজেদের প্রশাসনযন্ত্র স্থির করতে পারে।

স্যার স্ট্যাফোর্ড ৩১এ মার্চ জিন্নার বাড়ীতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলেন, ঘণ্টাখানেক আলাপও হল। ভারত সচিবের সঙ্গে গান্থীজীরও আলাপ হল ১লা এপ্রীল। এর পর এদিন সীমান্ত প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডাঃ খান সাহেব ক্যাবিনেট মিশন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচন৷ সুর করলেন খান আবছুল কায়ুম খান স্তার মহম্মদ সাছুল্পা মিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই গান্ধীজীর পত্রবাহক বড়লাট ভবনে গাড়ী করে এলেন এবং মিশনের হাতে এক পত্র অর্পণ করলেন। মিশন সপ্রু-ভবনে গিয়েও সপ্রুজীর সঙ্গে দেখা করলেন। মিশনের সঙ্গে দেখ হল রাজন্য পরিষদের চ্যান্সেলারের সঙ্গেও। জিন্নাজীর পরামর্শ মতো সাছুল্লা গোটা আসামই পূর্ব- পাকিস্থানের জন্য দাবী করলেন ( ২রা এপ্রিল )

মৌলান| আজাদ, সর্দার প্যাটেল, বোম্বে ইউপি-বিহারের প্রধান মন্ত্রিগণও দেখ। করলেন ( ৩র! এপ্রিল)

৪৬৯

ইতিমধ্যে ওরা এপ্রিল নয়।দিল্লী থেকে অমৃতবাজার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি খবর দিলেন যে, আজকে লবি মহলে একটা অস্বাভাবিক উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছিল

কেন্দ্রীয় বিধানসভা কক্ষে এক সঙ্কটের উদ্ভব হয়েছে ; মন্ত্রিমগ্তলী সদস্যদের মধ্যে আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দী সেনানীদের মুক্তি নিয়ে লক্ষ্যণীয় বিভেদ দেখা দেয়। সীমান্ত কংগ্রেস সদস্য খান আবছুল গণি খানের একটি বেসরকারী প্রস্তাবই ছিল এই বিতর্কের বিষয়। কর্তগ্রস লীগ সদহ্থোরা প্রথমে যে বক্তৃতা দেন তার স্নুরই ছিল, আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দী-সেনানীদের মুক্তি দিতে না পারলে পণ্ডিত নেহরু লিয়াকৎ আলি যেন পদত্যাগ করেন জবাব দেবার কথা ছিল বলদেব সিংয়ের কিন্ত বিষয়টির গুরুত্ব বিধায় জওহরলালই আগাম এক বিবৃতি দেন। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানান যে, একটা সাংবিধানিক সঙ্কট এডিয়ে এদের মুক্তিদানে গবর্ণমেন্ট অসমর্থ। প্রধান সেনাপতি মুক্তি- দানের অত্যন্ত বিরোধী ; তাকে বদল করার ক্ষমতা বর্তমান গবর্ণমেন্টের নেই, অথচ প্রধান সেনাপতি বদল না হলে বাধা অতিক্রম কর! যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সদস্তেরা যদি এই প্রস্তাব গ্রহাণে অবিচলিত থাকেন তবে গবর্ণমেন্টের পদত্যাগ ছাড়। গত্যন্তরর নেই

এই বিবৃতিতে কংগ্রেস সদন্তগণ প্রশমিত হলেও মুসলিম সদস্যের অনমনীয় রইলেন গবর্ণমেন্ট বিষয়টি ফেডারাল কোর্টে পাঠাবার প্রস্তাব করলেন। প্ররস্তাবক প্রগাট অনিচ্ছায় তীর প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুমতি চাইতেই তা দিয়ে দেওয়া হ'ল।

কিন্তু এর অন্তরালে কি হয়েছিল? সিঙ্গাপুরে মাউণ্টব্যাটেনের ভারতীয় বন্ধুর কি ভূমিকা ছিল? সিঙ্গাপুরে বন্ধুত্ব সঞ্চারের কথা সানন্দে স্মরণ করে মাউণ্টব্যাটেনই বলেছেন 2

“00 15 &0 ০0৮ 20016600020 0015 51009 00

০০01)17010660. [06 ৮/101) ও, £12%6 0116170106..৮

“ছুদিনের মধ্যেই এসেম্বলিতে এই নিয়ে বিতর্ক সুর হবে। এটি আবার মুলতুবী রাখা যাবে না [ এর আগে লর্ড ওয়াভেল ভেটো প্রয়োগ

৪৬২

করেছিলেন ]। আমি যদি ভেটোর পুনরাবৃত্তি করি তবে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত আলোচনার সৃচনায়ই আমি সকল দলের ভারতীয় রাজনীতিকদের সুনাম নষ্ট করব। আর যদি ব্যবস্থাস্তর গ্রহণ করি তবে আমার বন্ধু যুদ্ধকালীন আমার সহকর্মী, প্রধান সেনাপতি অকিনলেক নিশ্চয়ই পদত্যাগ করবেন এবং তাতে অনুগত ভারত সেনাবাহিনী, সাধারণভাবে বুটেনের অধিবাসী, বিশেষ করে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গুরুতর রকমে ক্ষুগ্ন হবে।

“আমি অকিনলেককে আমার সঙ্গে সেই সন্ধ্যায় দেখা করতে বললাম তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, আমি যদি এই সব বিশ্বাস হস্তাদের মুক্তির আদেশ দি তবে তিনি সেনাবাহিনীর আস্থা হারাবেন এবং একবার তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তার পদে থাকার কোন সার্থকতা থাকে না। শেষে তিনি বললেন যে, উভয় পক্ষ যদি আর আর এক পা অগ্রসর হতে রাজী না হন তা হলে আমার সামনে ছুটি বিকল্প থাকবে ; তার যে কোন একটি আসন্ন আলোচনায় আমার মর্যাদার হানি ঘটাবে।

“পরদিন আমি প্রবীণ তিনজন মন্ত্রী-নেহেরু, লিয়াকং আলি খান বলদেব সিংয়ের যে বৈঠক হবে তাতে তাকে আসতে বললাম। এই বৈঠকটি দীর্ঘস্থায়ী অত্যস্ত উৎকণ্টাপূর্ণ হয়েছিল। পরিশেম্ে নেহরু এই অচলাবস্থা ভাঙলেন তার সহকর্মীদের বুঝিয়ে ; তিনি পরদিন এসেম্বলীতে ্াড়িয়ে অবিলন্ে মুক্তির দাবী প্রত্যাখ্যান করবেন। কিন্তু তাদের একথা বলতে দিতে হবে যে, প্রধান সেনাপতি এদের দণ্ড পরিবর্তন কর! হবে কি না এই স্ুপারিশ করে বিষয়গুলো ফেডারাল কোর্টের সামনে উপস্থিত করবেন প্রস্তাবটি ভেবে প্রধান সেনাপতি রাজী হয়ে গেলেন।

মাউণ্টব্যাটেন মন্তব্য করেছেন 2 40228 5 06 604 ০৫ 036 [তব ., 25 2 70106911550. [ 01520050 29917. গান্ধীজী তো! ওদের চাষ-আবাদে মন দিতে বলেছেন

৪৬৩

মাউণ্টব্যাটেন আরও বলেছেন-__যে-কথা শাসকশ্রেণী অন্থুগতদের

বরাবর বলে এসেছেন “61010, 1)9.0 21798,0 1380 5020৩ 1069, 01 006 1.২. 7100161 21) 51796919016 /10৩7. 116 26165000160 187 ৪. 52901) ডা) 06 1002] 11৭4. 11610011981, 00 16 00056 11256 (50617 £59, [00181 ০০0012£6 0 0818138.02 10195 ০0118865 10 2০০৪1 (1815 5010000,%

কিন্ত সেও আই.এন. এর নামে নির্বাচনোতীর্ণ হবার পর

৪ঠা তারিখে তিন ঘণ্টা ধরে জিন্নার সঙ্গে মিশনের আলাপ; তিনি আলাপের বিষয় কিছুই ভাঙলেন না ; কিন্তু লণ্ডন নিউজ ব্রর্মনিকলের পররাষ্ট্র সম্পাদক নর্মাল ক্লিফকে জিন্নাজী বললেন £ “আমি ভারতীয় মনে করিনে ; ভারত বহু জাতির বাসস্থান ; তার মধ্যে ছটি বড়জাতি। আমরা শুধু চাই আমাদের জাতির জন্য একটি পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্র-_পাকিস্থান।

কিন্ত লিওনার্ড মসলে বলেছেন 2 ট্ব০00 016৬ ৪6000 00 06 206 00200101021) 525 1111205616 0019 2 :560000 £073619001 1/1031107 17950 61217020550 124 0662. 2 1317705.” অর্থাৎ ঠাকুর্দা ছিলেন হিন্দু, বাপ মুসলমান, সেই স্থুবাদে মুসলমান

লিওনার্ড মসলেকে নেহের আরও বলেছিলেন যে, *ণু 139০ 101151107 16120555 200 0101705০ ]10121) ০01210176 ০৮০ ০0105 2 1/051170 1155৩1 2150 1950 ০61051010৩6 1৩20 00৫ 70190.

না হোক, জিন্নার বাহাছুরি এখানে তিনি “অভারতীয়” হয়ে গিয়ে ভারতীয় নন এটি প্রতিপন্ন করেছেন। পাকিস্থান ভার্তবর্ষের নামোচ্চারণ করেনা, বলে হিন্দুস্থান এবং এখানকার নাগরিক হিন্দুস্থামী। সেই ভারত, ভারতবর্ষ ব! হিন্দুস্থানের বাইরে আলাদা এক অভারতীয় রাষ্ট্র এবং স্থিরলক্ষ্য পাকিস্থান পত্তনি করার সামর্থ সাফল্য তিনি অর্জন করেছিলেন__একজন মহাত্বা পরিচালিত কংগ্রেসের পরিশুদ্ধ সংগ্রামী সমবেত শক্তি সত্বেও। দ্বিতীয়ত তিনি নেমাজ পড়তে জানতেন কি জানতেন না, কোরান 'পড়েছেন কি পড়েন নি; রাজনীতিতে এও অতিতুচ্ছ কথা হিন্দুদেরও তবে রাজনীতিক হতে

8৬৪

হলে শাস্ত্রী বৈদান্তিক হতে হয় ; অধিকাংশ হিন্দুরই-_কি ব্রাহ্মণ কি অক্রাঙ্গণ, বেদ বেদান্ত পড়া নাই, নিত্য আহক. সন্ধ্যায়-পৃূজাও করেন না কিন্তু জিন্নাজীর মত কূটনৈতিক রাষ্ট্রনৈতিক সার্থকতা 'কোন হিন্দুনেতা লাভ করেন নি।

“পাকিস্থান কিছুতেই নয়”__নেহরু

পণ্ডিত নেহরুর বরাবরই কথাবার্তা কিছু নাটকীয়-_বাস্তবসম্পর্ক- লেশহীন। তিনি কার্যত পচানববই শতাংশ পাকিস্থান মেনে নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু ১৯৪৬ এর এপ্রিল মাসে খানিকটা বাহাদুরি বলেই ঘোষণা করলেন £

“108 00081995 19 1700 60170 10 ৪8766 0 (109 [6265 0617)2,7)0. 107 791015627) 13091 20 0110075150059 12 508৬67--6৮1 11 6116 13116151) (0৮912107610 81955 10 10,০৯১০০, ব00101716 010 52160, 1706 €৮০1। [0-.0., 15 20106 60 01176 20006 72105127 0026 81 10102) 25305.

“বৃটিশ সরকার রাজী হলেও কংগ্রেস কোন অবস্থাতেই লীগের পাকিস্থান দাবী মানবেনা পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, রাষ্ট্রপুঞ্জও নয়, যে জিন্নার চাহিদামতো পাঁকিস্থান এনে দিতে পারে” অথচ ভাগ্যের কুটিল পরিহাস, মাত্র কয়েকমাস পরেই, কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রথম যে ছু'জন মাউন্টব্যাটেনের ফাদে পড়ে পচানববই শতাংশমাত্র নয়, পূর্ণ পাকিস্থানে রাজী হন, নেহরু তাদের দ্বিতীয়

দেশবিভাগের বিরুদ্ধে শিখের! ছিলেন, দেশীয় রাজন্যবর্গ ছিলেন ; মিশনকে মাষ্টার তারা সিং স্যার সি পি রামস্বামী আয়ার একথা জানিয়ে দিলেন। ( €ই এপ্রিল )

পক্ষান্তরে, জিন্নাজী তেমনি জোরে নয়াদিল্লীতে মুসলিমলীগ সংসদ সদস্যবর্গের কনভেনসানকে সম্বোধন করে ৭ই এপ্রিল বললেন £ মুসলিম ভারত কক্ষণে৷ একটিমাত্র সংবিধান রচয়িতা সংস্থায় সম্মত হবেনা এবং পাকিস্থান মেনে না নেওয়ার আগে ইপ্টারিম গবর্ণমেন্ট গঠন করলে তা৷ শ্হণ করবে না মুসলমানদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত যদি

৪৬৫ স্বাধীনতা--৩০

চাপিয়ে দেবার চেষ্টা হয় মুসলিম ভারত সর্বতোভাবে সর্বন্থ দিয়ে তা' প্রতিরোধ করবে।

লক্ষ্য করছ, সত্য, শব্দটা! “মুসলিম ভারত,” “ভারতীয় মুসলমান, নয়। মুসলিম ভারত বলে কিছু ছিল না, একটা করিত, হাইপথেটিকাল উচ্চারণ মাত্র, কিন্তু জিন্নার কৃতিত্ব শূন্যম্যগ্গাঁ বন্তকেই তিনি মাঁটীতে স্প্রোধিত করেছেন, ০০০০০০০ দুর্বলতা প্রয়োগে |

সর্দার প্যাটেল চিনির সন নানার তাঁদের ছু'জনের বক্তৃতা উল্লেখ ঠাট্রা করে গান্ধীজীর “কায়েদ-ই- বললেন রক্তপাতের যে হুমকি দেওয়া হয়েছে ওটা অন্ততঃ এবারের মতো ধার্প। (0997৩ 2 10টি 0020 5110 0015 00) 7 তবু যদি, হৃঙ্যগ্যবশতঃ ইংরাজরা সন্ত্স্ত হয়ে পড়েন তবে মুসলিম ভারত নিক্রিয় বা নিরপেক্ষ থাকবে না মিঃ নেহরু ভুল করছেন গোলমাল হয়তে। একটু হবে, তবে খুব বেশী নয়

এরই মধ্যে (৬ই এপ্রিল ) গান্ধীজী নয়াদিল্লীতে প্রার্থনা! সভায়, বললেন, স্বাধীনতার পদধ্বনি কানে আসছে

“[0-02 17660010 15 01105170020 ০00 6225.”

পণ্ডিত নেহেরু অবশ্য জিন্নাজীর জবাব দিলেন ৭ই এপ্রিল বিবি সি'র স্পেশাল করেসপণ্ডে্ট ডোনাল্ড এডওয়ার্ডসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে, কিন্ত কিছু নরম স্থুরে “আমার মত হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে কেটে পৃথক মুসলিম জাতি (5 5622150 18970 78000) স্থ্টির ভাবন| উদ্ভট অবাস্তব। তবে জনসাধারণই স্থির করবে। যাঁরা অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত থাকতে চান না তাদের আমি থাকতে বাধ্য করতে চাইনে আমার প্রস্তাব ভারতবর্ধ থেকে বৃটিশ সৈন্য ও. বৃটিশ কর্তৃত্ব অপসারণের পর গণভোট নেওয়া আমার দৃঢ় প্রত্যয় যে, মুসলিম জনসাধারণ আসল অবস্থাটা জানতে পারলে আমাদের ছাড়তে চাইবে না তবু যদি তারা যাওয়াই স্থির করে, আমি তাঁদের ঘেভাবে খুশী কাজ করতে দেব। আমি মনে করি তারা শিগগিরই বৃঝতে,

5৬৬

পারবে তারা দীর্ঘকাল পৃথকভাবে চলতে পারে না, তখন তার! ফিরে আসবে |”

সত্য, এই হ'চ্ছে আমাদের রাজনৈতিক প্রবক্তাদের আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনীতির জ্ঞান। যে-কোন দেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পেলে আন্তর্জীতিক ক্ষেত্রেই তার সখ্য যাচনার হিড়িক পড়ে যায়। পাকিস্থান সম্পর্কেও ভারতীয় নেতৃবৃন্দ এই মিথ্যা স্তোকবাক্যে ভারতীয় নির্বোধ জনসাধারণকে ঘুম পাড়িয়ে ছিলেন ; কিন্তু আজ ? আজ তার আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও. স্বীকৃতি লিভায়েখান ভারতকে সর্বদাই উৎকষ্ঠিত করে রেখেছে

গান্ধীজীর তৃতীয় পক্ষ

গান্ধীজী ৯ই এপ্রিল নয়াদিল্লীতে এই উক্তি করলেন যে, পাকিস্থান প্রশ্নে কংগ্রেস-মুসলিম লীগ যদি কোন সমাধানে না পৌছোতে পারে তবে সমগ্র প্রশ্নটি এক আন্তর্জাতিক ট্রাইবিউনালে দেওয়া যেতে পারে।

দেখ, সত্য, আমরা প্রতিনিয়ত ব'লে চলেছি তৃতীয় পক্ষই যত অনর্থের মূল, তৃতীয় পক্ষ অপসারিত হোক, আমর! ভাইয়ে ভাইয়ে গলাগলি ক'রে থাকব কিন্তু দেখ, তৃতীয় পক্ষের ওপর কি অপরিমেয় বিশ্বাস ! কম্যুনাল এওয়ার্ডে দেখেছ তার ফল। ছু'চেো৷ গেল৷ ! তারপর ইতিহাসে এগিয়ে গেলে আরও দেখবে, কাশ্মীর বনাম ইউ. এন, ও, বাগে এওয়ার্ড, কচ্ছ এওয়ার্ড ইত্যাদি

আপাততঃ গান্ধীজী গেলেন বড়লাট ভবনে যেদিন এই উক্তি করলেন সেদিনই | কৃম্যাগ্ডার-ইন-চিফ জেনারেল অকিনলেকের সঙ্গে দেখা করলেন। বড়লাটের সঙ্গেও

কিন্তু দেখাসাক্ষাৎ বৃথ! ; ভারতীয় নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই পাকিস্থানের চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়েছেন। নেহরুর মতো জর্দার প্যাটেল লগ্ডন “ডেলী ওয়ার্কার”-এর রজনী পাম দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেন 2

“কংগ্রেসের কথা হচ্ছে যে, লীগ যদি মনে করে মুসলিম সম্প্রদায় যেভাবে চায় সেভাবে তার বিকাশ হচ্ছে না, কংগ্রেস তবে প্রদেশগুলোর

৪৬৭.

এমন ভারে পুনর্ব্টনে রাজী আছে যাতে তারা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে পূর্ণতম স্বায়ওশাসন পেতে পারেন--তবে সাধারণ স্বার্থের কয়েকটি বিষয়ে এক নীতি হুবে।”

আলোচনার তৃতীয় পর্যায়

এইভাবে, মিশনের মতে, সমঝৌতার আলোচনা তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করল। মিশন সববার কথা শুনেছেন; এবার একট কাঠামে। ঈাড় করানো, অতএব, গুপ করার পালা” |

অথবা, সত্য, ছাগশিশুর বলিদান স্থির ; এখন শুধু মাথাটা ্যাজাটা নিয়ে বাটোয়ারার কৌদল।

১২ই এপ্রিল কংগ্রেস ওয়াঞ্িং কমিটি বা “কংগ্রেস ক্যাবিনেটের” বৈঠক বসল দেখা গেল, অনেকেই পাকিস্থান কম বেশী গিলে ফেলেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোর পুনবিস্তাস ক'রে একটা সীমান্ত-কমিশন গঠনের দিকেও এগিয়েছেন। কিন্তু একটু কৌদলের জেদ রইল একটা কেন্দ্রীয়সং-স্থার কয়েকটি কর্তব্য নিয়ে। আর থাকল সেই সর্বনেশে মিথ্যা সিকিউলার তত্ব যে, অধিবাসী অদল- বদল নয়

এদিকে বিলেত থেকে ১৪ই এপ্রিল শমন এল £ যে-কোন মূল্যে ফয়সালা একটা ক'রেই ফিরতে হবে মিশনকে

সঙ্গে সঙ্গে তড়িৎগতি অন্ধ তৎপরতা বেড়ে গেল সব মহলেই

বহুকথা ( আহা) কত কথা !) মন্থনের পর কথাসরিংসাগরে এই ফেনপুঞ্জ ভাসতে লাগল £ (৯) ছুটি বা তারও বেশী সার্বভৌমাধিকার- সম্পন্ন ফেডারেশন হবে; (২) এই ফেডারেশনগুলো! স্বেচ্ছায় একট৷ কনফেডারেশনের মধ্যে আসবে, তাদের চূড়ায় থাকবে একটা টিলেঢালা কেন্দ্র; (৩) এই চূড়া বা কেন্দ্রের ওপর হ্থস্ত থাকবে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, কাষ্টমস, পরিবহন ; (8) এর কোন আইন সভা থাকবে না, শ্রেক প্রশাসনিক; (6) প্রশাসনে সব কনফেডারেশনের সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে

২9৮

আজাদ বললেন, না, প্রথম হ'ল, পূর্ণ স্বাধীনতা ; দ্বিতীয়, . অখণ্ড ভারত ; তৃতীয়, পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিয়ে এক ফেডারেশন ; চতুর্থ, কেন্দ্রের ছুটো তালিকা, একটি আবশ্তঠিক, আর একটি এঁচ্ছিক।

তুমি লক্ষ্য করেছ নিশ্চয়ই; সত্য, যে, এই এতবড় দেশে যে-হিন্দুর আধিপত্যে লীগের আপত্তি আশঙ্কা, সেই হিন্দু বা হিন্দুমহাসভার অস্তিত্ব পর্ধস্ত নেই এই দীর্ঘকালীন সংলাপে

মিশন গেলেন শ্রীনগরে ১৯এ এপ্রিল।

তুমি আরও লক্ষ্য করবে, সত্য, এক জিন্না ছাঁড়া, ব্যাপারটা যতই এগোচ্ছে আর সবার ভেতর ততই একট চেপে ষাওয়ার অথবা অবান্তর কথা কওয়ার তৎপরতা চলেছে ১৭ই এপ্রিল ভারত সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গান্ধীজী অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কিছু বলতে রাজী হলেন না। রাজনৈতিক রঙমঞ্চের অন্যতম মুখ্যনট পণ্ডিত নেহরু কৌতূহলী জনতার উদ্দেশে ধাধা রাখলেন যবনিকা উঠছে মহানাটকের £

“০0151015৮০1 9001 1116] £০ 0 010 0) 09] ৪.০ 01 (06 61628 01219. 01 56108519 60] 17061617067)09.৮

মিশন বড়লাটের মিলন বৈঠক হ'ল, বৈঠক হ'ল কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির ২৫এ এপ্রিল। মিশন-বড়লাট সাক্ষাতের পর স্কার স্ট্যাফোর্ড গেলেন আজাদ আর গান্ধীজীর কাছে পৃথক পৃথক ভাবে। ২৭এ এপ্রিল মিশন গেলেন আজাদ জিন্নার কাছে একট৷ মীমাংসা সাধনের উদ্দেশ্যে এক ত্রিপক্ষীয় যুগ্নসম্মেলনে অংশ নেবার জন্য প্রতিনিধি মনোনয়নের অনুরোধ নিয়ে

ব্যাপারটা যখন মোটামুটি স্থির, তখন সর্দার প্যাটেল ঢাকা বিশ্ব- বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডি, এন, ব্যানার কাছে এক জবাবী চিঠিতে মিথ্যা। আশ্বীস দিলেন বাংলাকে “আপনাকে আমি এই আশ্বাস, দিতে পারি যে, আমর! এক বিষয়ে এক, অর্থাৎ কংগ্রেস সমগ্রভাৰে ভারতীয় এঁক্যের পক্ষপাতী এবং আপনার .আশঙ্কা- মতো৷ কোন বিভাজনে কংগ্রেস রাজি হতে পারে না একটা প্রদেশের

৪৬৯.

সমষ্টিগত ইচ্ছা কংগ্রেস কি ক'রে উপেক্ষা করতে পারে? কার্জন 'তা পারে, কংগ্রেসের মত গণতান্ত্রিক সংস্থা তা৷ পারে না

4 08720002809 2৮ 090৮ 100 0:6110019,510 07620188610 1106 075 ০00216555. 300 6৮10 7821 14010 008201) 010 আও 01700107607 8610881 220 1 ০010 02 89916 10 9617698) £0 89567 165 11] 9£9.11)51 805 8.666000 1০ 16068 9001) & 1011 97 200 0000121 02581015801028. (অঃ বাঃ পঃ ২৮এ এপ্রিল )

মিশন-প্রস্তাবিত ত্রিপক্ষীয় বা যুগ্নসম্মেলনের জন্ত কংগ্রেস ওয়াফিং কমিটি প্রেসিডেট আজাদকে আর তিনজন সদন্ত সঙ্গে নেবার অধিকার দিল; মুসলিম-লীগ কাউন্সিলও প্রেসিডেন্ট জিন্নাকে তিনজম সদস্ত

সঙ্গে নেবার অধিকার দিল।

সিমল। বৈঠক

ঘূর্ণীয়মান মঞ্চ দিল্লী থেকে সিমলায় এসে স্থির হ'ল।

ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ওপর অকম্মাৎ যবনিকা পড়ল আর শ্রীণরুমের কোনে কোনে গুচ্ছ গুচ্ছ নেতার ফিসফিসানি চলল গান্ীজী বড়লাটের সঙ্গেও মিশনের দেখা করলেন, পণ্ডিত নেহরু আজাদও মিনিট পঁচিশেক রইলেন বড়লাট ভবনে নেহরু এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে, আবছুল গফফর খান পায়ে হেঁটে পাছছুয়ার দিয়ে। একই সময়ে গান্ধীজী যখন স্যার স্যাফোর্ডের সঙ্গে কথ! কইছেন তখন জিম্নাজী কথা কইছিলেন বড়লাটের সঙ্গে মৌলানা আজাদ, পণ্ডিত নেহরু, সর্ধার প্যাটেলও বড়লাটের সঙ্গে একঘণ্টা দেড়ঘণ্টা ধরে আলাপ করলেন কথাবার্তা এতই গোপন যে, মৌলান! কিছু ভাঙতে চাইলেন না।

এসর কথাবার্তার কৌতুককর দিকটার ওপর মসলে ভারী চমতকার আলে! ফেলেছেন। একদিকে ভারতীয় নেতৃবৃন্দ কথা কইতে স্থুরু করলে থামতে জানেন না, অন্য দিকে বড়লাট ওয়াভেল একেবারেই কম কথার মানুষ “7 ৫1৫ 201 [707 1901 60 021 ' অপর পক্ষের অনর্গল কথার কোথাও বিরতি ঘটলে বলতেন €] 5০০. 00 5০০৮ শুধু অবস্থাটা বোঝাঁবার জন্তই এই সব কথাবার্তা বলতে

পি

হুয়, নইলে শেষ পরিণামের দিক থেকে এসব যে নিছক “ক্যাচমেচি” “একথাটা বোঝাবার জন্যই মসলে বলেছেন

“5০ 20001) 01 006 106116 90591901106, 00 11061905 ৪6060, (16 01888010005 ০৫ 90176£7555, 1116 102001151)7659 01101790), 006 ০1900 1069115) ০0৫6 08001) 190 100 22)076 66০ 01) ৮0০ 5591008] ০900007006 (1)2) 006 0082661 0৫ 1)1109 17) £, 00100062510100,%

জিন্নাজী একজন বিশেষ বাহক মারফৎ লর্ড পেখিক লরেন্সকে “একখানি চিঠি পাঠালেন বৃটিশ সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা স্তার কনরাড কর্ণফিল্ড এসে পৌছোলেন সিমলায় ; সব মিলিয়ে অনুমানের সার হ'ল যে, আলোচনার মূল কথ! কেন্দ্রীয় ইন্টারিম সরকার গঠন পত্রিকায় ৯ই মে সাতকলামব্যাপী খবর বড়লাট পরিষদ সদন্তাদের পদত্যাগ ইণ্টারিম গবর্ণমেন্টের পথ পরিষ্ষার--এই খবরে অনুমান

ঘনীভূত হ'ল। দীর্ঘ অদর্শনের পর

এদিকে যে ত্রিপঙ্ষীয় বৈঠক চলছিল তার একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হ'ল জিন্না-নেহরুর মধ্যে মসলের সতে এ'রা ছু'জন কেউ কাউকে দেখতে পারতেন না জিন্না সম্পর্কে নেহরুর এমন বহু উক্তি মসলে লিপিবদ্ধ করেছেন যা আদৌ পগুণ-বাচক' নয়। ১৯৩৯এ একবার ছু'জন বসেছিলেন বৈঠকে, খানাও খেয়েছিলেন, তারপর সাত বছর পর এই প্রথম। আজাদের বদলে নেহরু হয়েছেন কংগ্রেস প্রেসিডেণ্ট |

কিন্তু উল্লেখযোগ্য, সত্য, খুবই উল্লেযোগ্য যে, লগ্ুনের এক খবরে প্রকাশ পেল, ভারতে বৃটিশ কারবারীর! এই প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন যে, ভারত সরকার অথবা! সংবিধানের যাই পরিবর্তন হোক না কেন তাদের স্বার্থ কোন রকমেও ক্ষু্ন হবে না৷ ক্ষমতা হস্তান্তর যদি স্থির হয়ে যায় তবে ভারত-বৃটিশ চুক্তিপত্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই একটি ধারা থাকবে। তখন ভারতে বৃটিশ মূলধনের পরিমাণ ছিল ২৪০১০০০১০০০ পাউগড।

৯০ই মে সিমলাতে আর একটি একাঙ্ক নাটক হ'ল মুসলিম লীগ

৪৭৯

ওয়াফিং কমিটির বৈঠক ; জিন্নাজী কক্ষে প্রবেশোগ্ঠিত ; নেহরুর সেক্রেটারী উপাধ্যায়ের প্রবেশ ; জিন্নাজীর হাতে একখানি পত্র অর্পণ ১৬৫ মিনিট ধরে লীগ বৈঠক। জিন্নাজীর চিঠি নেহরুজীর হাতে অর্পণ ১১ই মে জিন্না-নেহরু বৈঠক | নিষ্ষলং। মিশন-হোয়াইট হ'ল যোগ তারপর পত্রিকার সাত-কলাম ব্যানার লাইন £ ত্রিপক্ষীয় সম্মেলন ব্যর্থ

একটু উত্তেজনা হয়েছিল কংগ্রেস লীগ সমর্থকেরা মল-এ কংগ্রেসী পাকিস্থানী ধ্বনি দিয়ে ফেরে ; আজাদ নেহরুর, পেছনে পেছনে এক বিরাট জনতা যায় আর ধ্বনি দিতে থাকে “রিটিটের' অলিন্দে দাড়িয়ে নেহরু বললেন, সম্মেলন শেষ। |

পুলিশীব্যবস্থা করতে হয়েছিল

এখন শুধু ইপ্টারিম গব্ণমে্টের সুত্রটি চিন অকন্মাৎ আবার এক সাত-কলামের শিরোনাম! বেরোলে! ভারতীয় ইউনিয়ান £ পাকিস্থান নয় ক্যাবিনেট মিশনের স্থপারিশ £ অবিলম্বে মধ্যবর্তা- কালীন গবর্ণমেন্ট গঠন £ ভবিষৎ সংবিধানের ছয়দফ। প্রস্তাব

ক্যাবিনেট মিশনের স্থপারিশ

একই সঙ্গে ভারতের বড়লাট বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট মিশনের শ্রপারিশ ঘোষণা করলেন £

(৯) বৃটিশ ভারত দেশীয় রাজ্যগুলো নিয়ে ভারতীয় ইউনিয়ান ; তার এক্কিয়ার হবে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ-পরিবহন ; এবং এই উদ্দেশ্যে অর্থজোগান

(২) ইউনিয়ানে থাকবে প্রশাসন বিভাগ বিধানসভা | তাতে থাকবে বৃটিশ ভারত দেশীয় রাজ্যের প্রতিনিধি আইনসভায় কোন রকমের সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন এলে তার সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থিত প্রতিনিধিদের সংখ্যাধিক্য দরকার হবে; দরকার হবে ছুটি প্রধান সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটির ভোটিং উপস্থিত সকল সদস্তের সংখ্যাধিকা ভোটিং। .

৭২

(৩) ইউনিয়ান বিষয় ছাড় অন্যান্য অবশিষ্ট বিষয় প্রদেশগুলোর এক্তিয়ারভুক্ত হবে

(৪) ইউনিয়নের এক্তিয়ারভুক্ত অন্য সব বিষয়ই দেশীয় রাজ্যগুলোর থাকবে

(৫) প্রদেশগুলে৷ ইচ্ছে করলে প্রশাসন বিভাগ বিধানসভা নিয়ে গ্রপ গঠন করতে পারবে ; কোন্‌ কোন্‌ প্রাদেশিক বিষয় সাধারণ বলে গণ্য হবে প্রত্যেকটি গ্রুপ তাঁও স্থির করতে পারবে

(৬) ইউনিয়ান গ্রপ-সংবিধানে এমন একটি বিধান থাকবে যে বিধানবলে প্রথম দশ বছর পর, তারপর দশ বছর পর পর যেকোন প্রাদেশিক বিধানসভ! সংবিধানের বিধানাবলী পুনরিচার করতে পারবে

মিশন লীগের ছটো প্রস্তাবই ভেবে দেখেছেন ; একটি ছটি প্রদেশ নিয়ে পৃথক সার্বভৌম পাকিস্থান রাষ্ট্র, দ্বিতীয়টি শুধুমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে একটি ক্ষুদ্রতর সার্বভৌম পাকিস্থান রাষ্ট্র। প্রথমটি তারা সুপারিশ করতে পারছেন না; কেননা, এর মধ্যে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ৩৭.৯৩ শতাংশ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৪৮.৩১ শতাংশ অমুসলমান অধিবাসী এসে যাচ্ছে দ্বিতীয়টি স্থপারিশ করতে না পারার কারণ ওটি অবাস্তব; এতে বাদ পড়েছে পাঞ্জাবের সমগ্র আন্বালা জলমন্ধর ডিভিসান, শ্রীহট বাদে সমগ্র আসাম কলকাতাসহ পশ্চিম- বাংলার অনেকখানি মিশনের বিশ্বাস যে, পাঞ্জাব বঙ্গবিভাগ এক বিরাট সংখ্যক অধিবাসীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হবে; আর, পাঞ্জাবের বিভাজন অর্থ শিখদেরও বিভাজন অন্যান্ত প্রশাসনিক, অর্থ- নৈতিক সামরিক কারণও আছে। স্থতরাং মিশন বুটিশ সরকারের কাছে ছুটি সর্বতোভাবে পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্রগঠনের সুপারিশ করতে পারেন নি।

গা্ীজী এই ঘোষণাকে বললেন 25050 0009096770905 000৩ 17) 00৩ 11501 ০£ [0418 আর চিল বললেন, 11613000017 [০০024 (আঃ বাঃ পঃ) ১৭ই মে, ১৯৪৬)

এ!

এওয়ার্ড নয়, স্থপারিশ

লর্ড পেখিক লরেন্স বললেন, এটি এওয়ার্ড নয়, এটি সুপারিশ ; ভারতীয় প্রতিনিধিদের ডেকে তাঁদের মনোমত সংবিধান রচনার হচ্ছে ভিৎ, চাপিয়ে দেওয়। বা পুলিশ নিয়োগ করার কথাই ওঠে না। জিন্নাজী ছুঃখ প্রকাশ করলেন যে, তীর পাকিস্থান দাবী গ্রাহ করেননি মিশন ; “কিন্ত আমাদের মতে একমাত্র সমাধান 1” হানার শব্দ সম্বলিত এক বিবৃতি দ্রিলেন। বড়লাট লর্ড ওয়াভেল মধ্যবর্তাকালীন গবর্ণমে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে খুবই ব্যগ্রতা প্রকাশ করলেন। এই গবর্ণমেন্ট বড়লাট ছাড়া আর সবাই ভারতীয় হবেন সত্য, আপাতত; ছুটে! জিনিস মাথায় রেখে আমাদের এগোতে হবে ; একটি হচ্ছে, ভারতের ভবিষ্যৎ মধ্যবর্তী সরকার বা ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট ; একটি দীর্ঘমেয়াদী, আর একটি স্বপ্লমেয়াদী বা আশু এই ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট সম্পর্কে কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি সমসংখ্যক হিন্দু-মুসলিম প্রতিনিধিত্বে রাজী হল না; আর, চূড়ান্ত কথা না বলে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব সম্পর্কে হাজার শব্দের এক প্রস্তাৰ নিল ২৪এ মে। কিন্তু গান্ধীজী প্রথমে মিশনের প্রস্তাবকে বললেন, "শ্রেষ্ঠ দলিল' পরে সরকারী ব্যাখ্য! শুনে বললেন, তবে তো “ছুর্লক্ষণ' ! ২৬এ বললেন £ 44200] 00000555০01 9621011 6১900177810101) ০: 006 5026 08067 155760 1১7: 08101009% 71155101) 8100 6176 ড1০6105 01) 10609] 01 0116 13116151) 05610017061) 177 90195106100

27019065 (1)2 16 15 00৩ 1965% 000011761 1116 13210151) 0০010. 108৮6 7:০00006৫] 17 00)6 015001015681)065.%

অথচ তিনি এটিকে কার্ধতঃ 4:001559 01০৮” বলে সেভাবেই ওটি গ্রহণ করতে বললেন পরে খরা জুন বললেন

প[1)11105102115 200. 25 1669115 117৬01701660) 006 506 298 56675 60 1276 65 06 ৪& 018৮6 2700 (02170 00001008,

৪৭৪

55510616555 096 0250121 273151001565000, জা 081 20587 €০ 05 01667606020 009 6008187. 161 25 5০0 200 01658113, 1 ৮711] 05 ৪, 92৫ 01080 |

আর তার প্রার্থনাসভায় নেহরু সম্পর্কে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে, বললেন

“পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু যে অপরিমেয় কাজ করে চলেছেন তার কথা গতকাল উল্লেখ করেছি। আমি তাকে মুকুটহীন, রাজা বলে অভিহিত করছি।

“5 ০827771061706 19019060 (০-89 10115 00216 195 1081736 (2101) 1701) 20811517171), 176, & নু2া০৬ 109৮, & 0817001059 015800966 2100 ৪. 72:015691, 15 2050 6০ 58117 00 1166061201009 ৮7161) 11061191) আ)610.%

১৯২৯-৩০-এ তিনি জওহরলালকে যে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তা তোমায় পড়ে শুমিয়েছিলাম এখন আবার শুনলে আজকালকার “ইংরাজী হটাও"-ওয়ালাদের এবং স্বয়ং গান্বীজীরই হিন্দীর ওপর জোর জেদ মনে রেখে সার্টিফিকেটটা৷ পড়তে বেশ একটা বিশেষ স্বাদ পাওয়! যায়, তাই না, সত্য?

এদিকে মধ্যবীকালীন গবর্ণমেণ্ট সম্পর্কে কয়েকটি কথা বুঝে নেবার জন্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট আজাদ বড়লাটকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার জবাব পেলেন

যুসলিম লীগের সম্মতি

মিশনের দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব ৬ই জুন মুসলিম লীগ কয়েকটি সর্তে মেনে নিল; উল্লেখ থাকল যে, প্রদেশ বা গ্রুপের ইউনিয়ান থেকে বিচ্ছিন্ন হবার অধিকার থাকবে ; আর সংবিধান সম্পর্কেও চূড়ান্ত মত প্রকাশ করা হবে সংবিধান কি আকার নেয় তা দেখে

গ্রুপ বা গ্রপিংটা কি?

হ্যা, মুসলিম দাবীর দিকে তাকিয়ে এই তিন ভাগে ভারতবর্ষের সব প্রদেশকে ভাগ কর! হয়েছে; এর মধ্যে আর হচ্ছে 'মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর-পশ্চিম প্রদেশগুলে! এবং বাংলা আসাম

৪৭

হচ্ছে ছ'টি হিন্দু প্রধান প্রদেশ খ'র সঙ্গে বুটিশ বেলুচিস্তানকে যোগ করলে কার্ধতঃ সংখ্যাসাম্য দীড়ায়। এখন এই যে তিনটি গ্রুপ এর গ্রুপতুক্ত প্রদেশগুলোর সংবিধান রচনা! করবে কিনা, করলে কি কি বিষয় নিয়ে করবে ঠিক হবে প্রথম নির্বাচনের পর প্রাদেশিক বিধানসভাগুলো গঠিত হ'লে, প্রদেশগুলোর প্রত্যেকটির স্ব স্ব বিধানসভার সিদ্ধান্ত মতো গ্রপ-বহির্ভূতি হবার অধিকার থাকবে অর্থাৎ গ্রপিংটা! মিশনের ফর্মুলা মতো মেনে নিতেই হবে ; তারপর গ্রপ-সংবিধান গ্রপ-শরিকদের ইচ্ছাধীন। এর পর এই সব গ্র,প-শরিকদের ২৯ জন প্রতিনিধি দেশীয় রাজ্যের ৯৩ জন প্রতিনিধি পুনগিলিত হবেন ইউনিয়ান সংবিধান রচনায়

মুসলিম লীগ ওয়াকিং কমিটির অন্যতম সদস্য আবছুর রৰ নিস্তার খুশী হয়ে বলেছিলেন, ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাব পাকিস্থান রাষ্ট্রের ভিতপ্রস্তর স্থাপন করেছে সংশয়ীদের উদ্দেশে স্বয়ং জিন্না গর্জে উঠে বললেন আমি কি ১৯৪২এ ক্রিপস প্রস্তাব আর ১৯৪৫এ ওয়াভেল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে বলিনি? আমি কেন এখন মিশন-প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলছি? আমার কি মতি পরিবর্তন হয়েছে? কেন আমি করতে বলছি? বলছি এজন্য যে, এই পরিকল্পনায় পাকিস্থানের ভিং আছে। বিনা রক্তপাতেই আমরা পাকিস্থানের প্রথম কিস্তি পেলাম

কংগ্রেসও ঝু'ঁকেছিল এদিকেই, একটুকু আপত্তি সংখ্যাসাম্যে। কিসের ভিত্তিতে যে এই প্রস্তাব হ'ল বোঝা মুস্কিল ; মুসলমানদের সংখ্যা সাঁপটে ধরলেও পাঁচ কোটি ; হিন্দুসহ ৩০ কোটি অমুসলমান সেখানে সম-প্রতিনিধিত্ব কিসের জোরে? জিল্নারই জেদে কিছুদিন আগে যে নির্বাচন হয় তাতে দেখা গেল, জিন্না যে পাঁচটি প্রদেশ নিয়ে পাকিস্থান করতে চেয়েছেন তার তিনটিতেই অ-লীগ মন্ত্রিমগ্ুলী বিরাজমান

পত্রিকা সুন্দর একটি সম্পাদকীয় প্রবেন্ধ সম্পর্কে লিখেছেন

402) 21067 102৮5 05169051017 15)60650 18115627) 10106 12৮6 10165060660 26) (9) চা) 098৮6 0:000060 & 1719.011617)811091 0811780]16 10 006 50-081160 10120018, 0? 78711 10 18101

৪৭৬

0156-1000 1095 19991 1702.06 60118] 00 10166-0010 ০0: 10016 ৪,001012619 579680178, ০09-51) 01 €1)6 17)06661 1785 16617 [020৩ 609] £0 €1১6 ৮710015 ; (০) 1065 1১০ 72000990. 016 10019. 09 01৮10111616; 00060 108৮6107906 1105 ০0670:6 25 %/08]. 25 7009551019 1985170600৩ 0০০1: 0161) 101 11১6 11176 ০০ 0৫ 19 216098০6159; (6) 6065 ৪৮৪60311560 01৩ 1990১1৩ 01 [231770815 [1)019..--, 250. 90815; (0) 115 21517051005 [010৮1101055 16001) (0 101) ০0: 00 10 1011) 0106 19200151217 50000 01 3102665,,১.*, 00909 1 001189.607 010 0) 010৮17093 10 10110,” (4.8. 00706 19, 1946 )

কংগ্রেসও সম্মত

এঁদিনই কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি কতগুলো সর্তে স্বল্লমেয়াদী দীর্ঘমেয়াদী ছুটো প্রাস্তাবই মেনে নিতে সম্মত হলেন এবং ১৪ই জুন সন্ধ্যায় তা বড়লাটকে জ্ঞানিয়ে দেওয়া হ'ল

তারিখেই চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল, সত্য

বৃটিশ সরকার অমনি একট। ধাধখর স্থপ্টি করলেন লীগ-কংগ্রেসের মতৈক্য যখন হ'লই না তখন আমরাই ঘোষণা! করছি কাদের নিয়ে মধ্যবতীকালীন সরকার বা ইণ্টারিম গবর্ণমেন্ট হবে 2 সর্ণার বলদেব সিং, স্তার এন. পি. ইঞ্জিনিয়ার, জগজীবন রাম, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, এম. এ. জিন্ন, নবাবজাদ। লিয়াকং আলি খান, হরেকৃষ্ণ মহুতাব, ডঃ জন মাথাই, নবাবজাদ৷ মহম্মদ ইসমাইল খান, খাজা স্তার নাজিমুদ্দিন, সর্দার আবছুর রব নিস্তার, সি. রাজাগোপালাচারি, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ সর্দার বল্পভভাই প্যাটেল ।”

এঁদের ঠিকানায় আমন্ত্রণপত্রও গেল। যদি না আসেন তবে বড়লাট কিন্তু তার মনোমত সরকার গঠন করে ফেলবেন

সত্য, আর কি সেদিন আছে যে, আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান কর! যাবে? নেহরু মসলেকে বলেছিলেন £

“1০ ৬:56 015৫. 0790. 00670608160 0 £০ &০ 1931 86910,”

৪৭৭

কংগ্রেস পুনবিবেচনায় বসল ; ছু'একদিন প্রশ্নটাকে থিতোতে দিল, 'তার পর সম্মতির খবর পত্রিকা লাল কালীর ব্যানারে ছাপলেন। অকন্মাৎ প্রীনগরে নেহরুর গ্রেপ্তারে সামান্য জট ছাড়িয়ে ২৩এ জুন আজাদ-নেহরু-প্যাটেল বড়লাটের সঙ্গে দেখ! করলেন। কিন্তু নতুন জট বাঁধালে! আসাম সে জানালো, বড়লাটের অফিস থেকে স্পীকার এই মর্মে চিঠি পেয়েছেন যে, ১৬ই মে তারিখের মিশনপ্রস্তাবের গ্রপিং সকরন্ত ১৯ ধারা না মেনে নিলে কেউ সংবিধান পরিষদের নিলা প্রার্থী হতে পারবেন না।

ব্যস, গেল মোড় ঘুরে ; ২৪-এ জুন বড়লাটকে লন দেওয়া হ'ল, কংগ্রেস মধ্যবর্তীকালীন সরকারে যাবে না

কিন্তু এর পরেই আর এক চমকপ্রদ ঘটনা 2 “কংগ্রেসের দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব গ্রহণ'__এই হ'ল পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার ব্যানার লাইন। এও বড়লাটকে জানিয়ে দেওয়া হ'ল।

আরও চমক' আছে, সত্য এদিনই পৃষ্ঠায়ই খবর বেরোলো 'লীগের ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট গ্রহণের সিদ্ধান্ত' তারাও বড়লাটকে জানিয়েছেন

«“কেয়ার-টেকার গবর্ণমেণ্ট”

দৃশ্যান্তরে দেখ! গেল রঙ্গমঞ্জে এক তদারকি ভারত-সরকারের আবির্ভাব !

সেকি!

মিশন আর বড়লাট বললেন, কি করা যাবে? কংগ্রেস নিলনা তো লীগ নিল এমন করে তো হয় না, তাই ভারতের এই কাজ চালানো অস্থায়ী সরকার ছুঃখ পেলেম জিন্নাজী আর তার লীগ কেন না, বড়লাট তাকে একান্তে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, মধ্যবর্তাকালীন সরকারে খাকবেন জন কংগ্রেস (হিন্দু) জন লীগ (মুসলমান ) একজন শিখ,

8৭৮

একজন ভারতীয় খ্রষ্টান বা র্যাংলো-ইগ্ডিয়ান। বড়লাট-আজাদ পত্রাবলীতে এটি জানা গেল

কিন্তু তদারকি সরকারে কে কে এলেন? এলেন স্তার র্লড অকিনলেক (যুদ্ধ ), স্যার গুরুনাথ বেয়ুর (বাণিজ্য, কমনওয়েলথ ), স্তার এরিক কোটস ( অর্থ) ক্টার এরিক কনরান স্মিথ (যুদ্ব-পরিবহন ), স্তার রবার্ট হাচিন্স (খাদ্য কৃষি), স্তার আকবর-হায়দরি (শ্রম ইত্যদি ), স্যার জর্জ স্পেন্দস (আইন, শিক্ষা), এ. এ. ওয়াগ (স্বরাষ্ট্র, শিল্প )।

আর উভয়পক্ষ দীর্ঘমেয়াদী সংবিধান পরিষদ গ্রহণ করায় গবর্ণমেণ্ট যখন তাঁর প্রস্ততি কাজে নামলেন তখন মুসলিম লীগ আবার 'প্রত্যক্গ- সংগ্রাম" এর মহড়া স্বর করে দিল আমেদাবাদে রক্তপাতে হ'ল তার প্রস্তাবনা লীগের ক্রীড অহিংস! নয়, তার নেতারা নরঘাতী পদ্ধতিতেই বিশ্বাসী আমেদাবাদে ক্লান্তি দেখা দিলে ঢাকায় হ'ল আরম্ত |

এ. আই. সি. সি. সংবিধান পরিষদ সংক্রান্ত ওয়াকিং কমিটির দিল্লী প্রস্তাব সমর্থন করল ২০৪-৫১ ভোটে

মারাত্মক সাংবাদিক সম্মেলন

পণ্ডিত নেহরু তখন মৌলান৷ আজাদের স্থলাভিষিক্ত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট এবং এই সময়েই লাগল গোলমাল কংগ্রেস প্রেসিডেণ্ট জওহরলালের এক উক্তি নিয়ে ; বোন্বের এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই উক্তি করেছিলেন এই একটি উক্তিতে কিভাবে ভারত-ইতিহাসের গতিমুখ ঘুরে গেল, মৌলানা আজাদ ব্বয়ং এবং লিওনার্ড মসলে তার বিবরণ দিয়েছেন, আমার খাতার পাতায়ও ত৷ লিপিবদ্ধ আছে। নেহরু এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন কংগ্রেস কোন রকম বাধ্যবাধকতা স্বীকার না করেই সংবিধান পরিষদে যাচ্ছে কয়েকটি কর্মপদ্ধতিতে সম্মত হয়েছি, সত্যি কথা, কিন্তু কি করব তা৷ আমাদের ইচ্ছাধীন।

৪0050008655 ০০1০ 06 059 0005000970৮ 855620015 00200156615 00015666150. 65 56055006065, 1106 আও 8£7:80

৪9৭৯

067211) [100900168 :০7 £0806 1170 5৮, 90 6 216 8৪050106915 1165 £০0৪.০৮.৮

মসলে যথার্থই বলেছেন £ এই একট! সন্ধিক্ষণ যখন নীরবতায়ই অনেক কিছু লাভ করা যেত। ভারতের নিয়তি তখন ছুলছে, একটু ভুল হাওয়ার দোলে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কিন্তু নেহরু এই সময়টাই বেছে নিলেন তার অগ্নিগর্ভ প্ররোচনামূলক উক্তি করার সময়

“] 29 2, 07001007606 20 17191010 1067 07021936000) 91010 178. 05610 €1)6 01061 01 06 020. ]00915 5 1000 10০ 09 £৪1560 5112006. 77116 10:001083 01 [0019 616: 15 (16 02181706, 250 0856 18156 17105 ০0010 01396 01010. 610 ০1056 1715 [0077616 00 18201)01) 11160 ৬1). 1)15 01061901961 111010961, 1371601)61, 1)95 095011060. ৪5 0176 01 11) 17005 967 ৪110 [070৮0026156 56206100175 17) 1015 1011 76215 ০1 [00110 1166.৮

সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিরা ; প্রথমে তা নবাবজাদ! লিয়াকং আলির মুখেঃ পরে জিন্নাজীর মুখে ; তারা মিশন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর থেকে সুরু করলেন সোজা মার পাকিস্থান আদায়ের জন্য

নেহরু যা বলেছিলেন তার মর্মার্থ হচ্ছে, যে-মিশন-প্রস্তাব কংগ্রেস লীগ গ্রহণ করেছে তার খোল নলচে তারা ব্দলে দিতে পারবেন, দেবেন। কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিপ্রায় প্ল্যান বদলে দেওয়া। “যেদিক থেকেই দেখি না কেন, গ্রুপিং হবার সম্ভাবনা নেই। “ক” মানে, হিন্দুরা এর বিরোধিতা করবেন; উত্তর পশ্চিম-সীমান্ত “প্রদেশের বিরোধিতার সম্ভাবনা খুবই বেশী। গেল খ। খুব সম্ভব বাংলা, আনামও বিরোধিতা করবে। কাজেই দেখছেন, গ্রপিং ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে দাড়াচ্ছে ?”

নেহরুর সাবোতাজ

মসলে বলেছেন £ এই অবস্থায় নেহরুর মন্তব্য সাবোতাজের কাজ করেছে 'নেহরুর জীবনীকার বলেছেন

8৮০

10081) 25 6162 £0001010812016, 508 €০ 701555 20016 00615 07 72101520 010 106 £:00:705 ০01 000£685 “405 12101)5.”

নেহরুর এই উক্তির ফল হ'ল বিষময়। লিয়াকৎ আলি বললেন, অবস্থাটা যদি পরিষ্কার করা না হয় তবে মুসলিম লীগের পক্ষে সংবিধান পরিষদে যোগ দেওয়া আত্মহত্যার সামিল হবে। মুসলিম লীগ যোগ না দিলেও যদি তা চলে তবে ক্ষমতা হস্তান্তর শান্তিপূর্ণ হবে না-_-এ আমি বলতে পারি মুসলমানের! নতশিরে অবস্থা মেনে নেবেন না

জিন্নাজী ১৩ই জুলাই বললেন £ যেভিত্তির ওপর মিশনের দীর্ঘ- 'মেয়াদী প্রস্তাব, জওহরলাল তাই অস্বীকার.করেছেন

“[6810016 ি61)005 10610766560 01 0106 091067555 2০০612910০6 01 09 ০991061 0115901015 11019995218 1819 16 19 2, ০0100101519 11901861010 01 01706 08510 6010) 010012 ৮/1)101) 6116 109108-651078 501)67716 71555 800 21] 15 101)0917)6101215 2100. 1917005 200 091158.610105 2100. 7151)5 01 10216165 20061001176 (106 501)6006.%

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তার বইয়ে লিখেছেন £ “আমি একথা লিপিবদ্ধ করতে চাই যে, জওহরলালের বিবৃতি অসঙ্গত। একথা ঠিক নয় যে, কংগ্রেস ইচ্ছেমত প্ল্যান বদলাতে পারে পক্ষান্তরে, আমরা মেনে নিয়েছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার হবে ফেডারাল। তার এক্তিয়ারে তিনটি আবশ্যিক বিষয় থাকবে, বাকী যাবে প্রাদেশিক এক্তিয়ারে। আমর! আরও মেনে নিয়েছি যে, তিনটি সেকসান হবে, যথা, খগ; প্রদেশগুলো এরই মধ্যে গ্রপতুক্ত হবে। অন্যান্য পক্ষের সম্মতি ছাড়া কংগ্রেস এককভাবে এর কিছু পরিবর্তন করতে পারে না।

“আপোষ-আলোচনার ফলাফলে জিন্নাজী সখী হন নি, কিন্তু কোনো বিকল্প ছিল ন! বলে মেনে নিয়েছিলেন জওহরলালের বিবৃতি তার কাছে বোম! বিস্ফোরণ বলে প্রতীয়মান হ'ল | তিনি তক্ষুণি এক বিবৃতি- যোগে জানালেন যে কগ্রেস প্রেসিভে্টের বিবৃতির পর অবস্থাটার পুনধিচার দরকার তিনি লিয়াকৎকে লীগ কাঁউদ্সিলের এক সভা ডাকতে

৪৮৬ স্বাধীনতা--৩১

বলে বিবৃতিতে বললেন, কংগ্রেস ক্যাবিনেট মিশন প্ল্যান গ্রহণ করেছে বলে তাদের আশ্বাস দেওয়া হলেই মুসলিম লীগ কাউন্সিল তা গ্রহণ করে। এখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেহ্ছেন যে, কনগ্িটিউয়েপ্ট এসেম্বলিতে সংখ্যাধিক্যবলে কংগ্রেস .এ পরিকল্পনার পরিবর্তন সাধন করতে পারবে ; এর অর্থ যে, সংখ্যালঘুর! সংখ্যাগুরুর কৃপানির্ভর হবে। জিন্নাজীর মতে জও্হরলালের ঘোষণার মানে এই দীড়ায় যে, কংগ্রেস ক্যাবিনেট মিশন-প্ল্যান অগ্রাহা করেছে ; স্ুত্তরাং বড়লাটের কর্তব্য হকে যে-লীগ মিশন প্ল্যান গ্রহণ করেছে তাকে বদরন্ট গঠনে আহ্বান্‌কর কিন্তু এখানেই শেষ নয় মস্লে বলেছেন

[106 00105600675095 01 11) 61010 5১6০০ ৮৮16 79101010100, 2100 02510.”

মৌলানা! আজাদ লিখেছেন

“]9.2112119015 72015099110) 1937 1720 ০661) 2.0. 81)0051). [1006 1015651090৫ 1946 0:০৮ ৪৮610170019 005].

যুসলিম লীগের পিস্তল

২৭ জুলাই মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সভা হ'ল। মিশন পরিকল্পনা সমর্থন প্রত্যাত হ'ল ২৯-এ জুলাই পাকিস্থান দাবীটির পুনরাবৃত্তি করে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের পথ স্থির করা হ'ল এবং দিন স্থির হ'ল ১৬ই আগস্ট আজাদ তার অধ্যায়ের শিরোনাম। দিয়েছেন “দেশ বিভাগের প্রস্তাবনা” |

স্যার ফিরোজ খা নুন বললেন 2 “আমাদের দিক থেকে ইংরাজ হিন্দু এদের একজনের সঙ্গে লড়াই করাই ভালো কংগ্রেস ইংরাজদের তাড়াক আমর! তখন দেখাব কংগ্রেসের সঙ্গে কেমন করে লড়াই করতে হয় |?

জিম্নাজী বললেন, আমরা আমাদের যথাসাধ্য করেছি। এরপর ইংরাজদের বা কংগ্রেসের কর্তব্য তিনি বডলাটের পত্র পেয়েছেন, কিন্তু কি তা ভাঙলেন না

৪৮২

এদিকে খবর রটল, বিলেত থেকে কড়া নির্দেশ এসেছে ১৫ই- আগস্টের মধ্যে ইন্টারিম গবর্ণমেপ্ট গঠন করতেই হবে। গাশ্ধীজী ৯ই আগস্ট “আগস্ট বিপ্লব দিবস” পালন নিষিদ্ধ করলেন।” কংগ্রেসের সংবিধান পরিষদ যাওয়াই যেখানে স্থিত্ন সেখানে অন্থুকুল' আবহাওয়া রাখতে হবে | ওয়াধাতে তাই ১০ই আগস্ট এক সভায় ওয়ার্কিং কমিটি সখেদে- জওহরলালের উক্তিকে “তরলীকৃত” করার জন্ত এক প্রস্তাব নিলেন ; কিন্তু জিন্নার অবিশ্বাস দূর কর! গেল না তিনি বললেন, জওহরলালের বিবৃতিতে কংগ্রেসের প্রকৃত মানসিকত! উদঘাটিত হয়েছে ইংরাজেরা থাকতে এবং ক্ষমতা হাঁতে না আসতেই ধর এত পরিবর্তন, ইংরাঁজেরা চলে গেলে সখ্যালঘুরা' আর ভরসা পাঁবে কোথায়, কে জানে জওহরলাল আবার একথার পুনরাবৃত্তি করবেন না? স্থুতরাং জিন্নার কথাটিই সত্য হয়ে রইল 2 “11015 09 ৮6 710 £০০০-০৪ 10 ০0075010110179] 177611)005*,,. ০৫99 6 198৮০ 2150 10780 9 71560] 270 216 17) 8, 00911102%: €0 0561. পিস্তলটা যে একান্তভাবে কংগ্রেসকে উপলক্ষ্য করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বুকে টাদমারি করা হ'ল এবিষয়ে কারোই কোন সন্দেহ রইল না।

নেহরুর স্বাধীনত।

কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নেহরু বড়লাটকে চিঠি দিলেন তার চিঠি পেয়ে ; লীগের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলাপ হ'ল বড়লাটের সঙ্গে ; অনেক পত্রালাপ হ'ল দশদিন ধরে সব চিঠির মাথায় থাকল “টপ সিক্রেট” এইটুকু জানা গেল; ইণ্টারিম গবর্ণমেন্ট গঠনের জন্য নাম পাঠাতে বলেছেন বড়লাট। নেহরু ওয়ার্ধার এক জনসভায় ঘোঁষণ। করলেন, “আর এক বছরের মধ্যেই আমরা! স্বাধীন হব নিজস্ব জোরে আর বিশ্ব পরিস্থিতির চাপ বলে।” ব্ড়লাটের ঘোষণা এল £

৪৮৩

“115 50051190005 06 ৬1০2100, 10) 005 20010581 01 1719 809,12515+5 (05610177910 1085 17)%160 0109 77659106107 01 06 (001761655 10 1021:6 0:01005215 101 106 11010601966 019,010 ০1 2) 1175121) 00610010060 800. 016 715510670০0 00৪ €0208655 185 2:0067%60. 0106 27716561017.

জিম্নাজীকে প্রশ্ন কর হলে তিনি বললেন, “বড়লাট কংগ্রেস 'অথবা তার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কি হচ্ছে আমি তার কিছুই জানিনে 1”

নেহরুজী 2 £ ৩-এর ভিত্তিতেই লীগকে ইন্টারিম গবর্ণমেন্টে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানালেন। শিখেরা রাজী হলেন। জিন্নার বাসভবনে, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম সুচনার একদিন আগে, নেহরুজী জিন্নাজীর দেখা করলেন। ৮* মিনিট আলাপের পর জিন্নাজী সাংবাদিকদের কাছে বললেন “পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে আমার আর কোন বৈঠক হবে না”

মসলে তারিখটা ভুল করেছেন, তারিখ ভুল অবশ্য আজাদের বইয়েও আছে। মসলে বললেন, নেহরু জিন্নার সঙ্গে ১৬ই তারিখ সকালে দেখা করেন বড়লাটের তাগিদে পড়ে আসলে ১৬ই তারিখে কলকাতায়

'যখন প্রত্যক্ষ সংগ্রামের নামে স্তরাবর্দীর গুপ্তারাজ চলছে তখন পণ্ডিত

'নেহরু বোম্বাইয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন এবং বলছেন £ “লীগ- সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে ; কংগ্রেন গবর্ণমেন্ট গঠনে এগিয়ে

“যাবে ।” বড়লাট কংগ্রেসের মধ্যে কোনো গোপন চুক্তি হয়েছে বলে

তিনি স্বীকার করলেন না আর বললেন, এবং এইটিই ভবিষ্যদ্বাণী “লীগ যদি কোন রকম প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করে তবে গবর্ণমেণ্টকে।

কোন. মীমাংসায় এসে নতুবা বিরোধিতা করে, তার মোকাবিল! করতে

হবে। যদি গবর্ণমেন্ট শক্ত হয়, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম পরাভূত হবে; গবর্ণমেণ্ট

“যদি ছুর্বল হয়, গবর্ণমেণ্ট নতজানু হবে ।”

পরের কথাট৷ কি নিদারুণ সত্য হয়েছিল ! কিন্তু নেহরুজী বড়লাটকে গিয়ে ১৭ই তারিখ বললেন, কলকাতায়

' 'কিছু লোক অসদাচরণ করছে বলে আমাদের কর্মসথচী বানচাল হবে না।

সিদ্ধ বাংলা যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করে, আমাদের বসে ভাবতে হবে কি

%8৮৪

করা যায়। ১০ই আগস্ট স্থরাবর্দী বলেছিলেন দিল্লীতে £ “আমরা দেখবো যাতে এই ধরণের গবর্ণমেন্ট বাংল! দেশ থেকে কোন রাজন্ব না পায় এবং আমর! নিজেদের কেন্দ্রবিচ্ছিন্ন স্বাধীন গবর্ণমেন্ট মনে করব।” সিন্ধু প্রাদেশিক মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট এম. এইচ. গজদরও এই কথা বলেছিলেন যেই ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট বসবে অমনি সিন্ধু স্বাধীন হবে।

লীগের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম

কি হয়েছিল কলকাতায় আমি তোমায় এখানে ৰ্িশদ বলতে পারছিনে, সত্য | আমি তখন কলকাতায় এবং স্বীকার করব, সন্ত্রস্ত ।. মুসলিম লীগ গবর্ণমেন্ট, মুসলমান অফিসার, মুসলিম দারোগা পুলিসের. ,আধিক্য। প্রদেশাস্তর থেকে আমদানী মুসলমান গুণ্ডা সমস্ত কলকাতা জ্বালিয়ে দেবার মতো! তাদের পেট্রোল প্রভৃতি রসদ; নরহত্যার আয়োজনে অস্ত্রের প্রাচুর্ধ। তবু স্তুরাবর্দী আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলেন হিন্দুদের অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধ এবং অনভ্যন্ত হাতের সমান হত্যালীলা ৷. তখনই মিলিটারী ডাকতে হ'ল। কিন্তু ততক্ষণে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় মহল্লায় মহল্লায় অন্তত চার হাজার মৃতের স্তূপ, অগণিত ছিন্ন বিধ্বস্ত অঙ্গের কাতরানি কলকাতার আকাশকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছে যদি কোনদিন অবকাশ পাই, তোমাকে রক্তাক্ত কাহিনীও বলব, না বলতে পারলেই খুশী হতাম, কিন্তু বলেছি, ইতিহাস নির্দয়

এই মহাশ্মশান থেকে ভারতীয় নেতৃবৃন্দ কোথায় ছিলেন? জিনাজী নেহেরুজী এর নিন্দা করলেন, কিন্তু কেউ নেমে এলেন না তাদের, নিরাপদ জায়গা ছেড়ে; একজন গবর্ণমেন্ট গড়ছেন, আর একজন রক্তপ্রবান্নে পাকিস্থান হাসিলের ব্বপ্ন দেখছেন টিনার নেই।

মসলে লিখেছেন £ কেউ হয়তে। আশ! করে থাকবেন যে, কংগ্রেসের নেহেরু লীগের জিন্ন! হিংসার প্রতি তাদের দ্বৃণা প্রকাশের জন্ত

9৮৬.

কলকাতায় আসবেন ; কিন্তু তারা এত ব্যস্ত ছিলেন যে এদিকে নজর দেবার সময় তাদের ছিলন]

“0056 05161) 109৮6 17001) 06 1100191) 162.0915, [61110 01 060381985 2000 10709101006 1-62506, 5010 18:৮6" ০0106 0 0810009 10219601861 2:00 [0952015 9100%1) (10912796169 08681)67 170 06100175186 7617 00170007) 20100161106 ০৫ ড10197)09 &150 90190051990: 101 700176108] 1১070565,. 730 00110 01 006) 56 10০0 205 101 (08৮, 115 টাটা ড25 পি) 000- 1671:61)06 ৮10) (106 ড/01101706 0০01001701666 ০1 0) ০০০ 1:68589, 10120171176 1067 £200105 11) 1015 51) ৬/101) 007321555. [১1501651070 ৬.5 1)0101176 01)6 215 17)66611)£9 19 0100. 1১০ 08011561 (07110050106 710511005) 01 (06 17)161010) 00৮67701776),

শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক হানাহানি থেকে এক চরম শিক্ষা “জিন্নাজীকে উল্লসিত করে তুলল হিন্দু মুসলমান যে এক সঙ্গে থাকতে

“পারে না এর চাইতে আর ভালো প্রমাণ কি হতে পারে? “0০010 91790101706 0105 00016 70119169510 11) ৮2]1016য 01 91 1015 0181109 11)26, 1) 21) 17)06109110610€ 10019, 170107005 ৪১0 [105110)5 ০9510 100 19156] 11৮6 108601067 ; 01096 ০01৮1] আও 01010 19 01)6 76501 £

-স্্তরা তার খোয়াব যখন বাস্তব হয়ে আসছে তখন তিনি তা থামাতে “যাবেন কেন সরেজমিনে হাজির হয়ে? আর, ইণ্টারিম গবর্ণমেন্ট যখন করতলগত তখন নেহরু আসবেন নেমে খুনখারাবির কলকাতায় ?

সরকারী ইস্তাহারে ২৪এ আগস্ট যখন মন্ত্বিমগুলীর নাম ঘোষণা করা হ'ল কলকাতায় তখনও রক্ত ঝরছে। ১৪. জন মন্ত্রিসভার নামোল্লেখ বাহুল্য, উল্লেযোগ্য শুধু ডঃ জন মাথাই, সফাৎ আমেদ খাঁন, সৈয়দ আলি জহির, কুবেরজি হরমাসজি ভাবা আরও ছু'জন মুসলমানের স্থান প্রতিশ্রুত রইল

ওয়াভেলের কলকাতা পরিদর্শন

কিন্তু ভারতীয় নেতৃবৃন্দ তক্ততৌষ থেকে বা আশ্রম ছেড়ে কলকাতায় না এলেও. বুযুদ্ধের নায়ক লর্ড ওয়াভেল কলকাতা-পরিদর্শনে

৪৮৬

বড়লাটের কর্তব্য সেরে যখন নস্ত্রাদিল্লাতে ফিরলেন তখনও ভারতীয় নেতৃবৃন্দকে তিনি লক্জ! দিতে পারলেন না; গদীসীন তারা বড়লাটের মুখেই কলকাতার বিবরণ শুনলেন। মসলে বলেছেন, ২৭এ আগস্ট ওয়াভেল গান্ধী নেহরুকে ডেকে পাঠালেন

“আমি কলকাতা থেকে এই মাত্র ফিরলাম

“] 8109 2192110 ৮7139011255 5010৮5

তিনি বর্ণনাকালে উভয় সম্প্রদায়কে দোষী সাব্যস্ত করলেন। তিনি মনে করেন, তিনি যদ্দিন বড়লাট আছেন তদ্দিন নিবারণের জন্তয তাকে চেষ্টা করতে হবে মানুষ হিসেবেই কি ইংরাজ হিসেবেই কি দৃশ্য ছুঃসহ। |

61051 25 21 10011510008 1701 29 2, 10001200610 ০0010 115 960170201 5001) 59৮898615 8110 10651181107,

তিনি সনির্ধন্ধ আবেদন জানিয়ে বললেন, মুসলিগ লীগ যে গ্যারান্টি চাঁন তা তারা দেবেন কি? তীয়া শুধু বলুন, তারা ক্যাবিনেট মিশন প্ল্যান মেনে নিয়েছেন গান্ধী-নেহরু বললেন, মেনেছি বলেছি তো। কিন্ত আমাদের ভাষ্য মতো তা যদি মিশনের ব্যাখ্যার সঙ্গে না মেলে, তবু? তবু। নইলে এযে পক্ষপাতী কংগ্রেস সরকার হবে, দেখছেন না?

40380 00100 ৮০0. 966, 6%015050. 2৮০1], 30 ৪0. 5005981 0005৮ 01 (60061, 41 ভ1]1 109 2, 00061595 00ড5211)60 ! 71065 815 00000 6০ 06 19011770217) 11707210211.

নেরু বলতে চাইছিলেন, কংগ্রেসকে আপনি ভুল বুঝছেন ; হিন্দুপন্থীও নয়, মুসলিম-বিরোধীও নয়। এটি সকল ভারতীয় জনসাধারণের -স্বার্থবিরোধী কোনো আইন করবে না।

41306 0052 710511108, 7290016 6100 2 ০৪৪) 0০ 00178695 %105117)5, (156 50-081160. 5002652০১১৮

শ্রেসের পক্ষ থেকে কিরকম খসড়৷ হবে তাও তিনি তার ভয়্ার থেকে টেনে গান্ধীজীর হাতে দিলেন গান্ধীজী পড়ে জওহরের হাতে দিলেন। জওছর পড়ে বললেন, গ্রহণ করতে বল! মানে তাকে

৪৮৭

শেকলে বীধা। ওয়াভেল বললেন, আপনারা না বুবৌ ওটি গ্রহণ, করেছেন তা আমি বিশ্বাস করিনে। দেশকে কয়েকটা শ্রাপে ভাগ করার আভাস তো রয়েইছে। গ্রহণ করলেন কেন? এখন তো মুখ ফিরিয়ে বলতে পারেন না যে, এই অভিপ্রায় বুঝতে পারিনি গান্ধীজী বললেন, ক্যাবিনেটের কি অভিপ্রায় ছিল এবং আমাদের ব্যাখ্যামতো তাদের কি অভিপ্রায় ছিল তা এক নাও হ'তে পারে। ওয়াভেল বললেন, ওসব আইনের চুলচেরা তর্ক ছাড়ন।

“]081117111, 006 020106 01155101) 10050 15 1513005 ৪.5 01681 25 09./-112100,

]

ও*দের অভিপ্রায় দিবালোকের মতো! পরিষ্কার আমাদের এজন্য নিশ্চয়ই আইনজ্ঞের কাছে যেতে হবে না। আমি সরল মানুষ, আমার কাছে জিনিসটাও সরল আমি যা চাই, কংগ্রেস যদি সেই গ্যারান্টি দেয় আমি বুঝিয়ে লীগকে ইন্টারিম গবর্ণমেন্টে আনতে পারি আমাদের গবর্ণমেন্টে তাদের দরকার $ ভারতের দরকার, এবং আপনারা যদি গৃহ- যুদ্ধের আশঙ্কায় সত্যি উদ্দিগ্ন হয়ে থাকেন, তবে আপনাদের দরকার গান্ধীজী বললেন, কিন্তু আপনি তো৷ বলেছেন, গবর্ণমেন্ট হবে ; আপনি তো কথার খেলাপ করতে পারেন না। ওয়াভেল বললেন 2 অবস্থ। বদলে গেছে। কলকাতার হত্যালীলার পর ভারতবর্ষ আজ গৃহযুদ্ধের প্রান্তে দাড়িয়ে নিবারণ করা কর্তব্য আমি যদি মুসলমানদের বাদ দিয়ে কংগ্রেসকে গবর্ণমেন্ট গঠন করতে দ্রি তা হ'লে আমি তা নিবারণ করতে পারব না। তাহলে ওরা, স্থির করবেন, প্রত্যক্ষ সংগ্রামই একমাত্র পথ এবং

455 5108]] 1)9৮2 006 1779592,015 91 13217821 21] ০৬61 2,88113. এর পর যা হয়েছিল, তা তোমায় রাজনৈতিক লাঞ্থনার দৃষ্টান্ত দিতে বলেছি, তোমার মনে আছে, সত্য ? (৪৫৯ পৃঃ)

লীগ-বহিভূ্তি মুসলমান স্যার সফাৎ আমেদ খানকে নেহেরু তার গবর্ণমেন্টে নিয়েছিলেন সিমলায় তিনি যখন ২৪এ আগস্ট বেড়াতে বেরিয়েছিলেন, ছুই সশস্ত্র যুবক দ্বারভা! ভবনের সামনে তাঁর ওপর

9৬৮

ঝাপিয়ে পড়ল এবং তাঁর দেহের সাত জায়গায় ক্ষত স্থষ্টি করল। এক রিক্সাওয়াল! তাকে অচৈতন্ অবস্থায় তার বাড়ীতে নিয়ে যায় স্থতরাণ গৃহযুদ্ধ কলকাতায় শেষ হয়নি; দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাত শুধু জানান দিয়ে গেল, চলছে, চলবে লিয়াকং আলি এক সার্কুলার জারী করে বললেন, কোন লীগ সদস্য যেন এই গবর্ণমেন্টের কোন কমিটিতেই যোগ ন| দেন

জিন্নাজীর ঈদ মোবারক

জিন্নাজী ব্বধর্মীয়দের উদ্দেশে ঈদ মোবারক জানাতে গিয়ে মুসল- মানের রাজনৈতিক বেহেস্তে আসবার জন্যও আবেদন জানালেন মুসলিম লীগ জমায়েৎ-উলেমা, খাকসার, অর্থ্র, জাতীয়তাবাদী মুসলমান, ইসলামের স্বার্থে সবাই এসে টীড়ান লীগের পতাকাতলে

এই "ঈদ" উপলক্ষ্য করে নোয়াখালীর মুসলমানের! সারা জেলায় কিভাবে হিন্দুদের কবর খু'ড়েছিল এবং অগ্রিদাহে পৈশাচিক আনন্দ- লাভ করেছিল সেই অমানুষিক কাহিনীও আমায় পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হবে, সত্য এমন সতর্ক পরিকল্পনায় দুঃস্বপ্ন-প্রতীক স্ুরাবর্দীর মুসলিম লীগ শাসনের নিরাপদ আশ্রয়ে এই দানবীয় তাণ্ডব ঘটেছিল যে, সহসা খবর পর্যস্ত পাওয়া যায়নি। খবর পাওয়া গেল যখন হাজার হাজার সন্ত্স্ত গৃহ আশ্রয়হীন নিঃস্ব শরণার্থীর চল নামল জেলার সীমান৷ ছাড়িয়ে বাংলার প্রান্তে। মধ্যযুগীয় বর্রতায় একদল গুণ্ীধর্মী হিন্দু- নরনারীকে বিবস্ত্র ক'রেই তৃপ্ত হয়নি সংখ্যাবৃদ্ধির উল্লাসে ওদের ধর্মাস্তরিতও করেছে এবং দেবমন্দির কলুষিতকরণ, নিষিদ্ধ খানের আক্ষালন প্রভৃতি প্রাচীন মুসলিম ইতিহাসের প্রত্যেকটি কীতিরই পুনরাবৃত্তি করেছে তারা বিংশ শতাব্দীর চল্লিশেও ; তখনও ইংরাজ হাত গুটিয়ে নেয়নি ; স্যার ফ্রেডারিক বারৌজ তখনও মহা! আড়ূম্বরে রাজভবনে বিরাজমান এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বঙ্গদেশের ততোধিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এক মুসলিম জেলায় এই নিিচার নিধন চলেছে নোয়াখালি অধিবাসীদের ৮১৪ শতাংশ মুসলঙ্গান এবং হিন্দু ১৮৬ শতাংশ এবং

৪৮৯

রায়পুরের মত এমন থানাও ছিল যেখানে ৯*শতাংশ মুসলমান কিন্ত কাহিনী বলার অবকাশ নেই আমার ইতিহাস বর্ণনায় |

প্রত্যক্ষ সংগ্রামের সাফল্যে উল্লসিত হয়ে মুসলিম লীগ এবার ২রা সেপ্টেম্বর “হিন্দু কংগ্রেস তার উপগ্রহদের মন্ত্রিত্বগ্রহণের প্রতি মুসলিম জাতির নীরব ঘৃণা” প্রকাশের জন্ত এক “কৃষ্ণ দিবস বা কালো দিন” পালনের আহ্বান জানায় সার! ভারত মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পানক লিয়াকং আলি খান এক বিবৃতিযোগে নির্দেশ দিলেন! দেশব্যাগী গৃহ ব্যবসায়স্থলে কালে! পতাকা তুলতে |

এদিকে কংগ্রেস মন্্িমগ্ুলীর দপ্তর বন্টন হয়ে গেল। ২রা' সেপ্টেম্বর শপথ নিলেন জন মন্ত্রী। নেহেরুর মুখ দিয়ে আর একটি ভবিত্যদ্াণী নিঃশ্যত হ'ল £

“[)951011)5 1885 00115011690 10 1951 05 11) 116৬7 995. --.৮”

মুসলিম লীগ-অন্ুগামীর! কালে! পতাকা তুলে অভিনন্দন জানালো! ; বোম্বাইয়ে বীধালো দাঙ্গা

রাজ। গজনফর আলি খান এক লীগ সভায় মুসলিম উদ্ তত এলাকা থেকে যাতে হিন্দুদের হাতে খাগ্ভশস্ত ন| যায় এজন্য পোড়ামাটীর নীতি অবলম্বনের আভাস দিয়ে বললেন, যেদিন হিন্দু ইন্টারিম গবর্ণমেণ্ট শপথ নেবে সেদিন ভারতের স্বাধীনতা৷ সচন। করবে না, করবে গৃহযুদ্ধের 452176010915 ছা 0০0660 00৩ 05010012100 006 9165500.

কিন্তু গান্ধীজীর দৃষ্টিতে পূর্ণ স্বরাজের দ্বার খুলে গেল। বৃটিশ গবর্ণমেন্টের সঙ্গে আমাদের আগে যে ঝগড়াই হয়ে থাক না কেন, আজ তাদের ধন্যবাদ জানাতে হবে স্বেচ্ছায় এই মীমাংসায় উপনীত হবার জন্য

পক্ষান্তরে, জিন্নাজী বললেন, গান্ধবীজীর একথার যাথার্থ্য স্বীকার করিনে যে, কংগ্রেস মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৃটেনের সাথী হতে পারে না।

নেহরু ক্ষমতাসীন হয়ে কিছুটা মত-পরিবর্তন করে বললেন

' £ড16 816 [991160015 01509160 10 870 102৪ 2.0080০0, ()৪ [0516010 0 5116106 10 960010208 78101) ৬111 0010751061 06 00951018০0৫ 10170911010 ০01 €200005,..,...৬6০ ৫০ 70 1000 8101) 606 ০0719110061) 45961101915 29 2 21618. 101 0010110 9 101 608 00161016 100]00516101) 0? 0108 19%/10188 0৮91 817001)01.

হায়রে, ১০ই জুলাই সাংবাদিক সম্মেলনে যদি এই স্থুবুদ্ধির উদয় হ'ত হয়তো কল্পকাতাকেও রক্তন্সীত শ্মশানবাদী হতে হুত ন| এবং হয়তে৷ পাকিস্থানের পথও অত মস্থণ অথবা অত্ত অনিবার্ধ অথবা অত আকর্ষণযোগ্য হ'ত না। সর্বনেশে অনিষ্ট সাধনের পর এই উক্তি অর্থহীন প্রতীয়মান হলেও কলকাতার বীভৎস হত্যার প্রতিমূতি স্থরাবরদা বলে উঠলেন £ সাবাস, আর একটু এগিয়ে গিয়ে লীগের হাত ধর।

কিন্তু কৌতুক এই, কেন্দ্রে কংগ্রেস গবর্ণমেন্ট থাকলেও “বাংলা, সিন্ধু, পাঞ্জাবে পূর্ণ মুসলিম-রাজ বিরাজ করছে”, একথা বললেন গান্ধীজীই ৯ই সেপেমম্বর

এরপর প্রত্যক্ষ সংগ্রামট। কি প্রকৃতি রূপ নেবে জিন্নাজী তার জবাবে ১০ই সেপ্টেম্বর ডেলী মেল-প্রতিনিধিকে বললেন, গবর্ণমেন্টের সঙ্গে নিষ্ক্রিয় অসহযোগিত! | পরদিন বোম্বাইয়ে বললেন

£[015 10 8৬01 01009 5160 2790 (0 ০752,6 00710161015 11) ড/1)101) [1001215 ৮0 17961005০21 116 25 11191)01% 10610100005 0051] 0061 2৪ ০00500000৮9 50100101)--7810196210,৮

কিন্তু ইন্টারিম গবর্ণমেট সম্পর্কে আলোচনার জন্য জিন্নাজী বড়লাটের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে একথ! বলাও ছাড়লেন না যে,কি ধরণের গৃহযুদ্ধ হবে তার নমুনা কলকাতা৷ বোম্বাইয়ে প্রতিফলিত হয়েছে

আর নয়াদিক্লীতে ২৫-এ সেপ্টেম্বর যখন কংগ্রেস ওয়াফিং কমিটির

৪৯৯

সভ! চলছে তখন এম. এ. জিনা বড়লাটের সঙ্গে ছু'ঘণ্টা ধরে আলাপ

চালালেন ; তারপর নিজের বাড়ীতে লীগের সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে একাস্তে

মিলিত হলেন। পরদিন গান্ধীজী-নেহরুজীর সঙ্গে বড়লাটের আলাপ

হ'ল। তার পরদিন আবার জিন্নাজী মিলিত হলেন বড়লাটের সঙ্গে পণ্ডিত নেহরু কংগ্রেস-প্রেসিডেণ্ট পদ ত্যাগ করেছেন

মুসলিম লীগের যোগদান

ভারতের রাজনীতিও একটা বিশেষ মোড় নিল। ব্ডুলাটের আমন্ত্রণে কিন্ত “ম্বাধিকারে” মুসলিম লীগ ইণ্টারিম গবর্ণমে্টে এল। ১২ই ১ই অক্টোবর জিন্না দেখা করলেন বড়লাটের সঙ্গে ; লীগ ওয়াকিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিল।

বৃটিশ সরকার সানন্দে এ'দ্রে নিয়োগপত্র ঘোষণা করলেন লিয়াকং আলি খান, আই. আই. চুক্দ্রিগড়, আবদুর রৰ নিস্তার, গজনফর আলি খান যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল

যা! যোগেন্দ্রনাথ মুল? মুসলমান 1

না, হিন্দুঃ গান্ধীজীর হরিজন হিন্দুঃ গান্ধীজী এঁদের জন্য উপে!স করে আসনসংখ্য। বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু অভিভাবকত্ব দাবী করে- ছিলেন জিন্ন! ভারতীয় রাজনীতির এও এক কৌতুক

স্বভাবতই মনঃক্ষুব্ধ গান্ধীজী ১৬ই অক্টোবর নয়াদিল্লীর এক প্রার্থনা- সভায় বললেন, পূর্ব বাংলায় যা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় তাদের পাঁচটা আসনের মধ্যে একটি আসন একজন হরিজনকে মনোনীত করার যে উদারতা দেখানো হয়েছে তার কোনো অর্থ খুঁজে পাই নে। কায়েদ-ই-আজম বলেন যে, মুসলমান হিন্দু ছুই জাতি; তাহলে কি করে তার! একজন হরিজনকে তাদের প্রতিভূ করলেন?

আর এক কৌতুক পুরোনো মন্ত্রিসভা! থেকে বাদ পড়লেন সভাষচন্দ্রের

অগ্রজ শরৎচন্দ্র বন, স্যার সফাৎ আমেদ খা, সৈয়দ আলি জহির।

৪৯৭

আর, জিম্াজী বললেন, তারা এলেন বটে, কিন্তু যুগ্ন দায়িত্ব বলে কিছু থাকবে না।

কিন্তু, আমি মনে করি, সত্য, তার চাইতেও মারাত্মক কথা হচ্ছে, মুসলিম লীগকে মুসলমানদের একমাত্র প্রতিনিধিমূলক সংস্থা বলে কংগ্রেসের স্বীকৃতি আর তা করে তথাকথিত জাতীয়ভাবাদী মুসল- মানদের এতদিন জীইয়ে রেখে নেকড়েদের মুখে ছুঁড়ে ফেলা পৃথিবীতে এজাতীয় বিশ্বাসভঙ্গের দৃষ্টাস্ত বিরল। কংগ্রেস-লীগের চুক্তি সম্পাদনে যে গান্ধীজিন্না ফরমুলা ঠাড় করানো হয়েছিল, জিন্না-নেহরুর পত্রা- লাপে তা প্রকাশ পেল। এই পত্রাবলীতে দেখ! যায়, মুসলিম লীগ যে

“80161501162056 16107996101810৮€ 01 10. 0৬67৮/1)6111011)5 1779%0- [165 ০1 &105111)9 01 11019.”

মুসলিম লীগের এই দাবীতে কংগ্রেস কোনে। আপত্তি তে! তোলেই নি, মেনে নিয়েছে এবং বলেছে, গণতান্ত্রিক নীতি অনুসারে কেবল লীগেরই ভারতের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার আছে।

7১5 50610) 800. 10 20001081006 ৬7111) 09000019010 [01107010169, 1060 ৪10176 1190 21) 017006511010721)19 11617 00 76101656171 006 710২1100501 117012..”

আর কংগ্রেস কি? সকল অমুসলমানের সংস্থা £ 89 0156 ৪0011011566 01880158101 167016561)11106 ৪11 1)010- [105111)5.,০+*০, &

[0013-0705110), 1000-1091)8076021 বা সংখ্যাগুরু ইত্যাদি শব্দগুলো হিন্দুরই জিভ-কাটা নাম

জিভ-কাটা মানে?

হিন্দুর পক্ষে হিন্দু বলে পরিচয় দিতে জিভ কাটতে হয়, নইলে প্রশ্রেসিভ হওয়া যায় না; আর ইংরাজের পক্ষে ভারতে মুখ্য- অধিবাসীরা! হচ্ছেন মুসলমান, অবশিষ্টের৷ নডর্থক বা নগণ্য তাই 2০৪ বা ন। দিয়ে তাদের রাষ্তীয় পরিচয় দিতে হয়।

৪৯৩

কি ফল লভিনু হায় কিন্তু এত সব স্বীকার করেও কংগ্রেস মুসলিম লীগকে বশে আনতে পারেনি ; লীগ প্রতিনিধিরা ইন্টারিমের পেটে গু'তো৷ মারার উদ্দেশ্যেই শিং বাঁকিয়ে এল। রাজা গজনফর আলি বললেন লীগ্‌ ইণ্টারিম

গবর্ণমেন্ট বা মধ্যবর্তীকালীন সরকারে যাচ্ছে পাকিস্থানের জন্তা) লড়তে শুনে গান্ধীজী ২২এ অক্টোবর বললেন সেকি কথা! মধ্যবীকালীন সরকার কেবল মধ্যবর্তী কালের জন্যই ; কনষ্টিউয়েন্ট এস্মেলি বা সংবিধান পরিষদ যে গবর্ণমে্ট প্রতিষ্ঠা করবে তার জন্য খুব বেশী সময় অতিবাহিত হবে না। বৃটিশ সরকারের ঘোষণাপত্রানুসারেই সংবিধান পরিষদ ; এঁ ঘোষণাপত্র পাক্ষিস্থান পরিকল্পনাকে হিমঘরে রেখে দিয়েছে। ঘোষণাপত্রে আছে গ্র,পিং তার ব্যাখ্যা লীগের এক, কংগ্রেসের এক, মিশনের এক

গান্ধীজী একথার পুনরাবৃত্তি করে আবার গোলমাল বীধালেন। তায় সেই “তৃতীয় পুরুষ যাক তৃতীয় পুরুষ আস্থক” নীতি অন্ুদারে তিনি এই ভাষ্য-বিরৌধকে এক ট্রাইবিউনালে দিতে বললেন

সঙ্কটের পর সঙ্কট খবর অবিলম্বেই পাওয়৷ গেল যে, ইন্টারিম গবর্ণমেন্টে সঙ্কট ত্বনিয়েছে। প্রকাশ পেল বড়লাট-কংগ্রেস প্রেসিডেপ্ট পত্রাবলীতে ; তারপর কংগ্রেস ওয়াকিং ক্গিটির প্রস্তাবে একই দিনে (২৪এ অক্টোবর ) বড়লাট নেহরুর ঠিকানায় ছা'খানা চিঠি চালাচালির পর আশ্বাস পাওয়া গেল, গোলমাল চুকেছে। গোলমাল দেখা দিয়েছিল দপ্তর ব্টন নিয়ে। লীগকে দেওয়া হ'ল-- অর্থ আইন, বাণিজ্য, ডাক বিমান, স্বাস্থ্য | ' মৌলানা! আজাদ তার “ইতিয়া উইনস জীডম'-এ লিখেছেন £ “লীগ

8৯৪

গবর্ণমেন্টে যোগ দিলে দপ্তর পুনর্বস্টনের প্রশ্জ দেখা দিল। বড়লাটের প্রস্তাব ছিল লীগকে ব্বরাষ্ট্র দপ্তর দেবার কিন্তু সর্দার প্যাটেল ছিলেন ্বরাষ্ট্রম্ত্রী। তিনি প্রবল আপত্তি জানালেন। এমনও বললেন, তিনি বরং গবর্ণমেন্ট ছাড়বেন কিন্তু স্বরাষ্ট্র দপ্তর ছাড়বেন না।

“আর কি বিকল্প হতে পারে এই ঘখন আমরা ভাবছি, রফি আমেদ কিদোয়াই প্রস্তাব করলেন, অর্থ দপ্তরটা লীগকে দেওয়। হোক অন্যতম প্রধান দণ্তর-বটে কিন্তু এত টেকনিকাল যে, লীগে তার সমকক্ষ কেউ নেই। না নেয় ভাল, নিলেও বোকা বনে যাবে। সর্দার প্যাটেল প্রস্তাবটা লুফে নিয়ে জোর সমর্থন জানালেন।

“লর্ড ওয়াভেল খবরটা জিন্নীকে জানালে তিনি পরদিন মত দেবেন বললেন কেননা, তিনি ব্যাপারে খুব নিঃসংশয় ছিলেন না। কিন্তু চৌধুরী মহম্মদ আলি এই খবর শুনে জিন্নার সঙ্গে দেখা করলেন, বললেন, কংগ্রেসের দিক থেকে অপ্রত্যশিত উপহার অর্থ দপ্তর হাতে থাকলে লীগ প্রত্যেক বিভাগের ওপর খবরদারি করতে পারবে জিন্নার ভয় নেই, লিয়াকংকে দিন, য! করবার মহম্মদ আলিই করবেন ।”

ফল ফলতে দেরী হয়নি। অর্থদপ্তর কংগ্রেস মন্ত্রীদের চরম নাজেহাল করে ছেড়েছিল।

অন্তরালের পর্দা আরও একটু উন্মোচিত হয়েছিল ২৪এ অক্টোবর বড়লাট ইণ্টারিম গবর্ণমেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নেহরুকে বললেন, তিনি মুসলিম লীগকে স্বরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর দিচ্ছেন হচ্ছে সকাল- বেলার কথা বিকালে নেহরু এই প্রস্তাব গ্রহণে অসামর্থ্য জানালেন এবং সমগ্র মন্ত্রিসভার পদত্যাগ পেশ করলেন

বড়লাট বললেন, না, না, আপনার! যে দপ্তর দেবেন নে দপ্তরই লীগ নেবে। তারা আসছেন মিশন পরিকল্পন! অনুসারে কাজ করতেই, যদি না করেন চলে যেতে হবে

কিম্ত আর কোন বিষয়ের জবাব দিলেন না

তবু হল। কিন্তু হবার সঙ্গে সঙ্গে ২৬এ অক্টোবর লীগ নেতারা নয়াদিল্লীতে বললেন, না তো, তারা কোন প্রতিশ্রতিই দেন নি।

৪৯৫

“মুসলিম ভারতের স্বার্থেই মুসলিম লীগ ইণ্টারিম গবর্ণমেপ্টে-এল আমাদের কি কর্তব্য আমরা জানি; কারো কাছে কোন প্রতিশ্রুতি দেবার কথা তো ওঠে না।

«01015 00৮61700010 1085 08010 10117760. 020091 06 01596170

00175611060 210 89 9001) (0616 19 170 5001) 108716 25 190

01 0011901%5 16910115101]16, 00091 006 079961 007050-

0000 00916 25 190 5001) 01176 25 169.061811]) 01 00৮61010060

0 0196 17501%1009], 10109 00120519935 8100 11) (1591 00510-

0508 1085 ৪, 168,067 15 ০0৬/12, 200 (1)6 বারন [62606

৮111) 102৮6 ও, 169,061 01165 012.” |

স্পষ্ট কথা যুগ দায়িত্বও নেই, এক ব্যক্তির নেতৃত্বও নেই

স্পষ্টতর কথা চলছিল ছুরির ডগায় আর রক্তের কালিতে। সার! ভারতবর্ষ জুড়ে পাকিস্থান হাসিলের প্রত্যক্ষ পথটায় ওরা টিলে দেয়নি £ বলেছিল লড়কে লেঙ্গে। তার প্রত্যাঘাভ এসে পড়ছিল ইপ্টারিম গবর্ণমেন্টের ছুই প্রকে" | অর্থদপ্তর হাতে পেয়ে লিয়াকৎ এমনই এক বাজেট উপস্থিত করলেন যা কংগ্রেসের ঘোষিত অর্থনীতির “বিদ্রপও' বটে; বৈপ্লবিকও বটে। মৌলানা আজাদ বলেছেন, “তিনি এমন কর ধার্ধের প্রস্তাব কল্পলেন ঘা ধনীমাত্রকেই নিঃস্ব ক'রে ছাড়ে এবং বাণিজ শিল্পের সমূহ ক্ষতিসাধন করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এক কমিশন নিয়োগের প্রস্তাব করলেন এই কমিশন কারা সব কর ফাঁকি দিয়েছে তাদের কাছ থেকে পাওনা আদায় করে আনবেন ।”

কংগ্রেসের পক্ষে এহ'ল ছুঁচো গেলা নিজেদেরই ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধাচরণ করা যায় না কিন্তু 41001685176 60021129000 ৩৪101) 210 026 211 256530615 900014 6৩ 0:০900৫ 0০ ৮০০৮৮ সে কি এই ভাবে?

লিয়াকৎ তার বাজেট মন্ত্রিসভায় পর্বস্ত উত্থাপন করতে রাজী হন নি। জিল্না ঘোষণা! করলেন ১৪ই নবেন্বর-_প্রশাসন বা আচরণে ইন্টারিম গবর্ণমেন্টকে এমন কিছু করতে দেওয়া হবে না যাতে ভারতের ভবিষ্তৎ সংবিধানের সমস্যা জটিলতর হ'তে পারে; প্রত্যক্ষ বা

৪৯৬

পরোক্ষভাবে পাকিস্থানের কোন প্রতিবন্ধকতা স্থষ্টির চেষ্টা হলে আমরা তার প্রতিরোধ করব

জিন্না-বড়লাটের যে পত্রালাপ প্রকাশিত হুল তাতে দেখা গেল, জিন্নাজী সংবিধান পরিষদকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবী রাখার অন্থুরোধ জানিয়েছিলেন

পণ্তিত নেহরু মীরাটে বিষয় নির্বাচনী কমিটির সভায় খুলেই বললেন যে, ইণ্টারিম গবর্ণমেন্টে লীগের যোগদানের পর থেকে অবস্থা এমন সঙ্গীণ হয়েছে যে, কংগ্রেস সদন্যরা ছুবার পদত্যগ করেন।

“001 026157006 25 19,506 762.011100 116 10101,

হবারই ৰথা। মৌলান। আজাদ একটি ছোট্র ঘটনার উল্লেখ করেছেন “ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট হবার পর সব বিষয়ে ঘরোয়া ভাবে আলোচনার জন্য মন্ত্রীরা পালাক্রমে এক এক দিন এক এক মন্ত্রীর ঘরে আসতেন কিন্তু জওহরলাল প্রায়ই নিজের ঘরে সববার চায়ের আমন্ত্রণ করতেন। আর, আমন্ত্রণ পত্র যেত নেহেরুর প্রাইভেট সেক্রেটারীর নামে লীগ যোগদানের পর লিয়াকৎ এই আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে অপমানিত বোধ করলেন; জওহরের প্রাইভেট সেক্রেটারী চায়ের নেমন্তন্ন ভাকছে ! জওহরলালকেই বা অধিকার কে দিল ? লিয়াকৎ নিজের ঘরে লীগ সদস্তাদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে মিলিত হ'তে লাগলেন

জিন্নাজী ঘোষণা করলেন যে, মুসলিম লীগের কোন প্রতিনিধি সংবিধান পরিষদে যোগ দেবেন না; লীগ কাউন্সিলের বোম্ধে প্রস্তাবটি বলবৎ আছে।

সর্দার প্যাটেল মীরাটে কংগ্রেসের প্রকাশ্য অধিবেশনে বললেন £ “ইন্টীরিম গবর্ণমেন্ট থেকে ফংগ্রেস যাতে চলে আসে এখন সেভাবেই কাজ হচ্ছে কিন্তু আমরা সে ফাদে পা দেব না ।”

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী দেখলেন, তো বড় ঝামেলা! ইণ্টারিম শাবর্ণমেন্ট একটা ঝগড়ার আডড৷ হ'য়ে উঠল, সংবিধান পরিষদের কাজও হচ্ছে না তিনি ডেকে পাঠালেন ও'দের বিলেতে

৪৯৭ স্বারধীনত1--৩২

যাব কি যাৰ না আবেগচালিত জওহরলাল. প্রথমে বললেন, যাব না জিন্না যেতে রাজী হতেই বললেন, যাব। অবশ্য মৌলানা বলছেন, তিনি কংগ্রেস

নেতাদের সম্মত হবার জন্য বুঝিয়েছিলেন যাই হোক, যাত্রা করলেন হর্ষবর্ধন ওয়াভেল, নেহরু, জিনা, লিয়াকৎ, বলদেব। লগ্নে কথাও হ'ল ফল হ'ল.না। হ্র-

লাল স্বদেশ যাত্রা করলেন, স্থিরবুদ্ধি জিন্না লিয়াকৎকে নিয়ে থেকে গেলেন। ১৯৪৬ এর ৬ই ডিসেম্বর মিশনের পূর্ব প্রস্তাব সংশোধন করে যে নতুন ঘোষণা হ'ল, আজাদ বলছেন তা গ্রপিং সম্পর্কে মুসলিম লীগের ভাষ্যই সমর্থন করল কিন্তু কিমাশ্চ্যম্‌, সত্য, শ্রাস্ত, ক্লান্ত, সংগ্রাম-ভীত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ এ. আই. সি. সি'কে দিয়ে তাই পাশ করিয়ে নিলেন। পত্রিকা বললেন, খুব সহজে নয়, মাত্র ৪৭ ভোটের ব্যবধানে প্রতিবাদীদের মধ্যে ছিলেন ইন্টারিম গবর্ণমেন্ট থেকে অকারণস্থলিত শরৎ চন্দ্র বস্থ; তিনি ওয়াকিং কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করলেন

শচীন দেব বর্মণের একট! চমৎকার গান আছে, সত্য, “তুমি আর নেই সে তুমি' ; কংগ্রেস আর সে কংগ্রেস নেই ; ধান-খাওয়! মুরগী ;. রাজ্যশাসনের খেল্ন৷ পেয়ে আর ছাড়তে চাইছে না। পাছে পুতুল _নাচানেওল! চটে এজন্য ১৯৪২এর “কুইট-ইত্ডিয়া” ৰা “ভারত ছাড়ো” অংশটুকু বাদ দিয়ে কংগ্রেসের স্বাধীনতা সঙ্কল্প পরিমাজিত.কর! হ'ল। (৮ই জানুয়ারী ১৯৪৭)

সংবিধান পরিষদ বা সংবিধান পরিষদে কংগ্রেস একা ব'সে রইল দরজা খুলে যদি মুসলিম লীগ আসে এল না।

এই অচলাবস্থায় ক্ষমত৷ হস্তাস্তরের একটা তারিখ স্থির করে ঘোষণা করার কথ! নিয়ে এদিকে বড়লাট ওদিকে প্রধানমন্ত্রী ব্লিমে্ট এটলী দ্বিমত হলেন।

3৬৮

ইন্টারিম গবর্ণমেন্টের স্থাস্থামন্ত্রী রাজা গজনফর আলি গর্জে উঠলেন মহম্মদ বিন কাসেম আর মহম্মদ গজনবী মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছিলেন এবং লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে পরাভূত করেছিলেন আল্লার দোয়ায় এখনও কয়েক লক্ষ মুসলমান কয়েক কোটী হিন্দুকে অভিভূত করতে পারেন।

পর্বতে যে আগুন লেগেছে ধেশয়াই তার প্রমাণ, সত্য $ ভারতের বিভেদাগ্নি অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে, নিস্তার নেই ছূর্বঙ্গ নেতৃত্ব_ [116 11

ওয়াভেলের চাকরী গেল

ইণ্টারিম গবর্ণমেন্টেই কংগ্রেস কবলধৃত পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারী মাসে অনাস্থাজ্ঞাপক প্রস্তাব আনলেন লীগ সদম্তেরা কিন্তু লীগ বিচালি না খাক বিচালির পাত্র ছেড়ে দিতে রাঁজী নয়। ইন্টারিম গবর্ণমেণ্ট পাকিস্থান হাসিলের একটা ছুর্গ পণ্ডিত নেহরু নালিশ জানালেন বিলাতে ওপরওলার কাছে বড়লাটের হাত দিয়ে

এরই মধ্যে অকম্মাৎ লর্ড ওয়াভেল বড়লাট পদ থেকে অপত্যত হবার গোপন পত্র পেলেন। লগ্তনে ১৬ই ফেব্রুয়ারী থেকে খবর রটছিল, তার জায়গায় লর্ড মাউণ্টব্যাটেন আসছেন। ২০এ ফেব্রুয়ারী প্রধান- মন্ত্রী এলী কমন্স সভায় গুজব সত্য ব'লে সমর্থন করলেন

মসলে এই সম্পর্কে একটি বিষষ্ন-কৌতুকপ্রদ বিবরণ দিয়েছেন £

:“১৯এ ফেব্রুয়ারী বড়লাট জর্জ এবেলের সঙ্গে ব'সে প্রাতঃরাশ খাচ্ছিলেন ; এমন সময় চিঠিপত্র এল। একটি কেব্ল্‌-এ ব্যক্তিগত গোপনীয়" চিহিনত ছিল। সেটি বড়লাটের হাতে তুলে দেওয়া হ'ল, উনি খুললেন, পড়লেন, তারপর যেমন ডিম খাচ্ছিলেন খেতে লাগলেন এবেল ছিলেন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর ; ওয়াভেলের মুখ দেখে বুঝতে পারলেন, কিছু একটা হয়েছে অপেক্ষা করতে লাগলেন ও'র মুখ থেকে শুনবেন বলে। পাঁচ মিনিট কেটে গেল। শেষে এবেল বললেন, কিছু, জরুরী, স্তার ?

৪৯৯৮

“ওয়াভেল ও'রা৷ আমাকে বরখাস্ত করেছেন, জর্জ 1 বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণায় এও জানিয়েছিলেন যে,

“1106 73110151) 00৮91700081) 151) 0 177816 1 01691 (12৮ 119 11761 06010166 11066178101) 10 1206 1106 106065521 91605 10 €৩০৮ £12:0519167)09 01 7০৬9 ॥00 1991002)91916 1170121) 1021705 0% ৪, ৫96 1)0% 189] (1) ] 0776 1948.”

স্থতরাং তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের একট! তারিখ স্থির করে ৩০এ জুনের মধ্যে

নেহরু বললেন, কংগ্রেসের জয় জিন্নার "ডন" পত্রিকা ফালেন, মুসলিম লীগের জয় অমৃতবাজার পত্রিকা বললেন, কংগ্রেসেরও নয়, লীগেরও নয়, বৃটিশ কুটনীতির জয়। (ফেব্রুয়ারী ২৩, ১৯৪৭)

জিন্না বললেন, আমরা পাকিস্থান দাবী ছাড়ছি নে।

বারোজের শোক-গীতি তারিখ নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় কলকাতা-নোয়াখালী হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী গোপাল' গবর্ণর স্তর ফ্রেডারিক বারোজ শোক-গীত গাইলেন £

1116 71106 01 ৪. 06ঠ0166 0969 1195 3091690 05 211, 11)91981)5 80013111181) 2]1106, 006 01 ০] 05091 117)65 ০01 (1)0061)6. ০, ৪5 16802175 01 12111010681) 0০010001110 10 2100 9100170 0210912,, 51081010819 9001 11016 0121) 01 (1) 0900106 85931100610) (1021 616 2110018 ০01 16 50101761 00616 1778 09 110 13116191) £00105 10076, 170 1311051) 01৮11 56158171(9, 100 13111191) (0511701.% মসলে বলেছেন, গবর্ণর বারোজ ভারতীয়দের একথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে গর্ববোধ করতেন যে, তিনি একজন রেলকর্মী ছিলেন। “আপনারা এখানে এমন লোক পান ধারা “হান্টিং' আর ন্নুটীং'য়ে বিশেষজ্ঞ; কিন্তু আমি 'দার্টিং' আর “ছুটিংয়ে বিশেষজ্ঞ ।” তাই এই বিবৃতিতে লাইনের ওপর ঝাকুনির কথা বললেন উইনস্টন চার্চিল চীংকার করে উঠলেন, গেল, গেল, 04: 801016 30510. ০25 2). (২রা মাচ ১৯৪৭) তবু কমব্স সভায়

৫০০

'ভারত-ছাড়' নীতি ৩৩৭-১৮৫ ভোটে গৃহীত হ'ল ৭ই মার্চ। ৮ই মার্চ কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি আসন্ন ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্তে ষে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা বিচার-বিবেচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি পাঠাবার জন্য মুসলিম লীগকে অনুরোধ করলেন

কংগ্রেসের বিভাগ-প্রস্তাব

কিন্ত কিছুই নয়, সত্য, সমূহ সর্বনাশের সুচনা হ'ল কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটিতে সর্দার প্যাটেলের এক প্রস্তাব গ্রহণে লীগ নয়, জিন্না নয়, কংগ্রেসই প্রথম প্রস্তাব করল-_-পাঁঞ্জাবকে সুত্র করে-_দেশ বিভাগের লর্ড মাউণ্টব্যাটেনের হাতে এই প্রস্তাবটিই ভারত বিভাগের ধারালো অস্ত্র হয়ে ওঠে এবং কংগ্রেস নিজের দর্পণে মুখ দেখে মুখ লুকোবার পথ পায়নি

আমি তোমায় বলেছি, সত্য, তারিখের দিক থেকে মৌলানা আজাদের বইটি খুব সহায়ক নয়, বরং ক্রমিক ঘটনানুসরণে বিভ্রান্তিকর সর্দার প্যাটেলের এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ৮ই মার্চ এবং লর্ড মাউণ্টব্যাটেন দিল্লীতে আসেন ২২-এ মার্চ, অর্থাৎ প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষকাল পর; ২৪-এ মার্চ বড়লাটপদে অভিষিক্ত হবার পর থেকে যখন তিনি একটা মীমাংসাস্ত্র হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন তখন ভি. পি. মেনন তার হাতে অস্ত্রটি তুলে দেন ; ওরই বিছ্যুৎ ঝলকে মাউন্টব্যাটেন পথ পেয়ে যান এবং অনিবার্ধ গতিতে জিন্নার উল্লাসধবনির মধ্যে ঠেলে নিয়ে যান মুখ্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে আজাদ বাদে কেননা, তিনি শত অপযশ সহা করেও জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের শীর্ষস্থানীয় ছিলেন এবং.তার খেদ তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন তীর বইয়ে কিন্তু তিনিও সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবটি তার বইয়ে তোলেন নি, মসলেও না। প্রস্তাবের পটভূমিকাটি অবগ্যই আছে আজাদের বইয়ে

“ইতিমধ্যে, প্রতিদিনই অবস্থার ক্রমাবনতি ঘটছে। কলকাতা' থেকে নোয়াখালী, নোয়াখালী থেকে বিহারে, সেখান থেকে বোম্বাইয়ে, তারপর এঘাবৎ শান্ত পাঞ্জাবেও হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়েছে মালিক

৫০৯,

খিজির হায়াৎ খান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন ২রা মার্চ; ৪ঠ! মার্চ লাহোরে পাকিস্থান-বিরোধী বিক্ষোভে ১৩ জন নিহত অনেকে আহত হয়; সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা অমৃতসর, তক্ষণীলা, রাওয়ালপিগ্ডিতে ছড়িয়ে পড়ে।

“এদিকে ইণ্টারিম গবর্ণমে্টে কগ্রেস-লীগের বিপরীত মনোভাবে এক অচলাবস্থার স্থষ্টি হয়েছে ।...সর্দার প্যাটেল দেখলেন, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হলেও অর্থমন্ত্রী লিয়াকং আলির অনুমোদন ছাড়া একট। চাপরাশিও নিয়োগ করতে পারেন না কংগ্রেস মন্ত্রীরা বুঝতে পারছি তারা কি করবেন ।”

এই হতাশার মধ্যেই এবং মৌলান৷ আজাদ গান্ধীজীর' অনু-

“পশ্থিতিতে সর্দার প্যাটেলের পাঞ্জাব প্রস্তাব

“ঢু চা 90 016 08210 ৩৮675 01 1176 6001)90, 1 15 1)6063581 10 900 9. 999. 00 ৮71)101) 117৮0155006 16851 811)00100 0 001000015102. 11015 /0010 10606951126 ৪. 01৮15101) %)6 চ১01)1910 1000 [01095170658 90 11081 06 076- 001011)8171]5 [10511100216 1709৮ 0০ 56]88660 (0) 00 006- 00170111811619 10010-0109]17 08110?

একেবারে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে দেশ বিভাগের প্রস্তাব। এই প্রস্তাবের পরেও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত রাখার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আচার্ধ কপালনী এই মিথ্যা কথাট| রাখলেন যে,

[006 15501001010 00985 1001 600প্র010170 ()6 01৮15101004 016 ৮1012), নিতান্তই যদি মারামারি চলে তবেই। জনসাধারণকে ধোকা বানাবার বাগজাল বিস্তারের কৌশল কংগ্রেস রপ্ত করেছিল ভালোই, 'কিন্তু ধীর! ভারতীয় নন এবং তখনও ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কর্ণধার তাদের অন্যতম লর্ডমাউন্টব্যাটেন এই প্রস্তাবের উদ্যোক্তা উত্থাপককে খুঁজে বের করলেন। এরপর পাকিস্থান অবধি তুফান এক্সপ্রেস ছুটে গেছে। কিন্ত তার আগে ছুটি বিষ কথা তোমায় শোনাই, সত্য

|

পি 0,

সজল-চোখ জাতীয়তাবাদী মুসলমান

শেখ আবছুল মজিদের নেতৃত্বে একদল প্রগতিশীল মুসলমান প্রদেশ সমূহ বিভাজনের বিরোধিতা জানালেন “আমাদের দল প্রগ্রেসিভ মুসলিম জমায়েৎ ভাষাভিত্তি ছাড়া দেশেরই কি প্রদেশেরই কি বিভাজনে বিশ্বাস করেনা |”

অশীতিবংসর বয়স্ক শিখ নেতা বাবা খরক মিং বললেন, প্রস্তাব অবস্থাকে আরও খারাপ ক'রে তুলল, কংগ্রেস প্রকারান্তরে পাকিস্থানের দাবীকেই মেনে নিল। -

শুধু মেনে নেওয়া নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের উঁচু মহলে পাঙ্জাবকে পূর্ব পশ্চিমে ভাগ করে ছুটি গবর্ণমেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য পুঙ্থানুপুঙ্খ বিচার আরম্ভ হ'য়ে গেছে তখন। (১১ই মার্চ) নেহরু আবার একটি আঞ্চলিক বিভাজনের কথা ব'লে আসল কথাটাকে একটু ঘোলাটে করলেন মাত্র ইণ্টারিম গবর্ণমেন্টের অন্যতম মন্ত্রী সর্1ার বলদেব সিং ভরতপুরে ৩৫তম সারা ভারত জাঠ মহাসভার বাংসরিক অধিবেশনে প্রস্তাব সমর্থন করে বললেন £ আত্ালা, জলম্বর লুধিয়ান! জেল! নিয়ে একটা নতুন প্রদেশ স্থষ্টি করাই ভবিত্যৎ সর্বনাশ নিবারণের একমাত্র উপায়।

তখনও মাউণ্টব্যাটেন ভারতে আমেন নি, বড়লাটপদে আসীন হওয়া তো দূরের কথা স্তৃতরা ধারা বলেন, মাউন্টব্যাটেনই দেশ- বিভাগের প্রস্তাবক, তীর! হয় অজ্ঞ, নাহয় নিজেদের অমার্জনীয় অপরাধ ঢাকতে একথা বলেন

ভারতে মাউণ্টব্যাটেন ৫ই এপ্রিলের মধ্যে গাহ্ধীজীর সঙ্গে বড়লাটের পাঁচ বারে দশঘন্টা- কাল সাক্ষাৎ আলাপ হল। তারপর রর নিয়ে ও'কে মনের যাছুঘরে তুলে রাখলেন।

৫০৩

“179 15 1701 2 7018060081 020. 14001 2 01) 51110 7191) 8 [010011060৮০ 1121) 10019 0%61 10 110081). 00015 19170 (1056 101 10682115110 6550169--0815 15 6108 (11006 1017 8011019.%

পৌছোবার এক পক্ষ কালের মধ্যেই বড়লাট গান্ধীজীকে স্বাধীনতা সম্পফিত আলোচনার ব্যাপারে বাদ দিয়ে রাখলেন। জিন্নাজীর সঙ্গে বড়লাটের সাক্ষাৎ আলাপ হল ৭ই এপ্রিল পর্বস্ত তিন দিন।

মসলে বলেছেন, জিন্নাজীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই নড়লাট বুঝে নিলেন, এই একটি মানুষ খাঁর ওপর তার মোহ করা

যাবে না। “1 000, 106 ৪৪ 00101] (001 2] [0 60:65 (0 217016626 10112”, 76 0010101৮ 01590955160. 008 1)616 129 ৪, 1772,0 00101১16161 177170151005 60 815 01121).

নেহফ্ক-বড়লাট মোলাকাৎ সম্পর্কে মসলে যা বলেছেন এবং যে প্রসঙ্গ উহ্য রেখেছেন তা অতি-সম্প্রতি মাউণ্টব্যাটেন স্বয়ং কোন একটি বক্ৃতামালা উপলক্ষ্যে বলে দিয়েছেন। সেটি সিঙ্গাপুরের ঘটনা ; সেখানে নেহরু চরিত্রটি স্বচ্ছ দর্পণের মতো; কোন ভ্রাস্তির সম্ভাবনা নেই

লর্ড মাউন্টব্যাটেন যখন সিঙ্গাপুরে তখন তিনি মনে করলেন, _ নেহরুর সিঙ্গাপুর মালয়ে আসা দরকার এই পরিদর্শন ব্যবস্থা একটু ভুল পথে যাবার উপক্রম হয়েছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্থির করলেন, নেহরুর পরিদর্শনকালে ভারতীয় সৈম্দের ব্যারাকে আটকে রাখা হবে এবং নেহরুকে কোনরকম পরিবহন দেওয়া হবে না। «নেহরুর পৌছোবার মাত্র দু'দিন আগে, ১৯৪৬ এর ১৬ই মার্চ আমি আমার সিঙ্গাপুর হেডকোয়ার্টারে ফিরে গেলাম ; ভারতীয় সৈন্যদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলাম এবং তাদের নেতাকে দেখবার জন্য সৈন্যদের পরিবহন ব্যবস্থা করার আদেশ দিলাম। ব্রিগ্রেডিয়ার চৌধুরীর ওপর প্রোগ্রামের ভার দিয়ে নেহরুকে আমার একটি গাড়ী দিলাম এবং গবর্ণমেন্ট হাউসে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানালাম

“যখন তিনি এলেন, আমি বললাম, তিনি যেখানে খুশী যেডে পারেন

$9৪

এবং যা খুশী করতে পারেন; কিন্তু স্থানীয় ভারতীয়ের।৷ যদি তাঁকে আজাদ-হিন্দ ফৌজের স্মৃতিস্তস্তে পুষ্পার্ধ্য দেবার অনুরোধ জানায় তিনি যেন ত৷ প্রত্যাখ্যান করেন আজাদ হিন্দ ফৌজ তাদের আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং যারা জাপানীদের পক্ষে যুদ্ধ করতে চায়নি তাদের প্রতি অসভ্য আচরণ করেছে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে তার এমন লোকের ওপরই নির্ভর করতে হবে যারা শপথ ভঙ্গ করেনি; সৈন্যদের গবর্ণমেন্টের প্রতি অনুগতই থাকা উচিত। তিনি আমার কথা মেনে নিলেন

4176 58৬ 619৩ 00106 200. 261660. 201 (0120 00611 152.00.

তারপর তার! ছুজন কিভাবে সেই ভিড থেকে লেডী মাউণ্টব্যাটেনকে উদ্ধার করেছিলেন তার বর্ণনা দিয়ে বললেন, এইভাবে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। তারপর এই বন্ধুত্বলে পরবতীকালে যখন মাউন্টব্যাটেন ভীরতের বড়লাট আর নেহরু প্রধানমন্ত্রী তখন কিভাবে ভারতের প্রধান সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল অকিনলেকের জেদে আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দী সেনানীদের মুক্তি-প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে দিয়েই বানচাল করিয়েছিলেন তার বিশদ বর্ণনাও অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এই বক্তৃতামালায় তুমি পাবে, সত্য

শাহ নওয়াজ খাঁন তার বহু তথ্যপূর্ণ “আজাদ হিন্দ ফৌজ নেতাজী” বইয়ে, মাউণ্টব্যাটেনের সর্বশেষ বক্তীতামালার আলোকসম্পাতে বলা যায়, একটি ভুল অথবা ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিকর উক্তি করেছেন এবং স্বয়ং নেহরু উক্তির মূল উপলক্ষ্য হয়েও বইয়ের মুখবন্ধে এই বই- খানিকেই দসর্বশ্রেষ্ঠ” বলে প্রমাণপত্র দিয়েছেন। শাহ নওয়াজের উক্তিটি এই

«১৯৪৬ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু যখন মালয়ে যান তখন তিনিও আজাদ হিন্দ ফৌজের শহীদদের স্মতিস্তস্তটি যেখানে ছিল, সেই স্থানটিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে এসেছেন। পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ কম্যাণ্ডীর-ইন-চীফ লর্ড লুইস মাউন্টব্যাটেন_-শোনা যায় তিনিও নাকি এখানে পুষ্পমাল্য দিক্পেছেন-+ভণ্ডামির চূড়ান্ত নিদশন [”

৫০৬

বল! বাহুল্য, সত্য, যে, শাহ নওয়াজ কোন স্থার্থসংশ্লিষ্ট লোকের কাছে এই গালগল্পটি শুনে থাকবেন গল্পটাকে বিশ্বস্ত করার জন্য মাউন্টব্যাটেনের হাতেও মালা তুলে দিয়েছেন গল্পকার !

কিন্ত আসল কথা ঘোড়ার মুখে শোনা গেল, ইংরাজীতে একেই বলে 150:5675 25000) 1

আপাততঃ বড়লাট হ'য়ে আসার পর দৌহে যে মিলন হল লিওনার্ড মসলে তার বর্ণনা দ্রিন, আমরা শুনি, কেননা, এরাই তখন ভারত ভাগ্যবিধাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ |

বন্ধুত্ব পাশে বন্দী নেহরু নেহরু ছিলেন প্রথম অফিসিয়াল ভিজিটার

«116 ৬1067105৮25 31016. 8170101) 60 5০0 110] 119 9121 0188 ০৫ 7361)7015 ৮৮৪10095565 ; 19৩ 02501700361], 167) €7)009079.660, 1061778 00551য 810 20081101005 20001 119 1019005 200 001152095. [1 29 17017) 16179 12 110081- 08৮60 0106811790. [0101 ০01 016 8017001010107) ভা11101) 116 50195600617619 0390 01901) 0%1161 (0715755 168.015.%”

তিনঘণ্টা আলাপের শেষে নেহরুকে জয় করে নিলেন মাউন্টব্যাটেন এবং মানুষটির যথাযথ পরিমাপ করলেন তোষামোদপ্রিয়, তাকে বোবধানো যায়

পি 6100 25 09101150915 018 ০0৮ 200. 200010009৮6 1790 ১৪ 17162.5076 01 1115 1700১ [78 ০019 706 99106160. [76 ০0014 66 70681805060.”

“মিঃ নেহরু?” মাউন্টব্যাটেন বললেন, “আপনি আমাকে কিন্তু বৃটিশরাজ গুটিয়ে নেবার শেষ ভাইসরয় ব'লে মনে করবেন না, আমি নবভারতের পথিকৃৎ

“নেহরু অত্যন্ত বিচলিত হলেন বললেন, এখন বুঝতে পারছি, লোকে কেন বলে, আপনার যাছু বিপজ্জনক

“সেই মুহুর্ত থেকে নেহরু মাউণ্টব্যাটেনের আপনজন হয়ে গেলেন ; আরও মোহগ্রস্ত হলেন লেডী মাউণ্টব্যাটেনের আচরণে

০৮

“1306 116 9 110001526610+5 10720) 207) 6526 10010617600 8180. 1115 2050101061)6 0 011৪ 1100100026660 07615255 23 0001) 10008552590 1709 1015 50109009776 00220 ৬20) 1805 11910192660. 7৩ 125 10176 95610 ৪, 10067) 2100. 1১6 2 10615 108), 1590 01000020660 1150 20) 100001্20 ৪.0 110 1015 1166.”

মৌলানা আজাদও তার বইয়ে প্রশ্ন করেছেন এবং জবাৰ পেয়েছেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন কিভাবে নেহরুকে জয় করলেন। “জওহরলাল নীতিনিষ্ঠ মানুষ, কিন্তু আবেগপ্রবণ এবং ব্যক্তিগত প্রভাবে নমনীয়ও জওহরলাল লর্ড মাউণ্টব্যাটেনের আচরণে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন, সম্ভবত তার চাইতেও বেশী ছিল লেডী মাউন্টব্যাটেনের প্রভাব 1”

কারণগুলে। বিশ্লেষণে মসলেও বলেছেন, ০75 ০0? 0620 725 ০8:210]য 7,540 11০80206, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সম্পর্কেও বলেছেন “2 50506655051] 10101109176 0? 036 ব61/00-1৬ ০0100096610, 23057,

মাউণ্টব্যাটেনের সমগ্র পরিবার, তীর স্থনিরবাচিত স্টাফ, সহকর্মী, সব মিলিয়ে একটা স্ুসন্বদ্ধ টিমের মতে! কাজ করেছে এবং খু'জতে খুঁজতে দুর্বলতম জায়গাটি বের করেছে মসলে ভারী সুন্দর একটি উপমা দিয়েছেন 3 ৭110৩ ০226: 0০25673, 171001006 0061 আয 1000

[00191017691

প্যাটেলের মানসিকত৷ ধরলেন লীগের আচরণে সব চাইতে তিক্ত বিরক্ত এবং পাঞ্জাবের বিভাজন প্রস্তাবের জনক সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে | মৌলান৷ আজাদ প্যাটেল সম্পর্কে বলেছেন £

“ঢু [0050 96 [18090 010 760010 0128 006 1091) 17) 11019, 51০ 91786 191] 00: 1,010 21001002605 1068. 95 ১2091 72.61.”

কিন্ত কোনে। জিনিস তে৷ হঠাৎ হয় না, সত্য, প্রত্যেকটি ব্যাপারের কার্ধকারণ সুত্র থাকে মহাপ্রস্থানের পথে দ্রৌপদী প্রথম পড়লেন, কেন না, তার মানসিকতায় ক্ষয়রোগটি ছিল। প্যাটেল একদিন

€০৭

কথায় কথায় আজাদকে বলেও ছিলেন, আমর! পছন্দ করি আর নাই করি, ভারতবর্ষে ছুটি জাতই আছে এই যে মানসিকতা তা একদিনে সঞ্চারিত হয় না স্থৃতরাং, যখন বড়লাট-প্যাটেল সাক্ষাৎ ঘটল তখন প্যাটেলের মন “জাতিভেদে” দেশবিভাগের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তীরা ভাষণে-প্রলাপে ভারতীয় জনসাধারণের কাছে বলে চলেছেন বিপরীত কথা। মাউণ্টব্যাটেনের কাছে তো৷ আর প্রলাপ বকা চলবেনা, সেখানে একটি মন একটি কথাই বলতে পারে, বলেছে। |

মসলে বলেছেন, প্যাটেলকিন্তু তার এই মনোভাব সহকর্মীদের কাছে এমন নগ্নভাবে উদঘাটিত করেন নি। তিনি তাদের বলেছিলেন “লীগ য্দি পাকিস্থানের জন্য জেদ করতেই থাকে তবে তার একমাত্র বিকপ্প হচ্ছে বাংলা পাঞ্জাবকে ভাগ করা আমার মনে হয় না, বৃটিশ সরকার বিভাজনে রাজী হবেন। পরিশেষে তার! প্রবলতম কোনো পার্টির হাতে শাসনকাধ দিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করবেন। যদি না করে ক্ষতি-নেই। পূর্ব-বাংলা, পাঙ্জাবের কিছু, সিন্ধু বেলুচিস্থান বাদ দিয়ে কেন্দ্রাধীন একটি পূর্ণ স্বায়ত্তশীসন সম্পন্ন প্রশাসন এতই শক্তিশালী হবে যে, অবশিষ্টাংশ কালক্রমে চলে আসবে ।”

সত্য, প্যাটেলের এই অলীক স্বপ্ন নেহরুও দেখেছিলেন এবং নেহরুর দেখাদেখি আর সবাই ; গোটা ওয়াঞ্চিং কমিটি এবং এ, আই, সি. সি. ! কারও মাথায় এই অত্যন্ত সাধারণ বুদ্ধি জাগল না যে, এক অকিক্ষুত্র ভূখণ্ডও যদি বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হয় স্ববিরোধী আস্ত- ীতিকতা, অন্তান্ রাষ্ট্রের পরম্পরবিরোধী স্বার্থই তাকে রক্ষা করবে। যেমন আজ পাকিস্থানের বন্ধু-সংখ্যা হয়েছে ভারতের চাইতেও বেশী নাগাদের সাহায্য করতে চায় চীন, পাকিস্থান, বুটেন। পাকিস্থানকে সাহায্য করতে চায় তামাম মুসলিম ছুনিয়া চীন-বিরোধী সোভিয়েট রুশিয়াও এই সাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞাও ধাদের ছিল না তাঁরাই আমাদের শীর্বস্থানীয় নেতা-_ভারতভাগ্যবিধাতা ছিলেন। স্তুতরাং, মাউপ্টব্যাটেগ টিম, মসলে যাকে বলেছেন “ডিকি বাস,” তাঁরা ষে এই

০0৮

জাতীয় ভারতীয় বক্তাদের অনায়াসেই মহাপ্রস্থানের পথে পাঠাবেন তাতে বিস্ময়ের কি আছে?

রা নিজেদেয় এই ব'লে কাকের মত চোখ বুজে ভাবলেন যে, পাঞ্জাব বিভাগের ধাগ্লাতেই জিন্না ঘাবড়ে যাবেন; মুসলমানেরা বুঝতে পারবেন পাকিস্থানের কি ঠ্যালা জিন্না অবশ্য ভিন্নার্থে ৩০এ এপ্রিল বাংলা পাঞ্জাবের বিভাজন প্রস্তাবে রাগ প্রকাশ করলেন, কিন্তু পাকিস্থান যেখানে একটা প্রস্তাবমাত্র নয়, বাস্তব এবং আসন্ন, সেখানে এই রাগ কতখানি কৃত্রিম অথব! দেশবিভাগকে তরান্বিত করার কৌশল, কংগ্রেস- নেতৃবন্দ সেটুকু পর্বস্ত ধরতে পারেন নি। ..

গান্ধীজী বিহার থেকে পাঞ্জাব বিভাগ সংক্রান্ত প্রস্তাবটির তাৎপর্য জানতে চেয়ে প্যাটেল নেহরুর কাছে চিঠি দিলেন জবাব দিলেন প্রথম প্যাটেল “পাঞ্জাব সংক্রান্ত প্রস্তাবটির মর্ম আপনাকে বুঝিয়ে বলা কঠিন। গভীর অভিনিবেশের সঙ্গেই এটি গৃহীত হয়েছে। তাড়ান্ুড়া করে বা পুরোপুরি বিচার না করে কিছু করা হয়নি। আপনি যে এর বিরুদ্ধে, তা৷ সংবাদপত্র থেকেই জানতে পারলাম | যা ঠিক মনে করেন তা বলার অধিকার আপনার নিশ্চয়ই আছে। পাঞ্জাবের অবস্থা বিহারের চাইতেও খারাপ মিলিটারীর হাতে গেছে ।...**.-.

নেহরু লিখলেন “আমাদের পাঞ্জাব বিভাগের প্রস্তাব আমাদের পূর্বেকার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত থেকে স্বতঃই অন্ধস্থত হয়েছে আগে সেগুলো ছিল নঙর্থক, কিন্তু এবার একটা সিদ্ধান্তে আসা দরকার হয়ে পড়েছে ; শুধু প্রস্তাব পাঁশ করে অভিমতজ্ঞাপন করার অর্থ কিছু হয় না। আমার শুধু নয়, অধিকাংশ সদন্তেরই দৃঢ় প্রত্যয় যে, আমাদের এক্ষুণি বিভাজনের জন্য চাপ দিতে হবে যাতে বাস্তব চিত্রট! ফুটে উঠতে পারে বস্তুতঃ , জিন্নার দেশবিভাগ দাবীর এই একমাত্র জবাব হতে পারে। তার এখনও ধারণা, জিন্ন। যাকে পরে পোকা-কাটা পাকিস্থান বলেছেন তা পাওয়ার চাইতে বরং পাকিস্থানই নেবেন না।

6০৯১

সিংহের বিবরে লৌহমানৰ জর্জ এবেল এবং রাও বাহাদুর ভি. পি. মেনন এদিকে বড়লাটের দৃষ্টি আকর্ষণে একটুও দেরী করলেন না; সদস্তের! বুঝুন না বুঝুন মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির যে পার্থক্য ঘটেছে বিশেষ করে সেদদিকটার দিকে লর্ড মাউন্টব্যাটেন তক্ষুণি সাধারণ্যে লৌহ-মানব বলে খ্যাত সর্দার প্যাটেলকে ডেকে পাঠালেন ; পাঞ্জাব-প্রস্তাবের পেছনে কি উঁদ্বেশ্য তা তার কাছ থেকে বুঝতে চেষ্টা করলেন £

“][ 85 00 1027 01 7905115 15010101006 09 [0129 0১৩ 8810 0! [1001901) 1006017061705 100 1018 02105 906 00) 017 (06 69019, 8110 001 17096 01 006 117661516৮7 116 5/8,5 0106 90116551181 17916 [711)00 [901110121) 07219 17911 2796 01 ৮1102 0106 [৫9501111101

[7)62176,৮

তিনি যেন একটু বিন্ময়ের সঙ্গে হতবিহ্বল হয়ে স্বীকার করলেন যে, পাঞ্জাব বিভাগ মেনে নিয়ে তিনি কিন্তু দেশবিভাগের নীতিই মেনে নিয়েছেন। যেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে এই ভাবে মাউন্টব্যাটেনের যুক্তি মেনে নিলেন যে, সম্ভবত এই সমাধানের পথ একবার ভেবে দেখুন দেখি, কি শান্তি বিরাজ করবে যদ্দি মুসলমানদের তাদের স্ব-দেশে নির্বাসিত করা যায়। কংগ্রেস কার্যক্রমে আর বাধা নেই। কংগ্রেস পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে কোন চতুর অভিযান নয়। স্বাধীন ভারতে একদলীয় শাসন-___খুশীমত অবাধে কাজ করে যাও

যেন ব্ডড অনিচ্ছায় সর্দার প্যাটেলও বুঝলেন, সম্ভবত এই-ই পথ। মাউণ্টব্যাটেন সোল্লাসে বৈঠক থেকে উঠে এসে তার স্টাফকে

বললেন 5 “৮ 01060! 126 56600601815 30০] ৪. 11210. 110৮--০% 01006 7 080150 006 501611, 106 9895 21) [001] 1175106.%

মসলে বললেন, ভি, পি. মেনন প্যাটেল কেউই আসলে বড়- ললাটের কাছে ভাঙলেন না যে, প্রস্তাবের আগে থেকেই তীরা নিয়ে কথা কয়েছেন, বাহাত ওরকম গোবেচারার মতো! বৈঠকে প্রবেশ করলেও সর্দার প্যাটেল তার জাল বুনে যাচ্ছিলেন

৫১০

মৌলান! আজাদ তীর বইয়ে বলেছেন সর্দার প্যাটেলের বিশ্বাস জন্মাতেই লর্ড মাউন্টব্যাটেন জওহরলালের দিকে দৃষ্টি ফেরালেন জওহরলাল প্রথমে কিছুতেই সম্মত হলেন না, বরং দেশবিভাগের কথায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হ'ল, কিন্তু লর্ড মাউণ্টব্যাটেন ছাড়লেন না, ধীরে ধীরে জওহরলালের প্রতিরোধ ক্ষয় করে আনলেন

নেহরু লেভী

মসলে এই কাহিনীকে পূর্ণতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লেডী মাউন্টব্যাটেন গেছলেন পাঞ্জাবে দিল্লীতে ফিরে এলেন নিদারুণ মনঃপীড়। নিয়ে, সান্প্রদায়িক বিদ্বেষের অভিব্যক্তিতে হতবিহবল হয়ে এবং এই প্রত্যয় নিয়ে যে, তীর স্বামী তার উপদেষ্টারাই ঠিক, দেশবিভাগই একমাত্র পথ। ]( 2.9 1১119 506 ৮585 11) (1719 ৮/1601)99 519:66 01 100101960 10171072100 0850217 [192 11001700205) 56101 10617 69 596 [বতা।া, 11769 2019৬৪৫ 98609670৮৪7 [1001815 17156777. এরই কিছুদিন পর জওহরলাল গেলেন মৌলানা আজাদের দঙ্গে দেখা করতে মৌলানা আজাদ লিখেছেন “তিনি এক দীথঘ ভূমিকার অবতারণা করলেন; একথাটিই জোর দিয়ে বলতে চাইলেন যে, আমাদের কল্পনা-বিলাস শোভা৷ পায় না, বাস্তবের মোকাবিলা! করতে হবে। পরিশেষে আসল কথায় এলেন এবং আমাকে বিভাজনের বিরোধিতা পরিহার করতে বললেন তিনি বললেন, অনিবার্ধ, যা ঘটবেই তাতে বাধা দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমার পক্ষে এ- বিষয়ে মাউন্টব্যাটেনের প্রতিরোধ করাও স্থৃবুদ্ধির পরিচায়ক হবে ন|। ৫] 0৬125500106. লিওনাড মসলে বলেছেন £

“06 [1210 ড1)0 1120. 10051) 90 10176 101 ৪. 08৪ 200 01012 হা1019, 1.0 1090 100001060 01019) 200 065101560 096 11051177 [.6509, 1820 0660 00. ০৬০ 109 11000965075 01890 20৫ [.207 11001760269015 01506535 110 1558 020 2, [1017617,9

মৌলানা আজাদের একমাত্র ভরস! ছিল গান্ধীজী। তিনি ৩১এ মার্চ দিল্লী এলে মৌলান! আজাদ তার সঙ্গে দেখা করলেন। গান্ধীজীই

৫৮১১৯

কথাটা তুললেন “মনে হচ্ছে, বল্পভভাই, এমনকি জওহরলালও, আত্মসমর্পণ করেছে আপনি কি আমার পাশে দীড়াবেন, না, আপনিও বদলে গেছেন ?'

মৌলানা বললেন, আমার একমাত্র ভরসা! আপনি আপনি যদি দেশবিভাগের বিরুদ্ধে ছাড়ান, আমরা এখনও রক্ষা করতে পারি। গান্ধীজী বললেন, কি বলছেন? কংগ্রেস যদি দেশ নিসার তবে তা আমার মৃতদেহ ডিঙিয়ে পেতে হবে

তারপর গান্ধীজী-বড়লাট সাক্ষাৎ হ'ল; গান্ধীজী- পাট সাক্ষাৎ হ'ল। আকাশের রঙ গেল বদলে। এর পর যেদিন মৌলানা গান্ধীজীর সঙ্গে দেখা করলেন

“] 716061৮50 0) £58595£ 51700 01 109 1166, ৫০] 1 10111)0 0050 106 (0০0 1)9,0 0119.)560..”

তার মুখে প্যাটেলের যুক্তি

স্থুতরাং ফাঁরা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেন, গান্ধীজী শেষ পর্যস্ত দেশ বিভাগের বিরোধী ছিলেন তাদের মিথ্যোক্তির একমাত্র প্রমাণ পাকিস্থান গান্বীজীর মুভদেহ ডিডিয়ে আসেনি, এসেছে অন্ততঃ এক পাঞ্জাবেই ছয়লক্ষ সাধারণ মানুষেরই মৃতদেহ ডিডিয়ে |

সত্য, ছেলেবেলায় আমাকে আমার দাদার নিয়ে গেছলেন এক কালীপুজোয় কিছু বেশী রাত্রেই। কলকাতার এত আলোর সমারোহের কালী মৃতি নয়। আবছা আবছা আলো-অন্ধকারে গর্জন তেলের সেই চকচকে মুতিকে আমি প্রণাম করব কি, দাদাদের জড়িয়ে ধরে পেছন ফিরে ছিলাম আমার ভয় দেখে ওঁরা হাসছিলেন। সে রাত্রেই ভীষণ বৃষ্টি হ'ল; সব ধুয়ে মুছে যাবার উপক্রম আমার ভয় ভাঙাবার জন্যই নাকি জানিনে, আমাকে না জানিয়ে যেন বৃষ্টিপাতের পরিণাম দেখাতে দেখাতে তারা সেই কালীমণ্ডপে হাজির হলেন ওমা! কোথায় সেই কালী মৃত্তি, এবড়ে৷ খেবড়ো মাটী লাগানো একটা খড়ের পিণ দেখিয়ে বললেন, তুই ভয় পেয়েছিলি, এই দেখ তার দশা! !

সত্য, আমর! ভক্তিনিষ্টায় যে মাটার মৃতিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম বিপর্যয়কালে সঙ্কটে তাদের খড়ের আসল মৃতিগুলো! বেরিয়ে গেল

৬১২

মৌলানা নেহরুকে বলেছিলেন $ ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে 1, নেহরু 47156079 ০০]০ 21০৮০] 101816 005 11 ৪87660 6০ [92610100, 1105 ৩701০ ০010. 00৪0. 0০ 01১8৮ [0919 55 011060. 29 [0001 9 (৩ 1109110) [92808 &5 69 (0:7781995,৮

আহ্লাদে আত্মহারা জিনা আর পরম সৌভাগ্যের কিরীটশোভিত মহম্মদ আলি জিন্নার কি প্রতিক্রিয়া? “তিনি বাহ্তঃ শান্ত গম্ভীর ভাব বজায় রাখলেন এবং নেহরুর এই “ভোল ফেরতাই'কে অনস্বীকার্য বাস্তবতার বিলম্দিত স্বীকৃতি বলে গ্রহণ করলেন; কিন্তু একান্তে তিনি আনন্দে দিশাহার৷ হ"য়ে গেলেন

“1215 540151800201) 91925 25 81698 8.5 0 ৬1061075176 1720 198৮6 2৯980160. 1600£1050100 01 7081015181) 105 0077£7655 0০0 ০0106 ৪০ 50900. ]]) 19.০, 102.) ড1)0 10186৬/ 1117) 0881169.117৩0 1178, 1)6 1090 16৮67 169,119 53060660 12/15621) 0 ০0106 6101)91.”

“কিন্ত আজ তিনি (সেই অপ্রত্যাশিত কল্পনার মূর্ত বাস্তবের ) সিংহদ্বারে উপনীত ।” মসলে বলেছেন কথাগুলে। ১১ই এপ্রিল রিফর্মসম কমিশনার ভি. পি. মেননকে লঞ্ড ইসমে সব কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে একটা খসড়া করবার জন্য তাগিদ দিলেন খসড়াটি হ'লে তা৷ সব গবর্ণরের বরাবরে" বিলি করা হ'ল কলকাতা- নোয়াখালীতে রাজনৈতিক হত্যালীলার নায়ক-বন্ধু ফ্রেডারিক বারোজ ছাড়া সবাই বড়লাটকে বললেন, ঠিক আছে। অপদার্থ এই গবর্ণরটি স্থরাবর্দীর স্বাধীন বঙ্গদর্শনের জন্য পায়তাড়া কৰছিলেন। এক মাসের মধ্যে ভারতের দিগন্ত গেল পালটে ২৮এ এাপ্রল খোদ সংবিধান পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষণ করলেন, শুধু দেশ বিভাগ নয়, কোন কোন প্রদেশ বিভাগের জন্তও তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, এবং সংবিধান সেই মতোই রচন! করতে হবে অল-ইব্ডিয়৷ কংগ্রেস কমিটি ব৷ এ. আই. সি. সি. বৃটিশ মন্ত্রিসভাকে ৫৬১৩

স্বাধীনতা-_-৩৩

জানিয়ে দিল, কমিটি বুটিশ ক্যাবিনেট মিশনের প্স্তাবাবী সর্বাংশে গ্রহণে প্রস্তুত

বড়লাট ১৭ই মে নাগাদ ক্ষমত৷ হস্তাস্তর বিষয়ে আলাপের জন্য সব নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিলেন। কথা হ'ল ওটা হবে ২রা জুন

নেহরুর কন্যা ইন্দিরা খবর দিলেন, বাবার ঘুমে কথা বলা বড্ড বেড়ে গেছে

মিমলায় নব-চেতন।

মে মাসে মাউন্টব্যাটেন এলেন সিমলায় এবং এতদিনে তার চেতনা হ'ল, তিনি ভারতীয় রিফর্মম কমিশনার ভি. পি. মেননকে এড়িয়ে সাহেবদের সঙ্গে পরামর্শ করে রা মে লর্ড ইসমে ওজর্জ এবেলের হাতে যে খসড়া! প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন বিলেতে,তার মধ্যেকিছু কিছু গলতি আছে সিমলায় একান্তে পেয়ে মেনন তা দেখিয়ে দিলেন তিনি তখন কি পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে তা৷ তাঁর আর নেহরুর সামনে খুলে বলার জন্ মেননকে অনুরোধ করলেন মেনন ইতিমধ্যেই প্যাটেলকে সব গুছিয়ে বলেছেন, প্যাটেল রাজী হয়েছেন শুনে নেহরুর একবার উদ্মা হ'ল বটে কিন্তু কিছুক্ষণ কথার পরই প্রশমিত হলেন। ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের ভিক্তিতেই ক্ষমতা হস্তাস্তরিত হবে “মুসলিম প্রধান এলাকাগুলো ভারতবর্ষ থেকে বিচ্ছিনন করতে হবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে ছুটো কেন্দ্রীয় গবর্ণমেন্টের কাছে__একটি পাকিস্থান আর একটি হিন্দুস্থান। প্রত্যেকটির একজন করে গবর্ণর-জেনারেল থাকবেন। যদ্দিন-না যাঁর যার সংবিধান পরিষদে সংবিধান স্থির হচ্ছে তদ্দিন ১৯৩৫ ভারত আইনের ভিত্তিতেই ছুটো ডোমিনিয়ান হবে

হ'লে আর ১৯৪৮এর জুন মাস পর্ধস্ত অপেক্ষা! করতে হয় না। নেহরু চমৎকৃত হলেন। কিন্তু বললেন, একথা স্মরণ রাখ! দরকার, ভারতবর্ষে এক বিশাল জনমত পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষপাতী ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের কথায় অনেকে বিরক্ত হ'তে পারেন। আমি জানি, তত্বের

৮১৪

দিক থেকে দেখানো যায় ভোমিনিয়ান স্ট্যাটাস পূর্ণ স্বাধীনতারই সামিল কিন্ত সাধারণ লোকে অত চুলচেরা বিচার করবে না। মেনন বললেন, “সআট” কথাটা বাদ দেওয়! যেতে পারে নেহরু বললেন বটে যে, এটারও বিশেষ আবেদন থাকবে না জনসাধারণের কাছে, কিন্ত বেশ প্রদীপ্ত হ'য়ে বললেন £ “] 10556111126 215/25 066] 10051 8115000105 101 561)6110767)19] [5950185 £0 1১979. 6186 019595% 09951016 16190051510 1৮) 11)6 73116151) 0017)01)010/9211),” সতা, নেহরুর ইচ্ছামত আজও আমরা বুটিশ কমনওয়েলথে আছি, নাম পাল্টানোর একটা ফাকি আছে, কিন্ত যার নাম বেগুন তারই নাম বার্তাকু বা যার নাম লাউ তারই নাম অলাবু। ১৪ই মে নয়াদিল্লীতে ফিরে মাউন্টব্যাটেন বুটিশ মন্ত্রিসভার এক পত্র পেলেন লগুন যাবার জন্য | ইতিমধ্যে ইস্মের হাতে পাঠানো তার প্ল্যান বুটিশ মন্ত্রিসভা গ্রহণ করায় মেনন আর এক প্রস্তাব নেহরুর কাছে উপস্থিত করায় যে জট পাকিয়েছিল তাতে ইচ্ছে হ'ল না লগ্তন যেতে মেননের পরামর্শে শেষ পর্যস্ত রাজী হলেন সব কথা খুলে বলবার জন্য প্রস্তুত হয়ে। ১৯3৭-এর ১৮ই মে লর্ড লেভী মাউন্টব্যাটেন ভি. পি. মেননকে নিয়ে পালাম বিমানঘাটি থেকে লগ্ন রওন! হয়ে গেলেন পাঁচ মিনিটে বুটিশ মন্ত্রিসভা মেনন-রচিত মাউন্টব্যাটেনের নতুন খসড়। অনুমোদন করলেন ২৩এ মে

করিডর বনাম মৌন দিবস

কংগ্রেসের অমার্জনীয় ছুর্বলতায় বা অর্ধং ত্জতি পণ্ডিতঃ-নীতির লালসায় স্থলিত ভারত ভূখণ্ডের পড়ে-পাওয়া-চৌন্দ আনায় খুশী না! হবার ভান ক'রে জিন্ন' দাবী করলেন এক করিডর-__পশ্চিম-পাঁকিস্থান পূর্ব পাকিস্থানকে সংযুক্ত করার জন্য৷ ছিন্নমস্ত পাকিস্থানের এঁ নাকি ক্ষতিপূরণ নিদ্রাকাতর কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ শেষ সর্বনাশের মুখে হৈ-চে- করে উঠলেন। কেন না, এতক্ষণ ছিল “যা-শক্র পরে পরে' ; কিন্তু

৮১৫

করিডর হলে তাকে উত্তর প্রদেশ প্রাঙ্গন দিয়ে বিহারের হৃদয় চিরে যেতে হয়। দাক্ষিণাত্যকে তা স্পর্শ করবে না। রাজেন্দপ্রসাদ নেহরু বলে উঠলেন £ অসম্ভব মসলে এরও একটা কৌতুককর বিবরণ দিয়েছেন 4001761955 162,0/80. £0 106 97091)0 ভা10) 1105 51210150 6179 ০69. 7980]. 01 0085 8770176 71101) 2, 97601801067 1)2.8 10661 0010৬1, 101 0069 0010819 19£911760 0091 ০0701209006 01 91300৮61106 086 16 8.5 21] 100156 2100. 170 0807)868.৮ এবং গান্ধীজীও তার কথকতায় দেশবিভাগের বিরুদ্ধে 'গেয়ে চলেছেন 2 “কেউ যেন না বলে গান্ধী দেশবিভাজনে হাত দিয়েছেন 1 বলে ছুটে এলেন দিল্লীতে “আমি সারা জীবন লড়েছি। দিল্লীতে এলাম লড়তে হারবার মুখেই 1” মাউণ্টব্যাটেন একটু ঘাবড়ে গেলেন তিনি কৌশল করে এযাবৎ মহাত্বাকে দরে সরিয়েই রেখেছেন, কিন্তু এবার এসে পড়ে গোলমাল বাঁধালেন বুি ! কিন্তু দেখে আশ্বস্ত হলেন, ভয়ের কিছু নেই। হচ্ছে সেই, তেড়ে মেড়ে ডাণ্ড করে দিই ঠাণ্ডা গান্ধীজী এসে এক টুকরো কাগজে লিখলেন, “এ হচ্ছে তার মৌনব্রতের দিন এবং তীর কিছু বলবার নেই ব্যস্‌, সঙ্কট কেটে গেল। মৌলানা আজাদও এসেছিলেন শেষরক্ষা করতে। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে গেছেন জিন্না! নিঃসন্দেহে তামাস! দেখছিলেন, কেননা, তার আনন্দের সীমা পরিসীমা ছিল না। স্বয়ং মাউণ্টব্যাটেন জিন্নার মনোভাব ব্যক্ত করে বলেছিলেন 2 ৮75 1০121) ৮25 01001706210.” বোধ হয় কথা উঠেছিল এবং পরে কাজে হাসিল হয়েছিল যে, পাকিস্থান যদি তার ভূখণ্ডে অন্ত কোনো রাষ্ট্রের বসত-অধিকার দেয়? নেহরু আত্মহারা হয়ে বলেছিলেন £ [0100 ০556 ০90 20166 ০০ 211 12216 06 10012 12451050916 02565 ০০000060125

€05-0610601012] 116105” কিস্তু করেছিলেন বা করতে বাধ্য হয়েছিলেন, সত্য, এবং তার জীবদ্দশায়ই ; পেশোয়ারে মাফিণ-গোয়েন্দা-বিমানঘণটি প্রতিষ্ঠার খবর'

৫১৬

পেয়ে তিনি কিছু করতে পারেন নি, চেপে গেছলেন। যেমন পারেন নি পাকিস্থানকে মাকিণ সমরাস্ত্র সাহায্য নিবারণ করতে। পাকিস্থান তো আর ভারত নয়, ভারতে যুসলিম লীগও নয়, ওটি একটি আলাদা রাষ্ট্র, যা-খুশী তাই করবে, করবে বলেই তো! আলাদা আমি আজও বুঝিনে , সত্য, বহু কথকতায় অভ্যস্ত নেতৃবৃন্দের মাথায় কি প্রাথমিক রাষ্ট্রজ্ঞানও ছিল না ? |

কিন্তু জিন্নার এই কৌতুকও সত্যি হতে পারত মাউণ্টব্যাটেন যদি কংগ্রেসের প্রতি করুণা ন৷ করতেন। মসলে এই কৌতুকের শিরোনামা

---0915250) 107, 0101221) 1”

৩০এ মে নয়াদিল্লীতে ফিরে নেহরু, প্যাটেল, কৃপালনী, জিন্না লিয়াকৎ নিস্তার বলদেব সিংকে আমন্ত্রণ জানালেন ২রা জুন থেকে নেতৃ-সন্মেলন হ'ল। একজন মাত্র ভারতীয় ফোটোগ্রাফারের ক্যামেরার সামনে গোলটেবিলে বসেছেন মাউণ্টব্যাটেন, তাঁর ডাইনে- বাঁয়ে যথাক্রমে নেহরু, জিন্না, আর অদ্ুরেই ধার ধার নেতার সান্িধ্যে প্যাটেল, কৃপালনী, নিস্তার, লিয়াকৎ, মাঝখানে বলদেব। সব্বার সম্মতিতে সম্মেলন নিঙিদ্ধে চুকে গেল। পরদিন ৩রা জুন ওঁদের সবাইকে মাইক্রোফোনের মুখে এগিয়ে দেবার আগে সামান্য কিছু কথা! হয়েছিল উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ তখনও কংগ্রেসী মুসলমানদের শাসনাধীন, প্রধানমন্ত্রী খান সাহেব পৃথক পাখতুনিস্থান বা পাঠানি- স্থানের কথা বলে চলেছেন। মাউন্টব্যাটেন নেহরুকে বললেন যে, নেহরুর অনুরোধেই মাউন্টব্যাটেন তীর পাকিস্থান, হিন্দৃস্থান অথবা স্বাধীনতা প্রশ্নে ভোট দেবার মূল প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছেন, এখন নেহরু আশ! করতে পারেন না যে, মাউন্টব্যাটেন এই পর্যায়ে আবার তা উ্থাপন করবেন? নেহরু খোলাখুলি স্বীকার করলেন, তা বটে, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এক! টিকতে পারবে না। নেহরু মেনে নিলেন, সভায় নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য হবে না

্ৃতরাং, ওটি নেকড়ের মুখে ছু'ড়ে দেওয়া হ'ল। জিন্না বলেছিলেন, বাংলাদেশেও গণভোট হোক, অস্পৃশ্ের মুসলমানদের পক্ষে ভোট

৫১৭.

'দেবেন। বড়লাট বললেন, এবার আপনার চুপ করার পালা

মাউন্টব্যাটেন তার রিপোর্টে বলেছেন, ভারতীয় নেতারা বডড বেশী কথা কন; ওঁদের নিবৃত্ত করা কঠিন

কিন্তু সে কঠিন কর্তব্যও তিনি উত্তীর্ণ হলেন এবং এক এক করে ধার যার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবার জন্য মাইকের সামনে দীড় করালেন। ভূমিকায় মাউণ্টব্যাটেন বললেন £

কেন ভারত বিভাগ |

“বৃটিশ সরকার তীর এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন যে, তীরা এখন বৃটিশ ভারতে একটি নয় ছুটি সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করবেন, ব্যবস্থাবিধি হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তারা ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসের মর্ধাদ। পাবেন। তা কয়েক মাসের মধ্যেই হবে বলে আশা কর! যায়। বড়ই হুঃখের বিষয়

ভারতের অখগুতা রক্ষা করা যায় এমন কোন পরিকল্পনায়ই সবসম্মত অভিমত পা1ওয়! গেল না। |

কিন্তু যখন মুসলিম লীগ ভারত বিভাগ দাবী করল তখন কংগ্রেস একই যুক্তিতে প্রদেশ বিভাগ দাবী করল। আমার মতে এই যুক্তি অকাট্য মোট কথা, কোন পক্ষই ঘেখানে তার সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তা ছাড়তে চায়নি। আমি অবশ্য যেমন প্রদেশ-বিভাগের বিরুদ্ধে তেমনি দেশ-বিভাগের বিরুদ্ধে। তাই, আমি ভাবলাম, ভারতবাসীরাই দেশবিভাগের প্রশ্নটি ঠিক করে ফেলুন 1”

এরপর নেহরু তার ভাব্প্রবণতা নিয়ে দাড়ালেন, “আমার হাদয়ের আনন্দ নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলছিনে কিন্তু আমার মতে এই শ্রেষ্ঠ পথ। আর-_আশা রাখি, শাস্তি সমবৌতা ফিরে আসবে এই হতভাগ্য দেশে এবং কিছুকাল বিচ্ছেদের পর পুনগ্রিলন হবে। আশ! করা যাক, যদিও স্বীকার করতে হবে, আশার কোন হেতু নেই।

সত্য, এই হচ্ছে আমাদের ভাগ্যবিধাতা রাষ্ট্রনেতাদের কথা পৃথক রাষ্ট্র পর পুনমিলন হবে, একি অজ্ঞতা না সঙ্ঞান ধেখকাবাজি ?

৭৮৯৮

তৃতীয় বক্তা জিন্না, নীরস, উচ্ছ্বাসহীন 4155 00 53 0 0951091 ৮0116010৩16 7181) ৪5 [076970690 0 05109 17195 119198975 (০৮107076186 ৪1100]0 76 ৪,০০৩1090. 09 05 85 ৪. 0010]97007156 0 23 ৪. 92661670071, 708101520 21770517090 1”

গান্ধীজী এখানে কেউ নন, স্থৃতরাং উপস্থিতও ছিলেন না। তিনি ছিলেন প্রার্থনাসভায় একদিন বললেন, য! হয়েছে তার জন্য বড়লাটকে দোষ দেওয়া যায় না। একাজ কংগ্রেস লীগের বড়লাট খোলা- খুলিই বলেছেন, তিনি অখণ্ড ভারতই চেয়েছিলেন, কংগ্রেস মুসলমানদের দাবী মেনে নেওয়ায় তিনি নিরুপায় হয়ে পড়েন। এখন তার গান্ধীজীর ) কি কর্তব্য? তিনি কংগ্রেসের সেবক, কেন না, তিনি দেশের সেবক, তাই তিনি তার অবাধ্য হতে পারেন না (৪ঠা জুন, ১৯৪৭ ) পরদিনই ( ৫ই জুন, ১৯৪৭ ) বললেন, তার অন্তর্বাণী নির্দেশ না দিলে তিনি আমরণ অনশন করবেন না তো! তিনি কেন অনশন করছেন না জানতে চেয়ে অনেক চিঠি লিখছেন তাকে কংগ্রেস যদি পাগলামি করে আমাকে মরতে হবে নাকি? কংগ্রেস যদ্দিন গণ- প্রতিষ্ঠান আছে তদ্দিন তিনি বিদ্রোহ করবেন না ৬ই জুনও এক সাক্ষাংকালে বললেন, মুসলিম লীগ কংগ্রেস একসঙ্গে যা চেয়েছে বড়লাট তাই করেছেন ৭ই তারিখে এ. আই. সি. সি'কে পরামর্শ দিলেন ওয়াকিং কমিটির সিদ্ধান্তে সায় দিতে | ৯ই জুন বললেন, তিনি যখন ভারত-বিভাগের বিরোধিতা! করেছিলেন তখন তিমি জনমতই প্রতি- ফলিত করেছিলেন ; আজ তিনি দেখছেন সেই জনমত দেশ-বিভাগের দিকেই ঝুঁকেছে, সুতরাং, তার ব্যক্তিগত অভিমত চাপানোর জুলুমবাজি তিনি করতে পারবেন না। তিনি ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাসও মেনে নিলেন ; বললেন, এজন ইংরাজদের দৌষ দিয়ে লাভ নেই, তাদের যদি ১৫ই আগস্ট ভারত ছেড়ে যেতেই হয় তবে কোথাও ক্ষমতা হস্তান্তর তো করতে হবে ; তাই হবে ডোমিনিয়ান স্ট্যাটাস

৯৯

গান্ধীজীর নেতৃত্বাবসান

গান্ধীজী চরম ক্ষণ পর্যন্ত রইলেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সঙ্গে, কিন্তু কোথাও বাধা দিলেন না, আপত্তি করলেন না, গর্জে টাড়ালেন না। পক্ষান্তরে, এ. আই. সি. সি. সভায় বসে অনেকক্ষণ ধরে ইনিয়ে বিনিয়ে একই কথা বললেন |

এই চরম ক্ষণ__-যখন মানুষের কর্তব্য আপন পূর্ণ সত্তায় মহিমান্বিত হয়ে দৃপ্তকণ্ঠে বলে-_না, সেই ক্ষণেও তিনি বললেন, কেউ সংশোধনী এনো নম! যেন; অধিকার আছে থাক ; তাদেরই প্রতিনিধি প্ল্যান মেনে নিয়েছেন, এ. আই. সি. সি'র কর্তব্য হবে তাদের পাশে দাড়ানো ওয়াকিং কমিটির সদস্তেরা প্রবীণ, পরীক্ষোত্তীর্ণ নেতা, এযাবৎ সকল কংগ্রেস-সাফল্যের কৃতিত্ব তাদেরই, তারাই কংগ্রেসের মেরুদণ্ড ; তদের বর্তমান অবস্থায় অপসারণ করা ছূর্বুদ্ধির পরিচায়ক হবে।

একটা জাতির ভবিষ্যৎ ভাগ্য-নির্ধারণে কি অসামান্য অষ্টবক্র নেতৃত্ব পত্য !

সত্য, যে-নিবৌধ ১৯৪৮এ গান্ধীজীকে অকারণে হত্যা! করেছিল সে বা তার উৎসাহদাতারা! বোঝেনি, ইতিহাসের গতিমুখে নিরঙ্কুশ নেতৃত্বের অধিকারী মহাত্বার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছিল ১৯৪৭-এই। ইতিহাসের গতিমুখেই তিনি পথপ্রান্তে বিস্বৃত হয়ে যেতেন আর তীর নেতৃত্ব নেবার সামর্থ্য ছিল না অথবা যে আত্মবিশ্বীসবলে স্থুভাষচন্দ্রের মতো শক্তিকে অনায়াসে অশ্রদ্ধেয় উপেক্ষায় নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন এবং তথাকধিত নেতৃবৃন্দকে অজগরের হরিণকে মোহ্গ্রস্ত করার মতো ক'রে রেখেছিলেন, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন, অথবা! নেতৃবুন্দ তার চারিদিকে যে মাহাত্যের আলো জ্বালিয়েছিলেন সেই তেজোঃশক্তি নিঃশেষ হয়েছিল। তাই তোমার কাছে গান্গীজীর এসব কথ! যতখানি চমকপ্রদ ঠেকবে, আমার কথা ছাড়ো, তার নিতযসঙ্গীপ্রায় মৌলানা আজাদেরও

২০

বেদনার অবধি ছিল না। তিনি তার বইয়ে “ম্বপ্নাবসান” শিরোনামায় তার সেই বেদনা প্রকাশ করেছেন

মৌলান৷ স্পষ্টতঃই বৃটিশ ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাব মাউণ্টব্যাটেন প্রস্তাবের মধ্যে পার্থক্য করেছেন; একেবারে মৌলিক পার্থক্য। ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাবে অখণ্ড ভারতের ফেডারাল কাঠামোর মধ্যে মুসলিম লীগ ব্বায়ত্বশাসন-প্রাসাদে পাকিস্থানের স্বাদ পেতে পারত ; তাতেই তারা সন্তুষ্টও থাকত এজন্য মৌলানা এটাকে সর্বতোভাবে সমর্থন করেছিলেন কিন্তু প্রথম গোলমাল হল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মৌলানার অপস্যতির পর, নতুন প্রেসিডেন্ট জওহরলালের মিশন প্রস্তাব সম্পর্কে নতুন সংগ্রামী ভাষ্য, লীগের সংশয় অসহযোগিতা, ইন্টারিম গবর্ণমেন্টে এসে প্রতিপদে বাধ! বিরক্তির স্থষ্টি, তারপর স্বর্গলাভের পথে পাণগুবকুলের একে একে পতন

শেষ পর্যস্ত মৌলানার আশ! ছিল ছুটি এক, লেবার মন্ত্রিসভা তাদেরই তিনজন মন্ত্রীরচিত পরিকল্পন। অগ্রাহ করে একক বডলাটের পরিকল্পনা নেবেন না ছুই, গান্ধীজী ৩র! জুন শ্রেতপত্র প্রকাশিত হলে তিনি দেখলেন তার সব আশা নির্মল হয়েছে আর ওয়াকিং কমিটিতে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের প্রশ্নে যখন গান্ধীজীর ভূমিকা দেখলেন, তখন বুঝলেন, সকল বিরোধের এন্তেকাল ঘটেছে

আমারও কথা শেষ হয়ে এসেছে, সত্য, দেশবিভাগ, প্রদেশ বিভাগ, সেনাবাহিনী বিভাগ, গবর্ণর জেনারেল নিয়োগ, র্যাডক্লিফ-বাগে-এওয়ার্ড ইত্যাদি আমার কাছে তুচ্ছ, আমার কাছে বড় তাদের ভূমিকা যীরা দেশকে এই পরিণতিতে নিয়ে এলেন ; আমি তোমায় শেষ অঙ্কের ছুটি বিয়োগ-গীথ! দিয়ে আমার এরারকার বর্ণনাকে শেষ করব £ একটি উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, যার শিরোনাম! সীমান্ত গান্ধী খান আবছুল গফফার খান স্বয়ং দিয়েছেন--নেকড়ের মুখে বিসর্জন--আগ্ পাঞ্জাবের নির্মম স্বাধীনতার রক্ত প্রবাহ, অহিংসবাদীদের সকল মিথ্য! অহঙ্কার যেখানে রুদ্ধ প্রতিহিংসায় হাহাকার করে ফিরছে

৫২৯

নেকড়ের মুখে নিক্ষেপ

ওরা জুনের ওয়াফিং কমিটির সভায় উঠল উত্তর পশ্চিম সীমান্ত, প্রদেশের অমন্তা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই যে নেহরুর সঙ্গে মাউটব্যাটেনের কথা হয়ে গেছে মৌলানা সন্ভব তা জানতেন না|। তিনি লিখছেনঃ “আমি ইতিপূর্বে বলেছি যে, মাউপ্টব্যাটেন প্ল্যান সায় দেখে আমি বিস্মিত আহত হয়েছিলাম তিনি এখন ওয়াকিং কমিটিতে দেশ বিভাগের পক্ষে বললেন। আমি যেহেতু এর আভাস আগে পেয়েছিলাম এজন্য আমার কাছে তত বিম্ময় সঞ্চার করতে পারে নি। কিন্তু খান আবুল গফফার খানের প্রতিক্রিয়৷ কেবল অনুমানই করা চলে। তিনি একেবারে হতবাক হয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ কথাই বলতে পারলেন না। তখন তিনি ওয়াকিং কমিটির কাছে আবেদন করলেন এবং কমিটিকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি সর্বদাই কংপ্রেসকে সমর্থন করে এসেছেন এখন যদি কংগ্রেস তাকে পরিত্যাগ করে সীমান্তে তার ভয়াবহ প্রতিক্রয়া হবে। শক্ররা হাসৰে, বন্ধুরাও বলবেন, যদ্দিন সীমান্তে কংগ্রেসের দরকার ছিল, সে খুদ্াই খিদমতগার- দের সমর্থন করেছে। কিন্তু যখন মুসলিম লীগের সঙ্গে আপোষে আসতে চাইল, সীমান্তের সঙ্গে তার নেতাদের সঙ্গে কিছুমাত্র সল! না করে দেশবিভাগের বিরোধিতা! পরিহার করল। খান আব্দুল গফফার খান বার বার বলতে লাগলেন, কংগ্রেস যদি এখন খুদাই খিদমতগারদের নেকড়ের মুখে নিক্ষেপ করে সীমাস্তবাসীর৷ এই কাজকে বেইমানি বলে গণ্য করবে ।”

গাঙ্ধীজী কিছু বিলিত হয়েছিলেন। কথাটা তিনি মাউন্টব্যাটেনের গোঁচরে আনবেন একথা বলা ছাড়া তার কিছু করবার ছিল না। তুলেও ছিলেন কথাটা বড়লাটের কাছে। বড়লাট বলেছিলেন, দেখব বলে জিল্নাকে। তিনি তে! জানেন আসলে কথ! হয়ে গেছে নেহরুর সঙ্গে

৬২২

জিন্না অবশ্য খান আবছুল গ্শফফার খানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন দিল্লীতে সাক্ষাৎও হয়েছিল, কিন্তু কথা অসমাপ্ত থেকে গেছে

“এতে বিশ্ময়ের কিছু নেই। কংগ্রেস একবার যখন দেশশবিভাগ মেনে নিয়েছে তখন খান আবদুল গফফার খান তার দলের কি ভবিষ্যৎ থাকতে পারে ? মাউণ্টব্যাটেন প্র্যানের ভিত্তিই হচ্ছে মুসলমান প্রধান প্রদেশগুলোকে আলাদা করে একটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। সীমান্তপ্রদেশের বেশীর ভাগ অধিবাসীই মুসলমান। স্তুতরাং, এটি পাকিস্থানে অন্তভূক্ত হতে বাধ্য ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকেও সীমান্তপ্রদেশ প্রস্তাবিত পাকিস্থান-অঞ্চলভুক্ত ভারতবর্ষের সঙ্গে সযোগের কোনো উপায়ই থাকবে না|» .

মাউণ্টব্যাটেন অবশ্য একটা সাস্তবনা দিলেন যে, সীমান্তপ্রদেশকে স্বায়ত্বশীসনের ভিত্তিতে অভিমত প্রকাশের স্ষোগ দেওয়া হবে। পাকিস্থান ব৷ ভারত কার সঙ্গে যোগ দেবে তাই নিয়ে সেখানে গণ-ভোট নেওয়া হবে। সীমান্তপ্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডাঃ খান সাহেব আপত্তি করেন নি; তবে নতুন একট! কথা জুড়ে দিতে চেয়েছেন। গণভোটই যদি হয় তো পাখতুনিস্থানের প্রশ্নেও নেওয়া হোক কিন্তু মাউণ্টব্যাটেন এটি নাকচ করে দিলেন। জিনাও মানলেন না। তখন খা ভাইয়েরা গণ-ভোট বর্জনের জন্ত আহ্বান জানালেন। কিন্তু উপসংহারে এই আহ্বানে কোনে সাড়। পাওয়া যায়নি

পিয়ারীলাল তার 1১100 0০ 705 ভ/০1%৩5 বইয়ে সেই ওয়াকিং কমিটির একটি মর্মস্তদ বিবরণ দিয়েছেন £

“50, 11517260511) 5০90 স1]] 10619061010) 165810 85 &5 79001562709, 211609) 711] 00 110 ?% বাদশ! খা বিষণ্ন হাসির সঙ্গে বলেছিলেন গান্ধীজীকে। আরও বলেছিলেন, উত্তরপশ্চিম সীমান্তপ্রদেশের নসীবে জবর হয়রানি আসন্ন | জানিয়ে কি করব। গান্ধাজী তার অভ্যস্ত বচনে বলেছিলেন, অহিংসায় হতাশা নেই। পাকিস্থান হলে আমার স্থান হবে পাঁকিস্থানেই।

৮২৩

১৯৪৭ এর ৩রা আগস্টও গান্ধীজী বলেছিলেন £

“1106 7650 01177 1189 15 £০91208 ০9 06 50677 20. 7815691), 1025 70 17 12851 3501881 0: 65010) 00718 0৮ 06075199 ০:0৮ 568 51006161 1১00৮1106,1

সেদিন বাদশ! খান আর প্রশ্ন করেন নি।

পাকিস্থান হুৰার পর গাম্ধীজীও পাকিস্থানকে তার বাসস্থান ৮৮

অন্যান্য ফেলে আসা ঘটনার মতই, যদি অবক পাই,

টিন সীমান্ত কাহিনীও, বলে এক তাড়া কাগজ দেখালেন টাইপ করা, তারপর বললেন, পাঞ্জাব কাহিনী দিয়ে ৪৭ এর ইতিহাস শেষ করব, তারও আগে একটু কথা

গান্ধীজী কোন একদিন ইংরাজদের বলেছিলেন, তোমরা যাও না চলে আমাদের অরাজকতায় ফেলে, সে আমরা বুঝব। ইচ্ছে করে সম্ভবত নয়, কিছু চালের ভুলেই মনে করি, ক্ষমতা হস্তান্তরের ঠিক আগে অখণ্ড ভারতবর্ধকে ইংরাজেরা অরাজকতায় ফেলে দিয়েছিলেন মৌলানার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েও মাউন্টব্যাটেন যথেষ্ট সতর্ক হন নি। পাঞ্জাবের ট্রাজেডি তারই সাক্ষাৎ ফল।

সেনাবাহিনী ভাগ বাটোয়ারা

দেশভাগ হলে সেনাবাহিনী তাদের আম্ুগত্যও যে বিভক্ত হয়ে যাবে একথাটি ভারতের প্রধান সেনাপতি জেনারেল অকিনলেক (8502150%) ভেবে দেখেন নি, ভেবে রেখেছিলেন জেনারৈল টুকের (8101) | কিন্তু সম্পর্কে যে কাগজপত্র তৈরী করেছিলেন, তা উপেক্ষাভরে পাশে সরিয়ে রাখা জেনারেল টুকের লিওনার্ড মসলেকে বলেছেন 5 “525 8 70:৮5 09 006 81061 ৪5 51066501060 1) 19406, 106559559 2 010 1016085% ৪11] 11৩ 701219) 10525580755 01 1941. [0096106, 16 0110 055 10855 09179 59106611776 0060, 1109

30607706106 200 তে. হু, 0. ০০৪]] 1726 1020 130 1693 (121 81811156 1000005 10 10100 00 008৮৩ 555170)116 16805...---৮

৬২৪

কিন্ত কাগজপত্র ভুলে যাওয়াই সমীচীন মনে করলেন। টুকেরের উৎকণ্ঠা আর যায় না। তিনি আবার প্রস্তাব করলেন কিছু বৃটিশ সৈম্ত আর ৪০টি গোর্থা ব্যাটেলিয়ান নিয়ে একটা সেনাবাহিনী গড়ে রাখবার অকিনলেক তাও উড়িয়ে দিলেন।

আসলে অকিনলেক সেনাবাহিনীই ভাগ করতে চান নি। মাউন্টব্যাটেন, ইস্মেরও ইচ্ছা, অখণ্ড সেনাবাহিনী আরও কিছুকাল থাকে কিন্তু আপত্তি জানালেন নেহরু-জিন্নাই | নিজন্ব সৈম্ত নেই তো স্বাধীনতা কি? ১৫ই আগস্টের আগেই পৃথক পৃথক সৈন্য চাই।

অকিনলেক কিছুতেই রাজী হন না “তখন বড়লাট বাধ্য হয়ে হুকুম দিলেন, অবিলম্বে তিনি যেন সেনাবাহিনীর পুনবিন্যাস করেন

এত সত্বেও পুনবিত্যাসের কাজ জুলাইয়ের আগে আরস্ত করা হয়নি। নির্দেশও গেল খুব সতর্কতা রক্ষা করে। অকিনলেকের আসল ভাবন! ছিল ইংরাজদের জন্য ; ও"র ধারণ৷ ছিল, স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে ইংরাজ- নিধন সুরু হয়ে যাবে তার ভাবনাটা পথ ধরে চলেছে বলে, আর কারও বিপদ তিনি ধরেন নি। ইংরাজদের রক্ষার জন্য বৃটিশ সৈন্য রক্ষার প্রস্তাবও তিনি করেছিলেন এতে ভূল বোঝাবুঝি হবে মনে করে মাউন্টব্যাটেন আপত্তি জানান, বৃটিশ সরকারও তাকে অমর্থন করেন।

দেশ বিভাগের প্রস্তাবনাস্বরূপ প্রদেশ বিভাগের যে কার্যমূচী ছিল তা সম্পন্ন হল যথাক্রমে ২০৭এ ২৩এ জুন বাংলা পাঞ্জাবে বাংলায় কলকাতা! নোয়াখালীতে লীগের “লড়কে লেঙ্গে” হয়ে গেছে ৪৬-এই | কিন্তু পাঞ্জাবকে নিয়েই দেশবিভাগের “আইডিয়া”

পাপ্তাব-_পাপ্তাৰ

নেহেরু পাঞ্জাব ঘুরে এসেছেন এবং জান্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ রূপ দেখে এসেছেন মার্চ এপ্রিলে ২০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। ণু 17255 56৩0. 68250 50105 20৫1 02৭৩ 17621 ০:

৫২

9610952001৮ 19050210 061285 71000) ০০1৭ 062120৩ 9:৫০” কিন্তু তিনি যদি ৪৬-এ কলকাতা দেখতেন বা তার কিছু শুনতেন, তবে হয়তো ৪৬-এর আগস্টেই এমনি চিত্তের অস্থিরতা আসত; এখানে ৬,০০০ মানুষ তে! সরকারী হিসেবেই মারা গেছে, ১০০০০ বললেও অত্যুক্তি হবে না তিনি নোয়াখালীর কিছু শুনেছেন, বিহারে কিছু দেখেছেন; শুনেছেন, এবং বমবর্ধা করার হুমকিও দিয়েছেন।। কিন্তু পাঞ্জাবের সদ্যন্চন। দেখে তার হিম্মত গেল, সর্দার কাছে সবই অদর্শন ছিল, কিন্তু পাঞ্জাবের সংবাদে দিল্লীও বুঝি যায় সেই ভয়ে তার হিম্বত গেল। তারপর লেডী মাউণ্টব্যাটেন পাঞ্জাবে দেখে এলেন

421] 00610071015 ০01 00170201791] 52৮886179--8. 010110 ৬1010 16 1)91105 011010760 06, 8, [0166118)1 [0011€7" 015611100স্ম€1160.:.

ইত্যাদি

সুতরাং কাটো পাঞ্জাবকে সাম্প্রদায়িক করাতে ; কাটো দেশকেও। রক্তপাত নিবারণই নাকি ছিল সব চাইতে বড় যুক্তি, যতটুকু পাওয়৷ ততটুকু রাজালাভের লোভে নয়। রক্ত-পিয়াসীরা নিবৃত্ত হয়েছিল পাঞ্জাব কেটে, দেশ কেটে? একথার জবাব দিয়েছে রুধিরাক্ত ছিন্নাঙগ পাঞ্জাব, বাংলা সার! পৃথিবীতে প্রচার চলেছে, ভারতবর্ষ অহিংসপথে বিনা রক্তপাতে ৪৭-এর স্বাধীনতা এনেছে এবং এই সত্যবাদী প্রচারকদের মাথার ওপর দেবনাগরীতে লেখা সত্যমেব জয়তে' বিশ্বের সব চাইতে বড় মিথ্যাকে লজ্জা! দিয়ে বলা হয়ে থাকে, এজন্য মুসলিম লীগ দায়ী, জিন্না দায়ী, ভারতের আরও ত্রিশকোটী মানুষের কোন দায় দায়িত্ব নেই এবং কংগ্রেসের হিন্দু নেতৃবৃন্দ নিষ্পাপ

ইতিহাসি তা৷ বলবে না।

' ২৩-এ জুন পাঞ্জাব বিভক্ত হল ৫০-২২ কি তোমায় আর একটি কথা বলে রাখি, সত্য, এসব ভোট কিন্তু ১৯৩৫ এর ভারত শাসন আইনর সীমাবদ্ধ ভোটাধিকারের ভোট, এতেই দেশব্ভাগ এবং এতেই সংবিধান পরিষদ, এতেই সংবিধান, এবং তা থেকে উদ্ভূত নেতৃবৃন্দের ইচ্ছামতো! বারবার দশবার সংবিধান সংশোধন

$২৬

২৬এ জুন গান্ধীজী এই আশঙ্কা প্রার্থনা জানালেন যে, লাহোর অমৃতসর গুরগাঁও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হবে। অহিংসার যান প্রয়োগে তিনি সেখানে যান নি।

২৮এ জুন অমুতবাজার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি নয়াদি্লী থেকে জানালেন যে, তিনি এইমাত্র পাকিস্থান থেকে ফিরলেন, লাহোর জ্বলছে দেখে এসেছেন। গৃহ-পরিজন-রিক্ত ছিন্নমূল শরণার্থীরা দিশেহারা হয়ে ছুটে আসছে স্টেশনের দিকে লাহোর স্টেশন ভীত সন্ত জনগণে আকীর্ণ।

প্রায় একমাস পর বিভাজন পরিষদ রাজী হলেন পরিবর্তনকালে পাঞজাবের শাস্তিরক্ষায় একটি স্পেশ্টাল মিলিটারী গঠন করতে। ১লা আগস্ট থেকে; পূর্ব পশ্চিম পাঞ্জাবের ১২টি জেল! এর আওতায় পড়বে বিভাজন পরিষদে ভারত পাকিস্থানের প্রতি- নিধিরা ছিলেন এত সবনাশের পর ২৪এ জুলাইয়েও টিমে তালে চলছে সব। প্রধান সেনাপতির কথ! তোমায় বলেছি। নেতারা ব্যস্ত ছিলেন কাকে বা কাকে কাকে ছুই ডোমিনিয়ানের, গবর্ণর জেনারেল করা যায় তারই ফয়সালা নিয়ে এও এক কাহিনী, সত্য, এবং কাহিনীতে কেবল গান্বীজী বা কংগ্রেসের পরাজয় নয়, মাউণ্টব্যাটেনেরও পরাজয় জিন্নার কাছে। 'ভালো-মানুষ কংগ্রেস খুশী মনে মাউন্টব্যাটেনকেই মধ্যবরতকালে গবর্ণরজেনারেল রাখার পক্ষপাতী; জিনম্নাজীর তুফীস্তাব। মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেসের করেছিলেন, কিন্তু ভবী ভোলেনি। ১০ই জুলাই কমন্স সভায় প্রধান- মন্ত্রী ক্রিমে্ট এটলী ঘোষণা করলেন, মাউন্টব্যাটেন জিন্না যথাক্রমে ভারত পাকিস্থানের গবর্ণর জেনারেল হবেন

গান্থীজী অমনি মন্তব্য করলেন, জিন্নাজী পাকিস্থান ডোমিনিয়ানের গবর্ণর জেনারেল হয়ে কথার খেলাপ ক্রেছেন। জিন্নাজীও সঙ্গে সঙ্গে বললেন, কিসের খেলাপ ? গান্ীজী বলেছিলেন, তিনি যতটা জানতেন,

৫২৭

তা হচ্ছে কংগ্রেস লীগ এবিষয়ে একমত হয়েছিলেন যে, ছুই ডোমিনিয়ানে একজন গবর্ণর জেনারেল হবেন। তারপর জিন্না নিজেই পাকিস্থান ডোমিনিয়ানের গবর্ণর জেনারেল হতে চান। গাঙ্ধীজী অবশ্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আশ্বস্ত হবার জন্য বললেন, এই তো ভালো, ঘদ্দিন ভারত ডোমিনিয়ান স্তরে থাকছে তদ্দিন একজন বৃটিশ গবর্ণর জেনারেলের অধীন থাকাই তো! ভাল গবর্ণর টাকা ইংরাজ, না, ফরাসী, না আর কোন জাতের, তাতে কিছু যায় আগে ? যায়ও যে এবং আসেও যে তা মাউণ্টব্যাটেন খুব বুঝেছেন, গান্ধীজী, নেতৃবৃন্দ, ভারতবাসীও বুঝেছেন কিন্তু উপায় ছিল না। পাকিস্থানের প্রথম গবর্ণর জেনারেল একজন পাকিস্থানীই ; ভারতের প্রথম গবর্ণর জেনারেল একজন ইংরাজ।

জিন্না স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কে বলেছে, ভারত পাকিস্থানের একজন গবর্ণর জেনারেল রাখার প্রস্তাবে মুসলিম লীগ প্রথমে র্লাজী হয়ে পরে পিছিয়ে গেছে? অমৃতবাজার পাত্রিক৷ প্রশ্ন করেছিলেন, “কোন্টি সত্য 2৮” এটলী বলেছেন, হালে দেখা যাচ্ছিল, মুসলিম লীগ একজন পৃথক গবর্ণর জেনারেলের পক্ষপাতী

মসলে বিষয়ে এক বিশদ কৌতুকময় বিবরণ দিয়েছেন।

' হিজ একসেলেন্সি জিন।

যে দিন পাঞ্জাব বিভাগ হল, সেই ২৩এ জুনও গড়িয়ে গেল, মাউন্টব্যাটেন তার স্টাফের আপ্রাণ নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা সত্বেও ৫ই জুলাই লিয়াকং আলি খান এক বিপরীত চিঠি দিলেন বড়লাটকে £ জিল্নাজী মনঃস্থির করে ফেলেছেন ; হিজ একসেলেন্সি যেন পাকিস্থানের গ্বর্ণর-জেনারেল পদে মহম্মদ আলি জিন্নার নামই সুপারিশ করেন।

১৮ই জুলাই “ভারত স্বাধীনতা বিল” বিধিরদ্ধ হয়ে গেল। মসলে লিখেছেনঃ

“02 40915 1947 076 1170100 [0)15001709006 311] গাও 1170- 0০০0 1 0196 17010052 01 000170189, 80 [024560. 11709 12৬ &

21010036106 19০0 06106109760 2 015056 001058181776 1136 ৪0701060060 01 4১000115] 17010. 71000086660 25 006 2196 (99%67501-0561612) 01 11101971676 29 8150 &, ০12,056 ০010- টা77)175 11) 20001770706) ০01 10132702060 4১11 0110031) 85 (00৮61061-0609121 01 081515090. ট910867 200 1080 2105 0০096 %/1)0 1)9.0 62287560 0136 ৮1০0] (010) 06 00810068155 ৪.30. 11761506504 (196 7085 ৬6615.

সত্য, আমাদের ৪৭-এর স্বাধীনতা পেতে আর এক মাসও নেই ; বিভাজন-পরিষদ স্বাধীন দিনের দিন কুড়ি আগে একট৷ সদিচ্ছার প্রস্তাব নিলেন, ক্ষমতা হস্তাস্তরের পর, হে সংখ্যালঘুগণ, সমব্যবহার সম্পর্কে তোমর৷ স্ত্রনিশ্চিত হও ; কংগ্রেস লীগ দু'জনই এই আশ্বাস দিয়েছে, ভয় কি? জব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, থাকবে বাক্‌ স্বাধীনতা, সংগঠনের, ধর্মচ্চার, ভাষার, সংস্কৃতির স্বাধীনতা শুধু

তাই নয়, ছুই সরকারই হিংস! দমনে বদ্ধ পরিকর দুর-ভবিষ্যৎ নয়, সত্য, অদূর ভবিষতের দ্বার খুলি, তুমি দেখ। ক্যালেগ্ডারের চলমান তারিখগুলে। গড়িয়ে গিয়ে যখন স্বাধীনতার ১৫ই আগস্ট স্থির হয়ে দীড়াল তখন তার সর্বাঙ্গে রক্ত; দিল্লীর দরবার হলে যখন খণ্ডিত ভারতের গবর্ণর-জেনাঞ্জেল ল্ড মাউণ্টব্যাটেন তার মন্ত্রিসভা, নেহরু প্রমুখ ভারতীয় নেতৃবৃন্দ, ভারত ডোমিনিয়ানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিচ্ছেন তখন পাণ্তাব রুধিরাক্ত যে বিশিষ্ট রাজন্যবর্গ বিভিন্নদেশের কূটনীতিক এই দরবারের শোভাবর্ধন করেছিলেন তারা কেউ জানেন না, এঁতিহাসিক উৎসবের অন্তরালে মনুষ্যত্বের ক্ষমাহীন

অবমাননা! চলছে, পঞ্চনদে অবিরাম শোনিততআ্রাব। ঠিক এই মুহুর্তে রাওয়ালপিণ্ডি অবশিষ্ট পৃথিবী থেকে কিচ্ছিন; লাহোর থেকে ট্রেন আসছে না ১৪ই আগস্ট থেকে তো ৰটেই। পাকিস্থানে তখন ডোমিনিয়ানের উধ!া ভারত ডোমিনিয়ানের 'প্রাক- প্রদোষ। কোন ডাক আসছে না, কোন সংবাদপত্র নয়, সংবাদ নয়। ৫২৯

স্বাধীনভা--৩৪

ছুদিকে চলেছে ঘর ছাড়ার পালা-_সীমান্ত, সীমান্ত, নিরাপদ সীমান্ত, কৈ কতদুরে, কোথায় দাগ পড়েছে পাক-ভারতের? পূর্ব পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী জরুরী তার পাঠাচ্ছেন 2 48:২%৩ 0025000021 09:0-078০

উৎসবের রবি-রশ্মি অতিক্রান্ত হয়ে নেতৃবৃন্দ কালো যবনিকা উত্তোলন করলেন। “তিন দিন আগে হয়ে গেছে উৎসব। এই উৎসবে যোগ দিতে পারে নি এক পাঞ্জাব। পূর্ব পশ্চিম পাঞ্জাবে আনন্দোল্লাসের বদলে ঘটেছে সর্বনাশ আর ভয়াবহ লাগুনা”__ ছই ডোমিনিয়ানের ছুই প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু *লিয়াকং আলি বললেন ১৮ই আগস্ট

“লাহোরের শেষ খবর হচ্ছে, লাহোর-অমুতসরে শাস্তি ফিরে এসেছে লাহোরের যে শাস্তি তা কবরের। সহরের পাঁচ লক্ষ সংখ্যালঘুর মাত্র কয়েকশ এখনও আছে। ১৩ই, ১৪ই, ১৫ই লাহোরে যা হয়েছে তা হৃদয়বিদারক | প্রাচীর ঘেরা সহরটি ধ্বংসম্তৃপ 1”

১২ই আগস্টে কিছু খবর এসেছিল £ “গত ২৪ ঘণ্টায় অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে। কোন কোন এলাকায় এখনও হানাহানি চলছে, কিন্তু সেনাবাহিনীরও গুলী চলছে দুর্বৃত্তদের লক্ষ্য করে। গত ২৪ ঘণ্টায় বড় বড় গুণ্ডাদলের উপদ্রব হ্বাস পেয়েছে” বললেন পাঞ্জাব সীমান্ত বাহিনী খবর আসলে ১০ই তারিখের

খবরে আরও বলা হ'ল, এখন গোলমালের প্রধান উপলক্ষ্য হ'ল উভয় সম্প্রদায়ের শরণার্থার৷ অধিকাংশ সহর অপেক্ষাকৃত শাস্ত।

২৯এ আগস্ট সংবাদপত্র প্রতিনিধিদের রিপোর্ট হচ্ছে £ “পঞ্চনদের সুন্দর ভূখণ্ড আজ গৃহযুদ্ধের নখর-ভিন্ন। একদিক থেকে গৃহযুদ্ধের চাইতেও জঘন্ত ; কেননা, এখানে বীভৎস, আদিম অন্ধ প্রতিহিংসার লক্ষ্য আত্মরক্ষায় অসহায় সংখ্যলঘুরা | লাহোর-_-একদা আনন্দ নগর-_ আজ মুতের সহর ; সর্বত্র এর শোকছায়া, মানব কি কোনকালে হেসেছে? বাইরে জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে একজনও তে! হিন্দু বা শিখ ফ্লেখলাম না। যোগাযোগ ব্যবস্থা পঙ্গুঃ সত্যি খবর চলেন!

6৩০

হাজার হাজার হিন্তু শিখ শরণার্থী বয়ে নিয়ে চলেছে, আসছে অগ্নিদাহের, লুষ্ঠনের, কসাই বৃত্তির অফুরস্ত পৈশাচিক কাহিনী পুলিশ মিলিটারীও যোগ দিয়েছে এই তাগুবে, তাদেরই ওপর ভার ছিল লোকরক্ষার। শেখপুরায় ছুদিনে যাঁর মরেছে তারা৷ এদের গুলীতেই।

প্রধানমন্ত্রী নেহেরু সাংবাদিকদের নয়াদিল্লীতে বললেন “সরকারী: হিসেবমতো পশ্চিম পূর্ব পাঞ্জাৰে নিহতের সংখ্যা হচ্ছে ১৫,৯০০ কিন্তু তিনি মনে করেন, সংখ্যাটা খুবই কম, অনায়াসেই এর ছ্িগুণ তিনগুণ হবে মনে হচ্ছে, সোয়া বারো লক্ষ শরণার্থী পশ্চিম পাঞ্জাৰ থেকে পূর্ব পাঞ্জাবে এবং বিপরীত পথে সমসংখ্যক ; ছুদিকের পথে আছে ৫০ হাজার করে; আরও ৫০ হাজার করে আসতে প্রস্তুত হয়তো আরও | তবু আমরা লোক বিনিময় চাইছি নে”

অন্তেষ্টির মন্ত

তথ্যসমুদ্ধ লিওনার্ড মসলের “দি লাষ্ট ডেজ অব দি বৃটিশ রাজ” থেকে স্বাধীনতার শহীদ বেদীমূলে এস শেষ তর্পণ করি। তোমার মনে পড়ে, বিপ্লবী আন্দোলন বলতে গিয়ে একট! ছোট্ট ইস্তাহারের শিরোনাম! বলেছিলাম 3 রক্ত বিনা হে দেশভক্ত দেশ না! স্বাধীন হবে ।' সেই রক্ত তর্পণ !

*“১৯৪৭-এর আগষ্ট পরের বছর বসন্তকাল পর্যস্ত ন'মাসে ১,৪০১০০১০০০ থেকে ১,৬০১০০,০০ হিন্দু, শিখ মুসলমান ভিটে মাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে রক্তপিপাস্থ জনতার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচবার: জন্য একই সময়ে ৬,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। কিন্ত; না, নিহত বলতে যা বোঝায় তা নয়। শিশু হ'লে তার পা ছটো তুলে ধরে আছড়ে মেরেছে দেওয়ালে কিশোরী হলে ধর্ষণ করেছে যুবতী হলে বলাৎকারের পর স্তন কেটে দিয়েছে অন্তঃস্বত্া হলে পেট:

৮৩১.

“ট্রেনের পর ট্রেন এসেছে লাহোরে, যাত্রী পরিপূর্ণ ট্রেন, সব মৃত, 'বগ্গুলোর গায়ে লেখা ভারতের উপহ্থার। তেমনি ট্রেন ভরতি হিন্দু শিখের শব পাঠিয়েছে মুসলমানেরা পাকিস্থানের উপহার যেদেশে “গান্ধীর প্রেরণায় অহিংসাকে জাতীয় ধর্ম বলে গ্রহণ করেছে, সেখানে এই হত্যা, লুট, অগ্নিদাহ নারীধর্ষণ; চেঙ্গিস খার কালের পর পৃথিবীর আর কোথাও যা! হয়নি। ডি এফ কারাক! নামে এক জ্বারতীয় সাংবাদিক এসময়ে এক পুস্তিকা লিখে বলেছিলেন ন্থাধীনতায় হু নেই। কিন্তু সারা ভারত ছূ্্ধ পরিপূরিত হয়েছিল-_-অগািত 'সৃতদেহের পৃতিগন্ধ, ছৃস্কতির পাঁক, আর অগ্রিশিখা

+5117012 27। 1947 15 2, 00101161562 101 ৮10165.”

“শকুনের স্বর্গ হয়েছিল ১৯৪৭এর ভারত দূর আকাশ থেকে সন্ধানী দৃষ্টি ফেলে পেতে হয়দি তাদের পচা মাংস, তাদের চারদিকে, জন্তর মানুষের পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসছিল ৭৪ মাইল দী শিখ হিন্দুর এক কনভয় ; সারা পথে তার! আক্রান্ত হয়েছে -আক্রমণ- কারীদের খুঁজতে হয়নি কক্ষণো- কলেরা মহামারীর ত্রাণেই বুঝতে পারত ওর! আসছে। তাদের এমনি মেজাজ যে, যদি দেখেছে উল্টো পথে তেমনি একটা মুসলিম শরণার্থীর কনভয় আসছে, ভারতীয় কনভয়ের সমর্থ ব্যক্তিরা কিছু হত্যায় লিপ্ত হয়ে পড়ত

৪৬১০০১০০০ মৃত ১১৪০১০০১০০০ গৃহবিতাড়িত | ১১০০১০০০ তরুণী উভয় দিকে অপহৃত, জবরদস্তি ধর্মান্তরিত অথব৷ নীলামে বিক্রীত। একবার একটা চেষ্টা হয়েছিল যুক্ত পাক-ভারত কমিশনের উদ্যোগে এই অপহ্ৃতা তরুণীদের উদ্ধারের; সফল হয়নি। পাকিস্থানীদের অনুযোগ, ভারত ধবিতা স্ত্রীকন্তা। ফিরিয়ে নিতে চগীয়নি ।”

মসলের উপসংহার

“স্বাধীনতার জন্য. ৬১০০০*০ ভারতীয় প্রাণ হারালো, ১১৪০১০০১০৮০ মানুষ গৃহহারা হ'ল। মানুষেরা পণ্ড হয়ে গেছল। অন্ততঃ একট! যুগ পাক-ভারত সীমান্তের আকাশ বায়ু তিক হয়ে ছিল। অকারণ।

০০০২

“হওয়া উচিত ছিল না। এরকম বেপরোয়া 'গভিতে যদি স্বাধীনতাকে হিচড়ে না আনা হ'ত, হ'ত না। নিদারুণ পরিণতির কথ! কিছুমাত্র বিবেচনা না করে আর কোথাও এত দক্ষতা, এত নৈপুণ্য, এত সৌকর্ধের সঙ্গে ৩৫ কোটা মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়নি। |

“মে মাসে পার্টশান, আগস্ট মাসে স্বাধীনতা ; কিন্তু এদেশের

উৎকষ্টিত নরনারীর জিজ্ঞান্ন মনকে ইচ্ছে করে অন্ধকারে রাখা হয়েছে__ স্বাধীনতার ছুদিন পরে জানল ১০১০, একটু ধৈর্ধ ধরলে সকল দুঃখ পরিহার কযা যেত। . পাকি- স্থান একটি মাত্র মানুষের কীতি__মহম্মদ আলি জিন্নার ; পাকিস্থান প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই মারা গেলেন। একটু মাত্র ধৈর্য। না, এত তাড়াহুড়ে৷ রয়, এইটুকু বলা

“00 0097 6100 ৪00 789] 8100 21] 006 (00061659106)

62110105101 019০ (00165 01 00618 6106 ০9101 11001700060

09016017601 01 (11611 00585 2.5 109 06160695016 10 06 [600560. 11)67 0009160 0০).

নেহরু মসলের কাছে বলেছেন, ১৯৬ৎ্খুস্টাব্দে, নাকের ডগায় ঝুলন্ত আঙ্গুর গিলে ফেলার তের বছর পর “আমাদের কোন ধারণাই ছিল না! এত হত্য। হতে পারে, কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্ককে এত তেতো করে তুলতে পারে

এই রাজনৈতিক প্রাজ্ঞদের হাতেই কোটী কোটা ভারতবাসীর ভাগ্য করায়ন্ত ছিল, অহিংসার মিথ্যা জাল বুনে যাঁরা বিপ্লবী ভারতকে বন্দী নতুবা নির্বাসিত করতে পেরেছিলেন। মসলে পাঞ্জারের হিসেব ধরেছেন বাংলা দেশের রক্ত ঝরা দেখেন নি, দেখেন নি সারা ভারতে ছড়িয়ে-পড়া বাঙালী ভিখারীর দলকে। সশস্ত্র বিপ্লব কি, সত্য, এর চাইতেও ভয়াবহ হ'ত না, একটা বলি জাত জন্মাত ?

৫৩৩,

বলতে রলতে উঠে গেলেন তত্তপোষ থেকে; ভরীর্ণ ঘরের 'জীর্ণতর পশ্চিমের বেড়ায় গ্রলম্থিত একখানি মলিন ধুতি স্পর্শ করলেন, তারপর সেটি/তুলে ধরলেন £

একখানি মানচিত্র, ছিনাঙ্গ ভারতবর্ষ, পঞ্চনদ বয়ে আরব সাগরে আর 'পল্প! গঙ্গা বয়ে বঙ্গোপসাগরে অনর্গল ঝরছে--রক্ত!

ঝরছে ও'র ছু'চোখ বেয়ে জল, টপ, টপ, টপ, অবিরাম!